06/04/2023
সুস্থ থাকার জন্য কিছু টিপস দেবেন কি?
জার্মানির সব ডাক্তাররা বলেন প্রতিদিন ১০,০০০ স্টেপ হাঁটবে। তাহলে আর কোনো রোগ হবে না। দশ হাজার স্টেপ মানে ৬.৫ কিলোমিটার।
উনাদের সব কথাকেই কি বিশ্বাস করতে হবে !!! সত্যিই কি তাই !!!!
ছোটবেলায় আম্মা জোর করে পালং শাক খাওয়াতেন। বলতেন খা বাবা , শরীরে আইরন বাড়বে।
বড় হয়ে জানলাম, কোনো এক পুষ্টি বিজ্ঞানী তার রিসার্চে দশমিক পজিশনটি ঠিক জায়গায় বসান নি,তাই পালং শাকে আইরণের পরিমাণ বেশি দেখাচ্ছিল।
সমস্ত পৃথিবী তাকে বিশ্বাস করেছিল। আর তার ভুলে আমার বাল্যকাল এমন কষ্টে কেটেছিল।
এরপরে যখন জিমে যাওয়া শুরু করলাম, ট্রেইনার বলতো প্রতিদিন নুডলস খাবে।
এক বছরের মধ্যেই থিওরিটি পাল্টে গেলো। নুডলস খাবে না, ওটা জঘন্য , প্রচুর স্টার্চ ।
আমাদের মতো স্বল্পজ্ঞানী, গুগল বিশ্বাসী লোকেরা কোথায় যাবে, বলুন তো ?
যাহোক, পুষ্টিবিজ্ঞানীদের দুটো গালি দিয়ে গ্যারাজ থেকে গাড়ি বের করলাম। শপিং এ যেতে হবে। দোকানটি বেশি দূরে নয়। হেঁটে গেলেও পারতাম, তবুও যাবো না।
হঠাৎ দেখা হলো আমার প্রতিবেশী ফেলিক্স আর মারিয়ার সাথে। দুজনের বয়স আশির বেশি।
তবে সুঠাম দেহ, শরীরে এক বিন্দুও মেদ নেই, ফেলিক্স যেন রণবীর সিং আর মারিয়া দিপীকা পারুকোন।
জিজ্ঞেস করলাম তাদের, সাথে নেবো কিনা।
মারিয়া বললেন, না,না, আমরা প্রতিদিন ৬.৫ কিলোমিটার হাঁটি।
আমি বললাম, ওহ, এটাই হলো আপনাদের ইয়াং থাকার রহস্য ।
-তো, কতদিন ধরে এই অভ্যাস ?
ফেলিক্স উত্তর দিলেন, ৫০ বছর।আমার চোখ ছানাবড়া।
-আচ্ছা, এতো মোটিভেশন পান কোথা থেকে ?
ফেলিক্স আমতা আমতা করে উত্তর দিলেন, মোটিভেশন তো নয়, বাধ্য হয়ে।
-তার মানে ?
-জানেন, মারিয়াকে বিয়ে করার পর থেকে আমাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো। প্রায় বিচ্ছেদ হয় হয় আর কি।
গেলাম আমরা সাইকোলোজিস্টের কাছে।উনি সব শুনে উপদেশ দিলেন, আপনারা সিলি বিষয় নিয়ে ঝগড়া করেন। এখন থেকে নিয়ম, যে ঝগড়া শুরু করবে তার শাস্তি ৬.৫ কিলোমিটার হাঁটা।
-তো ?
ফেলিক্স বলতে থাকলেন , আমি প্রায়ই ঝগড়া করতাম ফলে আমাকে প্রায়ই দশ হাজার স্টেপ হাঁটতে হতো। আমি স্লিম হয়ে গেলাম।
-তাতো বুঝলাম, তো মারিয়া এতো স্লিম কেন ?
মারিয়া উত্তর দিলেন : -আর আমি ওকে ফলো করতাম। ও ঠিক মতো হাঁটছে কিনা।
আমি উনাদের এই সক্রেটিসের মতো বাণী শুনে গাড়ি আবার গ্যারাজে ঢুকালাম। হেঁটে রওয়ানা হলাম শপিং করতে।
পুস্টিবিদদের গালি তুলে এনে নিজেকে গালি দিলাম।