Medicare Diagnostic Lab,Barishal; মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক ল্যাব,বরিশাল।

  • Home
  • Bangladesh
  • Barishal Sadar
  • Medicare Diagnostic Lab,Barishal; মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক ল্যাব,বরিশাল।

Medicare Diagnostic Lab,Barishal; মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক ল্যাব,বরিশাল। বরিশাল শহরের অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার

04/04/2022

এই রমজানে ইউরিন ইনফেকশন এবং কৌষ্টকাঠিন্য থেকে রক্ষা পেতে ইফতারের পর বেশি করে পানি,শরবত এবং তরল খাবার খান।

28/01/2022

#গরম পানির উপকারীতা

একদল জাপানি চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে গরম পানি ১০০% কার্যকরঃ
০১. মাইগ্রেন
০২. উচ্চ রক্তচাপ
০৩. নিম্ন রক্তচাপ
০৪. জয়েন্ট এর ব্যথা
০৫. হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি এবং হ্রাস
০৭. কোলেস্টেরলের মাত্রা
০৮. কাশি
০৯. শারীরিক অস্বস্তি
১০. গাটের ব্যথা
১১. হাঁপানি
১২. কাশি
১৩. শিরায় বাধা
১৪. জরায়ু ও মূত্র সম্পর্কিত রোগ
১৫. পেটের সমস্যা
১৬. ক্ষুধার সমস্যা
১৭. মাথা ব্যথা

*কীভাবে গরম পানি পান করবেন?*
নিয়মিত রাত ১০-১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে প্রায় ২ গ্লাস গরম পানি পান করতে হবে, প্রথম দিকে ২ গ্লাস পানি পান করতে সক্ষম নাও হতে পারে কেউ তবে আস্তে আস্তে এটি করতে পারবে।

*বিঃদ্রঃ: গরম পানি পান করার পরে ৪৫ মিনিট কোনো কিছুই খাওয়া যাবে না।*

গরম পানি থেরাপি যুক্তি সঙ্গত সময়ের মধ্যে যে সমস্ত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির সমাধান করবে, নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো : -

৩০ দিনের মধ্যে ডায়াবেটিস
৩০ দিনের মধ্যে রক্তচাপ
১০ দিনের মধ্যে পেটের সমস্যা
০৯ মাসের মধ্যে সমস্ত ধরণের ক্যান্সার
০৬ মাসের মধ্যে শিরার বাধার সমস্যা
১০ দিনের মধ্যে ক্ষুধা জাতীয় সমস্যা
১০ দিনের মধ্যে জরায়ু এবং এর সম্পর্কিত রোগগুলি
১০ দিনের মধ্যে নাক, কান এবং গলার সমস্যা
১৫ দিনের মধ্যে মহিলাদের সমস্যা
৩০ দিনের মধ্যে হৃদরোগ জাতীয় সমস্যা
০৩ দিনর মধ্যে মাথা ব্যাথা / মাইগ্রেন সমস্যা
০৪ মাসের মধ্যে কোলেস্টেরল সমস্যা
০৯ মাসের মধ্যে মৃগী এবং পক্ষাঘাত সমস্যা
০৪ মাসের মধ্যে হাঁপানি সমস্যা

*ঠান্ডা পানি পান করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে! যদি অল্প বয়সে ঠাণ্ডা পানি প্রভাবিত না করে, তবে এটি বৃদ্ধ বয়সে ক্ষতি করবেই।*

*ঠান্ডা পানি হার্টের ৪টি শিরা বন্ধ করে দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়। হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ হ'ল কোল্ড ড্রিঙ্কস।

*এটি লিভারেও সমস্যা তৈরি করে। এটি লিভারের সাথে ফ্যাট আটকে রাখে। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের অপেক্ষায় থাকা বেশিরভাগ মানুষ ঠান্ডা পানি পান করার কারণে এর শিকার হয়েছেন।

*ঠান্ডা পানি পেটের অভ্যন্তরীণ দেয়ালকে প্রভাবিত করে। এটি বৃহত অন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং ফলস্বরূপ ক্যান্সারে রুপ নেয়।

*দয়া করে এই তথ্যটি নিজের কাছে রাখবেন না কাউকে বলুন, এটি কারওর জীবন বাঁচাতে পারে।*

সংগ্রহ: জাপানি ডাঃ মেনসাহ-আসরে হতে।

26/01/2022

লকডাউনে সারা ক্ষণ মোবাইল? অজান্তেই কী ক্ষতি হচ্ছে জানেন?

