ইয়ার সেন্স এন্ড হিয়ারিং এইড সেন্টার

  • Home
  • ইয়ার সেন্স এন্ড হিয়ারিং এইড সেন্টার

ইয়ার সেন্স এন্ড হিয়ারিং এইড সেন্টার "We are proud to bring you the absolute best in hearing services. Our skilled team of trained profess 1287 O R Nizam Road , West Side Of CSCR Hospital .

👂শুনতে না পাওয়াটা শুধু শব্দ হারানো নয় – এটা হারানো আত্মবিশ্বাস, সম্পর্ক আর জীবনের ছোট ছোট আনন্দ।👂অনেকেই কষ্ট লুকিয়ে রাখে...
28/07/2025

👂শুনতে না পাওয়াটা শুধু শব্দ হারানো নয় – এটা হারানো আত্মবিশ্বাস, সম্পর্ক আর জীবনের ছোট ছোট আনন্দ।
👂অনেকেই কষ্ট লুকিয়ে রাখেন, কারণ তারা শুনতে পারেন না।

📣 কিন্তু আশার কথা হলো –
👉 হিয়ারিং এইড আপনাকে ফিরিয়ে দিতে পারে সেই হারিয়ে যাওয়া জগত।

👂 আপনার শ্রবণশক্তি ফিরে এলে—
✅ আপনি আবার সন্তানদের হাসি শুনতে পাবেন
✅ প্রিয়জনের কণ্ঠে গল্পের উষ্ণতা অনুভব করবেন
✅ অফিস, বন্ধু, পরিবার—সবার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে যুক্ত থাকবেন
🦻 আধুনিক হিয়ারিং এইড
✅ চোখে পড়ার মতো নয়
✅ আরামদায়ক ব্যবহার
✅ প্রতিদিনের জীবনে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনে

🛠️ ফ্রি টেস্ট + ডিসকাউন্টে হিয়ারিং এইড
📍 Ear Sense Hearing Aid Centre, Chattogram
📞 01719913235
📲 WhatsApp: https://wa.me/8801719913235

আমরা আপনার শ্রবণ সমস্যার সমাধানে নিয়ে এসেছি আধুনিক প্রযুক্তির হিয়ারিং এইড!আর নয় কষ্ট করে শোনা – এখন কথা হবে স্বাভাবিক, জ...
24/05/2025

আমরা আপনার শ্রবণ সমস্যার সমাধানে নিয়ে এসেছি আধুনিক প্রযুক্তির হিয়ারিং এইড!
আর নয় কষ্ট করে শোনা – এখন কথা হবে স্বাভাবিক, জীবন হবে সহজ!
ফ্রি হিয়ারিং টেস্ট ও পরামর্শ – আজই যোগাযোগ করুন।

"শিশুর ভবিষ্যৎ শুরু হোক শ্রবণের সুস্থতায়!"প্রথম হাসি, প্রথম কথা, প্রথম পদক্ষেপ - এই সব মূল্যবান মুহূর্তগুলো আপনার শিশুর...
05/11/2024

"শিশুর ভবিষ্যৎ শুরু হোক শ্রবণের সুস্থতায়!"

প্রথম হাসি, প্রথম কথা, প্রথম পদক্ষেপ - এই সব মূল্যবান মুহূর্তগুলো আপনার শিশুর জীবনে আসছে। কিন্তু, আপনার শিশু কি সব শব্দ শুনতে পাচ্ছে?

নবজাতকের শ্রবণ স্ক্রিনিং টেস্ট কেন গুরুত্বপূর্ণ:
• প্রাথমিক সনাক্তকরণ: শ্রবণ সমস্যা থাকলে তা জন্মের পরপরই সনাক্ত করা যায়।
• সময়মত চিকিৎসা: প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে শ্রবণ সমস্যার সমাধান করা যায়।
• সুস্থ বিকাশ: শ্রবণ স্বাভাবিক থাকলে শিশুর ভাষা, বক্তৃতা এবং সামাজিক দক্ষতা সঠিকভাবে বিকশিত হয়।
• মা-বাবার উদ্বেগ কমানো: যখন আপনি নিশ্চিত হন যে আপনার শিশু সুস্থ, তখন আপনার উদ্বেগ অনেক কমে যায়।

আপনার শিশুর জন্য এই টেস্টটি কেন করাবেন?
• আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনার শিশু সব শব্দ শুনতে পাচ্ছে।
• কোন সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করা যাবে।
• আপনার শিশু সুস্থ এবং সুখী জীবন যাপন করবে।

আপনার শিশুর প্রথম শব্দ শোনার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিন। নবজাতকের শ্রবণ সমস্যা সময়মতো শনাক্ত করলে সঠিক বিকাশে সহায়ক হয়।

কিভাবে টেস্ট করাবেন?
আমাদের ক্লিনিকে এসে আপনার শিশুর শ্রবণ স্ক্রিনিং টেস্ট করিয়ে নিন। আমাদের বিশেষজ্ঞরা আপনার শিশুকে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। আমাদের সেবা নিশ্চিত করবে আপনার শিশুর সুস্থ শ্রবণ।

আজই অ্যাপয়েন্টমেন্ট করুন!
• ইয়ার সেন্স
• ১২৮৭ ও আর নিজাম রোড, সিএসসি আর হাসপাতালের পাশে,প্রবর্তক,চট্টগ্রাম।
• ০১৭১৯-৯১৩২৩৫

"শ্রবণ নিশ্চিত করুন, শিশুর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করুন!"

09/02/2023
22/10/2022

✔ #হিয়ারিং_এইড_ও_আমাদের_সামাজিক_দায়িত্ব( Hearing aid and our social responsibilities) :
আমরা জানি যারা শ্রুতিক্ষীনতার সমস্যায় ভুগছেন তাদের বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কোন শারীরিক যন্ত্রনা নেই। কিন্তু তারা মানসিকভাবে ও স্বাভাবিকভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অত্যন্ত বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। কাজেই আমাদের উচিত তাদেরকে অত্যন্ত ধৈর্য্য ও সমবেদনার সাথে গ্রহণ করা।

✪যেসকল মানুষ হিয়ারিং এইড পরিহিত আছেন তাদের সামনে আমরা চিৎকার চেচামেচি করব না। কথা বলবো স্বাভাবিক স্বরে, পরিস্কার উচ্চারণে। দ্রুত কথা বলব না।
✪হিয়ারিং এইড পরিহিত ব্যক্তির সাথে আন্তরিক ভাবে কথা বলবো ও ব্যবহার করব। এতে তার বুঝার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
✪যতটা সম্ভব হিয়ারিং এইড পরিহিত ব্যক্তির কাছাকাছি যেয়ে কথা বলব।
✪হিয়ারিং এইড পরিহিত ব্যাক্তির সাথে কথা বলার সময় নিজের মুখ ও ঠোঁটের প্রতি লক্ষ্য করার সুযোগ দিব। কারণ, অনেক সময় লিপ রিডিং (Lip reading) শব্দ বুঝতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
✪শোরগোল হচ্ছে এমন যায়গায় কথা না বলা ভালো।
✪ব্যবহারকারী ও শুনার যন্ত্রের কিছু সীমবদ্ধতা আছে, যা অবশ্যই আমাদের মেনে নিতে হবে।
✪হিয়ারিং এইড পরিহিত ব্যাক্তির সাথে কথা বলার আগে লক্ষ্য করব, তিনি ঐ মুহূর্তে মনোযোগী আছেন কিনা। জেনে রাখা দরকার, শুনার জন্য একান্তভাবে মনোযোগী হতে যথেষ্ট শক্তির ও ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। কাজে ব্যাক্তি যদি ক্লান্ত থাকে তবে তাকে কথা শুনতে বাধ্য করবো না বা কথা বাড়াব না।
✪শিশুদের ক্ষেত্রে যারা কথা বলতে জানে না তাদেরকে হিয়ারিং এইডের পাশাপাশি অবশ্যই Early Auditory Education বা Early Auditory Training ও Speech and Language Therapy দিতে হবে। তা না হলে সে কথা শুনার পরও কথা বলার দক্ষতা অর্জন করতে পারবে না।

