শৈশব থেকেই নানা বিষয়ে চিকিৎসার সুবাদে হেমিওপ্যথির সাথে পরিচয় এবং নিবীড় সম্পর্ক।মরহুম আব্বা সাইয়েদ আফজালুর রহমান তাঁর ছুটির দিনে বাসার ড্রইং রুমে ফ্রি হোমিও চিকিৎসা দিতেন গরীবদের।জটিল রোগ ব্যধির বিস্ময়কর চিকিৎসা দেখে হোমিওপ্যথির প্রতি নির্ভরতা, আত্ববিশ্বাস সেই থেকেই গভীর হতে শুরু করে।তিলে তিলে অভিজ্ঞতা প্রসারিত হতে থাকে।এক সময় শিক্ষাজীবনের প্রায় শেষের দিক থেকেই কারো কোন শারীরিক সমস্যা দেখলেই একটি হোমিও ঔষধ নির্বাচনের চেষ্টা করতাম, অনেকেই উপকৃত হতে লাগলেন।লোক মাঝে মধ্যে আসতে থাকলো।লিখে দিচ্ছিলাম প্রয়োজনীয় ঔষধ।বাড়তে থাকলো লোকজনের যোগাযোগ পাশাপাশি বাড়লো মানুষের আত্মবিশ্বাস।
তার পর: ১৯৯৪ সালে দেখা হলো ডা.ইউনুস খান সাহেবের (ব্রাক্ষনবাড়িয়া) সাথে খান হোমিও বোর্ড চৈাদ্দগ্রামে।তিনি কাছে টানতে থাকলেন।এক সময় উদ্বুদ্ধ করতে থাকলেন হোমিও প্যাথিকে সেবা ও পেশা হিসেবে নিতে।এবিষয়ে আমি খুব ইন্টারেস্টিং হলেও পেশা হিসেবে নিতে রাজী ছিলাম না।শেষ পর্যন্ত পেশা হিসেবে নিতে মনস্থির করি এবং চৈাদ্দগ্রাম খান হোমিও বোর্ডে চিকিৎসা সেবা শুরু করি।
১৯৯৮সাল হতেই খান হোমিও বোর্ডে সময় দেয়ার পাশা পাশি বাসায় ঔষধ রাখতে শুরু করি ।খান সাহেবের অনুমুতি I পরামর্শ অনুযাই ২০০০ সালে একটি ছোট চেম্বার করি আমার ইবনে সিনা মডার্ন স্কুলের ১টি কক্ষে।২০০৬ সালে চৈাদ্দগ্রাম নজমিয়া সিনিয়ার মাদ্রাসা মার্কেটে চেম্বার পরিবর্তন করি। ২০১০ সালে মাওলানা কমপ্লেক্স ,সোনালী ব্যাংকের পশ্চিম পশে,চৈাদ্দগ্রাম বাজারে নিজের পছন্দ মতো একটি চেম্বার প্রতিষ্ঠা করি।অদ্যাবধি এই চেম্বারটি চলছে যথেষ্ট খ্যাতির সাথে।২০১৯ সালের মার্চ মাসে কুমিল্লা টমছমব্রিজ,ই.পি.জেড রোড,ইবনে তাইমিয়া স্কুলের বিপরীতে স্থাপিত হয় আইডিয়াল হোমিও ক্লিনিকের ২য় শাখা | এখানেও যথেষ্ট রোগীমুখর হয়ে উঠে।
০1.হেপাটাইটিস (লিভারের প্রদাহ:) গোটা বিশ্বে প্রতি ১২ জনে একজন হেপাটাইটিসে আক্রান্ত। আল্লাহ্ না করুন আপনিও হতে পারেন তাদের মধ্যে একজন। এর কারণ, হেপাটাইটিস বহন করে চলছেন এমন অনেকেই জানেন না যে, তিনি এই ভয়ঙ্কর মহামারীতে আক্রান্ত। হয়তো এদের অনেকেই ঠিক সেই দিন জানেন, যে দিন সময়ের শেষ বিন্দুতে পা রাখেন। বর্তমান বিশ্বে মানব দেহের জন্যে এইডসের চেয়েও ভয়াবহ দুসংবাদ নিয়ে হাজির হয়েছে হেপাটাইটিস । হেপাটাইটিস বা লিভারের একিউট এবং ক্রনিক সংক্রমনের জন্যে দায়ী ভাইরাস গুলো হচ্ছে, হেপাটাইটিস-এ, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, হেপাটাইটিস-ডি এবং হেপাটাইটিস-ই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে পৃথিবীর দু’বিলিয়ন বা ২০ কোটি লোক এসমস্ত ভাইরাসে আক্রান্ত। আপনি যদি মাত্র ৩ মাস থেকে ৬ মাস সময় আমাদের দিতে পারেন, নিরাপদ ও একটি সাশ্রয়ী সেবা প্রদানের সুযোগ হিসেবে। আশা করি, নিরাময় লাভ করবেন, আপনিও হবেন সবার সামনে আইডিয়াল হোমিও ক্লিনিকের সাফল্যের পক্ষে একটি সমুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
০2.হার্ট ডিজিজ: আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে প্রতি দিন গড়ে ২৩০০ আমেরিকান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ২ কোটি ৩০ লাখ মৃত্যু ঘটবে শুধু হৃদরোগেই। আর পাশ্চাত্যের অন্ধ-অনুকরণ ও ভ্রান্ত-জীবনাচারের ফলে বাংলাদেশসহ প্রাচ্যের দেশগুলোতেও এ রোগের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। কিছুদূর হাঁটলে কিংবা ভারী কাজ করলে হাঁফিয়ে যাওয়া বা বুকে ব্যথা হওয়া। সিঁড়িতে ওঠা নামা করার মতো পরিশ্রম করলেও বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। রাতে ভারী খাবারের পর কিংবা অতিরিক্ত ঠান্ডাতেও ব্যথা হতে পারে। রোগী কোন কারণে মানসিক চাপ বোধ করলেও এ ব্যথা শুরু হতে পারে। করোনারী হৃদরোগ জনিত এ ব্যাথাটি চিকিৎসা শাস্ত্রে এনজাইনা (অহমরহধ) নামে পরিচিত। অধিকাংশ রোগী এ সময় বুকের মধ্যে ভার ভার ধরণের চাপ অনুভব করেন। বুকের বাম দিকে বা বুকের মধ্যখানে এই ব্যথা অনুভূত হয়। কখনো কখনো শ্বাস কষ্টও অনুভূত হতে পারে। বুকের এ ব্যথা সাধারনত ঘাড়, ওপরের পিঠ, বাহু, বিশেষ করে বাম হাত বাহুতেও ছড়িয়ে যেতে পারে। কখনো কখনো উপরের পেটেও এ ব্যথা হতে পারে। যা সবচেয়ে বিপদজনক। রাতের খাবার ভারী হওয়ার ফলে এরুপ অবস্থা তৈরী হতে পারে। মাঝ রাতে ঘুমাতেই পারেনা। বুক জ্বলছে, উপরের পেটে কেমন একটা অস্বস্থিকর অবস্থা। গ্যাষ্ট্রিকের ঔষধেও তা উপশম হচ্ছে না বরং বাড়ছে। ধরে নিন এটি হার্টের সমস্যা।
০3.ডায়াবেটিস: বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস এখন মহামারী হয়ে উঠেছে। বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্ত সাড়ে ৪১ কোটির উপরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশী মৃত্যু ঘটায় এ ধরণের প্রধান পাঁচটি কারণের মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। বিশ্বে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষ মারা যায় এবং প্রতি ১০ সেকেন্ডে দুজন ডায়াবেটিস রোগী সনাক্ত করা হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, এ পর্যন্ত বিশ্ব ডায়াবেটিস নিয়ে যা যা পদক্ষেপ গ্রহন করেছে তার একটিও স্থায়ী কোনো চিকিৎসা, রোগ মুক্ত বা ঔষধ মুক্ত জীবনের সহায়ক নয়। আমাদের চিকিৎসায় অন্তত ছমাস থেকে ১ বছরের মধ্যে ঔষধের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার শত প্রমাণ রয়েছে। আপনিও সহসা ফিরে আসবেন ঔষধ মুক্ত, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে। ।
