
28/04/2023
বাতজ্বরের লক্ষনভিত্তিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা :
Aconite nap :
তরুণ বাতজ্বর রোগের সূচনায় ইহা উপকারী।
প্রবল জ্বর সহ সন্ধিস্থলে এবং পেশীতে চিড়িকমারা বেদনা।
আক্রান্ত স্থান রক্তিম এবং স্ফীত ও বেদনাযুক্ত।
ঘাড় আড়ষ্ট ও ঠান্ডা লেগে রোগের সূত্রপাত।
Bryonia alb :
কেটে ফেলার ন্যায়,সূচবিদ্ধের ন্যায়, চেপে ধরার ন্যায় বেদনা।
সামান্য নড়াচড়াতে বেদনার বৃদ্ধি।
কোষ্ঠকাঠিন্য- মল শুকনো এবং কঠিন।
প্রচুর পানির পিপাসা- ঠোট মুখ শুকিয়ে যায়।
জিহ্বা ও গায়ের চামড়া শুকনো।
Rhus tox :
রাত্রে, বিশ্রামকালে, প্রাতঃকালে জেগে উঠার সময় এবং শয্যার উত্তাপে বেদনার বৃদ্ধি।
নড়াচড়ায় বা আক্রান্ত স্থানে উত্তাপ প্রয়োগে বেদনা উপশম।
অত্যন্ত অস্থিরতা ও ঠান্ডা বাতাস সহ্য হয় না।
Arnica mont :
আঘাত পেয়ে বা পড়ে গিয়ে বাতজ্বর হলে।
কেউ যেন তাকে মেরেছে এমন অনুভূতি।
স্পর্শকাতর বেদনা। কাউকে কাছে আসতে দেয় না।
পেশী সমূহে বেদনা পরে শক্ত ও আড়ষ্ট হয়ে যায়।
Pulsatila :
সন্ধিস্থান অল্পস্ফীত ও সামান্য লালচে।
পরিবর্তনশীল বেদনা-বেদনা এক স্থান হতে অন্য স্থানে চলে যায়।হাত পায়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সন্ধিতে বেদনা।
রোগী খুব গরম কাতর কিন্তু পিপাসা শুন্য।
ঔষধটি কোমল ও নরম স্বভাবের মানুষদের জন্য নির্দেশিত হয়।
Cholophylum :
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সন্ধিতে বাত বেদনা।
হাত পায়ে এবং আঙুলের সন্ধিতে অত্যন্ত বেদনা।
বেদনা এক স্থানে বেশীক্ষন থাকে না।
গরম প্রয়োগে বেদনার উপশম হয়।
Calcarea carb :
দৈহিক অবয়ব স্থুলোকার ও মোটাসোটা।
ঠান্ডা লাগার প্রবণতা।
শরীরের সমস্ত জয়েন্ট ও মাংসপেশী ব্যাথা হয়।
সমস্ত শরীর ঘামে বিশেষত মাথা বেশী ঘামে।
রোগীর ডিমের প্রতি অতিরিক্ত চাহিদা থাকে।
Medorroeanium :
বংশগত সাইকোসিস প্রবণতা যুক্ত রোগী ক্ষেত্রে নির্দেশক।
বাতজ্বরের বেদনা সমস্ত শরীর আক্রমণ করে।
পায়ের গোড়ালিতে এত ব্যাথা হয় যে রোগী হাটতে পারে না। ব্যাথা দিনের বেলা বৃদ্ধি পায়।
গরম প্রয়োগে ব্যাথা বেদনা হ্রাস পায়।
ব্যাথায় শরীরের প্রত্যেকটি জয়েন্ট ফুলে উঠে।
Tuberculinum :
ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার প্রবণতা।
গরম সেক ও ম্যাসাজে বাত ব্যাথার উপশম।
পরিবর্তনশীল বেদনা।মাংস খেলে বাত ব্যাথা বাড়ে।
ডা: মোহাম্মদ আলাউদ্দিন
ডি এইচ এম এস ( বি এইচ বি ঢাকা)
রেজিষ্ট্রেশন নং : ৩৩০৮৭
মাষ্টার হোমিও হল।
আজিজনগর, লামা, বান্দরবান।