14/09/2022
➤''টিনিটাস'' - কানের এক যন্ত্রণার নাম।
◑ফ্যান অফ করে দিলে বা বদ্ধ ঘরে থাকলে আমার মাথা ঝিমঝিম করে, কানে এক প্রকার শব্দ হয়। যেন ঝি ঝি পোকা ডাকছে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি??
◑আমার তিন মাস ধরে ডান কানে ঝিঝি করে অনেক ঔষধ খাইলাম ভালো হলো না এর প্রতিকার কি? জানালে উপকৃত হব।
◑টিনিটাসের ভালো চিকিৎসা বাংলাদেশে কোন বিশেষজ্ঞ ঠিকভাবে করতে পারে বলে আমার জানা নেই। আমি বহু নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়েছি।
◑একজন রোগী দীর্ঘ সময় ধরে ঔষধ সেবন করে যদি ভালো থাকতে হয়,তাহলে সেটা আর চিকিৎসা বা সমাধান কিভাবে হল।? এই রোগটি ৪/৫ মাস ওষধ চলমান আছে,তবে যতক্ষন ওষধ চলে ঠিক ততক্ষনই শান্তুি,সর্বশেষ চিকিৎসা কি ?
◑আমার মায়ের এই সমস্যাটা অনেক বছর ধরে। এটা হওয়ার পর থেকে রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না।
তাছাড়া মাথার মধ্যে সব সময় খারাপ লাগে। একজন ডাক্তার থেকেও ট্রিটমেন্ট করিয়েছি, অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছিলেন। রিপোর্ট দেখে বলেছেন সব নরমাল। এই টিনিটাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।
◑কানে শব্দের সাথে মাথা ঘুরায় ৷ যতক্ষন শব্দ হয় ততক্ষন ঘুরায়,তখন দৃষ্টিতেও সমস্যা হয় ! এর স্থায়ীত্ব ১-২ মি: ৷ প্রতি মিনিটে এটি ১-২/৩ বার শব্দ করে আস্তে আস্তে মাত্রা কমে ৷
◑গত দুই বছর ধরে ভুগছি। ঢাকা-চট্টগাম এর অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি। কোন ফলই পাই নি। হতাশ হয়ে ডাক্তার এর পিছনে দৌড়ানো বন্ধ করে দিয়েছি। কষ্টে আছি, কিন্তু কিছুই করার নেই। হুদাই সময় নষ্ট।
◑ধন্যবাদ, টিনিটাস সম্পর্কে লিখলে আমরা সাধারণ মানুষেরা উপকৃত হব।
উপরে উল্লেখিত ভুক্তভোগী মানুষ দের মতামত থেকেই বুঝা যায়, রোগটি যন্ত্রনাদায়ক ও বিভিন্ন কারনে প্রকটভাবে ছড়িয়ে পড়ছে!
এ রোগটির নাম টিনিটাস। কোনো বাহ্যিক শব্দ ছাড়া কানের ভিতর এরকম বেজে যাওয়াকে টিনিটাস বলে। ল্যাটিন শব্দ 'টিনিয়ার' (tinnire) থেকে এর উৎপত্তি, যার অর্থ ঘন্টার শব্দ।
এটি কানের অসুখ অথবা অন্য কোন রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। এই রোগে রোগী কানের ভিতর শোঁ শোঁ, ভোঁ ভোঁ, শিঁষ দেয়ার শব্দ, কেঁটলিতে পানি বাষ্প হওয়ার শব্দ, হিসহিস শব্দ, রেল গাড়ীর ইঞ্জিন এর আওয়াজ, টিভির ঝিরিঝিরি শব্দ ইত্যাদি অনুভূতি হতে পারে।
➤পরিসংখ্যান (Statistics)?
প্রায় ১০-১৫ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ১-২ শতাংশ মানুষ এটার কারনে দূর্বিষহ জীবন-যাপন করে। এটি এক কানে অথবা উভয় কানে হতে পারে। পুরুষদের মধ্যে এটি বেশী দেখা যায়, বিশেষ করে ষাটোর্ধ মানুষদের। টিনিটাস যাদের আছে তাদের মধ্যে শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষের মধ্যেই কানের শুনানি কম পাওয়া যায় ( বিভিন্ন মাত্রার)। শতকরা ১০ ভাগ টিনিটাস রোগীদের শুনানি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক পাওয়া যায়। তবে, যেকোনো বয়সের পুরুষ, নারী বা শিশুদেরও কানে এটি হতে পারে।
➤টিনিটাসের উৎপত্তি ( Origin of Tinnitus)?
শ্রবণের কাজটি কান ও মস্তিষ্ক দ্বারা সম্পাদিত হয়। কান ও মস্তিষ্কের মধ্যে সমন্নয়ের কারনে আমরা বাহিরের শব্দ শুনতে পাই। তবে মানুষের শরীরের মধ্যে প্রতিনিয়ত শব্দ তৈরী হচ্ছে যেমন-নাড়ির শব্দ, হৃৎপিন্ডের শব্দ, ফুসফুসের শব্দ ইত্যাদি। কান ও মস্তিষ্কের মধ্যে এমনই শব্দ প্রতিনিয়ত তৈরী হচ্ছে, কিন্তু এগুলো স্বাভাবিকভাবে আমরা অনুভব করতে পারি না। কারণ বাহিরের শব্দ আমাদের শ্রবণেন্দ্রিয় বেশী জোরে শুনে বিধায় ভিতরের শব্দগুলােকে ঢেকে যায়। যার জন্য কানের ও মস্তিষ্কের মধ্যকার রক্ত চলাচলের শব্দ, মাংসপেশীগুলাের কম্পন, কানের মধ্যে তরল পদার্থের চলাচলের শব্দ এবং মধ্যকর্ণের বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ বাইরের শব্দের শক্তির তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম বলে ঢাকা পড়ে যায় বিধায় আমরা শুনিনা । কিন্তু কোন কারণে যদি বাইরের শব্দগুলাে কান ও মস্তিষ্কের শ্রবণ অঙ্গ ঠিকমত শুনতে না পারে অর্থাৎ তাদের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তখনই কান ও মস্তিষ্কের ভিতরের শব্দগুলাে আমরা আপনা আপনি শুনতে থাকি। এ সব শব্দ বা শব্দগুচ্ছকেই আমরা টিনিটাস বলে থাকি।
➤টিনিটাসের প্রকারভেদ ( Classification of Tinnitus)?
টিনিটাস সাধারণত ভুক্তভোগী নিজেই শুনতে পান, অন্য মানুষ শুনতে পান না, যেটাকে ইংরেজিতে বলা হয় সাবজেক্টিভ টিনিটাস। এটাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে রোগীর পাশাপাশি চিকিৎসকও শব্দ শুনতে পান, যেটাকে বলা হয় অবজেক্টিভ টিনিটাস। এটা খুব একটা দেখা যায় না।
➤টিনিটাসের কারণ কি? (What are the causes of Tinnitus )?
টিনিটাসের বিভিন্ন কারণের মধ্যে রয়েছে:
• শ্রবণশক্তি হারানো (বিশেষ করে বার্ধক্যজনিত কারনে ও অন্য কোন কারনে কানের হেয়ার সেল ক্ষতিগ্রস্ত হলে শ্রবণশক্তি কমতে থাকে) ।
• শব্দদূষণ। গাড়ির উচ্চশব্দের হাইড্রোলিক হর্ন, জেনারেটর ও শিল্প কারখানার ভারি যন্ত্রাংশের শব্দ, লাইভ কনসার্ট, যত্রতত্র মাইকের ব্যবহার, এম্বুল্যান্স এর সাইরেন ইত্যাদির কারনে অন্তকর্নের ক্ষতি হয়। যার ফলে আমরা কানে শুনানি কমার পাশাপাশি টিনিটাস আক্রান্ত হচ্ছি।
• কান সংক্রমণ বা ইনফেকশ। কানে পানি বা তরল জমা, ময়লা, কানের ওয়াক্স, ছত্রাক বা অন্যান্য ব কারণে কানের ছিদ্র বা ইয়ার কেনেল বন্ধ হয়ে গেলে।
• মধ্যকর্নে পানি বা ফ্লুইড জমা হলে (নাক ও মধ্যকর্নের সংযোকারী ইউস্টেশিয়ান টিউব এর কার্যকারীতা কমে গেলে, টনসিল বা এডিনয়েড টিস্যু বড় হলে, উপরের শ্বাসতন্ত্রের এলার্জি, ইনফেকশন, সাইনুসাইটিস ইত্যাদি কারনে)
• মধ্যকর্নের ভিতর অস্বাভাবিক হাড় বৃদ্ধির কারনে কানের অস্থিগুলুর নাড়াচাড়া কমে যায় যার ফলে শব্দ তরংগ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, যা অটোস্ক্লেরোসিস (Otosclerosis) নামে পরিচিত ।
• অন্তকর্নে অস্বাভাবিক তরলিয় চাপ বা মিনিয়ার'স ডিজিজ (Meniere's Disease)।
• মাথায়, কানে ও ঘাড়ে আঘাত।
• ওষুধ যেমন এসপিরিন এবং অন্যান্য ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs), ক্যান্সারের ওষুধ (Cisplatin, Vincristine), মূত্রবর্ধক (Bumetanide, Furosemide or Lasix, Torsemide), অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস (Amitriptyline, Clomitriptylin, Imipramine), ম্যালেরিয়ারোধী( Chloroquine, Quinine) ওষুধ এবং কিছু অ্যান্টিবায়োটিক (Ciproflaxacin, Doxycycline, Gentamicin, Erythromycine, Tetracycline, Tobramycine, Vancomycine), এন্টিকনভালসেন্ট( Carbamazepine or tegratol, Valporic Acid) ইত্যাদি।
• অভ্যন্তরীণ কানের পেশীগুলির খিঁচুনি (সংকোচন)।
• মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (একটি অবস্থা যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা স্নায়ুর প্রতিরক্ষামূলক আবরণ নষ্ট হয়)।
• টেম্পোরোম্যান্ডিবুলার জয়েন্ট ডিসফাংকশন - TMD (কানের সামনে মাথার দুই পাশে চোয়ালের জয়েন্টের ব্যাধি)।
• মাথা ও ঘাড়ে টিউমার। যেমন- অ্যাকোস্টিক নিউরোমা (একটি নন-ক্যান্সারজনিত টিউমার যা ক্র্যানিয়াল স্নায়ুতে বিকশিত হয়, যা মস্তিষ্ক থেকে ভেতরের কানে চলে আসে), গ্লোমাস টিউমার।
• রক্তনালীর ব্যাধি যেমন উচ্চ রক্তচাপ, বিকৃত রক্তনালী, এথেরোস্ক্লেরোসিস (একটি অবস্থা যেখানে ধমনীর দেয়ালে চর্বি এবং কোলেস্টেরল জমা হয়)।
• দীর্ঘস্থায়ী (দীর্ঘমেয়াদী) অবস্থা যেমন ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ডিসঅর্ডার, মাইগ্রেন, রক্তস্বল্পতা (লাল রক্তকণিকার অভাব), লুপাস (যখন ইমিউন সিস্টেম শরীরে ব্যথা এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে) এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার সৃষ্টি করে) জয়েন্টগুলোতে ব্যথা এবং প্রদাহ)।
• প্রেগনেন্সি - এই সময় শরীরে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়।
• বিষন্নতা, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ ইত্যাদি ।
• এছাড়া ধূমপান, মদ্যপান, স্থুলতা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও টিনিটাস বেশি দেয়।
➤টিনিটাস পরবর্তী প্রতিক্রিয়া বা সমস্যা সমুহ (Effect of Tinnitus)?
☞অবসাদ।
☞দুশ্চিন্তা।
☞ঘুমের সমস্যা।
☞মনযোগ কমে যাওয়া।
☞স্বরনশক্তি কমে যাওয়া।
☞অস্থিরতা, বিষন্নতা।
☞মাথা ব্যাথা, মাথা ধরে থাকা।
☞পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে সমস্যা।
➤রােগ নির্ণয় (Diagnosis)
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক আপনার নিচের প্রতিটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে এর কারণ উদঘাটন করবেন। কারন, এর উপর নির্ভর করে চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা।
যেমন-
১. রােগের ইতিহাস।
২. নাক কান গলা পর্যবেক্ষন ও সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা যেমন অডিওগ্রাম, ইম্পিডেন্স, টিনিটাস মেচিং, ইমেজিং, ভেস্টিবুলার টেস্ট,
৩. সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা যেমন - হিমোগ্লোবিন, থাইরয়েড ফাংকশন ইত্যাদি। এটি নির্ভর করবে রােগীর ইতিহাস থেকে।
৪. রোগীর কর্মক্ষেত্রের ইতিহাস, বিশেষ করে শব্দদূষনের ইতিহাস।
➤চিকিৎসা ( Treatment)?
টিনিটাস যেহেতু বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তাই এর জন্য নির্দিষ্ট একক কোন চিকিৎসা নেই। যদি টিনিটাসের নির্দিষ্ট কারন খুঁজে বের করা যায়, তবে তা চিকিৎসার ফলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বর্তমান বিশ্বে টিনিটাসের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য, কারন অনেক ক্ষেত্রে সব ধরনের চিকিৎসার পরও এ রোগটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে এ ব্যাপারে গবেষণা চলমান রয়েছে।
তবে সঠিকভাবে নিম্নের ছক অনুযায়ী অগ্রসর হলে অনেকেই এ উপসর্গ থেকে আরোগ্য লাভ করতে পারেন।
ব্যবস্থাপনাসমুহ :
১.প্রতিরােধ (Preventive) -যে সমস্ত কারণে এ রােগে মানুষ আক্রান্ত হতে পারে (যেমন - শব্দদূষণ, কানের ক্ষতিকারক অসুধ, ধূমপান, মদ্যপান, অত্যধিক দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা ইত্যাদি) সেগুলো নির্মূল করা দরকার।
২. রোগের চিকিৎসা(Medical Treatment ):
যে সমস্ত রোগের কারনে টিনিটাস এর উৎপত্তি হয়, সেগুলোর চিকিৎসা করা। যেমন - কানের ওয়াক্স, ইনফেকশন, পানি জমা, টনসিল, এডিনয়েডের চিকিৎসা, মিনিয়ারস ডিজিজ ইত্যাদি।
৩. অপারেশন ( Surgery):
মাইক্রোস্কোপের বা এন্ডোসকোপের সাহায্য কানের পর্দা লাগানাে, ষ্ট্যাপিস সাজারী, ককলিয়ার ইমপ্লান্ট, কানের টিউমার ইত্যাদি চিকিৎসা ও অপারেশনে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
৪. টিনিটাস মাসকার (Tinnitus Masker) বা হিয়ারিং এইড (Hearing Aid) ব্যবহার। এর সাহায্যে সম্পূর্ণ বা আংশিক Masking করা যায়।
৫. ঔষধ (Pharmacological): হতাশা জনক হলেও সত্যি যে, এখন পর্যন্ত FDA কর্তৃক টিনিটাস নিয়ন্ত্রনকারী কোন অসুধ আবিষ্কৃত হয় নি। তবে কিছু অসুধ যেমনঃ সিনারাজিন, ক্লোনাজিপাম, কারবামাজেপিন, নিমােডিপিন ইত্যাদি কিছু মাত্রায় টিনিটাস নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়।
এছাড়াও কিছু কিছু ঔষুধ যা এখন ব্যবহার হচ্ছে সেগুলাের মধ্যে জিঙ্গোবিলাে বা এক্সট্রাকট অন্যতম। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বটুলিনাম টক্সিন এর ব্যবহার করা যায়।
৬. দমিয়ে রাখা (Suppression): এ ব্যবস্থায় ইলেকট্রিক্যাল, ম্যাগনেটিক, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৭. শব্দ থেরাপি (Sound Therapy) বা পিচ মেচিং ( Pitch Matching): টিনিটাসের ফ্রিকোয়েন্সির সাথে ম্যাচ করে এরুপ কোন শব্দ তরংগ বা সুর টিনিটর এর মাধ্যমে কানে দেয়া হয়, যাতে টিনিটাসের শব্দ কানে অনুভূত না হয়। বার বার এটি দেয়া হলে একসময় রোগী তার কানের ভিতর টিনিটাস এর শব্দ অভিযোজিত হয়ে যায়। এছাড়া রুমে হালকা মিউজিক, টিকটিক ঘড়ির শব্দ, রডিও, একটু বেশী শব্দ হয় এমন কোন ফ্যান চালানো যেতে পারে।
৮.কাউন্সিলিং (Counselling) :
টিনিটাসকে মেনে নিয়ে এটার সাথে জীবন-যাপন প্রশিক্ষণ দেয়া। এটার জন্য একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা সাইকোলজিস্ট এর সরনাপন্ন হতে পারেন।
৯. কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (CBT):
টিনিটাস সম্পর্কে দৃষ্টিভংগি পাল্টানো। যার গলে এটা হয়তো এত খারাপ লাগবে না।
১০. টিনিটাস রিট্রেনিং থেরাপি (TRT):
টিনিটাসের ফলে মস্তিষ্কে যে প্রয়িক্রিয়া দেখা দেয়, সেটা কমানো।
তাই টিনিটাস নিয়ে অবহেলার সুযোগ নেই। টিনিটাস হলে আপনার চিকিৎসক এর সরনাপন্ন হোন।
#ডাঃ_আলমগীর_মোঃ_সোয়েব
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডিএলও (বিএসএমএমইউ)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন : A45082
কনসালটেন্ট (ইএনটি)
#নাক_কান_গলা_রোগ_বিশেষজ্ঞ_ও-সার্জন
০১৯৭৮-১১ ৭৩ ৭১, ০১৭৮৩-৫৫৮১৬১
Find
#সচেতনতা_মূলক_পোস্ট #ডাঃ_আলমগীর_মোঃ_সোয়েব