ডা. মোঃ মকছুদুর রহমান রাকিব

ডা. মোঃ মকছুদুর রহমান রাকিব ABU MEDICO, PAKKA DOKAN
সোমবার (বিকেল ৫ টা-রাত ৮টা)

ডা. মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান রাকিব।
এমবিবিএস, পিজিটি(নবজাতক ও শিশু), সিএমইউ(আল্ট্রা)
PARKVIEW HOSPITAL
রবি ও মঙ্গলবার (রাত১০টা-সকাল ৮টা)
ISLAMI BANK HOSPITAL
রবি ও মঙ্গলবার (সকাল১০টা-দুপুর ৩টা)
MS.

এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স : নীরব ঘাতক এটি আমার একটি রোগীর ব্লাড সিএস রিপোর্ট। জন্মের পর ছোটখাট একটা জন্মগত ত্রুটির জন্...
27/11/2025

এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স : নীরব ঘাতক

এটি আমার একটি রোগীর ব্লাড সিএস রিপোর্ট।
জন্মের পর ছোটখাট একটা জন্মগত ত্রুটির জন্য তার অপারেশন করানো হয় । অপারেশন সুন্দর মত কোন জটিলতা ছাড়াই শেষ হয়। অপারেশনের পরে ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য স্বাভাবিকভাবে যেসব এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয় সেগুলো দিয়ে রাখা হয়।

কিন্তু দিন দিন তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে, এন্টিবায়োটিক (Ceftazidim, Cefotaxim, Amikacin) পরিবর্তন করে উচ্চ ধাপের এন্টিবায়োটিক (Meropenem, Vancomycin,Cefepime ) দেওয়া হয় , তাতেও বাচ্চার অবস্থা উন্নতি হয় না।

পরে রক্তের সিএস রিপোর্ট যখন আসে, ডাক্তারের মাথায় হাত! প্রায় সাত দিন ধরে চলে আসা সবগুলো এন্টিবায়োটিক ই এই নবজাতক যে জীবাণু দিয়ে আক্রান্ত হয়েছে, তার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্যান্ট।
অর্থাৎ এসব ওষুধ এই জীবাণুকে কিছুই করতে পারবে না।

ইতোমধ্যে ইনফেকশন রক্তের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে, যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় সেপসিস বলা হয়। অতঃপর সেনসিটিভ থাকা শুধুমাত্র দুটি এন্টিবায়োটিক (Colistin & Tigecycline ) দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেও সেপসিস কন্ট্রোলে না আসায় অবশেষে বাচ্চাকে আমাদের আইসিইউ তে পাঠানো হয়।

শিশু আইসিইউতে আমি যখন দেখি, বাচ্চাকে পাই প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনিরত অবস্থায়। সে রাতেই লাইফ সাপোর্টে দিতে হয় এবং কয়েক ঘন্টা ব্যবধানেই তার মৃত্যু হয়।

নবজাতক ও শিশু আইসিউতে কাজ করার সুবাদে প্রতিটা দিন এরকম দৃশ্য দেখা লাগছে। কয়েকদিন আগে একটা প্রতিবেদন দেখলাম , ৪১% রোগীর ক্ষেত্রেই সাধারণ এন্টিবায়োটিক গুলো আর কাজ করছে না। অনেকের কাছে প্রতিবেদনটা অসত্য মনে হলেও, বাস্তবতা প্রতিবেদন এর চেয়েও ভয়ংকর।

সামনে কী ভয়াবহ দিন আসতেছে আল্লাহ্ গফুরুর রহীম জানেন ☹️

- ডা. মোঃ মকছুদুর রহমান রাকিব

শীত চলে এসেছে , ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে চরমভাবে বাড়ছে বাচ্চাদের সর্দি কাশি এলার্জি এসব সমস্যা।এই সময়ে ঠান্ডা ক্ষী সর্...
26/11/2025

শীত চলে এসেছে , ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে চরমভাবে বাড়ছে বাচ্চাদের সর্দি কাশি এলার্জি এসব সমস্যা।এই সময়ে ঠান্ডা ক্ষী সর্দি এলার্জি এসব থেকে বেঁচে থাকতে বাচ্চাদের:-

• ঠান্ডা বাতাসে সরাসরি বের হতে দেবেন না, বাইরে গেলে মাথা–কান–গলা ঢেকে রাখুন
• ঘরের ভেতর ধুলোবালি কমান, রুম ঠিকমতো বাতাস চলাচলের মতো রাখুন
• হালকা গরম পানি পান করাতে পারেন
• খুব ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম ও ফ্রিজের খাবার সরাসরি না দেওয়াই ভালো
• বাচ্চাকে ভিড় এড়িয়ে চলতে দিন, কারণ ভাইরাস দ্রুত ছড়ায়
• কাশি–সর্দি বাড়লে বা শ্বাসকষ্ট/দুধ কম খাওয়া দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তার দেখান

ডা. মোঃ মকছুদুর রহমান রাকিব

ভারতীয় এক ব্যক্তির শরীর থেকে ভিয়েতনামের ডাক্তাররা ২৬ ইঞ্চি লম্বা ইল মাছ বের করেছেন, যে মাছটি তিনি উত্তেজিত হয়ে জোর করে ন...
26/11/2025

ভারতীয় এক ব্যক্তির শরীর থেকে ভিয়েতনামের ডাক্তাররা ২৬ ইঞ্চি লম্বা ইল মাছ বের করেছেন, যে মাছটি তিনি উত্তেজিত হয়ে জোর করে নিজের মলদ্বারে ঢুকিয়েছিলেন, সঙ্গে ছিলো একটি লেবুও!

চিকিৎসকেরা এক্স–রেতে যখন মাছটি দেখতে পান, তারা হতবাক হয়ে যান। জীবন্ত ইলটি ধারালো দাঁত দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল, বৃহদান্ত্রের দেয়াল কামড়ে কামড়ে ছিদ্র করে দিতে চাইছিল।

প্রথমে ডাক্তাররা প্রোব ব্যবহার করে রেকটামের দিক দিয়ে মাছ বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখন দেখা গেল, ভেতরে আটকে রয়েছে একটি লেবু! ওটার কারণেই ইলটি টেনে বের করা সম্ভব হয়নি।

শেষ পর্যন্ত সার্জনদের পেট কে||টে অপারেশন করতেই হলো। ফোরসেপ দিয়ে ইলটিকে বের করে আনা হলো।

তারপর খুব সতর্কভাবে লেবুটিকে নিচের দিক দিয়ে নামানো হলো যতক্ষণ না তা মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসে। ডাক্তাররা অন্ত্রের ক্ষত সেলাই করে দিলেন এবং ছড়িয়ে পড়া মল পরিষ্কার করে দিলেন।

চিকিৎসকদের মতে, চিকিৎসা না হলে লোকটি নিশ্চিতভাবেই মারা যেত। এখন তাকে সারা জীবন কোলস্টমি ব্যাগ ব্যবহার করে চলতে হবে।

রোগীর নাম প্রকাশ করা হয়নি অবশ্য। শুধু জানা গেছে, তিনি ৩১ বছর বয়সী ভারতীয় নাগরিক।

আমার রোগীর অভিবাবকদের একটা কমন জিজ্ঞাসা হলো :- বারবার চিকিৎসা করেও বাচ্চাদের স্ক্যাবিস (পাঁচরা) ভাল হচ্ছেনা?এর কারণ গুলো...
25/11/2025

আমার রোগীর অভিবাবকদের একটা কমন জিজ্ঞাসা হলো :-

বারবার চিকিৎসা করেও বাচ্চাদের স্ক্যাবিস (পাঁচরা) ভাল হচ্ছেনা?

এর কারণ গুলো নীচে লিখলাম;

অনেক সময় শুধু ওষুধ দিলেই স্ক্যাবিস সারে না—
👉 ঘরের সবাই একসাথে চিকিৎসা না নিলে আবার ছড়িয়ে পড়ে।
👉 বিছানার চাদর, বালিশ, পোশাকগুলো ঠিকভাবে ধোয়া–রোদে শুকানো না হলে মাইট বেঁচে থাকে।
👉 ওষুধ ঠিকমতো সারা শরীরে লাগানো হয় না—বিশেষ করে আঙুলের ফাঁক, বগল, কোমর, নাভির চারপাশ এড়িয়ে যায়।
👉 বাচ্চাদের ঘন ঘন অন্যদের সাথে ঘুমানো বা কাপড়-তোয়ালে শেয়ার করার অভ্যাস থাকে—এতেও রিইনফেকশন হয়।

স্ক্যাবিস সারাতে ও পুনরায় না ফেরাতে চিকিৎসা + ঘরের সবার হাইজিন—এই দুটোই জরুরি। 🧼

ডা. মোঃ মকছুদুর রহমান রাকিব

আসেন একটা গল্প বলি, আমাদের একজন রোগী । তার culture and sensitivity রিপোর্ট এটা । কি ভংকর অবস্থা হয়েছে দেখুন । 🆘১৭ টা এন...
25/11/2025

আসেন একটা গল্প বলি, আমাদের একজন রোগী । তার culture and sensitivity রিপোর্ট এটা ।

কি ভংকর অবস্থা হয়েছে দেখুন । 🆘

১৭ টা এন্টিবায়োটিক ঔষুধের ভেতরে মাত্র ১ টা ইন্টারমিডিয়েট ( মানে Microbial Agent এর সারফেসে কাজ করলেও সেটা ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যেতে পারে নি)। এক কথায় সেটাও কাজ করতেও পারে আবার না ও করতে পারে ।

তার মানে এখন আমরা,” ঢাল তলোয়ার ছাড়া নিধিরাম সর্দার হয়ে বসে থাকবো “।

সুপারিশ অনুযায়ী VITEK ( Life Technology) মেথড ব্যবহার করে পরের বার যদি কোনোটা sensitive আসে তাহলে সেটা ব্যবহার করতে পারবো । সেই রিপোর্ট আসতেও সময় লাগবে ১-২ দিন । তাও যদি আল্লাহ পাক আমাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন তবে । তার মানে এই কয়দিন বসে বসে দেখা লাগবে আর পরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে

এখন প্রশ্ন হলো, এই অবস্থা কিভাবে হলো? এমনকি যে Meropenem injection ছাড়া মুখের ট্যাবলেট হয় না, সেটাও রেসিস্টেন্ট 😱। যদিও সে এই ইনজেকশন এখানে আসার আগে পায় নি ।

এটা নিয়ে পরিচিত কয়েকজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট এর সাথে কথা বললাম । সেখানে যে পয়েন্ট বেশি সামনে আসলো:

🚨 যত্রতত্র এন্টিবায়োটিক এর ব্যবহার 🚨

এই ব্যবহার কিভাবে হয় জানেন? ফার্মেসি থেকে । এই আপনি ২/৩ দিনের জ্বর নিয়ে আসছেন? নো প্রবলেম , ফার্মেসি আপনাকে azithromycin দিয়ে দিবে । গলা ব্যথা নিয়ে যাবেন? একটা এন্টিবায়োটিক দিয়ে দিবে ।
আরেকটা ভয়ংকর কথা কি জানেন? এই যে পাতলা পায়খানা শুরু হলে, মুড়ি মুড়কির মতো Metronidazole খাওয়া শুরু করেন না? এটাও একটা এন্টিবায়োটিক ।

⚠️ এখন প্রশ্ন করতে পারেন, আরে ভাই আমি তো জীবাণু মেরে ফেলতেই খাচ্ছি । তাহলে সমস্যা কোথায়??

সমস্যা হলো, আপনারা মন মত খান । প্রতিটি এন্টিবায়োটিক এর নির্দিষ্ট ডোজ এবং সময় আছে । মনে করেন আপনার দেহে জার্ম / মাইক্রো অর্গানিজম আছে, সেটার জন্য আপনার একটা এন্টিবায়োটিকস দরকার । আপনাকে ডাক্তার দিলেন ৭ দিনের ( দিনে ৩ বেলা)। কিন্তু আপনি ৩-৪ দিন খেয়ে দেখলেন আগের চেয়ে ভালো আছেন তাই শুধু শুধু টাকা নষ্ট হবে এই ভেবে বাকি ২/৩ দিন আর খাইলেন না ।

এই সময় আপনার শরীরে কি হয় জানেন?

মনে করেন আপনার দেহে ছিলো ১০০ টা মাইক্রোঅরগানিজম । আপনি ঔষুধ খাওয়া শুরু করলেন, এরাও কমতে শুরু করলো । ৩-৪ দিনে সেটা কমে হলো ৩৫-৪০ এ। এখন আপনি ভালো আছেন দেখে আর কোনো ঔষুধ খাইলেন না । ফলে ওই ৩৫/৪০ টা দুর্বল হয়ে থেকে গেল । একবারে ধ্বংস হইলো না । এখন এই ৩৫-৪০ টা কি করবে? তারা নিজেরা নিজেদের মতো করে জিন পরিবর্তন করতে শুরু করবে । কারণ তারা নিজেরা সারভাইভ করতে চায় । এবং এই জিন পরিবর্তন করবে এমন ভাবে যেন, তাদের পরের প্রজন্ম এই মেডিসিন কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে পারে ।

ব্যাস, হয়ে গেল। পরের বার থেকে আর এই ঔষুধ আগের মত কাজ করবে না । ধীরে ধীরে এর ক্ষমতা কমে আসবে । একসময় ওষুধ খাবেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না ।

শুধু যে ফার্মেসি থেকে এটা হয় সেটা না । আমাদের খাবারের মধ্যে ও এখন এন্টিবায়োটিক পাওয়া যাচ্ছে । যেটা খুব ই এলার্মিং । বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগি, ডিম, মাংস । খুব দ্রুত লাভ এর আশায় এন্টিবায়োটিকস, গ্রোথ হরমোন খাওয়ানো হয় । এই জন্য একটা ব্রয়লার মুরগি জন্মের ১৭/১৮ দিনের ভেতরে ২ কেজি + হয়ে যায় ।( আগে বাসার পাশে একটা ফার্ম থেকে নিজের চোখে দেখা) । এই মুরগি গুলোই পরে আমরা রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে হাড় পর্যন্ত চাবিয়ে খেয়ে থাকি । ফলাফল, হাড়ে ডিপোজিট হওয়া এই গুলো আমাদের শরীরে চলে যাচ্ছে কিন্তু আমরা বুঝছি না ।

লং টার্ম এ দেখা যাচ্ছে আমরা নিজেদের কে একেকটা Super Bug বানিয়ে ফেলছি । কালকেই রিপোর্ট দেখলাম অলরেডি আইসিউ এর ৪১% রোগী রেসিস্টেন্স হয়ে গিয়েছে । তার মানে এটার প্যাসিভ ট্রান্সমিশন এ আমি আপনি সবাই আক্রান্ত হতে পারি । না চাইলেও হয়ে যাবো, রেসিস্টেন্স ।

এভাবে চলতে থাকলে সেদিন হয়তো খুব দূরে না , যেদিন সামান্য জ্বর, সর্দি , কাশি হবে আর কোন মেডিসিনে কাজ হবে না। এখানে থেকে কেউ হয়তো থাকবে আর কেউ হয়তো হারিয়ে যাবে

আল্লাহ সকলকে সুস্থ রাখুন । আমিন



“Act Now: Protect Our Present, Secure Our Future”

©️ Md-Wasiul Alam Taufique

ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি-এর অভাব আজকাল আমাদের সমাজে খুবই সাধারণ। মোটামুটি ৩০-৩৫ বছর বয়সের পর থেকেই দেখি সবার এগুলোর অভ...
24/11/2025

ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি-এর অভাব আজকাল আমাদের সমাজে খুবই সাধারণ। মোটামুটি ৩০-৩৫ বছর বয়সের পর থেকেই দেখি সবার এগুলোর অভাবজনিত লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে, এজন্য চিকিৎসকদের অনেক রোগীকে ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট একদম " চলবে " লিখতে দেখি...

কিন্তু দামি সাপ্লিমেন্ট বা ক্যাপসুলের বদলে আমাদের স্বাভাবিক খাবারেই এর দারুণ সমাধান আছে।

​এই চারটি খাবার রোজকার পাতে নিয়মিত রাখুন:
​১. দুধ ও দই: ক্যালসিয়ামের সেরা উৎস, যা হাড়ের মূল ভিত্তি মজবুত করে।

২. কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ: মলা বা পুঁটির মতো ছোট মাছ হাড় সহ খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

৩. ডিমের কুসুম: প্রতিদিন একটি ডিমের কুসুম আপনার শরীরের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে।

৪. সবুজ শাক: পালং শাক বা অন্যান্য সবুজ পাতাযুক্ত শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য জরুরি খনিজ।

৫. বিভিন্ন ধরনের বাদাম: বাদামে থাকে সহজে শোষণযোগ্য ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট—যা হাড়ের গঠনে সরাসরি সাহায্য করে।

​নিয়মিত এগুলি খান। এটা শুধু আপনার হাড়কে শক্তিশালী করবে না, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়াবে। সুস্থ থাকতে নিয়মিত খাবারের ওপর ভরসা রাখুন।

- ডা. মোঃ মকছুদুর রহমান রাকিব
মেডিসিন, নবজাতক ও শিশুরোগ এর ডাক্তার।

হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কোন নির্দিষ্ট রোগ নয়, অনেকগুলো রোগের লক্ষণ হিসেবেই উচ্চ রক্তচাপ দেখা যায়। বয়স, পেশা, অবস্...
24/11/2025

হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ কোন নির্দিষ্ট রোগ নয়, অনেকগুলো রোগের লক্ষণ হিসেবেই উচ্চ রক্তচাপ দেখা যায়। বয়স, পেশা, অবস্থান, খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনের উপায় ইত্যাদি নানান অবস্থা মানুষের নরমাল প্রেসার কমবেশি হয়।

গ্রামের দিকে দেখি বেশিরভাগ লোকেই প্রেসার ১২০/৮০ থেকে একটু বেশি হলেই গিয়ে ফার্মেসি থেকে ওসারটিল, বাইজোরান ইত্যাদি নানা রকম ঔষধ একদম মুখস্থ খেয়ে নেয় প্রেসার কমানোর উদ্দেশ্যে!

অনেকে আবার ফার্মেসি ওয়ালার পরামর্শে এরকম ঔষধ বছরের পর বছর খেতেই থাকেন! অথচ কিজন্য খাচ্ছেন কেন খাচ্ছেন কিছু জানেন না!

প্রেসার বেশি/কম হওয়ার হাজারটি কারণ আছে, আপনার কী কারণে প্রেসার বাড়ল/কমল ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সে অনুযায়ী চিকিৎসা নেন। আন্তাজে প্রেসারের ঔষধ খেয়ে জীবন নাশ করবেন না।

- ডা. মোঃ মকছুদুর রহমান রাকিব

🚫সরিষার তেল বাচ্চাকে কেন না দেওয়া ভালো?🚫আমাদের দেশের দাদী নানিদের সরিষার তেল অনেক পছন্দের।এই নিয়ে অনেক অনেক প্রশ্ন আপনা...
23/11/2025

🚫সরিষার তেল বাচ্চাকে কেন না দেওয়া ভালো?🚫

আমাদের দেশের দাদী নানিদের সরিষার তেল অনেক পছন্দের।এই নিয়ে অনেক অনেক প্রশ্ন আপনাদের।

কিন্তু এখন এই তেল দিতে মানা করা হয়।কেন আসুন জেনে নিই।

১) ত্বকে জ্বালা বা অ্যালার্জি হতে পারে:

সরিষার তেলে erucic acid থাকে, যা কোমল বাচ্চাদের ত্বকে

🔹লালচে দাগ

🔹জ্বালা

🔹র‍্যাশ

🔹চুলকানি করতে পারে।

২) ত্বকের প্রাকৃতিক barrier নষ্ট করে দেয়:

সরিষার তেল ত্বকের উপর protective layer নষ্ট করে। ফলে

🔹চামড়া আরও শুকিয়ে যায়

🔹একজিমা বা dermatitis বাড়তে পারে

৩) নাকে দিলে শ্বাসনালীতে সমস্যা

অনেকে ঠান্ডা হলে বাচ্চার নাকে বা বুকে সরিষার তেল দেন — এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
এতে হতে পারে:

🔹শ্বাসকষ্ট

🔹 Aspiration pneumonia (তেল ফুসফুসে ঢুকে ইনফেকশন)

🔹কাশি বাড়া

৪) কান/নাকে তেল দিলে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে

ডাক্তাররা যে কোনো তেলই নাক বা কানে দিতে নিষেধ করেন। এতে

🔹ব্লকেজ

🔹ইনফেকশন

🔹কান পর্দার ক্ষতি হতে পারে।

৫) নবজাতকের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর

নতুন জন্মানো বাচ্চার স্কিন খুবই সেনসিটিভ। সরিষার তেল তাদের ত্বকে ক্ষতিকর।
WHO ও pediatrics guideline-এ mustard oil avoid করতে বলা হয়।

✔️ তাহলে কোন তেল নিরাপদ?

বাচ্চাদের জন্য সাধারণত নিরাপদ মনে করা হয়—

🔹নারিকেল তেল (extra virgin coconut oil)

🔹অলিভ অয়েল (olive oil)

🔹 বেবি oil

🔺🔺🔺বাচ্চাদের গোসলের আগে তেল দিবেন ও গোসলের পরে যেকোন ময়শ্চারাইজার লাগবেন।আপনার বাচ্চার ত্বকে যেটা স্যুট করে।🔺🔺🔺

©️ Dr.Tajrina Rahman Jenny

২০২৫ সালে এসে শুধুমাত্র কিছু মূর্খ মহিলার গোয়ার্তুমির কারণে এরকম তাজা প্রাণ ঝরে যেতে দেখলে মেজাজ টা খারাপ হয়ে যায়। বি...
23/11/2025

২০২৫ সালে এসে শুধুমাত্র কিছু মূর্খ মহিলার গোয়ার্তুমির কারণে এরকম তাজা প্রাণ ঝরে যেতে দেখলে মেজাজ টা খারাপ হয়ে যায়।

বিয়ের এক বছর পর প্রথম বাচ্চা হবে। বাচ্চার মায়ের যথাযথ যত্নের জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে নিয়ে আসা হলো। এরপর ব্যথা উঠার ২৬ টা ঘন্টা পেরিয়ে গেছে, বাচ্চা হয়না। বাচ্চার বাবা প্রসব বেদনায় কাতর স্ত্রীকে বারবার হাসপাতালে নিতে চাইলেও বাড়ির মুরব্বী মহিলার এক কথা - এরকম হয়, কত কত ডেলিভারী সে নিজ হাতে করাইছে, কোন সমস্যা নাই, ধৈর্য ধরতে।

অবশেষে ধৈর্য ধরতে ধরতে বাচ্চা ডেলিভারি হয়, কিন্তু বাচ্চার কান্না, শ্বাস, নড়াচড়া কিচ্ছুই নাই। এবার ধাই মহিলা আর রিস্ক নিতে রাজি না। তার কাজ ডেলিভারি করানো, সেটা করানো হয়ে গেছে। এবার বাচ্চাকে পাঠিয়ে দিল হাসপাতালে।

এনআইসিইউতে বাচ্চা দেখতে গিয়ে দেখি বেয়াদপ মহিলা প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল টাও কাটেনাই । কোনমতে পলিথিনে ভরে বাচ্চাটাকে পাঠায় দিয়েছে! 😡

কী সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চাটাকে এক প্রকার গলা চেপে ধরে মেরে ফেলার মতো ব্যাপার!

যাই হোক, শুরুতে ভেবেছিলাম মৃত বাচ্চা, পরে যাবতীয় ঔষধপত্র আর প্রায় বিশ মিনিট সিপিআর দেয়ার পর বাচ্চার কিছুটা রেসপন্স আসার পর লাইফ সাপোর্ট এ দিলাম।

যদিও সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, তারপরও বেঁচে যাক বাচ্চাটা - এই দুয়া।

বারবার, হাজারবার একটা কথা বলি, সেটা হলো এই যুগে এসে ডেলিভারির মতো এরকম একটা ভাইটাল কাজ কখনোই ঘরে করাবেন না, ডেলিভারির টাইমে অবশ্যই অবশ্যই হাসাপাতালে নিয়ে যাবেন, অন্যথায় মা, শিশু দুজনেরই চরম খারাপ পরিণতি একটু এদিক সেদিকের ব্যাপার।


22/11/2025
শিশুদের, বিশেষ করে ০-৫ বছরের শিশুদের শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দি-কাশি দেখা দিলেই অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ মতো চিক...
16/11/2025

শিশুদের, বিশেষ করে ০-৫ বছরের শিশুদের শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দি-কাশি দেখা দিলেই অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ মতো চিকিৎসা নিন।

এখন নিউমোনিয়ার অবস্থা ভয়াবহ। অসংখ্য নবজাতক ও স্কুলগামী বাচ্চাকাচ্চা পাচ্ছি খুব অল্প সময়ের সর্দি কাশিতেই অবস্থা প্রচণ্ড খারাপ হয়ে যাচ্ছে, এমনকি মৃত্যুহার ও কম নাহ।

আল্লাহ্ সবার শিশুকে হেফাজতে রাখুক।

15/11/2025

বিশ্ব যেথা এগিয়ে চলে,
আমরা যাই পিছে....

#বাঁচতে_হলে_জানতে_হবে

চট্টগ্রামসহ সারাদেশে কিছু সেন্টার চালু হয়েছে, যারা দাবী করছে যে তারা EECP নামের এক বিশেষ পদ্ধতিতে রিং বা বাইপাস ছাড়া শরীরের সকল রক্তনালীর ব্লক খুলে দেন। যেটা ১০০% ভুয়া এবং অবৈজ্ঞানিক।

তাদের ব্যানারে দেখা যায়, তারা EECP কে বলেছে রিং,বাইপাস ছাড়া হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি।

প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে,হার্টের কিছু রোগী থাকে যাদের হার্টের রক্তনালী ব্লকের পর পর্যাপ্ত ঔষুধ,রিং বা বাইপাস করার পরও তাদের ব্যথা যায় না।ঔষধ,রিং,বাইপাসের পরও এই ব্যথা যদি তিনমাসের বেশি থাকে তবে তাদের জন্য কিছু থেরাপীর ট্রায়াল বিশ্বজুড়ে চলছে।

যেগুলোর কোনটাই এখনও পুরোপুরি সর্বজন কার্যকর না। তার মধ্যে একটা হচ্ছে এই EECP।

★তাহলে EECP কি দরকার নাই? থাকলে কাদের কে দিব?
দরকার আছে,যাদের আর কিছুই করার নাই।"নানীকে মা ডেকে দিন কাটানোর" মত তাদেরকে EECP দেয়া যেতে পারে।

✴️কাদের কে দিব?
-যাদের হার্টে ব্লক আছে
-তিনমাস কোন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মত সঠিকভাবে ঔষধ খেয়েছে,
-হার্টে রিং বা বাইপাস করা হয়েছে,
-অথবা হার্টে ব্লক থাকার পরও তার অন্যান্য জটিলতা যেমন কিডনী ফেইল,হার্টে ব্লক এতই বেশি যে রিং বা বাইপাস করা যাচ্ছে না।
-এতকিছুর পরও হার্টের ব্যথা যাচ্ছে না।
তাদের জন্য যখন কিছুই করার নাই তখন এই EECP।

কিন্তু এসব সেন্টারের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে মানুষ হার্টের ঔষুধ,রিং,বাইপাস বাদ দিয়ে EECP এর দিকে ঝুঁকছে।

যে রোগীর রিং দরকার,যার বাইপাস দরকার সে এগুলো না করে EECP নেয়া হবে খুনের শামিল।

যে সব রোগীকে তারা এই থেরাপী দিচ্ছে,আসলে কি তাদের এই থেরাপীর প্রয়োজন আছে কিনা সেটা কে নির্ধারণ করবে?
এটা অবশ্যই একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে হতে হবে।
এসব সেন্টারের কি কোন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ আছে?

ইন্ডিয়াতে EECP এর অনেক সেন্টার আছে কিন্তু কোনটাই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শের বাইরে চলে না।
ওখানে এসব চিন্তায় করা যায় না।কারো মন চাইলো আর রাস্তার মোড়ে নামকাওয়াস্তে একটা হার্ট সেন্টার বানিয়ে ফেলল।

EECP এর খরচ,১ লাখ ২০ হাজার টাকা অথচ এর চেয়ে কম টাকা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে উন্নত মানের রিং বা বাইপাস অপারেশন করা যায়।সুতরাং সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।

কোন সেন্টার কে যদি EECP চালাতে হয়, তবে
১/ তাদের বিভ্রান্তিকর প্রচারনা বন্ধ করতে হবে
২/ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যতীত কাউকে EECP দেয়া যাবে না।
৩/ EECP দিতে গিয়ে কোন ইমার্জেন্সী হলে তা ম্যানেজের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, মানুষের অজ্ঞনতাকে কাজে লাগিয়ে এই জাতীয় প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন নাই এমন রোগীকেও তারা EECP দিচ্ছে।

বিষয়টি বিবেচনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়,
সিভিল সার্জন অফিস,বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির হস্তক্ষেপ আশা করছি।

EECP কখনোই হার্টের ঔষধ, রিং বাইপাসের বিকল্প নয়। এটা সিলেকটিভ কিছু রোগীর জন্য হার্টের চিকিৎসার একটা পদ্ধতি যেটা শুধুমাত্র হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নেয়া উচিত। কারা এই থেরাপী থকে উপকৃত হবেন তা আমি লিখেছি।

না জেনে বিভ্রান্ত হবেন না, টাকাও যাবে জীবন ও হারাবেন।

লেখা : ডা. ইকবাল মাহমুদ
এমবিবিএস,বিসিএস
এমডি (কার্ডিওলজি)
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।

https://www.facebook.com/share/v/1CZX78v5SS/

Address

Chittagong

Telephone

+8801601261635

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ডা. মোঃ মকছুদুর রহমান রাকিব posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ডা. মোঃ মকছুদুর রহমান রাকিব:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category