Dr.NilufaYesmin

Dr.NilufaYesmin Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr.NilufaYesmin, Medical Center, Birampur.

21/05/2023
20/05/2023

সুখের প্রধান চারটি রাসায়নিকের নাম হলোঃ
১। সেরোটোনিন (Serotonin)আনন্দ
২। ডোপামিন (Dopamine)সন্তুষ্টি
৩। এন্ডোরফিন(Endorphins) মানসিক চাপ
৪।অক্সিটোসিন (Oxytocin) উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ

প্রতিটিরই সুখের উপর প্রভাব রয়েছে- আনন্দ এবং সন্তুষ্টি বাড়ানো থেকে শুরু করে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে

আনন্দঃ
সেরোটোনিন মূল হরমোন যা আমাদের মেজাজ, সুস্থতার অনুভূতি এবং সুখকে স্থিতিশীল করে। ঘুম, খাওয়া এবং হজমেও সাহায্য করে।এই হরমোন পুরো মানব দেহকে প্রভাবিত করে।

সন্তুষ্টিঃ
ডোপামিন এক ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার এবং রাসায়নিক বার্তাবাহক। স্নায়ুতন্ত্র এটিকে স্নায়ু কোষের মধ্যে বার্তা পাঠাতে ব্যবহার করে।আমরা কীভাবে আনন্দ অনুভব করি তার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এটি আমাদের চিন্তা এবং পরিকল্পনা করার ক্ষমতার বড়
একটি অংশ।

মানসিক চাপঃ এন্ডোরফিন হল শরীর দ্বারা উৎপাদিত রাসায়নিক পদার্থ যা চাপ এবং ব্যথা উপশম করে উচ্ছ্বাসের অনুভূতি তৈরি করতে পারে।

উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণঃ
অক্সিটোসিন হলো একটি হরমোন যা আমাদের শরীরের অঙ্গে (স্তন এবং জরায়ু সহ) এবং মস্তিষ্কে রাসায়নিক বার্তাবাহক হিসাবে কাজ করে, প্রজনন ব্যবস্থার মূল দিকগুলিকে
নিয়ন্ত্রণ করে,মানুষের আচরণের দিকগুলি সহ প্রসব এবং মায়ের স্তন্যপান করানো পযর্ন্ত। *******************Miss.Nilufa Yesmin ****************

16/05/2023

★ব্যাথা, বেদনা, বাত, বাতের ব্যাথা, গিরা ব্যাথা★

Posted :- Miss.Nilufa Yesmin.

ব্যথার ধরন, ব্যথার কারণ ইত্যাদি লক্ষণ মিলিয়ে ঔষধ খেতে হবে। সব ধরনের ব্যথায় একই ঔষধ খেলে চলবে না।

Aconite nap:
একোনাইট ব্যথার একটি সেরা ঔষধ। সাধারণতঃ ভয়ঙ্কর ধরণের ব্যথা, ছুড়ি মারার মতো ব্যথা, হুল ফোটানোর ব্যথা, ব্যথার চোটে দম বন্ধ হয়ে আসে, ব্যথা যদি হঠাৎ দেখা দেয় এবং ব্যথার চোটে যদি ‘এখনই মরে যাব’ এমন ভয় হতে থাকে, তবে একোনাইট খেতে হবে।

Arnica mont:
যেকোন ধরনের আঘাত, থেতলানো, মচকানো, মোচড়ানো বা উপর থেকে পতনজনিত ব্যথায় আর্নিকা খেতে হবে। পেশী বা মাংশের ব্যথায় আর্নিকা এক নম্বর ঔষধ। শরীরের কোন একটি অঙ্গের বেশী ব্যবহারের ফলে যদি তাতে ব্যথা শুরু হয়, তবে আর্নিকা খেতে ভুলবেন না। যদি শরীরের কোন অংশে এমন তীব্র ব্যথা থাকে যে, কাউকে তার দিকে আসতে দেখলেই সে ভয় পেয়ে যায় (কারন ধাক্কা লাগলে ব্যথার চোটে তার প্রাণ বেরিয়ে যাবে), এমন লক্ষণে আর্নিকা প্রযোজ্য। আঘাত পাওয়ার কয়েক বছর পরেও যদি সেখানে কোন সমস্যা দেখা দেয়, তবে আর্নিকা সেটি নিরাময় করবে।

Bryonia alb:
মাথা ব্যথা, জয়েণ্টের ব্যথা, হাড়ের ব্যথা, মাংশের ব্যথা, বুকের ব্যথা, বাতের ব্যথা প্রভৃতিতে ব্রায়োনিয়া সেবন করতে পারেন যদি সেই ব্যথা নড়াচড়া করলে বেড়ে যায়। ব্রায়োনিয়ার লক্ষণ হলো আক্রান্ত অঙ্গ যত বেশী নড়াচড়া করবে, ব্যথা তত বেশী বৃদ্ধি পেতে থাকে।

Rhus Tox:
পক্ষান্তরে মাথা ব্যথা, জয়েণ্টের ব্যথা, হাড়ের ব্যথা, মাংশের ব্যথা, বুকের ব্যথা, বাতের ব্যথা প্রভৃতিতে রাস টক্স সেবন করতে পারেন যদি সেই ব্যথা নড়াচড়া করলে কমে যায়। রাস টক্সের লক্ষণ হলো আক্রান্ত অঙ্গ যত বেশী নড়াচড়া করবে, ব্যথা তত বেশী কমতে থাকে। খুব ভারী কিছু উঠাতে গিয়ে কোমরে বা শরীরের অন্য কোন স্থানে ব্যথা পেলে রাস টক্স এক নাম্বার ঔষধ।

Chamomilla:
যদি ব্যথার তীব্রতায় কোন রোগী দিগ্বিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়ে, তার ভদ্রতাজ্ঞানও লোপ পেয়ে যায়, সে ডাক্তার বা নার্সকে পযর্ন্ত গালাগালি দিতে থাকে, তবে তাকে ক্যামোমিলা খাওয়াতে হবে। ক্যামোমিলা হলো অভদ্র রোগীদের ঔষধ।

Colchicum:
কলচিকাম গেটে বাত বা জয়েন্টের ব্যথায় ব্যবহৃত হয়। ছোট ছোট জয়েন্টের বাতে এবং বিশেষতঃ পায়ের বৃদ্ধাঙুলের বাতের ব্যথায় কলচিকাম প্রযোজ্য। কলচিকামের প্রধান লক্ষণ হলো খাবারের গন্ধে বমি আসে এবং আক্রান্ত অঙের জোর/শক্তি কমে যায়।

Hypericum perf:
যেসব আঘাতে কোন স্মায়ু ছিড়ে যায়, তাতে খুবই মারাত্মক ব্যথা শুরু হয়, যা নিবারণে হাইপেরিকাম খাওয়া ছাড়া গতি নেই। শরীরের সপর্শকাতর স্থানে আঘাত পেলে বা কিছু বিদ্ধ হলে হাইপেরিকাম খেতে হবে ঘনঘন। যেমন- ব্রেন বা মাথা, মেরুদন্ড, (পাছার নিকটে) কণ্ডার হাড়ে, আঙুলের মাথায়, অণ্ডকোষে ইত্যাদি ইত্যাদি। (তবে যেসব ক্ষেত্রে পেশী এবং স্নায়ু দুটোই আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে বলে মনে হয়, তাতে আনির্কা এবং হাইপেরিকাম একত্রে মিশিয়ে খেতে পারেন।) আঘাতের স্থান থেকে প্রচণ্ড ব্যথা যদি চারদিকে ছড়াতে থাকে বা খিঁচুনি দেখা দেয় অথবা শরীর ধনুকের ন্যায় বাঁকা হয়ে যায় (ধনুষ্টঙ্কার), তবে হাইপেরিকাম ঘনঘন খাওয়াতে থাকুন।

Ledum pal:
সূচ, আলপিন, তারকাটা, পেরেক, টেটা প্রভৃতি বিদ্ধ হলে ব্যথা কমাতে এবং ধনুষ্টঙ্কার/খিচুনি ঠেকাতে লিডাম ঘনঘন খাওয়ান। অর্থাৎ যেসব ক্ষেত্রে কোনকিছু শরীরের অনেক ভেতরে ঢুকে যায়, তাতে লিডাম প্রযোজ্য। এই ক্ষেত্রে লিডাম ব্যথাও দূর করবে এবং ধনুষ্টংকার হলে তাও সারিয়ে দেবে। চোখে ঘুষি বা এই জাতীয় কোনো আঘাত লাগলে লিডাম এক ঘণ্টা পরপর খেতে থাকুন। বাতের ব্যথায় উপকারী বিশেষত যাদের পা দুটি সব সময় ঠান্ডা থাকে।

Kali b**h:
ক্যালি বাইক্রোম প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা আঙুলের মাথার মতো খুবই অল্প জায়গায় হয়ে থাকে, ব্যথা ঘন ঘন জায়গা বদল করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

Plantago Major:
দাঁত, কান এবং মুখের ব্যথায় প্লানটাগো মেজর এমন চমৎকার কাজ করে যে, তাকে এক কথায় যাদু বলাই যুক্তিসঙ্গত। পত্রিকায় দেখলাম, একজন প্রখ্যাত সাংবাদিকের দাঁতব্যথা সারাতে না পেরে ডেন্টিস্টরা শেষ পযর্ন্ত একে একে তাঁর ভালো ভালো চারটি দাঁতই তুলে ফেলেছেন। আহা। বেচারা ডেন্টিস্টরা যদি প্লানটাগো’র গুণের কথা জানত, তবে প্রবীন এই সাংবাদিকের দাঁতগুলো বেচেঁ যেতো।

Pulsatilla:
পালসেটিলা’র ব্যথার প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করে। আজ এক জায়গায় তো কাল অন্য জায়গায় কিংবা সকালে এক জায়গায় তো বিকালে অন্য জায়গায়।

Lac can:
ল্যাক ক্যান-এর ব্যথার প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা ঘনঘন সাইড/পার্শ্ব পরিবর্তন করে। আজ ডান পাশে তো কাল বাম পাশে কিংবা সকালে সামনের দিকে তো বিকালে পেছনের দিকে।

Bellis perennis:
প্রচণ্ড গরমের সময় অথবা পরিশ্রম করে ঘর্মাক্ত শরীরে আইসক্রিম বা খুব ঠান্ডা পানি খাওয়ার পরে যদি ব্যথা বা অন্য যেকোনও রোগ দেখা দেয়, তবে বেলিস পিরেনিস খাওয়া ছাড়া আপনার মুক্তির কোন বিকল্প রাস্তা নাই।

Mag phos:
ম্যাগ ফস স্মায়বিক ব্যথার এক নম্বর ঔষধ। ইহার ব্যথা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছুড়ি মারা অথবা চিড়িক মারা ধরণের মারাত্মক ব্যথা। আক্রান্ত অঙ্গকে মনে হবে কেউ যেন লোহার হাত দিয়ে চেপে ধরেছে।

Thuja occ:
টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়ার কারণে ব্যথা হলে থুজা খেতে হবে। টিকা নেওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চিড়িক মারা ব্যথা (neuralgia, sciatica) অর্থাৎ স্নায়বিক ব্যথা হয় এবং বার্নেটের মতে থুজা হলো ইহার শ্রেষ্ঠ ঔষধ।

বিঃ দ্রঃ- পোস্ট শেয়ার ও ঔষধের প্রকারভেদ বুঝানোর জন্য ঔষধের নাম আলোচিত করা হয়েছে। তাই সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ লক্ষণ মিলে গেলেও ঔষধগুলো কিনবেন না, অবশ্যই করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। আর পোষ্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্টে ছোট্ট করে একটা Thanks জানাবেন। এতে পোষ্ট শেয়ার করার আগ্রহ জন্মে।

16/05/2023

স্নায়ু তন্ত্র বা নার্ভা সিস্টেম রোগে পরীক্ষা সমূহ ঃ

1. E E G: Electroencephalogram

ইইজি কাদের করা হয়?

ক) খিঁচুনী বা মৃগী রোগীর।
খ) অটিস্টিক বাচ্চাদের।
গ) ডিমেনসিয়া বা জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পাওয়া।
ঘ) এছাড়া ডিজেনেরেটিভ ডিজিজ, মেটাবলিক ডিজিজ এবং নিদির্ষ্ট কিছু ব্রেনের ইনফেকশন এই
E E G পরিক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হয়ে থাকে।

2. N C S: Nerve Conduction Study
স্নায়ু তন্ত্র বা নার্ভা সিস্টেম রোগে পরীক্ষা ঃ
EEG: Electroencephalogram
ইইজি কাদের করা হয়?
ক) খিঁচুনী বা মৃগী রোগীর।
খ)অটিস্টিক বাচ্চাদের।
গ) ডিমেনসিয়া বা জ্ঞান পাওয়া।
NSD:Nerve Conduction Studyএতে কৃত্রিমভাবে simulate করে নার্ভের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়।

3. E M G: Electromyogram মাংশের ইলেক্ট্রিক্যাল ছবি।

EMG পরীক্ষায় মাংসগুলোকে দেখা হয়।
সাধারণত হাত পা ঝিনঝিন করা, অবশ হওয়া, হাত পায়ের বল কমে যাওয়া, চলাফেরায় বা হাঁটা চলায় সমস্যা হওয়া, ব্যালান্স কমে যাওয়া ইত্যাদি।

NCS ও EMG পরীক্ষায় এ রোগগুলি নির্ণয় করা হয়।

16/05/2023

যদিও বাংলা ভার্ষনে এই বিষয়ে আলোচনা বিব্রতকর। অনেকগুলো শারীরিক সমস্যাগুলির কারণে হতে পারে যেমন হরমোনাল, ইউরোজিক্যাল ইত্যাদি।
যদিও একজন পুরুষের সমস্যা সাইকোলজিক্যাল একটা দম্পতি ভীষণভাবে সাফার করে। তার মানে এটা পুরুষের দিক দিয়ে সমস্যা। ব্যবসায়ীক চিন্তা, টাকা লোকসান, বাচ্চা ঠিকমত লেখাপড়া করছে কিনা এতো সব চিন্তা নিয়ে যখন ঘুমাতে যাওয়া হয় তখন এটা একটা কারণ হতে পারে। স্ত্রী হিসেবে আপনার উচিত তাকে সাপোর্ট দেয়া।
এখানে আমাদের মাথায় রাখতে হবে দুর্বলতার সমস্যাগুলোর জন্য ঔষধকে এক নাম্বারে নিয়ে আসি তাহলে আমাদের ভয়াবহ ভুল হবে। এজন্য বলছি এটা শারীরিক ইস্যু থাকে প্রাইমারি যে রোগটা আসে সারতে হবে সেটা যদি হরমোনাল অথবা ইউরোজিক্যাল ইস্যু থাকে। যৌন দুর্বলতা মানেই সরাসরি সেক্সের ঔষধ না। এটা আপনাকে মাদকের মতো অভ্যস্ত করে ফেলবে।
সাধারণত জন্মথেকে কেউ যৌন অক্ষমতা নিয়ে আসে না, এটি অনেকটাই ব্যক্তিগত অর্জন। অমিতাচার, অবৈধ মিলন, প্রেমের নামে ছোট বয়স থেকে কামনা বাসনার তৃপ্তি নিতে মাত্রাতিরিক্ত হস্থমৈথুনের ন্যায় যৌনচার বার্ধক্য যৌন দুর্বলতার অন্যতম কারণ। ছেলে মেয়েদের সারা রাত মোবাইল ম্যাসেজিং, ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ফটো আদান প্রদান, অশ্লীল নাটক, ভিডিও সিনেমা। যৌবনের শুরুতেই মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা নিয়ে চলার কারণে বর্তমানে ছেলে মেয়েরা ত্রিশ-চল্লিশ বছরের মধ্যেই যৌন দুর্বলতার বা ধ্বজভঙ্গের স্বীকার হয়ে পরছে। আর দোষ দিচ্ছে ভেজাল খাদ্য, আবহাওয়ার সমস্যা ইত্যাদি। যৌবনে কিছু সঞ্চয় করে রাখুন বৃদ্ধ বয়সেও অনেক উৎফুল্ল জীবন যাপন করতে পারবেন।
হতাশাগ্রস্ত; কেন জানেন অমিতাচার অনেকটাই দায়ী। সবসময় মোবাইল চালালে যেমন তা গরম হয়ে ওঠে এবং এর দীর্ঘস্থায়ীতা কমে যায়। তেমনি ঘন ঘন যৌনমিলন, যৌন কামনা, হস্থমৈথুন, বীর্যপাত করলে শরীরে নানা প্রকার রোগ দেখা দেওয়াটাই স্বভাবিক। বর্তমানে নগ্নতা ও যৌনতা ফ্যাশনে পরিণত হয়ে গেছে। অথচ যৌনতা একটি প্রয়োজনীয় উপদ্রব। এটি নিয়ন্ত্রিত ভাবে পরিচালনা করলে সত্তর-আশি বছর বয়সেও সক্ষমতা থাকে।

16/05/2023

শীতের শুরুতে বিশেষভাবে লক্ষণীয় একটি রোগ সেটি হচ্ছে সাইনাস, আজকের এই রোগটি সম্পর্কে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
সাইনাসের সমস্যা হলে দেহে জ্বর এবং দুর্বল একটা ভাব অনুভূত হয়। তবে একটু সচেতন হলে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আমরা দেখেছি এই সাইনাস শেষমেষ অপারেশন ছাড়া আর কোন চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। যার কারণে অপারেশনের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তবে হোমিওপ্যাথিতে লক্ষণ সমষ্টির উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

এই রোগটির সঠিক চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হলে। প্রথমে আমাদেরকে এ রোগটির ব্যাপারে জানতে হবে।

সাইনুসাইটিস কি: নাকের চারপাশে হাঁড়ের বাতাসপূর্ণ কুঠুরি থাকে, যেগুলোকে সাইনাস বলা হয়। সাইনুসাইটিস হলো সাইনোসের ব্যাকটেরিয়াজনিত প্রদাহ।

সাইনাসের প্রদাহের কারণ: সাইনাসের প্রদাহের মধ্যে ম্যাগজিলারি সাইনাসের প্রদাহ সবচেয়ে বেশী হয়। একিউট সাইনুসাইটিস ও শ্বাসনালির ওপরের অংশের প্রদাহ, এলার্জি, অপুষ্ঠি, স্যাঁত সেতে পরিবেশে থাকলে, দীর্ঘদিনের দাঁতের রোগ থেকেও প্রদাহ হতে পারে। আবার শ্বাসনালির ছিদ্র সরু হলেও এরকম হতে পারে। তবে বেশিরভাগ সাইনাসের প্রদাহ নাকের প্রদাহ থেকে হয়ে থাকে।
আরেকটি বিষয় সেটি হচ্ছে যারা স্বাভাবিক ঠান্ডা সহজে সহ্য করতে পারে না তাদের ক্ষেত্রে এ রোগটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে আর একমাত্র হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে এই ঠান্ডা সহ্য করার ক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব, যার কারণে পরবর্তীতে সাইনাস থেকে অথবা ঠান্ডা জনিত যেকোনো রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব হয়।

সাইনোসাইটিসের লক্ষণগুলো কী

নাকের পাশে ক্রমাগত ব্যথা, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাব্যথা হতে পারে। এছাড়া সবসময় নাক বন্ধ থাকা, কোনো স্বাদ ও ঘ্রাণ বুঝতে না পারা, সাধারণত বিমর্ষতা, অস্থিরতা ও অনীহা জাগা, মাঝেমধ্যে জ্বর আসার সমস্যা দেখা যায়। মিউকাসের আবরণ পাতলা হয়ে যাওয়া।

নাকের পলিপ
নাকের পলিপ থেকেও সাইনুসাইটিস হতে পারে। নাকের পলিপের উৎপত্তি মূলত নাকের সাইনাসগুলো থেকেই। আর এই পলিপ আসলে সাইনাসের বা নাকের আবরণের একটি অংশ যা দেখতে অনেকটা আঙ্গুর ফলের থোকার মতো।

পলিপ রোগের সাধারণ উপসর্গগুলো কি কি
১. নাক বন্ধ পলিপ রোগীদের প্রধান ও একমাত্র উপসর্গ।
২. ঠাণ্ডাজনিত কারণে নাক বন্ধ প্রকট আকার ধারণ করে।
৩. পলিপ হলে হাঁচি অন্যতম উপসর্গ।
৪. নাক থেকে প্রায়ই পুঁজ বা পানি নির্গত হওয়া।
৫. প্রায়ই মাথাব্যথা করা।
৬. নাক ব্যথা বা মুখমণ্ডলে ব্যথা অনুভব করা।
৭. নাকের পিছনে ময়লা অনুভব করা, যা নাক টানলে কালো কালো পদার্থ বের হয়।
৮. খুশখুশে কাশি, বার বার গলা পরিষ্কার করার চেষ্টা।
৯. নাক থেকে দূর্গন্ধ বের হতে পারে, নাকে কথা কথা হবে।
১০. হা করে বা মুখ খুলে ঘুমানো বা শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া, নাকডাকা ইত্যাদি।

হোমিও প্রতিবিধান:
একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক রোগীর সম্পূর্ণ লক্ষণসমূহ সংগ্রহ করে চিকিৎসা করলে হোমিওপ্যাথিতে সাইনাসের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
আবার ইদানীং অনেক হোমিও চিকিৎসক বের হয়েছে নিজেদেরকে ক্লাসিক্যাল হোমিওপ্যাথি বলে। রোগীদেরকে বিভিন্ন ক্যামিকেল,এসিড দিয়ে,অপ হোমিপ্যাথি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এই ধরনের চিকিৎসার কারণে জটিল আকার বা সমস্যা হতে পারে।
যেহেতু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা লক্ষণ ভিত্তিক সেহেতু লক্ষণের ভিত্তিতে চিকিৎসা করা বাঞ্ছনীয়।
লক্ষণের উপর বৃদ্ধি করে যেসব ওষুধ খুব বেশি গুরুত্বের সহিত ব্যবহৃত হয় তার কয়েকটি দেওয়া হল।
Nux Vom, Tuberculin, Lamna M, Calcarea Carb, Psorinum, Thuja O., Arsenic Alb, Arsenic Iod, Natrium Sulp., Shulper, Tucrium. etc
তাছাড়া এই শীতে পারে বাঁশিতে শুরুতে বারেন তারা বিশেষ করে
Arsenic alb, Arsenic Iod, Heper sulphur, Natrium Sulp, Psorinumn বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আরো অনেক মেডিসিন লক্ষণের উপর আসতে পারে। তাই ঔষধ নিজে নিজে ব্যবহার না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সর্বশেষ সকলের উদ্দেশ্যে আমার পক্ষ থেকে পরামর্শ হচ্ছে। যদি আপনারা কেউ সাইনাসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে পারেন, যা বিনা অপারেশনে আপনাকে দিতে আরোগ্যদান করবে ইনশাআল্লাহ।।

16/05/2023

ইস্তেগফার

আপনি কি এমন ব্যক্তি হতে চান??
যে ব্যক্তি কোনো দোয়া করার সাথে সাথেই কবুল হয়ে যায়।

তাহলে উঠতে বসতে চলতে ফিরতে সবসময় পড়ুন 'আস্তাগফিরুল্লাহ'

তবে আপনি আসলে কি পড়তেছেন তার অর্থ বুঝে পড়বেন। অর্থ না জানলে আপনি কিভাবে বুজবেন আপনি কোন বিষয়টা আল্লাহর কাছে তুলে ধরলেন। তাই যা পড়েন তার অর্থ জানা আবশ্যক।

'আস্তাগফিরুল্লাহ' অর্থ আল্লাহ আমাকে তুমি ক্ষমা করো।
শয়তান আমাদেরকে সবসময় বলে,,

হে মানুষ
তুই নামায রোযা হজ্জ্ব যাকাত সব কর। যত পারোস তাসবীহ পড়। কিন্তু প্লিজ তুই 'আস্তাগফিরুল্লাহ' এই তাসবীহ টা কখনই পড়িস না।
এর কারন কি জানেন??

কারন 'আস্তাগফিরুল্লাহ' এর আরেকটা ব্যাখ্যা হলো এটা একটা 'রাবার'
যাকে বলে 'লিখা মুছার ডাস্টার'
আমরা যতবার 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পড়ব ততবারই আমাদের পাপের খাতা থেকে একটা পাপ মুছে ফেলা হবে।

তাহলে আমরা যদি প্রতিদিন এক হাজার বার 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পড়ি তাহলে আমাদের এক হাজার টা পাপ মুছে ফেলা হবে। এভাবে প্রতিনিয়ত 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পরতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই আমরা সম্পুর্ণ নিষ্পাপ হয়ে যাবো

একটা সময়ে এসে ফেরেশতারা আল্লাহকে বলবে হে আল্লাহ_
তুমার এই বান্দা এতবারই 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পাঠ করেছে যে,,এখন আর কোনো পাপই লেখা নেই খাতায়। সব পাপ মুছে ফেলা হয়ে গেছে। কিন্তু বান্দা এখনও 'আস্তাগফিরুল্লাহ' পড়তেই আছে। এখন তাহলে কি করব আমরা।

তখন আল্লাহ বলবেন
খাতার মধ্যে প্রতিটা লিখার যে দাগ গুলা রয়ে গেছে সেগুলা মুছে দাও।

আরেকটা সময়ে ফেরেশতারা আবার বলবে হে আল্লাহ দাগ মুছাও শেষ। এখন কি করব।
আল্লাহ তখন বলবেন,, এবার তাহলে একটা 'আস্তাগফিরুল্লাহ' এর পরিবর্তে একটা সওয়াব তার আমলনামায় লিখে রাখো।সুবহানআল্লাহ,,,
এবার নিশ্চই বুজতে পেরেছেন এই 'আস্তাগফিরুল্লাহ' এর ক্ষমতা কতটুকু,, শয়তান যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা।

তবে শর্ত আছে

পুনরায় আর কখনও ঐসব পাপ করা যাবেনা,, যা আপনি তওবা করে ছেড়ে দিয়েছেন। আপনি বারবার ক্ষমা চাইবেন আবার বারবারই পাপ করবেন এটা আল্লাহ একছেপ্ট করবেনা।

আল্লাহর সাথে ফাজলামি চলেনা। তাই যদি পরিপুর্ন ভাবে তওবা করতে পারেন তাহলেই আপনার সব দোয়া কবুল হবে।
এর আগে আপনার দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

শুধুমাত্র বাথরুম বাদে বাকি সবসময় আপনি এই তাসবীহ টি যিকির করবেন। যখনি মনে পড়বে তখনি পড়বেন।

সবরকম হারাম কাজ থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখবেন। তাহলেই আপনি 'মুস্তাযাবুদ দাওয়া' হতে পারবেন

16/05/2023

ডিপথেরিয়া
Diptheria

ডিপথেরিয়া একটি জীবাণু ঘঠিত ব‍্যাধি।

ব‍্যাসিলাস ডিপথেরিয়া বা করিনি ব‍্যাকটেরিয়াম ডিপথেরিয়া নামক জীবাণু দ্বারা ইহা সংঘটিত হয়।
ইহা একটি ছোঁয়াচে ব‍্যাধি।
ছোঁয়াচ লাগিবার ৬ / ৭ দিনের মধ্যে ইহা প্রকাশ পায়। এই রোগ আক্রান্ত ব‍্যক্তির থুথু কণার সহিত জীবাণু থাকে বলিয়া থুথুর মাধ্যমেই ইহা ছড়াইয়া পড়ে।
বয়স্ক লোকদেরও এই রোগ হইতে দেখা যায়।

গলার মধ্যেই এই রোগ অধিক হয়। তবে গলার অভ‍্যন্তর ভাগের পিছনের দিকে ল‍্যারিংস, নাক মধ্য কান প্রভৃতি স্হানেও ইনফেকশন হইয়া থাকে।

এই রোগ জীবাণু ঐ সকল স্হানে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং টক্সিন নামক এক প্রকার পদার্থ তৈয়ারী করিয়া সর্ব শরীরে ছড়াইয়া দেয়।

তালুমূল বা গলায় রোগ জীবাণু প্রদাহের সৃষ্টি করিলে ঐ স্হান হইতে রস নিঃসৃত হয় এবং পরে উহা জমিয়া একটা পদার্থ সৃষ্টি করে।

ইহা গলার দেয়াল, আলাজিহ্বা, নাক ও কনঠনালীতে হইতে পারে।

কিন্তু টনসিলাইটিজের শুধু টনসিলে সাদা পুঁজের ন‍্যায় ডিপথেরিয়া
Diptheria

ডিপথেরিয়া একটি জীবাণু ঘঠিত ব‍্যাধি।

ব‍্যাসিলাস ডিপথেরিয়া বা করিনি ব‍্যাকটেরিয়াম ডিপথেরিয়া নামক জীবাণু দ্বারা ইহা সংঘটিত হয়।
ইহা একটি ছোঁয়াচে ব‍্যাধি।
ছোঁয়াচ লাগিবার ৬ / ৭ দিনের মধ্যে ইহা প্রকাশ পায়। এই রোগ আক্রান্ত ব‍্যক্তির থুথু কণার সহিত জীবাণু থাকে বলিয়া থুথুর মাধ্যমেই ইহা ছড়াইয়া পড়ে।
বয়স্ক লোকদেরও এই রোগ হইতে দেখা যায়।