চায়ের চেয়েও মারাত্মক নেশা হাতে মোবাইল। ঘাড় নিচু করে চোখ স্ক্রিনে রেখে দীর্ঘসময় মোবাইল ব্যবহার করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে:

📱 মাইগ্রেন ও মাথা ব্যথার শঙ্কা থাকে।
📱 হাতের কবজি ও আঙুলে ব্যথা হতে পারে।
📱 সমীক্ষায় প্রমাণিত, যাঁরা দু’ঘন্টার বেশি টেক্সট করেন তাঁদের ‘টেক্সট ক্ল’ ও ‘সেল ফোন এলবো’ নামে আঙুল ও কব্জির সমস্যা দেখা যায়।
📱 অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার হাড়ের নার্ভ অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হলে সার্জারি
করা ছাড়া উপায় থাকে না।
📱 অনবরত টেক্সট লেখার কারনে বুড়ো আঙুল, তর্জনি এবং মধ্যমা আঙুলের বেশি ব্যবহার হয় বলে স্নায়ুর উপর বাড়তি চাপ পড়ে। আঙুল অসাড় লাগে, ব্যথা হয়।
📱 রাতের অন্ধকারে মোবাইলের নীল আলো অনিদ্রার ঝুঁকি বাড়ায়। তাছাড়া কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম অর্থাৎ চোখের জল শুকিয়ে গিয়ে সংক্রমণ হয়, চোখ কড়কড় করে।
📱 মোবাইল অন্তপ্রাণ এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে না এলে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিও কম নয়।

তা হলে উপায়?

• মোবাইলের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। দিনে ১/২ বারের বেশি ফেসবুক বা সোশাল মিডিয়া ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
• কথা বলার সময় যতটা সম্ভব ফোন স্পিকারে দিয়ে কথা বলুন।
• সব আঙুল পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করুন।
• ব্যবহারের ফাঁকে হাত ও আঙুল স্ট্রেচিং করা মতো অভ্যাস করুন।
• শিশুকে বেশি মোবাইল দেবেন না।
• রাতে ঘুমানোর ২ ঘন্টা আগে মোবাইল বন্ধ করুন।

বিশ্বে নারীদের ক্যান্সারের মধ্যে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সার এক নম্বরে আছে। কিন্তু উন্নত বিশ্বে নিয়মিত স্ক্রিনিং আর সচেতনত...
25/01/2022

বিশ্বে নারীদের ক্যান্সারের মধ্যে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সার এক নম্বরে আছে। কিন্তু উন্নত বিশ্বে নিয়মিত স্ক্রিনিং আর সচেতনতার কারণে একদম প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার ধরা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, উন্নত বিশ্বে শতকরা ৬৫ ভাগ স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। এ কারণে সেখানে ব্রেস্ট ক্যান্সারজনিত মৃত্যু অনেকটা কমে এসেছে। ফলে সারা বিশ্বে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর এক নম্বর কারণ এখন ফুসফুস ক্যান্সার! ব্রেস্ট ক্যান্সার নয়।

কিন্তু বাংলাদেশে এই চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। এর কারণ অনেক দেরিতে ও শেষ পর্যায়ে এসে ক্যান্সার ধরা পড়া। বিগত পাঁচ বছরে আমাদের দেশে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া ও রোগ শনাক্ত হওয়ার হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমাদের দেশে দেরীতে ও শেষ পর্যায়ে ডায়াগনোসিস হওয়া আর দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসার পেছনে অন্যতম কারণ রোগী ও তার পরিবারের এই বিষয়ে অজ্ঞতা ও অসচেতনতা এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারের নিয়মিত স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম-এর স্বল্পতা

