30/03/2022
গত কিছুদিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, প্রতিদিন আগত রোগীর সংখ্যা বিগত যেকোনো দিনের চেয়ে বেড়েই চলেছে।
তাই ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা করার চেয়ে রোগকে প্রতিরোধ করা উত্তম।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সচেতনার জন্য কিছু নির্দেশনা
১.
-পরিষ্কার বিশুদ্ধ /ফুটানো পানি পান করবেন
-খাবার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুবেন
-পঁচা, বাসি, খোলা খাবার খাবেন না
-রান্নাবান্না এবং প্লেট বাটি ধোয়ার জন্য পরিষ্কার পানি ব্যাবহার করবেন।
২.
ডায়রিয়া হলে-
*বড়দের ক্ষেত্রে, প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১টি ওরস্যালাইন ৫০০মিলি বিশুদ্ধ পানিতে গুলিয়ে সবটা খেয়ে নিবেন সাথে চিড়ার পানি, কাঁচা কলা সেদ্ধ, শুকনা খাবার যেমন পাউরুটি, মুড়ি এসব খাবে।
-অনেক বার পাতলা পায়খানা হলে অনেক সময় পায়খানার রাস্তায় ব্যাথা/ছিলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ক্ষত স্থানে ভ্যাসলিন ব্যবহার করবেন।
* বাচ্চাদের ডায়রিয়া হলে-
প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর অবশ্যই বাচ্চার ওজন অনুযায়ী পরিমাণমতো ওরস্যালাইন খাওয়াতে হবে। ওরস্যালাইন অবশ্যই ৫০০মিলি পানিতে ১প্যাকেট গুলিয়ে সঠিকভাবে বানাতে হবে।
-সাথে অবশ্যই ১০দিন ১টি করে জিংক ট্যাব্লেট খাওয়াতে হবে।
-২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবেনা।
৩.
যে বাড়িতে কারো ডায়রিয়া হয়েছে, সে বাড়ির সকল সদস্য অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এবং পানি ও খাবার এর ব্যপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
৪.
কারো ডায়রিয়া হলে আতংকিত হবার কোন কারণ নেই। বরং যথেষ্ট পরিমাণে ওরস্যালাইন এবং প্রয়োজনে ঔষধ খাবেন
ভয় পাবেন না ---
২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে পাতলা পায়খানা কমে যাবে। এ সময় অবশ্যই পরিমাণমতো স্যালাইন এবং তরল খাবার বেশি করে খেতে হবে।