02/06/2024
👨⚕️: ভেবেছেন কখনো? কেন উপমহাদেশে Type 2 Diabetes Mellitus এর প্রকপ এতো বেশী?
এটার পিছনে আমরা নিজেরা দায়ী নই। দায়ী যদি বলতে হয় তাহলে রা এটার পিছনে দায়ী।
শুনতে একটু অবাক লাগতে পারে। যে আমাদের Diabetes এর সাথে British দের সম্পর্ক টা কোথায়?
সেকথাই বলছি। British শাসনের সময় নীল চাষ এবং অবিরাম লুন্ঠনের ফলশ্রুতিতে ভারত উপমহাদেশ সর্বমোট ১৮ টি দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করে। শুধু ১৯৪৩ তেই দুর্ভিক্ষে ৩০ লাখ ভারতীয় মারা যায়। এর মধ্যে যারা Survive করেছিলো ,তারা টিকে ছিলো খুবই Low calorie metabolism এর মাধ্যমে। তখন মাটি দিয়ে এক রকম বিস্কুট বানানো হতো, মানুষ এমন কি সেটা খেয়েও বেচে থাকার চেষ্টা করেছে।এই দুর্ভিক্ষ যারা Survive করতে পেরেছে। তাদের জেনেটিকালি Low calorie দিয়ে বেচে থাকার ক্ষমতা অর্জন হয়েছিলো। এমন কি এই দুর্ভিক্ষের সময় যারা মায়ের গর্ভে ছিলেন তারাও low calorie metabolism এ অভ্যস্ত হয়ে পরে। এভাবে কয়েক জেনারেশন পরপর যখন অনেক গুলো দুর্ভিক্ষ Survive করে ফেলে। তখন দেখা গেলো এরা অনেক Low calorie ব্যবহার করেও বেচে থাকতে পারছে। তাদের পরবর্তী বংশধর দের মধ্যেও এই ক্ষমতা জেনেটিকেলি চলে আসে।
কিন্তু আগুনের দিন একদিন শেষ হয়। ভারত উপমহাদেশ ব্রিটিশ চলে যাবার পর আবার খাদ্যশস্য এবং মাছ মাংশে সমৃদ্ধ হতে থাকে। এখানেই শুরু হয় ঝামেলা।
যখন পর্যাপ্ত খাবার মানুষ আবার গ্রহণ করা শুরু করে, যারা আগে খুবই কম খাদ্য দিয়ে বেচে থাকতো। তাদের রক্তে সেই অতিরিক্ত ক্যালরি উপচে পরতে থাকে। বিশেষ করে শর্করা উপচে পরতে শুরু করলো। এখান থেকেই শুরু হলো Diabetes এর প্রাদুর্ভাব।এবং আমরা ব্রিটিশ শাসন পরবর্তী জেনারেশন সেটা অভিশাপ হিসেবে আমাদের রক্তে বয়ে বেরাচ্ছি।
১৯৪৩ সাল। ভারতের সব খাদ্যশস্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ গ্রহন করা সৈন্য দের রেশন হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মানুষ কুকুর বিড়ালের মতো রাস্তায় মরে পরে আছে। ডাস্টবিনের পাশে দাড়িয়ে সেই ছবি গুলো এক প্রতিভাবান শিল্পী আকছেন। তার তুলির ছোয়ায় তিনি সেটা পুরো পৃথিবীকে পরবর্তীতে এই ব্রিটিশদের অবিচারের কথা তুলে ধরেন। তিনিই শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। ওদিকে Winston churchill এর কাছে আবেদন করা হয়েছে। ভারত কে এই নির্মম দুর্ভিক্ষ থেকে রক্ষা করার জন্য। প্রত্যুত্তরে তিনি চিঠি লিখেছেন,
"Any potential relief efforts sent to India would accomplish little to nothing, as Indians "breeding like rabbits"
৭০ বছর পর সেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন সেই দুর্ভিক্ষ কবলিত ভারতীয় বংশভুত একজন পলিটিসিয়ান।
যে শর্করা একদিন সুধার মতোন ছিলো। যার অভাবে একদিন লাখ লাখ মানুষ মারা গিয়েছে এ উপমহাদেশে। সেই শর্করা আজ বিষ হয়ে জমতে শুরু করলো আমাদের রক্তে।সেই বিষক্রিয়ার প্রাণ যাচ্ছে আপনার ,আমার ,আমাদের প্রিয়জনদের ।
#ডাঃসওগাত_এহসান