Dr. Kabir's Health Care

Dr. Kabir's Health Care মানসম্মত চিকিৎসা ও আন্তরিক সেবা

20/10/2025


আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, ইদানীং আমরা এই পেজ থেকে নানাধরণের স্বাস্থ্যবার্তা এবং আমাদের নিয়মিত সাপ্তাহিক আয়োজন স্বাস্থ্য আড্ডা বন্ধ রেখেছি। এর নানাবিধ কারণ আছে তন্মধ্যে ডা. তানভির আহমদের নিচের বিশ্লেষণ অন্যতম।

“সাইকিয়াট্রিস্ট নিউট্রিশন নিয়ে কথা বলতেসে বেশী।
নিউট্রিশনিস্ট ক্লিনিক্যাল ডিজিজ নিয়ে কথা বলতেসে বেশী।
সার্জন বলতেসে ওজন কমানো নিয়ে কথা।
মলিকুলার বায়োলজিস্ট বলতেসে পাবলিক হেলথ নিয়ে কথা।
মানে খুবই চমৎকার। I really appreciate.
আপনি নৃত্যকলা নিয়ে পড়াশোনা করেও Computer aided drug design নিয়ে কথা বলতে পারেন। কোন সমস্যা নাই।
শুধু আল্লার ওয়াস্তে, একটু পড়াশোনা করে বললে ভাল হয়। একটা রিসার্চ পেপার থেকে ডিসিশন এ আসতে হয় কিভাবে আর কি ডিসিশনে আসতে হয় বুঝেন।
Statistical Significance আর ক্লিনিক্যাল সিগনিফিকেন্স এর পার্থক্য বুঝেন।
Association আর Causality যে এক না বুঝেন।
এটা ভাল আর ওইটা খারাপ এত দ্রুত সিদ্ধান্তে আসতে বোধহয় এক আমরাই পারি।
রিসার্চ এর স্টাডি ডিজাইন আর ডাটা কালেকশন এর মেথড টাও পড়েন।
এক গবেষনায় পাওয়া গেছে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং খুব খারাপ। মৃত্যুর হার বহুগুনে বাড়ায়।
ভেতরে পড়ে দেখবে শুধুমাত্র গতকাল আপনি কতক্ষন না খেয়ে ছিলেন সেটার উপর ভিত্তি করে বলে দিচ্ছে আপনি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এ আছেন! একদিনের ইতিহাস দেখে কি বলা যায় যে উনি এই ফাস্টিং করেন?
ওমুক ভ্যাক্সিন খারাপ কারন এটা ট্রায়াল হয় নাই। ভাল মত খোজ নিলে দেখবেন, ট্রায়াল হয়েই আসছে। শুধু তাই না, গরীব কোন দেশে না। উন্নত দেশেই প্রথম ট্রায়াল হয়েছে। এটাও তো আপনার জানতে হবে, কোন অবস্থায় কি ট্রায়াল লাগবে আর লাগবে না।
আপনি সব সময়ই প্রশ্ন করতে পারেন কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া করবেন?
কাজেই ভাইরে, যা ইচ্ছা লিখেন বলেন। সমস্যা নাই। পড়াশোনা করে বলেন।
মানুষকে ভুল রাস্তায় নিয়ে যাইয়েন না। এইটা একটা গুনাহ।
ফেসবুকে স্বাস্থ্য নিয়ে প্রতিনিয়ত ভুল্ভাল লেখা দেখে এই লিখা।“

মোদ্দাকথা, গত তিন বছরের এই পেজ-ভিত্তিক যাত্রায় আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো মাধ্যম বিনোদনের জন্য কার্যকর হলেও, গঠনমূলক স্বাস্থ্যসংলাপ চালিয়ে যাওয়া এখানে সহজ নয়।তবে আমরা এই পেজটি আপাতত বন্ধ করছি না; সময়ে সময়ে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যতথ্য দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আপনাদের আন্তরিক সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।

সবার জন্য শুভকামনা। 🌿

16/10/2025

#টাইফয়েড #ভ্যাকসিন #স্বাস্থ্যবার্তা #স্বাস্থ্যতথ্য
একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে রোগ প্রতিরোধের দিকেই আমার সকল আগ্রহ এবং প্রচেষ্টা। ভ্যাকসিন বা টিকা আমাদেরকে মারাত্মক সব সংক্রমক রোগ থেকে রক্ষা করেছে। বসন্ত ও পোলিওর মত রোগ উধাও করা গেছে। সুতরাং, ভ্যাকসিন নিয়ে নেতিবাচক কিছু বলার আগে, কিছু লেখার আগে আমাদেরকে অন্তত তিনবার চিন্তা করা দরকার। সম্প্রতি টাইফয়েডের ভ্যাকসিন না নেওয়ার আহবান জানিয়ে একটি অপতথ্য নিয়ে সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন ডা: মারুফুর রহমান। সময় থাকলে কপি করা লেখাটি পড়তে পারেন। তবে আমি নীতিনির্ধারকদের একটাই অনুরোধ করবো, আইসিডিডিআর,বি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যগুলো ঐশি বাণী হিসেবে নেওয়ার কিছু নেই। সেখানেও সাদা/কালো চামড়ার নরপিচাশ আছে, যারা ব্যবসায়িক স্বার্থে অহরহ ডাটা ম্যানিপুলেশন করে। সুতরাং, জনস্বাস্থ্য নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসার আগে স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া জরুরী। ধন্যবাদ। ~ ডা. কবীর উদ্দিন আহমদ।

ফেসবুকে টাইফয়েড ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি লেখা ভাইরাল হয়েছে। লেখাটি যিনি লিখেছেন তিনি চিকিৎসক বা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নন এবং ডিজিজ এপিডেমিওলজি সম্পর্কে তার কোন ধারনা নেই। তার ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে পরে বলছি, প্রথমে তার লেখার দাবিগুলো ডিবাংক করি।

লেখক দাবী করেছেন আইসিডিডিআরবি নাকি গবেষণায় পেয়েছে দেশে টাইফয়েড আক্রান্তের হার ১% এবং সেখান থেকে বলতে চেয়েছেন ১০০ জনে ৯৯ জনেরই প্রাকৃতিকভাবে টাইফয়েড হয়না। প্রথমত, আইসিডিডিআরবি এ ধরনের কোন গবেষণা করেনি। এটা আমার কথা না, জানিয়েছেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের এসিস্টেন্ট সায়েন্টিস্ট ডা: গাজী সালাহউদ্দীন মামুন। বরং তাদের ACORN-HAI গবেষণায় তারা দেখেছেন ২ বছরে (২০২৩-২৪) হাসপাতালে ডায়রিয়া ও অন্যান্য ইনফেকশন নিয়ে ভর্তি হওয়া ৮২৯ জন রোগীর মাঝে ২৪৯ জনের (৩০% এর বেশি) রক্তে টাইফয়েড জীবানু বিদ্যমান।

এ সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় গবেষণাটি হয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তান এই তিন দেশ মিলিয়ে "এশিয়া প্রজেক্ট"-এ। ২০১৬-২০১৯ সাল পর্যন্ত ঢাকার ২টি হাসপাতালের আউটডোরে যারা ৩ বা তার চেয়ে বেশি দিনের জ্বর নিয়ে এসেছে, ইনডোরে যারা সম্ভাব্য টাইফয়েড জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন এবং কোন রকম আঘাত ছাড়া ক্ষুদ্রান্তের ছিদ্র নিয়ে ভর্তি হয়েছেন এবং এমন ১৭,৪৪১ জনের মাঝে ৪৮৭৩ জনের (২৮%) রক্তে নিশ্চিতভাবে টাইফয়েডের জীবানু পাওয়া গেছে।

