01/08/2025
প্রতি বছর হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালিত হয় মানুষের মধ্যে এই ক্যান্সারের ঝুঁকি, কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে। সাধারণত মুখ, জিভ, ঠোঁট, গলা, টনসিল, ল্যারিনক্স (কণ্ঠনালী), ফ্যারিংস, নাক ও কানের পেছনে যে ক্যান্সার হয়—তাই হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার হিসেবে পরিচিত।
এই ধরনের ক্যান্সারের প্রধান কারণ হলো তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য (সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল, খৈনি), অ্যালকোহল সেবন, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) সংক্রমণ এবং মুখের বা দাতের যত্ন না নেয়া। আমাদের দেশে মুখে তামাক জাত দ্রব্য ব্যবহারের হার বেশি হওয়ায় এই ধরনের ক্যান্সারের হারও বেশি।
হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মুখে বা গলায় দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত, গিলতে কষ্ট হওয়া, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন, গলায় চাকা বা ফোলা ভাব, দাঁত নড়ে যাওয়া ইত্যাদি। অনেক সময় এই লক্ষণগুলোকে সাধারণ সমস্যা হিসেবে এড়িয়ে যাওয়া হয়, ফলে দেরিতে রোগ ধরা পড়ে।
ওরাল ক্যান্সার স্ক্রিনিং হলো মুখগহ্বরের ক্যান্সার আগেভাগে শনাক্ত করার একটি সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি। এটি সাধারণত দাঁতের ডাক্তার বা চিকিৎসক মুখ, জিহ্বা, ঠোঁট, গাল ও গলার ভেতর পরীক্ষা করে করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে চিকিৎসা সহজ হয় এবং রোগী বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। বিশেষ করে যারা তামাক, জর্দা, গুল বা অ্যালকোহল সেবন করেন, তাদের জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং জরুরি। সচেতনতা এবং বছরে অন্তত একবার মুখ পরীক্ষা করানো ওরাল ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়—প্রতিরোধই শ্রেষ্ঠ প্রতিকার। সচেতনতা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, তামাক বর্জন এবং সুস্থ জীবনযাপনই পারে এই ক্যান্সার প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখতে। সমাজের প্রতিটি স্তরে—বিদ্যালয় পাঠ্যক্রম, কর্মক্ষেত্র, গণমাধ্যম এবং স্বাস্থ্যখাতে—এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
চলুন, আমরা সবাই মিলে হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতন হই, অন্যকেও সচেতন করি। ছোট একটি পরিবর্তন—বাঁচাতে পারে অনেক জীবন।
পরামর্শ -প্রতি শুক্রবার সকাল ১০টা-বিকল ৫টা, #নিউগ্ৰীনলাইফ মেডিকেল সেন্টার, পূর্ব বাজার, #আশুগন্জ