Sukun Mental Health Care

Sukun Mental Health Care Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Sukun Mental Health Care, Mental Health Service, Badda.
(4)

হতাশা, বিষন্নতা, দাম্পত্য সমস্যা, পারিবারিক কলহ, স্ট্রেস, ট্রমা,পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন, সেলফ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ের কাউন্সেলিং সার্ভিস । আপনার মনের যত্ন নেয়ার ছোট্ট একটু চেষ্টা

সবার মনের অবস্থা কী?
14/10/2025

সবার মনের অবস্থা কী?

🌸 নিজেকে ডিসিপ্লিন করা: অনেকে ভাবে “ডিসিপ্লিন” মানে শুধু রুটিন মেনে চলা।আসলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা মানেই একধরনের ইবাদত।কা...
13/10/2025

🌸 নিজেকে ডিসিপ্লিন করা:

অনেকে ভাবে “ডিসিপ্লিন” মানে শুধু রুটিন মেনে চলা।
আসলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা মানেই একধরনের ইবাদত।
কারণ আল্লাহ বলেন—

> “নিশ্চয় সফল সে ব্যক্তি, যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করেছে।”
(সূরা আশ-শামস ৯–১০)

🌿 ডিসিপ্লিন মানে—
নিজের মনকে শাসন করা,
আবেগকে সঠিক পথে চালানো,
আর নিজের সময়, কথা, কাজকে আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে সামঞ্জস্য করা।

🕊️ অনেক সময় আমরা জানি কী করতে হবে,
কিন্তু মন চায় না, শরীর টানে না।
এই জায়গাটাতেই শুরু হয় আত্ম-সংগ্রাম।
প্রতিদিন একটু একটু করে যদি আমরা “না” বলতে শিখি —
অলসতাকে, রাগকে, গসিপকে, দেরি করাকে —
তাহলেই আমরা আসলে নিজেদের “তরবিয়ত” করছি।

💫 ডিসিপ্লিন কোনো কারাগার নয়, বরং স্বাধীনতার দরজা।
যে মানুষ নিজের ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে,
সে-ই নিজের জীবনের প্রকৃত নেতা হয়ে ওঠে।
তাওবা যেমন মনকে পরিশুদ্ধ করে,
তেমনি ডিসিপ্লিন মনকে স্থিরতা দেয় —
দু’টো মিলেই একজন মানুষকে শান্ত ও সফল বানায়।

🌸 তাই আজ থেকে শুরু করুন ছোট্ট পরিবর্তন —
সময়মতো নামাজ
প্রতিদিন ৫ মিনিট কুরআন
কম কথা, বেশি ভাবনা
নিজের প্রতি দায়িত্বশীলতা

ধীরে ধীরে, প্রতিদিন — এভাবেই গড়ে উঠবে “নিয়ন্ত্রিত, পরিশুদ্ধ, শান্ত এক তুমি।”

সেলফ ডেভেলপমেন্টে কাউন্সেলিং সার্ভিস নিতে পেইজে ম্যাসেজ করুন ।

10/10/2025

---

🌱 জেনারেশন গ্যাপ: বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে অদৃশ্য দেয়াল

আজকের যুগে প্রায় প্রতিটি পরিবারেই একটা অদৃশ্য দূরত্ব দেখা যায় — বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে মানসিক ফাঁক, যাকে আমরা বলি “জেনারেশন গ্যাপ”।
এই ফাঁকটা তৈরি হয় বয়সের নয়, বরং চিন্তা, মূল্যবোধ ও অনুভূতির পার্থক্য থেকে।

🧠 কোথা থেকে শুরু হয় এই দূরত্ব?

বাবা-মায়েরা বড় হয়েছেন এক সময় যেখানে “শৃঙ্খলা মানেই সম্মান”।
অন্যদিকে আজকের সন্তানরা বেড়ে উঠছে এমন যুগে যেখানে “শোনা মানেই বোঝা”।
ফলে বাবা-মায়ের চোখে সন্তানের আচরণ অশ্রদ্ধা মনে হয়, আর সন্তানের চোখে বাবা-মায়ের কথা জোরজবরদস্তি মনে হয়।

ধীরে ধীরে সম্পর্কের জায়গা থেকে ভালোবাসা হারিয়ে গিয়ে দূরত্ব জায়গা নেয়।

💬 উদাহরণ:

একজন মা কষ্ট পেয়ে বলেন, “আমার ছেলেটা আর কথা বলে না আগের মতো।”
আর সেই ছেলে বন্ধুকে বলে, “আম্মু শুধু বোঝাতে চায়, বুঝতে চায় না।”
এটাই জেনারেশন গ্যাপের বাস্তব চিত্র।

❤️ সমাধান কীভাবে সম্ভব?

