15/10/2025
⚠️আপনারাও কি তাই মনে করেন?
👨⚕️টাইফয়েড নিয়ে গবেষণা করেছে ICDDR,B। তারা দেখেছে- বাংলাদেশে গড়ে প্রত্যেক ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ৯১৩জন টাইফয়েড-এ আক্রান্ত হয়। মানে টাইফয়েড আক্রান্তের শতকরা পরিমাণ ১%-এর কম। অর্থাৎ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় না ৯৯% মানুষ। একই গবেষণায় আরো দেখা গেছে- এক ডোজ টাইফয়েডের টিকা সর্বোচ্চ ১৮ মাস পর্যন্ত ৮৫% শতাংশ সুরক্ষা (!) দিতে পারে (যদিও সেটা প্রশ্নবোধক)। তাহলে টিকা নেওয়ার পরেও সুরক্ষা (!) পায় না ১৫%। তার মানে দাড়াচ্ছে- টিকা গ্রহণ করলেও সর্বোচ্চ টাইফয়েড হতে পারে ১৫% আর গ্রহণ না করলে টাইফয়েড হবে বড়জোর ১%
যে কোনো টিকা হচ্ছে ওই রোগের জীবাণুর অংশবিশেষ- যা রোগ ঠেকানোর নামে শরীরে প্রবেশ করানো হয়; উদ্দেশ্য শরীরকে আগেভাগে জীবাণু চেনানো। তার মানে যাদের টাইফয়েড হয় নাই বা হওয়ার সম্ভাবনা নাই, তাদের শরীরেও অহেতুক টাইফয়েড-এর জীবাণু ঢোকানো হচ্ছে! গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন তো- এর আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে কি না?!?
টাইফয়েড তো সেই মাত্রার কোনো রোগ নয় কিংবা চিকিৎসা নেই- এমন রোগও নয়। তাহলে কাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আগে থেকেই আমরা গণহারে টাইফয়েড রোগের জীবাণু-খণ্ড আমাদের শরীরে প্রবেশ করাবো? এর মাধ্যমে টাইফয়েড থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে কিনা বলা মুশকিল, কিন্তু আরো অনেকগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যে দেখা দেবে- সেটা সুনিশ্চিত। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, সরাসরি রক্তে কিছু মেশানো সম্পূর্ণরূপে শরীয়ত বিরোধী কর্মকাণ্ড।
আমি প্রায়ই বলি- ওষুধ নামক সিন্থেটিক ড্রাগস সেবন করবেন না। এগুলো কেমিক্যালের তৈরি কৃত্রিম বস্তু এবং মানবদেহের ভেতরে ঢোকার অনুপযুক্ত। এগুলো যারা তৈরি ও বিপনন করছে, সেটা তাদের ব্যবসা ও অর্থ উপর্জনের মাধ্যম। তারা চায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ যেন তাদের বানানো ড্রাগগুলো ব্যবহার করে আজীবন অসুস্থ থাকে। এতে তারা ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হবে। এজন্য তারা বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অর্থ ঢেলে নিজেদের প্রত্যাশা অনুযায়ী গবেষণা ফলাফল তৈরি করাতেও পিছ পা হয় না, তারপর মিডিয়াতে টাকা ঢেলে সেটা প্রচার করায়, অতঃপর ভুলভাল জনমত গড়ে উঠলে সরকারকে প্রভাবিত (রাষ্ট্রীয়ভাবে বিক্রি) করে জনগণকে বিষ গ্রহণে বাধ্য করে। এর নেপথ্য উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতের রোগী বাড়ানো! গণহারে টিকা দিলে জনগণের যতটুকু লাভ (!), তার থেকে ঢের লাভবান হয় ড্রাগস কোম্পানিগুলো।
টাইফয়ের ভ্যাকসিন কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকায় দেওয়া হয় না? চাপিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল কিংবা আফ্রিকান দেশগুলোর জনগণের ওপরে। এসব ভ্যাকসিনের আড়লে তাদের যে ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে- সে বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা হয় না!
অনুগ্রহ করে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন- এই যে ৫ কোটি কোমলমতি শিশুর শরীরে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে, এর মধ্যে বড় অংশের শরীরে আগে থেকেই এন্টিবডি তৈরি হয়ে আছে। তাহলে কেন টিকা গ্রহণ করে নিজের শরীরে বিষ ঢোকাতে হবে? রাষ্ট্রের কোনো অধিকার থাকতে পারে কি কারো দেহের ভিতরে কিছু ঢুকাতে বাধ্য করার? একটা বাচ্চার শরীরে যদি আগে থেকেই এন্টিবডি থাকে, তবে টিকা গ্রহণের কী দরকার? কোনোপ্রকার টেস্ট না করিয়ে কেন গণহারে শরীরে টিকা গ্রহণ করতেই হবে?
এখানেই আসল ব্যবসা। বাচ্চাদের গণহারে টিকা দেওয়াই বলে দেয়- শিশুদের স্বার্থের তুলনায় ব্যবসা করাটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ড্রাগস মাফিয়াদের কাছে। ব্যবসার পাশাপাশি আমাদের বাচ্চাগুলোকে স্রেফ গিনিপিগ বা কুকুর-বিড়াল বা ইঁদুরের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্ষতিকারক জীবাণু বাচ্চাদের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়ার কুপরিণামে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হবে! ভবিষ্যতে সন্তানহীনতা এবং প্রতিবন্ধী শিশুর জন্মহার বেড়ে যাবে। তখন কিন্তু টিকার পক্ষে প্রচারনাকারীদেরকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না? আশা করি কথিত করোনা টিকার কুফল মানুষ এতো দ্রুত ভুলে যায়নি?
ড্রাগস মাফিয়ারা যে তাদের স্বার্থে আমাদের আদরের শিশুদেরকে কুকুর-বিড়ালের মতো ব্যবহার করছে- এটা নিয়ে কেউ মুখ খোলে না, কথাও বলে না। দোষ তো আমাদেরই; ইউরোপ-আমেরিকার সাদা চামড়ারা কিছু বললেই আমরা সেগুলো ধর্মগ্রন্থের চাইতেও বেশি বিশ্বাস করি! দীর্ঘমেয়াদে বাচ্চাদের উপর কথিত টিকার কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, তা না জেনে আমরা অন্ধের মতো আদরের বাচ্চাদের শরীরে কী ভয়ঙ্কর ইনজেকশন পুশ করাচ্ছি, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না!
অভিভাবকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ- ভবিষ্যতে দাদা-দাদী/নানা-নানি হওয়ার ইচ্ছে থাকলে বিনামূল্যের ভ্যাকসিন দিয়ে আপনার আদরের বাচ্চাদের শরীরটাকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। এসব ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন আর জনসচেতনতা বাড়াতে এই পোস্টটি শেয়ার করুন।
♦️সংগৃহীত