28/06/2025
৯ বছর আগে অপসারিত প্লিহা; অথচ ‘স্বাভাবিক’ বলে রিপোর্ট দিলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার!
১৪ বছর বয়সী থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক কিশোর পেটের ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল দেশের একটি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে। শারীরিক পরীক্ষায় তার লিভার অনেক বড় পাওয়া গেলে চিকিৎসক আল্ট্রাসনোগ্রাম করার নির্দেশ দেন। উদ্দেশ্য ছিল: পেটব্যথার সঠিক কারণ সম্পর্ক খুজে বের করা।
কিন্তু এরপর যা ঘটেছে, তা হতাশাজনক এবং প্রশ্নবিদ্ধ। স্থানীয় এক বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়— “প্লিহা স্বাভাবিক আকার ও অবস্থানে রয়েছে।” অথচ, মেডিকেল রেকর্ড অনুযায়ী ওই রোগীর প্লিহা (spleen) ৯ বছর আগেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছিল।
চিকিৎসকরা এমন ভুল রিপোর্ট দেখে হতবাক। একজন চিকিৎসকের মন্তব্য— "যেখানে অঙ্গই নেই, সেখানে রিপোর্টে লেখা হলো সেই অঙ্গ স্বাভাবিক! এ ধরনের রিপোর্ট পেলে রোগ সঠিক নির্ণয়কে পুরোপুরি বিভ্রান্ত করে দিতে পারে।"
দুঃখজনক হলেও এ ঘটনা নতুন নয়। দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অসংখ্য মানহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, যেখানে নেই যোগ্য রেডিওলজিস্ট, নেই তাদের স্বীকৃত মেডিকেল প্রশিক্ষণ। শুধুমাত্র কম খরচে রিপোর্ট সরবরাহের উদ্দেশ্যে নিয়োগ দেওয়া হয় অনভিজ্ঞদের।
চিকিৎসা একটি জীবনঘনিষ্ঠ পেশা, যেখানে ভুল রিপোর্টের ফলাফল হতে পারে ভয়াবহ। অথচ এসব সেন্টারে প্রতিদিন এমন অসংখ্য প্রতারণা চলছে রোগীদের সাথে। এই অব্যবস্থা বন্ধে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ জরুরি।