ব্রেস্ট ক্যান্সারের ৮টি লক্ষণ
১) স্তনে চাকা ও লাম্প বা পিন্ড অনুভব করা যা ব্যথাহীন ও খুব দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে আকারে।

২) স্তনের ত্বকে বিভিন্ন পরিবর্তন যেমন চামড়া কুঁচকে যাওয়া, কমলার খোসার মত ছোট ছোট ছিদ্র দেখা দেয়া, চামড়ায় টোল পড়া, দীর্ঘস্থায়ী ঘা ইত্যাদি।

৩) নিপল (বোঁটা) দিয়ে রস নিঃসরণ হওয়া বা রক্তপাত হওয়া।

৪) নিপল ও তার আশেপাশের (Ar**la) কালো অংশা ফুঁসকুড়ি ও চুলকানি হওয়া।

৫) স্তনে দীর্ঘদিন ব্যথা অনুভূত হওয়া।

৬) স্তনের আকার পরিবর্তন হওয়া।

৭) গলার কাছে অথবা বগলে চাকা অনুভব করা।

৮) স্তনের বোটা ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া অথবা বোটা দিয়ে পুঁজ নির্গত হওয়া।

ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে পরীক্ষা পদ্ধতি
২০ বছর বয়স থেকেই প্রত্যেকের উচিত স্তন ক্যান্সার বিষয়ে সচেতন হওয়া এবং প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে নিজের স্তন পরীক্ষা করা। মাসিক শুরুর ৫-৭ দিন পর এই পরীক্ষা করতে হবে যখন স্তন নরম ও কম ব্যথা থাকে।

১) শুয়ে বা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের স্তনকে চারটি ভাগে ভাগ করে প্রতিটি অংশের অভ্যন্তরে কোন চাকা বা দলার মতো আছে কিনা তা অনুভব করুন।

২) স্তনের আকৃতির বিশেষ কোন পরিবর্তন হয়েছে কিনা দেখুন।

৩) সাধারণত দুই স্তনের আকার এক রকম নাও হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক নয়। তাই চিন্তার কিছু নেই।

৪) নিপল থেকে অকারণে কোন তরল রস বের হয় কিনা তা লক্ষ্য করুন। তবে প্রসব পূর্ববর্তী বা প্রসব পরবর্তী নিঃসরণকে এর সাথে মিলিয়ে ফেলা চলবে না।

৫) বগলে কিংবা ঘাড়ে কোন চাকা অনুভব করতে পারছেন কিনা লক্ষ্য করুন।

৬) আপনার বাম হাত দিয়ে ডান পাশের ও ডান হাত দিয়ে বাম পাশের স্তন পরীক্ষা করুন।

এই পরীক্ষা করার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন যাতে আপনার সম্পূর্ণ স্তনটি পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে আপনি নিপল থেকে শুরু করে বৃত্তাকারভাবে বাহিরের দিকে যেতে পারেন অথবা উপর-নিচ করে সম্পূর্ণ স্তন পরীক্ষা করতে পারেন।

ব্রেস্ট ক্যান্সার নিশ্চিত হওয়ার উপায়
সাধারনত তিনটি উপায়ে ব্রেস্ট ক্যান্সারের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়।

উপরে উল্লেখিত পরীক্ষার মাধ্যমে।
ম্যামোগ্রাফি বা স্তনের আল্ট্রাসনোগ্রাম করে।
বায়োপসি অথবা এফএনএসি (FNAC) করে।

24/01/2022
হাঁটু ব্যথা খুব প্রচলিত একটি শব্দ। প্রবীণদের মধ্যে হাঁটুতে ব্যাথা খুবই সাধারণ ব্যাধি। মানুষ যখন বিশ্রাম নেয় বা হাঁটাহাঁট...
16/01/2022

