09/08/2022
"""হার্ট মানুষকে মারে আবার বাঁচায় "''
রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
হার্ট বা হৃদপিন্ড ঠিক রাখার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় সর্বত্তম। হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে স্থানান্তর করতে পারলে হৃদরোগের অনেক আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। কিন্তু পূর্বে হৃদরোগ শনাক্ত করা না গেলে অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসা দেওয়ার আগেই রোগীর মৃত্যু ঘটে। তাই প্রতিরোধটাই সবচেয়ে জরুরী এন্ড নিরাপদ।
মানুষের শরীরের অন্য যেকোনো অঙ্গ অকেজো বা নষ্ট হয়ে গেলে শুধু ওই অঙ্গের কার্যের ব্যাঘাত ঘটে, কার্যক্ষমতা লোপ পায়। কিন্তু হার্ট বা হৃদপিণ্ড নষ্ট অথবা বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ মারা যায়।
বিশ্বের সব চেয়ে বেশি ঘাতক মরণ ব্যাধির নাম হার্ট রোগ বা হৃদরোগ, কোনো রকম পূর্বাভাস ছাড়াই হৃদরোগ যেকোনো সময় কেড়ে নিতে মানুষের জীবন। একবার হার্ট এটাকে আক্রান্ত হলে প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে হার্ট বা হৃদপিণ্ড একটি জরুরী অঙ্গ। হার্টের কর্মক্ষমতার ওপর বেঁচে থাকা, শারীরিক কর্মক্ষমতা, আবেগ অনুভূতি, বলতে গেলে জীবনের সবকিছুই নির্ভরশীল। হার্টের দ্বারা রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে পুষ্টি এবং শক্তি সঞ্চালিত হয়, অক্সিজেন সরবরাহ হয় এবং কার্বনডাই অক্সাইড নির্গমন হয়।
হার্টের রোগ প্রতিরোধ ও হার্ট ভালো রাখার কিছু উপায় নিম্নে দেওয়া হলো :-
*উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ,
*মানসিক ও শারীরিক চাপ নিয়ন্ত্রণ,
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ,
* অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণকরে *ভারসাম্যপূর্ণ ওজন,
*নিয়মিত ব্যায়াম,
*অতিরিক্ত লবণ নিয়ন্ত্রণ,
*চর্বিযুক্ত খাবার বর্জন,
*ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন ইত্যাদি।
লিখেছেন :
Faeid Al Araf
উল্লেখ্য :
হার্টকে ভালো রাখতে এবং হার্ট ভালো রাখার যে সব উপায় বর্নিত হয়েছে, সেগুলোও নিয়ন্ত্রিত রাখতে হিজামা অত্যন্ত কার্যকরী।
তাই হিজামা নিন, অনেক রোগ থেকে সুস্থ থাকবেন ইন শা আল্লাহ।
#হিজামাআর্টিকেল