24/08/2024
বন্যার সময় সাধারণত যেসব রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়, সেগুলো হলো:
ডায়রিয়া: দূষিত পানি ও খাবার গ্রহণের ফলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। এটি বন্যার সময় সবচেয়ে সাধারণ রোগগুলোর মধ্যে একটি।
কলেরা: দূষিত পানির কারণে কলেরা ছড়াতে পারে, যা একটি মারাত্মক পানিবাহিত রোগ। এর ফলে তীব্র ডায়রিয়া ও পানিশূন্যতা দেখা দেয়।
টাইফয়েড: দূষিত খাবার ও পানীয় গ্রহণের মাধ্যমে টাইফয়েড জ্বর হতে পারে। এটি একটি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ যা জ্বর, মাথাব্যথা, এবং ডায়রিয়া সৃষ্টি করে।
হেপাটাইটিস এ: দূষিত পানি বা খাবারের মাধ্যমে হেপাটাইটিস এ ছড়ায়, যা লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি করে। এই রোগে জন্ডিস, বমি এবং ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
ম্যালেরিয়া: বন্যার পর মশার বিস্তার বেড়ে যায়, যার ফলে ম্যালেরিয়া ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ে। ম্যালেরিয়া জ্বর, ঠান্ডা, এবং মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
ডেঙ্গু: বন্যার পানি জমে থাকা স্থানে মশার বংশবিস্তার বাড়ে, ফলে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব হতে পারে। ডেঙ্গুতে তীব্র জ্বর, শরীরে ব্যথা, এবং রক্তপাত হতে পারে।
চর্মরোগ: দূষিত পানি ও কাদায় দীর্ঘ সময় থাকা ফলে ত্বকের সংক্রমণ এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট: ঠান্ডা, আর্দ্রতা ও বৃষ্টির কারণে শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার সমস্যা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এই ঝুঁকি বেশি।
লেপটোস্পাইরোসিস: বন্যার পানি এবং কাদা থেকে এই ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ ছড়াতে পারে, যা জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা এবং কখনো কখনো কিডনি বা লিভারের সমস্যা সৃষ্টি করে।
অপুষ্টি: বন্যার সময় পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাবার না পাওয়ার কারণে অপুষ্টির ঝুঁকি বেড়ে যায়, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে।
এই রোগগুলো থেকে রক্ষা পেতে বিশুদ্ধ পানীয় জল ব্যবহার, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ, এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকা খুবই জরুরি।