07/10/2024
জীনের আক্রমণ থেকে কীভাবে একজন মানুষের মুক্তি হলো?😭😭😢😢
গ্রামের নাম গুলশানপুর। শান্তিপ্রিয়, সরল মানুষদের বাস ছিল সেখানে। কিন্তু কিছুদিন ধরে রহিম নামের একজন যুবকের জীবন যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। রহিম ছিল গ্রামের একজন সাধারণ মানুষ, পেশায় কৃষক। তার জীবন ছিল সাদামাটা, কিন্তু হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে যেতে শুরু করলো।
# # # # শুরুটা ছিল ছোট ছোট অস্বস্তি
রহিম প্রথমে ছোটখাটো অস্বস্তি অনুভব করছিল। মাঝে মাঝে রাতের বেলায় তার ঘুম ভেঙে যেত, ঘরের চারপাশে অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেত। কল্পনা করতো, যেন কেউ তাকে ডাকছে, কিন্তু চারপাশে কেউ নেই। ধীরে ধীরে তার শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে লাগলো। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎই পড়ে যেত, মাথা ঘুরে যেত, শরীর এমনকি নাড়াতেও কষ্ট হতো। স্থানীয় ডাক্তার, কবিরাজ— সবাই দেখিয়েছে, কিন্তু কোনো উপকার হয়নি।
😭😭😢অজানা ভয়ে জর্জরিত রহিম😢😭😭
একদিন রহিমের মা তাকে বললেন, “বাবা, তোমার এই সমস্যার পেছনে কিছু অশুভ শক্তি কাজ করছে। মনে হচ্ছে, কয়েকটি জীন তোমাকে আক্রমণ করেছে।” রহিম প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারেনি। কিন্তু দিন যত গড়াচ্ছিল, তার অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। তার আচরণ অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছিল, কখনও কখনও একা একা কথা বলত, কখনও চিৎকার করত, আবার কখনও ঘরের জিনিসপত্র ভেঙে ফেলত। তার চোখের পাতা ভারী হয়ে যেত, মুখ দিয়ে ফেনা বেরোত।
রহিমের মা শেষে গ্রামবাসীর পরামর্শে একজন প্রসিদ্ধ হুজুরকে খবর দিলেন, যিনি রুকইয়া শারইয়া করেন। সেই হুজুরের নাম ছিল ক্বারী ইমাম হাসান বিন জামাল। তিনি ইসলামিক পদ্ধতিতে জীনের আক্রমণ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য রুকইয়া করতেন।
🌴🌴রুকইয়া শুরুর প্রস্তুতি🌴🌴
একদিন রহিমকে নিয়ে তার মা, বাবা, এবং গ্রামের কিছু মানুষ হুজুরের কাছে যান। হুজুর রহিমকে দেখেই বুঝতে পারলেন, তার ওপর বেশ কয়েকটি জীন আক্রমণ করেছে। এসব জীন রহিমের শরীরে প্রবেশ করে তাকে কষ্ট দিচ্ছে এবং তার জীবনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
ক্বারী ইমাম হাসান বিন জামাল তাকে বললেন, “এই জীনগুলো তোমার ওপর ক্ষমতা ফলাচ্ছে, কিন্তু ভয় পেয়ো না। আল্লাহ্র সাহায্যে তুমি মুক্তি পাবে। ইনশাআল্লাহ।”
💪💪💪রুকইয়া: আল্লাহর সাহায্যে জীনের বিতাড়ন হবেই ইনশাআল্লাহ!💪💪💪
হুজুর কোরআনের কিছু আয়াত পড়তে শুরু করলেন, যা রুকইয়ার জন্য বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। যখনই তিনি সুরা ফাতিহা, সুরা আল-বাকারার আয়াতুল কুরসি এবং সুরা জিন পড়া শুরু করলেন, রহিমের মধ্যে পরিবর্তন আসতে লাগলো। তার দেহ কাঁপতে শুরু করল, মুখ থেকে অদ্ভুত শব্দ বের হচ্ছিল, যেন কোনো অশুভ শক্তি তার ভেতর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে।
একসময় রহিম হঠাৎই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। হুজুর ক্রমাগত দোয়া পড়ছিলেন, পানি ফুঁ দিয়ে রহিমের মাথায় এবং শরীরে ছিটাচ্ছিলেন। ধীরে ধীরে রহিম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করলো। এক সময় তার দেহ থেকে কাঁপুনি থেমে গেল, এবং সে নীরব হয়ে পড়ল।
♥♥♥রহিমের মুক্তি♥♥♥
রুকইয়ার পর হুজুর বললেন, “জীনগুলো চলে গেছে। আল্লাহ্র কৃপায় তুমি এখন নিরাপদ।” রহিমের মা-বাবা কান্নায় ভেঙে পড়লেন। তারা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন, যে তাদের ছেলে এই ভয়ংকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়েছে। রহিমও ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে শুরু করল।
রহিম বললেন, “যেন আমার দেহের উপর কারও শিকল ছিল। আমি নড়তে পারতাম না, এমনকি নিজের মনও যেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম না। আল্লাহ্র রহমতে আমি এখন মুক্ত।”
👉👉👉 সতর্ক
রহিমের এই গল্পটি শুধু তার নিজের মুক্তির গল্প নয়, এটি সেই বিশ্বাসের গল্প যে আল্লাহ্র ইচ্ছায় সবকিছু সম্ভব। জীন, অশুভ শক্তি থাকলেও, আল্লাহ্র সাহায্যে এবং সঠিক রুকইয়া পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষ সবরকম আক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে পারে। এই ঘটনা শুনে গ্রামবাসী আবেগে ভেসে যায়, তাদের মনে শক্তি এবং সাহস ফিরে আসে।
নোটঃ এমন সমস্যাই যদি কেউ ভুগে কোরআন দিয়ে চিকিৎসা করুন।