Health Info Desk

Health Info Desk A personal blog of Health neaws, journal’s and articles.

18/01/2024

নিউমোনিয়া প্রতিরোধে করণীয়ঃ

১) ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ বার বার দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়াতে হবে ।
২) নাক বন্ধ থাকলে পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে হবে।
৩) আবহাওয়া অনুযায়ী উষ্ণ রাখতে হবে শীতকালে শিশুদের গরম কাপড় পড়িয়ে রাখা এবং মাথায় টুপি এবং হাত ও পায়ে মোজা পরানো)।
৪) শিশুর বয়স ৬ মাসের বেশী হলে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য সুষম খাবার দিতে হবে।
৫) কাশি থাকলে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস খাওয়ানো অথবা তুলশী পাতার রস শিশুকে খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়া শিশুকে স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে।
৬) নাক বন্ধ থাকলে পরিস্কার নরম কাপড় দিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিতে হবে।আবহাওয়া অনুযায়ী শিশুকে উষ্ণ রাখতে হবে।

নিউমোনিয়া ছাড়া শুধু মাত্র সর্দি অথবা কাশিতে আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে কখন তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবেঃ

★শিশু যদি পান করতে বা মায়ের দুধ টেনে খেতে না পারে
★ শিশু যদি খুব অসুস্থ হয়ে যায়
★ শিশুর যদি খুব বেশী জ্বর আসে
★ সর্দি কাশিতে আক্রান্ত শিশুর যদি বয়স অনুযায়ী দ্রুত শ্বাস থাকে এবং বুকের নীচের অংশ শ্বাস নেওয়ার সময় ডেবে যায়।

সর্দি কাশিতে আক্রান্ত শিশুর বুকের নীচের অংশ ডেবে গেলে বা অন্য কোন বিপদ চিহ্ন দেখা দিলে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
©

02/10/2023

ফেসবুকের একটি ইংরেজি পোস্ট আমার সমবয়সীদের জন্য অত্যন্ত জরুরি মনে হলো, তাই অনুবাদ করে পোস্ট করলাম:

বয়োবৃদ্ধদের জন্য বোন ডেনসিটি (bone density) তথা হাড়ের ক্ষয় পরীক্ষা করিয়ে কোনো লাভ নেই। কারণ তাদের অস্টিওপোরোসিস (osteoporosis)- (ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত রোগ) থাকবেই। আর বয়স যত বাড়বে, এর মাত্রাও বাড়তে থাকবে, সেই সাথে বাড়বে হাড় ভাঙ্গার ঝুঁকি।

শতবর্ষী যত লোক পড়ে গিয়ে ব্যাথা পায়, তাদের প্রায় সবাই তিন মাসের মধ্যে মারা যায়। পড়ে গিয়ে সবসময় হাড় না ভাঙ্গলেও পতনের দৈহিক ও মানসিক ঝাঁকুনি শরীর-মনকে ভীষণ পর্যুদস্ত করে দেয়। যার ধকল সামলাতে না পেরে রোগী মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়।

যাদের বয়স ষাট পেরিয়ে গেছে তাদের হাড় ভাঙ্গা ঠেকানোর সবচেয়ে বড় উপায় হলো পড়ে গিয়ে ব্যাথা পাওয়া রোধ করা।
কীভাবে করবেন?

আমি এই গোপন রহস্যটিকে চারটি শব্দে ব্যক্ত করি: *সাবধান, সাবধান এবং সাবধান!*

▫️তাহলে একটু খুলে বলি:

১) কোনো কিছু ধরা বা পাড়ার জন্য কখনোই চেয়ার বা টুলজাতীয় কিছুর ওপর উঠে দাঁড়াবেন না।

২) বৃষ্টির দিনে বাইরে হাঁটতে যাবেন না।

৩) এই বয়সে কোমড়ের হাড় ভাঙ্গার এক নম্বর কারণ হলো বাথরুমে পা পিছলে পড়ে যাওয়া। তাই গোসল করার সময় বা বাথরুম ব্যবহারের সময় অতরিক্তি সতর্ক থাকুন।

(ক) বিশেষ করে নারীরা, বাথরুমে দাঁড়িয়ে কাপড় বদলাবেন না। গোসল শেষে তোয়ালে বা শাড়ি পেঁচিয়ে বেরিয়ে আসুন এবং ধীরে সুস্থে চেয়ারে বা বিছানায় বসে কাপড় পরুন।

(খ) বাথরুমে ঢোকার আগে ভালো করে দেখুন মেঝে ভেজা কিনা। ভেজা মেঝেতে হাঁটবেন না।

(গ) কেবল কমোড ব্যবহারের চেষ্টা করুন। হাঁটু ভাঁজ করে বসলে উঠতে অনেক বেগ পেতে হতে পারে এবং পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

(ঘ) সম্ভব হলে কমোড থেকে উঠার সময় হাতে টান দিয়ে ধরার মতো কোনো হাতল দেওয়ালে লাগিয়ে নিন।

(ঙ) গোসল করার সময়ও বসার জন্য টুল ব্যবহার করুন। চোখ বন্ধ করে মাথায় পানি দিবেন না।

৪) রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দেখে নিন ঘরের মেঝেতে কিছু পড়ে আছে কিনা; যাতে পা লেগে হোঁচট খেতে পারেন। মেঝে যেনো অবশ্যই ভেজা না থাকে, সে ব্যাপারে অতিরিক্ত সকর্ক থাকুন।

৫) রাতে ঘুম ভাঙ্গলে বিছানা ছাড়ার সময় আগে ২-৩ মিনিট বিছানার পাশে বসুন, বাতি জ্বালান, তারপর উঠে দাঁড়ান।

৬) অন্তত: রাতের বেলায় (এবং সম্ভব হলে দিনেও) বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করবেন না। সম্ভব হলে বাথরুমের ভেতরে একটি এলার্ম লাগিয়ে নিন যাতে করে জরুরি মুহূর্তে বেল বাজিয়ে কারো সাহায্য চাইতে পারেন।

৭) কখনো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাপড় বদলাবেন না। চেয়ারে বা বিছানায় বসে নিন।

৮) সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় রেলিংয়ে একটা হাত রাখুন। দুই হাত পকেটে ঢুকিয়ে কখনো সিঁড়িতে পা রাখবেন না।

৯) যদি কখনো পড়েই যেতে থাকেন, চেষ্টা করুন হাত প্রসারিত করে মাটি বা মেঝে ধরে ফেলতে – তাতে হাত ভেঙ্গে গেলেও সেটা কোমড় ভাঙ্গার চেয়ে অনেক বেশি ভালো।

১০) সারাদিন শুয়ে বসে থাকবেন না। অন্তত কয়েক মিনিট করে হাঁটুন – যতটা সম্ভব।

১১) বিশেষ করে মহিলারা, ওজন কম রাখার ব্যাপারে অতিরিক্ত যত্নবান হোন। পরিমিত খাবার খাওয়া সবচে গুরুত্বপূর্ণ। বেঁচে যাওয়া খাবার নষ্ট না করে খেয়ে ফেলার প্রবণতা কাজ করে অনেকের মাঝে। ভুলেও এটি করবেন না। কখনো ভরপেট খাবেন না – যত মজার আর যত ভালো খাবারই হোক, সবসময় পেট ভরার আগে খাওয়া শেষ করবেন।

১২) সম্ভব হলে বাইরে রোদে কোনো কাজ করুন কিছুক্ষণ। তাতে ভিটামিন ডি-র প্রভাবে হাড় কিছুটা শক্ত হবে।

একবার পড়ে গিয়ে বড় ধরনের ব্যাথা পেলে, গড়ে দশ বছর আয়ু কমে যায়। বৃদ্ধ বয়সে কোনো অপারেশন ভালো কাজে আসে না, আর ওষুধ খেয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে চিকিৎসা মানে কেবল মৃত্যুর দিন গোনা। তাই সাবধান থাকার কোনো বিকল্প নেই।

লেখাটা অনেক লম্বা হলেও আপনার বয়স যদি ষাট পেরিয়ে গিয়ে থাকে তাহলে আশা করি মন দিয়ে পড়ে মনে রাখবেন। যারা বয়োবৃদ্ধদের সেবা করছেন তারাও বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।

মূল লেখক: ডা. রামবিলাস মালানি, নাগপুর
অনুবাদক - ডা. মোতাহার হোসেন

13/08/2023

দুই দিন আগে বাজার করার সময় সফট ড্রিংক্স কর্নারের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ মনে হলো চিনি ছাড়া ড্রিংকগুলোতে কী কী উপাদান আছে ...

08/05/2023

দেশে প্রতি আট জনে একজন বহন করছে রক্তের ভয়াবহ রোগ থ্যালাসেমিয়া। সবচেয়ে বেশি বাহক রয়েছে রংপুর বিভাগে। রোগ নির্মূলে...

রোটা ভাইরাস হচ্ছে নবজাতক ও শিশুদের ডায়রিয়াজনিত রোগ ও পানিশূন্যতা প্রধান কারণ। আক্রান্ত হওয়ার ২-৩ দিন পর সাধারণত এ রোগের ...
10/03/2023

রোটা ভাইরাস হচ্ছে নবজাতক ও শিশুদের ডায়রিয়াজনিত রোগ ও পানিশূন্যতা প্রধান কারণ। আক্রান্ত হওয়ার ২-৩ দিন পর সাধারণত এ রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। তাই সচেতন থাকুন।

30/01/2023
29/01/2023

"দৈনিক দুই লিটার পানি খাবেন"- ডাক্তার উপদেশ দিলেন।

রোগীর উত্তর -"স্যার, আমি দৈনিক দশ লিটারের বেশি পানি খাই"।।

আমাদের দেশের রোগীদের এটা কমন অভ্যাস।।

কাজ নাই, তো গ্যালনে গ্যালনে পানি খাও।। বেশি পানি খাওয়া মোটেও ভালো কাজ নয়।। সেটা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশী করবে।।

বলা হয়ে থাকে - পূর্ণ বয়স্ক পুরুষের জন্য দৈনিক তের গ্লাস ও পূর্ণ বয়স্ক নারীর জন্য দশ গ্লাস পানি খাওয়া স্বাভাবিক।।

সম্প্রতি পৃথিবীর এক নাম্বার হাসপাতাল মায়োক্লিনিকের রিসার্চারগণ বয়স ও ওজন অনুযায়ী দৈনিক কতটুকু পানি খাওয়া দরকার, তার একটা সূত্র বাতলে দিয়েছেন।

তাদের সূত্রকে সহজ করে নিম্নে দেয়া হলো-

"বয়সকে ওজন দিয়া গুন করুন, তাকে ১০০০ দিয়ে ভাগ করুন। যত আসবে তত লিটার পানি কমপক্ষে আপনাকে খেতে হবে চব্বিশ ঘন্টায়"।।

যেমন - আমার বয়স ৩০, ওজন ৭৫ কেজি, তাহলে আমার প্রতিদিন কমপক্ষে (৩০*৭৫)÷১০০০= ২.২ লিটার পানি খাওয়া আবশ্যক।।

ব্যতিক্রম :

১. ছয় মাসের কম বয়সের বাচ্চাকে পানি খাওয়ানোর দরকার নাই।।

২. দৈনিক এক্সারসাইজ বা ভারী কাজ করে যা এক্সট্রা লস হবে, তা সাথে যোগ করে নিতে হিবে।।

৩. যদি রেজাল্ট আধা লিটারের কম আসে, তবুও কমপক্ষে আধা লিটার খাওয়াতে হবে।

© Sayed Sujon

27/01/2023

অবসরের পর ২০২১ সালে রক্তনালীতে ‘ব্লক’ ধরা পড়ে ষাটোর্দ্ধ মোয়াজ্জেম হোসেনের। এক বছর অস্ত্রোপচার এড়িয়ে চিকিৎসা নে.....

খিচুনি / মৃগী রোগ।সকলের কাছে এক আতংকের নাম। নানা ধরণের কুসংস্কার আর অপচিকিৎসার স্বীকার হয় বেশিরভাগ রোগী। অনেক মেয়ের বিয়ে...
20/01/2023

খিচুনি / মৃগী রোগ।
সকলের কাছে এক আতংকের নাম। নানা ধরণের কুসংস্কার আর অপচিকিৎসার স্বীকার হয় বেশিরভাগ রোগী। অনেক মেয়ের বিয়ে হয়না এই ধারণায় যে সন্তানের ও খিচুনি রোগ হবে,অথচ এটি সম্পূর্ণ ভূল ধারণা। আবার অনেক কে লুকিয়ে ঔষধ খেতে হয় কেউ জানলে বিয়ে ভেঙে যেতে পারে এই আশঙ্কায়,এতে ঔষধ বাদ যাওয়ার আর স্ট্রেসের কারণে খিচুনির সম্ভাবনা আর ও বেড়ে যায়।
খিচুনি ব্রেইনের স্নায়ুর অতি উত্তেজনার কারণে হয়ে থাকে যেটি জন্মগত কিংবা কোন আঘাত,ইনফেকশন,টিউমার,স্ট্রোকের কারণে হতে পারে। খিচুনি ছাড়া ও হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যাওয়া,পড়ে যাওয়া,অস্বাভাবিক আচরণ করা,হাত পা অবস লাগা মৃগী রোগের লক্ষ্যণ হতে পারে। খিচুনির সাথে মুখে ফেনা আসা,জিহ্বায় কামড় খাওয়া,প্রস্রাব করে দেয়া,পড়ে আঘাত পাওয়া অনেকটা নিশ্চিতভাবে মৃগী রোগ নির্দেষ করে।
অনেক রোগী দেখা যায় বছরের পর বছর ঔষধ খেয়ে যায় অথচ দেখা যায় সত্যিকার অর্থে মৃগী রোগী নয় ,মানসিক কিংবা অত্যাধিক স্ট্রেসের কারণে খিচুনির মত হয়। বড় সমস্যা হল একবার খিচুনির ঔষধ শুরু করলে সেটি বন্ধ করা কিংবা পরিবর্তন করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ তাই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের কোন বিকল্প নেই। খিচুনি রোগ নির্ণয়ের সবচেয়ে বড় উপকরণ হল রোগী থেকে থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিস্ট্রি নেয়া আর খিচুনির ভিডিও করা,এর কোন বিকল্প নেই।ই ই জি বা ব্রেইনের এম আর ই করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক রোগ নির্ণয় করা যায় না।
নিম্নোক্ত নিয়মাবলি খুব দৃৃড়ভাবে মেনে চলা উচিত।

19/01/2023
শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের দুধ খাওয়াতে হলে প্রথম ধাপ হচ্ছে মা ও শিশুর সঠিক অবস্থান এবং মায়ের বুকে শিশুর সংস্থাপন নিশ্...
12/01/2023

শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের দুধ খাওয়াতে হলে প্রথম ধাপ হচ্ছে মা ও শিশুর সঠিক অবস্থান এবং মায়ের বুকে শিশুর সংস্থাপন নিশ্চিত করা। মায়ের প্রথম ভাগে দুধে শর্করা আমিষ, ভিটামিন মিনারেলস, চর্বির তুলনায় পানির পরিমান অনেক বেশি থাকে। আর কিছুক্ষণ ১০-১৫ মিনিট (তবে এটি শিশুদের চোষার উপরে নির্ভর করে, অনেক শিশু জোরে চোষে আবার অনেক শিশু আস্তে চোষে) চোষার পরে যে দুধটা আসে সেটাকে হাইন্ড ম্লিক বলে যাতে শর্করা আমিষ, ভিটামিন, মিনারেলস এর সাথে চর্বির পরিমান অনেক অনেক বেশি থাকে।

শেষের দিকের দুধ দেখতে সাদা ও ঘন হয় কারণ এতে অনেক চর্বি থাকে। এই চর্বি মায়ের দুধের বেশীর ভাগ শক্তি সরবরাহ করে। যা শিশুর ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এই জন্যই শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় তাড়াতাড়ি ছাড়িয়ে না নিয়ে পরিপূর্ণভাবে একটি দুধ খাওয়ানো শেষ করতে হয় যাতে সে সবটুকু চর্বি পায়। শিশুকে যখন যে স্তনের দুধ খাওয়ানো হবে তা সর্ম্পূণ শেষ করে খাওয়াতে হবে।

07/11/2022

রাতের বেলা পা কামড়ায় ও জ্বালাপোড়া করে, কিন্ত দিনের বেলা ব্যথা উধাও। এ অবস্থাকে চিকিৎসকেরা বলেন, ‘মাসল ক্র্যাম্প’.....

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Health Info Desk posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share


Other Chittagong clinics

Show All

You may also like