Ethik Health Care

Ethik Health Care “Physical fitness is the first requisite of
happiness.”
– Joseph Pilates

20/12/2022

👉✌️✌️বি^জ^য়ে^র মাস উপ'লক্ষে চ*ল*ছে বি'শা'ল ছা''ড়। ✌️✌💝

👉আপনার শরী^রের অ'তিরিক্ত ও'জন,মে'দ ভুঁ'ড়ি ও চ'র্বি "কমান কো'নো রকম ব্যা^য়াম ঝামে'লা ছাড়াই, স'ম্পূর্ণ প্রাকৃ'তিক উপাদানে তৈরী "ক'পি ও জু'স" সেব^নের মা'ধ্যমে।💝

👉আপ'নি কি আপনার চি*কন ও দূ'র্ব'ল শরীর নিয়ে চি"ন্তিত, আপ"নাদের চি'ন্তা দূর করে, আপ'নার দূ*র্ব*ল শরীর'কে গুড *লুক ও স্বাস্থ্য"বান দেখাতে আমরা নিয়ে এসে'ছি মি^ল্ক শেক,এটি সেবনে'র কিছু দিনের মধ্যে'ই আপনি দেখাবে'ন হ্যান্ড*সাম ও আ*ক*র্ষ*নী*য়।💝

👉বাংলা*দেশ সাই'ন্স ল্যাব দ্বারা পরীক্ষিত,ও বি' এস'টিআই কতৃ'ক অনু*মোদিত, কোনো'রকম প্বা'র্শ- প্রতি'ক্রিয়া'হীন।💝

➡️দে"রি না করে এখন'ই অর্ডা'র করুন।

👆বিস্তা'রিত জানতে সেন্ড ম্যাসেজ অপশনে ক্লিক করুন -
➡️অথবা সরাসরি ক'ল করুন-০১৮৭১৪৭৩৪১৬

08/12/2022

আপনার শরীরের অ'তিরিক্ত ও'জন,মে'দ ভুঁ'ড়ি ও চ'র্বি "কমান কোনো রকম ব্যা''য়াম ঝামে'লা ছাড়াই, স'ম্পূর্ণ প্রাকৃ'তিক উপাদানে তৈরী "ক'পি ও জু'স" সেবনের মা'ধ্যমে।
বাংলাদেশ সাই'ন্স ল্যাব দ্বারা পরীক্ষিত, কোনো'রকম প্বা'র্শ- প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।

➡️দে"রি না করে এখন'ই অর্ডা'র করুন।

👆বিস্তারিত জানতে সেন্ড ম্যাসেজ অপশনে ক্লিক করুন -
➡️অথবা সরাসরি ক'ল করুন-০১৮৭১৪৭৩৪১৬

👉আপনি কি "ও'জন" কমানোর উপায় খুঁজছেন?আপনি কি আপনার শরীরের অতিরিক্ত ও'জন, চ*র্বি বা মে*দ-ভু*ড়ি  নিয়ে চিন্তিত?  আর নয় চিন্ত...
07/12/2022

👉আপনি কি "ও'জন" কমানোর উপায় খুঁজছেন?আপনি কি আপনার শরীরের অতিরিক্ত ও'জন, চ*র্বি বা মে*দ-ভু*ড়ি নিয়ে চিন্তিত? আর নয় চিন্তা ও'জন নিয়ে। স্থায়ীভাবে সমা'ধান ক'রুন এক মাসেই-

আপনার শরীরে অনেক দিনের~পুরানো~জমে~থাকা~চর্বি ও অ-স্বা-ভা-বিক মে''দ-ভুঁ''ড়ি বা ও*জ*ন কমাতে প্রমানিত প্রা_কৃ_তি_ক...... উপাদান দিয়ে তৈরী বাংলাদেশ সা-ই-ন্স** ল্যা-ব কর্তৃক পরীক্ষিত❤️ ও বি*এস-টিআই কর্তৃক অনু*মোদিত প্রা_কৃ_তি_ক উ*পা*দান দিয়ে তৈরী ওয়েট---লস---জুস ও ওয়েট--লস---কফি।

👆বিস্তারিত জানতে সেন্ড ম্যাসেজ অপশনে ক্লিক করুন -
অথবা সরাসরি ক'ল করুন-০১৮৭১৪৭৩৪১৬

➡️ওজন কমাতে লেবুপানি-🌿ওজন কমাতে অনেকের কাছেই পরিচিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি সকালে খালি পেটে লেবুপানি পান করা। লেবু ও পানি দুটো ...
02/12/2022

➡️ওজন কমাতে লেবুপানি-

🌿ওজন কমাতে অনেকের কাছেই পরিচিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি সকালে খালি পেটে লেবুপানি পান করা। লেবু ও পানি দুটো উপাদান আলাদাভাবে শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু এই দুটো উপাদান একসঙ্গে কি আসলেই ততটা উপকারী, যতটা মনে করা হয়?🌿

🍁🍁লেবুর রস মেশানো পানি স্বাদে ও গুণে শরবত হিসেবে চমৎকার। এটি পাকস্থলি ও অন্ত্রের অন্যান্য অংশ থেকে পাকরস তৈরিকে ত্বরান্বিত করে। পেটফাঁপা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমিয়ে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ভারী খাবার খাওয়ার পর কোমল পানীয়র পরিবর্তে বেছে নিতে পারেন লেবুপানি।🍁🍁

🍁ওজন কমাতে সকালে লেবুপানি-

🌿আমরা অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা বা কফি চাই। চা-কফি শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। এ ক্ষেত্রে দিনের শুরু করতে পারেন লেবুপানি দিয়ে। ৪০০ মিলিলিটার কুসুম গরম পানিতে দুই চা–চামচ লেবুর রস দিয়ে একটু মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটি বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ায়। এ কারণে সারা দিনে আপনি যা খান, তা সহজেই হজম হয়ে যায়। খালি পেটে লেবু-পানি-মধু পানে ক্ষুধা কম লাগে। সারা দিনে খাবার কম খাওয়া হয়। শরীরে ক্যালরি কম প্রবেশ করে। এ কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।🌿

➡️যেভাবে পান করবেন-

🌿সকালে নাশতা করার অন্তত ৩০ মিনিট আগে লেবুপানি পান করুন। ক্যাফেইন আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। চা-কফির পরিবর্তেও লেবুপানি ভালো। এটি পানিশূন্যতা দূর করে। তবে দিনে দুইবারের বেশি লেবুপানি পান করবেন না।🌿

🌿লেবুপানির সঙ্গে খানিকটা মধু মিশিয়ে নিলে ক্ষুধা কম লাগে। খাওয়া কম হয়। এ কারণে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করতে পারে না।🌿

🌿লেবুপানিতে অতিরিক্ত ভিটামিন সি থাকায় দাঁতের অ্যানামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই পান করার পর ভালোভাবে কুলি করে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
অ্যাসিডিটি হলে পান করা বাদ দিন।
যেসব ক্ষেত্রে লেবুপানি🌿

🌿খাবারের ক্ষেত্রে যদি নিয়মের তোয়াক্কা না করেন, পুষ্টিকর খাবার না খান, ভরপেট বিরিয়ানি খাওয়ার পর শুধু একগ্লাস লেবুপানি পানেই সব ক্যালরি উড়ে যাবে মনে করেন—সেটি ভুল ধারণা। শুধু লেবু-মধুপানি পান করলে শরীরের সব চর্বি গলে যায়, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়—এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। চর্বি ক্ষয়ের জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ক্যালরি ক্ষয় করতে প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা।🌿

🌿লেবুপানি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের একটি অংশ। লেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এটি শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জোগান দেয়। ত্বকে বলিরেখা পড়তে বাধা দেয়। ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে। ডাইউরেটিক ও ল্যাক্সেটিভ হিসেবেও কাজ করে। প্রস্রাব ও মল পরিষ্কার রাখে। এ ছাড়া রয়েছে ফ্ল্যাভনয়েড, যেটি চর্বি ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়, রক্তে চর্বি ও শর্করা কমাতে সাহায্য করে। খাদ্যাভ্যাস ঠিক না করে ও শরীরচর্চা না করে শুধু লেবুপানি পানে ওজন কমে না। লেবুপানি পান করে শরীরচর্চা করলে ক্যালরি ক্ষয়ের পরিমাণ বাড়ে। এটি দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।🌿

দারুচিনির উপকারিতা এবং ঔষধি গুনদারুচিনিকে আমরা মশলা হিসেবেই চিনি। খাবারের *স্বাদ ও সুগন্ধে আলাদা মাত্রা যোগ করতে দীর্ঘদি...
28/11/2022

দারুচিনির উপকারিতা এবং ঔষধি গুন

দারুচিনিকে আমরা
মশলা
হিসেবেই চিনি। খাবারের
*স্বাদ
ও সুগন্ধে আলাদা মাত্রা যোগ করতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে দারুচিনি। বিশেষ করে যে কোন মাংস রান্নায় দারুচিনির গুঁড়ো কিংবা আস্ত দারুচিনি না দিলে তরকারির সাধই পাবেন না।

*তাছাড়া মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার
যেমন সেমাই, পায়েশ, হালুয়া, মিষ্টি ইত্যাদি খাবারে দারুচিনি ব্যবহার না করলে কোন স্বাদ কিংবা সুন্দর গন্ধ ফুটে উঠে না। শুধু রান্নায় নয়, শরীর ও ত্বক উভয়ের জন্যই দারুচিনির অনেক উপকারিতা রয়েছে। দারুচিনি সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভেষজ। দারুচিনিতে রক্তের শর্করার রোধক সহ অসাধারণ ঔষধি গুণাবলী রয়েছে যা, প্রদাহ কমাতে এবং স্নায়বিক স্বাস্থ্য উন্নীত করতে সহায়তা করে। চলুন তাহলে জেনে নেই দারুচিনির উপকারিতা সম্পর্কে।

*ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনে রাখে
দারুচিনি আমাদের দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনে রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুচিনি খব উপকারী। যারা টাইপ টু ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী উপাদান হিসেবে
দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।

*অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
দারুচিনি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি খাবার। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত সারিয়ে তুলতেও এই মসলা বেশ কার্যকর।

*ওজন কমাতে সহায়ক,
যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাবারের তালিকায় দারুচিনি রাখতে পারেন, কারণ দারুচিনি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে এবং হজমে সাহায্য করে। আর তাই এই উপাদান দেহের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখে।

*স্মরণ শক্তি বাড়াতে
মানুষের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য দারুচিনির কিছু উপাদান। যারা প্রতিদিন দারুচিনি খেয়ে থাকেন তাদের স্মরণশক্তি তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে।

*অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে
দারুচিনি পেটের জন্য ভীষণ উপকারি। এটি অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে এবং পেটের ব্যথা উপশম করে। এসিডিটি রোধ করতে, মধুর সাথে দারুচিনি মিশিয়ে খেলে এসিডিটি ভালো হয়ে যায়।

*ক্যানসার প্রতিরোধ করেদারুচিনির নানাবিধ উপাদান আমাদের দেহের ক্যানসার, টিউমার এবং মেলানমাস রোগ প্রতিরোধ করে। লিউকোমিয়া ও লিমফোমা ক্যান্সারের কোষগুলোর প্রভাব কমাতেও সাহায্য করে এই মসলা।

*বাত ও অস্টিওপোরোসিস দূর করে
দারুচিনিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, যা হাড় গঠন, রক্ত ও শরীরের অন্যান্য কোষ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যাদের শরীরে খনিজ উপাদানের অভাব থাকে তাদের বাত ও অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা হতে পারে।

*মাথা ব্যথা দূর করে দারুচিনি দিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে খান দেখবেন মাথা ব্যথা নিমিষেই দূর হয়ে যাবে।

*ব্যাক্টেরিয়া জনিত পেটের অসুখ থেকে বাঁচতে
দারুচিনিতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান পেটে ব্যাক্টেরিয়ার কারণে যে সব অসুখ হয় তা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। দারুচিনির চা, দারুচিনির তেল, দারুচিনিগুঁড়া ইত্যাদি পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

*অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান
শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে দারুচিনি।

*দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির সমস্যায় দারুচিনি
দারুচিনির তেল চুইংগাম, মিন্ট চকলেট, মাউথওয়াশ, টুথপেস্ট ইত্যাদি তৈরিতে ব্যাবহার করা হয়। কারন দারুচিনির উপাদান দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করে মুখের ভিতরে এমন ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।

*তাছাড়া ঠান্ডা জনিত রোগ, পেশী সংকোচনের কারণে ব্যথা এবং শক্তি সঞ্চয়ে সাহায্য করে দারুচিনি। খাদ্য-বিষক্রিয়া থেকে আক্রান্ত হলে দারুচিনি খেলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ এই মসলা পাকস্থলির ব্যাক্টেরিয়া ও ফাংগাস দমন করতে সাহায্য করে। এমনকি ঠাণ্ডায় গলা ব্যথা বা খুশখুশে কাশিতে মধু চায়ের সাথে দারুচিনি মিশালে আরাম পাওয়া যায়।

যে ২৪ রোগের মহাওষুধ লবঙ্গড. কে, এম, খালেকুজ্জামান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব), মসলা হিসেবে লবঙ্গ সক...
28/11/2022

যে ২৪ রোগের মহাওষুধ লবঙ্গ

ড. কে, এম, খালেকুজ্জামান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব),

মসলা হিসেবে লবঙ্গ সকলের পরিচিত। এর ইংরেজি নাম Clove এবং এর বোটানিকাল নাম: Syzygiumaromaticum। ‘লবঙ্গ’ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে তৈরি করা হয়। ‘লবঙ্গ’কে লং বলেও ডাকা হয়। লবঙ্গের সুগন্ধের মূলকারণ “ইউজেনল” (Eugenol) নামের যৌগ।

এটি লবঙ্গ থেকে প্রাপ্ত তেলের মূল উপাদান, এবং এই তেলের প্রায় ৭২-৯০% অংশ জুড়ে ইউজেনল বিদ্যমান। এই যৌগটির জীবাণু নাশক এবং বেদনা নাশক গুণ রয়েছে।

লবঙ্গের তেলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো অ্যাসিটাইল ইউজেনল, বেটা-ক্যারোফাইলিন, ভ্যানিলিন, ক্র্যাটেগলিকঅ্যাসিড, ট্যানিন, গ্যালোট্যানিক অ্যাসিড, মিথাইল স্যালিসাইলেট, ফ্ল্যাভানয়েড, ইউজেনিন, র্যা ম্নেটিন, ইউজেনটিন, ট্রি-টেরপেনয়েড, ক্লিনোলিক অ্যাসিড, স্টিগ্মাস্টেরল, সেস্কুইটার্পিন।

USDA এর রেফারেন্স অনুসারে ১০০ গ্রাম লবঙ্গে ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম টোটাললিপিড, ২ গ্রাম সুগার, ২৭৪ কিলো-ক্যালোরি শক্তি ও ৩৩ গ্রাম ডায়েটারিফাইবার থাকে।

খনিজের মধ্যে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক –কমবেশি সবই আছে। আর ভিটামিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বি-৬, বি-১২, সি, এ, ই, ডি, কে, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ফোলেট রয়েছে। এই সব যৌগের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে।

প্রতিদিন সকালে ও রাতে ২–৩টি করে লংবা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে নিম্নলিখিত উপকার পাওয়া যায়:

১. দাঁতের ব্যথা কমায়: লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা দূরকরে। মাড়ির ক্ষয় নিরাময় করে। লবঙ্গতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু বিক্রিয়া করে যে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমে যায়। প্রায় সব টুথপেস্টের কমন উপকরণ এই লবঙ্গ।

২.বমি বমি ভাব দূর করে: ট্রেনে বা বাসে যাওয়ার সময় যদি মাথা ঘুরতে থাকে ও বমি এসে যায়, তাহলে মুখে একটি লবঙ্গ রেখে সেই রস চুষলে বমি ভাব ও মাথা ঘোরা কমে যাবে। গর্ভবতী মায়েরা সকালের বমিবমি ভাব দূর করতে লবঙ্গ চুষতে পারেন। লবঙ্গের সুগণ্ধ বমিবমি ভাবদূর করে।

৩.সর্দি–কাশি ও ঠাণ্ডা লাগা কমায়: সর্দিকাশির মহৌষধ হিসেবে লবঙ্গ বহু বছর ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ চিবিয়ে রস গিলে খেলে বা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে সর্দি, কফ, ঠাণ্ডা লাগা, অ্যাজমা, গলাফুলে ওঠা, রক্ত পিত্ত আর শ্বাস কষ্টে সুফল পাওয়া যায়।

৪.সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ কমায়: সাইনোসাইটিস রোগে লবঙ্গ খুব উপকারি। সাইনোসাইটিসের রোগীদের চিকিৎসায় লবঙ্গ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লবঙ্গে বিদ্যমান ইগুয়েনাল নামে একটি উপাদান আছে, যা সাইনাসের কষ্ট কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫.মাথা ব্যথা ও মাথা যন্ত্রণা কমায়: ধোঁয়া, রোদ এবং ঠান্ডার জন্য শ্লেষ্মা বেড়ে নানা ধরনের মাথা ব্যথা বা মাথার রোগ দেখা দিতে পারে। মাথা ব্যথা কমাতে লবঙ্গের উপকারিতা অপরিসীম।

৬. পেট ফাঁপা ও পেটের অসুখ উপসম করে: পেট ফাঁপা রোগ নিরাময়ে লবঙ্গ ব্যবহার হয়। লবঙ্গ এনজাইম বৃদ্ধি করে বদ হজম, অগ্নি মান্দ্য (খিদে না হওয়া), পেটের গ্যাস ও বায়ু, পেট ব্যথা, অজীর্ণ, এমনকি কলেরা বা আন্ত্রিক রোগের উপকার করে।

৭. কামোদ্দীপক ও যৌন রোগে উপকারি: লবঙ্গ কামোদ্দীপক। এর সুবাস অবসাদ দূর করে, শরীর ও মনের ক্লান্তি ঝরিয়ে দেয়। যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।

৮. প্রচণ্ড স্ট্রেস ও উৎকণ্ঠা কমায়: এক টুকরো লবঙ্গ মুখে ফেলে চুষে চুষে খেয়ে ফেলুন। পান করতে পারেন লবঙ্গের চাও। মেজাজ ফুরফুরে হয়ে উঠবে।

৯. ব্রণের চিকিৎসায়: লবঙ্গ ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ব্রণের দাগ দূর করতে লবঙ্গের পেস্ট ব্রণের ওপরে দিয়ে রাখুন। লবঙ্গ খেলেও ব্রণ হবে না।

১০. রক্ত পরিশোধন করে: লবঙ্গ শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলো সরিয়ে রক্তকে পরিশোধন করতে ভূমিকা রাখে। রক্তকে পরিস্কার করে।

১১. পিপাসা রোগে উপকারি: যারা পিপাসা রোগে প্রায়ই আক্রান্ত হন; বারবার পানি পান করতে হয়। তাদের সকালে ও বিকালে লবঙ্গ খেলে-পিপাসা চলে যাবে।

১২. খাবারে রুচি বৃদ্ধি করে: বিভিন্ন রোগ বিশেষ করে পেটের রোগে এবং জ্বরে ভোগার পরে খাবারে অরুচি দেখা দেয়। ভাত-রুটি, মাছ-মাংস, মিষ্টান্ন বা যে কোন উপাদেয় খাবারে পর্যন্ত রুচি হয় না সেক্ষেত্রে লবঙ্গ চুর্ণ সকালে খালি পেটে দুপুরে খাবারের পরে খেলে খাবারে রুচি ফিরে আসবে।

১৩. হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: হজমে সহায়তা করে এমন এনজাইমনিঃসরণের মাধ্যমে এবং অ্যাসিড ক্ষরণের মাধ্যমে লবঙ্গ আমাদের হজম ক্ষমতা সক্রিয় করে তোলে। এরাফ্লাটুলেন্স, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, ডিসপেপসিয়া এবং নসিয়া কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের রক্ত প্রবাহেরও উন্নতি ঘটায়।

১৪. বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান বিদ্যমান: লং এর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিকারসিনোজেনিক, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়া, অ্যান্টিইনফ্লেমেটোরি, হেপাটো-প্রোটেক্টিভসহ আরো অনেক বায়ো অ্যাক্টিভ উপাদান পাওয়া যায়। লবঙ্গ কলেরা, যকৃতের সমস্যা, ক্যান্সার, শরীরে ব্যথা ইত্যাদি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ যে কোনও ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১৫.ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, লং এর রস শরীরের ভিতরে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে ও কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, এবং রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শকর্রার মাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে যায়। নিয়মিত লবঙ্গ খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।

১৬. মুখের রোগ সারিয়ে তুলে ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করে: মাড়ির সমস্যা, যেমনঃ জিনজিভাইটিস ও পেরিওডনটাইটিস হলে লং ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। লং এর মুকুল (মাথার অংশ) ওরালপ্যাথোজেনের বৃদ্ধিরোধ করে আপনার মুখটি কেসকল রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।

মাড়ির ক্ষয় বা দাঁতের ব্যথা রোধেও এরা সাহায্য করে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবঙ্গ তুলনাহীন। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমাবার সময় ২টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবিয়ে ঘুমাতেহবে। কয়েকটি মুখে রেখে চিবালেই আপনার নিঃশ্বাস হয়ে উঠবে তরতাজা।

১৭.আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমায়: লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আর্থ্রাইটিসের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, জয়েন্টপেইন কমানোর পাশাপাশি পেশির ব্যথা, হাঁটুতে, পিঠে বা হাড়ের ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও এই ঘরোয়া ঔষধিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১৮. জ্বরের প্রকোপ কমায়: লবঙ্গে থাকা ভিটামিনকে এবং ই, রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে শরীরে উপস্থিত ভাইরাসে রাসব মারা পরে। ফলে ভাইরাল ফিবারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

১৯. ত্বকের সংক্রমণ সারাতে কাজে আসে: আসলে লবঙ্গে উপস্থিত ভোলাটাইল অয়েল শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে জীবাণুদেরও মেরে ফেলে। ফলে সংক্রমণ জনিত কষ্ট কমতে একেবারেই সময় লাগে না। ঘা পচড়া হতে পারবে না।

২০. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের মধ্যে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুধু লিভার নয়, শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে একাধিক হেপাটোপ্রটেকটিভ প্রপার্টিজও রয়েছে, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২১. শরীর ফোলা কমায়: লবঙ্গ খেলে ঠাণ্ডার জন্যে শরীরের কোনো অংশ ফুলে ওঠা কমে যায়। ২২. শ্বাস কষ্ট কমায়: লবঙ্গ চিবিয়ে রস গিলে খেলে শ্বাস কষ্ট ও হাঁপানিতে আরাম পাওয়া যায়।

২৩. হাড় শক্ত করে: লবঙ্গে উপস্থিত ফেনোলিক কম্পাউন্ড-ইউজিনল এবং ইউজিনল ডেরিভাটিভস শরীরে প্রবেশ করার পর বোন ডেনসিটির (হাড়েঘনত্ব) উন্নতি ঘটে। এটি হাড়ের ভেতরের নানাবিধ মিনারেলের ঘাটতিও পুরণ করে।

ফলে হাড়ের সমস্যা জনিত যে কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। নারীরা এবং বয়স্ক মানুষদের নিয়মিত লবঙ্গ খেলে হাড়ের সমস্যা অনেকটা কমে যায়।

২৪. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: লবঙ্গ ব্রেস্টক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধকরে থাকে।

লেখক: বিজ্ঞানী ড. কে, এম, খালেকুজ্জামান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব), মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, শিবগঞ্জ, বগুড়া।

মেদ ও ভুঁড়ি কমানোর সহজ উপায়*পেটের মেদ একটি বিব্রতকর বিষয়। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার যে পেটের মেদ বাড়ায় তা নয়, বেশি ক্যাল...
28/11/2022

মেদ ও ভুঁড়ি কমানোর সহজ উপায়

*পেটের মেদ একটি বিব্রতকর বিষয়। উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার যে পেটের মেদ বাড়ায় তা নয়, বেশি ক্যালরিযুক্ত যেকোনো খাবারই পেটের মেদ বাড়াতে পারে। একবার পেটে মেদ জমলে সেটা কাটিয়ে ওঠা যাবে না, এ ধারণা ভুল। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্থ হলে সহজে মেদ কমিয়ে ফেলা সম্ভব।

*তার আগে জানা জরুরি কোন ধরনের খাবারের কারণে পেটে মেদ জমতে থাকে। সাধারণত মদ্যপান, মিষ্টিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ, ডুবো তেলে ভাজা খাবার, কোমল পানীয়, অস্বাস্থ্যকর বাইরের খাবার, নিয়মিত লাল মাংস (রেড মিট) খাওয়া, স্যাচুরেটেড চর্বি গ্রহণ ইত্যাদি পেটের মেদ বাড়িয়ে তোলার পেছনে ভূমিকা রাখে।

*ওয়ের্ক ফোর্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলেন, যখন একই তেল বারবার ব্যবহার করা হয়, তখন সেখানে ট্রান্সফ্যাট উৎপন্ন হয়। ট্রান্সফ্যাট পেটের মেদ বাড়িয়ে দেয়। পেটের মেদ অতিরিক্ত জমে যাওয়ার আগেই সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

*নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক জীবনযাপনের মাধ্যমে আমরা শরীরের বাড়তি মেদ জমা বা ভুঁড়ি হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, পেটের মেদ বা ভুঁড়ি থেকে বাঁচতে কী করা যায়।

*খাদ্যতালিকায় ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন—লাল চাল বা লাল আটার তৈরি খাবার এবং শাকসবজি ও ফলমূলজাতীয় খাবারে মিলবে আঁশ।

*গ্রিন-টিতে আছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা পেটের মেদ কমাতে খুব বেশি কার্যকর। তাই দুধ ও চিনি বেশি দিয়ে চা পানের অভ্যাস বদলে নিন গ্রিন-টিতে।

*আখরোট, কাঠবাদাম ও সামুদ্রিক মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস। তাই এসব খাবার পেটের মেদ কমাতে কার্যকর।

*ঝাল খাবার খান, পেটের মেদ কমে যাবে। অবাক হচ্ছেন? অবাক হবেন না। ঝাল খাবেন কিন্তু সেই ঝাল আসবে দারুচিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচামরিচ থেকে। এসব রান্নায় ব্যবহার করুন। এই মসলা স্বাস্থ্যকর ও পেটের মেদ কমাতে কার্যকর।

*কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকালবেলা চুষে খান। এই অভ্যাসের ফলে দ্রুত আপনার ওজন কমবে আর পেটের মেদ ঝরবে। কাঁচা রসুন শরীরের রক্তপ্রবাহ সহজ করে। পেটে মেদ জমতে দেয় না।

*সকাল শুরু করুন এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করে। এতে শরীরের হজমপ্রক্রিয়া ভালো থাকবে এবং শরীরে মেদ জমার প্রক্রিয়া ধীর হবে।

*অতিরিক্ত চিন্তা ও কম উদ্যোগের ফলেও কোমরের চারপাশে বা পেটে মেদ জমতে পারে। তাই ভুঁড়ি কমাতে অবশ্যই চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।

*অনেকেই খাবার খাওয়ার পর বসে থাকেন বা শুয়ে পড়েন। তাদের খাবার সঠিকভাবে পরিপাক হয় না, ফলে পেটে চর্বি জমতে থাকে। সে জন্য খাবার খাওয়ার পর একটানা শুয়ে-বসে না থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা উচিত।

*যাঁদের সারা দিন টেবিল–চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, তাঁদের পেটে সহজে মেদ জমে যায়। ভুঁড়ি গোল হতে শুরু করে। তাই তাঁদের উচিত ৩০-৪০ মিনিট বসে কাজ করার পর উঠে ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা।

*একবারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করে অল্প অল্প করে বারবার খাবার গ্রহণ করুন। সারা দিনের অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার খাবারকে ৫-৬ বারে গ্রহণ করুন। সেখানে তিনবার প্রধান খাবার ও দুই-তিনবার নাশতাজাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন।

লেখক: পুষ্টিবিদ

শীতে সর্দি-কাশি, বদজহজম নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান এই ৫ টি খাবারশীতকালে ঘুরতে যাওয়া থেকে পিকনিক, বিয়েবাড়ি থেকে নিউইয়ার পার্টি।...
28/11/2022

শীতে সর্দি-কাশি, বদজহজম নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান এই ৫ টি খাবার

শীতকালে ঘুরতে যাওয়া থেকে পিকনিক, বিয়েবাড়ি থেকে নিউইয়ার পার্টি। একেবারে হইহই ব্যাপার লেগে থাকে।

তবে আবার শীতকাল মানেই বিভিন্ন রকমের রোগের আবির্ভাব। শীতকালে কম হাঁটাচলার কারণে বদ হজম, পেট ফাঁপা, কখনও আবার কাজের অত্যাধিক চাপের কারণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

শীতে এইসব ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন ভিটামিন বি৬ যুক্ত ৫ টি খাবার। বরং জেনে নেওয়া যাক কী কী খাবেন।

১। মটরশুঁটি-
শীতের সময়ের সহজলভ্য সবজি হলো মটরশুঁটি। মটরশুঁটিতেও থাকে প্রচুর ভিটামিন বি৬। এই সবজি খেলে পাওয়া যায় অনেক উপকারিতা।

২। দুধ-
ভিটামিন বি৬ এর অন্যতম ভালো উৎস হল দুধ। বিশেষ করে বয়স্কদের খাবারের তালিকায় দুধ রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

৩। গাজর-
ভিটামিন বি৬ এর অন্যতম ভালো উৎস হল দুধ। বিশেষ করে বয়স্কদের খাবারের তালিকায় দুধ রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ গাজর শীতের মরসুমে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। একটি মাঝারি মাপের গাজরে এক গ্লাস দুধের চেয়েও বেশি ভিটামিন ৬ থাকে। সেইসঙ্গে গাজরে থাকে প্রচুর ফাইবার ও ভিটামিন এ। তাই এই সময়ে সর্দি-কাশি, বদহজম থেকে বাঁচতে নিয়মিত গাজর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

৪। ডিম-
শীতের সময়ে ডিম খেলে তা কেবল আমাদের ভেতর থেকে উষ্ণই রাখে না, সেইসঙ্গে এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকরও। ডিমের অমলেট কিংবা সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন। প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে পাবেন অনেক উপকারিতা।

৫। পালং শাক-
সবুজ পাতাযুক্ত এই শাকে আছে আয়রন, ফোলেট ও পটাশিয়াম। শীতকালে উপকারী এই শাক আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে চেষ্টা করুন। এতে শরীর সুস্থ রাখা অনেক সহজ হবে।

শীতে বেড়েছে তলপেটের মেদ? এই ৫ টি এক্সারসাইজ করে দেখুনশীত মানেই দেদার পার্টি আর পিকনিক। সেইসঙ্গে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, ঠি...
28/11/2022

শীতে বেড়েছে তলপেটের মেদ? এই ৫ টি এক্সারসাইজ করে দেখুন

শীত মানেই দেদার পার্টি আর পিকনিক। সেইসঙ্গে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, ঠিকমতো ডায়েট না মানার ফলে শরীরের একেবারে বারোটাপাঁচ অব্স্থা হয়। শরীরে জমে অনেকটা মেদের বোঝা। তাই বেড়ে যাওয়া ওজনকে আয়ত্তে আনতে হলে একটু বেশি কসরত করতে হবে।

পেটের মেদ অতিরিক্ত হলেই সেই মেদ কমাতে নাজেহাল অব্স্থা হয়। তারপরে আবার যদি তলপেট বেড়ে যায় তাহলে তো বড় চিন্তার কারণ। তবে নিয়মিত সঠিক নিয়মে এক্সারসাইজ করতে পারলে তড়তড়িয়ে কমবে তলপেটের মেদ।

১। বোটিং
প্রথমে মেঝেতে বসুন। পা দুটো সোজা করে ওপরের দিকে ওঠান। হাত দুটো সোজা করে হাটু বরাবর রাখুন। কোমর থেকে শরীরের ওপরের অংশ সোজা করে এমনভাবে রাখুন যেন আপনার পায়ের সঙ্গে সমকোণ তৈরি করে। এই অবস্থায় থেকে পাঁচ বার জোরে জোরে শ্বাস নিন এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। এই এক্সারসাইজটি দিনে ৫ বার করার চেষ্টা করুন।

২। লেগ রেইজ
পা দুটো মাটি থেকে ৯০ ডিগ্রি উপরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে তুলুন। তারপর নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা নিচে নামান। খেয়াল রাখবেন, পা যেন মাটি থেকে কিছুটা উপরে থাকে তাতে পেটে প্রেশার পড়ে। এইভাবে অন্তত ১৫-২০ বার করতে পারেন।

৩। সিটআপ
উভয় পা ভাজ করে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। হাত সোজা রাখবেন। এরপরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা ভাজ অবস্থায় সোজা উঠে বসুন। এরপরে আবার আগের অবস্থায় শুয়ে যান। এইভাবে ১২ টা সিটআপ অনায়েসে করতে পারেন।

৪। স্কোয়াট থ্রাস্ট
সোজা হয়ে দাড়িয়ে বসে পড়ুন। পায়ের পাতা সামনের দিকের অংশ এবং ২ টো হাত মেঝেতে রেখে বসুন। এরপর ২ টো হাতের উপর ভর দিয়ে কোমর থেকে নিচের অংশ পেছন দিকে ছড়িয়ে পায়ের আঙুলের উপর ভর রাখুন। এরপর আবার পা গুটিয়ে আগের মতো বসার স্টাইল করুন। তারপরে উঠে দাঁড়ান। এইভাবে পুরো এক্সারসাইজটি ৮ বার করে করুন।

৫। নি টু চেস্ট
শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা দুটো বুকের কাছে এনে পেটের সঙ্গে রাখুন। এইভাবে অন্তত এক সেকেন্ড চেপে রাখুন। তারপর ধীরে ধীরে পা সোজা করুন। পা দুটো মাটি থেকে কিছুটা উপরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

এলাচ কেন খাবেন? জেনে নিন ১৮টি কারণএলাচের খাদ্য ও পুষ্টিগুণ –এতে আছে প্রোটিন, কার্বোহাড্রেট, কোলেস্টেরল, ক্যালোরি, ফ্যাট,...
28/11/2022

এলাচ কেন খাবেন? জেনে নিন ১৮টি কারণ
এলাচের খাদ্য ও পুষ্টিগুণ –

এতে আছে প্রোটিন, কার্বোহাড্রেট, কোলেস্টেরল, ক্যালোরি, ফ্যাট, ফাইবার, নিয়াসিন, রাইবোফ্ল্যাভিন, পাইরিডক্সিন, থিয়ামিন, ইলেকট্রোলাইট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, সি ইত্যাদি।

এলাচের উপকারিতা –
১. হৃদযন্ত্রের জন্য
এলাচের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হার্টের জন্যে ভালো। কোলেস্টেরল কম করতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপেও দারুণ একটি ওষুধ এলাচ।

২. শ্বাসকষ্টে
এলাচ বিভিন্ন রকমের সমস্যা যেমন সর্দি, কাশি, ফুসফুসের সমস্যা ও রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা ইত্যাদি থেকে মুক্তি দেয়। ব্রঙ্কাইটিস বা শ্বাসপ্রশ্বাসের কোনো রকম সমস্যা থাকলে এলাচ খাওয়া ভালো।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় এলাচ খুব উপকারী। ওষুধের কাজ করে এটি। স্যুপ বা স্টু-এর মধ্যে এলাচ মিশিয়ে খেলে খুব সহজেই কিছু দিনের মধ্যে রক্তচাপ নীচে নামতে শুরু করে।

৪. ডিপ্রেশনে

ডিপ্রেশনের মতো মানসিক সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে এলাচ দারুণ সাহায্য করে। প্রতি দিন চায়ের মধ্যে কয়েক দানা এলাচ ফেলে ফুটিয়ে পান করা ভালো।

৫. হজমের কাজে
এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বিপাকের ব্যাধি থেকে শরীরকে মুক্তি দেয়। যকৃৎ ও অগ্ন্যাশয়ের উন্নতি ঘটায়। ফলে হজম ভালো হয় ফলে বুকে জ্বালা বা পেট খারাপ এবং অম্বলের মত সমস্যা থেকেও অনায়াসে রেহাই পাওয়া যায়।
৬. ডিটক্সিফিকেশন
শরীরে যত বেশি পরিমাণ ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রবেশ করে, ভেতর থেকে তত বেশি পরিষ্কার ও সতেজ থাকে। এলাচ শরীরে বাইরে থেকে আসা যে কোনো বিষক্রিয়া থেকে মুক্তি দেয় ও ডিটক্সিফাই করে।

৭. হেঁচকির হাত থেকে রেহাই
শরীরের যে কোনো মাংসপেশিকে শান্ত করতে এলাচের উপকারিতা অনেক। তাই কোনো কারণে যদি হেঁচকির সমস্যায় পড়েন, তাহলে এক কাপ গরম জলে এক চা চামচ এলাচ মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে সেটি আসতে আসতে পান করলে উপকার হয়।

৮. ক্ষুধা বৃদ্ধিতে
এলাচ খিদে বাড়াতে সাহায্য করে। এলাচের তেল ব্যবহার করলে খাওয়ার প্রতি ইচ্ছে বাড়ে ও খিদেও বাড়ে।

৯. দাঁত ও মুখের জন্যে
এলাচের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান মুখের ভেতরের অংশের অর্থাৎ মাড়ি ও দাঁতের খুব উপকার করে। এলাচের ঝাঁঝালো স্বাদ নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে ও তরতাজা ভাব আনে।

১০. ক্যানসারে
এলাচের খাদ্যগুণের কারণে অনেক ধরনের ক্যানসারের টিউমার বা কোষগুলি বাড়তে পারে না। কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ক্ষেত্রে এলাচের গুনাগুণ বিশেষ ভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
১১. স্মৃতিশক্তি প্রখর করে
এলাচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্ককে শান্ত করে ও স্মৃতিশক্তি প্রখর করে তুলতে সাহায্য করে। প্রতি দিন দুধের সঙ্গে দু’টি এলাচ ফুটিয়ে সেটি পান করুন। ফল অবশ্যই পাবেন।

১২. যৌন স্বাস্থ্য
এলাচের মধ্যে নানান খাদ্য উপাদানের কারণে এটি স্নায়ুকে শান্ত করে ও যৌনইচ্ছাকে বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া, বন্ধ্যাত্ব থেকে মুক্তি পেতেও এলাচ সাহায্য করে।

১৩. উজ্জ্বল ত্বকে
ত্বকের ফর্সাভাব ও ঔজ্জ্বল্যের জন্যে এলাচ দারুণ কাজ করে। ত্বকে ব্রণ ও কালচে ভাব দূর করে। মধু ও এলাচের প্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে ফল পেতে পারেন।

১৪. ত্বকের এলার্জি
এলাচে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান ভরপুর। এটি খুব ভালো অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি। ফলে ত্বককে মোলায়েম করে, ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই এলাচ ত্বকের জন্যে একটি ওষুধও। মধু এবং কালো এলাচের মিশ্রণ এলার্জি হওয়া অংশে লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ফল পাবেন।

১৫. রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে
এলাচে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এগুলি ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো করে।

১৬. ঠোঁটের জন্যে
এলাচ দিয়ে ঠোঁটের নানা রকমের বাম, গ্লস বা তেল তৈরি হয় যা ঠোঁটের কোমলভাব ফুটিয়ে তোলে। গোলাপি ভাব বজায় রাখে। ঘরেও প্যাক তৈরি করে সারা রাত ঠোঁটে লাগিয়ে রাখা যায়। এই প্যাক করতে লাগে এলাচের গুঁড়ো, অলিভ অথবা আমন্ড অয়েল এবং একটুখানি অ্যালোভেরা জেল। প্রতি দিন এটি ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

১৭. চুলের যত্নে
মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকলে চুলের গোড়া মজবুত হয় ও চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এলাচের মধ্যে থাকা পুষ্টিকর উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে ঝলমলে ও লম্বা করতে সাহায্য করে।

১৮. মাথার ত্বকের জন্যে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে মাথার ত্বক ভালো রাখে। এলাচ চুলের ফলিকলগুলিকে মজবুত করে। এলাচ ভেজানো জল দিয়ে চুল ধুলে বা এলাচের গুঁড়ো চুলে লাগানোর পর শ্যাম্পু করলে সব থেকে ভালো ফল পাওয়া যায়। এলাচের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মাথার ত্বকের ইনফেকশনকে দ্রুত সারিয়ে তোলে।

Address

2 No Gate Muradpr
Chittagong
4000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ethik Health Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Ethik Health Care:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram