Dr. Md. Akbar Hossain স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন

  • Home
  • Bangladesh
  • Barguna
  • Dr. Md. Akbar Hossain স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন

Dr. Md. Akbar Hossain  স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন আমার এই পেজটি সকল বাঙালি ও বাংলাদেশী মা বোনদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হলো।

07/06/2025
05/06/2025

পুষ্টি এবং গর্ভাবস্থা

পুষ্টি এবং গর্ভাবস্থা বলতে গর্ভাবস্থার আগে, সময় এবং পরে পুষ্টি গ্রহণ এবং খাদ্য পরিকল্পনাকে বোঝায়। গর্ভধারণের সময় থেকেই ভ্রূণের পুষ্টি শুরু হয়। এই কারণে, গর্ভধারণের আগে থেকে (বেশ কয়েক মাস আগে) এবং গর্ভাবস্থা এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ। ক্রমবর্ধমান সংখ্যক গবেষণায় দেখা গেছে যে মায়ের পুষ্টি শিশুর উপর প্রভাব ফেলবে, যার মধ্যে রয়েছে সারা জীবন ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।

কিছু পুষ্টির অপর্যাপ্ত বা অতিরিক্ত পরিমাণ ভ্রূণের মধ্যে ত্রুটি বা চিকিৎসা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং স্নায়বিক ব্যাধি এবং প্রতিবন্ধকতা হল এমন একটি ঝুঁকি যা অপুষ্টিতে ভোগা মায়েদের দ্বারা পরিচালিত হয়। বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ২৪% শিশু সঠিক পুষ্টির অভাবে জন্মের সময় অনুকূল ওজনের চেয়ে কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। অ্যালকোহল গ্রহণ বা প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন (চা / কফি)গ্রহণের মতো ব্যক্তিগত অভ্যাস শিশুর বিকাশকে নেতিবাচক এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে ঘটে।

গর্ভাবস্থায় ক্যাফেইন গ্রহণ গর্ভাবস্থার ক্ষতির ঝুঁকি বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত। প্রাপ্ত গবেষণা এই ধারণাটিকে সমর্থন করে যে গর্ভাবস্থায় মাছ খাওয়ার উপকারিতা ঝুঁকির চেয়ে বেশি; তবে, মাছের ধরণ গুরুত্বপূর্ণ। ফলিক অ্যাসিড, যা ভিটামিন ফোলেটের কৃত্রিম রূপ, গর্ভধারণের আগে এবং গর্ভধারণের পরে উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ।

05/06/2025

পুষ্টি এবং গর্ভাবস্থা

পুষ্টি এবং গর্ভাবস্থা বলতে গর্ভাবস্থার আগে, সময় এবং পরে পুষ্টি গ্রহণ এবং খাদ্য পরিকল্পনাকে বোঝায়। গর্ভধারণের সময় থেকেই ভ্রূণের পুষ্টি শুরু হয়। এই কারণে, গর্ভধারণের আগে থেকে (বেশ কয়েক মাস আগে) এবং গর্ভাবস্থা এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ। ক্রমবর্ধমান সংখ্যক গবেষণায় দেখা গেছে যে মায়ের পুষ্টি শিশুর উপর প্রভাব ফেলবে, যার মধ্যে রয়েছে সারা জীবন ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।

কিছু পুষ্টির অপর্যাপ্ত বা অতিরিক্ত পরিমাণ ভ্রূণের মধ্যে ত্রুটি বা চিকিৎসা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং স্নায়বিক ব্যাধি এবং প্রতিবন্ধকতা হল এমন একটি ঝুঁকি যা অপুষ্টিতে ভোগা মায়েদের দ্বারা পরিচালিত হয়। বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ২৪% শিশু সঠিক পুষ্টির অভাবে জন্মের সময় অনুকূল ওজনের চেয়ে কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। অ্যালকোহল গ্রহণ বা প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন (চা / কফি) গ্রহণের মতো ব্যক্তিগত অভ্যাস শিশুর বিকাশকে নেতিবাচক এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে ঘটে।

গর্ভাবস্থায় ক্যাফেইন গ্রহণ গর্ভাবস্থার ক্ষতির ঝুঁকি বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত। প্রাপ্ত গবেষণা এই ধারণাটিকে সমর্থন করে যে গর্ভাবস্থায় মাছ খাওয়ার উপকারিতা ঝুঁকির চেয়ে বেশি; তবে, মাছের ধরণ গুরুত্বপূর্ণ। ফলিক অ্যাসিড, যা ভিটামিন ফোলেটের কৃত্রিম রূপ, গর্ভধারণের আগে এবং গর্ভধারণের পরে উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ।

04/06/2025

অস্ত্রোপচার পরবর্তী ক্ষতের যত্ন

সংক্রমণ প্রতিরোধ, নিরাময় বৃদ্ধি এবং ক্ষতচিহ্ন কমানোর জন্য অস্ত্রোপচার পরবর্তী ক্ষতের যত্ন অপরিহার্য। অস্ত্রোপচারের পরে রোগীর অনুসরণ করা উচিত এমন সাধারণ নির্দেশিকা এখানে দেওয়া হল, তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর নির্দিষ্ট নির্দেশাবলীও অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ:

সাধারণ অস্ত্রোপচার পরবর্তী ক্ষত যত্নের নির্দেশাবলী:

ক) ক্ষত পরিষ্কার এবং শুষ্ক রাখুন

০১) প্রথম ২৪-৪৮ ঘন্টা: অন্যথায় পরামর্শ না দেওয়া পর্যন্ত ক্ষত ভেজাবেন না।

০২) এই সময়ের পরে: আলতো করে ধোয়া বা ড্রেসিং পরিবর্তন করার নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

খ) ড্রেসিং যত্ন

০১) ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ড্রেসিং পরিবর্তন করুন (সাধারণত দিনে একবার বা যখন এটি ভেজা বা নোংরা হয়ে যায়)।

০২) ড্রেসিং পরিবর্তন করার আগে এবং পরে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

০৩) শুধুমাত্র জীবাণুমুক্ত ড্রেসিং এবং সরবরাহ ব্যবহার করুন।

গ) সংক্রমণের লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ করুন

নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখুন:

০১) লালভাব বা ফোলাভাব বৃদ্ধি

০২) পুঁজ বা অস্বাভাবিক স্রাব

০৩) ক্ষত থেকে দুর্গন্ধ

০৪) জ্বর বা ঠান্ডা লাগা

০৫) ক্ষত স্থানের চারপাশে ব্যথা বৃদ্ধি

যদি এর মধ্যে কোনটি দেখা দেয়, অবিলম্বে একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করুন।

ঘ) ব্যথা এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ

০১) নির্দেশিত ব্যথার ওষুধ সেবন করুন।

০২) ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।

০৩) ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন (যেমন, প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন)।

০৪) পরামর্শ না দিলে অ্যাসপিরিন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে রক্তপাত বৃদ্ধি পেতে পারে।

ঙ) চাপ এবং ঘর্ষণ এড়িয়ে চলুন

০১) অস্ত্রোপচারের স্থানের চারপাশে চলাচল সীমিত করুন।

০২) ভারী জিনিস তোলা, বাঁকানো বা ক্ষত প্রসারিত বা চাপ সৃষ্টি করে এমন কার্যকলাপ এড়িয়ে চলুন।

চ) পুষ্টি এবং হাইড্রেশন

০১) প্রোটিন, ভিটামিন (বিশেষ করে ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক) এবং নিরাময়ে সহায়তা করার জন্য তরল সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য খান।

ছ) ক্ষতটি তুলে ফেলবেন না বা আঁচড় দেবেন না

০১) স্ক্যাবগুলি স্বাভাবিকভাবে তৈরি হতে দিন এবং পড়ে যেতে দিন।

০২) পরামর্শ না দেওয়া পর্যন্ত পাউডার, ক্রিম বা অ্যান্টিসেপটিক্স প্রয়োগ করা এড়িয়ে চলুন।

জ) ফলো-আপ অ্যাপয়েন্টমেন্ট

০১) ক্ষত পরিদর্শন এবং সেলাই অপসারণের জন্য নির্ধারিত সমস্ত চেক-আপে যোগ দিন।

04/06/2025

Infections in Surgery
Prevention and Management

The WHO outlines 29 recommendations for preventing surgical site infections, focusing on pre-operative preparation, intra-operative procedures, and post-operative care. These guidelines are designed to be adaptable to various healthcare settings and emphasize the importance of implementing these measures to reduce the burden of healthcare-associated infections.
Here's a breakdown of the 29 recommendations:

A). Pre-operative (Before Surgery):

1) Bathing or showering: Patients should bathe or shower before
surgery.
2) Surgical team hand hygiene: Surgical teams should clean their
hands thoroughly.
3) Hair removal: Avoid shaving at all times, or use clippers if
necessary.
4) Antimicrobial skin preparation: Use appropriate antiseptics
before incision.
5) Perioperative intranasal applications: Consider using mupirocin
ointment with or without CHG wash for patients with known
nasal carriage of S. aureus, especially in cardiothoracic and
orthopaedic surgery.
6) Maintaining normothermia: Keep the patient's body
temperature within the normal range.
7) Controlling perioperative glucose concentrations: Manage
blood glucose levels during surgery.

B). Intra-operative (During Surgery):

1) Antibiotic prophylaxis: Use antibiotics immediately before and
during surgery, but not afterward.
2) Proper surgical technique: Follow established surgical practices
to minimize contamination.
3) Sutures: Use appropriate sutures.
4) Infection control in the operating room: Maintain a clean and
sterile environment.
5) Proper handling of instruments: Sterilize and handle
instruments carefully.
6) Minimize surgical time: Reduce the duration of the surgery.
7) Use appropriate dressings: Apply the correct type of dressing
to the wound.
8) Maintain oxygen saturation: Ensure adequate oxygen levels in
the patient.

C). Post-operative (After Surgery):

1) Follow post-operative care instructions: Adhere to wound care
instructions.
2) Keep dressings clean and dry: Maintain the cleanliness of
dressings.
3) Hand hygiene: Wash hands before cleaning the surgical site or
changing dressings.
4) Adhere to medication instructions: Take prescribed
medications as directed.
5) Maintain a healthy diet: Eat a balanced diet to promote
healing.
6) Avoid smoking: Abstain from to***co use.
7) Monitor for signs of infection: Be alert for signs of infection,
such as redness, swelling, pain, or fever.
8) Seek medical attention promptly: Consult a healthcare
professional if signs of infection develop.
9) Wound care: Ensure proper wound care, including cleaning
and dressing changes.
10) Avoid contact with sick individuals: Stay away from people
who are ill to prevent infection.
11) Practice good hygiene: Wash hands frequently and practice
other hygiene measures.
12) Proper hand hygiene: Ensure healthcare workers maintain
strict hand hygiene practices.
13) Proper disinfection of surfaces: Disinfect frequently touched
surfaces.
14) Avoid contaminated food and water: Be cautious about food
and water sources.

বরগুনা চেম্বারের নির্ধারিত সময়সূচি
24/05/2025

বরগুনা চেম্বারের নির্ধারিত সময়সূচি

08/07/2023

Important for 60+ peoples--

বয়োবৃদ্ধদের জন্য বোন ডেনসিটি (bone density) পরীক্ষা করিয়ে কোনো লাভ নেই। কারণ তাদের অস্টিওপোরোসিস (osteoporosis) থাকবেই, আর বয়স যত বাড়বে, এর মাত্রাও বাড়তে থাকবে, সেই সাথে বাড়বে হাড় ভাঙ্গার ঝুঁকি।

শতবর্ষী যত লোক পড়ে গিয়ে ব্যাথা পায় তাদের প্রায় সবাই তিন মাসের মধ্যে মারা যায়। পড়ে গিয়ে সবসময় হাড় না ভাঙ্গলেও পতনের দৈহিক ও মানসিক ঝাঁকুনি শরীর-মনকে ভীষণ পর্যুদস্ত করে দেয় যার ধকল সামলাতে না পেরে রোগী মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়।

যাদের বয়স ষাট পেরিয়ে গেছে তাদের হাড় ভাঙ্গা ঠেকানোর সবচেয়ে বড় উপায় হলো পড়ে গিয়ে ব্যাথা পাওয়া রোধ করা।
কীভাবে করবেন?

আমি এই গোপন রহস্যটিকে চারটি শব্দে ব্যক্ত করি: “সাবধান, সাবধান, সবসময় সাবধান”!

তাহলে একটু ভেঙ্গে বলি:
১) কোনো কিছু ধরা বা পাড়ার জন্য কখ্খনো চেয়ার বা টুলজাতীয় কিছুর ওপর উঠে দাঁড়াবেন না।

২) বৃষ্টির দিনে বাইরে হাঁটতে যাবেন না।

৩) এই বয়সে কোমড়ের হাড় ভাঙ্গার এক নম্বর কারণ হলো বাথরুমে পা পিছলে পড়ে যাওয়া। তাই গোসল করার সময় বা বাথরুম ব্যবহারের সময় অতরিক্তি সতর্ক থাকুন।
 বিশেষ করে নারীরা, বাথরুমে দাঁড়িয়ে কাপড় বদলাবেন না। গোসল শেষে তোয়ালে বা শাড়ি পেঁচিয়ে বেরিয়ে আসুন এবং ধীরে সুস্থে চেয়ারে বা বিছানায় বসে কাপড় পরুন।
 বাথরুমে ঢোকার আগে ভালো করে দেখুন মেঝে ভেজা কিনা। ভেজা মেঝেতে হাঁটবেন না।
 কেবল কমোড ব্যবহারের চেষ্টা করুন। হাঁটু ভাঁজ করে বসলে উঠতে অনেক বেগ পেতে হতে পারে এবং পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
 সম্ভব হলে কমোড থেকে উঠার সময় হাতে টান দিয়ে ধরার মতো কোনো হাতল দেওয়ালে লাগিয়ে নিন।
 গোসল করার সময়ও বসার জন্য টুল ব্যবহার করুন। চোখ বন্ধ করে মাথায় পানি দিবেন না।

৪) রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দেখে নিন ঘরের মেঝেতে কিছু পড়ে আছে কিনা যাতে পা লেগে হোঁচট খেতে পারেন। মেঝে যেনো অবশ্যই ভেজা না থাকে সে ব্যাপারে অতিরিক্ত সকর্ক থাকুন।

৫) রাতে ঘুম ভাঙ্গলে বিছানা ছাড়ার সময় আগে ২-৩ মিনিট বিছানার পাশে বসুন, বাতি জ্বালান, তারপর উঠে দাঁড়ান।

৬) অন্তত রাতের বেলায় (এবং সম্ভব হলে দিনেও) বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করবেন না। সম্ভব হলে বাথরুমের ভেতরে একটি এলার্ম লাগিয়ে নিন যাতে করে জরুরি মুহূর্তে বেল বাজিয়ে কারো সাহায্য চাইতে পারেন।

৭) কখনো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাপড় বদলাবেন না। চেয়ারে বা বিছানায় বসে নিন।

৮) সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় রেলিংয়ে একটা হাত রাখুন। দুই হাত পকেটে ঢুকিয়ে কখনো সিঁড়িতে পা রাখবেন না।

৯) যদি কখনো পড়েই যেতে থাকেন, চেষ্টা করুন হাত প্রসারিত করে মাটি বা মেঝে ধরে ফেলতে – তাতে হাত ভেঙ্গে গেলেও সেটা কোমড় ভাঙ্গার চেয়ে অনেক বেশি ভালো।

১০) সারাদিন শুয়ে বসে থাকবেন না। অন্তত কয়েক মিনিট করে হাঁটুন – যতটা সম্ভব।

১১) বিশেষ করে মহিলারা, ওজন কম রাখার ব্যাপারে অতিরিক্ত যত্নবান হোন। পরিমিত খাবার খাওয়া সবচে গুরুত্বপূর্ণ। বেঁচে যাওয়া খাবার নষ্ট না করে খেয়ে ফেলার প্রবণতা কাজ করে অনেকের মাঝে। ভুলেও এটি করবেন না। কখনো ভরপেট খাবেন না – যত মজার আর যত ভালো খাবারই হোক, সবসময় পেট ভরার আগে খাওয়া শেষ করবেন।

১২) সম্ভব হলে বাইরে রোদে কোনো কাজ করুন কিছুক্ষণ। তাতে ভিটামিন ডি-র প্রভাবে হাড় কিছুটা শক্ত হবে।

একবার পড়ে গিয়ে বড় ধরনের ব্যাথা পেলে গড়ে দশ বছর আয়ু কমে যায়। বৃদ্ধ বয়সে কোনো অপারেশন ভালো কাজে আসে না, আর ওষুধ খেয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে চিকিৎসা মানে কেবল মৃত্যুর দিন গোনা। তাই সাবধান থাকার কোনো বিকল্প নেই।

লেখাটা অনেক লম্বা হলেও আপনার বয়স যদি ষাট পেরিয়ে গিয়ে থাকে তাহলে আশা করি মন দিয়ে পড়ে মনে রাখবেন। যারা বয়োবৃদ্ধদের সেবা করছেন তারাও বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।

(সংগৃহীত)
মূল: ডা. রামবিলাস মালানি, নাগপুর, ইন্ডিয়া

01/07/2023

সমাধান যে পথে

আঁখি নামের মেয়েটির মৃত্যু যদি অস্ট্রেলিয়াতে হতো....

মনে করুন আঁখির মত একটা মেয়ে অস্ট্রেলিয়াতে নরমাল ডেলিভারি কিংবা সিজারিয়ান অপারেশনের পর মারা গেলো। এইসব ঘটনার পর এই দেশে কি হয় একটু বলি তাহলে বুঝতে পারবেন আমাদের মূল সমস্যাটি কোথায় এবং আমাদের করণীয় কি ?

আমি গত এক যুগ অস্ট্রেলিয়াতে আছি এবং একজন চিকিৎসক হিসাবে কাজ করছি। আমি এখানে যা লিখছি , শত ভাগ সত্যি তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

আঁখি নামের মেয়েটির মৃত্যু যদি অস্ট্রেলিয়াতে হতো তাহলে সর্বপ্রথম অস্ট্রেলিয়ার গভর্নর জেনারেলের অফিস আঁখির চিকিৎসক ও হাসপাতালের নামে একটা রিপোর্ট করে দিতো। আবারো বলছি শব্দটি রিপোর্ট , মামলা নয়। অস্ট্রেলিয়াতে নিয়ম হলো কোন রোগী হাসপাতালে যেকোন অপারেশনের পর মৃত্যু হলে সেই মৃত্যুর অবশ্যই তদন্ত হবে। এইটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এখানে রোগীর লোকের চাওয়া - না চাওয়া বলে কিছু নেই।এই মৃত্যুর তদন্ত হওয়া বাধ্যতা মূলক। এইসব দেশে প্রতিটা নাগরিকের সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে দেয়ার জন্য আছেন গভর্নর জেনারেল।
এই রিপোর্ট হবে করোনার কোর্টে। যদি কোন হাসপাতাল কিংবা সার্জন এই রোগীর মৃত্যুর কথা করোনারকে ইনফর্ম না করেন তাহলে সেটি হবে শাস্তি যোগ্য অপরাধ। সুতরাং এইসব দেশের নাগরিকগন খুব ভালো করেই জানেন যে, যদি তার উপর কেউ কোন অন্যায় করে থাকে তবে সে মরে গেলেও তার সুবিচার হবে।
রাষ্ট্র তার পক্ষ নিয়ে লড়বে।

এইখানে একটা জিনিস বলে রাখি, এই যে রিপোর্ট করা , তদন্ত , কোর্ট ও মামলার কাজকর্ম সবকিছুই হবে খুবই গোপন ভাবে।ক্লোজ ডোর কোর্ট। শুধুমাত্র ডাক্তার নিজে , হাসপাতালের ডিরেক্টর এবং রোগীর দুই -একজন লোক ছাড়া এই তদন্ত ও মামলা সম্পর্কে কেউ জানতে পারবেনা। সাংবাদিক ও মিডিয়া জানারতো প্রশ্নই উঠেনা।
কেন এই কঠিন গোপনতা সেটা বলি , কারন হলো- যদি কোন কারণে রোগীর লোকজন কিংবা রাষ্ট্র এই সব ঘটনা মিডিয়াতে প্রকাশ করে আর ডাক্তার যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন তাহলে তিনি রোগীর লোকজন অথবা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মান হানির মামলা করে দিবেন। রোগীর ক্ষতি পূরণের মামলা যদি হয় এক মিলিয়ন , ডাক্তার মান হানির মামলা দিবেন পাঁচ মিলিয়ন। সুতরাং এখানে দুই পক্ষই খুব সাবধানে থাকেন।
কোর্টে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও তৃতীয় পক্ষের নিরপেক্ষ স্পেসালিস্ট ডাক্তার , আইনবিদ ও জুরি বোর্ড থাকেন। এমনকি জটিল কেসের ক্ষেত্রে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেয়া হয়।

এখানে তদন্ত শুরু হবে রোগীর ঘর থেকে। কখন সে ব্যথার কথা বলেছে, কাকে সর্ব প্রথম সে জানিয়েছে? কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল? নিকটবর্তী কোন ডাক্তার কিংবা নার্সের পরামর্শ নেয়া হয়েছে কিনা ? কি এডভাইস দেয়া হয়েছিল ? সেই পরামর্শকে অনুসরণ করা হয়েছে কিনা ? না মেনে থাকলে কেন করা হয়নি ? কিসের প্রতিবন্ধকতা ছিলো? বড় হাসপাতালে কেন আসতে হলো ? কিভাবে এসেছে ? নিজের গাড়ি নাকি এম্বুলেন্স ? এম্বুলেন্স দেরি হলো কিনা ? দেরি হয়ে থাকলে কেন দেরি হলো, এইটি জানতে এম্বুলেন্সের ড্রাইভারকে ডাকা হবে। কে হাসপাতালে রিসিভ করলো ? প্রাথমিক চিকিৎসা কি দেয়া হয়েছে ?কোন ডাক্তার ,কখন এবং কেন দেখেছেন ? কি ব্যবস্থা নিয়েছেন ? অপারেশনের সময় কি ধরণের কমপ্লিকেশন হলো ? কেন হলো ? এইসব বিস্তারিত আলোচনা ও গবেষণা হবে। প্রতিটা পদক্ষেপকে সুক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা হবে।
তারপর কার কোথায় অবহেলা এবং ভুল ভ্রান্তি হয়েছে এই বিষয়ে করোনার একটা রিপোর্ট তৈরি করবে। এই রিপোর্টে একটা বড় অংশ থাকে পরিকল্পনা ও উপদেশ। ভবিষ্যতে কখনো যেন আঁখির মত কোন মায়ের অকাল মৃত্যু না হয় এইজন্য একটা পরিকল্পনা ও গাইডলাইন তৈরি করা হবে। যদি ডাক্তারদের আরো ট্রেনিং এর প্রয়োজন মনে করা হয় তবে সেটা আয়োজন করা হয়। যদি ডাক্তারের বড় ধরণের অবহেলা প্রমাণিত হয় তবে সেই ডাক্তারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।ডাক্তারের ইন্সুরেন্স কোম্পানি থেকে রোগীর ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। ডাক্তারের অপরাধ অনুসারে জেল হয়। আর যদি ডাক্তার নির্দোষ প্রমাণিত হন তবে তাকেও তার মানহানির ক্ষতি-পূরণ দেয়া হয়। যদি রোগীর লোকজনের অবহেলা খুঁজে পাওয়া যায় তবে তাদেরও শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

যখন মামলার ফাইনাল রিপোর্ট হয় তখন সেটা মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়। যদি রোগীর লোকজনের অবহেলা থাকে তবে সেটা জনসাধারণকে জানানো হয় যেন কেউ ভুলবশতঃ এই অবহেলা না করেন। রিপোর্টের একটা কপি দেশের সব ডাক্তার ও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় যাতে ডাক্তারগন এই বিষয়ে অবগত থাকেন এবং সতর্ক হন।

একটা আলাদা কমিটি করা হয়, যারা পরবর্তী কয়েক বছর এই রিপোর্টের পরিকল্পনা ও গাইডলাইন বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ ও ফলো আপ করে থাকেন।

বিশ্বাস করুন সত্যি বলছি , অস্ট্রেলিয়াতে ঠিক এইভাবে প্রতিটি অপ্রত্যাশিত মৃত্যুকে তদন্ত করা হয়।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো,
আঁখি নামের মেয়েটি কারো না কারো অবহেলা ও অযত্নে মৃত্যু বরণ করেছে কিন্তু আজ পর্যন্ত রাষ্ট্র তার সুরক্ষা ও সুবিচারের জন্য বিন্দুমাত্র কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আঁখিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যে জুনিয়র ডিউটি ডাক্তার মেয়েটি যথাসাধ্য চেষ্টা করলো সেই মেয়েটি আবার কোন বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই জেলে পড়ে থাকলো।এই অন্যায় ও অবিচার থেকে আরেকটি মেয়েকে বাঁচানোর জন্য রাষ্ট্র ও তথাকথিত চিকিৎসক সংগঠন কেউ এগিয়ে আসলোনা।এই ভাবে আর কোন মায়ের মৃত্যু যেন না হয় সেই বিষয়ে কোন উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা ও গবেষণা হলোনা।

তাহলে কি দাঁড়ালো ? এই দেশে কি ডাক্তার , রোগী ও সাধারণ নাগরিক কারো জীবনের কোন মূল্য নেই ?
এইভাবে আর কত দিন ?

একটা কথা বলে রাখা উচিত, এইখানে রাষ্ট্র মানে আওয়ামীলীগ-বি এনপি নয়। রাষ্ট্র মানে আমরা সবাই।
রাষ্ট্রের ব্যর্থতা মানে আমাদের সকলের ব্যর্থতা। ডাক্তার ও রোগী কেউ এই ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারবেনা।

আঁখি নামে একটা মেয়ে মরে গেছে কিন্তু অন্য নামে এখনো আমাদের অনেক বোন আছে , মা আছে , কারো সন্তান আছে।একটা মেয়ের মৃত্যুর কারন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা যদি অন্য আরেকটা মেয়েকে বাঁচাতে পারি তবে হয়তো সামান্য হলেও এই অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত হবে।

ডাঃ শামছুল আলম
মেলবোর্ন
২৭ /০৬ /২০২৩

21/05/2023

সম্ভবত আজ থেকে নতুন ফেসবুক/মেটা নিয়ম শুরু হবে যেখানে তারা আপনার ছবি ব্যবহার করতে পারবে। ভুলে যাবেন না শেষ তারিখ আজ! এটা আপনার বিরুদ্ধে মামলায় ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি যা কিছু পোস্ট করেছেন বা আজ পোস্ট করা হয়েছে - এমনকি মেসেজ যা মুছে ফেলা হয়েছে। এতে কোন খরচ নেই, শুধু কপি করে পোস্ট করুন, পরে আফসোস করার চেয়ে ভালো।
বাংলাদেশ তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ মোতাবেক আমি আমার অধিকার সংরক্ষণ আরোপ করছি.....
আমি ফেসবুক/মেটা বা অন্য কোন ফেসবুক/মেটা সম্পর্কিত ব্যক্তিকে আমার ছবি, তথ্য, বার্তা বা বার্তা ব্যবহার করার অনুমতি দিচ্ছি না, অতীতে এবং ভবিষ্যতে উভয় সময়েই।
এই পোস্টের যেকোনো জায়গায় আপনার আঙ্গুল ধরুন এবং একটি কপি দেখা যাবে। কপিতে ক্লিক করুন। তারপর আপনার পেজে যান এবং নতুন একটি পোস্ট শুরু করুন। আমি আবারও সজ্ঞানে প্রত্যয়ী যেঃ
আমি ফেসবুক/মেটাকে তাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা আমার তথ্য শেয়ার করার অনুমতি দিচ্ছি না। ছবি, বর্তমান বা অতীত, জনসংখ্যা, ফোন নম্বর বা পোস্ট... একদম আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া কোন কিছু কোন রূপে ব্যবহার করা যাবে না।
#ফেসবুক

Address

Barguna

Telephone

+8801711119803

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md. Akbar Hossain স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram