Professor Dr. Nilufa Parvin

Professor Dr. Nilufa Parvin DCH, MCPS, FCPS (Paediatrics)
Professor & Head of Department
Mainamoti Medical College
Paediatrician

29/07/2025

❌️ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া বাচ্চাদের অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ খাওয়ানো একেবারেই ঠিক নয়।

এখানে কারণগুলো দেওয়া হলো:

---

❌ ঝুঁকি ও ক্ষতি:

✳️️1. ভুল ডোজ – বাচ্চাদের ওজন অনুযায়ী সঠিক ডোজ প্রয়োজন। বেশি বা কম ডোজে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।

✳️2. প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হওয়া (Antibiotic Resistance) – অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ালে ভবিষ্যতে কার্যকর না-ও হতে পারে।

✳️3. অপ্রয়োজনীয় খাওয়া – অনেক সময় ভাইরাসজনিত অসুখে (যেমন ঠান্ডা বা জ্বর) অ্যান্টিবায়োটিক কাজই করে না।

✳️4. পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া – পেটের ব্যথা, ডায়রিয়া, অ্যালার্জি, লিভার বা কিডনির ক্ষতি হতে পারে।

✳️5. অসুখ ঢেকে যায় – ভুল ওষুধ খাওয়ালে মূল রোগ চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে যায়।

---

✳️✳️যা করবেন:

✅️সবসময় শিশু বিশেষজ্ঞ বা রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

✅️নিজে থেকে ওষুধের নাম বা ডোজ অনুমান করে দিবেন না।

✅️পরিপূর্ণ কোর্স শেষ করুন যদি ডাক্তার দেন।

---

🔔 মনে রাখবেন:
অ্যান্টিবায়োটিক খেলেই সব রোগ ভালো হয় না। বরং ভুলভাবে খেলে বাচ্চার ভবিষ্যতের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।

29/07/2025

🧒 শিশুর হঠাৎ প্রচণ্ড জ্বর? কী করবেন?

শিশুর হঠাৎ জ্বর হলে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিন।

✅ প্রাথমিক করণীয়ঃ

✔ তাপমাত্রা মাপুন – 38°C (100.4°F) বা তার বেশি হলে জ্বর ধরা হবে।
✔ হালকা পোশাক পরান – ভারী কাপড় বা কম্বল এড়িয়ে চলুন।
✔ পানি ও তরল বেশি দিন – পানি, স্যুপ, লেবুর শরবত
✔ প্যারাসিটামল দিন

সহজ নিয়ম: প্রতি ৮ কেজি ওজনের জন্য ১ চামচ (৫ মি.লি.) সিরাপ, ৬ ঘণ্টা পর পর।
যেমন আপনার শিশুর ওজন যদি ৮ কেজি হয়ে থাকে তাহলে এক চামচ প্যারাসিটামল সিরাপ ৬ ঘণ্টা পর করতে হবেন ১২ কেজি হয়ে থাকলে দেড় চামচ প্যারাসিটামল সিরাপ ৬ ঘন্টা পর পর খাওয়াবেন এবং জ্বরের তাপমাত্রা যদি ১০২° ফারেনহাইট বা এর বেশি হয় তাহলে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি পায়খানার রাস্তায় দিবেন।
✔ কুসুম গরম পানিতে স্পঞ্জ করুন – ঠান্ডা পানি বা বরফ ব্যবহার করবেন না।

⚠️ বিপদ সংকেত (জরুরি হাসপাতালে নিন):

❗ শ্বাসকষ্ট
❗ খিঁচুনি
❗ বাচ্চা খেতে না পারা
❗ অজ্ঞান বা অতিরিক্ত দুর্বলতা

❌ যা করবেন না:
✖ নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করবেন না
✖ অতিরিক্ত কাপড় দিয়ে গরম রাখবেন না

📌 শিশুর জ্বর অবহেলা নয়। প্রয়োজন হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

29/07/2025

✅️বাচ্চাকে রাতে দ্রুত ঘুম পাড়ানোর জন্য কিছু কার্যকরী ও প্রাকৃতিক উপায় নিচে দেওয়া হলো:
---

✳️🛏️ ১. ঘুমানোর নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন

প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করুন। এতে বাচ্চার শরীর ও মন বুঝে যাবে যে এখন ঘুমের সময়।

---

✳️🌙 ২. ঘুমের আগে শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন

✅️আলো কমিয়ে দিন

✅️টিভি/মোবাইল বন্ধ করুন

✅️জোরে কথা বলবেন না।

✅️পরিবারের সবাই একই সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।

শান্ত পরিবেশ ঘুম আসতে সাহায্য করে।

---

✳️📖 ৩. ঘুমের আগে গল্প বলুন বা গান করুন

একটি ছোট্ট ঘুমপাড়ানি গান বা গল্প শিশুকে শান্ত করে এবং ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে।

---

✳️🛁 ৪. হালকা গরম পানি দিয়ে সারা শরীর মুছে দিন।

এতে অনেকটা আরামবোধ হবে এবং ঘুম আসতে সহজ হবে।

---

✳️🍼 ৫. হালকা খাবার দিন (খালি পেটে না ঘুমানো)

ঘুমের আগে হালকা খাবার যেমন দুধ বা স্যুপ দিতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খাবার নয়।

---

✳️🧸 ৬. প্রিয় খেলনা বা কম্বল দিন

অনেক শিশু একটি নির্দিষ্ট খেলনা বা কম্বলের সঙ্গে ঘুমাতে পছন্দ করে, যা ওদের নিরাপত্তা দেয়।

---

✳️⏳ ৭. ধৈর্য ধরুন ও চাপ না দিন

ঘুম পাড়াতে সময় লাগতেই পারে। জোর না করে ধীরে ধীরে অভ্যাস তৈরি করুন।

29/07/2025

লিভার শিশুদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। খাবার হজম, শক্তি সংরক্ষণ, টক্সিন বের করে দেওয়া, এমনকি রোগ প্রতিরোধেও লিভার অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। কিন্তু আমরা অনেক সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন কিছু কাজ করি যা শিশুর লিভারের ক্ষতি করতে পারে।

🔬 কীভাবে শিশুর লিভারের যত্ন নেবেন?

✅ সঠিক খাবার দিন:
ভাজাপোড়া, প্যাকেটজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলুন। ফলমূল, সবজি, ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার (যেমনঃ ডিম, মাছ) লিভারের জন্য উপকারী।

✅ অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নয়:
লিভারই ওষুধের বিষক্রিয়া নিষ্ক্রিয় করে। তাই হালকা জ্বর-সর্দি হলেই নিজে থেকে এন্টিবায়োটিক বা প্যারাসিটামল দেবেন না। সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

✅ হেপাটাইটিস থেকে রক্ষা করুন:
শিশুকে জন্মের পর হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিন দিন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন এবং রক্ত ও রক্তজাত পণ্য ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।

✅ বাচ্চাকে পানি খাওয়ান:
লিভারের কাজ সহজ করতে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া খুবই জরুরি। শিশুকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি খাওয়ান।

✅ হালকা ব্যায়াম ও খেলাধুলায় উৎসাহ দিন:
অতিরিক্ত ওজন লিভারে চর্বি জমার কারণ হতে পারে। শিশুদের বাইরে খেলাধুলায় উৎসাহ দিন।

📌 সতর্কতার লক্ষণ:

বাচ্চা যদি হঠাৎ দুর্বল হয়ে পড়ে

চোখ-চামড়া হলুদ দেখায়

পেট ফাঁপা বা বমিভাব থাকে

মল হালকা রঙের হয়
তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

29/07/2025

শিশুর ট্যানট্রাম কী?

ট্যানট্রাম হচ্ছে শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার একটি প্রকাশ। সাধারণত ১-৫ বছরের শিশুদের মধ্যে এটা বেশি দেখা যায়। তারা যখন চাওয়া পূরণ না হলে কাঁদে, চিৎকার করে, মেঝেতে গড়াগড়ি দেয় – সেটাই ট্যানট্রাম।

সুপারশপে বা বাইরে গেলে ট্যানট্রাম কেন হয়?

রঙিন খেলনা বা চকলেট চোখে পড়ে

চাওয়াটা অস্বীকার করলে নিজেকে অবহেলিত মনে হয়

বাবা-মা মনোযোগ দিচ্ছে না – তাই মনোযোগ পেতে এমন আচরণ

ক্লান্তি, ক্ষুধা বা অতিরিক্ত উত্তেজনা

তখন সঙ্গে সঙ্গে চাওয়া পূরণ করলে কী হয়?