০4. নাক, কান ও গলা: নাকে পলিপাস সহ সাইনাস জনিত যাবতীয় কষ্টকর উপসর্গ; গলায় টনসিলাইটিস, টনসিলের স্ফিতি,লসিকা গ্রন্থির ব্যথা, থাইরয়েড গ্লান্ডের বিবৃদ্ধি বা গলগন্ড ; কানে ব্যথা, কান পাকা, কম শোনা কানের ভেতর অর্বুদ প্রভৃতির জন্যে বর্তমানে বাংলাদেশে অধিকাংশই অপারেশনের ওপর নির্ভর করা হচ্ছে। আপনার নাক. কান, গলা- টনসিল সব ঠিক রেখেই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং সুস্থ থাকবেন, আশ্বস্থ করছি। অন্তত অপারেশনের আগে একবার যোগাযোগ করুন। আর অপারেশনের পরবর্তী অসুবিধাও সারিয়ে তোলার নিশ্চয়তা পাবেন।
০5. মাইগ্রেইন: মাথার ব্যথা। মাইগ্রেনের ভয়াবহ প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে বিশেষ করে বাংলাদেশে। কেন না আমাদের দেশের লোকদের মানসিক আঘাত, হতাশা, ক্রোধ ও প্রতিশোধ প্রবনতা, প্রতিহিংসা বেশী। যা মাইগ্রেনের গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তাছাড়া স্নায়ুবিক আঘাত, সাইনাস ও টনসিল , চক্ষুজনিত, মস্তিষ্কের টিউমার জনিত ইত্যাদি আরো বেশ কিছু কারণ মাইগ্রেনের জন্য দায়ী। এর চিকিৎসায় আপনাদের জন্যে রয়েছে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা। ছমাসের মধ্যে বিস্ময়করভাবে বিদায় নেবে মাইগ্রেন। এক বছর থেকে ৪২ বছরের স্থায়ী মাথার ব্যথা আরোগ্য হয়েছে রোগীর সৌভাগ্যে। আপনিও হতে পারেন এমন একজন সৌভাগ্যবান।
06. পাথুরী রোগ: কিডনি পাথর, পিত্তথলী পাথর, প্রস্রাবের থলী ও মূত্র পথে মাংস বৃদ্ধি, প্রেস্টাট গ্লান্ড বড় হওয়া, লিঙ্গাভ্যন্তরে আঁছিল যেসব বিষয়ে বার বার অপারেশন করেও আপনি আরোগ্য হচ্ছেন না। ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অপারেশন বা কৃত্রিম কোনো চিকিৎসা ছাড়াই ৯৫% সফলতার অঙ্গিকার করছি আল্লাহর ওপর ভরসা রেখেই। যিনি রোগের আগেই তার নিরাময়ের জন্যে ঔষধের ব্যবস্থা করেছেন। যারাই এসেছেন তিন থেকে ছমাসের মধ্যেই অভাবনীয়ভাবে আরোগ্য লাভ করেছেন। আমাদের সেবার আঙ্গিনায় এলে, আপনিও হতে পারেন একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
০7. টিউমার: দৃশ্য অদৃশ্যভাবে থাকতে পারে টিউমার। বয়েছে নানা ধরণের টিউমার। টিউমার মাংস, হাড়, জয়েন্ট, স্তন, জরায়ু ও ব্রেইনসহ দেহের যে কোনো স্থানে অবস্থান নিতে পারে। টিউমারকে অবহেলা নয়। এটি সবাই জানেন ও সচেতনও বটে। আর সচেতন অবস্থাতেই করে বসেন যে ভুলটি সেটি হলো, অপারেশন। আমরা খুব সচেতন তবে এটি জানি না যে, এসব ক্ষেত্রে অপারেশন সমাধান নয়। একটি টিউমার অপারেশন করলে তার পরে উত্তরাধিকারে জন্ম নিতে পারে শত টিউমার । বিশেষ করে স্তন টিউমার, জরায়ু টিউমার অপারেশনের আগে পরে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশ। তাছাড়া ব্রেইন টিউমার অপারেশনের পর সফলতার হার খুবি নগন্য। তাহলে অপারেশন নয়, আসুন আমরা একটি সুচিকিৎসা নিই আইডিয়াল হোমিও ক্লিনিকে। সব ঠিক রেখে ইনশাআল্লাহ্ বিদায় হবে ঘাতক টিউমার।
০8. কোষ্ঠকাঠিন্য: বাংলাদেশে কোষ্ঠ কাঠিন্য আরেকটি জঘন্যতর স্বাস্থ্য সমস্যা। স্বাভাবিক অবস্থায় সপ্তাহে ৭ থেকে ১০ বার পায়খানা হয়ে থাকে। তাই দিনে ১-২ বার পায়খানা হওয়া স্বাভাবিক ধরা যেতে পারে। যদি সপ্তাহে ৩ বারের কম পায়খানা হয় তবে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে। কোষ্ঠকাঠিন্যের আরেকটি বৈশিষ্ট হচ্ছে মল শক্ত ও গুটলে এবং মল ত্যাগ কষ্টকর হবে। এঅবস্থা কিছু দিন চলতে থাকলে পায়ুপথে নানা বিপদজনক উপসর্গ আবির্ভুত হয়। পাইলস, পিস্টুলা ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জীবন যাপন করতে হয়। এসবের ঝুঁকি থেকে আমাদের নিরাপদ চিকিৎসা গ্রহন করে প্রতিদিন সুস্থ থাকুন।
০9. পায়ুপথের অসুখ: পাইলস মলদ্বারের নিম্নাংশের শিরাগুলো ফুলে গেলে তাকে পাইলস বা অর্শ বলে। এনাল ফিসার মলদ্বারে ঘা অথবা ফেটে যাওয়া।, প্রোলাপস মলদ্বার বেরিয়ে আসা বা আলিশ রোগ , ফিস্টোলা বা ভগন্দর পায়ুপথের ভেতরের কোনো গ্রন্থিতে সংক্রমনের কারণে মলদ্বারের পাশে ফোঁড়া হয়। এই ফোঁড়া ফেটে গিয়ে পিস্টুলায় পরিনত হয়। কিছু দিন বড় হতে থাকে, পাকে তারপর এ ফোঁড়া থেকে কিছু সিময় পুঁজ-পানি নির্গত হয় আবার বন্ধ হয়, ফোঁড়া ছোট হয়। আবার আগের প্রক্রিয়ায বড় হয়, পাকে...। আমাদের চিকিৎসায় আপনি কোনো প্রকার অপারেশন ছাড়াই ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ পন্থায় ফিরে আসবেন স্বাভাবিক জীবনে।
1০. শ্বশনতন্ত্রের রোগ: এ্যাজমা: যার অর্থ ‘দ্রুত নিশ্বাশ নেয়া। এ্যাজমা এমন একটি অবস্থা যাতে ফুসফুসের বায়ুনালীসমূহ আক্রান্ত হয়। তখন বায়ুবাহি নালীগুলো অত্যধিক সংবেদনশীল হয়ে যায় এবং শ্বাশ-প্রশ্বাশে মারাত্মক কষ্ট হয়। এ্যালার্জি: সচরাচর এ্যালার্জিতে রোগীরা আক্রান্ত হয়ে শ্বাশকষ্টে ভুগে থাকেন। শুরুতে সাধারণত হাঁচি ও নাক দিয়ে পানি পড়তে পড়তে কাশি শুরু হয়। সেই কাশি বুকে বসে গিয়ে সাঁই সাঁই শব্দ হয়, সঙ্গে থাকে বুকে চাপভাব ও শ্বাশকষ্ট। হাঁপানি :হাঁপানি পুরুষ অপেক্ষা মহিলাদের বেশী হয়। বাংলাদেশে প্রায় এককোটি হাঁপানি রোগী আছে। গত এক দশকে রোগীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে দুখের বিষয় হচ্ছে, এ্যজমা, হাঁপানি, এ্যালার্জির কোনো চিকিৎসা নেই, যা সর্বজন বিধিত ধারণা । মৃত্যু পর্যন্ত দমন নীতি চলতে থাকে। আমরা দৃড় প্রত্যয়ের সাথে ভরসা দিচ্ছি, ছ’মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এধরণের রোগীরা মুক্ত হবেন শ্বশনতন্ত্রের যাবতীয় উপসর্গ হতে আল্লাহ্ চাহেত।
11. যৌন রোগ: প্রজননতন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত রোগসমূহকে যৌন রোগ বলা হয়। সিফিলিস, গণোরিয়া, এইচ আইভি সংক্রমন, জেনিটাল আঁচিল, ক্লামাইডিয়া, ট্রাইকোমনিয়াসিস, জেনিটাল ক্যানডিডিয়াসিস ইত্যাদি। যৌনসমস্যা- লিঙ্গ উত্থান সমস্যা, যৌন আকর্ষণ কমে যাওয়া, যৌন আগ্রহ হ্রাস পাওয়া, দ্রুত বীর্যস্খলন, অধিক স্বপ্নদোষ, শুক্র তারল্য। যৌনরোগের চিকিৎসার নামে একদিকে অর্থনৈতিক হয়রানি আর অন্যদিকে জীবনীশক্তি চিরতরে বিনাশ করা হচ্ছে।
চর্মরোগ: আমবাত,একজিমা,ইরথিমা, সোরাইসিস, আঁচিল, ক্ষিণ চামড়া, ব্রণ, হারপিস, কার্বাংকল, পাঁচড়া, মাথার খুশকি, কুষ্ঠ রোগ, শ্বেতী, ক্ষত, হাম, ছুলি, চুলকানি, পা ফাটা নখের পীড়া, আঙ্গুলহাড়া, ঘামাছি, চুল পড়া, সৌদ, মেসতা।
12. মুত্রযন্ত্রের পীড়া: মুত্র পাথুরি, মুত্র থলির প্রদাহ, মুত্রনালির প্রদাহ, মুত্রনালির শোথ, মুত্র নালির সংকোচন, মুত্রথলির পক্ষাঘাত, মুত্র অবরোধ, প্রোষ্টাইটিস, অন্ডকোষ প্রদাহ, মুত্রমেহ,অসাড়ে মুত্র ত্যাগ, রক্তস্রাব, কাইলুরিয়া বা অম্লরস ক্ষরণ, মুদা-লিঙ্গ মুন্ডের আবরক চর্মের ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির প্রদাহ, সিফিলিস জনিত কারণে লিঙ্গের ভেতরে পিলপিল করা, কিটকিট করা, ঘাঁই দেয়া, পুঁজ নির্গত হওয়া ইত্যাদি যাবতীয় জটিল উপসর্গগাদি।
13.মস্তিষ্কের রোগ: মাইগ্রেন, ডিপ্রেশন জনিত মাথা ব্যথা, নিউরালজিয়া, টেম্পোরাল অ্যার্থাইটিস, অ্যালজাইমার্স, ম্যানিয়া, অ্যানুইরিসর্স, অটিজম, ম্যানিনজাইটিস, মটর নিওরন, নার্কোলাপসি, পার্কিনসন্স, কোমা, ডিমেনসিয়া, ডিসটোনিয়া আরো অনেক রোগ যেমন- স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধি কমে যাওয়া, মূর্ছা, মৃগী বা খিঁচুনি, অনিদ্রা, ক্লান্তি বা অবসাদ।
14. এইডস: বিশ্বে জীবনঘাতি আতঙ্কের মাঝে এইডস অন্যতম একটি। এইডস আক্রান্ত হলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বিনষ্ট হয় বলে এই অবস্থায় আক্রান্ত রোগীর আরোগ্য সুদূরপরাহত। মহাত্মা হ্যানিম্যান তখনি হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা দিয়ে গেছেন। যখনি মাস ব্যাপি পাতলা পায়খানা, শরীরের ওজন দ্রুত কমছে, দীর্ঘদিন শ্বাশকষ্ট ও কাশিতে ভুগছেন, শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থিগুলো ফুলে যাচ্ছে। খাবারে অরুচি, গায়ের চামড়ায় বিবর্ণ ছোপ ছোপ দাগ পড়া, ইত্যাদি উপসর্গ দেখেন অবশ্যি আইডিয়াল হোমিও ক্লিনিকের শরণাপন্ন হতে পারেন, আরোগ্য হয়ে স্রষ্টার শুকরিয়া করবেন।
15. গাইনি সমস্যা: মেয়েলি রোগ। অনিয়মিত ঋতুস্রাব, মাসিক শুরু হবার আগে পেটে ব্যথা, মাসিকের পূর্বে মাথা ব্যথা, মাসিকের আগে পরে সাদাস্রাব, ব্যথা যুক্ত মাসিক, স্রাব কম বা বেশী হওয়া, স্রাবে দুর্গন্ধ, মাসিক অনাকাঙ্খিতভাবে বন্ধ হওয়া, মাসিক চলা কালে বমিভাব বা বমি, মাসিক চলা কালে স্তনে দুধ আসা এবং নিপলে প্রদাহ হওয়া। নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে মাসিক শুরু হওয়া। সাদাস্রাব (শ্বেতপ্রদর), সহবাস কালীন ব্যথা, বন্ধাত্ব, জরায়ু বড় হওয়া, জরায়ুর মুখ বড় হওয়া- এজন্যে সদাসর্বদা রক্তক্ষরণ হওয়া, জরায়ু গ্রন্থিচ্যুত হওয়া বা নেমে যাওয়া, জরায়ু টিউমার ও জরায়ু ক্যান্সার।
16. কিডনি সমস্যা: জন্মগত কিডনি রোগ, পাথর জনিত কিডনি রোগ, প্রোষ্টাট গ্লান্ডের জটিলতা জনিত কিডনি রোগ, আঘাত জনিত কিডনি রোগ, কিডনিতে সিস্ট ও টিওমার, উল্লেখিত উপসর্গের চিকিৎসা যথা সময়ে করা না হলে ঘটে কিডনির বৈকল্য। কোনো প্রকার অপারেশন ছাড়াই আপনি এক্ষেত্রে আপনি পাবেন নিরাপদ ও সাশ্রয়ী চিকিৎসা।
17. গর্ভ ও প্রসবোত্তর সমস্যা: মাদেয়ের গর্ভে সনতান এলে নানা ধরণের জটিলতা ভুগে থাকেন তারা। যেমন- সকাল বেলায় মুখে জল উঠা, বমি হওয়া, প্রায়ই বমি ভাব, অরুচি, ক্ষুধামন্দা, অনিদ্রা, অসাড়ে মুত্রত্যাগ, আমাশয় বা উদরাময়, কোষ্ঠবদ্ধতা, অর্শ, হাইপার এসিডিটি, সাদাস্রাব, দন্তশূল, পিঠে এবং কোমরে বেদনা, খিঁচুনি বা এ্যাকলামশিয়া, বাচ্চার সঞ্চালন কমে যাওয়া, গর্ভস্থ পানি শুকিয়ে যাওয়া, জরাইয়ুর মুখ না খোলা বা সংকোচিত থাকা, সহজ প্রসব না হওয়া। প্রসবোত্তর কিছু নানা জটিলতা যেমন-ফুল না পড়া, অতি রক্তস্রাব, ভ্যাঁদাল ব্যথা, রক্তাল্পতা, শিরাস্ফিতি, শোথ, শ্বেতপ্রদর, সূতিকা আক্ষেপ, সূতিকা জ্বর, স্তন প্রদাহ, স্তন দুগ্ধ কমে যাওয়, আদৌ দুগ্ধ না থাকা, স্তনের বোঁটায় ক্ষত প্রভৃতি।
18. বাত ও প্যারালাইসিস: বাত কথাটি ব্যাপক অর্থবহ এবং বহু দূর প্রসারি। এটি একটি মাত্র রোগ নয়, একই পরিবারভুক্ত অনেকগুলো রোগের সমষ্টি। প্রায় একশটি বিভিন্ন ধরণের রোগ নিয়ে হয় বাত রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হয় প্রধানত অস্থিসন্ধি, হাড়ের প্রদাহ, ক্ষয় রোগ, লিগামেন্ট ও টেন্ডনের ব্যথা, আড়ষ্ঠতা, মাংসে খিচুনি, সায়োটিকা- কোমর, উরুসন্ধি আক্রান্ত হওয়া, হাত ব্যবহারে অক্ষমতা, হাটতে অক্ষমতা, অসাচ্ছন্দ্য এবং গ্লানি বোধ, ওজন কমে যাওয়া, পেশির ব্যথা ও দুর্বলতা, পরিমিত ঘুম না হওয়া, শরীরের যে কোনো অংশ ফুলে যাওয়া, ঘাড় আড়ষ্ঠ হওয়া প্রভৃতি নানা উপসর্গ যখনি আপনি অবহিত হবেন, বুঝবেন যে আপনি বাতে আক্রান্ত হয়েছেন। আরেকটি কাছাকাছি সমস্যা প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাত। এতে শরীরের যে কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই আক্রান্ত হতে পারে। এর কারণে আক্রান্ত অঙ্গ নিস্তেজ, কর্মশক্তিহীন, শোধ বা অনুভুতিহীন হয়ে পড়ে। এতে হাত পায়ের আঙ্গুল থেকে শুরু করে জিহ্বা, কন্ঠনালি, খাদ্য নালি, যৌনাঙ্গ পর্যন্ত দেহের যে কোনো ছোট-বড় অংশ আক্রান্ত হতে পারে।
19. জ্বর: বাতজ্বর, ডেঙ্গুজ্বর, গাউট জনিত জ্বর, হেপাটাইিটস জনিত জ্বর, টাইফয়েড, ম্যলেরিয়া, সেপ্টিক ফিভার, কালাজ্বর, প্রদাহ জনিত জ্বর। অ্যান্টিবায়োটিক ট্রিটম্যান্টে সাময়িকভাবে জ্বর চলে যাবার পরও এসব ক্ষেত্রে বছরকে বছর রোগীদের এসবকে কেন্দ্র করে নানাহ জটিলতায় ভুগতে হয়। যেমন- ক্ষুধামন্দা, অনিদ্রা, তন্দ্রালুতা, দুরবলতা, মাথা ঘুরা, অদম্য পানির পিপাসা, উদ্দম হীনতা, ক্রমাগত নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, যৌন দুরবলতায় আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি।
20. শিশু রোগ: ভূমিষ্ট হয়ে না কাঁদা, ভূমিষ্ট হয়ে কাশি দেয়া, জন্মের পর প্রস্রাব বা পায়খানা না করা, শিশুর শ্বাশতন্ত্রের রোগ, ঠান্ডা বা শর্দি, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, গলার নিচে এবং বিভিন্ন সন্ধিস্থলে ক্ষত, হাম বা লুতি, সিকেনফক্স, চোখে প্রদাহ, মাথার কোথাও পানির থলি বা ফোস্কা, কয়েক দিনে একবার পায়খানা বা এক দিনে সাত-আট বার পায়খানা করা, পেটমোছড়ানো, জলমিশ্রিত বিবরণ মলত্যাগ।
সেবার ধরণ:
1) অনলাইন: অনলাইনে কন্সাল্ট করে রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়।যেকোনো গুরত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টের অর্ডার নেয়া হয় এবং পৌঁছে দেয়া হয়।।
2) রোগীর উপস্তিতিতে: হোমিওপ্যাথ শাস্ত্রের নির্দেশণা অনুযায়ী রোগীলিপি তৈরী করা হয়।রোগীর বর্তমান অবস্থা, রোগলক্ষণ, অতীত অবস্থা, পূর্বপূরুষের রোগের ইতিহাস, বৈবাহিক অবস্থা, সন্তানাদি, পারিবারিক সম্পর্কের অবস্থা ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করা হয়|
3) কাউন্সিলিং: সাপ্তাহিক এবং মাসিক কাউন্সিলিং-এর মাধ্যমে রোগীদের ঔষধ ও ডাক্তার ছাড়াই বিভিন্ন প্রকার শারীরিক সমস্যার মোকাবিলা করার পদ্ধতি; প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়াকে সচল করার নিয়ম; জীবনযাপনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ইত্যাদির ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ কাউন্সিলিং-এ সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ নারী,পুরুষ, শিশু, অবালক-বৃদ্ধ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী, পেশাজীবি, কৃষক, মজুর ইত্যাকার সকলেরই স্বতস্ফুর্ত উপস্থিতি ঘটেছে। ভালো আছে হাজারো মানুষ, আপনিও ভালো থাকবেন। হাজারো মানুষ থেকে আমরা লাভ করেছি উপকৃত হবার স্বীকৃতি, সুস্থ হলে আপনিও হবেন সাফল্যের সমুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।...... আমন্ত্রণ রইলো!