Dr.Asma Aktar

Dr.Asma Aktar গাইনী, স্ত্রী রোগ,নিঃন্তান দম্পতি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন

29/07/2025

*গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খুলে যাওয়া (Cervical Insufficiency) এবং এর ম্যানেজমেন্ট*
একটি গুরুত্বপূর্ণ গাইডলাইন।

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ অকালে খুলে গিয়ে (Cervical Insufficiency) প্রি-টার্ম ডেলিভারি বা গর্ভপাত হতে পারে। এটি একটি জটিল কিন্তু ব্যবস্থাপনাযোগ্য সমস্যা। এখানে কারণ, চিকিৎসা, এবং সাফল্যের হার বিশদে আলোচনা করা হলো:

১. জরায়ুর মুখ অকালে খুলে যাওয়ার লক্ষণ ও কারণ
লক্ষণ:
- দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে (৪-৬ মাস) ব্যথাবিহীন জরায়ুর মুখ খুলে যাওয়া।
- যোনিপথে চাপ বা ফুলে যাওয়ার অনুভূতি।
- হালকা রক্তপাত বা স্রাব।

প্রধান কারণ:
- জন্মগত জরায়ুর দুর্বলতা।
- পূর্বের প্রি-টার্ম ডেলিভারি বা বারবার গর্ভপাত।
- জরায়ু সার্জারি (যেমন: Cone biopsy, D&C)।
- ইনফেকশন (যেমন: Bacterial vaginosis)।

২. চিকিৎসা পদ্ধতি
A. সার্ভাইকেল সার্ক্লেজ (Cerclage)
- প্রক্রিয়া: জরায়ুর মুখ সেলাই করে বন্ধ করা (সাধারণত ১২-১৪ সপ্তাহে)।
- সাফল্যের হার: ৮০-৯০% ক্ষেত্রে গর্ভধারণ ৩৭ সপ্তাহ পর্যন্ত টিকে (ACOG, 2023)।

সার্ক্লেজের প্রকারভেদ:
১. ম্যাকডোনাল্ড সার্ক্লেজ: ভ্যাজাইনা দিয়ে সেলাই করা হয় (সবচেয়ে কমন)।
২. শিরোডকার সার্ক্লেজ: জরায়ুর গভীরে সেলাই (জটিল কেসে)।
3. অ্যাবডোমিনাল সার্ক্লেজ: পেট দিয়ে সার্জারি (অতীব জরুরি ক্ষেত্রে)।

B. প্রজেস্টেরন সাপোজিটরি / ইনজেকশন
- হরমোনাল থেরাপি: সাপোজিটরি বা ইনজেকশন (১৬-৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত)।
- কার্যকারিতা: ৩০-৪০% প্রি-টার্ম ডেলিভারি রোধ করে (NEJM, 2023)।

C. পেসারি ডিভাইস
- সিলিকন রিং দিয়ে জরায়ুর মুখ সাপোর্ট দেওয়া (কম ইনভেসিভ)।

৩. সার্ক্লেজ পরবর্তী সতর্কতা ও ফলাফল
সাফল্যের হার:
* প্রথম সেরক্লাজ ৮৫-৯০%
* পূর্বের সার্ক্লেজ ব্যর্থ হলে ৬০-৭০%
* একাধিক গর্ভপাতের ইতিহাস থাকলে ৭৫-৮০%

কী করবেন?
- পূর্ণ বিশ্রাম: ভারী কাজ বা যৌনমিলন এড়িয়ে চলুন।
- নিয়মিত চেকআপ: প্রতি ২ সপ্তাহে আল্ট্রাসাউন্ড (Cervical length মাপা)।
- ইনফেকশন প্রতিরোধ: Antibiotics (যদি ডাক্তার সুপারিশ করেন)।

৪. জরুরি অবস্থায় করণীয়
- যদি পানি ভাঙে বা সংকোচন শুরু হয়:
- তাক্ষণিক হাসপাতালে যান।
- স্টেরয়েড ইনজেকশন (বাচ্চার ফুসফুস পরিপক্ব করতে)।

