https://www.facebook.com/115797504957444/

Dr. Samee M Adnan

Home
Bangladesh
Chittagong
Dr. Samee M Adnan

Dr. Samee M Adnan
🩺 Neuromedicine Specialist
🥼 For Serial contact: 01897-848814 Fazlul Quader Road, Panchlaish, Chittagong.

About Dr. Samee M Adnan

🩺 Neuromedicine Specialist
🎓 MBBS, BCS (Health)
📚 MD (Neurology)
🏥 Chittagong Medical College and Hospital
📃 BMDC Reg. No-A-63287

Conditions Treated:
👉Headache, dizziness, or lightheadedness
👉Hemorrhage in the head/brain/stroke
👉Neck/back/back pain/rheumatism
👉Paralysis or numbness of arms and legs
👉Pain/tingling in hands and feet
👉Mild head injury
👉Seizures/epilepsy
👉Fainting
👉Dehydration of flesh
👉Difficulty walking or loss of balance
👉Memory loss
👉Sleep-related problems
👉Difficulty speaking or understanding
👉Sudden loss of vision/blurred vision
👉Face burning
👉Use or behavior problems

Patient Visiting Site 1:
Epic Healthcare Ltd
🏥 Specialized Diagnostic Center and Specialist Doctor Chamber at Epic Center
📍 Address: 19 K.B. (Opposite Chittagong Medical College Main Gate)
📞 Phone for Serial: 01984499600, 01847005345, 01847005346
⏰ Meeting Time: 6 PM-10 PM (Room No-511)
🗓️ Sunday, Tuesday, and Thursday

Patient Visiting Site 2:
Feni Medical Center
📍 Address: Maisha A.M. AHMED TOWER (GROUND FLOOR & LIFT 3) WEST SIDE OF ZAHIRIA MASJID, SHAHEED SHAHIDULLA QAISAR ROAD, FENI
📞 Phone for Serial: 01841925695, 01739925695
⏰ Meeting Time: Friday 10am to 3pm, Saturday and Monday 4pm to 8pm

🔗 Follow for updates:

06/06/2025

"ত্যাগই ঈদের মূল শিক্ষা।
ইবরাহিম (আ.) এর আত্মত্যাগ আমাদের শেখায়—আল্লাহর আদেশের সামনে নিজের ইচ্ছাকে কুরবানি করতে হয়।
আসুন, এই ঈদে শুধু পশু নয়, কোরবানি দিই আমাদের অহংকার, হিংসা ও ঈর্ষার।
আল্লাহ আমাদের কোরবানি কবুল করুন এবং মানবতার আলো ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি হৃদয়ে।
ঈদুল আজহা মোবারক!"

02/06/2025

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদা ও সচেতনতার বার্তা নিয়ে পালন করা হলো World MS Day 2025।

মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস – একটি জটিল নিউরোলজিক্যাল রোগ, যা মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডের স্নায়ুতে আক্রমণ করে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হঠাৎ করে দৃষ্টি, চলাফেরা, ভারসাম্য ও সংবেদনশক্তি হারাতে পারেন — জীবনের প্রতিটি দিনই হয়ে ওঠে এক সংগ্রাম।

🧠 এবারের প্রতিপাদ্য ছিল: “Diagnosis: Connecting the Dots” — দেরিতে নয়, যথাসময়ে সঠিক শনাক্তকরণ হোক রোগী জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত চিকিৎসকবৃন্দ, স্নায়ুবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ, ছাত্রছাত্রীরা। আলোচনা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই দিনটি হয়ে ওঠে স্মরণীয়।

30/05/2025

📣 “প্রতিদিন এক বোতল কোক! কিন্তু শরীর কি বলে?” 🧪🥤

❝এক গ্লাস কোল্ড ড্রিংক—শীতল আনন্দের মতো মনে হলেও, ভেতরে তৈরি করছে এক ভয়ঙ্কর জৈবিক আগুন।❞
আসুন দেখি, কোক-পেপসি বা যেকোনো সোডা জাতীয় পানীয় শরীরে কিভাবে ধ্বংস ডেকে আনে:

🧬 ১. রক্তে চিনি—রকেট গতিতে!

প্রতি ৩৫০ মি.লি. কোক বা পেপসিতে থাকে প্রায় ৩৯ গ্রাম চিনি (প্রায় ১০ চামচ!)
➡️ এত চিনি ৫ মিনিটেই রক্তে শোষিত হয়, ইনসুলিন হঠাৎ করে বেড়ে যায়
➡️ এতে শরীর Fat Storage Mode-এ চলে যায়, ওজন বাড়ে এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়

🧠 ২. মস্তিষ্কে ডোপামিন বৃষ্টি – ফাঁদ তৈরি করে!

সোডার চিনি এবং ক্যাফেইন ডোপামিন রিলিজ বাড়িয়ে একপ্রকার “reward loop” তৈরি করে
➡️ এটি মস্তিষ্ককে আসক্ত করে এবং বারবার চাহিদা তৈরি করে
➡️ ডোপামিন সেন্সিটিভিটি কমে যায়, সাধারণ আনন্দেও আর আনন্দ লাগে না

❤️ ৩. হৃদপিণ্ডের শত্রু:

প্রতিদিন সোডা পানকারীদের মধ্যে
✔️ হৃদরোগের ঝুঁকি ২০–৩৫% পর্যন্ত বেশি
✔️ LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) বাড়ায়
✔️ ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ায়

🦴 ৪. হাড় গলে যায় ধীরে ধীরে!

কোলা জাতীয় পানীয়ে থাকে ফসফরিক অ্যাসিড
➡️ এটি ক্যালসিয়াম শোষণে বাঁধা দেয়, হাড় দুর্বল হয়
➡️ মহিলাদের ক্ষেত্রে অস্টিওপোরোসিস এর ঝুঁকি অনেকগুণ বেশি

😬 ৫. দাঁতের শত্রু:

সোডা একটি অ্যাসিডিক পানীয় (pH ~2.5)
➡️ দাঁতের এনামেল গলিয়ে ফেলে
➡️ দাঁতে গর্ত, দাগ এবং সংবেদনশীলতা তৈরি করে

🍔 ৬. ক্ষুধা বাড়ায়, পুষ্টি দেয় না:

সোডা লিকুইড ক্যালোরি—যা পেট ভরে না, বরং ক্ষুধা বাড়ায়
➡️ শরীর আরও বেশি খাবার চায়, ফলে ওভার ইটিং ও স্থুলতা

❝এক বোতল কোল্ড ড্রিংক মানেই হলো – এক বোতল ধ্বংসের চুক্তি।❞
✅ পানির জায়গায় কোক নয়
✅ তৃষ্ণার জন্য পানি, শসার পানি, লেবু পানি বেছে নিন
✅ সোডা একটানা পান করলে ডায়াবেটিস, স্থুলতা, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা ও হতাশা—সবই ডাক দিয়ে আসে

🔄 চ্যালেঞ্জ নিন: ৭ দিন কোক ছাড়ুন — নিজের শরীরে বদল দেখুন!

28/05/2025

মাইগ্রেন ব্যথার ট্রিটমেন্ট।

#ডাক্তার #নিউরোমেডিসিন #চট্টগ্রাম #নিউরোলজি #স্বাস্থ্য #মেডিকেল #চিকিৎসা #বিশেষজ্ঞ #ফেনী #নিদ্রা #নিদ্রাহীনতা

26/05/2025

জীবন যখন থমকে দাঁড়ায়, তখন ঈগলের মতো বদলে যাও—আবার উড়ার জন্য!

ঈগল যখন ৪০ বছরে পৌঁছায়, তখন তার জীবন দাঁড়িয়ে যায় এক কঠিন সন্ধিক্ষণে। নখ ভেঙে পড়ে, ঠোঁট ভোঁতা হয়ে যায়, পাখার পালক ভারী হয়ে ওঠে। শিকার করা তার পক্ষে সম্ভব হয় না, উড়াও যায় না ঠিকঠাক। তখন ঈগলের সামনে থাকে দুটি পথ—চুপচাপ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া, অথবা একটা কষ্টকর রূপান্তরের ভেতর দিয়ে আবার জন্ম নেওয়া।

ঈগল বেছে নেয় দ্বিতীয় পথটি।
সে একা চলে যায় পাহাড়ের চূড়ায়, নিজে নিজেই ঠোঁট পাথরে আঘাত করে ভেঙে ফেলে। নতুন ঠোঁট গজাতে সময় লাগে। তারপর সেই নতুন ঠোঁট দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে তার পুরোনো, অবসন্ন নখ। আবার সময় লাগে। শেষে সেই নখ দিয়ে একে একে তুলে ফেলে ভারী পালকগুলো।

মাসের পর মাস কেটে যায় এই আত্মত্যাগ আর অপেক্ষার মধ্যে দিয়ে। তারপর, নতুন ঠোঁট, নতুন নখ, নতুন পালক নিয়ে ঈগল আবার উড়ে যায়—আরও শক্তি, আরও সাহস আর নতুন জীবনের প্রত্যাশা নিয়ে!

আমাদের জীবনেও এমন সময় আসে, যখন পুরনো অভ্যাস, ভয়, কষ্ট বা ব্যর্থতা আমাদের পেছনে টেনে ধরে। তখন প্রয়োজন সাহসী এক সিদ্ধান্তের—ঈগলের মতো নিজের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তুলে রূপান্তর এর দিকে পা বাড়ানো।

কষ্ট হবে, সময় লাগবে, ত্যাগ স্বীকার করতে হবে... কিন্তু একবার যদি সাহস করতে পারো, জীবন তোমাকে আবার উড়তে শেখাবে।

25/05/2025

স্ট্রোকের পর জীবন থেমে যায় না—যদি পাশে থাকে একজন সচেতন কেয়ারগিভার।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিউরোলজি ওয়ার্ডে আজকের কর্মশালায় আমরা সেই নীরব সৈনিকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, যারা প্রতিদিন ভালোবাসা, সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ নিয়ে যুদ্ধ করে চলেছেন।
সঠিক জ্ঞানই পারে জীবন বদলে দিতে।

23/05/2025

নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধকে আমরা অনেক সময় ফেলেই দিই। অথচ, সেই নষ্ট দুধ থেকেই তৈরি হয় ক্ষীর — যার মূল্য দুধের চেয়ে বেশি।
আর ক্ষীর যদি আবার নষ্ট হয়, সেখান থেকে তৈরি হয় পনির, যেটা ক্ষীরের চেয়েও দামি।

জীবনের ভুলগুলোও ঠিক এমনই।
প্রথমবার ব্যর্থ হলেন? মনে হলো সব শেষ? বিশ্বাস হারালেন নিজের ওপর?
জেনে রাখুন — প্রতিটি ভুল, প্রতিটি ব্যর্থতা, প্রতিটি হারানো সুযোগ, একেকটি রসায়নের মতো কাজ করে আপনার জীবনের ‘মূল্যবান সংস্করণ’ তৈরি করতে।

যদি আপনি হাল না ছেড়ে শেখেন,
নিজেকে প্রশ্ন করেন “কোথায় ভুল হলো?”,
আর ঠিক সেখানেই নিজেকে একটু একটু করে গড়ে তুলেন, তাহলেই সেই ভুলগুলো একদিন পরিণত হবে আপনার সবচেয়ে বড় শক্তিতে।

পৃথিবীর সব সফল মানুষের গল্পে আপনি একটা জিনিস পাবেন — “তাদের ভুল, তাদের ব্যর্থতা, তাদের হার”।
কিন্তু তারা থেমে যাননি। কারণ তারা জানতেন —
জীবন যখন আপনাকে ভেঙে ফেলে, তখনই শুরু হয় আপনাকে নতুন করে গঠনের কাজ।

তাই ভুল করলে মাথা নিচু করবেন না, চোখ তুলে তাকান, বুক চিতিয়ে বলুন —
"এই ভুল থেকেই আমি শিখব,
আর এই ব্যর্থতা থেকেই আমি একদিন হব অনন্য।"

ভুল হোক আপনার শেখার সিঁড়ি, ব্যর্থতা হোক আপনার সাফল্যের প্রথম ধাপ।
আপনি মূল্যবান — শুধু আপনাকে সময় দিতে হবে নিজেকে গড়ে তুলতে।

22/05/2025

দুশ্চিন্তা ও ঘুমের শত্রুতা: একটি নিউরো-হরমোনাল বাস্তবতা

মানব মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা এবং হাইপোথ্যালামাস আমাদের আবেগ ও স্ট্রেস প্রতিক্রিয়ার কেন্দ্র।
দুশ্চিন্তা বা চিন্তাজনিত উদ্বেগ (worry-induced arousal) যখন অতিরিক্ত মাত্রায় হয়, তখন এই কেন্দ্রগুলো হাইপারঅ্যাকটিভ হয়ে ওঠে।
ফলে Hypothalamic-Pituitary-Adrenal (HPA) axis সক্রিয় হয়ে কর্টিসল হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়।

এই কর্টিসল হল মূল ঘুম-নাশক রসায়ন।

অন্যদিকে, গভীর ঘুম ও সার্কাডিয়ান রিদমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হরমোন মেলাটোনিন—যার নিঃসরণ Pineal gland থেকে ঘটে—
তাহার নিঃসরণ কর্টিসলের উপস্থিতিতে বাধাগ্রস্ত হয়।
ফলে ঘুমের latency বাড়ে, deep sleep কমে যায় এবং ঘন ঘন জেগে ওঠা (sleep fragmentation) দেখা দেয়।

এছাড়াও, ক্রনিক দুশ্চিন্তা sympathetic nervous system-কে অতি সক্রিয় করে তোলে—
যার ফলে হৃদস্পন্দন বাড়ে, পেশী টান পড়ে এবং মস্তিষ্ক hyperarousal অবস্থায় থাকে—
যা ঘুমের physiologic architecture কে ভেঙে দেয়।

সমাধান কী?

Cognitive Behavioral Therapy for Insomnia (CBT-I)

Sleep hygiene বজায় রাখা

Deep breathing ও mindfulness

Night-time digital detox

রাত্রিকালীন রিল্যাক্সেশন রিচুয়াল তৈরি

আর একটি বিস্ময়কর সমাধান হলো: রাতের ঘুমের পূর্বে মাসনূন দোয়া, যিকর এবং তাওয়াক্কুল।

1. ঘুমের পূর্বে “আয়াতুল কুরসি”, “সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস”, অথবা “اللّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا” পড়লে মস্তিষ্কের parasympathetic nervous system সক্রিয় হয়, যা স্ট্রেস কমিয়ে দেয়।
এই প্রক্রিয়ায় হৃদস্পন্দন ও শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর হয়, কর্টিসল কমে যায় এবং ঘুমের অনুকূল হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে।

2.যখন আমরা মনে করি “আমি সৃষ্টিকর্তার হেফাজতে আছি”—এই মানসিক প্রশান্তি cognitive reappraisal এর মাধ্যমে কর্টিসল হ্রাস করে এবং মানসিক চাপ কমায়।

3. জিকির ও সুরা পাঠের সময় rhythmic recitation ব্রেইনের alpha waves বাড়ায়, যা গভীর রিলাক্সেশন ও ঘুমের পূর্বাবস্থা তৈরিতে সহায়ক।

দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করুন, কারণ এটি শুধু ঘুম নয়—আপনার স্মৃতিশক্তি, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা এবং মানসিক স্থিতিশীলতাকেও ধ্বংস করতে পারে।

ঘুমই হচ্ছে মস্তিষ্কের সার্ভিসিং টাইম।
তা যেন উদ্বেগের ভারে নষ্ট না হয়।

19/05/2025

চিকিৎসা মানে কেবল প্রেসক্রিপশনের কাগজে কয়েকটি ওষুধের নাম লেখা নয়।
চিকিৎসা মানে—একজন ক্লান্ত, উদ্বিগ্ন, ভীত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বলা, "আমি আছি, চিন্তা করবেন না।"

একজন রোগী যখন চেম্বারে এসে বসেন,
সে শুধু শরীরের ব্যথা নিয়ে আসেন না,
তিনি সঙ্গে করে নিয়ে আসেন ভয়, প্রশ্ন, দুশ্চিন্তা,
আর একটা অপার আশাভরা চোখ—
যে চোখে লেখা থাকে, “এই মানুষটিই হয়তো আমাকে বাঁচাতে পারবে।”

সেই চোখের ভাষা না পড়তে পারলে
চিকিৎসক হিসেবে আমাদের জ্ঞান পূর্ণতা পায় না।

রোগী যখন জিজ্ঞেস করেন—
"ডাক্তার সাহেব, এটা কি সিরিয়াস কিছু?"
"আমি কি বাঁচবো?"
"এই রিপোর্টটার মানে কী?"
তখন তাকে বুঝিয়ে বলা, সময় দিয়ে শোনানো,
তার হৃদয়ের ভেতরে জমে থাকা ভয়গুলো একে একে সরিয়ে দেওয়া—
এই কাজটাই একজন প্রকৃত চিকিৎসকের আসল কাজ।

কারণ আমরা শুধু ওষুধ দিই না,
আমরা বিশ্বাস দিই।
আশা দিই।
আর মাঝেমধ্যে—
একজন মানুষকে মৃত্যুভয় থেকে জীবনের দিকে ফেরানোর সাহসটুকু দিই।

রোগী শুধু শরীর দিয়ে অসুস্থ হন না,
তার মন, আত্মা—সবকিছু কাঁপে।
আর চিকিৎসা তখনই সম্পূর্ণ হয়,
যখন ওষুধের পাশাপাশি আমরা তার হৃদয়ের কথাটাও শুনি।

18/05/2025

উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) এবং শারীরিক স্থুলতা (Obesity) – এই দুইটি স্বাস্থ্য সমস্যার পারস্পরিক সম্পর্ক:

১. শারীরবৃত্তীয় (Physiological) সম্পর্ক:

১.১ Sympathetic Nervous System (SNS) Hyperactivity:

স্থুলতা বিশেষ করে visceral fat (পেটের গভীরে জমে থাকা ফ্যাট) থেকে নিঃসৃত লেপটিন (Leptin) হরমোন central nervous system কে উত্তেজিত করে SNS কার্যকলাপ বাড়ায়। এর ফলে হৃদস্পন্দন এবং ভাসোকনস্ট্রিকশন (vasoconstriction) বাড়ে, যা সরাসরি রক্তচাপ বাড়ায়।

১.২ Renin-Angiotensin-Aldosterone System (RAAS) Overactivation:

স্থুল ব্যক্তিদের adipose tissue থেকে angiotensinogen নামক প্রো-হাইপারটেনসিভ প্রোটিন বেশি উৎপন্ন হয়। এটি রেনিন এবং অ্যাঞ্জিওটেনসিন-II এর মাধ্যমে ভাসোকনস্ট্রিকশন ও অ্যালডোস্টেরন নিঃসরণ বাড়ায়, ফলে সোডিয়াম ও পানি রিটেনশন হয় এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়।

১.৩ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং হাইপারইনসুলিনেমিয়া:

স্থুলতায় কোষে ইনসুলিন প্রতিক্রিয়া কমে যায় (insulin resistance), ফলে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ে। ইনসুলিন নিজেই sympathetic activity বাড়ায় এবং কিডনির সোডিয়াম রি-অ্যাবসার্পশন বাড়িয়ে রক্তচাপ বৃদ্ধি করে।

২. কিডনির উপর প্রভাব:

স্থুলতা কিডনিতে glomerular hyperfiltration এবং intraglomerular hypertension তৈরি করে, যা সময়ের সাথে obesity-related glomerulopathy (ORG) এর দিকে নিয়ে যায়। এতে nephron ক্ষয় হয়, যার ফলে কিডনি ঠিকমতো সোডিয়াম ও পানি এক্সক্রিট করতে পারে না। এর ফলে volume overload ও hypertension তৈরি হয়।

৩. এন্ডোথেলিয়াল ডিসফাংশন (Endothelial Dysfunction):

স্থুলতার কারণে Nitric oxide উৎপাদন কমে যায় এবং Reactive Oxygen Species (ROS) বাড়ে। এর ফলে রক্তনালীর প্রাকৃতিক প্রশমন ক্ষমতা (vasodilation) ব্যাহত হয় — এটি হাইপারটেনসনের একটি মূল প্যাথোফিজিওলজিক ফ্যাক্টর।

৪. ক্লিনিকাল ও এপিডেমিওলজিক তথ্য:

Framingham Heart Study: BMI প্রতি 1 unit বৃদ্ধি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি 5-7% বাড়ায়।

Nurses’ Health Study: মহিলাদের মধ্যে যারা স্থুল (BMI > 30), তাদের মধ্যে হাইপারটেনশনের প্রাদুর্ভাব ছিল 3 গুণ বেশি।

INTERSALT Study: বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীতে BMI ও উচ্চ রক্তচাপের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক পাওয়া গেছে।

JNC 8 এবং ACC/AHA guidelines স্থুল ব্যক্তিদের জন্য ওজন হ্রাসকে নন-ফার্মাকোলজিক থেরাপির প্রধান অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

৫. ওজন হ্রাসের প্রভাব:

মাত্র ১ কেজি ওজন হ্রাস রক্তচাপ গড়ে ১ mmHg পর্যন্ত কমাতে পারে (systolic)।

DASH ডায়েট, sodium restriction, aerobic exercise ও intermittent fasting — এইসব কৌশলে স্থুলতা ও হাইপারটেনশন একসাথে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

স্থুলতা ও উচ্চ রক্তচাপ একই মেটাবলিক সিন্ড্রোমের অংশ। স্থুলতা একাধিক জৈব রাস্তা (multiple pathophysiologic pathways) দিয়ে হাইপারটেনশন তৈরি করে — যার মধ্যে sympathetic overactivity, RAAS activation, insulin resistance, এবং renal dysfunction সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

নিয়ন্ত্রিত ডায়েট, ব্যায়াম ও জীবনধারার পরিবর্তন — এই তিনটিই এই দুষ্টচক্র (vicious cycle) ভাঙার কার্যকর উপায়।

17/05/2025

আজ ১৭ই মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস (World Hypertension Day)

শারীরিক স্থুলতা ও উচ্চ রক্তচাপ – নীরব ঘাতকের দ্বৈত আক্রমণ!

আপনার শরীরের ওজন শুধু আয়নার প্রতিচ্ছবি নয়, হৃদয়ের চাপের প্রতিফলনও বটে।

গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত দেহের চর্বি—বিশেষত পেটের চারপাশের চর্বি—রক্তনালীগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে বাড়ে রক্তচাপ। মোটা মানুষের শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, সিম্প্যাথেটিক নার্ভ সিস্টেমের অতিরিক্ত উত্তেজনা, এবং কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ—all contribute করে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধিতে।

উদাহরণস্বরূপ:
• ১ কেজি অতিরিক্ত ওজন বাড়ায় সিস্টোলিক প্রেসার প্রায় ১.৬ মিমিHg পর্যন্ত।
• ৮০% হাইপারটেনসিভ রোগীরই থাকে BMI>২৫।

তাই মনে রাখুন:
স্থুলতা নিয়ন্ত্রণ = রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ।

আজকের দিনে করুন এই ৩টি অঙ্গীকার:
১. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন।
২. অতিরিক্ত চিনি ও চর্বি এড়িয়ে চলুন।
৩. নিজের ওজন ও রক্তচাপ নিয়মিত মাপুন।

হাইপারটেনশন ও শারীরিক স্থুলতা—দুটিই নীরব ঘাতক। সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন।

#উচ্চরক্তচাপ #স্থুলতা #সচেতনতা

16/05/2025

“ডোপামিন সেন্সিটিভিটি”
"আমাদের আনন্দ পাওয়ার ক্ষমতা কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে?”

আমরা সবাই চাইলেই এখন বিনোদন পেয়ে যাই—একটা রীলস, একটা গেম, একটা লাইক।
কিন্তু কীভাবে এই “সহজ আনন্দ” আমাদের মস্তিষ্কের আনন্দ-নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিচ্ছে, সেটা কি জানি?

এর পেছনে কাজ করে একটাই হরমোন—ডোপামিন।

ডোপামিন কী?
ডোপামিন হলো আমাদের মস্তিষ্কের “রিওয়ার্ড কেমিক্যাল”।
কোনো ভালো কাজ করলে, লক্ষ্য অর্জন করলে, বা নতুন কিছু শিখলে এই হরমোন নিঃসৃত হয়—যেটা আমাদের মোটিভেশন ও আনন্দ দেয়।

সমস্যাটা শুরু হয় যখন…

• প্রতিবার আপনি স্ক্রিনে নতুন রীলস স্ক্রল করেন,
• ভিডিও গেমে নতুন লেভেল পার করেন,
• সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইক/কমেন্ট চেক করেন—
তখন ডোপামিন স্পাইক করে। এই স্পাইক যত বেশি, তত বেশি মস্তিষ্ক “দ্রুত আনন্দে” অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।

ফলাফল: ডোপামিন সেন্সিটিভিটি কমে যায়

• মস্তিষ্ক এত ডোপামিনের বন্যায় “নরমাল” আনন্দের প্রতি সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়
• একে বলে receptor downregulation
• আপনি আগে যা দিয়ে খুশি হতেন—বই পড়া, প্রকৃতিতে হাঁটা, পরিবারে সময় কাটানো—তা এখন আর আনন্দ দেয় না

এর ফলাফল কী হতে পারে?

• মনোযোগের ঘাটতি
• লক্ষ্যহীনতা
• কোনো কাজেই স্থায়ী তৃপ্তি না পাওয়া
• অবসাদ, motivational burnout
• এমনকি ডিপ্রেশন

সমাধান কী? Dopamine Reset & Digital Detox

• কম সময়ে বেশি আনন্দ খোঁজা বন্ধ করতে হবে
• স্ক্রিন টাইম কমিয়ে ধীরে ধীরে আনন্দ পাওয়ার পুরনো পথগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে
• শুরু করুন:
– প্রতিদিন ১-২ ঘণ্টা স্ক্রিন-ফ্রি সময়
– সৃজনশীল বা শারীরিক কাজ (জিম, আঁকা, হাঁটা, কুরআন তিলাওয়াত)
– ধৈর্যের সাথে কাজ শেষ করার অভ্যাস

আপনার মস্তিষ্ক সবসময় আনন্দ খুঁজবে। আপনি সিদ্ধান্ত নেন, সেই আনন্দ হবে সহজ স্ক্রিন স্পাইক, নাকি গভীর জীবনের তৃপ্তি।

ডোপামিনকে নিয়ন্ত্রণ করুন—জীবনকে নয়তো সে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে।

Address

Chittagong
4000

Telephone

+8801611428683

Website

facebook.com

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Samee M Adnan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Samee M Adnan:

Shortcuts

Want your practice to be the top-listed Clinic in Chittagong?