হাঁটু ব্যথা খুব প্রচলিত একটি শব্দ। প্রবীণদের মধ্যে হাঁটুতে ব্যাথা খুবই সাধারণ ব্যাধি। মানুষ যখন বিশ্রাম নেয় বা হাঁটাহাঁটি করে বা দৈনন্দিন কাজকর্ম করে তখন হাঁটুর গাঁটের ব্যাথাকে এই নামে অভিহিত করা হয়। বেশিরভাগ সময়ে বয়স বাড়লে পারিপার্শ্বিক টিস্যুর গঠন ক্রমাগত ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার কারণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে এই সমস্যা হয়। আবার, দুর্ঘটনার ফলে হাঁটুর গাঁটে কোনও আঘাত অথবা অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে হাঁটুতে ব্যাথা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার সম্পূর্ণ ইতিহাস, রক্ত পরীক্ষা, এবং কিছু রেডিওলজি পরীক্ষা যেমন এক্স-রে এবং আলট্রাসনোগ্রাফি করে খুব সহজেই হাঁটুর ব্যাথার উৎস নির্ণয় করা সম্ভব।হাঁটুর ব্যাথায় চিকিৎসার অন্যান্য বিকল্প যেমন ফিজিওথেরাপি বা আকুপাংচারের পরামর্শও দেওয়া যেতে পারে। এই সব চিকিৎসা সত্ত্বেও যদি হাঁটুর ব্যাথা না কমে তাহলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। হাঁটুর ব্যাথার আরোগ্য সম্ভাবনা খুবই বেশি, তবে যদি সঠিক সময়ে নির্ণয় না করা যায় তাহলে হাঁটুর ব্যাথা আরও বেড়ে যাওয়া বা হাঁটুর সন্ধিস্থল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার মত জটিলতার উদ্ভব হতে পারে। বিভিন্ন শারীরিক কাজকর্ম, যেমন হাঁটা, দৌড়ানো, খেলাধূলা করা, এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম করার জন্য হাঁটুর সন্ধিস্থল গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুতরাং, হাঁটু সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার আগে, ব্যাথা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

ডাঃ মোঃ ফেরদৌস রায়হান
Dr. Md. Ferdous Rayhan

এম,বি,বি,এস বি,সি, এস ( স্বাস্থ্য) ডি, অর্থো ( নিটোর)
এম, এস ( অর্থো ) নিটোর ,এক্স পঙ্গু হাসপাতাল, ঢাকা।
ফেলো আমেরিকান কলেজ অফ সার্জনস।
আবাসিক সার্জন ( অর্থোপেডিক সার্জারি )
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশাল

অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ, ট্রমা এবং স্পাইন ও জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জন।

15/01/2022

করোনার ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস রোগীরা যা করবেনঃ

সারা পৃথিবী করোনাভাইরাসের মহামারিতে আক্রান্ত। করোনা সংক্রমণের ৮০ শতাংশই মৃদু বা মাইল্ড ধরনের, যা এমনিতেই সেরে যায়। ১৫ শতাংশ তীব্র বা সিভিয়ার ধরনের হতে পারে, যেখানে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। আর ৫ শতাংশ ক্রিটিক্যাল, যেখানে ভেন্টিলেটর দরকার হতে পারে, এমনকি রেসপিরেটরি ফেইলিউর হয়ে মৃত্যুও হতে পারে।

করোনা সংক্রমণে যাঁরা বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁরা হলেন ডায়াবেটিস রোগী, হার্ট ফেইলিউরের রোগী, কিডনি ফেইলিউরের রোগী, হাঁপানি বা ক্রনিক ব্রংকাইটিসের রোগী। এ ছাড়া আছেন যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, যেমন কেমোথেরাপি নেওয়া রোগী ইত্যাদি।

