Sajal's Diet Falsafa

Sajal's Diet Falsafa খাবারকে ভয় পেয়ে নয়, সুস্থ থাকুন খাবারকে ভালোবেসে!! Many diseases that can be reversed through diet can never be cured through medicine.

If you feel exhausted to treat your Chronic diseases like diabetes, heart disease, stroke, osteoporosis, fatty liver, obesity, ovarian cysts or reproductive complications,
A proper diet with a proper lifestyle may become the best thing ever happened to you. Food is the medicine of future.

লবন খাওয়া কমালেই কি প্রেসারের সমস্যা কমে যাবে নাকি আরো কিছু করা দরকার??খাবার লবন কম খেলে প্রেসার কন্ট্রোলে থাকে এই ধারনা...
06/12/2025

লবন খাওয়া কমালেই কি প্রেসারের সমস্যা কমে যাবে নাকি আরো কিছু করা দরকার??

খাবার লবন কম খেলে প্রেসার কন্ট্রোলে থাকে এই ধারনাটার বিপক্ষে লেইটেস্ট সায়েন্টিফিক এভিডেন্স পাওয়া গেছে। বরঞ্চ, এখন বলা হচ্ছে, প্রয়োজন অনুযায়ী লবন না খেলে আপনার ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পাবে এবং ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল আপনার জন্য অধিকতর কঠিন হয়ে পড়বে। এমনকি হৃদরোগের ঝুকিও বাড়বে। আগে ভাবা হত যে সোডিয়াম ইনটেক আপনি যত বাড়াবেন, হার্ট ডিজিজ রিস্ক ততই বাড়বে। কিন্তু ২০১৬ সালে উনপঞ্চাশটা দেশের এক লাখ তেত্রিশ হাজার একশো আঠারো জন মানুষ যাদের মধ্যে ৬৫ হাজার ৫৫৯ জন হাইপারটেন্সিভ(উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত) ও ৬৯ হাজার ৫৫৯ জন নরমোটেন্সিভ(স্বাভাবিক রক্তচাপ) মানুষের ওপর চালানো এক গবেষনায় দেখা যায়, হার্‌ট ডিজিজের রিস্ক লবন খাওয়া বাড়া-কমার সাথে সাথেই বাড়ে কমে ব্যাপারটা এমন না। বরঞ্চ, ব্যাপারটা অনেকটা U শেইপড লুপের মত কাজ করে। একটা নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কম লবন খেলেও হার্ট ডিজিজের রিস্ক বাড়ে, নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি খেলেও একই পরিমান রিস্ক বাড়ে(১১%)।

ড. বেঞ্জামিন বিকম্যান এক্ষেত্রে আরো দুটো স্টাডিকে উল্লেখ করেছেন। একটা ২২৭ জনের ওপর করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে স্বাভাবিকের চেয়ে যারা কম লবন খান(দিনে ২৩০০ এমজির নিচে) তাদের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়তে থাকে।
১৫২ জনের ওপর করা আরেকটা স্টাডিতে সাবজেক্টদেরকে এক সপ্তাহ করে লো সল্ট ডায়েট ও হাই সল্ট ডায়েটে রেখে দেখা গেছে লো সল্টে যারা থাকেন তাদের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায়।
৩৮৯ জনের ওপর করা আরেকটা স্টাডিতে সল্ট সেন্সিটিভ এবং সল্ট রেজিস্ট্যান্ট সাবজেক্টদের আলাদা করে এক সপ্তাহ করে লো সল্ট ও হাই সল্ট ডায়েট দেয়া হয় । সেখানেও দেখা যায়, উভয় গ্রুপেই ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বেড়েছে।

এটা কিভাবে ঘটে??

সল্ট সেন্সিটিভ হচ্ছেন তারা, যাদের এক্সট্রা সল্ট(দিনে ৩ গ্রামের বেশি সোডিয়াম) বা সোডিয়াম খেলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে, আর সল্ট রেজিস্ট্যান্ট হচ্ছেন তারা যারা বেশ খানিকটা এক্সট্রা সল্ট খেলেও সাধারনত ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে থাকে।

আপনার ব্লাড প্রেসার দীর্ঘমেয়াদে নিয়ন্ত্রিত হয় মূলত কিডনির মাধ্যমে। সল্ট সেন্সিটিভ যারা, তাদের কিডনি অতিরিক্ত লবন দ্রুত ফ্ল্যাশ করতে পারে না ফলে তাদের লবন খেলেই বিপি বেড়ে যায়। কারো ক্ষেত্রে এটা জিনেটিক, কারো ক্ষেত্রে এটা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা স্ট্রেস থেকে হয়।

আবার অনেকে আছেন যাদের কিডনি দ্রুত সল্ট শরীর থেকে বের করে দিতে পারে, তারা সল্ট রেজিস্ট্যান্ট এবং তারা লবন বেশি খেলেও (দিনে ৮-১০ গ্রাম সোডিয়াম) বিপি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ে না।

তো যারা সল্ট সেন্সিটিভ, তাদের ক্ষেত্রেই মূলত ডায়েটে সল্ট রেস্ট্রিক্ট করা হয় সারা পৃথিবীতে। বলা হয় লবন কম খেতে। হাইপারটেনশনে ভোগা রোগীদেরকে বাই ডিফল্ট সল্ট সেন্সিটিভ বলে ধরা হয় ম্যানেজমেন্ট দেয়ার সময়।

সমস্যাটা হচ্ছে, লবন কম খেলে এই রোগীদের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যাচ্ছে রেনিন এনজিওটেনসিন এলডোস্টেরন সিস্টেম নামের একটা সিস্টেমের মাধ্যমে। ব্লাডে সোডিয়াম কমলেই এল্ডোস্টেরন বেড়ে যায় সোডিয়াম কন্সেন্ট্রেশন বাড়ানোর জন্য, আর এল্ডোস্টেরন বাড়লেই বাড়ে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স।

চেইন রিএকশনের মত, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থেকে আবার হাইপারটেনশান বাড়তে পারে, কিডনির আউটপুট আরো খারাপ হতে পারে, রক্তে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়ে লিপিড প্রোফাইল খারাপের দিকে যেতে পারে এবং সর্বোপরি রোগী ওয়েট গেইন করতে পারে।

এত এত কথা লেখার কারন কি??

কারনটা হল, ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল ও কার্ডিওভাস্কুলার হেলথ ইমপ্রুভমেন্টের জন্য কম লবন খাওয়াই যে সমাধান না সেটা বোঝানো।

সমাধানটা তাহলে কোথায়??

