26/05/2023                                                                            
                                    
                                                                            
                                            Oral Cancer: সিগারেট-বিড়ির নেশা না থাকলেও হতে পারে মুখের ভিতর ক্যানসার, কোন লক্ষণ দেখে সাবধান হবেন?
Cancer Awareness: ধূমপান বা কোনও নেশাদ্রব্য সেবন করেন না, তাহলে যে আপনার ওরাল ক্যানসার হবে না, এমন কোনও কারণ নেই। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা কোন ধরনের তামাক বা নেশাদ্রব্য সেবন করেন না, তাঁদের প্রায় ২৫% ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
ওরাল ক্যানসারের কারণ:
তামাক সেবনের ফলে সবচেয়ে বেশি মানুষ ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত হন। সিগারেট, বিড়ি ছাড়াও খৈনি, গুটখা, সুপুরির মতো তামাকও রয়েছে এই তালিকায়। এছাড়াও মদ্যপান ওরাল ক্যানসারের অন্যতম বড় কারণ। যদি পরিবারের মধ্যে ওরাল
 ক্যানসারের ইতিহাস থাকে, তাহলেও আপনি রোগের ঝুঁকিতে থাকবেন। অনেক ক্ষেত্রে এইচপিভি ভাইরাসের কারণেও ওরাল ক্যানসার বাসা বাঁধে।
ধূমপান বা কোনও নেশাদ্রব্য সেবন করেন না, তাহলে যে আপনার ওরাল ক্যানসার হবে না, এমন কোনও কারণ নেই। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা কোন ধরনের তামাক বা নেশাদ্রব্য সেবন করেন না, তাঁদের প্রায় ২৫% ওরাল ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তবে, এটাও গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ভারতে প্রায় ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষ তামাকের নেশায় আসক্ত। আর ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ মদ্যপান করেন। আর প্রতি বছর ভারতে ওরাল ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭,০০০।
ওরাল ক্যানসারের লক্ষণ:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বজুড়ে ওরাল ক্যানসার উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। তাই ওরাল ক্যানসারের লক্ষণগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। মুখের গহ্বরে সামান্য ঘাও কিন্তু ক্যানসারের সংকেত দিতে পারে। মুখের ভিতরে ঘা হওয়া, ঠোঁটে বা জিভেও ঘা হতে পারে, ক্রমাগত মাড়ি থেকে রক্তপাত, মুখের ভিতর জ্বালাভাব, চিবিয়ে খাবার খেতে সমস্যা, মুখের ভিতর ব্যথা, দাঁতে প্রচণ্ড ব্যথা, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোনো ইত্যাদি ওরাল ক্যানসারের লক্ষণ।
ওরাল ক্যানসারের চিকিৎসা:
প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে যে ক্যানসার থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ওরাল ক্যানসারের ক্ষেত্রেও সেটা ব্যতিক্রম নয়। ভারতে ৬০% ওরাল ক্যানসারের ঘটনা পাঁচ বছর পর্যন্ত রোগীকে বাঁচানো যায়। যদি ক্যানসারের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরে রোগ নির্ণয় করা যায়, তাহলে এই বেঁচে থাকার শতাংশ ৭০ থেকে ৯০-এ বেড়ে যায়। সুতরাং, ওরাল ক্যানসারের উপসর্গগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয় এবং দ্রুত রোগ নির্ণয় হলে আপনার সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও অনেক বেশি।