গলার মধ্যেই এই রোগ অধিক হয়। তবে গলার অভ‍্যন্তর ভাগের পিছনের দিকে ল‍্যারিংস, নাক মধ্য কান প্রভৃতি স্হানেও ইনফেকশন হইয়া থাকে।

এই রোগ জীবাণু ঐ সকল স্হানে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং টক্সিন নামক এক প্রকার পদার্থ তৈয়ারী করিয়া সর্ব শরীরে ছড়াইয়া দেয়।

তালুমূল বা গলায় রোগ জীবাণু প্রদাহের সৃষ্টি করিলে ঐ স্হান হইতে রস নিঃসৃত হয় এবং পরে উহা জমিয়া একটা পদার্থ সৃষ্টি করে।

ইহা গলার দেয়াল, আলাজিহ্বা, নাক ও কনঠনালীতে হইতে পারে।

কিন্তু টনসিলাইটিজের শুধু টনসিলে সাদা পুঁজের ন‍্যায় পাতলা আবরণী দেখা যায়।

টনসিলাইটিজের সহিত ইহার ভূল হইতে ডিপথেরিয়া
Diptheria

ডিপথেরিয়া একটি জীবাণু ঘঠিত ব‍্যাধি।

ব‍্যাসিলাস ডিপথেরিয়া বা করিনি ব‍্যাকটেরিয়াম ডিপথেরিয়া নামক জীবাণু দ্বারা ইহা সংঘটিত হয়।
ইহা একটি ছোঁয়াচে ব‍্যাধি।
ছোঁয়াচ লাগিবার ৬ / ৭ দিনের মধ্যে ইহা প্রকাশ পায়। এই রোগ আক্রান্ত ব‍্যক্তির থুথু কণার সহিত জীবাণু থাকে বলিয়া থুথুর মাধ্যমেই ইহা ছড়াইয়া পড়ে।
বয়স্ক লোকদেরও এই রোগ হইতে দেখা যায়।

গলার মধ্যেই এই রোগ অধিক হয়। তবে গলার অভ‍্যন্তর ভাগের পিছনের দিকে ল‍্যারিংস, নাক মধ্য কান প্রভৃতি স্হানেও ইনফেকশন হইয়া থাকে।

এই রোগ জীবাণু ঐ সকল স্হানে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং টক্সিন নামক এক প্রকার পদার্থ তৈয়ারী করিয়া সর্ব শরীরে ছড়াইয়া দেয়।

তালুমূল বা গলায় রোগ জীবাণু প্রদাহের সৃষ্টি করিলে ঐ স্হান হইতে রস নিঃসৃত হয় এবং পরে উহা জমিয়া একটা পদার্থ সৃষ্টি করে।

ইহা গলার দেয়াল, আলাজিহ্বা, নাক ও কনঠনালীতে হইতে পারে।

কিন্তু টনসিলাইটিজের শুধু টনসিলে সাদা পুঁজের ন‍্যায় পাতলা আবরণী দেখা যায়।

টনসিলাইটিজের সহিত ইহার ভূল হইতে পারে।

16/05/2023

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা সমন্ধে জেনে নেই। সাথে কোন টেস্ট কেন করা হয়।

১. CBC - Complete blood count.
একটা ভাল অ্যানালাইজারে অর্থাৎ বড় বড় ডায়াগনস্টিক ল্যাবগুলো যে রিপোর্ট দেয়।
-জ্বর হলে, কোন কারণে জ্বর হচ্ছে তার একটা আইডিয়া নেয়ার জন্য (Widal Test Typhoid আছে কিনা তার ধারণা নেওয়ার জন্য করা হয়। রোগীদের পরিচিত টেস্ট widal এক্ষেত্রে Blood culture টেস্ট। কিন্তু সেটা করার সুযোগ খুব কম।
-শরীরে রক্তের পরিমাণ কেমন আছে।
-রক্তের ঘাটতি থাকলে সেটা আয়রণ বা ভিটামিনের অভাবে কিনা তার একটা ধারণা পাওয়া যায় বা অন্য আরো অনেকগুলো কারণ আছে রক্তশূন্যতার সেইসবের ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়। (তার উপর ভিত্তি করে PBF/Iron profile থেকে শুরু করে Hb Electrophoresis সহ Bone marrow biopsy পর্যন্ত করা লাগতে পারে। অনেক সময় পাকস্থলীতে আলসার হলে বা কোলন ক্যান্সার হলে রক্ত কমে যায় তখন Stool for OBT ও করা হয় প্রাথমিক টেস্ট হিসেবে। তারপর Endoscopy/Colonoscopy পর্যন্ত করা হয়। এক কথায় একটা রক্তের পরীক্ষার উপর ভিত্তি করেই অনেকদূর এগোতে হয়।
-অ্যালার্জি কেমন শরীরের ভেতর তার একটা ধারণা পাওয়া যায় ( S. IgE নামক টেস্ট ও দেয়া হয়।
-ইনফেকশান বা প্রদাহ কেমন পরিমাণ তার ধারণা পাওয়া যায়।
-রক্ত জমাট বাধানোর উপাদানের পরিমাণ কেমন তা জানা যায়। (যেমন ডেংগু হলে Platelet কমে যায় অর্থাৎ রক্তপাত হবার প্রবণতা বেড়ে যায়। Dengue হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য Dengue NS1 কিংবা ICT for Dengue IgM/IgG test ও করা হয়।
-ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে কিনা তার ব্যাপারে ধারণা দেয়
ইত্যাদি।

২. Urine RME - প্রসাবের পরীক্ষা।
-ইনফেকশান কেমন আছে।
-সুগার বা গ্লুকোজ যায় কিনা, ডায়াবেটিস আছে কিনা।
-প্রোটিন যায় কিনা, কিডনির কোন সমস্যা বুঝতে।
-রক্ত যায় কিনা।
-কিডনির ক্যান্সার বা পাথর আছে কিনা তার ধারণা পাওয়া যায় ইত্যাদি।

৩. RBS - Random blood sugar.
ডায়াবেটিস আছে কিনা সেই ব্যাপারে ধারণা নেয়ার প্রাথমিক টেস্ট (আদর্শ টেস্ট হলো FBS আর HbA1C%).

৪. Serum Creatinine.
যেসব রোগ বা অবস্থায় কিডনির সমস্যা হতে পারে তার ব্যাপারে একটা ধারণা নেয়ার জন্য। (প্রেশার বা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বাধ্যতামূলক একটা টেস্ট। ব্যথার ঔষধ দেয়ার আগেও এই পরীক্ষা করে নেয়া উচিত)।

৫. Lipid Profile.
রক্তে চর্বির কি অবস্থা বোঝার জন্য (খুবই গুরত্বপূর্ণ একটা টেস্ট কেননা রক্তে চর্বি বেশি হলে হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেইন স্ট্রোক কিংবা লিভার ড্যামেজ অথবা প্যাঙ্ক্রিয়াটাইটিস এর মত মরণঘাতী ব্যাপার ঘটে। কাজেই যাদের হাই প্রেশার বা ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য বছরে অন্তত একবার এই চেইক আপ বাধ্যতামূলক বলেই মনে করি)।

৬. S. Bilurubin.
জন্ডিসের কি অবস্থা তার একটা ধারণা নেয়ার জন্য প্রাথমিক টেস্ট। কারো জন্ডিস হলে আরো কতগুলো পরীক্ষা একদম বাধ্যতামূলক বলা যায়। কোন ভাইরাস দিয়ে হচ্ছে তা বোঝার জন্য Anti HAV IgM/Anti HEV IgM/HBsAg/Anti HCV সহ Prothombin Time/PT, ALP, SGPT/SGOT, Ultrasound এসব সহ অন্যান্য টেস্ট লাগতে পারে। কেন লাগে? কারণ একেক ভাইরাসের জটিলতা একেক রকম এবং সেসব ক্ষেত্রে ট্রিটমেন্ট একেক রকম।
যেমন: Hepatitis B কিংবা Hepatitis C হলে Liver cirrhosis সহ ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। Hepatitis A বা E দিয়ে হলে রেয়ার কেইসে Liver failure হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। সুতরাং সবগুলো চেইক করে নেয়া উচিত।
SGPT/SGOT- লিভার কতটুকু ক্ষতিগ্রস্থ তা বোঝা যায়, অর্থাৎ লিভার ভাল আছে কিনা। বাইরের দেশগুলোতে ঔষধ দেয়ার আগে এই টেস্ট করা হয়। কেননা প্রায় প্রতিটি ঔষধ ই যেহেতু লিভারের উপর কাজ করে তাই লিভারের ফাংশানটা আগে দেখে নেয়া হয়।
Ultrasound- জন্ডিসের কারণে লিভারে প্রদাহ হলে লিভার বড় হয়ে যায়, কতটুকু বড় হলো তা দেখার জন্য।
PT- লিভারের সমস্যার কারণে রক্তপাত হবার সম্ভাবনা কতটুকু তা বোঝার জন্য।

৭. Serum Electrolytes.
আপনি একটা কিছু রান্না করতেছেন তখন যদি লবণ বা মসলা গুলো পরিমাণ মত না হয় তাহলে কি খাবারের স্বাদ ঠিক থাকবে? নিশ্চয়ই না। তেমনি আমাদের শরীরে রক্তে কতগুলো উপাদান আছে যেমন Sodium, Potassium, Chloride, Bi Carbonate এইগুলা যদি ঠিকমতো না থাকে তাহলে সমস্যা দেখা যায় যেমন শরীর প্রচন্ড দুর্বল হয়ে যায় কিংবা অজ্ঞান হয়ে যায়, খিচুনি হয়, রোগী চারপাশে কি হচ্ছে সেই ব্যাপারে confused থাকে ইত্যাদি। (যেমন অনেক বেশি বমি বা ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটা করানো উচিত)।

৮. Serum TSH/ T3/ T4.
হরমোন খুব গুরত্তপূর্ণ শরীরের ঠিকমতো কাজ করার জন্য। একটা উপাদান এইদিক ওইদিক হলে ঝামেলা শুরু হয়। এটা অনেক বিস্তারিত বিষয় তাও ছোট্ট করে বলি অনেকের গরম ই সহ্য হয়না, হাত পা অনবরত ঘামে, বুক ধড়ফড় করে। অনেকের আবার ঠান্ডা সহ্য হয়না, গরমের দিনেও গরম লাগেনা তেমন, শরীর ফুলে যায়। গলা ফুলা অর্থাৎ কিংবা অন্যান্য থায়রয়েডের সমস্যা দেখার জন্য এই টেস্ট করা হয়।

৯. Serum Uric Acid, CRP.
বাত ব্যথার রোগীদের জন্য দেয়া হয়। যেমন রক্তে Uric acid এর পরিমাণ বেশি থাকলে গেটে বাত হতে পারে। SLE বাদে বেশিরভাগ বাত ব্যথাতেই CRP বাড়ে।

১০. Serum Testesterone, S. FSH, S. LH, S. Prolactin
কারো যৌন সমস্যা থাকলে কিংবা বাচ্চা না হলে অথবা মেয়েলী ভাব দেখা দিলে, মাসিকে সমস্যা থাকলে সাধারণত এইসব টেস্ট দেয়া হয়।

১১. BT/CT (bleeding time/Clotting time).
রক্তরোগ যেমন রক্ত জমাট বাধেনা কিংবা অল্পতেই রক্ত বেড়োতেই থাকে এমন সমস্যার ব্যাপারে ধারণা দেয়।

১২. ECG.
হার্টে কোন সমস্যা আছে কিনা তার প্রাথমিক ধারণা নেয়ার জন্য। কাজেই বুকে ব্যথা হলেই এইটা করা উচিত পরে ETT বা Echo ও করা যেতে পারে।

১৩. একজন অপারেশন এর রোগীর জন্য কিছু routine test যেমন CBC/Urine RE/ECG/Chest Xray/HBsAg/Anti HCV/RBS/BT/CT ইত্যাদি এইসব করা হয়। একটা রোগীকে অজ্ঞান করা হবে। অজ্ঞান করানোর পর জ্ঞান ফিরবে কিনা সেই ব্যাপারে আইডিয়া নেয়ার জন্য তার আগে শরীর চেইক আপ করে নিতে হয়। অনেকে ভুল বোঝে, ভাবে সমস্যা মূত্রথলির ওইখানে (প্রোস্টেটে), সেটা অপারেশন করতে হার্ট দেখা লাগবে কেন? অনেক রোগী আছে যার ECG করতে গিয়ে heart block পাওয়া যায়, পরে সেই রোগীর হার্টে পেইস মেকার বসানো হয়, রোগীর লোকজনের অভিযোগ " সমস্যা প্রসাবের, হার্টে পেইস মেকার বসাইলো কেন! শালারা ডাক্তার অর্থলোভী কসাই! " মানে রোগীর উপকার করতে গিয়ে উল্টো গালিগালাজ খাওয়া লাগে।

১৪. একটা গর্ভবতী মহিলার জন্য CBC/Urine RE/S.TSH/Ultrasound/RBS/HBsAg/Anti HCV/VDRL/Blood grouping ইত্যাদি এসব টেস্ট বাধ্যতামূলক কেননা Diabetes বা থায়রয়েডের সমস্যা থাকলে বাচ্চার জন্য অনেক ঝামেলার, বিশেষ করে বাচ্চা ঘনঘন abortion এর অন্যতম কারণ Thyroid এর সমস্যা। আর মায়ের শরীরে কিছু রোগ থাকলে তা বাচ্চার শরীরেও সংক্রমিত হতে পারে তাই সেগুলো চেইক করা হয়।

১৫. একজন ডায়াবেটিস বা হাই প্রেশারের রোগী যেসব টেস্ট প্রতি বছর করা উচিত সেইগুলা হলো।
CBC/Urine RE/S. Creatinine/Lipid Profile/ECG সহ চোখটাও পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত কেননা ডায়াবেটিস এবং হাই প্রেশার হচ্ছে নীরব ঘাতক কারণ ব্রেইন, হার্ট, কিডনি, চোখ, পা এসবের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে মৃত্যু ডেকে আনে।

16/05/2023

গোনাহ_থেকে_বাঁচুন, এক বার হলেও পড়ুন,
লজ্জা নয় জানতে হবে।
বিয়ের আগে না জানার কারণে, ছেলে ও মেয়ে এক বদ অভ্যাসে জড়িয়ে পড়ে। আমাদের স্কুল/ কলেজগুলোতে
সব বিষয়ে বলা হলেও এই বিষয়ে বলা হয় না বললেই চলে
তাই এই বিষয়ে না জানার কারণে অধিকাংশ ছেলে ও মেয়ে নিজের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে
জরীপ করে দেখা গেছে বর্তমানে অবিবাহিত ছেলেদের মধ্য হতে ৮৫% আর মেয়েদের মধ্য হতে ৬৫%
এই বদ অভ্যাসে জড়িত।
যেটাকে আরবীতে বলা হয় 👉আননিকাহু বিল ইয়াদী
অর্থাৎ (হাতের সাথে বিবাহ করা) ইংরেজীতে বলা হয় Ma********on আর শুদ্ধ বাংলায় বলা হয় হস্তমৈথুন।
যেটাকে নবীজি (সাঃ) হারাম বলেছেন। আর এই কাজের শাস্তি অত্যন্ত ভয়ানক এটা করার কারণে, কিয়ামতের দিন আঙ্গুলের পেটগুলো থেকে বাচ্চা অর্ধেক বের হয়ে থাকবে। বাকিটা ফেরেশতারা টেনে বের করবেন😭😭
অন্য আরেক জাগায় বলা হয়, এটা করার কারণে যে
semen বাহির হয়, কোন কোন ডাক্তার বলে থাকেন, একবারের semen এ ২০ লক্ষ শুক্রাণু থাকে। সেই শুক্রাণুগুলো থেকে একটি ডিম্বাশয়ে গিয়ে বাচ্চার জন্ম হয়। তো এই অপচয়ের কারণে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন বলবেন, এই শুক্রাণুগুলোর জীবন দাও!
যখন দিতে পারবে না। তখন তাকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে
এটা তো গেল মৃত্যুর পরের কথা। কিন্তু যদি কেউ এটা ছাড়তে না পারে, তবে তাকে দুনিয়াতে অনেক পস্তাতে হবে
এটা করার কারণে ছেলেরা যেই সমস্যার সম্মুখীন হবে।
👉বিয়ে করতে পারবে না।
👉বিয়ে করলেও স্ত্রীর হক আদায় করতে পারবে না।
👉 semen এ যে শুক্রাণু রয়েছে তা শেষ হয়ে যাবে। যার ফলে সন্তানের বাবা হতে পারবে না।
👉p***s অস্বাভাবিক মোটা/চিকন হয়ে যাবে।
👉semen একেবারে পাতলা হয়ে যাবে। যার ফলে প্রস্রাব করতে গেলে আগে/পরে semen বেরিয়ে আসবে।
👉 p***s লুজ হয়ে যাবে, যার ফলে দৌড় দিলেও প্রস্রাব বেরিয়ে আসবে।
🎆মেয়েরা যেই সমস্যার সম্মুখীন হবে🎆
👉বিয়ের পর স্বামী সন্দেহ করবে যে, বিয়ের আগে কোন পুরুষের সাথে রাত কাটিয়েছে। কেননা এর দ্বারা সতীচ্ছদ নষ্ট হয়ে যায়।
👉period অস্বাভাবিক হয়ে যাবে।
👉বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
👉vagina পথ লুজ হয়ে যাবে। যা স্বামীর অসন্তুষ্টের কারণ হবে।
🎇আর ছেলে ও মেয়ে উভয়ের যেই সমস্যাগুলা হবে
👉হাঁটু, হাত, পায়ের গিড়ায় গিড়ায় ব্যথা করবে।
👉মাথা, কমড়ে ব্যথা করবে।
👉অল্প বয়সে যৌবন শেষ হয়ে যাবে।
👉হাঁটুতে ভর করে দাঁড়াতে কষ্ট হবে।
👉চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে।
👉রক্ত উৎপাদনের যেই মেশিন রয়েছে তা দূর্বল হয়ে যাবে। ফলে রক্ত উৎপাদন কমে যাবে।
👉কিডনি দূর্বল হয়ে যাবে, ফলে প্রস্রাবে সমস্যা হবে।
👉মোট কথা শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ দূর্বল হয়ে যাবে।
👉Absence of s*x power (যৌন দূর্বলতা) এই রোগে ভুগতে হবে।
🎇এই গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়🎇
👉কোন পর্ণগ্রাফি/ব্লুফিল্ম না দেখা।
👉সবসময় নিজেকে কোন কাজে ব্যস্ত রাখা।
👉একা এক রুমে না থাকা।
👉কোন খারাপ চিন্তা মনে আসতে না দেওয়া।
👉সবসময় অজু অবস্থায় থাকা।
👉খারাপ কোন চিন্তা আসলে সাথে সাথে ইস্তেগফার পড়া।
👉টয়লেটে বেশীক্ষণ না থাকা।
👉যখন বেশী উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, দু'রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।🤲
👉সর্বাপেক্ষা বড় সমাধান হলো বিয়ে করা।
সবার জন্য দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা যেন সবাইকে এই গুনাহ থেকে হেফাজত করেন।
🌺🌺---------আমিন-----🌼🌼

16/05/2023

গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ করে দুইটা চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায় সেটা হচ্ছে,,
ডেলিভারি নরমাল হবে তো, নাকি সিজার করতে হবে ?
বাচ্চা সুস্থ থাকবে তো?
:-) যদি আপনার বড়সড় কোন জটিলতা না থাকে, তবে গর্ভাবস্থায় কিছু নিয়মকানুন মেনে ও নিরাপদ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহন করলে ইনশাআল্লাহ আপনার নরমাল ডেলিভারি হবে ও বাচ্চা সুস্থ থাকবে।

আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলের নরমাল ডেলিভারির জন্য একমাত্র নির্বরতা হচ্ছে হোমিওপ্যাথিক। নরমাল ডেলিভারির হোমিও চিকিৎসা জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অনেকেই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে কষ্টকর ডেলিভারীর থেকে মুক্তি মিলছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রশংসা ও কুঁড়িয়েছে যথেষ্ট। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারদের ভুলের কারণে হোমিওপ্যাথির মানহানি হয়েছে এর জন্য হোমিওপ্যাথিক দায়ী নয়,, এটার জন্য অদক্ষ চিকিৎসকের চিকিৎসা দায়ী।

নরমাল ডেলিভারিতে হোমিও চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসকদের কিছু বিষয়ে নজর দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে।

একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের প্রতি গভীর নজর দিয়ে অবলোকন করতে হবে তার মধ্যে কোনো জটিলতা (Risk Mother) রয়েছে কি না।।
বিশেষ করে যেসব গর্ভবতী মা (৫ ফুটের কম) বা খাটো প্রকৃতির হয়ে থাকে তাদেরকে ঝুঁকির আওতায় রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে ঔষধ দেয়ার আগে বিবেচনা করতে হবে। এছাড়া প্লাসেন্টা জরায়ুর কোন অংশে ইমপ্লান্টেশন হয়েছে অথবা অবস্থান করছে সেটা আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে হবে। প্লাসেন্টা যদি জরায়ুর এন্টরিওর, পস্টোরিয়র, ও ফান্ডাল অংশে ( ইমপ্ল্যান্ট) অথবা অবস্থান করে তাহলে হোমিও ওষুধ লক্ষণ অনুসারে সহজ ভাবে প্রয়োগ করা যাবে।

আর যদি Placenta previa, Placenta accreta অবস্থায় নরমাল ডেলিভারী করানো ঝুঁকিপূর্ণ। এই অবস্থায় হোমিও ওষুধ খুব সাবধানে দিতে হবে। এবং স্বাভাবিক অবস্থায় না আসিলে নরমাল ডেলিভারির ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।
Placenta previa-য় ডেলিভারীর সময় বাচ্চা ডেলিভারীর পূর্বেই গর্ভফুল জরায়ু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বাচ্চার hypoxia (অক্সিজেনের ঘাটতি) দেখা দিবে এবং মৃতবাচ্চা প্রসব হতে পারে।
আর Placenta accrete-য় গর্ভফুল জরায়ুর দেয়ালে গভীরভাবে লেগে থাকার কারণে ডেলিভারীর পর অধিক রক্তক্ষরণের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
এরপর দেখতে হবে amniotic fluid-এর পরিমান সাধারণত ২৮সপ্তাহের পরে ৪০০-৫০০মিলি থাকা জরুরী। এর কম হলে নরমাল ডেলিভারীতে ঝুঁকি থাকে। তবে শুরু থেকে হোমিও ওষুধের আওতায় থাকলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা স্বাভাবিক রাখতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসবের প্রতি একজন হোমিও চিকিৎসক কে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

Cephalo-Pelvic disproportion-এ মায়ের পেলভিসের চেয়ে বাচ্চার মাথা বড় থাকে, যার ফলে ডেলিভারীর সময় বাচ্চার মাথায় আঘাত পেয়ে প্রতিবন্ধি হতে পারে এবং মায়ের VVF দেখা দিতে পারে। যদি গর্ভবতী মাকে তিন, অথবা চার মাস গর্ভকালীন সময় থেকে কিছু মায়জমেটিক ঔষধ উচ্চ শক্তি (1M) প্রয়োগ করলে এই ধরনের জটিলতা দেখা যায় না। তাই ডেলিভারির সময় এসকল বিষয়গুলো আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে নরমাল ডেলিভারির আওতায় আছে কিনা তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ডেলিভারির পরে মাথায় আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে অবশ্যই Arnica Mont অথবা Hyporicum বিবেচনায় রাখতে হবে।

⚪ সকল বিষয় বিবেচনা করে যখন দেখা যাচ্ছে নরমাল ডেলিভারীতে বাচ্চা এবং মায়ের জন্য ঝুঁকির সম্ভাবনা নেই তখন লক্ষণ অনুসারে এবং রোগীর অবস্থা অনুসারে নিম্নবর্ণিত ওষুধসমূহ প্রয়োগ করতে পারেন। এছাড়া লক্ষণ অনুসারে আরো ওষুধ আসতে পারে। যার কারণে একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ছাড়া নিজ দায়িত্বে ওষুধ গ্রহণ করা ঠিক হবে না।
⚪ # অসম্পূর্ণ প্রসব বেদনারঃ কলোফাইলাম, সিমিসিফুগা, জেলসিমিয়াম ইত্যাদি। # প্রকৃত প্রসব বেদনায় পালসেটিলা, কলোফাইলম, ইগ্নেসিয়া, ভাইবর্ণম প্রু ইত্যাদি। # জরায়ুর মুখ শক্ত হলে ঃ সিমিসিফুগা, বেলেডোনা। # ঘিনঘিনে বেদনার সদৃশ ঔষধ ঃ সিকেলি কর। # উড়ো বেদনায় ঃ কলোফাইলম। # পেটে বেদনার ঃ সিমিসিফুগা, ভাইবর্ণম প্রু ইত্যাদি। # প্রসববেদনার সাথে মুর্ছা–সিমিসিফুগা,পালসেটিল # প্রসব বেদনার সহিত আক্ষেপ ঃ বেলেডোনা, জেলসিমিয়াম, গ্লোনইন, হাইওসিয়েমাস, সিকেল, স্ট্র্যামোনিয়াম, সিকুটা, কুপ্রাম ইত্যাদি। # মনে হতে থাকে ছেলে যেন আড়াআড়িভাবে শুইয়া আছে–আর্নিকা # ব্যথায় চিৎকার করিতে থাকে,গালাগালি দিতে থাকে ক্যামোমিল। # প্রসবের পূর্বে বা পরে রক্তস্রাব আর্নিকা, বেলেডোনা, ক্যামোমিলা, চায়না, ইপিকাক, ফসফরাস ইত্যাদি।
⚪ প্রসব কার্য সহজ করতে ব্যবহৃত কিছু ঔষধ লক্ষণ অনুসারে দেওয়া হল।
# সিকেলি কর :জরায়ূর মুখ খুলিয়াছে কিন্তু বেদনার জোর না থাকায় প্রসবে বিলম্ব হলে সদৃশ ঔষধ সিকেলি কর ২০০ শক্তির এক ঘন্টা পরপর দুই মাত্রা।জরায়ূর মুখ না খুললে এই ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না,সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
# কলোফাইলাম ঃজরায়ূর মুখ শক্ত বেদনা ক্ষীণ,ঘিনঘিনে,আক্ষেপিক,সবিরাম,উড়ো বেদনা,বেদনা একবার এখানে একবার ওখানে ঘুরিয়া বেরায় এই লক্ষণ সমষ্টিতে কলোফাইলম উপযোগী।
# কফিয়া ঃঅত্যন্ত বেদনা,পনঃপুনঃবলে প্রসব করিতে পারিব না আর সহ্য করতে পারছি না রোগী কান্না করিতে থাকিলে কফিয়া উপযোগী।
# পালসেটিলা ঃঅনিয়মিত বেদনা,মাঝে মাঝে বেদনা কমে বারে,কখনও বেদনা থাকে না। বেদনার জোর না থাকায় প্রসবে বিলম্ব হলে পালসেটিলা উপযোগী।
# জেলসেমিয়াম ঃজরায়ূর মুখ শক্ত,মোটা,অনেক্ষণ বেদনা হয়েও জরায়ূর মুখ খোলেনা,বেদনা নিচের দিকে না গইয়া উপর দিকে ঠেলা মারে, জরায়ূ বেশ ফোলাভাব ও নরম দেখায়,পানিমুচি জরায়ূর মুখেই আটকাইয়া থাকিলে জেলসিমাম প্রয়োজনীয় ঔষধ।
# বেলেডোনা ঃজরায়ূর মুখ শক্ত,বেদনা হঠাৎ আসে হঠাৎ নিবৃত্তিহয়।
⚪ প্রসব বেদনা শুরু থেকে শেষ পর্য্ন্ত সকল পর্যায়ে ঔষধ নির্বাচনে দক্ষতার প্রয়োজন। ঔষধের মাত্রা ও শক্তি গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন দক্ষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ছাড়া নিজে নিজে ওষুধ প্রয়োগ না করতে অনুরোধ রইল।

16/05/2023

আজকে আমি কানের একজিমা সম্পর্কে কিছু ঔষুধের নাম বলব।*কানের পিছনের দিকে একজিমা,মাছের আঁইশের মত কোন পদার্থ দ্বারা আবৃত থাকিলে এবং রসের জড়িয়ে থাকিলে গ্রাফাইটিস30,200।*কানের একজিমা ফোস্কা যুক্ত হইলে রাস টক্স30,200।*একজিমা,চাকা চাকা উদ্ভেদ দেখা দেয়,সবসময় রস নির্গত হয়,মামুলি পড়ে ফাটিয়ে যাওয়া লক্ষনে পেট্রোলিয়াম 30,200।*একজিমা, চুলকানি,চুলকানির পর জ্বালা শুইলে ও গরমে চুলকানি বৃদ্ধিতে মেজেরিয়াম30,200।*পুরাতন একজিমা কিছুতেই আরোগ্য লাভ করিতে চায়না সালফার 30,200। বি:দ্র। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা মুলত ল্ক্ষনডেদে হয় তাই রোগী নিজে নিজে ঔষুদ সেবন করিবেননা ভালো কোন ডক্টররের পরামর্শে ঔষুদ সেবন করিবেন। পরামর্শে ইয়াসমিন।

Address

Birampur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.NilufaYesmin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category