১️⃣ শোনা, না থামিয়ে — বোঝার জন্য।
প্রত্যেক প্রজন্মের চিন্তাভাবনা আলাদা। সন্তানের ভাবনা শুনে নেওয়া মানেই দুর্বলতা নয়, বরং বোঝাপড়ার দরজা খোলা।

২️⃣ তুলনা নয়, প্রশংসা করুন।
“আমাদের সময় এমন ছিল না” — এই বাক্য সন্তানকে দূরে ঠেলে দেয়। তার বদলে বলুন, “তুমি যা ভাবছ, একটু বোঝাও তো!”

৩️⃣ সময় দিন, শুধু উপদেশ নয়।
একসাথে হাঁটা, গল্প করা, সিনেমা দেখা — এসব ছোট সময়গুলো সম্পর্ককে বড় করে তোলে।

৪️⃣ কাউন্সেলিং বা থেরাপি গ্রহণ করা লজ্জার নয়।
কখনো কখনো নিরপেক্ষ একজন কাউন্সেলর বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে সেতুবন্ধনের ভূমিকা রাখতে পারেন।

---

🌻 জেনারেশন গ্যাপ আসলে দূরত্ব নয়, এটি বোঝাপড়ার অভাবের ভাষা।
যেদিন দুই প্রজন্ম একে অন্যকে “বোঝাতে নয়, বুঝতে” চেষ্টা করবে — সেদিনই ঘরে ফিরে আসবে শান্তি, হাসি আর ভালোবাসা। 💛

----

06/10/2025

🌿 রাগকে জয় করা

নীলা খুব শান্ত মেয়ে ছিল একসময়। কিন্তু বিয়ের পর, অফিসের চাপ, সংসারের ব্যস্ততা আর মানসিক ক্লান্তি যেন ধীরে ধীরে তাকে বদলে দিচ্ছিল।
ছোট ছোট বিষয়ে রেগে যাওয়া তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।
স্বামী কিছু ভুল করলে কথা না ভেবে ঝাড়ি দিত, অফিসে সহকর্মীর ছোট ভুলেও চিৎকার করতো।
রাগ কমার পর নিজেই অপরাধবোধে ভুগতো—"আমি কেন এমন করলাম?"

একদিন এক বন্ধু নীলাকে বললো—
“রাগ নিয়ন্ত্রণ করা মানে রাগ না পাওয়া নয়, বরং রাগ আসলেও নিজেকে সামলে নেওয়া।”

এই কথাটা নীলাকে নাড়া দিল।
সে ভাবলো, “আমি রাগের দাস নই, আমি তো মানুষ — আমি চাইলে নিজেকে বদলাতে পারি।”

পরদিন থেকে নীলা ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন আনল—
🔹 রাগ এলে সঙ্গে সঙ্গে চুপ করে যেত, পানি খেত।
🔹 গভীর শ্বাস নিতো তিনবার।
🔹 কেউ কথা বললে সাথে সাথে জবাব না দিয়ে একটু সময় নিতো।
🔹 রাতে ডায়েরিতে লিখতো—“আজ কীতে রাগ হলো, কেমন লাগলো, কীভাবে সামলালাম।”

প্রথমে কঠিন ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সে টের পেল —
রাগ এখন তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে না, সে-ই রাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
বাড়ির পরিবেশ বদলে গেল। স্বামী এখন আগের চেয়ে বেশি সময় দেয়, অফিসেও সবাই তার শান্ত স্বভাবের প্রশংসা করে।

একদিন আয়নায় তাকিয়ে নীলা নিজেকে বললো —
“রাগ জয় করা মানে নিজেকে ভালোবাসা শেখা।”

---

কাউন্সেলরের পরামর্শ

রাগ আসা স্বাভাবিক — এটা আমাদের আবেগেরই অংশ।
কিন্তু রাগের নিয়ন্ত্রণ হারালে সম্পর্ক, আত্মসম্মান ও মানসিক শান্তি—সব কিছু ভেঙে পড়ে।

রাগ নিয়ন্ত্রণের কিছু কার্যকর উপায়ঃ
✅ রাগের সময় “বিরতি” নাও — উত্তর দিও না, শুধু চুপ থাকো।
✅ গভীর শ্বাস নাও, পানি খাও।
✅ নিয়মিত নামাজে মনোযোগ বাড়াও।
✅ রাগের পর “নিজেকে দোষ না দিয়ে” শেখার চেষ্টা করো।

রাগকে বুঝে নিয়ন্ত্রণ করাই মানসিক পরিপক্বতার চিহ্ন।
নিজেকে ভালোবাসো, রাগকে নয়।

---
♦️♦️ কাউন্সেলিং সার্ভিস নিতে পেইজে ম্যাসেজ করুন

30/09/2025

---

🌸 হতাশা: জীবনের এক অদৃশ্য ভার

আজকাল আমরা প্রায়ই শুনি— “আমি খুব হতাশ হয়ে গেছি”, “মনটা ভালো নেই”, “জীবনে কোনো অর্থ খুঁজে পাই না”।
কিন্তু আসলে হতাশা (Depression) শুধু মন খারাপ না — এটা এক ধরনের মানসিক অবস্থা, যা ধীরে ধীরে আমাদের জীবনের আনন্দ, উদ্যম আর আশা কেড়ে নেয়।

💔 হতাশা কেমন অনুভূতি দেয়?

হতাশ মানুষ হাসে, কথা বলে, কাজও করে— কিন্তু ভিতরে ভিতরে একটা গভীর শূন্যতা কাজ করে।
মনে হয়—

কিছুই আর আনন্দ দেয় না,

নিজের উপর ভরসা হারিয়ে গেছে,

ঘুম আসে না বা অতিরিক্ত ঘুম হয়,

অকারণে কান্না পায়,

জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় না।

এই অনুভূতিগুলো অবহেলা করার মতো নয়। কারণ সময়মতো যত্ন না নিলে এটি মারাত্মক মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় রূপ নিতে পারে।

🌤️ হতাশা দুর করার পথে প্রথম পদক্ষেপ

হতাশার সবচেয়ে বড় শত্রু হলো “নীরবতা”। আমরা চুপ থেকে, মুখে হাসি রেখে, ভেতরে কষ্ট লুকিয়ে রাখি— যেন এটা লজ্জার কিছু। অথচ এটা একদম স্বাভাবিক!
ঠিক যেমন শরীর অসুস্থ হলে চিকিৎসা লাগে, মন অসুস্থ হলে “মানসিক চিকিৎসা” লাগে।

🩵 তাই—

আপনার অনুভূতি কারও সঙ্গে ভাগ করুন।

কাউন্সেলর বা মনোবিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।

নিয়মিত ঘুম, হাঁটাহাঁটি, ধর্মীয় কাজ করুন, ব্যায়াম করুন ।

নিজের প্রতি একটু সদয় হন।

🌼 জীবন আবারও হাসবে

হতাশা যতই গভীর হোক, মনে রাখবেন— এটা স্থায়ী নয়।
প্রতিটি সকালই নতুন সূর্য নিয়ে আসে। আপনি যদি সাহায্য নেন, নিজের যত্ন নেন, তবে এই অন্ধকার থেকেও আলো খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

👉 নিজের প্রতি যত্নশীল হোন, মনকে ভালোবাসুন।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া দুর্বলতা নয়, এটা সাহসের কাজ।

-------------🌿🌿🌿-------

কাউন্সেলিং সার্ভিস নিতে পেইজে ম্যাসেজ করুন

26/09/2025

🌿 সেলফ-ডেভেলপমেন্ট: নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার পথ

সেলফ-ডেভেলপমেন্ট মানে কেবল বই পড়া, দক্ষতা অর্জন বা বাহ্যিক পরিবর্তন নয়। আসল উন্নয়ন শুরু হয় মনের ভেতর থেকে। আমরা যখন নিজের মানসিক স্বাস্থ্য, চিন্তা-ভাবনা, অভ্যাস এবং আত্মবিশ্বাসের ওপর কাজ করি, তখনই প্রকৃত পরিবর্তন আসে।