৫. শেষ পরামর্শ
- আশার কথা: সঠিক চিকিৎসায় ৯০% গর্ভধারণ সফল হয়!
- গুরুত্বপূর্ণ: মানসিক চাপ নেবেন না — নিয়মিত প্রিনেটালinsufficiency

06/06/2025
ব্যথামুক্ত প্রসব কি সম্ভব?মা হওয়া একটি চমৎকার অনুভূতি। কিন্তু এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে একজন নারীকে অনেক কষ্ট পেতে হয়।...
13/05/2025

ব্যথামুক্ত প্রসব কি সম্ভব?
মা হওয়া একটি চমৎকার অনুভূতি। কিন্তু এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে একজন নারীকে অনেক কষ্ট পেতে হয়। নানা জটিলতার কারণে কখনো কখনো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের প্রয়োজন হয়। তবে বেশির ভাগ পরিবারই অবশ্য চান স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে সন্তান হোক।
গর্ভাবস্থায় একজন নারী যত বেশি সক্রিয় থাকবেন, স্বাভাবিক প্রসবের সম্ভাবনা তত বাড়বে। তবে ভারী জিনিস তোলা বা বেশি ওঠানামার কাজ করা যাবে না। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তবে অতিরিক্ত ওজন বাড়ানো ঠিক নয়।
স্বাভাবিক প্রসবের উপকারিতা অনেক। সিজারের মাধ্যমে প্রসবে রক্তপাত ও সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় বেশি। সিজারের পর পেটের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট হয়। মায়ের সুস্থ হতে বেশি সময় লাগে। আর স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশুর শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জিজনিত রোগে ভোগার ঝুঁকি কম।
প্রসব ব্যথামুক্ত করার পদ্ধতি
প্রসবের সময় যেসব স্নায়ু ব্যথার অনুভূতি বহন করে, ওষুধ দিয়ে সেগুলোকে অবশ করে দেওয়া হয়। এর ফলে সন্তান জন্মদানের সময় তীব্র ব্যথা হলেও মা সেটা অনুভব করতে পারেন না। তবে হাঁটাচলা বা অন্য কাজ স্বাভাবিকভাবে করতে পারেন। এই প্রক্রিয়ার নাম ‘এপিডুরাল এনালজেসিয়া’।
লেবার পেইন শুরুর পর থেকে জরায়ুমুখ পুরোপুরি খোলা (১০ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত সময়কে প্রথম পর্যায় ধরা হয়। দ্বিতীয় পর্যায় জরায়ুমুখ পুরোপুরি খোলার পর থেকে প্রসব পর্যন্ত। তৃতীয় পর্যায় শেষ হয় গর্ভফুল বা প্লাসেন্টা ডেলিভারির মাধ্যমে।
প্রথম পর্যায়ে জরায়ুর মুখ যখন ৪–৫ সেন্টিমিটার খুলে যায়, তখনই অবশ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এতে মেরুদণ্ডের ভেতরে একটি প্লাস্টিকের ক্যাথেটার প্রবেশ করানো হয় এবং এখান থেকে কিছুক্ষণ পরপর স্পাইনাল কর্ডের এপিডুরাল স্পেসে ওষুধ দেওয়া হয়। এভাবে সহজেই ব্যথামুক্ত প্রসব করানো সম্ভব।
করণীয়
এপিডুরালের জন্য আগে থেকে একজন নারীকে যাচাই–বাছাই করে নির্ধারণ করতে হয়। গর্ভাবস্থায় অন্তত একবার ‘অ্যানেস্থেসিস্ট’ চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করাতে হবে। প্রসবকালে মা ও বাচ্চাকে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখতে হবে অভিজ্ঞ লোকবল। একজন অভিজ্ঞ অ্যানেস্থেসিস্ট ও জরুরি ভিত্তিতে সিজার করার সুবিধা থাকাটা খুব জরুরি। এ ছাড়া মা ও বাচ্চার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য সিটিজি মেশিনের প্রয়োজন হয়।
যেসব সমস্যা হতে পারে
তবে এই প্রক্রিয়ার কিছু সমস্যা আছে। ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে মা যেহেতু জোরে পুশ করতে পারে না, তাই এখানে সময় বেশি লাগার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়া এই প্রক্রিয়া কিছুটা ব্যয়বহুল। এপিডুরাল দিলেই সব সময় স্বাভাবিক প্রসব সফল হবে তা নয়। অনেক সময় কোনো পর্যায়ে এসে বাচ্চা আটকে গেলে বা বাচ্চার শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত সিজার করার দরকার হতে পারে।

তীব্র তাপপ্রবাহে গর্ভবতী নারীদের যত্নে করণীয়।ঢাকাসহ দেশের আট জেলায় তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমে নাভি...
11/05/2025

তীব্র তাপপ্রবাহে গর্ভবতী নারীদের যত্নে করণীয়।

ঢাকাসহ দেশের আট জেলায় তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল শনিবার (১০ মে) দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশে আরও কয়েকদিন এ ধরনের উচ্চ তাপমাত্রা স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

প্রচণ্ড গরমে প্রয়োজন হয় বাড়তি সর্তকতার। বিশেষ করে, তীব্র তাপপ্রবাহ বা অত্যাধিক গরমে গর্ভবতী নারী ও স্তন্যদানকারী নারীদের একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এ সময়ে গর্ভবতী নারীদের অবস্থা আরও কঠিন হয়ে উঠে। তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার জন্য গর্ভবতীদের কী করতে হবে এবং কী করা যাবে না,
তীব্র গরমে সুস্থ থাকার জন্য গর্ভবতী নারীদের অনেকগুলো বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। তার মধ্যে রয়েছে—
পানির ঘাটতি পূরণ
গরমে প্রচুর ঘাম হওয়ায় পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এজন্য সারা দিন পর্যাপ্ত পানি পান জরুরি। এ ছাড়া প্রচুর ফল ও ফলের রস পান করতে হবে। ন্যূনতম ১৫ গ্লাস পানি খাওয়া জরুরি। এ সময় মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ঠোঁট-মুখ শুকিয়ে যাওয়া—এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া তরল খাবার বা পান্তা ভাত হালকা লবণ দিয়ে খাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
পোশাক
গরমে পোশাক নির্বাচনে সর্তক থাকা জরুরি। আরামদায়ক, হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা প্রয়োজন। সুতি ও শরীরে বাতাস চলাচলে সহায়তা করে, এমন পোশাক পরতে হবে। সাদা বা প্যাস্টেল শেডের (হালকা রং) পোশাক উপযুক্ত।

সূর্যালোক
অন্তঃসত্ত্বা নারীর সরাসরি সূর্যালোকে বেশি সময় না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. ছেহেলী নার্গিস। তিনি বলেন, বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঘরের বাহিরে যাওয়া উচিত নয়। মোটকথা, রোদের সরাসরি সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে।

খাবার
অল্প করে একটু পরপর খেলে উপকার বেশি, কারণ এতে হবু মায়ের পরিপাক প্রক্রিয়ার ওপর বেশি চাপ পড়ে না। এতে শরীরে অধিক তাপও উৎপাদিত হয় না। এ সময় ক্যালসিয়াম, আয়রন, আমিষ ও আয়োডিনযুক্ত খাবার প্রয়োজন। এসব পাওয়া যাবে ফলমূল, শাকসবজি, ডাল, ডিম, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদিতে। কাঁচা, অর্ধসেদ্ধ অথবা বাহিরের অস্বাস্থ্যকর খাবার না। কারণ, এ ধরনের খাবারে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও পরজীবী জীবাণু থাকতে পারে। তখন ডাইরিয়াসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

বিশ্রাম
ঘুম ও বিশ্রাম গর্ভবতী মায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাদের কোনো ধরনের ভারী কাজ করানো যাবে না। ভারী কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। তাই রুমটি ঠান্ডা রাখতে হবে। এসি না থাকলে ফ্যানের নিচে একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি রাখলে রুম শীতল হবে এবং মায়ের জন্য আরামদায়ক হবে।

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম
স্তন্যদানকারী মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর আগে অবশ্যই এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া শিশুদের বাহিরের খাবার দেওয়া যাবে না।

সিজারের পর পরবর্তী বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময়: (একটি গাইডলাইন) 🌟আপনি যদি সিজারিয়ান ডেলিভারির মাধ্যমে মা হয়ে থাকেন এবং এখন আ...
08/05/2025

সিজারের পর পরবর্তী বাচ্চা নেওয়ার সঠিক সময়: (একটি গাইডলাইন) 🌟

আপনি যদি সিজারিয়ান ডেলিভারির মাধ্যমে মা হয়ে থাকেন এবং এখন আবারও গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন, তাহলে এই তথ্য আপনার জন্য! জানুন কতদিন অপেক্ষা করবেন, কেন করবেন এবং কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন—সহজ ভাষায় উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।

⏳ কতদিন অপেক্ষা করবেন?
✅ ন্যূনতম সময়: ১৮ মাস (১.৫ বছর)
✅ আদর্শ সময়: ২৪ মাস (২ বছর)
✅ বিশেষ ক্ষেত্রে (একাধিক সিজার/জটিলতা): ৩৬ মাস (৩ বছর)

📌 কেন এই সময়?
* জরায়ুর দাগ (স্কার) শক্ত হওয়ার জন্য সময়: সিজারের পর জরায়ুতে যে দাগ (স্কার) তৈরি হয়, তা পুরোপুরি শক্ত হতে অন্তত ১.৫-২ বছর লাগে।
* ঝুঁকি কমায়:এই সময় অপেক্ষা করলে জরায়ু ফেটে যাওয়া (Uterine Rupture), প্রিম্যাচিউর বেবি বা প্লাসেন্টা সংক্রান্ত সমস্যা (প্ল্যাসেন্টা প্রিভিয়া, এক্রিয়েটা) এর ঝুঁকি কমে।
* মায়ের শরীর ফিরে পায় শক্তি: সিজার একটি বড় অস্ত্রোপচার, শরীরকে সুস্থ হতে সময় দিন!

⚠️ যথা সময়ের আগেই গর্ভবতী হলে কী করবেন?
যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে ১৮ মাসের আগেই গর্ভধারণ হয়ে যায়, তাহলে:
🔹 তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখান।
🔹 অতিরিক্ত আল্ট্রাসাউন্ড দিয়ে জরায়ুর স্কার থিকনেস পরীক্ষা করান ।
🔹 বিশ্রাম ও কঠোর মনিটরিং এর প্রয়োজন হতে পারে।

💡 বিশেষ টিপস:
✔ গর্ভধারণের আগে:
- প্রি-কনসেপশন কাউন্সেলিং নিন
- ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট শুরু করুন
- জরায়ুর স্কার থিকনেস চেক করান (সোনোর মাধ্যমে)

✔ গর্ভাবস্থায়:
* হাই-রিস্ক প্রেগন্যান্সি কেয়ার নিন
* স্কার মনিটরিং করুন নিয়মিত ।

🚨 কখন আরও বেশি সতর্ক হবেন?
❌ যদি আগের সিজারে জটিলতা থাকে (ইনফেকশন, অতিরিক্ত রক্তপাত)
❌ ৩য় বা ৪র্থ সিজারের পর (ঝুঁকি বেশি!)
❌ বয়স ৩৫+ বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ)।

🎯 শেষ কথা:
"বেশি অপেক্ষা = কম ঝুঁকি"।
সবচেয়ে ভালো হয় আপনার গাইনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও ইতিহাস অনুযায়ী সঠিক সময় নির্ধারণ করা।

💖 সুস্থ মা = সুস্থ শিশু 💖

📌 শেয়ার করুন সব নতুন মায়েদের সাথে, যাতে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন!

Appointment এর জন্য
+8801742477824

23/04/2025

অনিয়মিত মাসিক যেসব রোগের কারণ হতে পারে।

অনিয়মিত মাসিক যেসব রোগের কারণ হতে পারেঅধিকাংশ নারী সংসার আর অফিস সামলে নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার সময় পান না। এতে তাদ...
06/04/2025

অনিয়মিত মাসিক যেসব রোগের কারণ হতে পারে

অধিকাংশ নারী সংসার আর অফিস সামলে নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার সময় পান না। এতে তাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি আসে। ঝিমুনি আসে। কিন্তু এটি যে শুধু পরিশ্রমের কারণে হচ্ছে তা এড়িয়ে যান অনেকেই। আবার ঘন ঘন মূত্রনালির সংক্রমণ, অনিয়মিত ঋতুস্রাবকেও লজ্জা এবং সঙ্কোচের কারণে আড়াল করে থাকেন। এ লক্ষণগুলো দেখা দিলে আমাদের সবার সচেতন হওয়া উচিত।

রাতে দরদর করে ঘাম, বুকে ব্যথা বা পা ফুলে যাওয়া— এসব লক্ষণও বিভিন্ন রোগের সংকেত দেয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে হতে পারে ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ কিংবা অন্য কোনো জটিল অসুখ। কমবয়সি নারীদের মধ্যেও অনেক রোগ বাসা বাঁধছে। কোনো অসুখ দেখা দিলে প্রথম থেকেই সচেতন হওয়া উচিত। এ জন্য কিছু লক্ষণ দেখামাত্রই সতর্ক হওয়া উচিত।

রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে আপনি বুঝবেন ঋতুস্রাবের সমস্যা—

• রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে বারবার পানি পান করেও তৃষ্ণা মিটবে না। ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসবে। অনেক নারীই প্রতিনিয়ত এ সমস্যায় ভোগেন। তাই সতর্ক থাকুন।

• মূত্রনালির সংক্রমণ বারবার ভোগাবে। প্রস্রাবের জায়গায় জ্বালা, চুলকানি, ছত্রাকঘটিত সংক্রমণও হতে পারে।

• রক্তে শর্করা বাড়তে শুরু করলে জরায়ুতে ছোট ছোট সিস্ট হতে পারে। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। গালে, গলায় অবাঞ্ছিত রোম, হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া, অবসাদ এমনকি জরায়ুর উর্বরতাও কমে যেতে পারে।

• ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়ে যাবে। বিশেষ করে কমবয়সি নারীদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হলে ঋতুচক্রে বড় পরিবর্তন আসবে।

• শর্করার পরিমাণ বাড়লে অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ হবে। যদি পরিশ্রম না-ও করেন, তা হলেও দেখবেন সবসময় ক্লান্ত লাগছে। শরীর দুর্বল লাগছে।

• দীর্ঘ দিন রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। নারী-পুরুষ সবার ক্ষেত্রেই একই সমস্যা হতে পারে। তবে নারীদের এই লক্ষণ আগে দেখা দেয়।

• অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস হার্টের রোগের কারণ হতে পারে। পেশি শক্ত হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি করে। ফলে হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়। হার্টে ঠিকমতো রক্ত ও অক্সিজেনের প্রবাহ হয় না। তখন বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় ‘কার্ডিয়োমায়োপ্যাথি’। ডায়াবেটিসের রোগীদেরই এই রোগ বেশি হয়।

• শরীরে অসুখ বাসা বাঁধলে ওজন হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে কিংবা কমে যেতে পারে। হরমোনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে যা করবেনবিভিন্ন অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে রক্তের গ্রুপ ভাগ করা হয়। এবিও ...
12/03/2025

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে যা করবেন
বিভিন্ন অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে রক্তের গ্রুপ ভাগ করা হয়। এবিও গ্রুপিং পদ্ধতিতে চারটি রক্তের গ্রুপ আছে— এ, বি, এবি এবং ও। এই রক্তের গ্রুপগুলোর কোনোটি সাধারণত গর্ভস্থ শিশুর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে না। তবে এবিও গ্রুপের অসামঞ্জস্যতার জন্য ভূমিষ্ঠ শিশুর জন্ডিস হতে পারে। আরএইচ অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে রক্তের গ্রুপ হতে পারে পজিটিভ অথবা নেগেটিভ। এ ক্ষেত্রে যা ঘটতে পারে—
স্বামী-স্ত্রী দুজনের রক্তের গ্রুপ পজিটিভ
গর্ভস্থ সন্তানের রক্তের গ্রুপও পজিটিভ হয়। ফলে মায়ের সঙ্গে সন্তানের রক্তের গ্রুপের সামঞ্জস্য থাকে এবং দুজনই নিরাপদ থাকে।
স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ ও স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ পজিটিভ
গর্ভস্থ সন্তানের রক্তের গ্রুপ পজিটিভ বা নেগেটিভ যে কোনোটাই হতে পারে। তবে মায়ের রক্তের গ্রুপ যেহেতু পজিটিভ, সেহেতু দুজনের কারোরই ক্ষতির শঙ্কা নেই।
স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ
এ ক্ষেত্রে সন্তানের রক্তের গ্রুপও নেগেটিভ হয়। ফলে কোনো সমস্যা হয় না।
স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজিটিভ কিন্তু স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ
গর্ভস্থ সন্তানের রক্তের গ্রুপ পজিটিভও হতে পারে অথবা নেগেটিভও হতে পারে। যদি পজিটিভ হয়, সে ক্ষেত্রে সন্তানের শরীর থেকে কিছু পজিটিভ লোহিত রক্তকণিকা মায়ের শরীরে চলে আসে এবং অ্যান্টিবডি তৈরি করে। সাধারণত প্রথম বাচ্চার কোনো সমস্যা হয় না। তবে পরবর্তী সময়ে মা যদি অন্তঃসত্ত্বা হন এবং গর্ভস্থ সন্তান পজিটিভ রক্তের হয়, তাহলে এই অ্যান্টিবডি সন্তানের লোহিত রক্তকণিকাগুলোকে ধ্বংস করে। ফলে গর্ভস্থ শিশুর শরীরে রক্তশূন্যতা ও জন্ডিস দেখা দেয়। রক্তশূন্যতার মাত্রা তীব্রতর হলে লিভার ও হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা ব্যাহত হয় এবং শিশুর শরীরে পানি জমতে থাকে। তখন গর্ভস্থ শিশুর শরীর ফুলে যায়, যাকে বলে হাইড্রপস ফেটালিস। এ অবস্থায় সঠিক চিকিৎসা না হলে শিশু পেটের মধ্যে মারা যেতে পারে। এ ঘটনা পরবর্তী সব পজিটিভ রক্তধারী শিশুর ক্ষেত্রেই ঘটতে থাকে। তবে সন্তান যদি নেগেটিভ গ্রুপের হয়, তাহলে সাধারণত কোনো সমস্যা হয় না।
রক্তের গ্রুপ এক হলে প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কী
এক. অন্তঃসত্ত্বা প্রত্যেক মায়ের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করতে হবে। সম্ভব হলে সন্তান ধারণের পরিকল্পনা করার সময়ই করে নিন।
দুই. অন্তঃসত্ত্বা মায়ের রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হলে অবশ্যই স্বামীর রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করতে হবে।
তিন. স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজিটিভ হলে মায়ের রক্তে আগেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, দেখার জন্য আরএইচ অ্যান্টিবডি নির্ণয় করতে হবে।
চার. মায়ের শরীরে আরএইচ অ্যান্টিবডি অনুপস্থিত থাকলে ২৮ সপ্তাহে মাকে অ্যান্টিবডি টিকা দিতে হবে এবং সন্তানের জন্মের পর তার রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করতে হবে। সন্তানের রক্তের গ্রুপ পজিটিভ হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুনরায় মাকে টিকা দিতে হবে।
পাঁচ. যদি মায়ের শরীরে আগে থেকেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে আর টিকার কোনো ভূমিকা নেই। ওই মাকে অবশ্যই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অন্তঃসত্ত্বা হিসেবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিতে হবে।

