Professor Dr. Nilufa Parvin

Professor Dr. Nilufa Parvin DCH, MCPS, FCPS (Paediatrics)
Professor & Head of Department
Mainamoti Medical College
Paediatrician

25/05/2025

স্পিচ ডিলে (Speech Delay) বা বাচ্চার কথা বলতে দেরি হলে বাবা-মায়ের ধৈর্য্য ও সঠিক পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে করণীয় কিছু বিষয় নিচে দেওয়া হলো:

১. **শিশুর সাথে বেশি বেশি কথা বলুন**
প্রতিদিনের কাজগুলো (গোসল, খাওয়া, খেলা) সম্পর্কে বর্ণনা করুন। যেমন: "এখন আমরা হাত ধুবো," "এইটা লাল বল।"
সহজ ও ছোট বাক্য ব্যবহার করুন, উচ্চারণ স্পষ্ট করুন।
শিশুর আওয়াজ বা শব্দের উত্তর দিন (যদি সে "বা-বা" বলে, আপনি বলুন "হ্যাঁ, বলো বাবা !")

২. **ইন্টারেক্টিভ খেলা বাড়ান**
গান, ছড়া, আঙুলের খেলা (যেমন: "টোকা-টোকি মনিমনি") বলুন।
পুতুল/স্টাফড অ্যানিম্যাল দিয়ে স্টোরি টেলিং করুন।
বাচ্চাকে জিজ্ঞাসা করুন: "বলটা কোথায়?" বা "কুকুরটা কি বলছে?"

৩. **বাচ্চার যোগাযোগের চেষ্টাকে উৎসাহিত করুন**
যখন সে আঙুল দিয়ে কিছু দেখায় বা শব্দ করে, সেটার নাম বলুন (যেমন: "ওহ, তুমি গাড়ি দেখেছো! গাড়ি যায় ব্রুম ব্রুম!")।
তাকে কথা বলার সময় দিন, জবাব দিতে চাপ দেবেন না।

৪. **বই পড়ার অভ্যাস করুন**
রঙিন ছবির বই দিন, গল্প বলুন এবং তাকে ছবি দেখিয়ে নাম বলতে উৎসাহিত করুন।
একই বই বারবার পড়ুন—এটি শব্দ শেখার জন্য সহায়ক।

৫. **স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিন**
টিভি/মোবাইল শিশুর ভাষা বিকাশে বাধা দেয়। বদলে লাইভ ইন্টারঅ্যাকশন গুরুত্বপূর্ণ।

৬. **শিশুর শুনার দক্ষতা পরীক্ষা করুন**
যদি শিশু নাম ধরে ডাকলে সাড়া না দেয় বা শব্দের দিকে না তাকায়, অডিওলজিস্টের পরামর্শ নিন।

৭. **বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন**
যদি ২ বছর বয়সে ৫০টির কম শব্দ বলে বা ২-৩ শব্দের বাক্য না বোঝে, **স্পিচ থেরাপিস্ট** বা **শিশু বিকাশ বিশেষজ্ঞ** (Pediatrician/Developmental Specialist) দেখান।
অটিজম বা অন্য ডেভেলপমেন্টাল ডিলে আছে কিনা তা নির্ণয় করুন।

৮. **ধৈর্য্য রাখুন ও ইতিবাচক থাকুন**
শিশুর ছোট ছোট প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করুন (হাসি, ক্ল্যাপ, জড়িয়ে ধরা)।
তুলনা করবেন না—প্রতিটি শিশুর বিকাশের গতি আলাদা।

৯. **সামাজিক মিথস্ক্রিয়া বাড়ান**
পার্কে বাচ্চাদের সাথে মিশতে দিন। দেখাদেখি শব্দ শেখার সুযোগ পাবে।

১০. **বাড়ির পরিবেশ পরীক্ষা করুন**
অতিরিক্ত শোরগোল বা স্ট্রেসফুল পরিবেশ ভাষা শিখতে বাধা দিতে পারে।

**মনে রাখবেন:** অনেক শিশুই স্পিচ ডিলে কাটিয়ে পরে স্বাভাবিকভাবে কথা বলে। তবে প্রাথমিক হস্তক্ষেপ (Early Intervention) সবচেয়ে কার্যকরী। যদি চিন্তা হয়, দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

18/05/2025

বিশ্বের প্রতিটি শিশু তাদের জীবনের প্রথম পাঁচ বছরে একবারের জন্য হলেও রোটাভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়।

- রোটাভাইরাস একটি ভাইরাস যা শিশুদের মারাত্মক ডায়রিয়া এবং বমি সৃষ্টি করে।
- এটি একটি খুব সংক্রামক ভাইরাস।
- রোটাভাইরাসের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই।
- অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিভাইরাল রোটাভাইরাসের সংক্রমণে সাহায্য করে না।

প্রতিরোধের উপায়ঃ

- রোটাভাইরাস টিকা (ভ্যাক্সিনেশন) আপনার শিশুকে রোটাভাইরাল ডায়রিয়া থেকে রক্ষা করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলির মধ্যে একটি।

- শিশুর বয়স ৬ সপ্তাহ বা দেড় মাস পূর্ণ হলে এই টিকা দিতে হয়। কোম্পানি ভেদে ২ বা ৩ টি ডোজ দিতে হয়। ৮ মাস বয়সের মধ্যে সবগুলো ডোজ শেষ করা আবশ্যক।

- মুখে খাওয়ানো টিকা। ইনজেকশনের ঝামেলা নেই।

17/05/2025

কৃমির ঔষধ নিয়ে, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর :-

কৃমির ওষুধ দিনে না রাতে খাবেন, ঠাণ্ডা না গরম পরিবেশে খাবেন, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কৃমির ওষুধ খেলে যে শরীর গরম হয়ে যাবে বা গরম পরিবেশে খেলে শরীরে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে বা শরীরের কোনো ক্ষতি হবে তা নয়। আধুনিক কালে কৃমির ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুবই কম।

এক বছরের পর থেকে কিছু কিছু কৃমির ঔষধ খাওয়া যাবে।কিছু ঔষধ দুই বছরের পর থেকে খাওয়া যাবে।

কৃমির ঔষধ খাওয়ার পর কৃমি মরে গিয়ে পায়খানার সাথে বের হয়ে যায়।আলাদা ভাবে দেখা যায় না।

কৃমির ঔষধ নিয়মিত না খেলে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে - বদহজম, পেট ফোলা,খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া,পেট ব্যথা,বমি বমি ভাব,এলার্জি,অপুষ্টি, রক্ত শুন্যতা।

কৃমির ঔষধ পরিবারের সবাই একসাথে খেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাস কৃমির ঔষধ খাওয়া যাবে না। পরের ৬ মাস ডাক্তারের পরামর্শে কিছু ঔষধ সেবন করা যায়।

প্রতি তিন মাস পর পর পরিবারের সকলে মিলে কৃমির ওষুধ খাওয়া ভাল।

17/05/2025
26/04/2025

গরমে শিশুর #ত্বকের যত্নে করণীয়:

গ্রীষ্মকালে শিশুর ত্বকে ঘাম, লালচে র‍্যাশ, ও জ্বালাপোড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে শিশুর ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

যা করবেন:

1. সুতি কাপড় পরান: হালকা ও ঢিলেঢালা সুতি জামা শিশুর ত্বকে বাতাস চলাচল বজায় রাখে।

2. প্রতিদিন গোসল করান: পরিষ্কার পানি ও মাইল্ড বেবি সাবান ব্যবহার করুন।

3. ঘনঘন শরীর মুছে দিন: বিশেষ করে গরমে ঘাম হলে পরিষ্কার নরম তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে দিন।

4. সানস্ক্রিন নয়, ছায়া বেছে নিন: ৬ মাসের কম বয়সী শিশুকে সরাসরি রোদে নিয়ে যাবেন না। ছায়া বা হালকা কাপড় দিয়ে রক্ষা করুন।প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করুন।

5. ডায়াপার র‍্যাশ থেকে বাঁচাতে: ঘন ঘন ডায়াপার বদলান, প্রয়োজনে বেবি পাউডার বা জিঙ্ক-অক্সাইড ক্রিম ব্যবহার করুন।

6. ত্বক শুষ্ক রাখুন: ঘেমে গেলে বা পানি লেগে গেলে দ্রুত মুছে দিন।

মা হিসেবে সচেতন থাকুন, আপনার শিশু থাকুক সুস্থ ও হাসিখুশি!

26/04/2025

গরমে শিশুর যত্নঃ

হঠাৎ প্রচন্ড গরম পড়েছে।
যদিও বাচ্চারা ঘরেই বেশি থাকে তারপরও প্রচুর পানি, তরল, লেবুর শরবত খাওয়াতে হবে। একটু পর পর কলের পানিতে হাতমুখ ধুয়ে দিবেন। হুট করে ফ্রিজের পানি, আইসক্রিম, বরফ খেয়ে যেনো না ফেলে, নিজেরাও বিরত থাকবেন।

বাচ্চাদের এসময় ঘাম ভালো করে মুছে দিবেন, গরমে ঘামলে ঘাম যেন শরীরে বেশীক্ষন না থাকে। পাতলা সুতি জামা পরাবেন। পানি, তরল, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বা ফল বেশী করে খেতে দিবেন।

অযথা জ্বর মনে করে ঔষধ খাওয়াবেন না। তাপমাত্রা থার্মোমিটারে ১০০ এলে বুঝবেন জ্বর এসেছে । জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ৬ ঘন্টা পর পর দিবেন। ১০২ °f বা বেশি হলে সাপোসিটরী দিতে পারেন তবে ৮ ঘন্টার মধ্যে আরেকটা দিতে পারবেন না। জ্বর হলে মাথা না ভিজিয়ে পুরো শরীর, চিপে ফেলা ভিজে গামছা দিয়ে মুছে দিবেন। নাক বন্ধ থাকলে নাকের ড্রপ দিয়ে নাক পরিস্কার করে দিবেন।

একটু বড় বাচ্চাদের গরমে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব ও মাথা ভারী মনে হতে পারে। এক্ষেত্রে গরম পানির ভাপ নাকে মুখে টেনে নেয়াতে পারেন। খুসখুসে কাশিতে আদা/লেবু চা, মধু, তুলসীপাতার রস, লবঙ্গ ভালো কাজ করে। শাকসবজি ও ফল বেশী করে খাওয়াবেন।

বাচ্চা পানি খেতে চায় না এজন্য অনেক সময় প্রস্রাব কমে গিয়ে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এমন হলে ঘন ঘন পানি তরল খাবার বেশি করে খাওয়াবেন, তলপেটে ঠান্ডা গরম সেক দিলে আরাম লাগবে। কোন কারনে তারপরও প্রস্রাব না করলে বা আঁটকে গেলে বাথরুমে নিয়ে কল ছেড়ে দিয়ে, ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে কাজ হয় ।

আরেকটা সমস্যা সামার বয়েল বা ঘামাচির মতো গোটা। এসব ক্ষেত্রেও গা বার বার মুছে দিবেন, বেশী চুলকানি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

#শিশুর_যত্নে_মায়ের_জিজ্ঞাসা

ডাঃ লুনা পারভীন
এমবিবিএস, ডিসিএইচ
শিশু বিশেষজ্ঞ, বহির্বিভাগ
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট
শ্যামলি।
বিএমডিসি রেজিঃ নং - ৩০৭৩৯

25/04/2025

#শিশুদের খাবার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য নিচের পরামর্শ গুলো অনুসরণ করুন।

➤শিশুদের খাবার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে দুইটি বিষয়কে না বলতে হবেঃ

☞১. খাবার সময় মোবাইল দেখিয়ে খাওয়ানো যাবে না।

☞ ২. জোর করে শিশুকে খাওয়ানো যাবে না. এতে করে খাবারের প্রতি ভয় তৈরি হয়। যেটাকে আমরা Fear response বলি।

➤পাঁচটি বিষয়কে হা বলতে হবে।

☞ ১. একই ধরনের খাবার বারবার দেওয়া যাবে না।
যেমন আপনি যদি ডিম দিয়ে থাকেন প্রতিদিন ডিম সিদ্ধ না দিয়ে আজকে ডিম সিদ্ধ দিলে কালকে ডিম ভাজি করে দিলেন এর পরদিন ডিমের পুডিং করে দিলেন।

✔আপনি যদি দুধ দিয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন তরল দুধ না দিয়ে আজকে তরল দুধ দিলেন কালকের সেমাই করে দিলেন এর পরের দিন পায়েস করে দিলেন।

এভাবে খাবারের মধ্যে বৈচিত্র্যতা নিয়ে আসতে হবে এতে করে একটা শিশুর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে ইনশাআল্লাহ।

✔পরিবেশের বৈচিত্র তার মধ্যে আছে শিশুর খাবারের টেবিল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শিশুর খাবারের জন্য ব্যবহৃত থালা, চামচ এবং বাটি বিভিন্ন রং এর হতে হবে অর্থাৎ আকর্ষণীয় হতে হবে। এতে করে শিশুর খাবারের প্রতি আগ্রহ থাকবে।

☞ ২. শিশুকে পরিবারের সবার সাথে বসিয়ে খাওয়াতে হবে। মা শিশুর সামনে বসবেন চোখের সাথে চোখ রাখতে হবে।

☞ ৩. আপনি যখন খাবার রান্না করবেন তখন আপনার শিশুকে পাশে বসিয়ে রাখবেন এবং দেখিয়ে দেখিয়ে রান্না করবেন এতে করে খাবারের প্রতি তার আগ্রহ তৈরি হবে।

☞ ৪. শিশুকে খাবার বেছে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে অর্থাৎ আপনি মাঝে মাঝেই তাকে জিজ্ঞেস করবেন তুমি কোন ধরনের খাবার খেতে চাও? তোমার কোন ধরনের খাবার পছন্দ এবং আপনি ওই ধরনের খাবার তাকে দিবেন।

☞ ৫. শিশুকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবারগুলো দিতে হবে। আর এই ধরনের খাবার বাড়ির আশেপাশেই পাওয়া যায়। যে সমস্ত খাবারে ভিটামিন বি১,বি৬,বি১২,ফলিক এসিড, জিংক,আয়োডিন থাকে এ সমস্ত খাবার বেশি করে দিতে হবে।

যেমন মাছ, মাংস, দুধ,ডিম,সবুজ শাকসবজি,বাদাম,মটরশুটি ইত্যাদি। মাছের মধ্যে যে সমস্ত মাছের মধ্যে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে সেগুলো শিশুকে দিবেন। শিশুদের জন্য সামুদ্রিক মাছ গুলো সবচেয়ে ভালো।

#আশা করি উপরোক্ত উপদেশগুলো মেনে চললে একজন শিশুর খাবারের প্রতি আগ্রহ তৈরী হবে ইনশাআল্লাহ #

Address

Gomati Hospital Pvt. Ltd. , Nazrul Avenue , Kandirpar
Cumilla

Telephone

+8801711748886

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Professor Dr. Nilufa Parvin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Professor Dr. Nilufa Parvin:

Share