
17/08/2025
চর্মরোগে মর্ডান মেডিসিনে সাধারণত প্রকৃত আরোগ্য বলতে যা বোঝায়, তা হয় না।
মলম ইত্যাদি ব্যবহারে চর্মরোগ চাপা পড়ে বরং মেটাস্টাসিস বা রোগান্তর হয়ে আরো কঠিন রোগের জন্ম নেয়। যদিও কিছু দিন ওষুধ চলার পর চর্মরোগ তিরোহিত হয়,তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে পুনরায় চর্মরোগ দেখা দেয়।
হোমিওপ্যাথিতে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করে চিকিৎসা করলে চর্মরোগ চিরতরে সেরে যায়।
তবে আসল ব্যাপার হলো সঠিক ওষুধ নির্বাচন, পটেন্সি এবং প্রয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া।কারণ চর্মরোগের চিকিৎসায় প্রায় সময়ই হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি ঘটে।রোগী অসন্তুষ্ট হয় এবং ধরে রাখা কঠিন হয়।
তাই চর্মরোগ চিকিৎসায় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।
স্কিন ডিজিজে ব্যাবহৃত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঔষধ নিয়ে আলোচনা___
✅(Anacardium)অ্যানাকার্ডিয়ামঃ- হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে, চোখের পাতায়, মুখমণ্ডল, বুক, গলা, অণ্ডকোষ, প্রভৃতি স্থানে অসহনীয় চুলকানি সহ একজিমা ।
✅(Antim Crud)অ্যান্টিম ক্রুডঃ- অত্যাধিক স্থুল ও কঠিন মধুবর্ণের মামড়ীযুক্ত একজিমা, চতুঃপার্শ্বে অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে, রাত্রিকালে, স্নানের পর বা জলে কাজ করার পর বৃদ্ধি ঘটলে এন্টিম ক্রুড উপযোগী।
✅( Arsenic alb)আর্সেনিকঃ- পুরাতন একজিমা, চামড়া কঠিন ও দৃঢ় হয়ে যায়, মাথা, মুখমণ্ডল, পায়ের তলায়, প্রভৃতি হতে শুষ্ক আইস ও হ্যাজাকর দুর্গন্ধযুক্ত রস ঝরে এবং ভীষণ জ্বালা করে ও চুলকায়, রাত্রিকালে ও ঠাণ্ডায় বৃদ্ধি, উত্তাপ প্রয়োগে উপশম। সুচিবাই, খুঁতখুঁতে রোগীর ক্ষেত্রে উপযোগী এহা।
✅(Bayrita Carb)ব্যারাইটা কার্বঃ- হাতের পিছনে একজিমা, সর্দিপ্রবণ, টনসিলের বা ঘাড় গলা ফোলা যুক্ত স্থুল থপথপে শিশুগণের মস্তকে একজিমা, ভিজা স্থলে মামড়ী পড়ে ও অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে ।
✅( Bovista)বভিষ্টাঃ- জলে কাজ করার জন্য হাতের পিছনে একজিমা, চুলকালেও চুলকানির নিবৃত্তি হয় না, মুখের চতুর্দিকে ও নাকে একজিমা।
✅(Bromium)ব্রোমিয়ামঃ- মাথায় একজিমা, সমগ্র মাথাবেষ্টন করে একজিমা। দেখে মনে হয় মাথায় টুপি পরানো এমন একজিমার ক্ষেত্রে ব্রোমিয়াম উপযোগী।
✅ (Calcaria Carb)ক্যাল্কেরিয়া কার্বঃ-
মোটা সোটা বাচ্চা যাদের দাঁত ওঠাকালে মাথায় একজিমা – মাথা হতে মুখমণ্ডল পর্যন্ত বিস্তৃত হয় – রাতে ঘুমানোর পর প্রচুর চুলকানী এবং শিশু প্রবলভাবে মাথা চুলকানোর তাগিদে রক্তপাত করে, নিন্মপদ, নাভিতে, জানুতে ও কনুইতে রক্তস্রাবী একজিমা ( শীর্ণকায় শিশুদিগের – ক্যাল্কেরিয়া ফস, হলুদাভ সবুজ রস-ক্ষরণ হইলে – ক্যাল্কেরিয়া সালফ)
✅( Cantharis)ক্যান্থারিসঃ- প্রদাহিক স্থানের উপর একজিমা – অত্যধিক জ্বালা ও চুলকানি, ক্রমশঃ বিস্তৃত হয়ে পড়ে, উত্তাপে বৃদ্ধি । মুত্রত্যাগকালে জ্বালা ও কুন্থন।
✅(Chelledonium)চেলিডোনিয়ামঃ- যকৃৎ পীড়াগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিন্মপদে একজিমা ।
✅(Cicuta vera)সিকিউটা ভিরোসাঃ- মাথায় টুপি পরানোর ন্যায় একজিমা । বিশেষ চুলকায় না, সমগ্র মাথা জুড়ে টুপীর ন্যায় পাতিলেবু বর্ণের মামড়ী পড়ে, মাথার একজিমা চাপা পড়ে মস্তিস্ক বিকার।
✅( Conium)কোনিয়ামঃ- মুখমণ্ডলে, বাহুতে ও যোনির উপরিস্থ কেশময় স্থানে একজিমা, চটচটে রস ক্ষরণ হয়ে কঠিন মামড়ী পড়ে, প্রায়ই মাথা ঘোরে – শয্যায় শয়নকালে মাথা ঘোরার বৃদ্ধি ।
✅(Crotin tig)ক্রোটন টিগ:- মাথা হতে পায়ের তলা পর্যন্ত সর্বশরীরব্যাপী একজিমা, মুখমণ্ডল, চক্ষুপল্লব, অণ্ডকোষ ও জননেন্দ্রিয়ের উপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুস্কুড়ি জন্মে ও ভয়ানক চুলকায় ও জ্বালা করে এবং নিকটস্থ গ্রন্থিসমূহ স্ফীত হয়, ধীরে ধীরে চুলকালে উপশম বোধ।
✅( Graphitis)গ্র্যাফাইটিসঃ- স্থুল দেহ, স্বল্প ঋতু, শুষ্ক ও ঘর্মবিহীন চর্ম এইরূপ ব্যাক্তিগণের ( পুরুষ বা স্ত্রী ) একজিমা, কর্ণের পশ্চাৎ হইতে সূচিত হইয়া গ্রীবা ও গণ্ডদেশে বিস্তৃত হইয়া পড়ে, কর্ণের পশ্চাতে ও গ্রীবা, প্রভৃতি আক্রান্ত স্থান ফাটিয়া যায়, একজিমা হইতে প্রচুর পরিমাণে চটচটে মধুর ন্যায় রস ক্ষরিত হয় এবং অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে । কর্ণ ও মস্তকের পশ্চাৎ, করতল, প্রত্যঙ্গাদির ভাঁজ, মলদ্বারের চতুষ্পার্শ্ব, প্রভৃতি স্থানে একজিমা প্রকাশ পায় এবং উক্ত স্থানসমূহ গভীরভাবে ফাটিয়া যায়, ক্ষতস্থান স্পর্শ করিলে আদৌ যন্ত্রণাবোধ হয় না ।
✅(Heper Sulph)হিপারঃ- মস্তকে একজিমা অত্যধিক বেদনাযুক্ত, স্পর্শ সহ্য হয় না, জননেন্দ্রিয়ে, উরুতে ও অণ্ডকোষে একজিমা অত্যধিক চুলকায় ও দুর্গন্ধ বাহির হয়, নূতন ফুস্কুড়ি জন্মিয়া ক্রমশঃ বৃদ্ধি পায়, অত্যধিক শীতকাতর এবং ক্ষতস্থান স্পর্শ অসহ্যবোধ করে।
✅(Jugluas cinaria)জুগল্যান্স সিনেরিয়াঃ- হস্তপৃষ্টে ও হাতের কব্জিতে একজিমা, অসহ্য চুলকানি ও বেদনায় রোগী আদৌ নিদ্রা যাইতে পারে না, আরোগ্য হইতে না হইতেই পুনরায় প্রকাশ পায় ।
✅(Kali ars)ক্যালি আর্সঃ- পুরাতন শুষ্ক একজিমা, নিন্মবাহুর চর্ম স্বাভাবিক অপেক্ষা স্থুল, শরীর উত্তপ্ত হইলেই অত্যধিক চুলকায়, প্রাতে সন্ধিস্থানে চর্ম ফাটিয়া যায়, রসপূর্ণ উদ্ভেদসহ পুনঃ প্রকাশিত হয় ।
✅(Kali Mur)ক্যালি মিউরঃ- ঋতুস্রাবের বিপর্যয় অথবা টীকা দিবার কুফলস্বরূপ – ঘন শ্বেতবর্ণের পদার্থপূর্ণ ফুস্কুড়িযুক্ত একজিমা, ক্ষত হইতে অস্বচ্ছ সাদা পুঁজশ্লেষ্মাময় আস্রাব নির্গত হয় এবং চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা ও সর্বস্থানের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী হইতে ঘন সাদা বা হলুদাভ হড়হড়ে শ্লেষ্মা নির্গত হয় ।
✅(Lappa mezor)ল্যাপ্পা মেজরঃ- মস্তকের একজিমা – সিক্ত দুর্গন্ধযুক্ত, ধুসরাভ মামড়ী পড়ে এবং মুখমণ্ডলে বিস্তৃত হয়, অত্যধিক চুলকায় ও ছিঁড়িয়া ফেলার ন্যায় যন্ত্রণা হয় ।
✅(Lycopodium) লাইকোপোডিয়ামঃ- মস্তকের পশ্চাৎ হইতে সূচিত হইয়া মুখমণ্ডল পর্যন্ত বিস্তৃত একজিমা হইতে প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ নিঃসরণ হয় এবং স্থুল মামড়ী পড়ে, সহজেই রক্তপাত হয়, নিন্মপদে ও পায়ের ডিমে গভীর ফাটল ও স্থুল মামড়ীযুক্ত একজিমা, অত্যধিক চুলকায় এবং চুলকাইলে উত্তপ্ত হইলে এবং অপরাহ্ণে ৪ টা হইতে ৮ ঘটিকা মধ্যে যাতনা অত্যধিক বৃদ্ধি পায় ।
✅(Manganum)ম্যাঙ্গানামঃ- পুরাতন একজিমা, কনুই ও অন্যান্য সন্ধিস্থানে গভীর ফাটল ও অত্যধিক বেদনা হয়, মাসিক ঋতুস্রাবকালে একজিমার বৃদ্ধি ।
✅(Marc sol)মার্কসলঃ- ক্ষত হইতে ঘন হলুদাভ মামড়ী ঝরে এবং তাহার চতুষ্পার্শ্বে প্রদাহ সংঘটিত হয়, অত্যধিক চুলকায় এবং রাত্রিকালে ও শয্যার উত্তাপে চুলকানি বৃদ্ধি পায় – চুলকাইলে বেদনা ও রক্তপাত হয় । সর্ব শরীরে চটচটে ঘাম হয় । মুখে প্রচুর লালা জন্মে ।
✅(Mezerinum)মেজেরিয়ামঃ- মস্তক হইতে শরীরের সকল স্থানেই একজিমা প্রকাশ পাইতে পারে এবং ক্ষতের উপর শুষ্ক চামড়ার ন্যায় স্থুল মামড়ী পড়ে ও তাহার নীচে পুঁজ জন্মে, মস্তকে হইলে চুল জুড়িয়া যায়, ভয়ানক চুলকায়, চুলকাইলে তাহা আরও বৃদ্ধি পায় । শিশু মস্তক, মুখমণ্ডল, প্রভৃতি ভীষণভাবে চুলকাইয়া মামড়ী টানিয়া তুলিয়া ফেলে, মস্তক, মুখমণ্ডল প্রভৃতি রক্তাক্ত হয় এবং ক্ষত মধ্যে মেদপূর্ণ ফুস্কুড়ি জন্মে, সমগ্র নিন্ম পদের উপর উচ্চ শ্বেত বর্ণের মামড়ী, উত্তাপে চুলকানি বৃদ্ধি পায় ।
✅(Natrum Mur)নেট্রাম মিউরঃ- মস্তকের উপর এক কর্ণ হইতে অপর কর্ণ পর্যন্ত বিস্তৃত সাদা মামড়ী ও তাহার নীচ হইতে পুঁজ নিঃসরণ হইয়া চুলকায়, মুখের চতুষ্পার্শ্বে, জানুর খাঁজে, শরীরের সর্বস্থানেই চর্মের ভাঁজে ভাঁজে একজিমার উদ্ভেদ জন্মে ও তন্মধ্য হইতে হ্যাজাকর চটচটে রস ঝরে।
✅(Natrum Sulph)নেট্রাম সালফঃ- একজিমা হইতে প্রচুর পরিমাণে জলবৎ তরল রস নির্গত হয়, রসপূর্ণ ফুস্কুড়িযুক্ত একজিমা, সমগ্র শরীরে স্থানে স্থানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলপূর্ণ ফুস্কুড়ি জন্মে ।
✅(Acid Nit)নাইট্রিক অ্যাসিডঃ- মস্তকে, কর্ণকুহরে বা মিয়েটাসের উপর, জননেন্দ্রিয়ে, বাহুতে হস্তে, মলদ্বারের চতুষ্পার্শ্বে একজিমা, একজিমা মধ্যে কণ্টকবিঁধনবৎ বেদনা ও সহজেই রক্তপাত হয় ।
✅(Oleander)ওলিয়েণ্ডারঃ- শিশুদিগের মস্তকের উপর জলপূর্ণ ফুস্কুড়িযুক্ত একজিমা, মস্তকের ও কর্ণের পশ্চাতে আইসযুক্ত উদ্ভেদ – পিপীলিকাদংশনের ন্যায় কুটকুট করে।
✅(Petroleum) পেট্রোলিয়ামঃ- মুখমণ্ডলে, গ্রীবায়, মস্তকের পশ্চাতে, অণ্ডকোষে, পেরিনিয়ামে ও উরুতে হলুদাভ সবুজ স্থুল মামড়ী, অত্যধিক চুলকায়, ব্যথা করে ও চর্মে গভীর ফাটল হয় ( গ্র্যাফাই, লাইকো ), হস্ত পৃষ্টে একজিমা, পদাঙ্গুলি মধ্যে একজিমা ও দুর্গন্ধযুক্ত পদ ঘর্ম, শীতকালে একজিমা প্রকাশ পায় গ্রীষ্মকালে অন্তর্হিত হয়।
✅(Psorinum)সোরিনামঃ- একজিমা গ্রীষ্মকালে অন্তর্হিত হয় ও শীতকালে প্রকাশ পায়, অত্যধিক চুলকায় এবং তাহা রাত্রিকালে শয্যার উত্তাপে বৃদ্ধি পায় ( ক্লিমেটিস, মার্ক, মেজেরি, সালফ ), প্রবলভাবে চুলকাইয়া রক্তাক্ত করিয়া ফেলে, সোরাদুষ্ট, ভগ্নস্বাস্থ্য, দুর্বল, শীতকাতর, চর্মরোগপ্রবণ, গণ্ডমালা ধাতুগ্রস্ত শিশু বা ব্যক্তিগণের, যাহাদের গাত্র হইতে সর্বদাই দুর্গন্ধ বাহির হয়, স্নান করিলেও তাহা দূর হয় না, তাহাদের পক্ষে বিশেষতঃ অন্যান্য সুনির্বাচিত ঔষধ, এমন কি, সালফার বিফল হইলে ইহা উপযোগী।
✅(Rhus tox)রাস-টক্সঃ- মস্তকে একজিমা স্কন্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, স্থুল মামড়ী পড়ে অত্যধিক চুলকায়, রাত্রিকালে বৃদ্ধি পায়, অণ্ডকোষ ও উরুর ভিতর দিকে একজিমা হইতে প্রচুর রস ক্ষরণ হয়, বর্ষা ও শীতকালে বৃদ্ধি।
✅(Sarsaparilla) সার্সাপ্যারিলাঃ- কপালে ও মুখমণ্ডলে একজিমা, একজিমার চতুষ্পার্শ্বে প্রদাহাম্বিত হয় এবং মামড়ীগুলি বায়ুস্পর্শে পড়িয়া যায় এবং ক্ষতস্থানে গভীর ফাটল হয় ও জ্বালা করে।
✅(Sepia)সিপিয়াঃ- অন্তঃসত্ত্বাবস্থায় একজিমা, শরীরে সর্ব স্থানেই হইতে পারে, লাল ফুস্কুড়ি জন্মে, অত্যধিক চুলকায় ও চুলকাইবার পর জ্বালা করে । প্রথমে শুষ্ক থাকে, শীঘ্রই দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজের ন্যায় প্রচুর আস্রাব হয় এবং তাহা শুকাইয়া মামড়ী পড়ে ও পরে ফাটিয়া ঝরিয়া যায়।
✅(Sillicea) সাইলেসিয়াঃ- অধিক পুঁজ-স্রাবী একজিমা, অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে, চুলকাইলে বৃদ্ধি, আচ্ছাদিত রাখিলে উপশম।
✅(Staphysagria)স্ট্যাফিসেগ্রিয়াঃ- শিশুদিগের মস্তকে মুখমণ্ডলে ও কর্ণের নিকটে একজিমা, গণ্ডদেশে, কর্ণের পশ্চাতে ও মস্তকের উপর স্থুল হলুদাভ মামড়ীর নীচে দুর্গন্ধময় পুঁজ জন্মে এবং অত্যধিক চুলকায়, একস্থানে চুলকাইলে তথা হইতে নিবৃত্ত হইয়া অন্যস্থানে চুলকায়, মাথার চুল ঝরিয়া যায়।
✅(Sulphur)সালফারঃ- যে সকল শিশু অথবা ব্যক্তিগণ নোংরা থাকিতেই ভালবাসে, পরিষ্কার হইবার প্রয়োজন বোধ করে না, স্নান করিতে চায় না, যাহাদের গাত্রচর্ম কর্কশ এবং প্রায়ই নানাপ্রকার উদ্ভেদ জন্মে, গাত্র হইতে দুর্গন্ধ নির্গত হয় তাহাদের সর্বপ্রকার চর্মরোগেই সালফার উপযোগী । ইহাতে চর্মরোগে গাত্র অত্যধিক চুলকায়, চুলকাইলে জ্বালা ও বেদনা হয় এবং রাত্রিকালে ও স্নান করিলে চুলকানি বৃদ্ধি পায়।
✅(Thuja)থুজাঃ- টীকা দেওয়ার কুফল স্বরূপ একজিমা অথবা টীকা লইবার পর একজিমার বৃদ্ধি, গাত্রচর্মে হস্তস্পর্শ সহ্য হয় না, ভীষণ চুলকায় এবং চুলকাইবার পর দারুণ জ্বালা করে, শরীরের অনাবৃত অংশে ঘর্ম হয় এবং আবৃত অংশে উদ্ভেদাদি জন্মে।
✅(Vinca minor) ভিনকা মাইনরঃ- মস্তকে, মুখমণ্ডলে ও কর্ণের পশ্চাতে একজিমা, চুলকায়, চুলকাইলে জ্বালা করে, দুর্গন্ধযুক্ত রস ঝরে ও চুল জুড়িয়া যায়।
✅(Viola Tricolar)ভায়োলা ট্রাইকলারঃ- শিশুদিগের মস্তকে ও মুখমণ্ডলে একজিমা, অতি স্থুল মামড়ী পড়ে ও তাহার তলদেশ হইতে প্রচুর পরিমাণে ঘন হলুদবর্ণের রস নির্গত হইয়া চুল জুড়িয়া ফেলে, অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে রাত্রিকালে বৃদ্ধি হয়, একজিমা সহ গ্রীবাগ্রন্থির স্ফীতি, মুত্রে দুর্গন্ধ।
Md. Selim Uddin
DHMS,BSc,MPH,PGCHMH ( UK).