
06/02/2025
আমাদের সমাজের অনেকের কাছেই হয়তো "হিজামা" শব্দটি একেবারেই নতুন। এটি রাসুল সাঃ এর নির্দেশিত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি।
আল্লাহ তায়া’লা রাসুল সাঃ কে আমাদের মাঝে রহমত স্বরুপ প্রেরণ করেছেন।রাসুল সাঃ কে অনুসরণ করে,তাঁর জীবনাদর্শ নিজেদের জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুস্থ, সুন্দর উন্নত জীবন যাপনের নির্দেশ দিয়েছেন যার মধ্যে রয়েছে দুনিয়াতে শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি।আলহামদুলিল্লাহ।।
কিন্তু আমরা মুসলিম রা কুরআন সুন্নাহ এ-র চর্চা,,গবেষণা ও অনুশীলন থেকে দূরে সরিয়ে রেখে নিজেদেরকে আল্লাহর নিয়ামত থেকে বঞ্চিত করছি।।
আর তারই ফল স্বরুপ,, প্রযুক্তির উন্নয়ন এ,, আধুনিক যন্ত্রপাতির অন্তরালে,, রাসুল সাঃ নির্দেশিত এই চিকিৎসা পদ্ধতি টি আজ অজ্ঞাত অবহেলিত।।
অথচ,, আফসোস এর বিষয় বিধর্মীরা ঠিকই গবেষণার মাধ্যমে একে আধুনিকায়ন করে,, এর চর্চার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।চীন দেশে এটি বহুল প্রচলিত,, তাদের ঐতিহ্যগত চিকিৎসা হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে।।
আলহামদুলিল্লাহ।। আমাদের দেশেও বর্তমানে কিছু ডাক্তার ও আলেম চিকিৎসক এর মাধ্যমে এই 'হিজামা' চিকিৎসা পদ্ধতির অনুশীলন,,চর্চা ও প্রয়োগ শুরু হয়েছে।।
আর তাই সকলের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ,, আসুন আমরা রাসুল সাঃ এর একটি মুছে যাওয়া সুন্নাহ কে পূণর্জীবিত করি।
রাসুল সাঃ বলেছেন,, "তোমরা যে পদ্ধতিতে চিকিৎসা কর তার মধ্যে হিজামা সর্বোত্তম.।" আবু দাউদঃ২০৯৭
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বর্ণনা করেছেন,,ফেরেশতা গণ বলেন,,"হে মুহাম্মাদ আপনার উম্মত কে হিজামার আদেশ দিন।।" তিরমিজিঃ৩৪৯৭
কাজেই আমি মনে করি আমরা যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্ট পাচ্ছি,,তাদের উচিৎ আল্লাহ তায়া’লা র উপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল করে,, রাসুল সাঃ এর নির্দেশিত এই চিকিৎসা পদ্ধতি 'হিজামা' গ্রহণ করে,, তিন ভাবে উপকৃত হওয়া,,
# রাসুল সাঃ এর সুন্নাহ পালনের মাধ্যমে সওয়াব অর্জন।।।
# রোগ থেকে আল্লাহর রহমত এ মুক্তি লাভ।।
# কোনো রকম পার্শপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত থাকা।।
আলহামদুলিল্লাহ,,,
আলহামদুলিল্লাহ,,,
আল্লাহ আমাদের কবুল করুন।।
আমীন ইয়া রাব্বুল আলামীন।।