হিয়ারিং এইড ব্যবহারের সফলতা নির্ভর করবে রোগী এটা নিয়মিত নির্দেশমত ব্যবহার করছেন কিনা, মেশিন এর যত্ন ঠিকমত নিতে পারছেন কিনা এবং আমরা সাধারণ মানুষ তাদের সাথে মানবিক ও ধৈর্যশীল আচরণ করছি কিনা তার উপর।

#ডাঃ_আলমগীর_মোঃ_সোয়েব
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিএলও (বিএসএমএমইউ)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল( )
#নাক_কান_গলা_রোগ_বিশেষজ্ঞ_ও_সার্জন
কনসালটেন্ট (ইএনটি)
#মেডিকেল_সেন্টার_হাসপাতাল_লি.
রুম নং - ৪৬৪ ( ৪র্থ তলা), ৯৫৩, ও, আর নিজাম রোড ( জিইসি মোড়), গ্রামীণ ফোন অফিস বিল্ডিং , চট্টগ্রাম।
০১৯৭৮-১১ ৭৩ ৭১, ০১৭৮৩- ৫৫৮১৬১

Find
#সচেতনতা_মূলক_পোস্ট #ডাঃ_আলমগীর_মোঃ_সোয়েব

05/10/2022

হিয়ারিং এইড হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র। শ্রবণশক্তি কমে গেলে আমরা এই যন্ত্র ব্যবহার করি। হিয়ারিং এইড কখনো

02/10/2022
26/09/2022

কানের অসয্য যন্ত্রনায় টিকতে না পারা মেয়েকে নিয়ে সুদূর চকরিয়া থেকে আগত বাবা মা। উনাদের বিশ্বাস এখানে চিকিৎসা করালে আল্লাহ পাক মেয়ের রোগমুক্তি করবেন। সবাই মেয়েটির জন্য দোয়া করবেন।

মূল কারনঃ কটন বাড, কাঠি দিয়ে কান চুলকানো বা পরিস্কার করা।

বিশেষ নোটঃ
যাওয়ার আগে মেয়েটির মা বার বার বলতে লাগলেন আমার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করবেন। আমাকে ধন্যবাদ দিতেও কার্পন্য করেন নি। সেবা কিভাবে নিতে হয় উনাদের কাছে আমারা শিখতে পারি। শুধু টাকা দিয়ে সেবা কেনা যায় না। আন্তরিক সেবাগ্রহীতা আল্লাহর তরফ থেকে সেবা প্রদানকারীর জন্য আশীর্বাদ। আলহামদুলিল্লাহ।

#কটনবাড_কে_না_বলুন

কান নিয়ে নীচের লেখাগুলু পড়তে পারেনঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=626296748725388&id=107517283936673

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=537235871531181&id=100057343184022

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=740933090595086&id=107517283936673

Find
#সচেতনতা_মূলক_পোস্ট #ডাঃ_আলমগীর_মোঃ_সোয়েব

14/09/2022

➤''টিনিটাস'' - কানের এক যন্ত্রণার নাম।

◑ফ্যান অফ করে দিলে বা বদ্ধ ঘরে থাকলে আমার মাথা ঝিমঝিম করে, কানে এক প্রকার শব্দ হয়। যেন ঝি ঝি পোকা ডাকছে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি??

◑আমার তিন মাস ধরে ডান কানে ঝিঝি করে অনেক ঔষধ খাইলাম ভালো হলো না এর প্রতিকার কি? জানালে উপকৃত হব।

◑টিনিটাসের ভালো চিকিৎসা বাংলাদেশে কোন বিশেষজ্ঞ ঠিকভাবে করতে পারে বলে আমার জানা নেই। আমি বহু নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়েছি।

◑একজন রোগী দীর্ঘ সময় ধরে ঔষধ সেবন করে যদি ভালো থাকতে হয়,তাহলে সেটা আর চিকিৎসা বা সমাধান কিভাবে হল।? এই রোগটি ৪/৫ মাস ওষধ চলমান আছে,তবে যতক্ষন ওষধ চলে ঠিক ততক্ষনই শান্তুি,সর্বশেষ চিকিৎসা কি ?

◑আমার মায়ের এই সমস্যাটা অনেক বছর ধরে। এটা হওয়ার পর থেকে রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না।
তাছাড়া মাথার মধ্যে সব সময় খারাপ লাগে। একজন ডাক্তার থেকেও ট্রিটমেন্ট করিয়েছি, অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছিলেন। রিপোর্ট দেখে বলেছেন সব নরমাল। এই টিনিটাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।

◑কানে শব্দের সাথে মাথা ঘুরায় ৷ যতক্ষন শব্দ হয় ততক্ষন ঘুরায়,তখন দৃষ্টিতেও সমস্যা হয় ! এর স্থায়ীত্ব ১-২ মি: ৷ প্রতি মিনিটে এটি ১-২/৩ বার শব্দ করে আস্তে আস্তে মাত্রা কমে ৷

◑গত দুই বছর ধরে ভুগছি। ঢাকা-চট্টগাম এর অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। কোন ফলই পাই নি। হতাশ হয়ে ডাক্তার এর পিছনে দৌড়ানো বন্ধ করে দিয়েছি। কষ্টে আছি, কিন্তু কিছুই করার নেই। হুদাই সময় নষ্ট।

◑ধন্যবাদ, টিনিটাস সম্পর্কে লিখলে আমরা সাধারণ মানুষেরা উপকৃত হব।

উপরে উল্লেখিত ভুক্তভোগী মানুষ দের মতামত থেকেই বুঝা যায়, রোগটি যন্ত্রনাদায়ক ও বিভিন্ন কারনে প্রকটভাবে ছড়িয়ে পড়ছে!
এ রোগটির নাম টিনিটাস। কোনো বাহ্যিক শব্দ ছাড়া কানের ভিতর এরকম বেজে যাওয়াকে টিনিটাস বলে। ল্যাটিন শব্দ 'টিনিয়ার' (tinnire) থেকে এর উৎপত্তি, যার অর্থ ঘন্টার শব্দ।

এটি কানের অসুখ অথবা অন্য কোন রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। এই রোগে রোগী কানের ভিতর শোঁ শোঁ, ভোঁ ভোঁ, শিঁষ দেয়ার শব্দ, কেঁটলিতে পানি বাষ্প হওয়ার শব্দ, হিসহিস শব্দ, রেল গাড়ীর ইঞ্জিন এর আওয়াজ, টিভির ঝিরিঝিরি শব্দ ইত্যাদি অনুভূতি হতে পারে।

➤পরিসংখ্যান (Statistics)?
প্রায় ১০-১৫ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ১-২ শতাংশ মানুষ এটার কারনে দূর্বিষহ জীবন-যাপন করে। এটি এক কানে অথবা উভয় কানে হতে পারে। পুরুষদের মধ্যে এটি বেশী দেখা যায়, বিশেষ করে ষাটোর্ধ মানুষদের। টিনিটাস যাদের আছে তাদের মধ্যে শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষের মধ্যেই কানের শুনানি কম পাওয়া যায় ( বিভিন্ন মাত্রার)। শতকরা ১০ ভাগ টিনিটাস রোগীদের শুনানি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক পাওয়া যায়। তবে, যেকোনো বয়সের পুরুষ, নারী বা শিশুদেরও কানে এটি হতে পারে।

➤টিনিটাসের উৎপত্তি ( Origin of Tinnitus)?
শ্রবণের কাজটি কান ও মস্তিষ্ক দ্বারা সম্পাদিত হয়। কান ও মস্তিষ্কের মধ্যে সমন্নয়ের কারনে আমরা বাহিরের শব্দ শুনতে পাই। তবে মানুষের শরীরের মধ্যে প্রতিনিয়ত শব্দ তৈরী হচ্ছে যেমন-নাড়ির শব্দ, হৃৎপিন্ডের শব্দ, ফুসফুসের শব্দ ইত্যাদি। কান ও মস্তিষ্কের মধ্যে এমনই শব্দ প্রতিনিয়ত তৈরী হচ্ছে, কিন্তু এগুলো স্বাভাবিকভাবে আমরা অনুভব করতে পারি না। কারণ বাহিরের শব্দ আমাদের শ্রবণেন্দ্রিয় বেশী জোরে শুনে বিধায় ভিতরের শব্দগুলােকে ঢেকে যায়। যার জন্য কানের ও মস্তিষ্কের মধ্যকার রক্ত চলাচলের শব্দ, মাংসপেশীগুলাের কম্পন, কানের মধ্যে তরল পদার্থের চলাচলের শব্দ এবং মধ্যকর্ণের বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ বাইরের শব্দের শক্তির তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম বলে ঢাকা পড়ে যায় বিধায় আমরা শুনিনা । কিন্তু কোন কারণে যদি বাইরের শব্দগুলাে কান ও মস্তিষ্কের শ্রবণ অঙ্গ ঠিকমত শুনতে না পারে অর্থাৎ তাদের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তখনই কান ও মস্তিষ্কের ভিতরের শব্দগুলাে আমরা আপনা আপনি শুনতে থাকি। এ সব শব্দ বা শব্দগুচ্ছকেই আমরা টিনিটাস বলে থাকি।

➤টিনিটাসের প্রকারভেদ ( Classification of Tinnitus)?

টিনিটাস সাধারণত ভুক্তভোগী নিজেই শুনতে পান, অন্য মানুষ শুনতে পান না, যেটাকে ইংরেজিতে বলা হয় সাবজেক্টিভ টিনিটাস। এটাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে রোগীর পাশাপাশি চিকিৎসকও শব্দ শুনতে পান, যেটাকে বলা হয় অবজেক্টিভ টিনিটাস। এটা খুব একটা দেখা যায় না।

➤টিনিটাসের কারণ কি? (What are the causes of Tinnitus )?

টিনিটাসের বিভিন্ন কারণের মধ্যে রয়েছে:

• শ্রবণশক্তি হারানো (বিশেষ করে বার্ধক্যজনিত কারনে ও অন্য কোন কারনে কানের হেয়ার সেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে শ্রবণশক্তি কমতে থাকে) ।
• শব্দদূষণ। গাড়ির উচ্চশব্দের হাইড্রোলিক হর্ন, জেনারেটর ও শিল্প কারখানার ভারি যন্ত্রাংশের শব্দ, লাইভ কনসার্ট, যত্রতত্র মাইকের ব্যবহার, এম্বুল্যান্স এর সাইরেন ইত্যাদির কারনে অন্তকর্নের ক্ষতি হয়। যার ফলে আমরা কানে শুনানি কমার পাশাপাশি টিনিটাস আক্রান্ত হচ্ছি।

• কান সংক্রমণ বা ইনফেকশ। কানে পানি বা তরল জমা, ময়লা, কানের ওয়াক্স, ছত্রাক বা অন্যান্য ব কারণে কানের ছিদ্র বা ইয়ার কেনেল বন্ধ হয়ে গেলে।
• মধ্যকর্নে পানি বা ফ্লুইড জমা হলে (নাক ও মধ্যকর্নের সংযোকারী ইউস্টেশিয়ান টিউব এর কার্যকারীতা কমে গেলে, টনসিল বা এডিনয়েড টিস্যু বড় হলে, উপরের শ্বাসতন্ত্রের এলার্জি, ইনফেকশন, সাইনুসাইটিস ইত্যাদি কারনে)
• মধ্যকর্নের ভিতর অস্বাভাবিক হাড় বৃদ্ধির কারনে কানের অস্থিগুলুর নাড়াচাড়া কমে যায় যার ফলে শব্দ তরংগ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, যা অটোস্ক্লেরোসিস (Otosclerosis) নামে পরিচিত ।
• অন্তকর্নে অস্বাভাবিক তরলিয় চাপ বা মিনিয়ার'স ডিজিজ (Meniere's Disease)।

• মাথায়, কানে ও ঘাড়ে আঘাত।

• ওষুধ যেমন এসপিরিন এবং অন্যান্য ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs), ক্যান্সারের ওষুধ (Cisplatin, Vincristine), মূত্রবর্ধক (Bumetanide, Furosemide or Lasix, Torsemide), অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস (Amitriptyline, Clomitriptylin, Imipramine), ম্যালেরিয়ারোধী( Chloroquine, Quinine) ওষুধ এবং কিছু অ্যান্টিবায়োটিক (Ciproflaxacin, Doxycycline, Gentamicin, Erythromycine, Tetracycline, Tobramycine, Vancomycine), এন্টিকনভালসেন্ট( Carbamazepine or tegratol, Valporic Acid) ইত্যাদি।

• অভ্যন্তরীণ কানের পেশীগুলির খিঁচুনি (সংকোচন)।

• মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (একটি অবস্থা যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্নায়ুর প্রতিরক্ষামূলক আবরণ নষ্ট হয়)।

• টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট ডিসফাংকশন - TMD (কানের সামনে মাথার দুই পাশে চোয়ালের জয়েন্টের ব্যাধি)।

• মাথা ও ঘাড়ে টিউমার। যেমন- অ্যাকোস্টিক নিউরোমা (একটি নন-ক্যান্সারজনিত টিউমার যা ক্র্যানিয়াল স্নায়ুতে বিকশিত হয়, যা মস্তিষ্ক থেকে ভেতরের কানে চলে আসে), গ্লোমাস টিউমার।

• রক্তনালীর ব্যাধি যেমন উচ্চ রক্তচাপ, বিকৃত রক্তনালী, এথেরোস্ক্লেরোসিস (একটি অবস্থা যেখানে ধমনীর দেয়ালে চর্বি এবং কোলেস্টেরল জমা হয়)।

• দীর্ঘস্থায়ী (দীর্ঘমেয়াদী) অবস্থা যেমন ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ডিসঅর্ডার, মাইগ্রেন, রক্তস্বল্পতা (লাল রক্তকণিকার অভাব), লুপাস (যখন ইমিউন সিস্টেম শরীরে ব্যথা এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে) এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার সৃষ্টি করে) জয়েন্টগুলোতে ব্যথা এবং প্রদাহ)।
• প্রেগনেন্সি - এই সময় শরীরে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়।
• বিষন্নতা, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ ইত্যাদি ।
• এছাড়া ধূমপান, মদ্যপান, স্থুলতা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও টিনিটাস বেশি দেয়।

➤টিনিটাস পরবর্তী প্রতিক্রিয়া বা সমস্যা সমুহ (Effect of Tinnitus)?

☞অবসাদ।
☞দুশ্চিন্তা।
☞ঘুমের সমস্যা।
☞মনযোগ কমে যাওয়া।
☞স্বরনশক্তি কমে যাওয়া।
☞অস্থিরতা, বিষন্নতা।
☞মাথা ব্যাথা, মাথা ধরে থাকা।
☞পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে সমস্যা।

➤রােগ নির্ণয় (Diagnosis)

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক আপনার নিচের প্রতিটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে এর কারণ উদঘাটন করবেন। কারন, এর উপর নির্ভর করে চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা।
যেমন-
১. রােগের ইতিহাস।
২. নাক কান গলা পর্যবেক্ষন ও সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা যেমন অডিওগ্রাম, ইম্পিডেন্স, টিনিটাস মেচিং, ইমেজিং, ভেস্টিবুলার টেস্ট,
৩. সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা যেমন - হিমোগ্লোবিন, থাইরয়েড ফাংকশন ইত্যাদি। এটি নির্ভর করবে রােগীর ইতিহাস থেকে।
৪. রোগীর কর্মক্ষেত্রের ইতিহাস, বিশেষ করে শব্দদূষনের ইতিহাস।

➤চিকিৎসা ( Treatment)?

টিনিটাস যেহেতু বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তাই এর জন্য নির্দিষ্ট একক কোন চিকিৎসা নেই। যদি টিনিটাসের নির্দিষ্ট কারন খুঁজে বের করা যায়, তবে তা চিকিৎসার ফলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বর্তমান বিশ্বে টিনিটাসের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য, কারন অনেক ক্ষেত্রে সব ধরনের চিকিৎসার পরও এ রোগটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে এ ব্যাপারে গবেষণা চলমান রয়েছে।

তবে সঠিকভাবে নিম্নের ছক অনুযায়ী অগ্রসর হলে অনেকেই এ উপসর্গ থেকে আরোগ্য লাভ করতে পারেন।

ব্যবস্থাপনাসমুহ :
১.প্রতিরােধ (Preventive) -যে সমস্ত কারণে এ রােগে মানুষ আক্রান্ত হতে পারে (যেমন - শব্দদূষণ, কানের ক্ষতিকারক অসুধ, ধূমপান, মদ্যপান, অত্যধিক দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা ইত্যাদি) সেগুলো নির্মূল করা দরকার।

২. রোগের চিকিৎসা(Medical Treatment ):
যে সমস্ত রোগের কারনে টিনিটাস এর উৎপত্তি হয়, সেগুলোর চিকিৎসা করা। যেমন - কানের ওয়াক্স, ইনফেকশন, পানি জমা, টনসিল, এডিনয়েডের চিকিৎসা, মিনিয়ারস ডিজিজ ইত্যাদি।

৩. অপারেশন ( Surgery):
মাইক্রোস্কোপের বা এন্ডোসকোপের সাহায্য কানের পর্দা লাগানাে, ষ্ট্যাপিস সাজারী, ককলিয়ার ইমপ্লান্ট, কানের টিউমার ইত্যাদি চিকিৎসা ও অপারেশনে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।

৪. টিনিটাস মাসকার (Tinnitus Masker) বা হিয়ারিং এইড (Hearing Aid) ব্যবহার। এর সাহায্যে সম্পূর্ণ বা আংশিক Masking করা যায়।

৫. ঔষধ (Pharmacological): হতাশা জনক হলেও সত্যি যে, এখন পর্যন্ত FDA কর্তৃক টিনিটাস নিয়ন্ত্রনকারী কোন অসুধ আবিষ্কৃত হয় নি। তবে কিছু অসুধ যেমনঃ সিনারাজিন, ক্লোনাজিপাম, কারবামাজেপিন, নিমােডিপিন ইত্যাদি কিছু মাত্রায় টিনিটাস নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়।
এছাড়াও কিছু কিছু ঔষুধ যা এখন ব্যবহার হচ্ছে সেগুলাের মধ্যে জিঙ্গোবিলাে বা এক্সট্রাকট অন্যতম। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বটুলিনাম টক্সিন এর ব্যবহার করা যায়।

৬. দমিয়ে রাখা (Suppression): এ ব্যবস্থায় ইলেকট্রিক্যাল, ম্যাগনেটিক, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

৭. শব্দ থেরাপি (Sound Therapy) বা পিচ মেচিং ( Pitch Matching): টিনিটাসের ফ্রিকোয়েন্সির সাথে ম্যাচ করে এরুপ কোন শব্দ তরংগ বা সুর টিনিটর এর মাধ্যমে কানে দেয়া হয়, যাতে টিনিটাসের শব্দ কানে অনুভূত না হয়। বার বার এটি দেয়া হলে একসময় রোগী তার কানের ভিতর টিনিটাস এর শব্দ অভিযোজিত হয়ে যায়। এছাড়া রুমে হালকা মিউজিক, টিকটিক ঘড়ির শব্দ, রডিও, একটু বেশী শব্দ হয় এমন কোন ফ্যান চালানো যেতে পারে।

৮.কাউন্সিলিং (Counselling) :
টিনিটাসকে মেনে নিয়ে এটার সাথে জীবন-যাপন প্রশিক্ষণ দেয়া। এটার জন্য একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা সাইকোলজিস্ট এর সরনাপন্ন হতে পারেন।

৯. কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (CBT):
টিনিটাস সম্পর্কে দৃষ্টিভংগি পাল্টানো। যার গলে এটা হয়তো এত খারাপ লাগবে না।

১০. টিনিটাস রিট্রেনিং থেরাপি (TRT):
টিনিটাসের ফলে মস্তিষ্কে যে প্রয়িক্রিয়া দেখা দেয়, সেটা কমানো।

তাই টিনিটাস নিয়ে অবহেলার সুযোগ নেই। টিনিটাস হলে আপনার চিকিৎসক এর সরনাপন্ন হোন।

#ডাঃ_আলমগীর_মোঃ_সোয়েব
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিএলও (বিএসএমএমইউ)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন : A45082
কনসালটেন্ট (ইএনটি)
#নাক_কান_গলা_রোগ_বিশেষজ্ঞ_ও-সার্জন
০১৯৭৮-১১ ৭৩ ৭১, ০১৭৮৩-৫৫৮১৬১

Find
#সচেতনতা_মূলক_পোস্ট #ডাঃ_আলমগীর_মোঃ_সোয়েব

23/04/2022

কালের কন্ঠ পত্রিকায় আমার লেখা ও লিংক..
https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2022/04/21/1140211

নাক, কান, গলার বিভিন্ন রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে এই পেইজটি তে https://www.facebook.com/shoabent/ লাইক দিন ও কমেন্ট করুন।

#ডাঃ_আলমগীর_মোঃ_সোয়েব
এমবিবিএস, ডিএলও (বিএসএমএমইউ)।
বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন : A45082
কনসালট্যন্ট (ইএনটি)
#নাককানগলারোগবিশেষজ্ঞওসার্জন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ( ) ।
০১৭১৭-১১ ৭৩ ৭২

#মেডিকেল_সেন্টার_হাসপাতাল_লি.
রুম নং - ৪৬৪ ( ৪র্থ তলা), ৯৫৩, ও, আর নিজাম রোড ( জিইসি মোড়), গ্রামীণ ফোন অফিস বিল্ডিং , চট্টগ্রাম।
রবি, মংগল ও বৃহস্পতি বার বিকাল ৫ঃ০০ হতে সন্ধ্যা ৭ঃ০০
ফোন : ০১৭৮৩- ৫৫৮১৬১

#কিউরেক্স_ডায়াগনোষ্টিক_এন্ড_কন্সালটেশন_সেন্টার
প্লট ৯/এ, রোড-১,লেইন-২, ব্লক-জি, হালিশহর (বড়পুল এ সি মসজিদ সংলগ্ন), চট্টগ্রাম।
শনি, সোম ও বৃহস্পতি বার রাত ৮ঃ০০ হতে ১০ঃ০০ টা
ফোন : ০২-৩৩৩৩১৭০৯০, ০১৮২৮-৮৮০২৯৯

#কর্নফুলি_ডায়াগনষ্টিক_কমপ্লেক্স
এম এ হাশেম টাওয়ার, ২ নং মাইলের মাথা, এয়ারপোর্ট রোড, বন্দর, চট্টগ্রাম।
শনি ও সোমবার বিকাল ৫ঃ০০ টা হতে সন্ধ্যা ৭ঃ০০
ফোন : ০২ ৩৩৩ ৩৪০ ৪৫৫, ০১৬১৫-৭৪০৪৫৫

Find াক্তার

#সচেতনতা_মূলক_পোস্ট

Address


Opening Hours

Monday 09:00 - 21:30
Tuesday 09:00 - 21:30
Wednesday 09:00 - 21:30
Thursday 09:00 - 21:30
Saturday 09:00 - 21:30
Sunday 09:00 - 21:30

Telephone

+8801719913235

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ইয়ার সেন্স এন্ড হিয়ারিং এইড সেন্টার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ইয়ার সেন্স এন্ড হিয়ারিং এইড সেন্টার:

  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

We invent the future of better Hearing

EAR SENSE is Chittagong leading hearing clinic and care provider. We offer a complete range of digital hearing aids that will suit every budget without compromising on quality or service. We also have qualified audiologists who test the patient’s hearing with the latest and the most sophisticated instruments in order to determine the nature and extent of hearing loss and provide the best and state-of-the-art solution. In all, we are a complete hearing clinic!