26/03/2023
বিভিন্ন ধরনের এলার্জেন যেমন- ধুলাবালি-ধোঁয়া, ফুলের রেণু, কলকারখানার নির্গত বিষাক্ত গ্যাস, গাড়ির ধোঁয়া, বিশেষ কিছু খাবার, ওষুধ এলার্জি ও এজমার সৃষ্টি করে। যে কোন সুস্থ ব্যক্তিরও এলার্জি হতে পারে। সামান্য উপসর্গ হতে শুরু“ করে মারাতœক উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে; এমন কি হঠাৎ তীব্র আকারে আক্রমণ করতে পারে। নিউইয়র্কে গবেষকরা বলেছেন, যানবাহন রাজপথে হাঁচি উদ্রেককারী এলার্জেন সৃষ্টি করে। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মতে, প্রস্তরফলক, ইষ্টক প্রভৃতি দ্বারা আস্তর করার পথে বিভিন্ন উৎস হতে কমপক্ষে ২০টি এলার্জেন পাওয়া যায়। ফুটপাথের ধূলিকণাকে বর্ণনা করেন এভাবে যে, এগুলো হচ্ছে মৃত্তিকার ধুলা, গাড়ির গচ্ছিত নিঃশোষিত পদার্থ, টায়ারের ধুলা, গাছ-পাতার খ- এবং অন্যান্য যৌগিক পদার্থের জটিল সংমিশ্রণ। পথের ধুলা শহরবাসী এলার্জি/এজমাতে প্রবলভাবে গ্রহণ করে। কারণ রাজপথ দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন, লোকজন প্রভৃতির মাধ্যমে এগুলো দ্রুতবেগে বায়ুম-লে মিশে যায়। তাদের মতে, শতকরা ১২ ভাগ শহরবাসী নিঃশ্বাসের সঙ্গে এমন বায়ুবাহিত এলার্জেন সৃষ্টি করে।
গবেষকদের মতে, রাজপথের খুব নিকটতম বসবাসকারীদের পথের ধুলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এলার্জি ও এজমার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি এবং রাস্তার ১০০ মিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের মধ্যে কাশি, হুইজ, রানিংনোজ এবং নির্ণীত এজমার প্রকোপ অধিক। এজমা এবং এলার্জি নিঃসন্দেহ একটি যন্ত্রণাদায়ক স্বাস্থ্য সমস্যা; তাই এলার্জি ও এজমা যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। এলার্জির সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। কি কারণে এবং কোন্ কোন্ খাবারে আপনার এলার্জি দেখা দেয় তা শনাক্ত করে পরিহার করে এলার্জি হতে রেহাই পাওয়া সম্ভব। এলার্জি সৃষ্টি হয় তখন যখন ইমোনোগোবিন-ই-এর পরিমাণ রক্তে বেড়ে যায়। যার ফলে এলার্জেন এন্টিবডির বিক্রিয়ার পরিমাণ বেশি হয় এবং এই বিক্রিয়ার ফলে নিঃসৃত হিস্টামিনের পরিমাণ বেশি হয় যা এলার্জি সৃষ্টি করে। সংক্ষেপে ধুলাবালি, ধোঁয়া, গাড়ির বিষাক্ত গ্যাস, কলকারখানার সৃৃষ্ট পদার্থ, বৃষ্টিতে ভেজা, শীতের কুয়াশা, ফুলের রেণু, বিশেষ কয়েকটি খাবার যেমন-চিংড়ি, ইলিশ, বোয়াল, গজার, গরুর মাংস, হাঁসের ডিম, পাকা কলা, আনারস, নারিকেল, কসমেটিকস ও অগনিত জানা-অজানা জিনিস আমাদের শরীরে কাশি, শ্বাসকষ্ট, এলার্জি ও এজমার সৃষ্টি করতে পারে