17/06/2025
🔴শিশুর প্রথম সলিড খাবার: কীভাবে দিবেন?🔴
⭕৬ মাস বয়স পর্যন্ত কেবলমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার পরে যখন দুধ ছাড়া অন্য খাবার শুরু করে সেটাকে বলে উইনিং (Weaning) এবং যে খাবার দিয়ে উইনিং শুরু করা হয় সেগুলোকে বলা হয় উইনিং ফুড (Weaning Foods)।
উইনিং ঘরের খাবার দিয়ে শুরু করা উচিত।
✅প্রথম সলিড ফুড হিসেবে আদর্শ কিছু খাবার হচ্ছে-
-চটকানো পাকা কলা
-মিষ্টি আলুর পিউরি
-আপেল পিউরি
-গাজর সিদ্ধ
-ডালের পানি দিয়ে চটকানো নরম ভাত
-ফলের রস (টক জাতীয় ফল বাদে)
-জাউ ভাত, সবজি সেদ্ধ
-আস্তে আস্তে চাল, ডাল ও ২ ধরনের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি
✅শিশুর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রধান ৭ রকমের খাবার থেকে কমপক্ষে ৪ রকমের খাবার অবশ্যই রাখা উচিত।
প্রধান ৭ রকমের খাবারের খাদ্যতালিকা:
-মাছ, মাংস
-ডিম
-রঙিন শাক সবজি
-অন্যান্য শাক সবজি ও ফলমূল
-ভাত, রুটি
-বাদাম, ডাল জাতীয় খাবার
-দুগ্ধজাত খাবার
🍛শিশুর প্রথম সলিড খাবার কীভাবে শুরু করবেন?
১) প্রথম দিন- ১ চামচ, দুপুর বেলা। দ্বিতীয় দিন- ২ চামচ, সকালে ও দুপুরে। তৃতীয় দিন- ৩ চামচ, সকালে, দুপুরে ও রাতে।
২) শিশু রান্না করা খাবার খাওয়া শুরু করলে শিশুর খাবারে ২/৩ চামচ তেল দিয়ে রান্না করতে হবে।
৩) প্রতিদিন ১ পোয়া বাটির হাফ বাটি করে দিনে দু’বার ঘরে তৈরি বাড়তি খাবার এবং ১-২ বার পুষ্টিকর নাস্তা খাওয়াতে হবে।
৪) এই সময়ে সারাদিন শিশু ৩ ঘন্টা পর পর খাবে, যার মধ্যে দু’টি বাড়তি খাবার এবং একটি পুষ্টিকর নাস্তা দিতে হবে। যেমন- কলা, ডাবের পানি, ফলের রস, দুধ ইত্যাদি। সকাল শুরু করতে হবে বুকের দুধ দিয়ে। ২ বছর পর্যন্ত শিশুকে বুকের দুধ দেওয়া যায়।
🥗 শক্ত খাবারে অভ্যস্ত হওয়ার পর ফুড চার্ট কেমন হবে?
১) সকাল ৮টা- নরম খিচুড়ি। (খিচুড়িতে যা যা থাকতে পারে- ১ মুঠ চাল, চালের অর্ধেক পরিমাণে ডাল, দুই রকমের সবজি, ২-৩ চামচ তেল, কাঁটা ছাড়া মাছ, চিকেন অথবা কলিজা।
( একদিনে দুই ধরনের বেশি সবজি দিবেন না)
২) সকাল ১১টা- বুকের দুধ/ফর্মুলা মিল্ক/দুধ দিয়ে রান্না করা পায়েস/সিজনাল ফল
৩) বেলা ২টা- নরম খিচুড়ি/ডাল দিয়ে নরম ভাত সাথে মাছ বা মাংস এক পিস
৪) বেলা ৫টা- যেকোনো ফল যেমন- পাকা কলা/পাকা পেঁপে/আম অথবা সেদ্ধ ডিমের কুসুম/নরম বিস্কুট/নুডলস(ইন্সটেন্ট না)
৫) রাত ৮টা- দুপুরের মতো ভাত, সবজি, মাছ
৬) ঘুমানোর আগে- বুকের দুধ
✅শিশুর পানি খাওয়া :
🔹৬ মাসের পর থেকে বাচ্চাকে পানিও দিতে হবে।
🔹বাইরের প্যাকেটজাত ফুড না দিয়ে ঘরে তৈরি খাবার দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে ঘরের খাবারে সে অভ্যস্ত হবে।
🔹শিশুর কাছে এই খাবারগুলো নতুন, তাই প্রথমেই সব হজম নাও হতে পারে। তাই সব নতুন খাবার একদিনে দেওয়া শুরু করবেন না। পর্যায়ক্রমে একটা একটা করে আরম্ভ করুন। যদি কোনো খাবার বাচ্চাকে স্যুট না করে বা হজম না হয় অথবা হুট করে অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেটা দেওয়া বন্ধ রাখুন।
🔹নতুন খাবার দেওয়ার পর বাচ্চার পায়খানা খেয়াল করবেন, হজমে সমস্যা বা আমাশয় হলে সেটি বন্ধ রাখতে হবে কিছুদিন।
🔹ব্লেড করে কোন খাবার বাচ্চাকে দিবেন না।
🔹সুজি,সাগু,সেরেলাক,চালের গুঁড়া দিবেন না।