04/07/2025
📌 Topic: 🦟 ডেঙ্গু (Dengue) Fever সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন 👇
🔴 ডেঙ্গু হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা Aedes aegypti ও Aedes albopictus প্রজাতির মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি Dengue Virus (DENV) দ্বারা সংঘটিত হয়, যা Flavivirus গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি প্রধান ধরনের সারোটাইপ আছে:
🔹 DENV-1
🔹 DENV-2
🔹 DENV-3
🔹 DENV-4
একবার একটি সারোটাইপে সংক্রমিত হলে সেই সারোটাইপের বিরুদ্ধে দেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠে, কিন্তু অন্য সারোটাইপে আবার সংক্রমিত হলে Severe Dengue (ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম) হতে পারে।
✅ সংক্রমণ প্রক্রিয়া (Transmission):
➡️ Aedes মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়, বিশেষ করে সকালে এবং বিকেলের দিকে।
➡️ কোনো ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড় দিলে মশার শরীরে ভাইরাস চলে যায়।
➡️ এরপর সেই মশা আরেকজনকে কামড়ালে সেই ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করে।
✅ Signs & Symptoms :
ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো সংক্রমণের ৪-১০ দিন পর শুরু হয়। প্রধান লক্ষণগুলো হলোঃ
🔹 হঠাৎ করে জ্বর (High fever, 104°F পর্যন্ত)
🔹 তীব্র মাথাব্যথা
🔹 চোখের পেছনে ব্যথা (Retro-orbital pain)
🔹 জয়েন্ট ও মাংসপেশিতে ব্যথা (Severe muscle and joint pain)।
🔹 গায়ে লালচে র্যাশ (Skin rash)
🔹 বমি বমি ভাব বা বমি
🔹 দুর্বলতা ও অবসাদ
🔹 পাতলা পায়খানা হতে পারে
🔹 Platelet count কমে যাওয়া
🔹 হালকা থেকে মারাত্মক রক্তক্ষরণ (Severe cases)
✅ Warning Signs of Severe Dengue :
যেকোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে:
▪️Abdominal pain or tenderness
▪️Persistent vomiting
▪️Fluid accumulation (ascites or pleural effusion)
▪️Mucosal bleeding
▪️Lethargy or restlessness
▪️Liver enlargement >2 cm
▪️Increasing hematocrit with rapidly decreasing platelet count
✅ Plasma Leakage ও এর গুরুত্ব:
Severe dengue-তে সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো plasma leakage, যার কারণে:
▪️Hypovolemic shock হয়
▪️Organ failure দেখা দেয়
▪️শ্বাসকষ্ট বা pleural effusion হয়
➡️ এ কারণে patient-কে যথাসময়ে fluid replacement দিতে হয় এবং এই অংশটাই চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
✅ Types of Dengue :
1. Classic Dengue Fever: সাধারণ জ্বর, ব্যথা, র্যাশ।
2. Dengue Hemorrhagic Fever (DHF): রক্তক্ষরণ, পেটে পানি, প্লেটলেট অনেক কমে যায়।
3. Dengue Shock Syndrome (DSS): ব্লাড প্রেশার কমে যায়, শক, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা হ্রাস পায় — এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।
✅ Diagnosis :
🔬 Blood Tests:
▪️CBC (Platelet & WBC count কমে যায়)
▪️NS1 Antigen Test (প্রথম ৫ দিনে কার্যকর)
▪️IgM & IgG antibody test (৫ দিন পর থেকে কার্যকর)
▪️RT-PCR (ভাইরাস শনাক্ত করতে)
✅ Treatment :
ডেঙ্গুর নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই।
চিকিৎসা সম্পূর্ণ supportive বা উপসর্গ অনুযায়ী পরিচালিত হয়:
🔹 পর্যাপ্ত তরল খাবার ও পানি পান
🔹 বিশ্রাম নেওয়া
🔹 প্যারাসিটামল (জ্বর কমাতে)
❌ Aspirin বা Ibuprofen ব্যবহার করা যাবে না (রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ায়)
🔹 প্লেটলেট খুব বেশি কমে গেলে প্রয়োজনে Platelet transfusion করা হয়
✅ Complications :
🔸 রক্তক্ষরণ (Bleeding)
🔸 প্লেটলেট বিপজ্জনকভাবে কমে যাওয়া
🔸 শক বা হঠাৎ প্রেসার ড্রপ।
🔸 যকৃত, কিডনি বা হার্টের জটিলতা
🔸 মৃত্যুও হতে পারে যদি যথাযথ চিকিৎসা না হয়
✅ Prevention :
✔️ মশা নিধন ও প্রজনন রোধ
✔️ পরিষ্কার পানির পাত্র ঢেকে রাখা
✔️ জমে থাকা পানি ফেলা
✔️ মশারির ব্যবহার
✔️ দিনে ফুলহাতা জামা পরা
✔️ মশার প্রতিরোধী স্প্রে/লোশন ব্যবহার
✔️ Aedes মশা দিনে কামড়ায় — সুতরাং দিনেও সতর্কতা বজায় রাখতে হবে
✅ Aedes মশার বৈশিষ্ট্য (Key Features of Aedes Mosquito):
▪️ দিনে কামড়ায়, বিশেষ করে সকাল ৮টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৪টা থেকে ৬টা।
▪️ পরিষ্কার স্থির পানিতে বংশবিস্তার করে — যেমন ফুলদানি, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানি, প্লাস্টিকের কৌটা, ছাদে রাখা ট্যাংক।
▪️ মশাটি সাদা-কালো ডোরাকাটা পায়ে চেনা যায়।
✅ ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাসায় রাখার সময় যা খেয়াল রাখবেন:
1. সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা
2. তরল খাবার (ORS, স্যুপ, ফলের রস) বেশি দেওয়া
3. কোনভাবেই NSAIDs (যেমন: Diclofenac, Ibuprofen) দেওয়া যাবে না।
4. প্রতি ১২ ঘণ্টা পর পর CBC করে প্লেটলেট ও হেমাটোক্রিট মনিটর করা
5. রোগীর কাপড়-চোপড় পরিষ্কার রাখা — যাতে Aedes মশা নতুন কাউকে না কামড়ায়
✅ Post-Dengue Recovery Phase:
▪️সাধারণত জ্বর যাওয়ার ৭-১০ দিন পর রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়
▪️দুর্বলতা অনেকদিন পর্যন্ত থাকতে পারে
▪️কিছু ক্ষেত্রে চুল ঝরার মতো post-viral complication দেখা দেয়
▪️CBC & LFT পুনরায় চেক করা ভালো
✅ ডেঙ্গু ও গর্ভাবস্থা:
গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু অনেক বেশি জটিল হতে পারে। বিশেষত:
▪️রক্তপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে
▪️সময়ের আগে প্রসব হতে পারে
▪️সন্তান প্রসবের সময় হেমোরেজ হতে পারে
✅ ডেঙ্গু হলে কখন হাসপাতালে যাবেন ?
🔸 ২ দিন জ্বরের পর হঠাৎ জ্বর কমে গেলেও দুর্বলতা বাড়ছে
🔸 পেটে ব্যথা, রক্ত বমি, কালো পায়খানা
🔸 নাক-মুখ দিয়ে রক্ত
🔸 প্রস্রাব কম হওয়া
🔸 শ্বাসকষ্ট বা মাথা ঘোরা