---

১. আত্ম-গ্রহণ (Self-Acceptance)

অনেকেই ভাবে—"আমি যথেষ্ট ভালো নই"। অথচ উন্নয়নের প্রথম ধাপ হলো নিজেকে গ্রহণ করা।

নিজের সীমাবদ্ধতাকে মেনে নেওয়া

ভুলকে শেখার অংশ হিসেবে দেখা

নিজের শক্তি ও দুর্বলতা দুটোই চিনতে শেখা

যখন আমরা নিজেকে মেনে নিতে শিখি, তখন বাইরের চাপ আমাদের ভেঙে দিতে পারে না।

---

২. মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন

সেলফ-ডেভেলপমেন্ট মানেই আত্ম-যত্ন।

প্রতিদিন কিছু সময় নিজের জন্য রাখা

পর্যাপ্ত ঘুম

স্বাস্থ্যকর খাবার ও নিয়মিত ব্যায়াম

প্রার্থনা, ধ্যান বা শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন

মানসিকভাবে সুস্থ না হলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হয় না।

---

৩. ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

বড় স্বপ্ন গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার জন্য ছোট ধাপ দরকার।

প্রতিদিন ১০ মিনিট বই পড়া

সপ্তাহে ২ দিন নতুন কিছু শেখা

প্রতিদিন কৃতজ্ঞতার তিনটি বিষয় লেখা

এগুলো ছোট মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে জীবনে বিশাল পরিবর্তন আনে।

---

৪. ইতিবাচক চিন্তার চর্চা

আমাদের চিন্তাই আমাদের কাজকে নিয়ন্ত্রণ করে।

"আমি পারবো না" বদলে বলুন "আমি চেষ্টা করবো"

নিজেকে সমালোচনা না করে, উৎসাহ দিন

নেগেটিভ পরিবেশ এড়িয়ে চলুন

---

৫. শেখার মানসিকতা (Growth Mindset)

ভুল, ব্যর্থতা বা সমালোচনাকে ভয় না পেয়ে শেখার সুযোগ হিসেবে নিন।

নতুন দক্ষতা অর্জন করুন

অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিখুন

পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিন

---

সেলফ-ডেভেলপমেন্ট কোনো একদিনের কাজ নয়। এটি এক ধারাবাহিক যাত্রা। প্রতিদিন ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়ে আমরা নিজেকে মানসিকভাবে শক্তিশালী, আত্মবিশ্বাসী ও ইতিবাচক মানুষে রূপান্তর করতে পারি।

নিজেকে পরিবর্তন করতে চাইলে প্রথমে নিজেকে ভালোবাসতে হবে, এরপর ধীরে ধীরে নিজের ভেতরে বিনিয়োগ করতে হবে।

---

সেলফ ডেভেলপমেন্ট করতে চান? একা পারছেন না আগাতে? চলুন একসাথে চ আগাই। কাউন্সেলিং সেশন নিন। সেশন নিতে পেইজে ম্যাসেজ করুন।

20/09/2025

🌸 পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন: মাতৃত্বের ছায়ায় হারিয়ে যাওয়া এক নীরব যুদ্ধ

মা হওয়া এক অনন্য অভিজ্ঞতা। নতুন প্রাণকে পৃথিবীতে আনতে পারার আনন্দ, আশঙ্কা, ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধ—সব মিলিয়ে এক অন্যরকম অনুভূতির জন্ম দেয়। কিন্তু এই মাতৃত্বের আনন্দঘন মুহূর্তের আড়ালেও অনেক মা লড়াই করেন এক নিঃশব্দ মানসিক সংকটের সাথে, যার নাম পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন (Postpartum Depression বা PPD)।

🤱 পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন কী?

পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন হল সন্তানের জন্মের পর মায়েদের মধ্যে দেখা দেওয়া এক ধরনের বিষণ্ণতা বা হতাশাজনিত মানসিক সমস্যা। এটি সাধারণত সন্তানের জন্মের প্রথম কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু হয়, তবে কখনো কখনো কয়েক মাস পরেও প্রকাশ পেতে পারে।

এটি শুধুমাত্র “হরমোনের ওঠানামা” নয়—এটি একটি বাস্তব মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যা যথাযথ মনোযোগ, সহানুভূতি ও পেশাদার সহায়তা দাবি করে।

---

🧠 লক্ষণসমূহ:

দীর্ঘস্থায়ী দুঃখ বা শূন্যতা অনুভব

অতিরিক্ত ক্লান্তি বা শক্তিহীনতা

ঘুমে সমস্যা (অতিরিক্ত ঘুম বা অনিদ্রা)

ক্ষুধামান্দ্য বা অতিরিক্ত খাওয়া

নিজের বা শিশুর প্রতি অমনোযোগিতা বা বিরক্তি

অতিরিক্ত উদ্বেগ, আতঙ্ক বা অপরাধবোধ

“আমি ভালো মা নই” এই ধরণের চিন্তা

আত্মহত্যার চিন্তা (গুরুতর পর্যায়ে)

---

🤔 কেন হয়?

এর নির্দিষ্ট কোনো একক কারণ নেই, তবে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান থাকতে পারে যেমন:

হরমোনের দ্রুত পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় বা প্রসবকালীন জটিলতা

অতিরিক্ত পারিবারিক চাপ

আর্থিক সংকট

অতীতের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা

স্বামী বা পরিবারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা না পাওয়া

---

💬 কী করবেন?

1. নিজেকে দোষ দেবেন না। আপনি দুর্বল নন — আপনি একজন যোদ্ধা, যিনি শুধু একটু সহায়তার প্রয়োজন।

2. পরিবার বা কাছের মানুষের সাথে খোলামেলা কথা বলুন।

3. পেশাদার সহায়তা নিন। সাইকোলজিস্ট, সাইকিয়াট্রিস্ট বা কাউন্সেলরের সাথে কথা বলুন।

4. নিজের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। বিশ্রাম নিন, প্রয়োজন হলে সাহায্য চান।

5. সময় দিন। সুস্থ হওয়া একটি প্রক্রিয়া, রাতারাতি কিছু হয় না।

---

🧡 আপনার পাশে আমরা আছি

আপনি একা নন। প্রতিদিন হাজারো মা এই যুদ্ধটি লড়ছেন — কেউ প্রকাশ করে, কেউ চেপে রাখে। যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশনে ভোগেন, দয়া করে বিষয়টিকে ছোট করে দেখবেন না।

👉 আপনি চাইলে আমাদের মেন্টাল হেলথ কাউন্সেলিং সার্ভিসে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনার জন্য শ্রবণশীল, সহানুভূতিশীল ও নিরাপদ একটি জায়গা তৈরি করতে প্রস্তুত।

---

🔖 মাতৃত্বের পথে আলোর সন্ধানে—আপনার মনের যত্ন নিন।





#মায়ের_মনও_দরকার_ভালোথাকার

শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আল বদর হাফিজাহুল্লাহ বলেছিলেন, যে সন্তান ভালোবাসা, মমতা, হাসিমুখ, কোমল ভাষা এবং ভালোবাসার আলিঙ্গনের ...
12/09/2025

শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আল বদর হাফিজাহুল্লাহ বলেছিলেন,
যে সন্তান ভালোবাসা, মমতা, হাসিমুখ, কোমল ভাষা এবং ভালোবাসার আলিঙ্গনের পরিবেশে বড় হয়—সে সন্তান ইন শা আল্লাহ বড় হয়ে নম্র, শ্রদ্ধাশীল, ভালোবাসাপূর্ণ এবং নেক স্বভাবের হয়।

অন্যদিকে, যে সন্তান কঠোরতা, রূঢ় কথা, রাগারাগি ও শারীরিক শাসনের মধ্যে বড় হয়, তার মধ্যে গড়ে উঠতে পারে ক্ষোভ, দূরত্ব, কিংবা বিদ্রোহ। এমনকি সে যদি বাবা-মায়ের কথা শোনেও, তা হয় ভয় থেকে, ভালোবাসা থেকে নয়।

আসুন একটু বিস্তারিত আলোচনা করি...

🌻 বাস্তব জীবনের দুটি চিত্র থেকে বুঝার চেষ্টা করি:

🌟 আপনার সন্তান স্কুল থেকে বাসায় ফিরেই দৌড়ে আপনার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তার সারাদিনের গল্প শোনায় এবং বিভিন্ন প্রশ্ন করে। কারণ সে জানে, আপনি তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, তাকে বুকে টেনে নেবেন এবং ভালোবাসার সাথে উত্তর দেবেন।

🌟 অন্যদিকে ধরুন, আপনার সন্তান স্কুল থেকে ফিরে চুপচাপ দরজা দিয়ে ঢোকে, আপনার চোখের দিকে তাকাতে ভয় পায়, কারণ সে জানে না কখন আপনি রেগে যাবেন। গায়ে হাত তুলে বসবেন। সে এভাবেই ভয়ে ভয়ে বেড়ে ওঠে।

🌻 কঠোরতা শক্তি নয়

মনে রাখবেন, কঠোরতা কখনো শক্তি নয়। আমাদের অধিকাংশ বাবা-মা কঠোরতাকে শক্তি মনে করে ভুল করেন। তারা অনেকেই কানে টান দিয়ে "মজা" করা, কিছু হলেই রাগে চিৎকার করে কথা বলা, ভুল করলে শাস্তি দেয়া, সামান্য কিছুতে চড়-থাপ্পড় লাগানো ইত্যাদি কিছুই মনে করেন না। আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা শাসন নয়, এটা এক ধরণের জুলুম।

নবী করিম ﷺ শিশুদের সঙ্গে হাসতেন, মজা করতেন—কিন্তু কখনও ভয় দেখাতেন না, লজ্জা দিতেন না। যে বাবা-মা কখনো হাসেন না বা সামান্য ভুলের জন্য সন্তানকে অপমান করেন, তিনি মূলত একটি ভাঙা বা কঠোর হৃদয়ের মানুষ তৈরি করেন।

🌷 সন্তানের হৃদয় গঠনের সূচনা কোথায়?

আপনি যদি একজন ভালো ন্যায়বান, দ্বীনদার সন্তান গড়তে চান এই সমস্ত কিছুর শুরু হবে জীবনসঙ্গী নির্বাচনের মাধ্যমে। আপনি কাকে বিয়ে করছেন, তা শুধু আপনার (সুকুন) শান্তির জন্য নয়, আপনার সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একজন এমন জীবনসঙ্গী বেছে নিন, যার চরিত্রে দয়া রয়েছে। যে রেগে না গিয়ে বুঝিয়ে বলে, যে ধমক না দিয়ে সংশোধন করে, যে কষ্ট দিলেও ক্ষমা চাইতে জানে। এমন মানুষ বাছুন যে মানসিকভাবে স্থিতিশীল, শান্ত প্রকৃতির এবং কোমল আচরণের অধিকারী।

🌷 শিশুরা যা দেখে, তাই শেখে...

যে ছেলে তার বাবাকে মায়ের প্রতি সম্মান দেখাতে এবং মাকে বাবার সাথে নরম সুরে কথা বলতে দেখে, সে সেই মূল্যবোধ নিয়েই বড় হয়।

যে কন্যাশিশু দয়ার পরিবেশে বড় হয়, যেখানে তাকে কখনো তাচ্ছিল্য করা হয় না এবং তার কথা শোনা হয়, সে বড় হয়ে এমন একজন মা হবে, স্ত্রী হবে, যে জানে কীভাবে ভালোবাসতে হয়।
তাই আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, দয়া কোনো দুর্বলতা নয়। এটা নবীজী ﷺ আদর্শ।
নবী করিম ﷺ বলেন:
“যে দয়া করে না, তার প্রতি দয়া করা হবে না।”

“তোমরা যারা পৃথিবীতে আছো, তাদের প্রতি দয়া করো—তাহলে আকাশের মালিক তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।”
সুতরাং,
ঘর গড়ে তুলুন দয়ার ভিত্তিতে।
জীবনসঙ্গী বেছে নিন দয়ার মানদণ্ডে।
সন্তানকে বড় করুন দয়ার আদর্শে।

এটা শুধু একটি প্যারেন্টিং কৌশল নয়—এটাই সুন্নাহ।

আল্লাহ তা'আলা আমাদের ঘরগুলোকে দয়ার বাসস্থান বানিয়ে দিন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন আমাদের চেয়েও বেশি নেককার ও আল্লাহপ্রিয় হয়।