সমাধানটা এখানে লো কার্ব ডায়েট ও সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের যথেষ্ট ইনটেকে।

লো কার্ব ডায়েট ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়, পটাসিয়াম ও সোডিয়ামের ২ঃ১ থেকে ৪ঃ১ রেশিও বিপি পুরোপুরি স্বাভাবিক রাখে এবং ম্যাগনেসিয়াম আপনার এড্রেনাল গ্ল্যান্ড-হার্ট-ব্রেইনকে শান্ত রাখে তার এন্টি স্ট্রেস মেকানিজমের মাধ্যমে।

তাই ব্লাড প্রেসার বাড়লে খাবার থেকে লবন একেবারে বাদ না দিয়ে বরঞ্চ কার্ব ইনটেক ৫০% এর বেশি থাকলে তা কমান, লবন আপনি কতটুকু নিতে পারেন তার মাত্রা বুঝতে চেষ্টা করুন(দিনে ২ গ্রাম থেকে ১০ গ্রামের মধ্যে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম লবনের মাত্রায় স্বাভাবিক থাকেন) এবং আপনার ডায়েটে ম্যাগনেসিয়াম-পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন সবুজ শাক, কাঠবাদাম, আখরোট, পাম্পকিন সিড, সানফ্লাওয়ার সিড, শিম, ডালজাতীয় খাবার, বিট পাতা, সুইস চার্ড, ডালিম, তরমুজ ইত্যাদি খেতে পারেন। সুস্থ একজন মানুষ দিনে দেড় চামচ লবন(৩৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম) খেলে তার জন্য সবজি খাওয়া উচিত প্রায় ৪৫০-৬০০ গ্রাম যদি এনাফ পটাসিয়াম খেতে চান। পরিমানটা কিন্তু অনেক!! তাই যথেষ্ট শাকসবজি খেতে যারা চান না, অতিরিক্ত লবন তাদের খাবার অনুমতি দিতে আমি রাজি নই।
লেইটেস্ট স্টাডি অনুযায়ী বলা হচ্ছে আমেরিকান সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে সোডিয়াম ইনটেইকের যে লিমিট বেধে দিয়েছে(২৩০০ মিলিগ্রাম), সেটা প্রয়োজনের চেয়ে কম। ৩০০০ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত দিনে লোয়ার লিমিট, আপার লিমিট হওয়া উচিত ৬০০০ মিলিগ্রাম।

কিন্তু শুধু সোডিয়াম ইনটেইকের পরিমান দিয়ে রক্তচাপ ও হৃদরোগকে বুঝতে যাওয়া বা আমাদের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্সকে বুঝতে যাওয়া বোকামি। সাধারন মানুষের জন্য তো বিষয়টা সম্ভবই না। তাই আমার পরামর্শ হলো, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করতে খাবারের ক্ষেত্রে ওপরে দেয়া নির্দেশনা অনুসরন করুন।

তেইশ বছর বয়সে একটা মেয়ে উড়তে চায়। কিন্তু ওজনটা যখমন হয় একশোর কাছাকাছি, চাইলেও তখন আর ওড়া যায় না। এর সঙ্গে যদি যোগ হয় ডায়...
05/12/2025

তেইশ বছর বয়সে একটা মেয়ে উড়তে চায়। কিন্তু ওজনটা যখমন হয় একশোর কাছাকাছি, চাইলেও তখন আর ওড়া যায় না। এর সঙ্গে যদি যোগ হয় ডায়বেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম আর হাইপারটেনশান, তেইশ বছরকে কি আসলে ফিল করা সম্ভব?? একশো মাইক্রোগ্রাম থাইরক্স নিয়েও থাইরয়েড লেভেল স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছিল মেয়েটা, বেড়েই চলেছিল ওজন।

সারজিনার সমস্যা এখানেই শেষ ছিল না, তার ছিল গ্রেড টু ফ্যাটি লিভার, ক্রনিক এংজাইটি ডিজর্ডার। ভিটামিন ডি সহজে বাড়তোই না, ইনফ্ল্যামেশানের কারনে প্রায়ই জ্বর জ্বর ভাব থাকতো, আর থাকতো গা ব্যথা। কিছু একটা হলেই আতঙ্কিত হয়ে যেত মেয়েটা, বেচে থাকাটা তার কাছে ছিল ক্লান্তিকর।
প্রথম দিনটা তার চোখে ছিল ক্লান্তি, কিন্তু ভেতরে ছিল একরাশ জেদ। ও বলেছিল, “আমি বদলাতে চাই, আমি পারব।”

সারজিনার শুরুটা কঠিন ছিল, ডায়েট ছিল কঠোর।
১৮ ঘণ্টার ফাস্টিং, লো কার্ব, হাই ফ্যাট। প্রথম কয়েক সপ্তাহে তার মুখে ছিল অস্বস্তি, শরীরে ছিল ক্লান্তি। কিন্তু ধীরে ধীরে শরীর যেন নতুন ছন্দে অভ্যস্ত হয়ে উঠল। যেহেতু তোমার শরীর কার্ব স্মার্টলি ইউজ করছে না, অতএব, তোমাকে আমি অন্য ফিউয়েলে চালাবো।

নিউট্রিশনাল এসেসমেন্ট করলাম, বোঝা গেল, তার পক্ষে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

মাত্র ৬০ দিন লো কার্ব হাই ফ্যাট করার পরেই দারুন উন্নতি দেখা গেল। প্রতিটা রিপোর্ট যেন সারজিনার জয়ের সাক্ষী দিচ্ছিল,
মাত্র দুই মাসে তার শরীর থেকে ঝরে গেলো ১৩ কেজি ওজন।
তাঁর গ্লুকোজ লেভেল, যা একসময় খালি পেটে ৬.৭২ ছিল তা নেমে এলো স্বাভাবিকের কোঠায়—৪.৭১, অর্থাৎ ২৯.৯% হ্রাস।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের পতন। HOMA-IR ৫.৬৩ থেকে কমে ১.৫৩ হলো! প্রায় ৭২.৮% হ্রাস। ইনসুলিন সেনসিটিভিটি ৮৩% বেড়ে গেলো অর্থাৎ তাঁর শরীর এখন ইনসুলিনের প্রতি স্বাভাবিক রেস্পন্স দিচ্ছে।
ভিটামিন ডি-এর মাত্রা ১৩.৭ ng/mL থেকে বেড়ে বিস্ময়কর ৯০ ng/mL হলো—৭০০% বৃদ্ধি! শরীরের দুর্বলতা কেটে যেতে শুরু করল। TSH স্বাভাবিক সীমায় এসেছে → থাইরয়েড লেভেল একদম আইডিয়াল রেঞ্জে চলে এলো।
আর ফ্যাটি লিভার ডিজিজ গ্রেড ২ থেকে নেমে এলো গ্রেড ১-এ!

বর্তমানে তাকে ২৪ ঘণ্টার ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এবং লো-কার্ব, হাই-ফ্যাট ডায়েট দেওয়া হয়েছে যা তার সুস্থতার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
শরীর আরও কার্যকরভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারবে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা আরও স্থিতিশীল হবে, এবং দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স নিয়ন্ত্রণে থাকবে। লো-কার্ব ডায়েট লিভারের উপর চাপ কমাবে, ফলে ফ্যাটি লিভার আরও উন্নতি করবে। হাই-ফ্যাট ডায়েট তাকে দীর্ঘ সময় তৃপ্ত রাখবে, অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা কমাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

সবচেয়ে বড় কথা, এই ধরণের ফাস্টিং শরীরে অটোফ্যাজি প্রক্রিয়া সক্রিয় করবে যা পুরনো ও ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে ভেঙে নতুন কোষ তৈরি করে। এর ফলে ইনফ্ল্যামেশন কমবে, হরমোনের ভারসাম্য আরও ভালো হবে, এবং সার্বিকভাবে তার শরীর ও মন দুটোই হালকা হয়ে উঠবে।

হ্যা, আমরা কিন্তু ক্যালরি কাট করি নি!!

কম খেতে খেতে ক্লান্ত একটা মানুষকে আমএয়া হাতে কলমে দেখিয়েছি, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং যদি একজন দক্ষ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্টের সাথে করা যায়, সেটা কতটা বদলে দিতে পারে রোগীর জীবনকে।

সারজিনাকে আমরা ৫৬ কেজিতে নিয়ে যেতে চাই। এই সময়ের মধ্যে আমরা তার শরীরকে এমনভাবে বদলে দিতে চাই যেন ওজন কমানোর জন্য তার আর সারাবছর ডায়েট না করতে হয়, ইনশা আল্লাহ।

পাচটা কমন নিউট্রিশন মিথঃ১)প্রোটিন বেশি খেলে মাসল বেশি হয়এইটা পুরাই আজগুবি ধারনা। মাসল বেশি হবে যখন আপনি ওয়েট তুলবেন, ওভা...
04/12/2025

পাচটা কমন নিউট্রিশন মিথঃ
১)প্রোটিন বেশি খেলে মাসল বেশি হয়

এইটা পুরাই আজগুবি ধারনা। মাসল বেশি হবে যখন আপনি ওয়েট তুলবেন, ওভার অল পরিশ্রমী জীবনযাপন করবেন এবং যথেষ্ট ক্যালোরি ও প্রোটিন খাবেন। শুধু প্রোটিন বেশি খেলে মাসল বাড়ে না।
পাশাপাশি, গ্রোথ হরমোন ও টেস্টোস্টেরন হরমোন স্বাভাবিক না থাকলে প্রোটিন বেশি খেয়েও মাসল গ্রোথ হয় না।

২)প্রচুর এক্সারসাইজ করলেই ওজন কমে।
এটা এখন পর্যন্ত অপ্রমানিত। আপনি বাংলাদেশের যেকোন জিমের ফিমেইল সেকশনে গেলে এর প্রমান পাবেন। ভুল ডায়েটের সাথে ভুল এক্সারসাইজ প্ল্যান যুক্ত হলে উলটো স্ট্যাটিক ওয়েটের সমস্যা পারমানেন্ট হয়ে যেতে পারে।

৩)শাক সবজিতে প্রচুর ভিটামিন পাওয়া যায়।

এটাও আসলে সত্যি না। আপনি যেকোন ভিটামিনের টপ ২০ সোর্স বের করতে গেলেই ট্রর পেয়ে যাবেন।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে কনভার্সন ও এবজর্পশন অর্থাৎ বায়োএভেইলেবিলিটি।

প্ল্যান্ট সোর্স থেকে ভিটামিন এক্টিভ ফর্মে কনভার্ট ও এবজর্ব করাটা যথেষ্টই জটিল এবং যাদের স্টমাক-গাট-প্যানক্রিয়াস যথেষ্ট সক্রিয় না, তাদের প্ল্যান্টস থেকে ভিটামিন খেলেও তা শরীরে এক্টিভ ভিটামিনে রুপ নেয়ার শতকরা হার কম থামে।

ভিটামিনের সবচে ভাল সোর্স হচ্ছে প্রানীর কলিজা(লিভার), মগজ, ভুড়ি, ডিমের কুসুম, মাছের তেল।

৪)বিদেশীরা কাচা সবজি খায় বলে হেলদি থাকে।
এটাও একটা গারবেজ আইডিয়া।
কাচা সবজি খেলে বেশি হেলদি থাকা যায় এই আইডিয়া আউটডেটেড হয়ে গেছে। কারন কাচা সবজিতে কীটনাশক, সার, টক্সিন এগুলা ইন্ট্যাক্ট থেকে যায়। সেই সাথে, বেশিরভাগ সবজি কাচা খাওয়ার জন্য আমাদের গাট তৈরি না।

যেসব প্রানী কাচা শাক-সবজি খেয়ে বেচে ঘাকে, তাদের পেটের আকার বিশাল হয়(গরিলা, শিম্প্যাঞ্জি, গরু, ঘোড়া)৷ আমাদের পেট ততটা বড় না।

৫)মসলা বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিক হয়।
এটা আসলে একটা অভিজ্ঞতা, সায়েন্টিফিক্যালি প্রোভেন ট্রুথ না।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মানুষ বেশি নসলার খাবারে জিনেটিক্যালি এডাপ্টেড।
কিন্তু এখানে মূল সমস্যাটা হচ্ছে নিম্নমানের তেল(অনেক ক্ষেত্রে যেটাকে তেল মনে করা হচ্ছে সেটা আসলে প্রাকৃতিকভাবে তেল হওয়া সম্ভবই না( ও ভেজাল মসলা ব্যবহার, বিশেষভাবে স্ট্রিটফুড ও ভোজ্যতেলে।

খাটি মসলা ও প্রাকৃতিক তেল পরিমানে কিছুটা বেশি খেলেও পেট খারাপ হয় না।

এছাড়া, আমাদের অনেকেই হাইপোক্লোরাইডিয়ার সমস্যায় আক্রান্ত, পেটে প্রয়োজনের চেয়ে এসিড কম।

তাদের সামান্য মসলাদার খাবার ও একটু বেশি তেল হলেই পেটে জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়।

এই ভুল ধারনাগুলো থেকে বেচে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সঠিক জ্ঞানের চর্চার মাধ্যমে খাবারের সাথে সাথে উপভোগ করবেন জীবনকে।

পারভীন আপু (ছদ্মনাম) এসেছিলেন তার আল্ট্রাসোনোগ্রাফি রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে। তিনি নিতান্তই তার পেট ব্যথার কারণ খুজতে গি...
02/12/2025

পারভীন আপু (ছদ্মনাম) এসেছিলেন তার আল্ট্রাসোনোগ্রাফি রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে। তিনি নিতান্তই তার পেট ব্যথার কারণ খুজতে গিয়ে বুঝতে পারলেন তিনি PCOs এ আক্রান্ত। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো তার সেরকম কোন সিম্পটমস ছিল না,এমনকি তার পিরিয়ড ছিল রেগুলার। রেগুলার আল্ট্রাতে দেখা গেল তার ওভারির সাইজ কিছুটা বড়।তিনি চাচ্ছিলেন কোনরকম মেডিসিন ছাড়া সম্পুর্ণ লাইফস্টাইল চেইঞ্জের মাধ্যমে তার বডি ঠিক করা। এভাবেই তার সজল' স ডায়েট ফালসাফা তে আগমন। আসার পর আরও কিছু টেস্টের মাধ্যমে বোঝা গেল তার ইস্ট্রোজেন ডমিনেন্স,লো প্রজেস্টোরন, ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স,লো ভিটামিন ডি,নরমাল ওয়েট ওবেসিটি র মত কিছু কম্পপ্লিকেশন রয়েছে।
তারপর শুরু হয় তার জীবন বদলাবার যাত্রা। আপু যখন এসেছেন তখন তার ওয়েট ছিল ৫৭ কেজি,হাইট ৫.৩"। কিন্তু বডি মেজারমেন্ট ছিল এলোমেলো।
প্রথম প্ল্যানে তাকে ১৬ ঘন্টার ইন্টামিটেন্ট ফাস্টিং দেওয়া হয় ৩ মাসের জন্য। যার উদ্দেশ্য ছিল ইন্সুলিন রেজিস্ট্যান্ট,PCOS কিউর করা এবং প্রজেস্টোরন লেভেল বাড়ানো। আপু এই প্ল্যানটি ৯৮% ফলো করেছেন।
১.৫ মাস পর দেখা গেল প্রজেস্টেরন লেভেলর তেমন উন্নতি না ঘটলেও তার PCOS অনেকটাই কমে গিয়েছে। ওভারির সাইজ কমে এসেছে।২ মাস পর তাকে আবার ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এ ১.৫ মাসের ফলোআপে রাখা হয়।
এই প্ল্যানটি আপু ৫০% ফলো করেছেন এতেই আপুর প্রজেস্টোরন লেভেল অনেকটা বেড়েছে এবং আল্ট্রার রিপোর্ট পুরোপুরি নরমাল।
আপুকে আবার টাইম রেস্ট্রিকটেড ইটিং এ ৩য় ফলোআপ দেওয়া হয়েছে ৩ মাসের জন্য। এর মধ্যেই তিনি খুব ভাল ফিল করছেন। অনেক এনার্জেটিক,আগের মত বার বার ক্ষুদা লাগে না। হোপফুলি নেক্সট অ্যাপয়েন্টমেন্ট এ উনাকে রিলিজ দিয়ে দিতে পারবো ইন শা আল্লাহ।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যাদের ওজন বেশি তাদের পরামর্শ দেয়া হয়, খাওয়া কমান এবং এক্সারসাইজ বাড়ান।ওবিসিটিতে আক্রান্ত মানুষটা খাওয়া...
01/12/2025

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যাদের ওজন বেশি তাদের পরামর্শ দেয়া হয়, খাওয়া কমান এবং এক্সারসাইজ বাড়ান।

ওবিসিটিতে আক্রান্ত মানুষটা খাওয়া কমান। দেখা যায়, শুরুর দিকে কম খাওয়াকে সম্মান দেখিয়ে ওজনও খানিকটা কমে। তারপর আবার থেমে যায়।

ফলে রোগী খাওয়া আরো কমান। আগেরবারের ঘটনা থেকে পরীক্ষিতভাবে প্রমানিত, কম খেলে ওজন কমে। অতএব আরো কম খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা চালান রোগী।

৫শো গ্রাম থেকে ২ কেজি ওজন আরো কমে।

কিন্তু ধীরে ধীরে শরীর ঠান্ডা হতে শুরু করে। এরপর আসে লো ব্লাড প্রেসার, এরপর খিটখিটে মেজাজ। অলসতায় ধরে, সারাক্ষনই অবসন্ন লাগে। চোখের সামনে সব অন্ধকার হয়ে আসে মাঝে মাঝে। পাগলের মত ক্ষুধা পায় অথবা একেবারে রুচিই নষ্ট হয়ে যায়।

এই অবস্থায় সবাই মিলে তাকে বলতে শুরু করে তুমি অলস, তাই মোটা। আসলে, তার এনার্জি নাই, এজন্য সে অলস। অলস হওয়ার আগেও সে মোটাই ছিল।

সবচেয়ে বড় ব্যাপার, অভিযোগটা সত্যিও হয়ে থাকতে পারে। তার আসলে হয়তো কখনোই যথেষ্ট এনার্জি ছিল না। কারন তার শরীর ভালোকরে এনার্জি তৈরি করতে পারে না। যেহেতু শরীর এনার্জির অভাবে ভোগে, তাই সে বারবার খায় এবং খুব কম মুভমেন্ট করে। কারন আসলেই সে দুর্বল।

ব্যাপারটা কেমন জট পাকিয়ে গেল বলে মনে হচ্ছে না?? অনেকটা ডিম আগে না মুরগী আগের মত অবস্থা!!

আসলে ব্যাপারটা এমনই।

ওবিসিটি বা স্থুলতা(অতিরিক্ত ওজন) শুধু অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা থেকে হয় না। এটা শরীরের এনার্জি উৎপাদনে থাকা ডিফেক্টের কারনেও ঘটতে পারে। শুধু কম খেয়ে এই সমস্যার কোন সমাধান সম্ভব নয়।

প্রকৃতপক্ষে, সমাধান তখনই সম্ভব, যখন আমরা এই এনার্জি মেটাবলিজমের ত্রুটিগুলো সারিয়ে তুলি।

অতিরিক্ত ওজন নিজে সমস্যার গোড়া না হয়ে প্রায়ই দেখা যায় অন্য সমস্যার ফলাফল হিসেবে দেখা দেয়।

সুস্থ একজন মানুষের খাওয়া কমালে ওজন কমে যায়। কিন্তু ডিফেক্টিভ এনার্জি মেটাবলিজমে আক্রান্ত কোন মানুষ খাওয়া কমালেই তার ওজন কমবে না।

তাই, যারা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজনের কাউকে দেখলেই খাওয়া কমাতে আর দুইবেলা দৌড়াতে পরামর্শ দেন, তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সঠিক নন।

আপনি যদি চান যে আপনার কখনো ডায়বেটিস না হোক, অথবা যদি আপনি চান যে, আপনার ব্লাড সুগার সবসময় ইনসুলিন ছাড়াই কন্ট্রোলে থাকুক,...
30/11/2025

আপনি যদি চান যে আপনার কখনো ডায়বেটিস না হোক, অথবা যদি আপনি চান যে, আপনার ব্লাড সুগার সবসময় ইনসুলিন ছাড়াই কন্ট্রোলে থাকুক, আপনার ব্যায়াম করা উচিত।

সঠিক মাত্রায় ব্যায়াম আমাদের শরীরের গ্লুকোজ মেটাবলিজম পুরোপুরি বদলে দিতে পারে, যার মাধ্যমে বাড়তি কোন সাপ্লিমেন্টস বা সুপারফুড ছাড়াই আপনার শরীর গ্লুকোজকে চমৎকারভাবে ব্যবহার করা শুরু করে।

যে হরমোনটা আমাদের ব্লাড থেকে গ্লুকোজ নিয়ে মাসল সেলে পৌছে দেয় তা হচ্ছে ইনসুলিন। টাইপ টু ডায়বেটিসের একদম কোর প্রবলেমগুলোর একটা হচ্ছে, ব্লাড থেকে গ্লুকোজ মাসলে বা লিভারে ঠিকভাবে জমা হতে পারে না।
এর কারন হচ্ছেঃ
১)কোষের ভেতর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় গ্লুকোজ গ্লাইকোজেন আকারে ডিপোজিট থাকতে পারে, ফলে কোষ গ্লুকোজ গ্রহন করতে চায় না। এই পরিস্থিতিতে বাড়তি গ্লুকোজ কোষে প্রবেশ করাতে আমাদের ইনসুলিন বা গ্লুকোজ লোয়ারিং ড্রাগ প্রয়োজন হয়, তাতে রক্তের গ্লুকোজ কমলেও কোষের গ্লুকোজ কোড বাড়ে এবং কোষে গ্লুকোটক্সিসিটি তৈরি হয়। ফলে বাড়ে ভবিষ্যতে মেটাবলিক ডিজিজের সম্ভাবনা।

২)কোষে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গ্লাইকোজেন ও ইনসুলিন লোড থাকলে অগ্ন্যাশয় থেকে তৈরি হওয়া ইনসুলিন কোষে সহজে প্রবেশ করতে পারে না। এই অবস্থাকে বলা হয় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। এধরনের পরিস্থিতিতে দিনকে দিন আমাদের বেশি ইনসুলিন ব্যবহার করতে হয়।

৩)অতিরিক্ত ইনসুলিন/গ্লাইকোজেনের উপস্থিতিতে কোষে থাকা মাইটোকন্ড্রিয়াগুলোর এটিপি বা এনার্জি কয়েন তৈরি করার ক্ষময়া কমে যায় এবং মাইটোকন্ড্রিয়াগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় যাকে আমরা মাইটোফ্যাজি বলি। মাইটোফ্যাজি মূলত I3PK এবং mTOR পাথওয়েকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ফলে হয়। ফলে আমরা খাওয়া দাওয়া করলেও একপ্রকার শক্তিহীনতা বোধ করতে থাকি কারন মাইটোকন্ড্রিয়া শক্তি উৎপাদন করে না। পক্ষান্তরে, হাইপারইনসুলিনেমিয়ার কারনে নতুন মাইটোকন্ড্রিয়া সৃষ্টির যে প্রক্রিয়া, মাইটোজেনেসিস তা থেমে যায়, পুরানো মাইটোকন্ড্রিয়ার মেরামত প্রক্রিয়াও থেমে থাকে।

ব্যায়াম, এই সবগুলো প্রক্রিয়াকেই রিভার্স করে দিতে ভুমিকা রাখে।

ব্যায়াম আপনার ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়ায়, কোষের গ্লুকোজ বার্ন রেট বাড়ায় এবং মাইটোকন্ড্রিয়াকে রিজেনারেট করে। ফলে একটু বেশি খেয়েও একজন ব্যায়াম করা মানুষ থাকতে পারেন সুস্থ-স্বাভাবিক।

তাই ডায়বেটিক-নন ডায়বেটিক যেটাই হোন না কেন, প্লিজ ব্যায়াম করুন!!
আর হ্যা, যত ব্যায়ামই করুন না কেন, চিনি এবং অতিরিক্ত ভাত-রুটি-আলু খেলে কিন্তু ব্লাড গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রনে থাকবে না।

তাই ডায়বেটিকদের সুস্থ থাকতে চাই ব্যায়ামের সাথে মডারেট বা লো কার্ব ডায়েট।

অন্তরা (ছদ্মনাম) আপুর গল্পটা শুরু হয়েছিল একদম সাধারণ ভাবেই—২৬ বছর বয়স, উচ্চতা ৫ ফুট, ওজন ৬৯ কেজি।পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকা ...
29/11/2025

অন্তরা (ছদ্মনাম) আপুর গল্পটা শুরু হয়েছিল একদম সাধারণ ভাবেই—
২৬ বছর বয়স, উচ্চতা ৫ ফুট, ওজন ৬৯ কেজি।
পাঁচ বছর ধরে চলতে থাকা ওবেসিটি, তার সাথে টাইপ–২ ডায়াবেটিস, হাইপারইনসুলিনেমিয়া, প্রবল ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, ভিটামিন–ডি ঘাটতি, ডিসলিপিডেমিয়া, হরমোনাল ইমব্যালান্স এবং হারসুটিজম—সব মিলিয়ে অনেক ধরনের সমস্যায় শরীরটা যেনো একসাথে অনেকদিকে টান দিচ্ছিলো।

প্রথম ভিজিটেই আমি তাকে জানালাম—ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স যতদিন স্ট্রং থাকবে, ততদিন শরীরের কোনো সিস্টেমই ঠিকভাবে কাজ করবে না। শুরুতেই তাকে টাইম–রেস্ট্রিকটেড ইটিং উইন্ডো, মডারেট আমাউন্ট এ কার্ব–প্রোটিন–ফ্যাট এবং প্রয়োজনীয় কিছু সাপ্লিমেন্ট দিয়েছিলাম, যাতে মেটাবলিক সিস্টেম একটু শান্ত হতে পারে।

এক মাস পরে তিনি ওজন কমিয়ে ৬৪ কেজিতে ফলো–আপে আসেন । বডি মেজারমেন্টেও পরিষ্কার পরিবর্তন। সমস্যাগুলো পুরোপুরি ঠিক হয়নি, কিন্তু দিকটা বদলাতে শুরু করেছে—এটা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাইন। এবার তার ডায়েট প্ল্যান পরিবর্তন করে দেওয়া হলো—লো কার্ব, মডারেট প্রোটিন ও হাই ফ্যাট, সাথে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং।

এরপর ২.৫ মাসের মাথায় তৃতীয় ভিজিটে তিনি আমাদের যে খবরটি দিলেন, তা সত্যিই আনন্দের—অন্তরা আপু এখন ৬ সপ্তাহের প্রেগন্যান্ট (এটাই আপুর প্রথম প্রেগন্যান্সি)। তার ওজন নেমে এসেছে ৫৭ কেজিতে। এই সময়ের মধ্যে অ্যাকানথোসিস নিগ্রিকানস অনেকটাই কমে গেছে, টেস্টোস্টেরন লেভেল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মোট ১২ কেজি ওজন কমিয়ে শরীরকে তিনি এমন অবস্থায় নিয়ে এসেছেন, যেখানে গর্ভধারণ সম্ভব হয়েছে—আলহামদুলিল্লাহ্।

তবে তার সব জটিলতা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাই এই প্রেগন্যান্সি আমরা হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি (HRP) হিসেবেই বিবেচনা করছি। তিনি এখন আমাদের HRP প্রটোকলে আছেন। ইন শা আল্লাহ্ সুস্থ একটি বাচ্চা পৃথিবীতে আসবে—আমরা সেই আশাই করছি, এবং আপুর জন্য রইলো আন্তরিক শুভকামনা।

মসুর ডাল কিন্তু হার্টের জন্যেও খুবই ভাল।মসুর ডাল খেলে এইচডিএল বাড়ে এবং এলডিএল কমে। যদিও তার মানে এই না আপনি দুধ চা আর সফ...
28/11/2025

মসুর ডাল কিন্তু হার্টের জন্যেও খুবই ভাল।
মসুর ডাল খেলে এইচডিএল বাড়ে এবং এলডিএল কমে। যদিও তার মানে এই না আপনি দুধ চা আর সফট ড্রিংক্স খাবেন, ধুমপান করবেন আর ডাল খেলে সেটা নরমাল হয়ে যাবে। মূল কথা হচ্ছে যাদের কোলেস্টেরল বেশি তারা বদঅভ্যাসগুলো বাদ দেয়ার সাথে সাথে মসুর ডাল নিয়মিত খেতে পারেন।

ইদুরকে মসুর ডাল খাওয়ানোর পর দেখা গেছে এটা ব্লাড প্রেসার কমাতেও হেল্প করে। মানুষের ক্ষেত্রে সেটা হবে কিনা তা নিশ্চিত না, কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য অন্যতম সেইফ ফুড হচ্ছে মসুর ডাল। মসুর ডালে থাকা কিছু কম্পাউন্ড আমাদের যে রক্তনালীগুলো আছে সেগুলোকে প্রসারিত হতে সাহায্য করে এনজাইম্যাটিক রিএকশনের মাধ্যমে। ফলে মানুষে এটা রক্তচাপ কমাতে সহযোগিতা করে তা বলাই যায়।

আমরা চেম্বারে প্রায়ই অনেকের হোমোসিস্টিন লেভেল বেশি পাই, যা হার্ট ডিজিজের একটা অন্যতম রিস্ক ফ্যাক্টর। মসুর ডাল ভিটামিন বি-৬ ও বি-৯ সমৃদ্ধ, এগুলো হোমোসিস্টিন লেভেল কমিয়ে আমাদের আর্টারিকে সেইফ রাখে।

যারা একই সাথে বাড়তি ওজন ও হার্ট ডিজিযে ভুগছেন, তাদের জন্যেও মসুর ডাল চমৎকার খাবার, কেননা এটা যেমন হার্টের জন্য ভালো, তেমনি রুচি নিয়ন্ত্রনেও সহায়ক।

হার্টের রোগীদের জন্য তাই মসুর ডাল একটা স্মার্ট ফুড চয়েস।

বাংলাদেশের নিউট্রিশন ডিপার্টমেন্টগুলো এখনো ইন্ডাস্ট্রি ওরিয়েন্টেড না। ফলে নিউট্রিশন গ্র‍্যাজুয়েটদের মধ্যে ক্যারিয়ার নিয়ে...
28/11/2025

বাংলাদেশের নিউট্রিশন ডিপার্টমেন্টগুলো এখনো ইন্ডাস্ট্রি ওরিয়েন্টেড না। ফলে নিউট্রিশন গ্র‍্যাজুয়েটদের মধ্যে ক্যারিয়ার নিয়ে দ্বিধা, সিদ্ধান্তহীনতা ও ক্ষেত্রবিশেষে হতাশা কাজ করে। সামনের দিনে সেক্টরের সবচেয়ে বড় জব সেক্টর সম্ভবত হতে যাচ্ছে আরবান নিউট্রিশন, যেখানে ডায়েটিটিক্স, ফুড বায়োকেমিস্ট্রি, ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের মত কোর্সগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিভার্সিটিগুলোর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই কোর্সগুলো ক্লিনিক্যাল প্র‍্যাক্টিস করছেন এমন নিউট্রিশনিস্টদের দিয়ে নেয়ানো হয় না। ফলে ক্লিনিক্যাল সেটিংসে আসলে কি করতে হয় এটা স্টুডেন্টদের বুঝতে পাস করার পরে আরো ৪-৫ বছর লেগে যায়। এই গ্যাপটা দূর করতে ক্লিনিক্যাল প্র‍্যাক্টিশনারদের সঙ্গে ফ্যাকাল্টির ব্রিজিংটা অত্যন্ত জরুরী, যাদের অন্তত ৫+ বছরের প্র‍্যাক্টিসিং এক্সপেরিয়েন্স আছে।

গতকাল ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির নিউট্রিশন এন্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ফাইনাল ইয়ার স্টুডেন্টদের ডিফেন্স বোর্ড ভাইভা নিয়ে আমার মনে হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকের শেখার আগ্রহ ও পরিশ্রমের মানসিকতা টপ টায়ার পাবলিক ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। ফাইনাল ইয়ারে গিয়ে ফার্স্ট-সেকেন্ড ইয়ারের বেইসিকগুলো ভুলে যাওয়া বা এক্সটার্নালের সামনে এসে নার্ভ হারিয়ে ফেলার সমস্যাটা কাউকে কাউকে একটু বেশি ভুগিয়েছে। আমি আশা করবো, নিউট্রিশনকে আরো গভীর থেকে জানার জন্য তারা তাদের প্রচেষ্টাকে আরো জোরদার করবে।

কয়েকজন স্টুডেন্ট ভাইভা দিতে গিয়ে কেদে ফেলেছে, তাদের অবস্থা দেখে নিজের ইউনিভার্সিটি লাইফের কথা মনে পড়ে গেল। অনেক কষ্টে হাসি চেপেছি আর ভেবেছি, স্যাররা তাহলে আমাদের নিয়ে এভাবেই হাসতেন 😛

Daffodil International University 'র নিউট্রিশন এন্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট হেড ড. নিজাম স্যার এবং Engr Juwel Rana ভাইকে ধন্যবাদ তাদের চমৎকার ব্যবস্থাপনার জন্য। ড্যাফোডিলকে খুবই গোছানো আর সুন্দর একটা ক্যাম্পাস মনে হয়েছে।

ড্যাফোডিল নিউট্রিশন এন্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট যেভাবে চিন্তা করছে তা ঠিকঠাক ইমপ্লিমেন্ট করা গেলে এবং সে মানের ছাত্রছাত্রী পেলে সামনে এখান থেকে বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রি সুপারস্টার বের হওয়া সম্ভব আগামী ৮-১০ বছরের মধ্যে। বেস্ট অফ লাক ড্যাফোডিল।

সারাক্ষন ক্লান্তি লাগার সমস্যাটা নিয়ে কাল পোস্ট দিয়েছিলাম এবং সেখানে তিনটা কারন এবং তা দূর করার উপায় কি তাও লিখেছিলাম।আজ...
27/11/2025

সারাক্ষন ক্লান্তি লাগার সমস্যাটা নিয়ে কাল পোস্ট দিয়েছিলাম এবং সেখানে তিনটা কারন এবং তা দূর করার উপায় কি তাও লিখেছিলাম।

আজকে সারাক্ষনই ক্লান্তি লাগার আরো কয়েকটা কারনের কথা বলবো।

১)ভিটামিন ডি'র অভাবঃ ভিটামিন ডি লেভেল ৫০ এর নিচে গেলেই শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে কম এনার্জি তৈরি করতে থাকে। কিন্তু ৩০-৫০ এই লেভেলে থাকা অবস্থায় আপনি আলাদাভাবে এটা যে ভিটামিন ডি'র অভাব তা বুঝতেই পারবেন না। আমরা যদি একজন মানুষ হিসেবে নিজের ফুল এনার্জি-ফুল পটেনশিয়ালে থাকতে চাই, ভিটামিন ডি লেভেল থাকা উচিত ৫০ এর ওপরে।

এটা ঠিক করার সবচে সহজ উপায় হল ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নেয়া। ৩ মাস পরপর টানা ৪ সপ্তাহ ৩ দিন পরপর ৪০ হাজার আইইউ যে কেউ নিতে পারেন, এক্ষেত্রে ডোজ শুরু করার আগে ও পরে ডি লেভেল চেক করে নিলে ভাল হয়, অন্যথায় ডোজিং ভুল হলে তার জন্য অন্য কাউকে দায়ী করা চলবে না।
তবে কিডনি ডিজিজ, ক্যালসিয়াম ইমব্যালেন্স, গলস্টোন থাকলে ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ নিয়ে তারপর ভিটামিন ডি নেবেন।

রোদে থাকতে বললাম না কেন??
স্যরি, শুধু ভিটামিন ডি'র জন্য এত রোদে থাকার সময় এখন কারোই নাই, এটা বললে মানুষ বেজার হলেও আসলে এটাই সবচে সত্যি কথা।

২)আয়রন ডেফিসিয়েন্সি-এই সমস্যাটা মেয়েদের মধ্যে ভয়াবহ বেশি। সবচে বড় কথা, থাইরয়েড লেভেল ঠিক না থাকলে এই সমস্যা দূর করা অসম্ভব। যাদের আয়রন লেভেল কম, যপথেষ্ট পরিমান টক-সাইট্রাস ফল খাবেন রোজ, সাথে ছোট মাছ বা গরু-খাসীর গোশতের কোন বিকল্প নেই। গাঢ় রঙের শাক-সবজি খাবেন এবং আয়রন জাতীয় খাবার খাওয়ার ২ ঘন্টার মধ্যে দুধ জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল।
অতি অবশ্যই, ধুমপান থেকে একশো হাত দূরে থাকবেন।

৩)গ্লুকোজ লেভেল ওঠানামা করাঃ ৩০ বছর বয়সের ওপরে এবং মেয়েদের মেন্স সাইকেলের প্রথম ও শেষ সপ্তাহে এটা প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা। গ্লুকোজ লেভেল ওঠানামা করলে মানুষের মেজাজও প্রচুর খিটখিটে থাকে। এজন্য দেখবেন অনেককে লো ক্যালরি ডায়েটে রাখলে তাদের মেজাজ সারাক্ষনই গরম থাকে, ওদিকে গায়ে কিন্তু শক্তি নাই।

উপায় কি??

উপায় সোজা, কার্বোহাইড্রেট খাবেন হাই ফাইবার ওয়ালা। সাদা রঙের কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে খাবারে লাল-বাদামী রঙের কার্বোহাইড্রেট বাড়াবেন এবং ডায়েটে ফ্যাট রাখবেন অন্তত ৩০%। তবে যদি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থাকে, তাহলে আপনার ভিটামিন বি-১ লেভেল চেক করার প্রয়োজন পড়তে পারে, নাহলে বছরভর ডায়েট করেও হয়তো এই সমস্যা থেকে বের হতে পারবেন৷ আ।

৪)টেস্টোস্টেরন লেভেল লো থাকাঃ পুরুষ মানুষের টেস্টোস্টেরন লেভেল লো থাকলে বাকি সব ঠিক থেকেও, এমনকি সত্যিকার অর্থে দুর্বলতা না থাকলেও ক্লান্তি লাগতে পারে সারাদিন। টেস্টোস্টেরনের নিউরোকেমিক্যাল ইফেক্ট মারাত্মক। মাত্র ২৫% টেস্টোস্টেরন বাড়লেই বহু মানুষের চিন্তাভাবনা মানসিকতা রুচি সব বদলে যেতে দেখা যায় প্রায়ই।

টেস্টোস্টেরন যদি কম থাকে, আপনাকে অতি অবশ্যই আপনার পুরো ডায়েট এবং লাইফস্টাইলে হাত দিতে হবে। ওয়ারিয়র হরমোন এত সহজে বাড়ে না আবার সহজে কমেও না।

বেশিরভাগ লো টেস্টোস্টেরন কেইস অন্য শারীরিক সমস্যার ফলাফল। আমাদের অতি চালাক রোগীরা পিল নিয়ে বা ইঞ্জেকশান নিয়ে এই সমস্যা দূর করতে চান। এটা আখেরে আরো খারাপ ফলই নিয়ে আসার সম্ভাবনা থাকে,।

আপনি কেন ক্লান্ত থাকেন এটা জানলে অবশ্যই সমস্যাটার সমাধান করা সম্ভব, এখানে লিখেই দেয়া আছে।

শুধু এখন মিলিয়ে দেখেন, কোন কোন কারন আপনার মধ্যে উপস্থিত আছে।

সারাদিনই ক্লান্ত লাগে যাদের, তারা কি করবেন??আমার উত্তর হল, প্রথমে আপনাকে খুজে বের করতে হবে আপনার আসলে কেন ক্লান্ত লাগে। ...
26/11/2025

সারাদিনই ক্লান্ত লাগে যাদের, তারা কি করবেন??

আমার উত্তর হল, প্রথমে আপনাকে খুজে বের করতে হবে আপনার আসলে কেন ক্লান্ত লাগে। সারাক্ষনই ক্লান্ত লাগার ব্যাপারটাকে ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম বলা হয়।

বেশিরভাগ মানুষের ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম কয়েকটা সুনির্দিষ্ট কারনে হয়।

১)শরীরে লবনের ঘাটতি।
বিজ্ঞানের ভাষায় ইলেক্ট্রোলাইট ডেফিসিয়েন্সি। সোডিয়াম ও প্টাসিয়ামের অভাবে ঘটে এটা।
মেয়েদের মধ্যে যারা সারাক্ষন বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডের বিভিন্ন জটিল বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে ব্যস্ত থাকেন তাদের এটা বেশি দেখা যায়।
অতীতে একিউট ট্রমার শিকার হয়েছেন এমন অনেকের মধ্যেও এটা উপস্থিত থাকে। বেশিরভাগ হাইপোথাইরয়েড রোগীদেরও এই ইলেক্ট্রোলাইট ইম্ব্যালেন্সে ভুগতে দেখা যায়।

সমাধানের উপায় কি??
ইলেক্ট্রোলাইট টেস্ট করেন।
পটাসিয়াম ৪ এর কম থাকলে সবুজ শাক খান দিনে অন্তত তিনশো গ্রাম করে। সোডিয়াম ১৩৭ এর কম থাকলে খাবারে এক্সট্রা লবন ব্যবহার করা যেতে পারে।

২)ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সি।
ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সি ক্লিনিক্যালি ডিটেক্ট করা আসলে খুবই ঝামেলার ব্যাপার। কিন্তু প্রচুর মানুষের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সির নানান সিম্পটমস দেখা যায়। সারাদিন ক্লান্তি লাগে যাদের তাদের প্রায় সবাইই ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্ট। আপনার ক্লান্তির সাথে যদি রাতে ঠিকমত ঘুম না আসা বা বিকেলের দিকে প্রায়ই প্যানিক এটাক হওয়ার উপসর্গ থাকে, খুব সম্ভবত আপনি ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্ট।

এধরনের সমস্যা হলে সবচে ভাল হয় ম্যাগনেসিয়াম সাইট্রেট বা গ্লাইসিনেট জাতীয় সাপ্লিমেন্ট নেয়া।

৩)অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন অথবা অতিরিক্ত কম স্ট্রেস হরমোন অথবা ওঠানামা করা স্ট্রেস হরমোন
দেখেন স্ট্রেস হরমোন সবারই ২৪ ঘন্টার চক্রে ওঠানামা করে। সাধারনত সকাল ৮টার দিকে সবচে বেশি স্ট্রেস হরমোন বেরিয়ে আমাদের ঘুমটা ভাঙিয়ে দেয় আর রাত ৯টার পর সবচে কমে গিয়ে আমাদের ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে। কিন্তু যাদের স্ট্রেস হরমোন সঠিক সময়ে বডি ক্লক অনুযায়ী স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে না, তারা ক্লান্তি বোধ করেন বেশি। অনেকেই আছেন সকালে ও সন্ধ্যায় ক্লান্তিতে একেবারে নেতিয়ে পড়েন।
এটা ঠিক করার উপায় সংক্ষেপে লেখা সম্ভব নয়। তবে রাতে ঘুমানোর আগে অশ্বগন্ধা পাউডার খেলে সাধারনত এই সমস্যাটা কমে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর সাথে ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স ও ম্যাগনেসিয়াম ডেফিসিয়েন্সি দুটোই উপস্থিত থাকে। তাই স্ট্রেস হরমোন রিলেটেড ফ্যাটিগ দূর করা সবচেয়ে কঠিন ও সময়সাপেক্ষ।

তবে সকালে ও বিকেলে এককাপ করে মাচা টি এক্ষেত্রে বেশ সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে।

কিছু ছোট ছোট ট্রিক থেকে আমরা আমাদের জীবনে অনেক বড় বড় চেঞ্জ আনতে পারি। একটু চেষ্টা করে দেখুন ভালো থাকার।

সুস্থতা আসলে এতটাও কঠিন না।

শীতে সর্দির হাত থেকে বাচতে খুব সহজ কিছু ট্রিক আপনি ফলো করতে পারেন, সর্দি একেবারেই হবে না তা বলবো না কিন্তু যারা খুব বেশি...
25/11/2025

শীতে সর্দির হাত থেকে বাচতে খুব সহজ কিছু ট্রিক আপনি ফলো করতে পারেন, সর্দি একেবারেই হবে না তা বলবো না কিন্তু যারা খুব বেশি সর্দি-কাশি হাপানিতে আক্রান্ত হন, তারা এই ট্রিকগুলো করলে আগের চেয়ে ভাল থাকবেন।

-দিনে দু কাপ আদা চা খাওয়া এবং সালাদে প্রতি ২০০ গ্রামে ৫-১০ গ্রাম আদার কুচি ব্যবহার করা। আদার এন্টাই ইনফ্ল্যামাটরি, এন্টাই ব্যাকটেরিয়াল গুন আছে এবং এটা এন্টাই অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটা আপনাকে সর্দি থেকে সুরক্ষা দিতে কাজে লাগবে।

-হলুদের গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমলকির রসের সঙ্গে লেবুর রস ও হলুদ মিশিয়ে সামান্য লবন যোগ করে সকালবেলা নিয়মিত পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

-রসুন অত্যন্ত শক্তিশালী এন্টাই মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট৷ রসুন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ তার এলিথাইমিন ও এলিসিন কনটেন্টের জন্য, এছাড়াও রসুন আমাদের শরীরকে এক মহামূল্যবান কম্পাউন্ড তৈরিতে সাহায্য করে, যার নাম নাইট্রিক অক্সাইড। শীতের সকালে এক থ্রকে দুই কোয়া রসুন আপনার সর্দি ঠেকাতেই শুধু কাজে আসবে না বরঞ্চ হার্টকেও ভালো রাখবে৷ তবে যারা ব্লাড প্রেসার ও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছেন, দিনে ৫ গ্রামের বেশি রসুন নেয়ার আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেবেন।

-সরিষা বাটা/কাসুন্দি-একদম অথেনটিক দেশী টোটকা। সরিষা বাটা/সরিষা ভর্তা বা কাসুন্দি শীতের দিনে ভাতের সাথে খেলে সর্দির প্রকোপ থেকে অপেক্ষাকৃত সেইফ থাকবেন এটা একেবারে হাজার বছরের পুরানো ফোক রেমেডি।

-জলপাই-আমলকি-লেবু-কমলা-দেশী বরই শীতের এই ফলগুলো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, শআর শীতে বাড়তি ভিটামিন সি আমাদের মত দুষিত বাতাসের শহরে সবারই প্রয়োজন। অতএব, এই ফলগুলো খেতে চেষ্টা করুন। টমেটো আর ধনেপাতাও ভিটামিন সি কনটেন্টের দিক দিয়ে ভালো এজন্য যে এগুলো কাচাই খাওয়া যায়। ফলে অন্য অনেক ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের মত রান্না করলে যে ভিটামিন সি টা লস হয় এখানে সেটা হবার সম্ভাবনা কম।

-দিনে একবার পালংশাক খাওয়া-শীতের আলটিমেট সুপারফুডগুলোর একটা। পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন সি, ফসফরাস, ছয় ছয়টা অতি প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্ট আছে। তবে পালংশাক আসলে ভাপ দিয়ে অথবা হালকা আঁচে রান্না করে খাওয়া উচিত, কড়া করে ভাজি করা বা হাই হিটে রান্না করলে নিউট্রিয়েন্ট লস হয় অনেক।

এই খাবারগুলো সুযোগ পেলেই খান, সর্দি থেকে বাচতে আপনার জন্য এই ট্রিকগুলো কাজে লাগবে ইনশা আল্লাহ।

বিশেষভাবে, এলোপ্যাথিক মেডিসিন আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত কিন্তু আদা-রসুন-হলুদ-সরিষাই ছিল সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে মানুষের প্রধান প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা।

আর হ্যা, সর্দি লাগে এবং আয়রন ডেফিসিয়েন্সি যাদের আছে, ছোট মাছ বা গরু/খাসীর গোশত খেতে ভুলবেন না।

Address

Sunday-Thursday, Thyrocare Consultation Center, Rupsha Tower, House 72, Level-3, , Road No. 11, Dhaka-1213, , (Saturday), Ascent Health Limited, House: 1/C, Road: 2/A, Block: J, Baridhara, Dhaka-1212
Dhaka
1205

Opening Hours

Monday 08:00 - 23:00
Tuesday 08:00 - 23:00
Wednesday 08:00 - 11:00
Thursday 08:00 - 23:00
Friday 08:00 - 23:00
Saturday 08:00 - 23:00
Sunday 08:00 - 23:00

Telephone

+8801992051548

Website

https://sajalsdietfalsafa.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sajal's Diet Falsafa posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Sajal's Diet Falsafa:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category