Dr Shafayat Hossen Limon

Dr Shafayat Hossen Limon Health adviser

27/01/2025

আমরা সব সময় শুনে এসেছি Cancer Has No answer অর্থাৎ ক্যান্সার হলে কোনো রক্ষা নেই। আসলেই কি তাই? আল্লাহ্ তা'আলা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি যার কোনো ওষুধ নেই। হয়তো মানুষ আবিষ্কার করতে পারেনি। কিন্তু এর প্রতিকার থাকবে।

বর্তমানে ক্যান্সারের নিত্য নতুন অনেক প্রতিকার ব্যবস্থা এসেছে। কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, সার্জারি, ইমিউনোথেরাপি ইত্যাদি। আল্লাহর ইচ্ছায় সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিয়ে রোগীদের লাইফ এক্সপেক্টেন্সি ও বাড়ছে। প্রচলিত ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থা যেভাবে চলছে তা চলমান রাখা উচিত। তবে এর সাথে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন।

আমাদের দেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় সবচেয়ে যে জিনিসটা ইগনোর করা হয় সেটা হলো খাবার। রোগী খাবে কী সেটা নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয় না। বেশিরভাগ সময় দুধ, স্যুপ, জ্যুস এসব খাবার খাওয়ানো হয় যার বেশিরভাগই হচ্ছে হাই সুগারি খাবার। অথচ ক্যান্সার কোষ বাঁচে সুগার খেয়ে! জ্বী, ক্যান্সার কোষের প্রাথমিক খাবার হলো সুগার তথা গ্লুকোজ। এই খাবারের সোর্স যদি বন্ধ করা যায় কবে ক্যান্সার কোষগুলো পুষ্টিহীনতায় ভুগবে, ভঙ্গুর হয়ে পড়বে এবং এক সময় শরীর নিজেই অটোফেজি করে একে খেয়ে ফেলে।

বিভিন্ন ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে লো কার্ব, লো প্রোটিন ডায়েট এবং রেগুলার লম্বা ফাস্টিং করা ক্যান্সার চিকিৎসায় বেশ ভালো কাজ দেয়। অনেক ক্যান্সার রোগী প্রচলিত চিকিৎসা চালানোর পাশাপাশি ডায়েটে পরিবর্তন করে পুরোপুরিভাবে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়ে গেছেন! অনেক রোগী এমন আছেন যারা কেবল ফাস্টিং ও লো কার্ব ডায়েট করেছেন, কোনো অপারেশন বা কেমো বা রেডিও নেননি। অথচ এর মাধ্যমেই আল্লাহর ইচ্ছায় তারা ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

ফাস্টিং ও লো কার্ব ডায়েট শরীরে ক্যান্সার ধ্বংস কারী NK Cell ও Cytotoxic T cell এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি ক্যান্সার কোষের মেইন নিউট্রশনের সোর্স গ্লুকোজ অফ হয়ে যাওয়ায় তারা পুষ্টির অভাবে ভুগে। ফলে ধীরে ধীরে ক্যান্সার কোষগুলো নষ্ট হতে থাকে। তাই ক্যান্সার চিকিৎসায় ফাস্টিং ও লো কার্ব ডায়েটের কোনো বিকল্প নেই।

আমরা রেগুলার গাইডলাইনের মাধ্যমে প্রচলিত চিকিৎসা চালানোর পাশাপাশি ক্যান্সার রোগীদের এই ফাস্টিং ও লো কার্বের ডায়েট করাতে চাই। বাইরের দেশে ক্যান্সার রোগীদের জন্য আলাদা ডায়েটের পরামর্শ থাকে কিন্তু আমাদের দেশে এটা হয় না। অথচ এটা রোগীদের চিকিৎসায় খুব জরুরী।

আমরা ক্যান্সার পেশেন্ট নিয়ে কাজ করছি আলহামদুলিল্লাহ্‌। সামনে আরো অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। তাই আপনাদের যদি কোনো পরিচিত ক্যান্সার রোগী থাকে তাদের ডায়েট, ফাস্টিং ও অটোফেজির জন্য আমাদের সাথে কনসাল্ট করার পরামর্শ দিতে পারেন। বিস্তারিত জানতে ইনবক্সে নক করুন।

আসুন ফাস্টিং ও লো কার্বের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস করি। ডায়েট পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্যান্সারের সঠিক আন্সার দেয়ার চেষ্টা করি।

08/01/2025

বাংলাদেশে একটা বড় মার্কেট হল যৌনসমস্যা! বলতে সংকোচ হয় তারপরও বলা দরকার, যে পরিমাণ হালুয়া, ভেষজ ওষুধ ইত্যাদির মার্কেটিং চলছে তার কোনো শেষ নেই। দেশের ৯০% মানুষই সম্ভবত কোনো না কোনোভাবে নিজেকে আনফিট মনে করে। অথচ ব্যাপারগুলো মোটেই জটিল কোনো বিষয় নয়। হ্যাঁ, একটা ব্যাপার ঠিক যে এটা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো দরকার, মানুষকে যৌনশিক্ষা দেয়া প্রয়োজন। তবে এর মানে এই না লাখ লাখ টাকার হালুয়া আর উদ্ভট সব কবিরাজি ওষুধ খেয়ে নিজের বারোটা বাজাতে হবে।

একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, কিছু ব্যাপার নিজ থেকেই আসে। এটা হচ্ছে ফিতরাত। কেউ যদি দুনিয়া সম্পর্কে কোনো কিছুই না জানে তারপরও তার যৌন আকর্ষণ হবে এবং যৌন সম্পর্ক কিভাবে করতে হয় তা সে বুঝে যাবে। এটাকে খুব বেশি গ্লোরিফাই করার কিছু নেই। কিছু মানুষের সমস্যা থাকেই, সেটা হয়তো সংখ্যার বিবেচনায় সর্বোচ্চ ৫-১০%। কিন্তু এটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে যেভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে তার আসলে কোনো ভিত্তি নেই এবং যাদের সমস্যা আছে তাদের বেশিরভাগেরই খুব একটা ওষুধের প্রয়োজন নেই। কিছু লাইফস্টাইল চেইঞ্জ, কিছু টেকনিক অবলম্বন করলে এগুলো সহজেই সমাধান করা যায়।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে কিছু ডাক্তারের বিরুদ্ধেও এরকম অভিযোগ পাওয়া যায় যে চেম্বারে গেলে হিউজ পরিমাণ পরীক্ষা নীরিক্ষা এবং প্রচুর ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হয়। এগুলোর পজিটিভ ইফেক্ট ও প্রচার করা হচ্ছে। অথচ এখানে বেশিরভাগেরই প্রয়োজন নেই।

আল্লাহ্ তা'আলা মানুষকে ইবাদাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। স্বামী স্ত্রীর হালাল সম্পর্ক ও ইবাদাত। যৌনতা এর একটি পার্ট কিন্তু এটাই একমাত্র নয়। ঘন্টার পর ঘন্টা কিভাবে মিলন করা যায় সে গবেষণা ছাড়াও পুরুষদের দেশ ও কওমের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে। আর নারীদের সহজাত প্রবৃত্তি ও দীর্ঘমিলন করা নয়। বরং তারা তাদের অংশটুকু স্যাটিসফাই করতে পারলেই খুশি এবং বেশিরভাগ মহিলাদের নিকট মিলনটা প্রাইমারি না। জাস্ট ভালোবাসার একটা পার্ট। তারা ঘন্টাব্যাপী মিলনের চেয়েও ঘন্টা খানেক আলাপ করার সময় চায়। আপনি তাকে ১০ মিনিটে সন্তুষ্ট করে বাকি ৫০ মিনিট তার সাথে গল্প করলে সে আরো অধিক খুশি হবে। তাই নিজেকে সুপারম্যান তৈরির পরিকল্পনা বাদ দিন। বেসিকে আসুন। যদি স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হোন তবে এক্সপার্টদের হেল্প নিন। কিন্তু এটাকেই একমাত্র উদ্দেশ্য বানাবেন না। স্ত্রীর হক আদায় করার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই।

অতিরিক্ত খাবার পরিহার করুন, চিনি ও ফাস্টফুড বাদ দিন, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সময়মত ঘুমান ও স্ট্রেস ফ্রি জীবন কাটান। আপনার অধিকাংশ যৌন সমস্যা এতেই কেটে যাবে।

21/12/2024

Non-exercise Activity thermogenesis সংক্ষেপে NEAT হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে করা রেগুলার কিছু এক্টিভিটি যেমনঃ গৃহস্থালি কাজ করা (ঘর ঝাড়ু দেয়া, ঘর মোছা, ঘর গোছানো), হেঁটে অফিসে যাওয়া, সিড়ি দিয়ে উঠা-নামা করা, কাপড় ধোয়া ইত্যাদি সাধারণ কাজগুলো। যত বেশি NEAT করা হবে তত তা শরীরের উপর পজিটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে। আমাদের অনেকেরই দৈনন্দিন ব্যায়াম করার সময় বা সুযোগ হয়ে উঠে না। আমরা অন্তত এই NEAT এর কাজ বাড়াতে পারি। এতে তা আমাদের মেটাবোলিজম বাড়াতে সাহায্য করবে এবং মেটাবোলিক সিন্ড্রোমগুলো (ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি) ডেভেলপ করার পথটা স্লো করে দিবে।

তাই দৈনন্দিন জীবনে হাঁটা, সিঁড়ি ব্যবহার করা, চেয়ারে বসে না থেকে উঠে একটু হাঁটাহাটি করা, ভারী জিনিস বহন করা এই টাইপের কাজ বেশি করার চেষ্টা করা উচিত। মূলনীতিটা হলো Move your body as much as possible. এগুলো করে খুব হাইলি সেটিসফাইড হওয়ার দরকার নেই। এটা হচ্ছে বেয়ার মিনিমাম বা এক্সট্রা এক্টিভিটি। যত পারেন এগুলো বাড়ানোর চেষ্টা করুন, সুস্থ থাকুন।

20/12/2024

আমরা যারা প্রচুর পরিমাণে ভাত খেয়ে অভ্যস্ত তারা জানিই না কত বড় বিপদ আমরা ডেকে আনছি। ভাত, শর্করা জাতীয় খাবার। খাওয়ার পর এটা ভেঙ্গে গ্লুকোজে পরিণত হয়। এই গ্লুকোজ আমরা শক্তি হিসেবে ব্যবহার করি অথবা তা গ্লাইকোজেন আকারে লিভারে জমা থাকে। যখন লিভার পরিপূর্ণ হয়ে যায় তখন এই অতিরিক্ত গ্লুকোজগুলো চর্বিতে পরিণত হয়। চর্বির অনেকগুলো প্রকার রয়েছে। কার্বোহাইড্রেট তথা শর্করা মূলত ট্রাইগ্লিসারাইডে পরিণত হয় যা কিনা হার্টের জন্য খুব ক্ষতিকর।

আমরা আমাদের আশেপাশে তাকালে দেখতে পাব অনেক গরীব মানুষ, দিনে এনে দিনে খায় টাইপের মানুষের পেট অনেক বড়। কারণ কী? এরা তো ফাস্টফুড খাওয়ার মত টাকাই জোগাড় করতে পারে না। তাহলে পেট বাড়ছে কেন? উত্তর হলো এরা প্রচুর পরিমাণে ভাত খায়। সব অসচ্ছল ব্যক্তিই কিন্তু প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করে না। একজন মুচি ও একজন রিকশাওয়ালার কায়িক শ্রম কিন্তু একই না। ফলে এক শ্রেণীর অস্বচ্ছল মানুষ ও কিন্তু শরীরে প্রচুর চর্বি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদেরও হার্টের ঝুঁকি প্রচুর।

সুতরাং আপনি কেবল ফাস্টফুড ত্যাগ করলেই ভালো থাকবেন ব্যাপারটা তেমন না। আজকাল আমরা কায়িক শ্রম তেমন করিই না। যেটুকু করি সেগুলো হলো মানসিক শ্রম। ডেস্ক জব যারা করেন তারা সবচেয়ে রিস্কে। কারণ তারা কিছুক্ষণ পর পরই এটা ওটা খান এবং তিন বেলাতে প্রচুর পরিমাণ শর্করা খান। এতে তাদের পেট হয় চওড়া ও রক্তনালীগুলো হয়ে যায় সরু। ৩০ বছরের মধ্যে অনেক মানুষ এখন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি রোগে ভুগছেন। এ ব্যাপারে সতর্কতা কাম্য।

সমাধান কী?

সমাধান হলো শর্করা কম খাওয়া। স্টার্চি কার্বস যেমন ভাত, রুটি, পরটা, আলু এগুলো একদম বাদ দেয়া। শুধুমাত্র শাক সবজি জাতীয় শর্করা খাওয়া এবং সাথে হাই কোয়ালিটি প্রোটিন ও ফ্যাট খাওয়া। পাশাপাশি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা লম্বা সময় না খেয়ে থাকা। এভাবে নিজেদের একটা শিডিউল করে নিতে পারলে আশা করা যায় মেটাবোলিক সিন্ড্রোম তথা ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, উচ্চরক্তচাপ, ফ্যাটি লিভার এগুলো রোধ করা যাবে।

এ ব্যাপারে ব্যাপক আকারে জনসচেতনতা দরকার।

02/12/2024

অনেকেই মনে করেন ওজন কমানো তথা চর্বি কমানো অনেক কঠিন একটা কাজ। কিন্তু এটি আসলে মোটেই কঠিন কোনো কাজ নয়। যদি না আপনার হরমোনাল কোনো সমস্যা থাকে বা আপনি প্রচলিত মিথগুলো অনুসরণ করে কমানোর চেষ্টা করেন। ওজন কমানো নিয়ে অনেক ধরণের কনসেপ্ট রয়েছে যার মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। আসুন কিছু নিয়ে কথা বলা যাকঃ

১. ক্যালরি ইন ভার্সেস ক্যালরি আউট। ওজন কমানো নিয়ে সবচেয়ে বড় যেটা ধারণা প্রচলিত রয়েছে তা হলো যত ক্যালরি খাবেন তার চেয়ে বেশি ক্যালরি খরচ করলেই আপনার ওজন কমবে। এখানে প্রথম সমস্যা হলো ক্যালরি হচ্ছে তাপের একক, খাবারের না। খাবার পরিমাপে ক্যালরি ব্যবহার করা হলেও তা সঠিক পরিমাপ দিতে পারে না। তারপরও ধরে নেই যে ক্যালরি দিয়েই মাপা সঠিক।

এখন প্রশ্ন হলো একই ক্যালরির সব খাবারের প্রতি বডির রেসপন্স কি একই? জ্বী না। আমাদের শরীর মেশিন না। এখানে খাবার গ্রহণের মাধ্যমে হরমোনাল পরিবর্তন হয়, রেসপন্স একেক রকম হয়। একই ক্যালরির একটা বার্গার ও কোল্ড ড্রিংসের ইফেক্ট আর গরুর মাংশ ও সালাদের ইফেক্ট বডির উপর একই হবে না। দুইটির প্রতি ইনসুলিনের রেসপন্স হবে দুই রকম। আউটকাম ও ভিন্ন হবে। এছাড়া আপনি ক্যালরি বেশি বার্ন করলেই যে আপনার শরীর চর্বি কমিয়ে ফেলবে তা কিন্তু সবসময় সত্যি নয়। হ্যাঁ, কেউ যদি খুব স্ট্রিক্টলি কম খায় তবে তার শরীর ওজন ছাড়তে বাধ্য কিন্তু এটি স্বাস্থ্যকর ওজন কমানো হবে না। চর্বির পাশাপাশি তখন মাসল ও লস হবে। যেটা কাম্য নয়।

২. ওজন কমাতে হলে চর্বি ছাড়তে হবে। চর্বি পোড়ানোর জন্য চর্বি কম খাওয়াই হলো সমাধান। উমমম, সাধারণ বিবেচনায় এটাকে সঠিক মনে হলেও এটি একটি ভুল ধারণা কারণ সেই একই ব্যাপার, শরীরটাতো মেশিন না। সব ধরণের চর্বি খারাপ না আবার চর্বি খাওয়া বাদ দিলেই চর্বি কমবে না। আপনি যদি চর্বি না খেয়ে বেশি বেশি চিনিযুক্ত খাবার ও উচ্চ শর্করা সমৃদ্ধ খাবার যেমন ভাত, আলু, রুটি ইত্যাদি খান তবে উল্টো চর্বি বাড়বে! কেন? কারণ, আমাদের শরীরে চর্বি বাড়ানোর জন্য মূলত দায়ী হলো ইনসুলিন হরমোন। যা কিনা শর্করা জাতীয় খাবার খেলে নিঃসৃত হয়। যত বেশি বেশি শর্করা খাবেন তত বেশি ইনসুলিন বের হবে এবং তত তা শর্করাকে চর্বিতে পরিণত করবে। আপনি যদি খুব কায়িক শ্রম করেন তবে হয়তো এই উচ্চ শর্করা আপনার শরীরে জমতে পারবে না যেমনঃ একজন রিকশাচালক ভাত খেয়ে প্যাডেল মেরে বেশিরভাগ গ্লুকোজ খরচ করে ফেলে। কিন্তু আমি আপনি নিশ্চয় সে লেভেলের পরিশ্রম করি না। ফলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ গুলো চর্বি আকারে জমা হয়ে যায়। তাই কম চর্বি খেলেই আপনার ওজন কমবে না।

তাহলে সমাধান কী? প্রশ্ন করতে পারেন ওজন কমানো সহজ হলো কিভাবে তবে?

জ্বী সহজই। আপনাকে ওজন কমানোর জন্য কেবল একটি জিনিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখেতে হবে আর তা হলো ইনসুলিন। আপনার শরীরে ইনসুলিন বাড়তে দেয়া যাবে না। কারণ আগেই বলেছি ইনসুলিন শরীরে চর্বি বাড়ায় এবং তার উপস্থিতিতে চর্বি বার্ন করা যায় না। কিভাবে ইনসুলিন কম রাখবো? যা খেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয় না তা খাব, আর যা খেলে নিঃসৃত হয় তা খাবো না।

কী খেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয় না? এর উত্তরটা একটু শকিং!

ফ্যাট তথা চর্বি খেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়না! জ্বী আপনি যেটা খেলে মোটা হবেন ভেবেছেন মূলত সেটা খেলেই আপনার চর্বি বাড়ে না। অর্থাৎ পিওর চর্বি খেলে আপনার চর্বি বাড়বে না যদি না তা অত্যধিক পরিমাণে হয় এবং কোন বিকৃত চর্বি হয়। যেমনঃ ট্রান্সফ্যাট তথা বার্গার, হটডগ, বিভিন্ন প্রসেসড ফুড ইত্যাদি। এগুলো খাওয়া যাবে না।

ওজন কমানোর জন্য তবে কী করবেন?

সিম্পলি অধিক শর্করাযুক্ত খাবার যেমনঃ ভাত, রুটি, আলু, চিনি ইত্যাদি বাদ দিবেন। এর বদলে ভাল চর্বি যেমনঃ ডিমের কুসুম, ঘি, গরুর মাংশ, চামড়া সহ মুরগীর মাংশ, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবেন আর মাথে প্রচুর শাক সবজি খাবেন (মাটির নিচেরগুলো বাদে)। এর সাথে নিয়মিত ব্যায়াম করবেন এবং একটা লম্বা সময় না খেয়ে থাকবেন। তাহলে সিম্পলিফাইড করলেঃ

১। দৈনিক টানা ১৬-১৮ ঘন্টা পর্যন্ত পানি বাদে কিছু খাবেন না।

২। কম শর্করা ও অধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন।

৩। নিয়মিত ব্যায়াম করবেন।

আপনি যদি এভাবে ফলো করতে পারেন তো দেখবেন আপনার চর্বি গলে গলে পড়বে।

এ ব্যাপারে পার্সোনাল সাজেশন প্রয়োজন হলে ইনবক্সে নক করে অনলাইন কন্সাল্টেশন নিতে পারেন।

ধন্যবাদ।

29/11/2024

খেয়ে খেয়ে আমরা বিপদ ডেকে আনছি। ৩০ এর মধ্যেই ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি সমস্যা এখন মহামারী। এর জন্য দায়ী কী? খাওয়া আর খাওয়া। সপ্তাহে একদিন বাইরে খেতে না গেলে ট্রেন্ডি হওয়া যায় না। বিনোদনের অপর নাম যেন খাওয়া। অথচ অতিরিক্ত ফাস্টফুড ও কায়িক শ্রমহীন ডেস্ক জব আমাদের অলস, মোটা, দূর্বল ও রোগাক্রান্ত করে দিচ্ছে। ৩ বেলা নিয়ম করে খেতে হবে, মাঝে আবার ২ বেলা নাস্তা করতে হবে এসব যেন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অথচ এই অতিভোজনে আমাদের শরীরের কোনো উপকার হচ্ছে না বরং দিন দিন ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।

তাই আসুন যদি সুস্থ থাকতে চাই তবে খাওয়ার পরিমাণ কমাই। পরিমাণ বলতে অল্প অল্প করে বারেবারে খাওয়া না বরং বারবার খাওয়াটাই কমাতে হবে। এতে আমাদের শরীর বিশ্রাম পাবে ও নিজের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো মেরামত করতে পারবে।

সুস্থতার জন্য না খেয়ে থাকার কোনো বিকল্প নেই!

28/11/2024

কী খবর সবার, সবাই কেমন আছেন?

হেলদি লাইফস্টাইল কে কে মেইনেটেইন করছেন?

ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় অনেকদিন পেইজে আসা হয় না। নিয়মিত হওয়া কি উচিত?

08/03/2024

ফাস্টিং (রোজা) এর উপকারিতাঃ

১. শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে ফেলে কিন্তু মাসল তথা পেশীর কোনো ক্ষতি করে না।

২. শরীরের ক্ষয়পূরণ করে।

৩. অটোফেজি করে। অর্থাৎ শরীর তার পুরনো, ক্ষতিগ্রস্ত কোষ যেগুলো শরীরের ক্ষতি করছিলো সেগুলোকে খেয়ে ফেলে।

৪. BDNF বাড়ে, ফলে ব্রেইনে কোষের সংখ্যা বাড়ে অর্থাৎ ব্রেইনের ফাংশন ভালো হয়।

৫. স্মৃতিশক্তি বাড়ে, কগনেটিভ ফাংশন (চিনতে পারার, মনে রাখতে পারার ক্ষমতা) বাড়ে। ফোকাসিং পাওয়ার বাড়ে।

৬. ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স আস্তে আস্তে ঠিক হয়। ফলে ডায়াবেটিস, হাইপ্রেশার, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি রোগ থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি লাভ করা যায়।

৭. ক্ষুধা কমে যায়। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার যে বার্ডেন তা কমে৷

ফাস্টিংয়ের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে৷ শরীরের জন্য বেস্ট হিলিং প্রসেস হচ্ছে ফাস্টিং তথা না খেয়ে থাকা। এতে শরীরের স্টেম সেল বাড়ে। ফলে বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু রিপেয়ার হওয়ার সুযোগ পায়৷

রমাদানে আত্মিক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি শারীরিক পরিশুদ্ধি ও আপনা আপনি হয়। আপনি যদি সঠিক খাবার খান, চিনি ও শর্করা যুক্ত খাবার ত্যাগ করেন, নিয়ম মেনে চলেন তো আপনার শরীরে এক বিরাট পরিবর্তন দেখা দিবে ইন শা আল্লাহ্। যারা দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার ইত্যাদি রোগে ভুগছেন তাদের জন্য এই রমাদান একটা বিশাল সুযোগ হতে পারে।

24/01/2024

বারডেমের এন্ডোক্রাইনোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান শ্রদ্ধাভাজন স্যার ডাঃ প্রফেসর ফিরোজ আমিন স্যারের লেখা
একজন স্পেশালিষ্ট চিকিৎসকের কাছ থেকে শুনুন।

জম্মের সময় শারীরিক সমস্যা , যেমন ছেলেদের , মেয়েদের সেক্সচুয়াল অর্গান পুরাপুরি ডেভেলাপ না হলে অনেক সময় ইনভেস্টিগেশন করে বলতে হয় , ছেলে না মেয়ে , সাধারন ভাবে এদের কেই হিজড়া বলা হয়। আধুনিক চিকিৎসার যুগে জন্মের পর পর চিকিৎসা শুরু করা যায় , এবং উপযুক্ত ভাবে সনাক্ত করে জীবনযাপন করা যায়। এদের আরেকটা গ্রুপ আছে , তাদের সমস্যা প্রকাশ পায় বয়োসন্ধিকালে , আমরা তখন শুনি ছেলে থেকে মেয়ে অথবা মেয়ে থেকে ছেলে হয়ে গিয়েছে। এদের ও চিকিৎসা করে ভালো রাখা যায়।
সচেতনতা বাড়াতে হবে যাতে এধরণের রোগীরা জন্মের পর থেকেই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে। বারডেম হাসপাতাল সেই প্রতিষ্ঠা কাল থেকেই এ চিকিৎসা দিয়ে আসছে। হরমোনের ডাক্তার হিসাবে এ ধরনের রোগীদের আমাদের চিকিৎসা করতে হয়। রোগীরা ভালো থাকে, সন্তুষ্ট থাকে, আমাদের ও ভালো লাগে। সরকারি ভাবে ও সামাজিক ভাবে এদের সাহায্য করা উচিৎ।

কিন্তু এমন কিছু মানুষ/রোগী আছে, যাদের শারিরীক কোনো সমস্যা নাই , কিন্তু মানুষিক ভাবে ছেলেরা নিজেদের মেয়ে ভাবে আর মেয়েরা নিজেদেরকে ছেলে ভাবে ( Gender dysphoria ) . They feel discomfort between gender at birth and gender identity, psychological s*x is different. এটা অনেকটা , মানসিক সমস্যা।
তারা চাইলো , অপারেশন করে নিজেদের শরীর পরিবর্তন করলো এটাতো ভুল ইচ্ছা।
বছর খানেক আগে এক রোগীর উদাহরণ দিতে হয় ,যে মেয়ে হওয়ার জন্য অপারেশন করে এখন হতাশায় নিমজ্জিত।

আর তাদের মানসিক চিকিৎসা না করে তাদের ইচ্ছাটাকে প্রাধাণ্য দেয়া হয় , সেটাই বিরাট চিন্তার কারন। বর্তমান সিনেমা, মিডিয়া এদের যেভাবে প্রমোট করে একারনে এখন এ রকম অনেক অসুস্থ মানসিকতার ছেলে মেয়ে দেখা যায়।
আমি চাই না আমাদের পরিবারে , পরিচিত , অপরিতজনের কোনো বাচ্চারা এসে দাবি করবে ,আমি ছেলে কিন্তু মেয়ে হতে চাই অথবা মেয়ে কিন্তু ছেলে হতে চাই।
সাবধান। ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এদের সমর্থণ দেয়ার কিছু নাই।
আল্লাহ আমাদের ভালো রাখুন।

05/01/2024

আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের এমন সুন্দর মৃত্যু দান করুন। আমিন।

23/11/2023

ওজন কমানোর জন্য ডায়েট এবং এক্সারসাইজের সমন্বয় প্রয়োজন। তবে যদি পার্সেন্ট হিসেব করতে যাই তো বলতে হয় ৮০% ডায়েটের উপর নির্ভর করে আর ২০% এক্সারসাইজের উপর। আপনি যা মনে চায় তাই খাবেন আর বলবেন জিম করে সেগুলো কমিয়ে ফেলবেন, এমন হয়না। আমাদের শরীরটা মেশিন না। গাড়ীতে নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল দিলে সে গাড়ী নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করলেই গাড়ীর তেল ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ পরিশ্রম করলেই আমাদের দেহের চর্বি গলে যাবে না। এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্টর জড়িত থাকে।

তাই আপনি যদি স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে ওজন কমাতে চান তবে আগে মুখের ভেতর কী দিচ্ছেন তা হিসেব করুন।

ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো ডায়েট হলো লো কার্ব ডায়েট। পাশাপাশি ফাস্টিং করা। আপনি ভাত, রুটি, মিষ্টি ফল, পরটা, পাউরুটি, বান এসব বন্ধ করে দিন। বেশি করে শাক সবজি খান, পর্যাপ্ত পরিমাণে চর্বি ও আমিষ খান। দৈনিক খাবারের বেলা কমিয়ে দিন। বেশি বেশি রোজা রাখুন। দৈনিক ১০ মিনিট হিট এক্সারসাইজ (আগের পোস্ট দ্রষ্টব্য) করুন। আপনার চর্বি গলে গলে পড়বে। ওজন কমানো বা চর্বি পোড়ানো কঠিন না। কঠিন হলো দৃঢ় সংকল্প তৈরি করা।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরামর্শের জন্য অনলাইন কন্সাল্টেশন নিতে চাইলে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

07/11/2023

ব্যস্ত সময়ে, কায়িকশ্রম বিহীন জীবন যাপন করে আমরা সবাই ব্রয়লার মুরগী হয়ে গেছি। দেশি মুরগীর মত শক্ত হাড় আর মজবুত মাসল হতে হলে নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই। শক্তপোক্ত শরীর গঠন করতে হলে পরিশ্রম করা প্রয়োজন। সুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা অপরিহার্য। আসুন সকলে অন্তত দৈনিক ১০ মিনিট হলেও ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম করি।

Address

Goldighir Par
Cox's Bazar
4700

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Shafayat Hossen Limon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category