ডায়াবেটিস রোগীরা কেন ঝুঁকিতে
আমাদের দেশে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা অনেক। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের অনেকেরই ডায়াবেটিস আছে। তার ওপর আমাদের ডায়াবেটিসের রোগীদের একটি বিরাট অংশের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ডায়াবেটিসের কারণে রোগীদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। যেকোনো জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার সক্ষমতা হ্রাস পায়। আবার ডায়াবেটিসের রোগীদের একই সঙ্গে কিডনি জটিলতা, হৃদ্‌রোগ ইত্যাদি থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের বড় ধরনের ঝুঁকি আছে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ক্ষেত্রে।

ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাত্রা (এইচবিএওয়ানসি) এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যাঁর ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণ যত খারাপ (এইচবিএওয়ানসি যত বেশি), তাঁর ঝুঁকি তত বেশি। বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তের শর্করা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। রক্তে এইচবিএওয়ানসির মাত্রা ৭ শতাংশের বেশি হওয়া মানে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ডায়াবেটিসের রোগীদের একটু বেশি সচেতন হওয়া জরুরি।

করোনাভাইরাস মহামারিতে ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

১. করোনাভাইরাস সংক্রমণের সামান্যতম লক্ষণ দেখা দিলেও (যেমন, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি) সরকার নির্দেশিত কেন্দ্রগুলোতে রোগ শনাক্তকরণ ও পরবর্তী সেবার জন্য দ্রুত সাহায্য নিতে হবে। ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব।

২. বর্তমান পরিস্থিতিতে বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ না করে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ইনসুলিন শুরু করতে হবে। ইনসুলিন দ্রুততম সময়ের মধ্যে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। খালি পেটে শর্করা ৬ মিলিমোলের কম আর খাবার দুই ঘণ্টা পরে ৮ মিলিমোলের কম মাত্রায় নিয়ে আসতে হবে।

৩. যদি উপসর্গ দেখা দেয়, করোনা নিশ্চিত না হলেও, নিজেকে আলাদা করতে হবে। অর্থাৎ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। শরীর বেশি খারাপ না হলে হাসপাতালে না যাওয়াই ভালো। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে বা সেবাকেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় দ্রুত।

৪. এই সময়, যাঁদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা নিজেরা কোয়ারেন্টিনে থাকুন। বাজার, শপিং মল, জনবহুল জায়গা, সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে হবে। বাড়িতে থেকে করোনা প্রতিরোধের নির্দেশগুলো মেনে চলতে হবে। বাইরের কারও সঙ্গে হাত মেলানো যাবে না, কোলাকুলি করা যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে যে কারও থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্বে থাকতে হবে।

৫. এ সময় পার্কে বা বাইরে হাঁটতে যাওয়ার দরকার নেই। শর্করা নিয়ন্ত্রণে বাড়িতে, বারান্দায় বা করিডরে হাঁটতে হবে এবং হালকা ব্যায়াম করতে হবে।

৬. কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়াসহ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। টাকাপয়সা, খবরের কাগজ, পার্সেল ইত্যাদি জিনিস স্পর্শ করলে হাত ধুয়ে নিতে হবে। কাপড় লন্ড্রিতে ইস্ত্রি করতে না দিয়ে বাড়িতেই ধুয়ে পরতে হবে।

৭. বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে প্রথমেই বয়স্ক আর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে ফেলতে হবে।

৮. বাইরে থেকে আনা কোনো খাবার না খাওয়া ভালো হবে।

ডাঃ শাহজাদা সেলিম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

Address

বিবির পুকুর পাড়, সদর রোড, বরিশাল
Barishal Sadar
8200

Opening Hours

Monday 09:00 - 23:00
Tuesday 09:00 - 23:00
Wednesday 09:00 - 23:00
Thursday 09:00 - 23:00
Friday 09:00 - 21:00
Saturday 09:00 - 23:00
Sunday 09:00 - 23:00

Telephone

+8801746006369

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Medicare Diagnostic Lab,Barishal; মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক ল্যাব,বরিশাল। posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram