04/07/2025
আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বা, সৃষ্টির সেরা হিসেবে মর্যাদা দান করলেন।
আমাদেরকে মুসলিম হিসেবে কবুল করে অপরিসীম
দয়া দেখালেন।
তার ওপর না চাইতেই এমন নবীজী (সাঃ) এর উম্মত হিসেবে কবুল করলেন, যিনি আনিসুল গরিবীন, ইমামুল মোরছালিন, খাতামুন নাবিয়্যিন, নূরুন আলা নূর, নূরে মুজাসসাম, ইমামুল আম্বিয়া, দো-জাহানের সরদার, রাহমাতাল্লিল আলামিন।
আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ।।
এত মর্যাদার উম্মত আজ দিকে দিকে মার খাচ্ছে, অপমানিত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে, এর কারণ কী আমরা ভেবে দেখেছি??
প্রতিটি অলিতে গলিতে, প্রতিটি পাড়া মহল্লায় কয়েকটি করে মসজিদ। বাড়ি বাড়ি ঘরে ঘরে বক্তা ও ওয়াজ মাহফিল, হিজাব, টুপি বাড়িওয়ালার সংখ্যাও বাড়ছে। ইসলামী দল ও শাসনব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টাও দৃশ্যমান। তবুও কেন মুসলিম উম্মাহর আজ এই অবস্থা!!
শুধু একটু খেয়াল করুন, এত এত মসজিদ থাকা সত্ত্বেও,
বড় বড় আলেম থাকা সত্ত্বেও কয়টি মসজিদে, কয়জন ইমাম আজ জুম্মার খুতবায় মহররমের আলোচনা করেছেন? মোনাজাতে শহীদে কারবালার স্মরণ করেছেন??
অথচ কাল বাদে পরশু ১০ই মহররম!
এই দিনে কী মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তা কী এইসব আলেমদের অজানা! তবুও তারা নিঃশ্চুপ! দোয়াতেও জান্নাতের যুবকদের সর্দার ইমাম হাসান ও হুসাইন (রা:) এবং আহলে বায়াতের স্মরণ করতে ওনাদের যেন হাজারটা অনীহা।
অথচ আমাদের প্রিয় নবীজী সাঃ ইরশাদ করেছেন,
"যে হাসান হুসাইন কে ভালোবাসলো, সে যেন আমাকেই ভালোবাসলো।" "আমি এবং আহলে বায়াত আমরা এক, অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।"
নবীজী (সাঃ) এর ভালোবাসা, শাফায়াত ছাড়া যে বা যারা আল্লাহর প্রিয় হতে চায় তাদের নির্যাতন আর ধ্বংস ছাড়া কিছুই জুটবে না, এটা আদি ও অনন্তকালের নিশ্চয়তা।
শত্রু শুধু ইহুদীরা নয়, আমাদের সমাজে ইসলামের নামে,
লেবাসধারি আলেমের নামে অনেক মুনাফিক আছে, যারা সমাজ থেকে ধীরে ধীরে মিলাদ কিয়াম থেকে শুরু করে পাক পঞ্জাতন, আহলে বায়াতের মহব্বত, বিভিন্ন ধরনের ইবাদত, মোনাজাত থেকে মুসলিম উম্মাহ কে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।
তারা ঘরে বাইরে, মসজিদে, সমাজে ও সারা দুনিয়ায় বিভিন্ন
ফেতনা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এরাই আসলে আজকের মুসলিম উম্মাহর বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী।
আল্লাহ্ নিজ গুণে দয়াল নবীজী (সাঃ) এর উছিলায় এসব নামধারী, লেবাশদারি মোনাফেকদের থেকে আমাদের সবার ঈমান ও আকিদা, সর্বোপরি আমল কে হেফাজত করুক, আমীন।