03/09/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                            কক্সবাজার ম্যারাথন নিয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ!
অনেকদিন পর দুই বাল্যবন্ধু কাদের এবং মাসুদের সাক্ষাত। দৌড় নিয়ে তাদের মধ্যকার সংলাপটি পড়তে পারেন!
কাদের: কিরে দোস্ত, কী শরীর বানাইলি এটা?
মাসুদ: আর কইছ না দোস্ত! মহাপ্যারায় আছি! হাঁটাচলায় কষ্ট হয়৷ এতোদিন আনলিমিটেড খাইছি। আর ঘুমাইছি। কয়েক মাস পর ঘুম ভেঙে দেখি শরীরের ওজন ১২০ কেজি! ডাক্তার বললো ডায়েট করতে। খাওয়া দাওয়া কমাইয়া দিতে! কিন্তু, না খাইলে তো আমি মইরা যামু দোস্ত!
কাদের: শোন দোস্ত, এতো চাপ নিস না৷ সব সমস্যার সমাধান আছে! তোরে আমি একটা মহাষোধের কথা বলছি। নিয়মিত দৌড়া। 
মাসুদ: তোর কি মাথা খারাপ, শালা? আমার ভালো চাইছিস নাকি খারাপ? আমাকে মাইরা ফেলতে চাস? ঠিক মতো হাঁটতেই পারি না। আবার বলিস দৌড়াতে! তাছাড়া এই বয়সে আর দৌড়াই কেমনে! 
কাদের: এই দৌড় সেই দৌড় না। তুই একটা ধারাবাহিক রুটিন বানা। তোর কী এমন বয়স হইলো? ৪২ বছর? খবীর দাদু, নৃপেন দাদার কথা শুনিছ নাই? ৭৫/৭৬ বছর বয়সেও নিয়মিত ৪২/৫০ কিলোমিটার দৌড়ায়! আহসান ভাই, লুৎফুর রহমান, খাইরুল ইসলামকে চিনিস? ৬৫/৬৮ বছর বয়সেও দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। তারা তো রোগকেই ধাওয়ার ওপর রাখছে! খবীর দাদু কী বলে জানিস? বলে, 'মাইরের ওপর ওষুধ নাই, দৌড়ের ওপর ব্যায়াম নাই'! 
মাসুদ: কী কস দোস্ত? কীভাবে সম্ভব? আমার তাহলে কী করা লাগবে এখন?
কাদের: প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়। হাতে ছোট একটা পানির বোতল নিয়ে হাঁটা শুরু করবি। 
প্রথম এক সপ্তাহ প্রতিদিন ১০ মিনিট, ১৫ মিনিট, ২০ মিনিট, ৩০ মিনিট করে হাঁটবি। নন স্টপ হাঁটা কিন্তু। মাঝে মধ্যে একটু একটু পানি খাবি। এভাবে ৪ দিন সপ্তাহে!
পরের সপ্তাহ থেকে তুই তোর উন্নতি বুঝতে পারবি। হাঁটার শুরুতে স্ট্রেসিং করবি। শেষেও করবি। শরীর হালকা হবে। 
দ্বিতীয় সপ্তাহে তুই প্রথমদিন ১০ মিনিট একটানা দৌড়াবি। খুব স্লো দৌড়। ৯ মিনিটে ১ কিলোমিটার হোক। দ্বিতীয় দিন ১৫ মিনিট দৌড়া। তৃতীয় দিন ২০ মিনিট। চতুর্থদিন ২৫ মিনিট দৌড়াবি! 
এভাবে এক সপ্তাহ। এরপর থেকে নিয়মিত দৌড়া। থামবি না। সপ্তাহে ৪ দিন এই রুটিন নিয়ে চল৷ 
মাসুদ: দোস্ত, এরপর তাহলে কি তোর মতো ম্যারাথনে অংশ নিতে পারবো? 
কাদের: তুই ম্যারাথন ইভেন্ট ভুলে যা আপাতত। আগে টানা ২ মাস নিজে নিজে হাঁটবি এবং দৌড়াবি। এরপর ম্যারাথন ইভেন্টে অংশ নেওয়া যাবে। 
মাসুদ: আচ্ছা তা করবো। তবুও বল সামনে আমি যেতে পারি এমন কিছু ম্যারাথন ইভেন্ট কোথায় আছে?
কাদের: নভেম্বরে অনেকগুলো ইভেন্ট আছে। যেমন, নভেম্বরের ১ তারিখেই কক্সবাজার ম্যারাথন COX'S BAZAR MARATHON 2025!  ৭ তারিখে কয়েকটা ম্যারাথন আছে- ঢাকা নর্থ হাফ ম্যারাথন, কুমিল্লা ম্যারাথন, ১৪ তারিখে শেরপুর হাফ ম্যারাথন ইত্যাদি!
মাসুদ: চল দোস্ত, দইজ্জার চরত দৌড়াইবার যাই! 'সাগর-পাহাড়- বালি, পেট করবো খালি'!
 কী, পারবো না দোস্ত?
কাদের: আগে তো টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।  
মাসুদ: কী কস? আমার ঘাম আমি ঝরাবো, নিজের পয়সায় গাড়ি ভাড়া দিয়ে কক্সবাজার যাবো, নিজোর পয়সা খরচ করে হোটেলে থাকবো, তো আবার রেজিস্ট্রেশন কিসের? আমি ফ্রিতে দৌড়াবো!
কাদের: শরীর কি ফ্রিতে কমাতে চাস? দুই পয়সা খরচ না করলে শরীর নিয়াই পড়ে থাকতে হবে। তুই এখন আদনান সামি আছিস। নিয়মিত দৌড়ালে ঋত্মিক রওশন হয়ে উঠবি।
তাছাড়া রেজিস্ট্রেশন করে দৌড়ালে পাবি- টিশার্ট, বিদেশি মেডেল, ফুড, হাইড্রেশন, মেডিকেল সাপোর্ট, ফিজিও সাপোর্ট, ফটোগ্রাাফি সাপোর্ট সহ অন্যান্য গিফট! 
মাসুদ: দোস, ঋত্মিক হতে পারবো কিনা জানি না। আগে জায়েদ খান হয়ে দেখাই🤭। রেজিস্ট্রেশন লিংকটা দিস দোস্ত৷ আগে থেকে রেজিস্ট্রেয়ন করে রেখে প্রস্তুতি শুরু করবো! 
এই যে রেজিস্ট্রেশন লিংক: https://www.coxsbazarmarathon.com/registration,
দুই বন্ধুর টার্গেট এখন কক্সবাজার ম্যারাথন।
আগামী ১ নভেম্বর, ২০২৫!
লাবণী বীচ পয়েন্ট, কক্সবাজার।
রেজিস্ট্রেশন ডেডলাইন: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (স্লট থাকা সাপেক্ষে)! 
আয়োজনে:
কক্সবাজার রানার্স কমিউনিটি,
সহযোগিতায়:
জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার!