https://www.facebook.com/109323252223213/

Nobel's Diary, Cumilla (2025)

18/10/2025

Dream 💗

18/10/2025

এটা আমার ওয়ার্ড এর চিত্র।আমি রোগীর অনুমতি নিয়ে ছবিটা তুলেছিলাম। বাবা রো গী আর ছেলে দেখাশোনা করতে আসছে বাবার। আমি তাকে বলেছিলাম পাশের বেড খালি আছে আপনি সেখানে শুতে পারেন। ছেলেটা বলল না আমি এখানেই শুই, কারণ আমি ঘুমিয়ে গেলে বাবা যাতে আমাকে হাত দিয়ে ডাকতে পারে। দূরে ঘুমালে বাবা যদি আমাকে ডাকে আর আমি শুনতে না পাই। আলহামদুলিল্লাহ আমারও ছেলে আছে মেয়ে আছে। আমি কখনোই অনেক বড় কিছু আশা করি না। আমি মনে প্রানে চাই আমার ছেলে মেয়ে এই ছেলেটার মত হোক।

-Khadija Islam

17/10/2025

Anesthesiologist এর বাংলা আমাদের রোগীদের কাছে::অজ্ঞানের ডাক্তার।।
এক রোগীর লোক একবার এসে বলসে,তার বউয়ের অপারেশন রাতে হয় নাই,কারণ অজ্ঞান পার্টি ছিলো না।
দম ফাটা হাসি আটকে বললাম,আচ্ছা।
©

17/10/2025

আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সকল সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু সনাক্তকরণে ব্যবহৃত NS1 এন্টিজেন পরীক্ষা সকল সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, " উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগ, আন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগে রেজিস্ট্রেশনকৃত রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী NSI পরীক্ষা আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বিনামূল্যে করণের বিষয়ে অর্থ বিভাগ সম্মতি জ্ঞাপন করেছে।

০২। বর্ণিতাবস্থায়, হাসপাতালে জরুরি বিভাগ, আন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগে রেজিস্ট্রেশনকৃত রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী NS! পরীক্ষা আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বিনামূল্যে করণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।"

15/10/2025

কালকে ২৫ ব্যাচের রেজাল্ট। রেজাল্টের আগে কিছু সহজ কথা-

১। আন্দোলন, মাইলস্টোন, বন্যা সব কিছুই দেখসে এই ব্যাচ। এত কিছুর পরো মন শক্ত করে পরীক্ষা দেওয়া কঠিন ছিলো। তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ!

২| মোদ্দা কথায় আসি। রেজাল্ট ভালো হলে কি করবো, খারাপ হলে কি করবো। মোটিভেশন না দিয়ে সহজ কথায় আসি-

ক। ৯০+ মার্ক্স: তোমার apply করা নিয়ে টেনশন নাই। তাই তুমি ধুমায় পড়বা। মনে রাখবা আজকে যারা তোমাকে নিয়ে নাচতেসে, ৩ মাস পর চান্স না পাইলে এরাই ডাবল কথা শুনাবে। দেখে দেখে A+ পাইসো, এখন তো পারলা না, এসব বলবে। মানুষ বহুত খারাপ ভাইয়া। তাই, overconfident হওয়া যাবে না। The game is not over yet!

খ| ৮০+ মার্ক্স: তোমার মার্ক্স নিয়ে টানাটানি থাকা স্বাভাবিক। অন্যদের উপর নির্ভর করে পরীক্ষা দিতে পারবা কিনা। মেডিকেল কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং যেটা প্রস্তুতি নিচ্ছো, ঐটাই নিতে থাকবা।

গ| 4.8+ grade: তোমার জন্য ভার্সিটিতে শিফট করা wise. ঠিকমতো ৩ মাস পড়লে ভার্সিটির একটা সিট পাওয়াই যায়, সুতরাং, টেনশন করে লাভ নাই।

ঘ। 4+ grade: যদি তোমার প্রাইভেটে সুযোগ থাকে ভর্তি হয়ে যাও, নাইলে যম পড়াশুনা দাও কিন্তু হ্যাঁ expectation ঐভাবে ম্যানেজ করো কিংবা বিদেশ চলে যাও ,টাকা কামাও

৪| রেজাল্ট খারাপ হইলে মন খারাপ হবে-
এবারের রেজাল্ট সবারই ড্রপ করার কথা, যদিও কালকে দেখলে বুঝবো। Competitor অনেক। সবাই চান্স পাবে না, সবাই ভালো করবে না, এটাই স্বাভাবিক। HSC Result খারাপ হওয়াটা সমস্যা না, সমস্যা মনোবল ভেঙে যাওয়া। নিজেকে লুজার ভাবা। এর থেকেও বড় সমস্যায় তুমি পরবা, অবশ্যই পরবা। তখনও এটা মাথায় রাখা লাগবে, You are only a loser when you believe you are a loser.

৫. গার্ডিয়ানদের উদ্দেশ্যে-
আমি যেকোনো কাজের আগে জিজ্ঞেস করি নিজেকে, যে এটা করে লাভ কি? আপনার বাচ্চা কালকে খারাপ করলো, আপনি বকলেও লাভ নাই, মিষ্টি বিলাইলেও লাভ নাই। রেজাল্ট পরিবর্তন হবে না। যেহেতু ২ মাস পরেই admission, মাথায় রাখবেন আপনার reaction ওর ভবিষ্যৎ determine করবে। গত ৬ বছর পড়ায় যদি কিছু শিখে থাকি, তা হলো মেরে বকে কাউকে পড়ানো যায় না। আপনার বাচ্চা যদি নিজে থেকে না অনুভব করে, লাভ নাই। তাই রাগটা প্রশমিত করেন, অন্তত নিজের benefit ভেবেই করেন।

শুভকামনা সবাইকে। পছন্দের একটা কোট দিয়ে শেষ করি। The man who loves walking will walk further than the man who loves the destination.

Life একটা সুন্দর Journey, destination is আখিরাত। So what are you so worried about?
-মৌমিত

15/10/2025

“বাইকটা ছিল ওর স্বাধীনতার প্রতীক…
আজ সেটাই নিয়ে গেল স্বাধীনতা চিরতরে।”

২২ বছরের এক তরুণ,
কলেজ শেষ করে চাকরির স্বপ্ন দেখছিল…
রাতে বন্ধুর সাথে একটু ঘুরতে বেরিয়েছিল বাইকে
ফিরেছে হুইলচেয়ারে বসা এক আজীবন পঙ্গু মানুষ হিসেবে।
সামান্য একটা স্কিড…
হেলমেট ছিল, কিন্তু পেছনে স্পিড ছিল ৯০ কিমি!
রাস্তার এক গর্তে পড়ে spine ভেঙে গেছে পুরোপুরি।
এখন আর হাত-পা নড়ে না,
নিজে থেকে খেতে বা বসতে পারে না।
ডাক্তাররা বলেছে —
Spinal cord injury, complete paraplegia.

এটা কোনো একক ঘটনা নয়!

বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন মানুষ মারা যায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়।
আর যারা বেঁচে যায়,
তাদের অনেকেই হয়ে যায় চিরজীবনের জন্য পঙ্গু, স্পাইনাল ইনজুরি বা ব্রেইন ড্যামেজড।

সড়ক দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর প্রায় ৪০% আসে মোটরবাইক এক্সিডেন্ট থেকে।
(সূত্র: BRTA ও WHO রিপোর্ট)

কেন এত ভয়াবহ হয় বাইক দুর্ঘটনা?

ছোট ভুলেই বড় ইনজুরি (No protective frame like cars)

Spine, Brain, Face ও Limbs একসাথে ইনজুরি পায়

অনেক সময় Helmet ঠিকভাবে না পরলে বা Speed বেশি থাকলে মৃত্যু অনিবার্য

বৃষ্টিতে বা রাতে visibility কমে যায়, ব্রেক ফেল হয়

যেসব ইনজুরি সবচেয়ে বেশি হয়:

Spinal cord injury প্যারালাইসিস
Head injury ব্রেইন হেমারেজ
Pelvic fracture স্থায়ী প্রতিবন্ধকতা
Limb amputation হাত-পা কেটে ফেলতে হয়

প্রতিরোধই একমাত্র পথ:

হেলমেট পরুন, কিন্তু মানসম্মত ও শক্তভাবে বাঁধা
হাই স্পিডে না চালানো, বিশেষ করে রাতে
রাস্তায় স্টান্ট বা রেসিং নয়
নিয়মিত বাইকের সার্ভিসিং করুন
রেইনকোট বা গ্লাভস ব্যবহার করুন বর্ষায়
দুইজনের বেশি ওঠাবেন না বাইকে
প্রয়োজনে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করুন – “বেঁচে থাকাই আসল।”

এক মুহূর্তের স্পিড, আজীবনের পঙ্গুত্ব।

যে ছেলেটা বলত, “ভাই, বাইক ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না”
এখন সে বলছে, “ভাই, একবার শুধু পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারলে…”

আপনার হাতে গতি আছে,

কিন্তু জীবনের ব্রেকও আপনার হাতে রাখুন।
কারণ মৃত্যু আসে এক সেকেন্ডে, কিন্তু পরিবার ভোগে সারাজীবন।

শেয়ার করুন
এই পোস্ট হয়তো কোনো তরুণের গতি কমিয়ে দিতে পারে,
কোনো মা’কে বাঁচাতে পারে আজীবনের কান্না থেকে।

~Dr-Abdur Rahman

15/10/2025

রাত বাজে ১২ টা। ঘুমায় গেছিলাম।
হঠাৎ ট্রেন থামার ঝাকিতে ঘুম ভেঙে গেল।এনাউন্সমেন্ট করা হল "এই বগির এতো নাম্বার সিটে একজন পেসেঞ্জার অসুস্থ, যদি ট্রেনে কোনো ডাক্তার থাকেন, প্লিস আসুন।"

যে প্রতিজ্ঞা নিয়ে ডাক্তার হয়েছিলাম,তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে রোগী দেখতে গেলাম। গিয়ে দেখি ততো সিরিয়াস কিছু না। ডায়ারিয়ার রোগী, উনার স্যালাইন শেষ হয়ে গিয়েছিল, তাছাড়াও পালস কিছুটা কম। উনাকে কাউন্সিলিং করে, স্যালাইন খেতে বলে কেবিনে চলে আসলাম।

কেবিনে এসে দেখি পানি শেষ। পানি আনতে খাবার বগিতে গেলাম। কেবিনে ঢুকতেই একজন কেবিন বয় বললেন,'স্যার প্লিস একটু বসেন।'

-আমি বললাম, এখানে বসবো কেন?

-'স্যার আমাদেরই একজন স্টাফ অসুস্থ। একটু যদি দেখে দিতেন।' সম্ভবত আগের রোগীকে যখন দেখছিলাম। কেবিন বয়দের কেউ হয়তো জেনেছে আমি ডাক্তার।

সেলুলাইটিসের রোগী। কয়েকদিন আগে ভ্যানে একসিডেন্ট করেছিল। সেখান থেকেই ইনফেকশন। তারা একটা ছোট স্লিপ বই দিলো। সেখানে ট্রিটমেন্ট লিখে ও বুঝিয়ে দিলাম।

এর পর তাদের হেড খুব করে ধরলেন। স্যার প্লিস আমাদের পক্ষ থেকে এক কাপ কফি খান। প্রথমে মানা করলেও পরে তাদের অনুরোধে আর না করতে পারলাম না। বললাম, এতো নং কেবিনে আছি।

কিছুক্ষণ পর, তাদের একজন দুই কাপ কফি সুন্দর করে টিস্যুতে মুড়িয়ে একটা প্লেটে করে দিয়ে গেল। বউসহ কফি খেতে খেতে কিছুক্ষণ জীবনমুখী আলোচনা করলাম। মনে হলো,হয়তো এই ছোট ছোট ভালবাসাগুলোর জন্যই ডাক্তারি পড়তে এসেছিলাম। হয়তো মানুষের বিপদে একটু সহায় হবো বলেই আল্লাহ আমাকে ডাক্তার হবার তাওফিক দিয়েছেন।
আলহামদুলিল্লাহ❣️

© Nazmush Shakib Bappi

15/10/2025

মদ খেয়ে মরে কেন?
মদ পান করার পর সেটা দ্রুত রক্তে চলে যায়। এরপর লিভার সেটাকে মেটাবোলাইজ বা নিস্ক্রিয় করা।
হঠাৎ এক বসায় অনেক মদ খেলে লিভার আর সেটাকে নিষ্ক্রিয় করতে পারেনা। ফলে blood alcohol concentration (BAC) অনেক বেড়ে যায় এবং অ্যালকোহল বিষ হিসেবে কাজ করে (alcohol poisoning)।
এই বিষ মস্তিষ্কে চলে যায়...মস্তিষ্ককে দ্রুত অকেজো করে দেয়...ফলে শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু ঘটতে পারে।
এছাড়াও মদে ভেজাল মেশালে অল্প মদেই বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
সেজন্যে মদ না খেয়ে ডাইল খান। ডাইল বলতে মুগ ডাল। মুগ ডাল পেট ঠান্ডা রাখে। হজমে সহায়তা করে। প্রোটিনের ভালো উৎস।হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরল কমায়।
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ধীরে বাড়িয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মুগ ডালে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের টক্সিন দূর করে, ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং বার্ধক্য রোধে সহায়তা করে। এতে ক্যালোরি কম, কিন্তু পুষ্টিগুণ বেশি — ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়। মুগ ডালে আয়রন থাকে যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়তা করে:
এতে লোহা (iron) আছে, যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।

14/10/2025

মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মা*রা যাবার সম্ভাবনা ৪ গুন বেশি।
-বাধন

14/10/2025

একটা দেশের মেরুদণ্ড কারা?
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার — না, শিক্ষকরা।
কারণ তাঁরাই গড়ে তোলেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, বিচারপতি অথচ এই দেশের জন্মলগ্ন থেকে এরা অবহেলিত!
শিক্ষকের বেতন কি দেশের সর্বোচ্চ?
না, বরং লজ্জাজনকভাবে স্বল্প।নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায় টাইপ ,তাদের জীবন চলে অর্ধেক স্বপ্নে, অর্ধেক অভাবে।
আমার বাবা একজন সহকারী অধ্যাপক।
ছোটবেলা থেকে আব্বু বলতেন,
“বাবা, জীবনে যা হতে চাও হও,
কিন্তু শিক্ষক হওয়ার কথা কখনো ভেবো না
স্ত্রীর আহ্লাদ রাখতে পারবে না,
সন্তানকে ভালো পোশাক দিতে পারবে না।”
সংস্কারের কথা ছিল, সম্মানের কথা ছিল,
কিন্তু হলো উল্টো শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা হলো!
সরকারি অফিসে যে ব্যয় হয়,
তা কি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির চেয়ে কম?
যদি কিছুটা বেশিও হয়, তাতে সমস্যা কোথায়?
এই দেশের ভবিষ্যৎ যাদের হাতে,
তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিন!
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে মানুষ ততক্ষণই চলতে পারে, যতক্ষণ তার মেরুদণ্ড অটুট থাকে।তাহলে শুনে রাখুন দেশও ততক্ষন টিকে থাকবে,যতক্ষণ তার মেরুদণ্ড শিক্ষকরা সম্মান পাবে।

14/10/2025

আজকে এক ভদ্রমহিলা মারা গেলেন। ৮৪ বছর বয়স হয়েছিলো উনার, আল্লাহ পাক নিয়ে গেলেন। উনার মারা যাওয়ার ব্যপারটা ইন্টারেস্টিং না। কুল্লু নাফসিন যাইকাতুল মওঊত, মারা তো সবাইকেই যেতে হবে একদিন। ইন্টারেস্টিং হলো, উনি যেই প্রক্রিয়াটায় মারা গিয়েছেন, সেই প্রক্রিয়াটায়।

বয়স্ক এই ভদ্রমহিলার একজন নয়, দুইজন নয়, পাঁচ পাঁচজন সন্তান রয়েছে, সবাই ই বিবাহিত।তিন ছেলে দুই মেয়ের এই গর্বিত মা জননী তিন ছেলেকে পুরান ঢাকায় তিনটি দোকান ভাগ করে দিয়েছেন। ছেলেদের সংসারের জয়েন্ট ফ্যামিলিতে থাকতেন। উনার মৃত্যুর প্রক্রিয়াটা শুরু হয় মাসখানেকের কিছু আগে।

মাসখানেক আগে থেকে প্রতিদিন তিনি বলতেন, "আমার না বুকে অনেক ব্যথা করে। আগে কম করতো, এখন অনেক বেশী করে।" ব্যথাটা কোথায় করে, সেটা জিজ্ঞেস করলে তিনি বুকের নির্দিষ্ট একটা পিনপয়েন্ট লোকেশন দেখাতেন। সন্তানরা বললো, "গ্যাসের ব্যথা, তুমি গ্যাসের ট্যাবলেট খাও।"

গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়া হলো একের পর এক, ব্যথা গেলো না। ভদ্রমহিলার অভিযোগ করতেই থাকলেন। তিনি বসা থেকে উঠতে গেলে বুকে ব্যথা পান, দাঁড়ানো থেকে বসতে গেলেও বুকে ব্যথা পান, এমনকি নি:শ্বাস নিতে গেলেও বুকে ব্যথা পান। সপ্তাহখানেক পরে তিনি ছেলেদেরকে আলাদা আলাদা করে ডেকে নিয়ে অনুরোধ করে বললেন, "আমাকে একটা ডাক্তার দেখাও না তোমরা!! বুকের ব্যথাটায় অনেক কষ্ট পাচ্ছি।"

ডাক্তার দেখানো হলো না। তবে এই ফ্যামিলিটার একটা দু:সম্পর্কের আত্মীয় আছে, যিনি কিছুদিন আগে এমবিবিএস পাশ করে এখন একজন সার্জন হিসেবে কাজ করছেন। সেই সার্জনের সাথে কনসাল্ট করা হলো, ফোনে।

কমবয়সী সেই ডাক্তার সিম্পটম শুনেই বললো, অসুখটা সুইমিংপুলের পানির মত পরিষ্কার, সমস্যাটা কার্ডিয়াক। আপনারা এক্ষণি একটা ইকোকার্ডিওগ্রাম করান, সাথে আরও দুটো টেস্ট করাবেন। দ্রুত ট্রিটমেন্টে চলে না গেলে বিপদ কিন্তু বাড়বে।

তিনটা টেস্ট করাতে সাড়ে চার হাজার টাকার মত লাগবে শুনে সন্তানরা সেগুলো করালেন না। তারা ইস্যুটা চাপা দিয়ে ফেলার জন্য বললেন, "আরে ধূর, এত টাকার টেস্ট লাগবে না। প্রবলেমটা মনে হয় গ্যাসেরই। মা খায় না ঠিকমতো, খাওয়াটা রুটিনমাফিক করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।"

ব্যথা গেলো না। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চললো। এরই মাঝে তারা একজনকে ডাক্তার সাজিয়ে বাসায় এনে ভদ্রমহিলার চেকাপ করানোর নাটকও করলেন। তাকে শান্ত করার জন্য জানানো হলো, "আপনার কিছুই হয় নাই। খাওয়াদাওয়াটা রুটিনমাফিক করবেন। সব ঠিক হয়ে যাবে।"

এভাবে দুই সপ্তাহ চলার পরে বয়স্ক ভদ্রমহিলা হুট করে একদিন পড়ে গেলেন, তার মুখ বেঁকে গেলো, কথা বলা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলো। যেই সাড়ে চার হাজার টাকার টেস্ট সন্তানরা করাতে চাচ্ছিলো না, সেই টেস্টগুলোই তাকে হাসপাতালে এডমিট করার পরে করানো হলো। উনার শরীরে হোয়াইট ব্লাড সেল পাওয়া গেলো দেড় লাখ। এখন আইসিইউ ছাড়া উপায় নেই।

বাসায় তিন ভাইয়ের মিটিং বসলো। মায়ের দিয়ে যাওয়া পুরান ঢাকার তিনটা দোকান দিয়ে পেট চালানো তিন ভাইয়ের একজন বললো, "আইসিইউতে অনেক খরচ, এত টাকা কোথায় পাবো?? উই আর অল ব্রোক!!" বাকি দুই ভাই বিনা প্রশ্নে সম্মতি দিলো।

সেই কমবয়সী ডাক্তারটা এই ঘটনা জানার পরে নিজ উদ্যোগে নিজের চ্যানেল দিয়ে NICVD তে একটা আইসিইউ বেড জোগাড় করে দিলেন, যেখানে পার ডে তে খরচ পড়বে মাত্র দেড় হাজার টাকা। এই বেড পাওয়া আর লটারি পাওয়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। সরকারি এবং এত সস্তা আইসিইউ বাংলাদেশে আর কোথাও নাই।

কমবয়সী ডাক্তারটা বয়স্ক মহিলার ছেলেদের শুধু হাত পায়ে ধরা বাকি রাখলেন ওখানে ভর্তি করানোর জন্য। এত অনুরোধেও কাজ হলো না, তারা মা কে ভর্তি করালো না। ঠিক সেই মুহূর্তটায় পরিষ্কার হয়ে গেলো, তাদের মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকা জিনিসটা আসলে কখনোই ইস্যু ছিলো না।

তাকে বাসায় নিয়ে এসে একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগিয়ে বিছানায় ফেলে রাখা হলো। মাঝেমধ্যে গা হাত পা টিপে মুছিয়ে দেয়া হলো। মাতৃসেবার নামে এই ভন্ডামি করে তারা এই বয়স্ক ভদ্রমহিলার মৃত্যুর অপেক্ষা করে গেলো।

মানুষের শরীরে হোয়াইট ব্লাড সেল বা WBC এর স্বাভাবিক রেঞ্জ হলো চার থেকে এগারো হাজার। WBC যখন ৬০-৭০ হাজারে যায়, তখন শরীরের ভিতরের সবকিছু আগুনে পুড়ে যাওয়ার অনুভূতি হয়। জ্ঞান থাকলে মানুষটা যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে, বরফ খেতে চায়, গায়ে পানি ঢালতে চায়।

এই ভদ্রমহিলার WBC ছিলো দেড় লাখ!! শরীরের ভিতর দিক থেকে পুড়ে যাওয়ার যেই যন্ত্রণাটা তিনি পেয়েছেন, সেটা এমনকি বর্ণনা করাও সম্ভব না।

ভদ্রমহিলা আজকে মারা গিয়েছেন। কারও মৃত্যুতে আলহামদুলিল্লাহ পড়া উচিৎ না, কিন্তু আমি পড়লাম। উনার সকল যন্ত্রণার অবসান করে দেয়ার মত দয়া দেখানোর জন্য আমি আল্লাহপাকের দরবারে শুকরিয়া আদায় করলাম।

আইসিইউ ম্যানেজ করে দেয়া সেই ডাক্তার দুই ঘন্টা সময় নিয়ে আমাকে ঘটনাটা বলেছেন। শেষদিকে কান্না আটকানোর জন্য উনি কথা বলতে পারছিলেন না। ভাঙা ভাঙা গলায় আমাকে বললেন, "এই মহিলার এক ছেলের বউ ইনফার্টাইল, কোনোদিন বাচ্চা হবে না। এটা জানার পরেও এই মহিলা কোনোদিন মনের ভুলেও ছেলের বউকে কোনোদিন খোঁটা দিয়ে কথা বলেন নাই। ছেলেকে আরেকটা বিয়েও করতে বলেন নাই। সেই মায়ের সাথে কিভাবে পারলো এত নিষ্ঠুর হতে এরা?? মায়ের লিখে দেয়া দোকান থেকে ইনকাম করে খাচ্ছে। সেই মায়ের চিকিৎসার সময় এই কাজটা এরা কিভাবে করলো??"

কিছু কিছু সময় আসে, যখন মানুষ আসলে শুধু প্রশ্নটাই করতে চায়। উত্তর পাওয়াটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না, প্রশ্ন করার ফ্লোর পাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ।

আমি এক অখন্ড নীরবতার মধ্যে এই প্রশ্নটাকে বহমান নদীর কচুরিপানার মত ভেসে যেতে দিলাম।
Courtesy:Hazat sabbir

12/10/2025

পিস টিভি পুনরায় চালু করা হোক📌

ডা. জাকির নায়েক — এমন এক নাম, যিনি যুক্তি, প্রমাণ ও বিজ্ঞানের আলোকে ইসলামকে তুলে ধরেছেন নতুনভাবে। তাঁর দাওয়াহর প্রভাবে অসংখ্য বিধর্মী ইসলাম গ্রহণ করেছেন, অসংখ্য নাস্তিকের মুখের লাগাম টেনে দেওয়া গেছে।একসময় আমাদের দাদা-দাদী, মা-বাবা, এমনকি তরুণরাও বসে পিস টিভিতে তাঁর লেকচার দেখতেন। ঘরে বসেই মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জন করত ,যেন প্রতিটি ঘর ছিল ছোট্ট এক মাদরাসা।
কিন্তু সেই আলোর পথটি বন্ধ হয়ে যায় ২০১৬ সালে, আওয়ামী আমলে। গুলশান হামলার পর নিরাপত্তার অজুহাতে পিস টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়। অথচ ইন্টেরিয়ম এর আমলেও চ্যানেলটি পুনরায় চালু করা হয়নি। এখন প্রশ্ন হলো?ডা. জাকির নায়েক হয়তো একদিন আসবেন, লেকচার দেবেন, তারপর চলে যাবেন। কিন্তু যদি পিস টিভি পুনরায় চালু করা হয়, তাহলে আমরা প্রতিদিন তাঁর জ্ঞান, যুক্তি ও ইসলামী ব্যাখ্যা শুনতে পারব।এই পিস টিভি চালু করা নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত জোরালো- ভাবে কারণ এটি শুধু একজন দাঈর বিষয় নয়, এটি আমাদের দ্বীনি শিক্ষার এক বড় উৎস পুনরুদ্ধারের দাবি।

Nobel's Diary

18/10/2025

18/10/2025

17/10/2025

17/10/2025

15/10/2025

15/10/2025

15/10/2025

15/10/2025

14/10/2025

14/10/2025

14/10/2025

12/10/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Practice

Shortcuts

Share

Category