🛑 ওস্তাদ জাহিদ হাসান

🧠 ওভারথিংকিং: যখন চিন্তা আমাদেরই বিপক্ষে দাঁড়ায়– একজন কাউন্সেলরের চোখে এক তরুণের গল্পরায়হান, একজন তরুণ কর্পোরেট কর্মী। ব...
10/09/2025

🧠 ওভারথিংকিং: যখন চিন্তা আমাদেরই বিপক্ষে দাঁড়ায়

– একজন কাউন্সেলরের চোখে এক তরুণের গল্প

রায়হান, একজন তরুণ কর্পোরেট কর্মী। বাইরে থেকে সবকিছু ঠিকঠাক — চাকরি, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব। কিন্তু ভেতরে এক অদৃশ্য চাপ তার প্রতিদিনকে গ্রাস করছে।

একদিন সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে সে মনে করতে লাগল, “আজ ম্যানেজার কি আমাকে অপমান করল?”
“সামনের প্রেজেন্টেশনে ভুল হলে কি চাকরিটাই যাবে?”
“সহকর্মীটা যে সেদিন চোখ কুচকে তাকাল, সে কি আমার বিরুদ্ধে কিছু বলেছে?”

ছোট ছোট চিন্তা এক সময় বিশাল মানসিক ভারে পরিণত হয়। ঘুম আসেনা, মেজাজ খারাপ, মন খালি আতঙ্কে ভরে থাকে।

এটাই ওভারথিংকিং — অতিরিক্ত ভাবনা, যা প্রায়ই বাস্তবতার সঙ্গে মিল না রেখে, শুধু ভয় ও দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে।

---
🎯 ওভারথিংকিং আসলে কী?

ওভারথিংকিং হচ্ছে এমন একটি মানসিক অবস্থা, যেখানে আমরা কোনো ঘটনা, মানুষ বা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বারবার অতিরিক্ত চিন্তা করি, এমনকি চিন্তার সত্যতা যাচাই না করেই। এই চিন্তাগুলো ধীরে ধীরে আমাদের:

আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়

সিদ্ধান্ত গ্রহণে অস্পষ্টতা তৈরি করে

একসময় উদ্বেগ, বিষণ্নতা ও মানসিক ক্লান্তির জন্ম দেয়

> ওভারথিংকিং মানে হচ্ছে মনের মধ্যে এমন একটি “দ্বিতীয় মঞ্চ” তৈরি হওয়া, যেখানে আমরা নিজের বিচারক, সাক্ষী এবং কখনো কখনো শাস্তিদাতা হয়ে যাই।

🛑 ওভারথিংকিংয়ের লক্ষণগুলো কীভাবে চিনবেন?

একটানা একই বিষয় নিয়ে ভাবা

“যদি এমন হয়?” টাইপ ভয়

অন্যদের ছোট ছোট কথার মধ্যে নেতিবাচক মানে খোঁজা

ঘুমের সমস্যা, decision নিতে দেরি

অতীত নিয়ে অপরাধবোধ বা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়

🌱 আপনার ভাবনার দখল ফিরে পেতে সাহায্য দরকার?

আপনি যদি নিজের চিন্তার স্রোতে ডুবে যাচ্ছেন বলে মনে করেন — তাহলে আপনি একা নন।
সাহায্য চাওয়া দুর্বলতা নয়, বরং এটি সচেতনতার প্রথম ধাপ।

আমার প্র্যাকটিসে, আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্লায়েন্টদের সাপোর্ট করি তাদের চিন্তার ধরণকে বোঝার জন্য, এবং ধীরে ধীরে সেই চিন্তাগুলোর সাথে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে তুলতে।

---

📩 কাউন্সেলিং সেশন বুক করতে চান?
পেইজে ম্যাসেজ করুন ।

--- শেষ কথা :

> “সব চিন্তা সত্য নয়, এবং সব ভয় বাস্তব নয়।
কিন্তু নিজেকে বোঝা ও সাহায্য চাওয়া — এটা সবচেয়ে বাস্তব ও সাহসিক কাজ।”
আপনার মানসিক সুস্থতা নিয়ে ভাবুন — আপনি মূল্যবান, এবং আপনার চিন্তাও তেমনি যত্ন পাওয়ার দাবিদার।

09/09/2025

নাহিদ আর তানিয়া — আট বছর হলো তাদের বিয়ে। একসময় বন্ধুর মতো ছিল তারা, রাত্রি জেগে গল্প করত, একে অপরের ছোট ছোট কথা মনে রাখত। কিন্তু এখন, দিনের পর দিন শুধু প্রয়োজনীয় কথা, কখনো কখনো তা-ও না।

নাহিদের কাজের চাপ, তানিয়ার সংসারের ক্লান্তি — সব কিছু মিলে একটা অদৃশ্য দেয়াল তৈরি হয়েছে।

এক সন্ধ্যায় তানিয়া ডায়েরি লিখছিল।

> “আজ কথা বলিনি ঠিকভাবে। ওর মুখে ক্লান্তি, আমার চোখে অভিমান। বুঝতে পারি, ও চেষ্টা করে... কিন্তু আমিও তো করি। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা যেন পাশাপাশি হাঁটছি, কিন্তু একে অপরের দিকে তাকাচ্ছি না।”

পরদিন নাহিদ হঠাৎ তানিয়ার ডেস্কে রাখা ডায়েরিটা খুলে দেখে ফেলে (অনিচ্ছাকৃতভাবে)। সে কিছুটা কেঁপে ওঠে। বুঝতে পারে — তানিয়া শুধু অভিযোগ করছে না, বরং ভীষণরকম একা হয়ে পড়েছে।

সেদিন রাতে, নাহিদ প্রথমবার তানিয়ার পাশে বসে বলে,
“তানিয়া, তুমি কি আজ একটু হাঁটতে যাবে আমার সঙ্গে?”

তানিয়া চমকে তাকায়। কতদিন কেউ এমন করে তার সঙ্গে হাঁটার কথা বলেনি!
তারা নীরবে হাঁটে, হাতে হাত রাখে না, কিন্তু মনে মনে একটা কথোপকথন চলতে থাকে।

পরদিন নাহিদ তানিয়াকে চা বানাতে দেয় না। নিজেই বানিয়ে এনে বলে,
“চলো, আজ একটু কথা বলি—আমরা কেমন আছি, সেটা নিয়ে।”

তারা কথা বলতে শুরু করে—প্রথমে একটু অস্বস্তি, পরে ধীরে ধীরে জমে থাকা কথাগুলো বেরিয়ে আসে।
তানিয়া বলে, “আমরা শুধু বেঁচে আছি, কিন্তু একসঙ্গে বাঁচছি না।”
নাহিদ মাথা নিচু করে। তারপর বলে, “তবে কি আবার শুরু করা যায়?”

তারা একসঙ্গে পারিবারিক কাউন্সেলিং-এ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নিজেদের আবেগ বুঝতে শেখে, শুনতে শেখে। ছোট ছোট অভ্যাস গড়ে তোলে — প্রতিদিন ১০ মিনিট ‘আমাদের সময়’, সপ্তাহে একদিন শুধু নিজেদের জন্য কিছু করা।

তানিয়া একদিন বলে,
“আমরা আগে ভাবতাম, ভালোবাসা তো আপনাতেই থাকবে। কিন্তু এখন বুঝি, সম্পর্কটা পানি দেওয়া গাছের মতো। না দিলে মরে যায়।”

---
দাম্পত্য সম্পর্কে গ্যাপ থাকলে আপনিও কাউন্সেলিং নিন । জীবন সুন্দর যদি নিজে সুন্দর করতে চান । কাউন্সেলিং নিতে পেইজে ম্যাসেজ করুন ।

কেমন আছেন সবাই?  বেশ কিছুদিন ব্রেক নিয়েছি । আবার কাউন্সেলিং শুরু । মনের যত্ন নিন । ভালোবাসা রইলো
07/09/2025

কেমন আছেন সবাই?
বেশ কিছুদিন ব্রেক নিয়েছি । আবার কাউন্সেলিং শুরু ।

মনের যত্ন নিন । ভালোবাসা রইলো

কেমন আছেন সবাই?  যত্ন নিচ্ছেন মনের?  মনের যত্ন নিতে ঘুরতে গেছিলাম 😊
11/08/2025

কেমন আছেন সবাই?
যত্ন নিচ্ছেন মনের?
মনের যত্ন নিতে ঘুরতে গেছিলাম 😊

Address

Badda

Telephone

+8801716747142

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sukun Mental Health Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Sukun Mental Health Care:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram