
29/06/2025
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় জলাতঙ্ক মুক্তি...............
===============================
আমাদের দেশে জলাতঙ্ক রোগে বছরে ২০ হাজার মানুষ মারা যায়। ভাইরাসজনিত র্যাবিস জীবাণু দ্বারা মানুষ আক্রান্ত হলে যে রোগ লক্ষণ প্রকাশ পায় তাকে বলা হয় জলাতঙ্ক রোগ। এটি একটি মারাত্মক রোগ। যা একবার হলে রোগীকে বাঁচানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। বা বাঁচানো সম্ভব হয় না। তবে বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে। কুকুরে কামড়ানোর সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ মতে ভ্যাকসিন নেয়া শুরু করলে ভয়ের কিছু নেই। কুকুর, শেয়াল, বিড়াল, বানর, গরু, ছাগল, ইঁদুর, বেজি (নেউল), র্যাবিস জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে এবং মানুষকে কামড়ালে এ রোগ হয়। এসব জীব জানোয়ারের মুখের লালায় র্যাবিস ভাইরাস জীবাণু থাকে। এ লালা পুরানো ক্ষতের বা দাঁত বসিয়ে দেয়া ক্ষতের বা সামান্য আঁচড়ের মাধ্যমে রক্তের সংস্পর্শে আসলে রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়। তবে মনে রাখবেন কুকুরে কামড়ালেই জলাতঙ্ক রোগ হয় না। যদি কুকুরটির বা কামড়ানো জীবটির লালায় র্যাবিস জীবাণু না থাকে। আমাদের দেশে শতকরা ৯৫ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয় কুকুরের কামড়ে।
কুকুর কামড়ালে কি করবেন : কুকুরে কামড়ানোর সাথে সাথে ক্ষতস্থানটি সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে দিতে হবে। অথবা পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণ দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। অথবা ৪০-৭০% অ্যালকোহল, পোভিডিন আয়োডিন দিয়ে ক্ষতস্থানটিকে ভালো করে ভিজিয়ে দিতে হবে। যাতে ক্ষতিকর ভাইরাস ক্ষত স্থানে লেগে থাকলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তবে কুকুরে কামড়ানোর সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।