Dr.Nazmul Hasan Rony

Dr.Nazmul Hasan Rony eOphtha

12/05/2023

সবাই ডাক্তার!!!

বাংলাদেশে #ডাক্তার কারা-.....

১/ আমি ডাক্তার, ৩ বছর ডিপ্লোমা পড়েছি ম্যাটস এ, ১ বছর সদর হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করেছি, (আমি lungs এর crepitation কে বলি constipation. কারণ, আমাকে তিন বছর সমাপনান্তে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয়া হয়েছে শুধু, কিছু পড়ানো বা শেখানো হয়নি, তবু আমি ডাক্তার!!! রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে BMDC ( তাই মেডিকেল এসিসট্যান্ট থেকে চিকিৎসক হয়ে গেছি )

কোনো এক অদ্ভুত এবং অজ্ঞাত কারণে আমাদের ক্রমাগত উৎপাদন করে যাচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্র!

যেখানে এমবিবিএস পাস করেই চাকুরী জোটেনা, সেখানে আমরা উপজেলা, থানা বা গ্রামের কোনো ক্লিনিকের প্রধান চিকিৎসক। এজন্যই হয়তো আমার উৎপাদন বেড়েই চলছে। সরকারী সেক্টর বাদ দিয়ে প্রাইভেট সেক্টরেও মহাসমারোহে চলছে আমার উৎপাদন।

২/ আমি ডাক্তার, ALTERNATIVE MEDICINE পড়েছি ৫ বছর, ইন্টার্নশিপ করেছি, রেজিস্ট্রেশন নিয়েছি BCMDC থেকে। কিন্তু আমি রোগীদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এলোপ্যাথিই লিখি। কিংবা চাকুরির ফাকে অথবা অবসরে দুইটা হোমিওপ্যাথি বই পড়ে আমি বনে গেলাম হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, আর সেখান থেকে জটিল এবং দুরারোগ্য ব্যাধি বিশেষজ্ঞ।

৩/ আমি ডাক্তার, ফিজিওথেরাপি পড়েছি, হাইকোর্টে রিট করে ফিজিওথেরাপিস্ট থেকে ডাক্তার বনে গিয়েছি!! আমি টিভি চ্যানেলে ডোনেশন দিয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানের অতিথি হই, আবার বিভিন্ন সামাজিক অনু্ষ্ঠানে চাদা দিয়ে হই প্রধান অতিথি। তলে তলে চলে আমার ভাওতাবাজি আর ব্যবসা।

৪/ আমিও ডাক্তার, ক্লিনিকে অনেক বছর নার্স হিসাবে আছি।
৫/ আমি ডাক্তার, কারণ আমি মেডিকেল টেকনিশিয়ান।
৬/ আমি ডাক্তার, আমি ওটি/ওয়ার্ড বয়।
৭/ আমি ডাক্তার, আমি হসপিটালের আয়া।
৮/আমি ডাক্তার, কারণ আমি স্বাস্থ্য কর্মী।
৯/আমি ডাক্তার, ৩ মাস কোর্স করে সিএইচসিপি হয়েছি।
১০/ আমি ডাক্তার, আমি চেম্বারের কম্পাউন্টার।
১১/ আমিও ডাক্তার, গলির মোড়ে একখান ঔষধের দোকান আছে।
১২/ আমি ডাক্তার, আমি ক্লিনিকের ম্যনেজার।
১৩/আমি ডাক্তার, আমি ঔষুধ কোম্পানিতে চাকুরী করি।
১৪/ আমি ডাক্তার, আমি ১৫ বছর বাচ্চা ডেলিভারি করাই।
১৫/ আমি ডাক্তার, আমি পাড়ায় পাড়ায় খৎনা করাই।
১৬/ আমি ডাক্তার, আমি গাছ-গাছড়া দিয়ে চিকিৎসা করি।
১৭/ আমি সাংবাদিক ডাক্তার, চিকিৎসা ভুল কিনা আমিই বলতে পারি।
১৮/ আমি ডাক্তার, আমি নেটে সার্চ দিয়ে ডাক্তারী শিখেছি।
১৯/ আমি ডাক্তার যেহেতু আমি বাংলাদেশী।

বাংলাদেশে #অডাক্তার....

আমি ডাক্তার না। ৫ বছর মেডিকেল কলেজে পড়েছি। ১ বছর ইন্টার্ণশিপ করেছি মেডিকেল কলেজে। BMDC থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছি। এরপর এফসিপিএস, এমডি/এমএস/ডিপ্লোমা বা ট্রেইনিং করেও আমি তেমন কিছু পারিনা। মেডিকেল জ্ঞান উপরের সবার থেকে আমার কম। মাঝে মাঝে মানুষ মারতে ইচ্ছা করে তাই ভুল ট্রিটমেন্ট করে পেশেন্ট মারি....
হীরক রাজার দেশে,
মানুষের স্বাস্হ্য নিয়ে যার যা খুশি তাই করতেছে.....

আর আমরা অডাক্তাররা দেখতেছি....

#সংগৃহীত_এবং_পরিমার্জিত

♦♦♦👉ধূমপান ও চোখের সমস্যা অতীতে ধূমপান নিয়ে জনসচেতনতার অভাব ছিল । সত্যজিৎ রায় আজকের দিনে ফেলুদা লিখলে কখনোই ফেলুদার হাতে...
26/02/2023

♦♦♦👉ধূমপান ও চোখের সমস্যা

অতীতে ধূমপান নিয়ে জনসচেতনতার অভাব ছিল । সত্যজিৎ রায় আজকের দিনে ফেলুদা লিখলে কখনোই ফেলুদার হাতে চারমিনার ধরাতেন না।
আমরা সবাই জানি ধূমপান অস্বাস্থ্যকর । ধূমপানের ফলে গলা ফুসফুসের ক্যান্সার, হাঁপানি, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি হতে পারে।
একজন চোখের ডাক্তার হিসেবে ধূমপানের ফলে চোখের কি কি ক্ষতি হতে পারে, তার সম্বন্ধে ধূমপায়ীদের অবহিত করা আমি আমার সামাজিক দায়িত্ব বলে মনে করি।

♦ ছানি ----- যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের চোখে ছানি যাঁরা ধূমপান করেন না তাঁদের তুলনায় তাড়াতাড়ি পড়ে । এর কারণ হলো ::
1) ধূমপান করলে লেন্সের অক্সিডেশন বা জারন বেশি হয় ।
2) লেন্সের মধ্যে ক্যাডমিয়াম এর মতো ভারী ধাতু জমা হয় ।

♦ ড্রাই আই----- চোখে ধোঁয়া লাগলে চোখ জ্বালা করে
অশ্রু গ্রন্থি থেকে অশ্রু নিঃসরণ কমে যায় ও নিম্নমানের অশ্রু নিঃসৃত হয়
অশ্রু দ্রুত বাষ্পীভূত হয় ।
ফলে ধূমপায়ীদের ড্রাই আই বা শুষ্ক চোখ অধূমপায়ীদের চেয়ে বেশি হয় ।

♦ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি--- ডায়াবেটিস রোগে রেটিনার সূক্ষ্ম রক্তবাহিকা গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় । একে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি বলে।
ধূমপায়ীদের রক্তে চিনি অধূমপায়ীদের তুলনায় বেশি ওঠানামা করে। ফলে ধূমপায়ীদের ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির জন্য দৃষ্টিশক্তি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।

♦ইউভিয়াইটিস----- চোখের মাঝখানের স্তরকে ইউভিয়া বলে । ইউভিয়ার প্রদাহকে ইউভিআইটিস বলে। ধূমপায়ীদের উভিআইটিস অধূমপায়ীদের তুলনায় বেশি।

♦ম্যাকুলার ডিজেনারেশন----ম্যাকুলা রেটিনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । ধূমপায়ীদের ম্যাকুলা ক্ষতিগ্রস্ত হয় । ফলে দৃষ্টিশক্তি প্রায় সম্পূর্ণভাবে চলে যেতে পারে ।

♦ধূমপান বন্ধ করার উপায়

👉 সাধারণতঃ দেখা যায় যাঁরা নেশা করেন, তাঁরা একটি নির্দিষ্ট সময়ে নেশার তাগিদ অনুভব করেন ।
আর একটি সিগারেট ধরানোর পরিবর্তে পুষ্টিকর স্ন্যাকস খান, জল খান, বন্ধুদের সাথে গল্প করুন ।

👉 প্রফেশনাল সাহায্য নিন।

👉ধূমপান বন্ধ করার জন্য মোবাইল অ্যাপ আছে ।

👉যেসব জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ সেখানে বেড়াতে যান।

👉অধূমপায়ীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করুন

পরিশেষে, নেশা ছাড়া কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয় ।
নিজে ভালো থাকুন, অন্যদেরও ভালো রাখুন।

♦অ্যালকোহল এবং দৃষ্টিশক্তি যাঁরা মদ্যপান করেন, তাঁরা জানেন, মদ্যপান করলে সাময়িক ভাবে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায় ।দীর্ঘদিন...
26/02/2023

♦অ্যালকোহল এবং দৃষ্টিশক্তি

যাঁরা মদ্যপান করেন, তাঁরা জানেন, মদ্যপান করলে সাময়িক ভাবে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায় ।

দীর্ঘদিন ধরে অত্যধিক মদ্যপান করলে দৃষ্টিশক্তি বরাবরের মতো ক্ষতি গ্রস্ত হতে পারে ।

অ্যালকোহলের জন্য চোখে কি কি পরিবর্তন হয় তা নীচে দেওয়া হলো:::

♦ আলো পড়লে চোখের মণি সঙ্কুচিত হয়, কম আলোয় বা অন্ধকারে চোখের মণি বিস্ফারিত হয়।
মদ্যপান করলে এই সংকোচন প্রসারণের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে।গাড়ি চালানোর সময় মদ্যপান করে থাকলে সামনে আসা গাড়ির হেডলাইটের আলোয় চোখের মণি সহজে সঙ্কুচিত হয় না। ফলে চোখ ধাঁধিয়ে যায় ।
কন্ট্রাস্ট সেনসিটিভিটি কমে যায় ফলে গাঢ় এবং হালকা রঙের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না।
এর ফলে ভোর এবং সন্ধ্যার আলো আঁধারিতে গাড়ি চালাতে অসুবিধা হয়।


♦ অ্যালকোহলের জন্য চোখের পাতার অনৈচ্ছিক কম্পন বেড়ে যেতে পারে ।

♦অ্যালকোহলের জন্য অশ্রু নিঃসরণ কমে গিয়ে ড্রাই আই হতে পারে ।

♦মদ্যপায়ীদের চোখে ছানি বেশি পড়ে ।

♦ মদ্যপান করলে এজ রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বেশি হয় ।

♦ মদ্যপান করলে ভিটামিনের শোষণ কমে যায় ।
ভিটামিন বি 1 এর অভাব হলে চোখের পেশি প্যারালাইড হয়ে চোখ ট্যারা হয়ে যেতে পারে ।
ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়, কন্জান্কটিভা- কর্ণিয়া শুকিয়ে গিয়ে কর্ণিয়াল আলসার হতে পারে ।

♦ টোব্যাকো অ্যালকোহল অ্যামব্লায়োপিয়া---
দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান এবং মদ্যপান করলে ধীরে ধীরে যন্ত্রণাহীন অন্ধত্ব গ্রাস করে। সাধারণত চল্লিশ থেকে ষাট বছর বয়স্ক পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন ।
একে টোব্যাকো অ্যালকোহল অ্যামব্লায়োপিয়া বলে।

♦ মিথানল বিষক্রিয়া-- বিষমদ পান করে অনেক মানুষ মারা যান। প্রাণ বাঁচলেও, এই বিষক্রিয়াতে চিরস্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যেতে পারেন ।

♦ গর্ভাবস্থায় মদ্যপান করলে গর্ভস্থ শিশুর অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

♦♦👁শৈশবে চোখের সমস্যা 👁♦♦♦কিছুদিন আগে একটি ষোলো বছরের মেয়ের মাথা যন্ত্রণার সমস্যার জন্য তাকে নিয়ে তার একজন অভিভাবিকা  এস...
26/02/2023

♦♦👁শৈশবে চোখের সমস্যা 👁♦♦

♦কিছুদিন আগে একটি ষোলো বছরের মেয়ের মাথা যন্ত্রণার সমস্যার জন্য তাকে নিয়ে তার একজন অভিভাবিকা এসেছিলেন ।
মেয়েটির অভিভাবিকা জানালেন,
মেয়েটির বুদ্ধি কম, এ বছর মাধ্যমিক দিয়েছে কিন্তু পড়াশোনায় ভাল না, মেয়েটি ভীরু এবং ঘরকুনো স্বভাবের, তার বিশেষ কোনো বন্ধু বান্ধব নেই। মেয়েটি জড়োসড়ো হয়ে চোখ পরীক্ষা করার জন্য নির্দিষ্ট চেয়ারে বসেছিল । আমি লক্ষ্য করছিলাম মেয়েটির তাকানোর ভঙ্গিটি দিশাহীন, আমার কথার উত্তর দেওয়ার সময় আমার দিকে সরাসরি তাকাচ্ছিল না।
পরীক্ষা করতে গিয়ে বুঝতে পারলাম, আমার সন্দেহ সঠিক, মেয়েটি চোখে খুব কম দেখে । চশমার পাওয়ার অত্যন্ত বেশি, কিন্তু চশমা পড়লে দেখতে পাবে। মেয়েটির ষোলো বছর বয়স, এতদিন চশমা ব্যবহার করে নি, তাই নতুন হাই পাওয়ারের চশমার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সময় লাগবে, সেক্ষেত্রে নতুন চশমা নেওয়ার পর ও মাথা যন্ত্রণা অবশ্যম্ভাবী । কিন্তু তার জন্য চশমা পড়া ছেড়ে দিলে চলবে না।

♦ষোলো বছর বয়সে মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রায় সম্পূর্ণ বিকশিত হয়ে যায়, মেয়েটি যদি ছোটবেলা থেকে নিয়মিত চশমা পড়ত তাহলে হয়তো পড়াশোনা ভাল ভাবে করতে পারত। সে কোনো দিন স্কুলে ব্ল্যাকবোর্ড দেখতে পায় নি, ফলে রেজাল্ট খারাপ হয়েছে, সবাই ভেবেছেন মেয়েটির বুদ্ধি কম। মেয়েটি বাজ পড়ার শব্দ শুনেছে কিন্তু বিদ্যুতের ঝলক দেখেনি, রাস্তায় গাড়ির শব্দ শুনেছে কিন্তু দূর থেকে আসা গাড়ি দেখেনি, ঈদের আগের দিন বাজির শব্দের আওয়াজ শুনেছে কিন্তু আলোর জৌলুস কোনোদিন দেখে নি। তাই শব্দময় পৃথিবী তার কাছে বিভীষিকাময় । মেয়েটি ক্ষীণ দৃষ্টির জন্য সমবয়সীদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে পারে নি ফলে ঘরকুনো বিশেষণ জুটেছে। এখন চশমা ব্যবহার করলে মেয়েটি হয়তো দেখতে পাবে, কিন্তু ষোলো বছর বয়সে নতুন করে ব্যক্তিত্ব বিকাশ একটু কঠিন বলেই মনে হয় ।

🔖👉 ছয় মাস বয়সে শিশুর প্রথম চোখের পরীক্ষা করানো উচিত ।
🔖👉 তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার চোখ পরীক্ষা করানো উচিত ।
🔖👉যেসব বালক বালিকারা স্কুলে পড়ে, তাদের প্রতি দুই বছর অন্তর চোখ পরীক্ষা করানো উচিত ।
এর ফলে, যদি কোনো সমস্যা থাকে, তা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়বে, ফলে চিকিৎসা করলে ফলাফল ভাল হবে।
👉🔖চোখে কম দেখলে ছোটরা বড়দের মতো বলতে পারে না, তাই নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো খুব জরুরি ।

⭕কয়েকটি সাধারণ চোখের সমস্যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হল::
🔖👉 একদম ছোট শিশুর চোখ থেকে অস্বাভাবিক পানি নিঃসরণ হতে পারে, সাধারণত জন্মগত ভাবে নেত্রনালী ব্লক থাকলে এই সমস্যা দেখা যায় । এক বিশেষ পদ্ধতিতে মালিশ করলে এই সমস্যার সমাধান সহজেই হয়ে যায় ।

🔖👉 সময়ের আগে জন্মানো প্রিমেচুর শিশুর চোখ পরীক্ষা করানো উচিত ।

🔖👉 ছোট শিশুদের চোখের মণি যদি সাদা দেখায় তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত ।
🔖👉শিশুর চোখ যদি একই দিকে না সরে বা যদি স্কুইন্ট থাকে অর্থাৎ চলতি ভাষায় ট্যারা হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা করান উচিত ।

🔖👉 স্কুলে পড়া শিশুরা যদি ক্লাসে বোর্ড না দেখতে পায়, যদি হাত দিয়ে চোখ ঘষে, মাথা ব্যথা বলে, চোখ ছোট করে তাকায়, আলোতে তাকাতে কষ্ট হয় বলে তবে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত ।

🔖👉 ভাইরাল কন্জাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা, অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ । এই রোগ হলে শিশুকে স্কুলে পাঠানো উচিত নয় এবং বাড়ির লোকের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ।

🔖👉এলার্জিক কন্জাংটিভাইটিস যার হয় তার বারবার হতে পারে, সাধারণত গ্রীষ্মের শুরুতে বেশি হয়, ওষুধ দিলে কিছুদিন নিয়ন্ত্রণে থাকে ।

🔖👉আন্জনি/অঞ্জলি /অঞ্জনি /আলেনা/আইনুন বা স্টাই চোখের পাতার একপ্রকার সংক্রমণ ।

🔖👉 অ্যামব্লায়োপিয়া বা লেজি আই বা অলস চক্ষু রোগে আক্রান্ত চোখটি কমজোরি হয়ে যায় । শৈশবে টেলিগ্রাফের তারের সংযোগের মতো মস্তিষ্কের সঙ্গে চোখের স্নায়বিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় । যদি দুটি চোখের মধ্যে একটির দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়, মস্তিষ্কের সঙ্গে সেই চোখটির স্নায়বিক যোগাযোগ ঠিকমতো স্থাপিত হয় না, ফলে চোখটি অলস চোখে পরিণত হয় । পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে এর কোন চিকিৎসা নেই, কিন্তু শৈশবে ধরা পড়লে চিকিৎসার ফল খুব ভাল হয় ।

🔖👉চোখের পাওয়ার জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে আলোক রশ্মি চোখের পর্দায় বা রেটিনায় একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে ফোকাস হয় না। মায়োপিয়া, হাইপারমেট্রোপিয়া এবং অ্যাস্টিগমাটিজম বিভিন্ন প্রকার পাওয়ার জনিত সমস্যার
চিকিৎসা অবিলম্বে করা উচিত ।

একজন শিক্ষিকা, বয়স চল্লিশ বছর, কম আলোয় পরীক্ষার খাতা দেখলে মাথা যন্ত্রণায় ভুগছেন  । ইনি আগে থেকেই চশমা পড়েন, কিন্তু সেই ...
26/02/2023

একজন শিক্ষিকা, বয়স চল্লিশ বছর, কম আলোয় পরীক্ষার খাতা দেখলে মাথা যন্ত্রণায় ভুগছেন । ইনি আগে থেকেই চশমা পড়েন, কিন্তু সেই চশমা দিয়ে এখন আর কাজ হচ্ছে না ।

এক ঔষধ ব্যবসায়ী, বয়স একচল্লিশ বছর, ইদানিং সহজে ছোট হরফে লেখা ওষুধের কম্পোজিসন পড়তে পারছেন না। হাত সামনের দিকে বাড়িয়ে কষ্ট করে ছোট লেখা পড়তে হচ্ছে । ইনি কখনো চশমা পড়েন নি ।

একজন টেক্সটাইল কর্মী, বয়স আটত্রিশ, সূঁচে সুতো সহজে পড়াতে পারছেন না। বেশি সময় ধরে সেলাই করলে মাথা যন্ত্রণা ও ঘাড়ে ব্যথা হচ্ছে । ইনিও আগে কখনো চশমা ব্যবহার করেন নি।

একজন গৃহিনী, পঞ্চাশ বছর বয়স, সবসময় চশমা পড়েন । গত দুই বছর ধরে একই চশমা ব্যবহার করছেন । আজকাল ওই চশমা পড়েও চাল বাছতে পারছেন না, অনেক সতর্কতা সত্ত্বেও রান্না খাবারে চুল পাওয়া যাচ্ছে ।

উপরের ঘটনাগুলি হয়তো অনেকেরই পরিচিত ।
আগে থেকে চশমা থাক বা না থাক, শারীরিক ভাবে সুস্থ বা অসুস্থ যাই হোন না কেন, পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে , যেকোনো মানুষের চল্লিশের কাছাকাছি বয়স হলে বা চল্লিশ পেরিয়ে গেলে কাছের সূক্ষ্ম কাজ করার জন্য চশমা লাগবে, এবং বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই চশমার পাওয়ার বাড়তে থাকবে ।
একে presbyopia এবং চলতি ভাষায় চালসে বলে।
Presbyopia শব্দটি গ্রীক ভাষা থেকে এসেছে, pres অর্থাৎ old, ops অর্থাৎ sight.

এটি কোনো রোগ নয়, এটি একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ঘটনা। কোনো ওষুধ, ব্যয়াম বা অপারেশনের দ্বারা এই পরিবর্তনকে থামিয়ে রাখা যাবে না। যে নিয়মে চুল পাকে, বলিরেখা আসে সেই নিয়মে presbyopia আসে।
আমাদের চোখের মধ্যে একটি লেন্স আছে।
কম বয়সে এই লেন্স স্থিতিস্থাপক বা ইলাস্টিক হয়, ফলে কাছের জিনিস থেকে আগত রশ্মি রেটিনার ওপরে ফোকাস হয় ।
বয়স বাড়লে লেন্সটি কঠিন হয়ে যায়, ইলাস্টিসিটি নষ্ট হয়ে যায়, ফলে নিকট থেকে আসা রশ্মি আর রেটিনার ওপর ফোকাস হতে পারে না, তখন বাইরে থেকে উত্তল লেন্স অর্থাৎ চশমা দিয়ে ওই রশ্মিকে রেটিনাতে ফোকাস করতে হয়।
বয়স যত বাড়ে, চোখের লেন্স তত কঠিন হয় , ফলে আরো শক্তিশালী চশমার দরকার হয় ।

তাই চল্লিশের কাছাকাছি বয়স হলে প্রতিবছর চোখের ডাক্তার দেখান এবং প্রয়োজনে চশমা চেঞ্জ করুন।

♦অনেক সময় ধরে কম্পিউটার এবং  মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকলে আমরা চোখের পলক ফেলতে ভুলে যাই। ফলে চোখের পেশীগুলি ক্লান্ত হয়ে যা...
26/02/2023

♦অনেক সময় ধরে কম্পিউটার এবং মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকলে আমরা চোখের পলক ফেলতে ভুলে যাই। ফলে চোখের পেশীগুলি ক্লান্ত হয়ে যায়। আমাদের চোখের উপরে স্বাভাবিক অবস্থায় অশ্রুর একটি আস্তরণ থাকে, অনেক ক্ষণ চোখের পলক না ফেললে এই আস্তরণটি শুকিয়ে যায় ।
ফলস্বরূপ-
🔖দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।
🔖চোখে দুটো দেখা যায়(diplopia)
🔖 চোখ লাল হয়ে যায়।
🔖জ্বালা করে, পানি পড়ে।
🔖কপালে ও ঘাড়ে ব্যথা হয়।
🔖চোখে ব্যথা হয়,মাথাও ব্যথা করে।

👉যেকোনো বয়সের মানুষের এই সমস্যা গুলি হতে পারে।

👉কম্পিউটার ব্যবহার কমিয়ে দিলে সমস্যা গুলি থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায় ।
👉২০ মিনিট ধরে কম্পিউটারে কাজ করার পর ২০ ফিট দূরে ২০ সেকেণ্ড তাকিয়ে থাকা উচিত ।

👉বারবার চোখের পলক ফেলা উচিত ।
👉সারাদিনে অনেকবার চোখে পানির ঝাপটা দেওয়া উচিত ।
👉সরাসরি এসির হাওয়া লাগানো উচিত নয় ।
👉 চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চোখে লুব্রিকেন্ট ড্রপ ও প্রোটেকটিভ চশমা ব্যবহার করা উচিত

♦বঙ্গোপসাগরের উপকূলে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় । বর্ষায় দক্ষিণ - পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ইলিশ মাছ ...
26/02/2023

♦বঙ্গোপসাগরের উপকূলে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় । বর্ষায় দক্ষিণ - পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ইলিশ মাছ প্রজননের জন্য মেঘনা এবং পদ্মা নদীতে চলে আসে। ইলিশ মাছ বাঙালির অতি প্রিয় খাদ্য, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

♦👉👉ইলিশ মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে।স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট শরীরের অতি প্রয়োজনীয় উপাদান । ফ্যাটি অ্যাসিড হল ফ্যাট তৈরির " বিল্ডিং ব্লক"।

♦👉আমাদের শরীরে কিছু কিছু ফ্যাটি অ্যাসিড উৎপন্ন হয় না, কাজেই খাদ্যের মাধ্যমে সেই সব ফ্যাটি অ্যাসিড বাইরে থেকে গ্রহণ করতে হয়, এইসব ফ্যাটি অ্যাসিডকে " এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড " বলে।

♦👉ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স দুই প্রকার এসেন্সিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড ।

♦👉এর মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দৃষ্টিশক্তির জন্য অতি প্রয়োজনীয় ।

♦👉শিশুর দৃষ্টিশক্তি বিকাশের জন্য ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড অতি প্রয়োজনীয় ।
গর্ভবতী মার শরীর থেকে গর্ভস্থ শিশু ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পায়।জন্মের পর প্রথম ছয় মাস মাতৃদুগ্ধ পানের মাধ্যমে শিশুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা পূর্ণ হয় ।তাই গর্ভবতী এবং স্তন্যদায়িনী মায়ের খাদ্যের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড নেওয়া উচিত ।

♦👉ড্রাই আই-- প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ড্রাই আই জনিত সমস্যা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড খেলে কমতে পারে।

♦👉 বয়স্ক ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ এজ রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন । ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, এই অসুখ রোধ করতে পারে ।

♦👉কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের অভ্যন্তরস্থ তরলের নিঃসরণ ঘটায়, ফলে চোখের আভ্যন্তরীণ চাপ কমে, ফলে গ্লুকোমা রোগীরা উপকৃত হতে পারেন ।


তাই, আসছে বর্ষায় ইলিশ মাছ অবশ্যই খান।

যাঁরা মাছ খান না , তাঁরা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা পূরণের জন্য আখরোট, চিয়া সিড, হেম্প সিড, ফ্লাক্স সিড, রাজমা খেতে পারেন ।

মেক আপ এবং চোখের সুরক্ষা চোখ একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর অঙ্গ । চোখের মেক আপ করার সময় কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। 👉...
26/02/2023

মেক আপ এবং চোখের সুরক্ষা

চোখ একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর অঙ্গ ।
চোখের মেক আপ করার সময় কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

👉চোখে মেক আপ করার সময় হাত stable হওয়া উচিত । মেকআপ করার সময় হাত কাঁপলে চোখে আঘাত লাগতে পারে ।

👉এই কারণে চলন্ত গাড়িতে কখনোই চোখে মেক আপ করা উচিত নয় ।

👉কারোর সঙ্গে কখনো মেক আপ ব্রাশ share করা উচিত নয় । আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলেও কখনো মেক আপ ব্রাশ share করবেন না।অনেক সময় বিউটিপার্লারে বা প্রফেশনাল মেক আপ আর্টিস্টরা একই ব্রাশ দিয়ে অনেকের মেক আপ করেন, এভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে । একই কারণে দোকানে টেস্টার পরখ করে দেখার সময় ব্রাশ ব্যবহার করলেও সংক্রমণ হতে পারে ।

👉মেক আপ ব্রাশ নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত ।

👉আই লাইনার, আই স্যাডো ,মাস্কারা তিন মাস ব্যবহার করে পাল্টানো উচিত । তিন মাস ব্যবহারের পরে প্রোডাক্টগুলিতে জীবাণু সংক্রমিত হয় ।

👉 চোখের ল্যাশের গোড়ায় কখনো মেক আপ করা উচিত নয় । এই অংশে মেক আপ করলে গ্রন্থির মুখগুলি বন্ধ হয়ে সংক্রমণ হতে পারে ।

👉 রাতে শোয়ার আগে সব মেক আপ তুলে ফেলতে হবে ।

👉নতুন প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে অ্যালার্জি সম্বন্ধে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ।

👉অনেক সময় হেয়ার কালার থেকে ও চোখে অ্যালার্জি হতে পারে ।

👉 গ্লিটার আইশ্যাডো যেন চোখের ভেতরে না পড়ে, পড়লে চোখে বারবার পানির ঝাপটা দিতে হবে।ধুয়ে ফেলতে হবে।

👉আর্টিফিশিয়াল ল্যাশ লাগানোর সময় গ্লু যেন চোখে না যায় অথবা চোখে যেন আঘাত না লাগে ।

👉যাঁরা কালার কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন, তাঁদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে । অপরিচ্ছন্নতা থেকে কর্ণিয়ায় আলসার পর্যন্ত হতে পারে । কর্ণিয়ায় আলসার একটি অত্যন্ত জটিল অসুখ, এর থেকে অন্ধত্ব পর্যন্ত হতে পারে ।

সুপার গ্লু বর্তমানে খুব সহজ লভ্য। এই গ্লু বাজারে ফেভিকল নামে বিক্রি হয় । এই গ্লু চোখে গেলে নিজে থেকে কখনোই বের করার চেষ্...
26/02/2023

সুপার গ্লু বর্তমানে খুব সহজ লভ্য।
এই গ্লু বাজারে ফেভিকল নামে বিক্রি হয় ।
এই গ্লু চোখে গেলে নিজে থেকে কখনোই বের করার চেষ্টা করা উচিত নয় ।
বাড়িতে থাকা কোনো ড্রপ বা মলম নিজে থেকে চোখে দেওয়া উচিত নয় ।
এই শক্তিশালী রাসায়নিক চোখের কোষের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে চোখের চিরস্থায়ী ক্ষতি করতে পারে ।
এই গ্লু চোখে গেলে চোখ পানি দিয়ে বারবার ধুয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত ।

♦♦♦মেনোপজ এবং চোখের সমস্যা ♦♦♦♦সাধারণত পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চান্ন বছর বয়সের মধ্যে মহিলাদের মেনোপজ হয়ে থাকে । একজন মহিলার জ...
26/02/2023

♦♦♦মেনোপজ এবং চোখের সমস্যা ♦♦♦

♦সাধারণত পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চান্ন বছর বয়সের মধ্যে মহিলাদের মেনোপজ হয়ে থাকে ।
একজন মহিলার জীবনে মেনোপজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ।
এই সময় একজন মহিলার শরীরে অনেক হরমোনাল পরিবর্তন হয় ।
ফলে হট ফ্লাশ, রাতে ঘাম হওয়া, মুড চেঞ্জ ইত্যাদি নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে ।
চোখেও মেনোপজ পরবর্তী সময়ে নানা উপসর্গ দেখা যায় ।

♦👉 ড্রাই আই--- সাধারণ অবস্থায় চোখের উপরিভাগে জলের একটি আস্তরণ থাকে । এই অশ্রুতে একটি তৈলাক্ত স্তর থাকে। এই তৈলাক্ত স্তর চোখের উপরিভাগে অশ্রু কে লেগে থাকতে সাহায্য করে।
মেনোপজের পর এই তৈলাক্ত স্তরটি কম তৈরি হয়, ফলে অশ্রু আর চোখকে ভিজিয়ে রাখতে পারে না, গড়িয়ে পড়ে যায় ।
ফলে যে উপসর্গগুলি দেখা যায় সেগুলি হলো:::
👉চোখ জ্বালা করে
👉চোখ লাল হয়ে যায়
👉চোখ থেকে পানি পড়া, যা হাওয়া লাগলে বা অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে বেড়ে যায়
👉চোখের মধ্যে কিছু আছে এরূপ অনুভূতি হয়
👉চোখ চুলকায়
👉চোখে আঠালো ভাব হয়।

এসময় দেখা দেয় বিভিন্ন চোখের অসুস্থতা
♦ছানি--- মেনোপজ পরবর্তী কালে ছানি পড়ার প্রবণতা বাড়ে

♦গ্লকোমা-মেনোপজের পর গ্লকোমার প্রবণতা বাড়ে ।

♦নেত্রনালী ব্লক- নেত্রনালী ব্লক জনিত সমস্যা মধ্যবয়স্ক মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় ।

♦এজ রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন-এই সমস্যায় দৃষ্টিশক্তি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।

♦মেনোপজের সময় গায়নোকলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।চোখের সমস্যা গুলির জন্য প্রতি ছয় মাসে চোখের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।

নতুন বৌএর ডান চোখে ভীষণ ব্যথা করছে। কাল বৌ ভাত গেছে। বৌকে প্রফেশনাল মেক আপ আর্টিস্ট এসে সাজিয়েছে। বৌ চশমার বদলে কনট্যাক্...
26/02/2023

নতুন বৌএর ডান চোখে ভীষণ ব্যথা করছে। কাল বৌ ভাত গেছে। বৌকে প্রফেশনাল মেক আপ আর্টিস্ট এসে সাজিয়েছে।
বৌ চশমার বদলে কনট্যাক্ট লেন্স পরেছেন। পরে মেক আপ তুলে যখন কনট্যাক্ট লেন্স খুলতে গেছেন তখন ডান চোখের কনট্যাক্ট লেন্স আর খুঁজে পাচ্ছেন না। বৌ এর আশঙ্কা, লেন্সটা বোধহয় চোখের মধ্যেই ঢুকে গেছে।

এখন নতুন বৌ কখন কনট্যাক্ট লেন্স খুলতে গিয়েছিলেন? রাতে কিন্তু কনট্যাক্ট লেন্স খুলে , মেক আপ তুলে শুতে যাওয়াই নিয়ম। উৎসবের রাতে সেই নিয়ম ঠিক মতো পালন করা হয়েছিল কি?

পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গেল, বৌ এর, ইউভিআইটিস নামে একটি অসুখ বারবার হয়।ইতি পুর্ব এই অসুখের জন্য অন্যত্র চিকিৎসা করানো হয়েছিল ।

পরিবর্তে দেখা গেল, দীর্ঘসময় ধরে কনট্যাক্ট লেন্স পরে থাকা এবং মেকআপের দরুণ নতুন বৌ এর চোখে সংক্রমণ হয়েছে।

যারা প্রফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট, তারা অনেকেই এক তুলি দিয়ে অনেকের মেক আপ করেন। এর ফলে এক ব্যক্তির চোখের জীবাণু অন্যের চোখে ছড়িয়ে পড়ে।
এই বিষয়ে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরী । মেকআপ আর্টিস্ট দিয়ে চোখের মেক আপ করানোর জন্য ব্যক্তিগত তুলি ব্যবহার করা অত্যন্ত প্রয়োজন ।

আমরা দাঁত মাজার জন্য কি কখনো অন্য লোকের টুথব্রাশ ব্যবহার করি? ঠিক তেমনি চোখের মেকআপের জন্য অন্যের ব্যবহৃত ব্রাশ কেন ব্যবহার করব? দুঃখের বিষয়, যাঁরা সাজেন, এবং যাঁরা সাজান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না।

অনুষ্ঠানের শেষে যথাযথভাবে মেকআপ তোলা উচিত । মেকআপ পরে শুতে যাওয়া কখনোই উচিত নয়।

যাঁরা কনট্যাক্ট লেন্স পরেন, তাঁদের পরিচ্ছন্নতা পালন করা আবশ্যক । কনট্যাক্ট লেন্স থেকে সংক্রমণ হলে চোখ অন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাথায় চোট লাগলে, মাথার ত্বকের নীচে এবং/ অথবা মস্তিষ্কের ভিতর রক্ত জমাট বাঁধে ।আমরা সবাই জানি, তরল পদা...
26/02/2023

কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাথায় চোট লাগলে, মাথার ত্বকের নীচে এবং/ অথবা মস্তিষ্কের ভিতর রক্ত জমাট বাঁধে ।
আমরা সবাই জানি, তরল পদার্থ মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে নীচের দিকে যায় ।
এই জমাট বাঁধা রক্ত ক্রমশ চোখের পাতায় জমা হতে পারে।

এক্ষেত্রে কিন্তু চোট মাথায় লেগেছে, চোখে লাগে নি, তাই প্রথমে দেখা উচিত মস্তিষ্ক বা ব্রেনে কোনো চোট লেগেছে কিনা ।খেয়াল রাখতে হবে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা শিশু বমি করছে কিনা, অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল কিনা।

তাই প্রথমে নিকটবর্তী হাসপাতালে বা জেনারেল ফিজিসিয়ানকে দেখিয়ে নিশ্চিত হতে হবে ব্রেনে কোনো তাৎক্ষণিক বা সুদূর প্রসারী ক্ষতি হয়েছে কিনা ।
এইসব ক্ষেত্রে কিন্তু চোখের চিকিৎসা প্রাথমিক চিকিৎসা নয়।
চোখের ডাক্তার অবশ্যই দেখাবেন, প্রথমে জেনারেল ফিজিসিয়ান বা শিশুদের ক্ষেত্রে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তারপর ।

আপনার বাড়ির শিশু পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেলে তক্ষুণি শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ দেখান।
বড়রা মাথায় চোট পেলে জেনারেল ফিজিসিয়ানকে দেখান।
সরকারি হাসপাতালগুলির ইমারজেন্সি বিভাগ চব্বিশ ঘন্টা খোলা থাকে।
মাথায় চোট লাগা একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক ঘটনা । এক্ষেত্রে চোখ কখনোই প্রধান বিবেচ্য নয়।
দয়া করে জীবনের ঝুঁকি নেবেন না।

Address

Bogura
Bogura

Telephone

+8801722029998

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Nazmul Hasan Rony posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Nazmul Hasan Rony:

Share

Category