শিশু শিখে ফেলে: “আমি যদি জোরাজুরি করি, কাঁদি বা চিৎকার করি, তাহলে জিনিসটা পেয়ে যাব”। এই অভ্যাস বজায় রাখে এবং সবসময় কিছু পেতে এই কাজ করে।

এটা তার স্বভাব হয়ে দাঁড়ায়

ভবিষ্যতে ছোট ছোট বিষয়ে বড় রিয়্যাকশন দেয়। যা বড় হতে হতে ভ*য়ানক রুপ নেয়। তখন সাইকেলের জায়গায় বাইক আবদার করতেও দুবার ভাববে না।

বাবা-মা হারিয়ে ফেলেন নিয়ন্ত্রণ, পরিনতি অনেক খা*রাপ হয়।

✅যা করবেন ট্যানট্রামের সময়? (Step by Step Guide)

🔹 ঠান্ডা থাকুন:
আপনি রেগে গেলে শিশুও আরো রিএক্ট করবে। শান্ত থাকুন, গভীর শ্বাস নিন। এমন একটা ভাব করেন যে তার কান্না বা এই খামখেয়ালি আপনি দেখেননি।

🔹 চাওয়া পূরণ করবেন না:
তখনি কিছু দিয়ে শান্ত করতে গেলেই, সে বুঝে যাবে – এটাই উপায়। তাই এই ভু*ল করবেন না।

🔹হঠাৎ করে তার মনোযোগ ঘোরান:
"ওমা দেখো বেবি, ওই প্যাকেটগুলো কি সুন্দর, চলো আমরা হ্যান্ডওয়াস নেই, ওয়াও,,,,,," বা অন্য কিছু একটা বলুন, এতো উৎসাহ আর মজা করে যেন সে কান্না থামিয়ে ওইদিকেই মনেযোগ দেয়।

🔹 চোখের যোগাযোগ বজায় রাখুন:
নরম অথচ স্থির চোখে তাকিয়ে বলুন, “আমি বুঝছি তুমি এটা চাও, কিন্তু এখন আমরা সেটা কিনবো না।”

🔹 তাকে একটু আলাদা নিন (Calm Corner):
বিশৃঙ্খলার মাঝেও তাকে কোলে নিয়ে বা পাশে নিয়ে আস্তে বলুন, “চলো, একটু আরাম করি।” বার বার বলুন "আমার সোনা বেবি অনেক ভালো, আমার কথা শোনে"।

🔹 ভাষায় প্রকাশ শেখান:
“তুমি চাইলে বলতে পারো, আমার এটা লাগবে, কিন্তু কাঁদলে আমি দিতে পারবো না।” এভাবে বুঝিয়ে দিন। বলতে বলতে সেও অভ্যাস্ত হবে।
প্রথম ৩টি টিপস আমার সব সময় ১০০% কাজে লাগে, সানায়া এই ৩টি টিপসেই ঠিক হয়ে যায়।

প্রিভেনশন টিপস (আগে থেকেই প্রস্তুতি):

✔️ দোকানে যাওয়ার আগে তাকে বলুন, “আজ শুধু বাজার করবো, কোনো খেলনা কিনবো না।”
✔️ সে যদি ভালো ব্যবহার করে, শেষে একটা ছোট পুরস্কার দিতে পারেন (চকলেট নয়, পছন্দের গান শুনানো বা বাহবা)। আর বারবার প্রশংসা করুন, প্রশংসা দিয়ে অনেক কিছু করানো সম্ভব।
✔️ ঘরে ট্যানট্রাম হলে, “Calm Down Time” তৈরি করুন – যেখানে গিয়ে সে শান্ত হতে শিখবে। সাথে আবেগ নিয়ন্ত্রণ শিখবে। ট্যানট্রাম শিশুর শিখে নেওয়ার একটি সুযোগ। আপনি যদি সহানুভূতিশীল অথচ দৃঢ় হন, তাহলে সে বুঝে যাবে আবেগ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এই ট্যানট্রাম অনেকে না বুঝে বাচ্চাকে মা*রেন বা যা চায় দিয়ে দেন দুটো কাজি খারাপ তার জন্য। এই ১-৫ বছর সময়টা ভালোভাবে ট্যানট্রাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে আপনার সন্তান আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও সফলভাবে শিখে যাবে। তাই সচেতন হবেন। ধৈর্যের বিকল্প কিচ্ছু নেই।

29/07/2025
29/07/2025

জ্বরের পরে বাচ্চাদের রুচি (ক্ষুধা) কমে যাওয়ার কিছু সাধারণ কারণ হলো:
---

🔹 ১. শরীর এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয়

জ্বরের পরে শরীর দুর্বল থাকে, তখন খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। এটি একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।

---

🔹 ২. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

জ্বরের সময় যে ওষুধ (বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক) দেওয়া হয়, তা বাচ্চার মুখের স্বাদ পাল্টে দিতে পারে বা ক্ষুধা কমিয়ে দিতে পারে।

---

🔹 ৩. হজমশক্তি কমে যাওয়া

জ্বরের সময় হজমের কার্যক্ষমতা কমে যায়, ফলে বাচ্চার পেট ভরা মনে হয় বা সে সহজে ক্ষুধা পায় না।

---

🔹 ৪. পানিশূন্যতা (Dehydration)

জ্বরের সময় শরীরের পানি কমে যেতে পারে, যা ক্ষুধা হ্রাসে ভূমিকা রাখে।

---

🔹 ৫. দুর্বলতা ও ক্লান্তি

শরীর দুর্বল থাকলে শিশু সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং খাবারের প্রতি আগ্রহ হারায়।

---

🔹 ৬. স্বাদের পরিবর্তন

জ্বর বা ওষুধের কারণে জিভে স্বাদের পরিবর্তন হতে পারে — ফলে আগে যেসব খাবার ভালো লাগতো, সেগুলোও আর ভালো লাগছে না।

---

🔹 ৭. ঘন ঘন তরল খাবার খাওয়ানো

জ্বরের সময় অনেক সময় শুধু তরল (দুধ, স্যুপ) খাওয়ানো হয়, এতে পেট ভরা থাকে এবং শক্ত খাবার খেতে মন চায় না।

---

👉 কী করবেন:

✅️হালকা ও প্রিয় খাবার দিন।

✅️একসাথে না খাইয়ে বারবার অল্প অল্প করে দিন।

✅️জোর না দিয়ে ধৈর্য ধরুন।

✅️প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

29/07/2025

ডেঙ্গু হলে কি করতে হবে, জেনে নিন 👇
✔ ডেঙ্গুর কোন লক্ষণ যেমন তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা বা শরীরের জয়েন্টে ব্যথা দেখা দিলে সাথে সাথে হাসপাতালে যেয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে।
✔ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীকে যতটা সম্ভব মশারির ভেতরে থাকতে হবে।
✔ প্রচুর পরিমাণে পানি, শরবত এবং অন্যান্য তরল খাবার খেতে হবে।
✔ চিকিৎসকের মাধ্যমে রোগীর রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা নিরীক্ষণ করতে হবে।

29/07/2025

🔴 বাচ্চারা খেতে চায় না বা খাওয়ার প্রতি অনীহা দেখায়, এর পেছনে কয়েকটি সাধারণ কারণ থাকতে পারে:
✅️১. ক্ষুধা না লাগা

বাচ্চা যদি আগেই কিছু খেয়ে থাকে বা তার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খাবার প্রয়োজন না হয়, তাহলে সে খেতে চাইবে না।

✅️২. অসুস্থতা বা অস্বস্তি

জ্বর, সর্দি, কাশি, পেট ব্যথা, গলা ব্যথা ইত্যাদি থাকলে খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়।

✅️৩. খাবারের প্রতি আগ্রহ না থাকা

একই ধরনের খাবার বারবার দিলে বাচ্চারা বিরক্ত হয়ে খেতে চায় না।

✅️৪. খাবার খাওয়ার সময় জোর করা

খাবার খাওয়ার সময় চাপে ফেললে বা জোর করলেই অনেক সময় বাচ্চারা খাওয়ার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে।

✅️৫. খাবার খাওয়ার আগেই স্ন্যাকস খাওয়া

চিপস, চকোলেট, বিস্কুট, জুস ইত্যাদি খেলে পেট ভরে যায়, ফলে প্রধান খাবারে আগ্রহ থাকে না।

✅️৬. মনোযোগ না থাকা বা খেলায় মগ্ন থাকা

বাচ্চা খেলায় ব্যস্ত থাকলে বা টিভি/মোবাইলে মগ্ন থাকলে খাওয়ার প্রতি মনোযোগ কমে যায়।

---

🟢করণীয়:

✅️বাচ্চার পছন্দ অনুযায়ী খাবার বানানো

✅️নতুন নতুন খাবারের রঙ, স্বাদ ও উপস্থাপন আকর্ষণীয় রাখা

✅️খাওয়ার সময় বাচ্চার সঙ্গে বসে খাওয়া

✅️খাবার খাওয়াতে ধৈর্য রাখা ও জোর না করা

✅️প্রয়োজনে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া

02/07/2025

স্ক্যাবিস এখন মহামারি আকার ধারন করেছে। সবাইকে তাই সচেতন হবার অনুরোধ করছি।

স্ক্যাবিস (Scabies) একটি তীব্র চর্মরোগ, যা Sarcoptes Scabiei নামক এক ধরনের পোকা বা ক্ষুদ্র পরজীবী মাইট (mite) দ্বারা হয়। এটি খুবই সংক্রামক এবং চুলকানির মাধ্যমে এর প্রধান উপসর্গ প্রকাশ পায়।

স্ক্যাবিসের ভয়াবহতা :

১. চরম চুলকানি: স্ক্যাবিস হলে বিশেষ করে রাতে বেশি চুলকানি হয়, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অনেক বাচ্চারা চুলকাতে চুলকাতে ঘুম ভেঙে যায়, যন্ত্রনায় কান্নাকাটি করে।

২. চামড়ায় ফুসকুড়ি ও ক্ষত: স্ক্যাবিস হলে ঘর্ষণ এবং চুলকানোর ফলে চামড়ায় ঘা ও ইনফেকশন হতে পারে। কখনো কখনো চামড়ার নিচে পুঁজ জমে যায়।

৩. পরিবারে দ্রুত ছড়ায়: স্ক্যাবিস রোগে পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে তার সংস্পর্শে এলে পুরো পরিবার এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ এটি।

৪. দীর্ঘমেয়াদে হলে সেকেন্ডারি ইনফেকশন: স্ক্যাবিসের সঠিক চিকিৎসা না হলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, সেলুলাইটিস, এমনকি শিশু রোগীর কিডনি সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে, তাই সচেতনতা ভীষন ভাবে প্রয়োজন।

৫. মানসিক অস্বস্তি: অতিরিক্ত চুলকানি ও অস্বস্তির কারণে শিশুর মানসিক চাপ ও অস্থিরতা তৈরি হয়।

স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায়:

১. চিকিৎসা:

☞ পারমেথ্রিন - ৫% (Permethrin - 5%) ক্রিম: এটি সবচেয়ে কার্যকর। শরীরের গলা থেকে পা পর্যন্ত মেখে রাতভর রেখে সকালে (১০-১২ ঘন্টা শরীরে রাখার পর) ধুয়ে ফেলতে হয়। এই নিয়মে একটু ভুল হলে কোনেভাবেই এউ স্ক্যাবিস রোগ শরীর থেকে যাবেনা। মাসের পর মাস এই রোগের অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। হাজার হাজার টাকা, ১০-১২টা ডাক্তার যাই করেন, কাজ হবেনা। শরীরের এক ইঞ্চি তো দূরের কথা একসূতা পরিমাণ জায়গাও বাদ রাখবেন না, রাতে ওয়াসরুমে গেলে, ওষুধ ধুয়ে গেলে, আবার প্রয়োগ করুন। মনে রাখবেন, ভীষণ জরুরি। না কমলে ৭ দিন পরপর একই নিয়মে ব্যবহার করুন। আর অবশ্যই পরদিন সকালে গায়ে থাকা পোষাক, বিছানার চাদর, বালিশের কাভার সব কিছু গরম পানিতে ৩০ মিনিট ধরে সিদ্ধ করে ধুয়ে ফেলুন। নিজের ও শিশুর শরীর গরম পানি ও বডি ওয়াস দিয়ে ভালো ভাবে রগরে গোসল করুন ও করান।

☞ আপনার শিশুকে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর পর শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী (Permethrin - 5% + Crotamiton) Combined Cream বা Monosulfuram - 25% Solutions ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারবেন।

☞ আইভারমেকটিন (Ivermectin) ওষুধ: কিছু ক্ষেত্রে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আপনার শিশুর স্ক্যাবিস রোগের চিকিৎসায় খাওয়ার ওষুধ দিতে পারেন, বিশেষ করে জটিল ও পুনঃসংক্রমণের ক্ষেত্রে।

☞ অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট: চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। শিশুদের ক্ষেত্রে Syrup বড়দের ক্ষেত্রে ট্যাবলেট।

২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:

আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, বিছানার চাদর, তোয়ালে গরম পানিতে ৩০ মিনিট ধরে সিদ্ধ করে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে।

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে ৩ দিন পর্যন্ত দূরে রাখতে হবে (কারণ রোগ সৃষ্টিকারী পোকা বা মাইট ২–৩ দিন বেঁচে থাকে)।

৩. একসাথে চিকিৎসা:

পরিবারের সকল সদস্যকে একসাথে চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। এমনকি উপসর্গ না থাকলেও। এটা খুবি জরুরি।

৪. নিয়মিত হাত ধোয়া ও শরীর পরিষ্কার রাখাবেন। বাইরে থেকে বাসায় ফিরে সবার আগে ভালো ভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস করবেন। এতে রিইনফেকশন হবার সম্ভাবনা কমে যায়।

02/07/2025

একটা শিশু জন্মের শিশুর শরীরে অনেক অনেক নতুন নতুন রোগের লক্ষণ দেখা যায়, নবজাতকের এমন অনেকগুলো অবস্থা আছে, যেগুলো শিশু বড় হতে হতে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।

জন্মের পর প্রথম ১/২ রাত বাচ্চা প্রচুর কান্নাকাটি করা।

মাথায় খুশকির মত স্তর বা ছোপ ছোপ।

নর্মাল ডেলিভারিতে জন্ম হওয়া বাচ্চার মাথায় উচু ঢিবির মত হওয়া।

মাথার আকার সামান্য অস্বাভাবিক, যেমন- কিছুটা লম্বাটে হওয়া।

বাচ্চার ফেনা ফেনা পায়খানা বা বার বার পায়খানা হওয়া।

প্রতিবার দুধ খাওয়ার সাথে সাথে পায়খানা করা।

বাচ্চা পেশাব করার আগে কান্নাকাটি করা বা ঘুম ভেঙে যাওয়া।

বাচ্চা পায়খানা করার আগে কান্নাকাটি করা বা ঘুম ভেঙে যাওয়া।

বাচ্চার পা জন্ম থেকে কিছুটা বাকা হওয়া- ফিজিওলজিক্যাল বোউইং। (বেশি বাকা হলে সেটা ক্লাব ফুট বা মুগুর পা হতে পারে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে)।

নবজাতকের স্তন কিছুটা উঁচু হওয়া।

নবজাতকের স্তন থেকে দুধ নিঃসৃত হওয়া, ২ মাসের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়।

শিশুর গলা দিয়ে ঘড়ঘড় শব্দ হওয়া।

মাঝে মাঝে হাচি দেয়া বা হেচকি ওঠা।

হঠাৎ ঝাকি খাওয়া বা শরীর কেপে ওঠা।

ছেলেবাচ্চার অণ্ডকোষের আকৃতি কিছুটা বড় বা মেয়েবাচ্চার যৌনাঙ্গ কিছুটা ফোলা থাকা।

মেয়েশিশুর যোণীপথ দিয়ে কিছুটা রক্তক্ষরণ হওয়া।

চোখ সামান্য ট্যারা মনে হওয়া- নাকের অতিরিক্ত পেশীর কারণে এমন হয়ে থাকে।

জন্মের ২৪ ঘণ্টা পর থেকে বাচ্চার চোখ, মুখ হলদেটে হয়ে যাওয়া।

নবজাতকের দেহ, মুখ, হাত-পায় সাদা সাদা ফুসকুড়ি (চারপাশে লাল বর্ডার) মত বের হওয়া।

নবজাতকের কোমর ও পশ্চাদ্দেশের পেছনে বা হাতে পায়ে নীল-বেগুনি ছোপ ছোপ দাগ দেখা যাওয়া।

নবজাতকের নাকে-মুখে সাদা সাদা গুড়ি গুড়ি ঘামাচির মত বের হওয়া।

ঘামাচি বা হিট র‍্যাশ হওয়া।

হাতে বা পায়ে লাল রক্তের ঢিবি বা চাকার মত থাকা। সাধারণত ৫-৯ বছরের মধ্যে ৯০-৯৫% ভালো হয়ে যায়।

গ্যাস বা কনস্টিপেশনের কারণে শিশুর পেট কিছুটা শক্ত ও ফাপা হওয়া।

খাওয়ার পর কিছুটা বমি তুলে ফেলা। এজন্য বাচ্চাদের খাওয়ানোর পর বার্পিং (ঢেকুর তোলা) করানো উচিত।

🔎 এ সমস্ত সমস্যায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একা একাই ভালো হয়ে যায়৷ কোন কোন ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে সামান্য কিছু ঔষধ সেবন প্রয়োজন হতে পারে, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Address

Gomati Hospital Pvt. Ltd. , Nazrul Avenue , Kandirpar
Cumilla

Telephone

+8801711748886

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Professor Dr. Nilufa Parvin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Professor Dr. Nilufa Parvin:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram