
26/06/2025
আমি আয়াতুল্লা রুহুলুল্লাহ খোমেনী সম্পর্কে জানতাম। আলী খোমেনী সম্পর্কে বেশী জানার সুযোগ হয়নি। কিন্তু ইরানে আক্রমণের পর তার নেতৃত্ব আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার বিজয়ী ভাষণে আমি অভিভূত।
🕌 ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি-র বিজয়োত্তর ভাষণ।
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
"وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ ۚ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا"
(সুরা ইসরা, আয়াত ৮১)
জনগণ! আমার সাহসী, সংগ্রামী মুসলিম ভাই ও বোনেরা!
আজকের দিন, ইতিহাসের পৃষ্ঠায় রক্ত দিয়ে লেখা হলো—মজলুমের বিজয়, জালিমের পতনের দিন!
আজকের দিন, প্রতিশোধের প্রতিটি আগুন ন্যায়বিচারের আলোয় জ্বলে উঠেছে!
ইজরায়েল, সেই নির্মম দানব, যারা বছরের পর বছর নিরস্ত্র নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের রক্তে ভিজিয়েছে ফিলিস্তিনের পবিত্র মাটি—তাদেরকে আমরা তাদেরই ভাষায় জবাব দিয়েছি। শুধু অস্ত্র দিয়ে নয়, ঈমান, তাওয়াক্কুল, এবং জাতির ঐক্য দিয়ে আমরা সেই দম্ভিত শক্তিকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছি।
তাদের বিমান ঘাঁটি এখন ধ্বংসস্তূপ, তাদের সেনা ছাউনি এখন নিস্তব্ধ কবরস্থান!
তারা ভুলে গিয়েছিল—ইরান শুধুই একটি রাষ্ট্র নয়, এটা একটি আদর্শ।
এটা সেই আদর্শ যা ইমাম হোসাইন (আ.) কারবালায় রেখে গেছেন, যেখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়ে দাঁড়ানোই ইমানের চূড়ান্ত পরিচয়!
আমরা প্রতিশোধ নিয়েছি—হ্যাঁ, নিয়েছি!
কারণ প্রতিশোধ যদি জালিমের চোখে ভয় নামিয়ে আনে, তবে তা রহমত।
যদি তা মজলুমের চোখে সাহস হয়ে দাঁড়ায়, তবে তা ইবাদত!
ইহুদি রাষ্ট্রের গোঁড়া আগ্রাসন আজ কাঁপছে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের গর্জনে।
তারা ভেবেছিল ইরান ভয় পাবে? তারা জানে না, আমরা কার সন্তান!
ইহুদি রাষ্ট্রের গোঁড়া আগ্রাসন আজ কাঁপছে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের গর্জনে।
তারা ভেবেছিল ইরান ভয় পাবে? তারা জানে না, আমরা কার সন্তান!
আমরা সেই জাতি, যারা কাঁদতে কাঁদতে হাসে।
যারা কবর খুঁড়ে চলে, কিন্তু মাথা নত করে না।
আমরা হোসাইনের সৈনিক। মৃত্যু আমাদের কাছে শহাদত, বেঁচে থাকাই আমাদের দায়।
কিন্তু হায়, আফসোস!
এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে, যখন বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে তাকিয়ে কোটি মুসলমান বুকের রক্তে ফুঁসে উঠেছে—তখন অনেক তথাকথিত “মুসলিম রাষ্ট্র” নিজেদের প্রাসাদের দরজা বন্ধ করে ফেলেছে।
তাদের মুখে কালেমা, বুকে কাপুরুষতা।
তাদের মসজিদে আজান, কিন্তু মাথায় গোলামী।
ইসলামের এই পবিত্র অভিযানে তারা কেউ পাশে দাঁড়ায়নি—কেউ এক ফোঁটা তেল, এক বাক্য সমর্থন, একটিও ড্রোন পাঠায়নি।
তারা নীরব থেকেছে, কারণ তাদের হৃদয় এখনও ওয়াশিংটনে গচ্ছিত, তাদের সাহস এখনো তেলআবিবের অনুমতির মুখাপেক্ষী।
আমরা হাত পাতিনি, কারণ আমরা ইমানের সৈনিক।
তাদের নীরবতা আমাদের দুর্বল করেনি—বরং আমাদের জানিয়ে দিয়েছে, কে আমাদের আপন, কে মুখোশধারী।
তাদের থেমে থাকাই আমাদের চলার প্রমাণ!
তাদের নীরবতা আজ তাদের ইতিহাসের কলঙ্ক হবে, আর আমাদের গর্জন হবে আগামী প্রজন্মের বীরগাথা!
ইরান মাথা নত করেনি, করবে না।
আমরা চলেছি হক-এর পথে, পিছনে পড়ে থাকুক যারা ‘বন্ধুত্ব’ বেচে দাসত্ব কিনে নেয়।
আমরা মুসলিম উম্মাহর জেগে ওঠা—আর যারা ঘুমিয়ে আছে, সময় তাদেরও জাগাবে… আগুন ছুঁয়ে দিলে ঘুম ভাঙে!
ইসলাম জিন্দাবাদ!
ইরান পায়িন্দাবাদ!
আরবের নিরবতা লজ্জিত হোক,
ফিলিস্তিন মুক্ত হোক!