নেপালে ২২% এবং পাকিস্তানে ২৫% লোকের ক্ষেত্রে টাইফয়েডের জীবাণু পাওয়া গেছে। এই গবেষণায় আরও বলেছে বাংলাদেশে সমগ্র জনগোষ্ঠীতে নতুনভাবে টাইফয়েড (ইনসিডেন্স) রোগে আক্রান্তের হার প্রতি লাখে ৯১৩ জন (~১%)। ভাইরাল লেখাটির লেখক মূলত এই হিসাবটিই দিয়েছেন। এবং এখান থেকেই দাবী করেছেন ৯৯% লোক টাইফয়েড আক্রান্ত হয়না প্রাকৃতিকভাবে। গবেষণাটি আইসিডিডিআরবির নয়।

১% ব্যাপারটি খুবই কম মনে হতে পারে আপাত দৃষ্টিতে। তাই চলুন অন্যান্য রোগের সাথে তুলনা করি। বাংলাদেশে ১৯৯০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিভিন্ন রোগের হার ভিত্তিক সবচেয়ে বড় গবেষণা যেটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিখ্যাত জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে তার একজন ক্ষুদ্র সহলেখক ছিলাম আমি। আমাদের সেই গবেষণায় দেখা গেছে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে সকল ধরনের ক্যান্সার এর হার প্রতি লাখে "মাত্র" ৫৩০ জন (০.৫৫%), সকল ধরনের হৃদরোগের হার প্রতি লাখে "মাত্র" ৪৩৫৫ জন (৪.৫%), স্ট্রোকের হার প্রতি লাখে "মাত্র" ৮৩৪ জন (০.৮৭%)।

এই হিসাব থেকে কি বলা যায় যে প্রাকৃতিকভাবে দেশের ৯৯.৪৫% লোকের ক্যান্সার হবে না, ৯৫.৫% লোকের হৃদরোগ হবে না কিংবা ৯৯.১৩% লোকের স্ট্রোক হবে না? না, এটা বলা যায় না কারন মানুষের বয়স, ঝুকি, লিঙ্গ, অভ্যাস, ইত্যাদি নানা কিছুর ভিত্তিতে ঝুকির মাত্রা পরিবর্তি হয়। সহজ একটি উদাহরন দেই, ল্যানসেটে প্রকাশিত আমাদের গবেষণাটিতে আমরা পেয়েছি বাংলাদেশে ২০১৯ সালে সব ধরনের কারন জনিত মৃত্যুর হার ছিলো প্রতি লাখে ৭১৪ জন (০.৭১%)। তাহলে কি বলা যায় বাংলাদেশে ৯৯.২৯% লোকের কখনো মৃত্যু হবে না?!

অদ্ভূত শোনাচ্ছে না? ঠিক তাই, রাজিব সাহেবের হিসাবও একই রকম বাস্তবতা বিবর্জিত। বাস্তবে বর্তমান সময়ে প্রতি ৪ জনে ১ জন (২৫%) ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুকিতে আছেন। ২০১৯ সালে সকল মৃত্যুর কারনে মাঝে স্ট্রোক ছিলো ১ নাম্বার, ২য় কারন হৃদরোগ, ৩য় প্রধান কারন শ্বাসতন্ত্রের ক্রনিক রোগ।

ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণাটিতে আমরা দেখেছি বাংলাদেশে প্রতি লাখে ৫ জন টাইফয়েডে মৃত্যুবরণ করে যা মোট জনসং্খ্যার হিসেবে বছরে প্রায় ৮০০০ জন। এদের মাঝে ৬৮% শিশু, অর্থাৎ ৬৮০০ জন শিশু। টাইফয়েড টিকার কার্যকারিতা ৮৫%, তাহলে এই ৬৮০০ জনের অন্তত ৪৬২৪ জন শিশু টিকার কারনে বেচে যাবে। এছাড়াও আরও হাজার হাজার শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাচবে।

টাইফয়েড রোগের কেস ফ্যাটালিটি রেট অর্থাৎ এই রোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা ২.৫% অর্থাৎ প্রতি ১০০ জনে আড়াই জন মারা যেতে পারে। কোভিডের শুরুর দিকে এই হার ছিলো ২-৫% আর তাতেই সারা বিশ্ব বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। ভাগ্য ভালো যে টাইফয়েড হাচি কাশি বা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না। মৃত্যু ছাড়াও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকের ক্ষুদ্রান্ত্র ছিদ্র হয়ে যাওয়া, রক্তপাত, লিভার ফেইলউর, সেপসিস এমনকি পার্মানেন্ট ব্রেইন ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।

নিকটাত্মীয়দের মাঝে আমার বড় মামার টাইফয়েড জনিত কারনে পার্মানেন্ট ব্রেইন ড্যামেজ হয়ে গিয়েছিলো। খুজলে এমন আরও অনেককেই পাবেন। আধুনিক যুগে শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক এর কারনে টাইফয়েড এর চিকিৎসা সহজ হয়েছে কিন্তু ঘন ঘন অপিরিমিত মাত্রায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারনে জীবাণুরা এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে পড়ছে। দেখা গেছে আগে ছোট খাট এন্টিবায়োটিক খেলে সেরে যেত কিন্তু এখন উচ্চমাত্রা দামী রিসার্ভ এন্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। ফলে চিকিৎসার খরচ ও বাড়ছে।

লেখক দাবী করেছেন টাইফয়েডের ভ্যাকসিন ইউরোপ আমেরিকায় দেয়া হয়না। ঠিক, কেননা সে দেশে টাইফয়েড এর জীবানু নেই। টাইফয়েড এর জীবাণু দক্ষিন এশিয়ায় বেশি তাই এখানে টিকা দেয়া হয়। এটাই গণ টিকার নিয়ম, যে দেশে যে রোগ বেশি সে দেশে সেই টিকা। একই কারনে ইউরোপ আমেরিকায় যক্ষার টিকা দেয়া হয়না।

আমি ইংল্যান্ডে ৪ বছর থেকেছি, বর্তমানে কানাডায় আছি। এসব যায়গায় গণটিকা দেয়া হয় মিজেলস, মামপ্স, হেপাটাইটিস, রুবেলা, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস সহ নানা রোগের বিরুদ্ধে। এছাড়াও প্রতি সিজনে ইনফ্লুয়েঞ্জা এর টিকাও দেয়া হয় বিনামূল্যে, বয়স্কদের দেয়া হয় হার্পিস জুস্টারের টিকা। আমাদের দেশে এগুলোর প্রচলন নেই। অনেকে নিজ পয়সায় কিনে নেন। টাইফয়েড অনেক মানুষ বিশেষ করে শিশুদের আক্রান্ত করে বলেই সরকার পয়সা খরচ করে বিনামূল্যে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।

লেখক রাজিব সাহেব বলছে এতে ওষুধ কোম্পানির লাভ। টাইফয়েড এই টিকার দাম ২-৩ হাজার টাকা বড়জোর, অন্যদিকে টাইফয়েড আক্রান্ত হলে ৭-১৪ দিনের এন্টিবায়োটিক, জ্বর ও অন্যান্য লক্ষণ নিরাময় মিলিয়ে ওষুধের মোট খরচ এর চেয়ে অনেক বেশি। হাসপাতালে ভর্তি হলে সেটার আলাদা খরচ এবং রোগ জটিল হলে সামগ্রিক খরচ বেড়ে লক্ষাধিক টাকা হয়ে যেতে পারে। সুতরাং ভ্যাকসিন দিয়ে সবাইকে সুরক্ষিত করাটা ওষুধ কোম্পানির জন্য বেশি লাভজনক নাকি এন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধ বিক্রি করা বেশি লাভ জনক?

টাইফয়েডের যে ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে সেটি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। এটি কোন পরীক্ষালব্ধ ভ্যাকসিন নয়। এর কার্যকারিতা প্রমানিত। এটি নেপাল ও পাকিস্তানেও দেয়া হয়েছে, ভারতের অনেকগুলো রাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, ইরাক, ঘানা, লাইবেরিয়া, জিম্বাবুয়ে সহ বহু দেশে এই ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। কানাডায় টাইফয়েড জীবাণু নেই তবে কানাডিয়ানরা এই সব দেশের কোনটিতে যেতে চাইলে ভ্রমণ সতর্কতা হিসেবে টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিতে বলে।

এবার আসি লেখক রাজিব আহামেদ এর কথায়। এই ব্যক্তি চিকিৎসক বা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নন। তিনি একজন সেলস ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট অর্থাৎ ব্যবসায়িক পণ্য বিপনন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ। সেলস নিয়ে তিনি কর্পোরেট ট্রেনিং দেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিএ ও জার্নালিজম ডিপ্লোমা। তিনি নিজেকে স্বাস্থ্য গবেষক বলে পরিচয় দেন কিন্তু তার কোন প্রকাশিত গবেষণা পত্র নেই। তবে তিনি বাংলায় স্বাস্থ্য বিষয়ক ও মার্কেটিং বিষয়ক নানা বই লিখেছেন। তিনি স্বাস্থ্য বিষয়ক বই লেখা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্পোরেট কর্মশালার আয়োজন করেন যার ফি ২০০০ টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত! অর্থাৎ তার একটি সেশনের মূল্য টিকার দামের চেয়ে বেশি।

অবধারিতভাবেই তিনি তার স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা প্রপাগান্ডা বিশ্বাসযোগ্য করতে ধর্মের আশ্রয় নেন। অথচ টাইফয়েড টিকা গ্রহণের ব্যাপারে উৎসাহিত করে বক্তব্য দিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ও ইসলামি পন্ডিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বনামধন্য জনাব আ ফ ম খালিদ হোসেন (লিংক কমেন্টে)। ধর্মীয় রেফারেন্সের ক্ষেত্রে খালিদ হোসেনে ভরসা রাখবেন নাকি মার্কেটিং গুরু রাজীব আহামেদে?

এবার আমার পরিচয় দেই। আমি একজন চিকিৎসক, এমবিবিএস এর পর জনস্বাস্থ্য বিষয়ক MPH (রোগতত্ত্ব) সম্পন্ন করে, মলিকুলার মেডিসিন বিষয়ে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে MSc শেষ করে বর্তমানে ক্যান্সার বিষয়ে পিএইচডি ক্যান্ডিডেট একই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখন আমি আমার এই শিক্ষাগত পরিচয়ের বিপরীতে রাজিব আহমেদের এমবিএর পরিচয় দিয়ে যদি বলি আমার কথা বিশ্বাস করেন সেটা হবে "আপিল টু অথরিটি" ফ্যালাসি।

তবে আমি যেহেতু বাংলাদেশে থাকি না, বাংলাদেশে রোগীদের চিকিৎসায় যুক্ত নই, কোন ওষুধ কোম্পানির সাথে জড়িত নই, স্বাস্থ্য বিষয়ক কোন বই লিখি না বা ২৫ হাজার টাকার ওয়ার্কশপ করাই না তাই এই লেখার পেছনে আমার কোন কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট বা স্বার্থ জড়িত নেই। রাজিব আহমেদ এর ক্ষেত্রে আছে। তবুও আমার কথা বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই। আপনি চাইলে নিজেই খুজে দেখতে পারেন, আমি কমেন্টবক্সে আমার দেয়া তথ্যের রেফারেন্স যোগ করেছি। গবেষণা প্রবন্ধ পড়ার অভ্যাস না থাকলে আপনি চ্যাট জিপিটিকেও জিজ্ঞেস করতে পারেন।

মোদ্দাকথা হচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক দেখে কোন ইনফ্লুয়েন্সার এর কথায় বিভ্রান্ত হবেন না বিশেষ করে স্বাস্থ্য তথ্যের ব্যাপারে। তথ্য দেখলে তা যাচাই করুন নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে যেমন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, সিডিসি, এফডিএ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সেবা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বৈজ্ঞানিক জার্নাল। শিক্ষিত হোন, সচেতন হোন যেন কেউ আপনাকে নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে।

ডা. মো: মারুফুর রহমান
চিকিৎসক ও গবেষক
দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ শেফিল্ড, যুক্তরাজ্য

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Nakir Sk, Maung Muhammad Johar, Md Riad, Safirah Safi, Rc...
15/10/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Nakir Sk, Maung Muhammad Johar, Md Riad, Safirah Safi, Rcr Raju Bai, Dilwar Hussan, Imrul Kayes, Nusrat Jahan Lily, Trần Kiệt, Farjana Easmin

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Hero Baparie, Al Amin, Rokan Cox's, Md Jahangir, Abul Kah...
01/10/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Hero Baparie, Al Amin, Rokan Cox's, Md Jahangir, Abul Kaher, Md Soreful Islam, زبير جابر, Asma Ahmed, Sajjadul Islam Shuv, Azizur Rahman Shakib, Bipul Khan, MD Alamgir, Rana HM, Chcp Rehana, ছোট জীবন আল্লাহর নেয়ামত, M A Amin, Tanisa Tabassum

Big thanks to Umor Faruk, Raju Das, Abdul Alim, অমিত দে, MD Mahibur Rahman, Mohammed Abulhossein, Tauhida Daliya, Alomgi...
01/10/2025

Big thanks to Umor Faruk, Raju Das, Abdul Alim, অমিত দে, MD Mahibur Rahman, Mohammed Abulhossein, Tauhida Daliya, Alomgiri Hussain, Ziaul Islam Milton, Shanto Dey, Chotan Chowdury, নকিবুল ইসলাম

for all your support! Congrats for being top fans on a streak 🔥!

আজ বিশ্ব হার্ট দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিবাদ্য ডোন্ট মিস এ বিট। যার অর্থ লক্ষণ উপেক্ষা না করা, সময়মতো চিকিৎসা নেয়া এবং...
29/09/2025

আজ বিশ্ব হার্ট দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিবাদ্য ডোন্ট মিস এ বিট। যার অর্থ লক্ষণ উপেক্ষা না করা, সময়মতো চিকিৎসা নেয়া এবং প্রতিরোধমূলক জীবনযাত্রা মেনে চলা।

বর্তমানে মানুষের মৃত্যুর যত কারণ আছে, তার মধ্যে অন্যতম হৃদরোগ। বিশ্বে প্রতি বছর ১৭ মিলিয়নের বেশি মানুষ হৃদরোগে মারা যান। দেশেও এ সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। এক সময় হৃদরোগ শুধু বয়স্কদের ধারণা করা হলেও, সমস্যার বাইরে নেই শিশুরাও। প্রতিবছর দেশে ৭৩ হাজার শিশু হৃদযন্ত্রের ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। যা মোট শিশু জন্মের আড়াই শতাংশ। আরও আশঙ্কার বিষয়, অধিকাংশ অভিভাবকই জানেন না তাদের শিশুরা সমস্যায় আক্রান্ত।

তাই এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায়ের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা ও হৃদরোগ প্রতিরোধ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিও হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

**নিয়মিত এই ধরনের স্বাস্থ্যবার্তা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করুন। লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে অন্যদেরও জানার সুযোগ করে দিন। ব্যক্তিগত চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য চেম্বারে আসতে পারেন। সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ! 🙏😊

#স্বাস্থ্যবার্তা
#হৃদরোগ

আমরা আশাবাদী, বিএমডিসির এই আদেশের প্রেক্ষিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসমুহ আইএনজিও বিশেষত আইওএম, ইউনিসেফ এবং ইউএনএইচস...
28/09/2025

আমরা আশাবাদী, বিএমডিসির এই আদেশের প্রেক্ষিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাসমুহ আইএনজিও বিশেষত আইওএম, ইউনিসেফ এবং ইউএনএইচসিআরের অর্থায়নে পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নজরদারি বৃদ্ধি করবেন। সেইসাথে তাদের বৈষম্যমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে যোগ্য প্রার্থীর নিয়োগ নিশ্চিত করবেন। কেবল তখনই রোহিঙ্গা রেসপন্স সহ হোস্ট কমিউনিটির স্বাস্থ্যসেবায় শৃঙ্খলা ফেরবে।

ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ড্যাব, কক্সবাজার জেলার ডাক্তারবৃন্দ BMDC র এই স্মারক কে আশানুরূপ প্রাপ্তি হিসেবে গ্রহণ করেছে।

কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত সকল সরকারি বেসরকারি ও NGO(National and International) চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমূহ BMDC'র এই স্মারককে সম্মান প্রদর্শন করবেন বলে কক্সবাজার জেলা ড্যাব এর নেতৃবৃন্দ আশাবাদী!

সাধারণ মানুষের (কক্সবাজারের স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর)চিকিৎসা ব্যবস্থায় নিয়ম শৃঙ্খলা ফেরাতে এই উদ্যোগ একটি অনন্য মাইলফলক। অত্র অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িত সকলেই Bangladesh Medical and Dental Council প্রদত্ত এই স্মারক মান্য করে কক্সবাজার জেলার সাধারণ মানুষের অপচিকিৎসা রোধে সদয় ভূমিকা পালন করবেন বলে DAB - Cox's Bazar আশাবাদী।

সাধারণ মানুষের যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণে ড্যাব-কক্সবাজার এর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ও একই সাথে নিয়ম ও শৃঙ্খলবদ্ধ ভাবে ডাক্তারদের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার রক্ষার্থে ড্যাব বরাবরের মতোই চালকের ভূমিকায় থাকবে।

BMDC এর আইন বহির্ভূত পন্থানুসরন ও অপচিকিৎসা সম্পর্কিত এবং চিকিৎসক এর অধিকার ও মর্যাদা পরিপন্থী যেকোনো বিষয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হলো।

আমাদের পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা পূজার শারদীয় শুভেচ্ছা। শারদ শশীর আলোয় উদ্ভাসিত হোক সবার জীবন। 🙏
28/09/2025

আমাদের পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা পূজার শারদীয় শুভেচ্ছা। শারদ শশীর আলোয় উদ্ভাসিত হোক সবার জীবন। 🙏

28/09/2025

জলাতঙ্ক রোগের জন্য র‌্যাবিস ভাইরাস বহনকারী প্রাণী যেমন কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বাদুর প্রভৃতি দায়ী। তবে আমাদের দেশে ৯৫ থেকে ...
28/09/2025

জলাতঙ্ক রোগের জন্য র‌্যাবিস ভাইরাস বহনকারী প্রাণী যেমন কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, বাদুর প্রভৃতি দায়ী। তবে আমাদের দেশে ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ জলাতঙ্ক রোগ কুকুরের কামড় বা আঁচড়ের কারণে। সাধারণত জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ ৯ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশ পায়। এছাড়া জীবনের যে কোনো সময়ে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। তাই কেউ যদি মনে করেন ৩ মাস বা ৯০ দিন হয়ে গেছে, আর জলাতঙ্ক হবে না, এটি ভাবার কোনো কারণ নেই।

জলাতঙ্ক রোগীরা পানি দেখলে ভয় পান। আলো কিংবা বাতাসের সংস্পর্শে এলে এ ভীতি আরও বেড়ে যায়। আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা নিঃসৃত হয়। অস্বাভাবিক আচরণ করে এবং মানুষ দেখলে কামড়ানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে মারা যায়। এটি এমন এক রোগ যার মৃত্যু অবধারিত।

জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নাই। বিশেষ করে কুকুর বা বিড়াল ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী থেকে দূরে থাকতে হবে। যারা ঘরে কুকুর–বিড়াল লালন পালন করে এইসব ক্ষেত্রে পশুকে নিয়মিত টিকা দিতে হবে। অন্যদিকে কেউ যদি প্রাণী দ্বারা কামড় বা আঁচড়ে আক্রান্ত হন, তবে দ্রুত আক্রান্ত স্থানে ১৫ মিনিট ধরে সাবান পানি দিতে ধুতে হবে। এতে জলাতঙ্কের ভাইরাস অনেকাইংশেই মরে যায়। পরবর্তীতে আক্রান্তের ধরন অনুযায়ী ক্যাটাগরি করে চিকিৎসা শুরু করবেন।

👉 মানুষের জন্য জলাতঙ্ক টিকা (Rabies Vaccine) প্রটোকল সাধারণত দু’ভাবে দেওয়া হয়:

১। পোস্ট-এক্সপোজার প্রোফিল্যাক্সিস (PEP)
(কুকুর/বিড়াল কামড়ানো বা আঁচড়ের পর)

ক) Wound washing: ক্ষত ভালোভাবে ১৫ মিনিট সাবান ও পানি দিয়ে ধুতে হবে, প্রয়োজনে অ্যালকোহল/পোভিডন আয়োডিন।
খ) Rabies Immunoglobulin (RIG): Category III exposure হলে ক্ষতের চারপাশে যতটা সম্ভব ইনফিলট্রেট করতে হয় (শরীরের বাকি অংশে IM দেওয়া যায়)।
গ) Rabies Vaccine (modern cell-culture vaccine- Verorab, Rabipur ইত্যাদি):
o Essen regimen (IM, deltoid): দিন 0, 3, 7, 14, 28 → মোট ৫ ডোজ
o Zagreb regimen (IM): দিন 0-তে দুই ডোজ (দুই কাঁধে একসাথে), তারপর দিন 7 ও 21 → মোট ৪ ডোজ

২। প্রি-এক্সপোজার প্রোফিল্যাক্সিস (PrEP)
(যাদের ঝুঁকি বেশি— ভেটেরিনারিয়ান, ল্যাব কর্মী ইত্যাদি)
o Rabies Vaccine: দিন 0, 7, 21 (বা 28) → মোট ৩ ডোজ
o প্রতি 3–5 বছরে booster দেওয়া যেতে পারে, এক্সপোজারের মাত্রার উপর নির্ভর করে।

আজ বিশ্ব জলাতঙ্ক বা র‌্যাবিস দিবস। এই প্রাণঘাতী রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১২টি দেশে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এই দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে– জলাতঙ্ক নির্মূলে কাজ করি সবাই মিলে।

** নিয়মিত এই ধরনের স্বাস্থ্যবার্তা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করুন। লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে অন্যদেরও জানার সুযোগ করে দিন। ব্যক্তিগত চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য চেম্বারে আসতে পারেন। সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ! 🙏😊

ডাঃ কবীর উদ্দিন আহমদ
এমবিবিএস, এমপিএইচ (কমিউনিটি মেডিসিন)
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জেনারেল প্র্যাকটিশনার
সেন্ট্রাল হসপিটাল কক্সবাজার
সিরিয়ালের জন্যঃ ০১৯১১-৫২৩৩৩৩

#স্বাস্থ্যবার্তা
#জলাতঙ্ক


Address

Central Hospital Cox's Bazar
Cox's Bazar
4700

Telephone

+8801911523333

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Kabir's Health Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Kabir's Health Care:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category