05/10/2022
মানুষ কষ্ট করতে চায় না, ধৈর্য ধরতে চায় না। মানুষ চায় ম্যাজিকাল কিউর। আমি যেমন ছিলাম তেমন থাকব কোনো একটা অলৌকিক কিছু দিয়ে আমার রোগ ভাল হয়ে যাবে। মানুষ এমনটাই চায়। কিন্তু আসলে তা তো হয়না।
আমরা রোগের জন্য মেডিসিন নেই। যেকোনো মেডিসিনের সাইড ইফেক্ট থাকে। মেডিসিন মানেই ক্যামিকেল। এগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন সিস্টেমকে প্রক্রিয়াজাত করে কাজ করে। বেশিরভাগ মেডিসিন শরীরের হয় কোনো কিছু একটা বাড়িয়ে দেয় বা কমিয়ে দেয়। তাই পারতপক্ষে যেকোনো মেডিসিন এভয়েড করা উচিত। সেটা এমনকি প্যারাসিটামল হলেও। আমরা ডাক্তারগণ মেডিসিন দেই প্রযোজন অনুসারে। আমরা লাইফস্টাইল পরিবর্তনের কথাও বলি। কিন্তু বেশিরভাগ রোগীর কাছে মেডিসিন যেভাবে প্রিয় সেভাবে উপদেশ কিন্তু প্রিয় না!
ডায়াবেটিস, হাই প্রেশারের রোগীগণ মনে করেন ওষুধ খেয়ে কন্ট্রোল থাকলে এরপর খাওয়া দাওয়া উল্টাপাল্টা হলেও সমস্যা নেই। তাদের দিন দিন ওষুধের পরিমাণ ও ডোজ বাড়তে থাকে কিন্তু তাদের লাইফস্টাইলে তেমন কোনো পরিবর্তন তারা করে না। তারা হাই ডেজের ওষুধ খেয়ে কন্ট্রোল থাকাকে ভাল থাকা মনে করে অথচ তারা জানেনা এভাবে দিন দিন হাই ডোজের ওষুধ খাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের শরীরটাকে নষ্ট করে ফেলা হয়। এছাড়া ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার ইত্যাদি রোগের কম্প্লিকেশন হিসেবে হার্ট, কিডনি, চোখ, ব্রেইন ইত্যাদি অঙ্গের স্থায়ী ক্ষতি করা তো আছেই।
তাই আমাদের উচিত লাইফস্টাইল মডিফিকেশনের মাধ্যমে এসব রোগ থেকে মুক্তির চেষ্টা করা। নিয়মিত ব্যায়াম করা, রোজা রাখা, খাবার থেকে চিনি, মিষ্টি জাতীয় জিনিস বাদ দেয়া, কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে ফেলা। ভালো আঁশযুক্ত খাবার, শাক-সবজি, বাদাম, অলিভ অয়েল ইত্যাদি খাওয়া। মেটাবোলিক সিন্ড্রোমগুলো যেমনঃ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ফ্যাটি লিভার, হাই কোলেস্টেরল ইত্যাদি লাইফস্টাইল মডিফিকেশনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা এবং সুস্থ থাকা যায়।
মানুষ জিজ্ঞেস করে ভালো থাকার জন্য কী খাব? ভালো থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার সেটা হলো না খাওয়া!
Dr Shafayat Hossen Limon