09/03/2025

গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা

গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ক্যালরির প্রয়োজন হয়, তাই স্বাভাবিক সময়ের থেকে তাকে বেশি পরিমাণে খেতে হয়।

পবিত্র রমজান মাসে যেহেতু দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়, তাই এ সময়ে গর্ভবতী মায়েরা রোজা রাখা না রাখা নিয়ে বেশ দ্বিধায় পড়ে যান। একদিকে রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ, অপরদিকে সারা দিন অভুক্ত থাকলে গর্ভস্থ শিশু সঠিক পুষ্টি পাবে কি না, সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা! যদিও ইসলামি নিয়মানুসারে গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়ের রোজা রাখার ওপর শিথিলতার কথা উল্লেখ আছে। তাই গর্ভকালীন অবস্থায় রোজা রাখা অনেকাংশেই নির্ভর করে আপনার শারীরিক অবস্থার ওপর। গর্ভাবস্থায় যদি আপনি সুস্থ-স্বাভাবিক থাকেন ও আপনার গর্ভস্থ শিশুর কোন ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকে তাহলে আপনার রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। তবে বেবির কথা চিন্তা করে আপনি রোজা কাজাও করতে পারেন।

গর্ভকালীন সময়কে আমরা তিনটি ট্রাইমেস্টারে ভাগ করে থাকি। প্রথম তিন মাস বেশ জটিল। এ সময়ে মাতৃগর্ভে শিশুর প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি হয়। তাই মায়ের শরীরে সঠিক মাত্রায় পুষ্টি, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড, পানির সরবরাহ জরুরি। তা ছাড়া এ সময়ে বমি বমি ভাব, বমি, খাদ্যে অরুচি, মাথাব্যথা, ওজন কমে যাওয়াসহ কিছু কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই প্রথম তিন মাসে রোজা না রাখাই ভালো।

মধ্যবর্তী তিন মাসে গর্ভের শিশুর গঠন তৈরি হয়ে যায়। গর্ভবতী মা এ সময় অপেক্ষাকৃত ভালো বোধ করেন। মা ও গর্ভস্থ শিশুর যদি অন্য কোনো শারীরিক জটিলতা না থাকে এবং মায়ের ওজন ঠিক থাকে, তাহলে এ তিন মাসে তার রোজা রাখায় কোনো বাধা নেই। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রথম তিন মাসের মতো শেষ তিন মাসও গর্ভবতী মাকে অধিক সতর্ক থাকতে হয়। এ সময়ে গর্ভের শিশুটি দ্রুত বেড়ে ওঠে। তাই এ সময়ে মা ও গর্ভস্থ শিশুর পুষ্টির বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় আপনি যদি রোজা রাখতে চান, তাহলে রোজা শুরুর আগেই আপনার গাইনকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।

আপনি যদি রোজা পালন করেন তাহলে অবশ্যই নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।
* রোজার ক্লান্তি কমাতে বিশ্রামের মাত্রা বাড়িয়ে দিন।
* দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন।
* অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি এবং পরিশ্রম করবেন না।
* ভারী ওজন বহন করবেন না।
* রাত জাগার অভ্যাস পরিহার করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
* পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
* ইফতারি ও সেহরিতে সুষম খাবার নিশ্চিত করুন।

Appointment এর জন্য
+8801 742477824

Address

Rammala, Gubindpur
Cumilla

Telephone

+8801924146523

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Asma Aktar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category