https://www.facebook.com/100299422648053/

Khanum Ummed Nahar Homaira, Dhaka (2025)

07/07/2025

:

🔴 ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD) সম্পর্কে জানুন 🔴

ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD) হলো কিডনির কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে এবং স্থায়ীভাবে হ্রাস পাওয়ার একটি রোগ, যা একবার শুরু হলে পুরোপুরি আর ঠিক হয় না। এই অবস্থায় শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়ার কাজটি সঠিকভাবে হয় না। কিডনি ফাংশনের মূল্যায়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হলো GFR (Glomerular Filtration Rate)।

✅ GFR কী?

GFR হল একটি মাপকাঠি যা কিডনির গ্লোমেরুলাস (রক্ত পরিশোধনের ইউনিট) কতটা কার্যকরভাবে রক্ত ফিল্টার করতে পারছে তা জানায়। এটি CKD-এর ধাপ নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।

📊 CKD-এর ধাপসমূহ (GFR অনুযায়ী):

1️⃣ স্টেজ ১ (GFR > 90): কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক।
2️⃣ স্টেজ ২ (GFR 60-89): হালকা কার্যক্ষমতা হ্রাস।
3️⃣ স্টেজ ৩ (GFR 30-59): মাঝারি মাত্রার হ্রাস।
4️⃣ স্টেজ ৪ (GFR 15-29): গুরুতর কার্যক্ষমতা হ্রাস।
5️⃣ স্টেজ ৫ (GFR < 15): চূড়ান্ত পর্যায়ের কিডনি ফেইলিউর (ESRD)।

⚠️ CKD হওয়ার কারণসমূহ:

🔹 বয়স বৃদ্ধির সাথে স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হ্রাস
🔹 অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন
🔹 অটোইমিউন রোগ (যেমন লুপাস)
🔹 কিডনি ইনফেকশন
🔹 কিছু বিষাক্ত ওষুধ
🔹 একিউট কিডনি ইনজুরি (হঠাৎ কিডনি বিকল)
🔹 পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ

⚠️ CKD-এর উপসর্গসমূহ:

🔹 মূত্র কমে যাওয়া বা একদম না হওয়া (Oliguria/Anuria)
🔹 হৃদস্পন্দনের অনিয়ম (পটাশিয়াম বেড়ে যাওয়ার কারণে)
🔹 ইউরেমিয়া (রক্তে বর্জ্য জমে যাওয়া)
🔹 শরীরে পানি জমে যাওয়া (হাইপারভোলেমিয়া): রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, পা ফোলা, বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট
🔹 রক্তশূন্যতা (আয়রন বা ইরিথ্রোপয়েটিনের অভাব): ক্লান্তি ও মুখে ফ্যাকাশে ভাব

🧪 CKD নির্ণয়ের উপায়:

🔬 ২৪ ঘণ্টার ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স টেস্ট
🔬 রক্ত পরীক্ষা: পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, হিমোগ্লোবিন, BUN/Cr
🔬 ইউরিন টেস্ট: প্রোটিন ও রক্ত থাকতে পারে
🔬 রক্তে RBC কমে যেতে পারে কারণ কিডনি ইরিথ্রোপয়েটিন উৎপাদন কমায়

💊 চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা:
🎯 লক্ষ্য: উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ, রোগের অগ্রগতি ধীর করা, ও জীবনমান উন্নয়ন

🧴 ওষুধ:

Kayexalate: অতিরিক্ত পটাশিয়াম কমাতে

Diuretics: অতিরিক্ত পানি বের করতে

Epoetin Alpha (Epogen): রক্তশূন্যতা কমাতে

Calcium Gluconate: কার্ডিয়াক সমস্যা হলে তড়িৎ ব্যবস্থা

Calcium Acetate: ফসফরাস নিয়ন্ত্রণে

Insulin + D5W: উচ্চ পটাশিয়াম সাময়িক কমাতে

🏥 চিকিৎসা পদ্ধতি:

ডায়ালাইসিস: পরবর্তী স্টেজে কিডনি কাজ না করলে

কিডনি প্রতিস্থাপন (Kidney Transplant): স্থায়ী সমাধান

👩‍⚕️ নার্সিং ঃ

📌 প্রতিদিন ওজন মাপা, মূত্র ও পানির পরিমাণ পর্যবেক্ষণ
📌 রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন পর্যবেক্ষণ
📌 শরীরের ফোলা ও ত্বকের যত্ন

🥗 ডায়েট:

কম সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও প্রোটিন

ফ্লুইড রেস্ট্রিকশন (পানি ও তরল গ্রহণ সীমিত করুন)

❗ যদি আপনি বা আপনার কাছের কেউ CKD-তে আক্রান্ত হন, নিয়মিত চিকিৎসা, খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং পর্যবেক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

#কিডনি_রোগ #স্বাস্থ্য_শিক্ষা #বাংলা_স্বাস্থ্য_পোস্ট

23/06/2025

আপনার প্লেটে কমলা রঙের খাবার রাখুন!

কমলা রঙের খাবার মানেই শুধু কমলা ফল, গাজর কিংবা কুমড়া নয়—এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য অসাধারণ উপকারী। রঙে যেমন আকর্ষণীয়, পুষ্টিতেও তেমনই সমৃদ্ধ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন প্রতিদিনের খাবারে এই কমলা রঙের খাবার যোগ করা উচিত:

✓ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর:
কমলা রঙের ফল ও সবজিতে থাকে ভিটামিন C, ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ক্যারোটিনয়েডসের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

✓ কোলাজেন তৈরিতে সহায়ক:
কমলা ও বেল পিপারের মতো খাবারে থাকা ভিটামিন C কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে, যা ত্বক টানটান রাখে এবং জয়েন্টগুলোকে নমনীয় করে।

✓ প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি:
মিষ্টি আলু ও পেঁপের মতো খাবারে থাকা উপাদানগুলো দেহে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে—বিশেষ করে যারা আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ বা অটোইমিউন সমস্যায় ভোগেন।

✓ প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক:
বিটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন A হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, যা নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

✓ চোখের যত্নে:
গাজর, কুমড়া ও মিষ্টি আলুর বিটা-ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন A-তে রূপান্তরিত হয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।

✓ হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক:
কিছু কমলা রঙের খাবার প্রাকৃতিকভাবে প্রোজেস্টেরন হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে, যা মাসিক সমস্যা, উর্বরতা ও মুড ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে।

✓ ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে:
কমলার ভিটামিন C থেকে শুরু করে ক্যারোটিনয়েড পর্যন্ত সবকিছুই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

টিপস:
আম-পেঁপের স্মুদি, গাজর, বা মিষ্টি আলুর কারি হতে পারে ডায়েটে দারুণ এক স্বাস্থ্যকর
স্ংযোজন !

😊

22/06/2025

🌟 কিডনির কাজ 🌟

🔹 রক্তে আয়নের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ:

সোডিয়াম (Na⁺), পটাশিয়াম (K⁺), ক্যালসিয়াম (Ca²⁺), ক্লোরাইড (Cl⁻), ফসফেট (HPO₄²⁻) এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

🔹 রক্তের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ:

ইউরিনের মাধ্যমে হাইড্রোজেন (H⁺) নির্গমন ও বাইকার্বোনেট (HCO₃⁻) সংরক্ষণ করে রক্তের পিএইচ স্থির রাখে।

🔹 হরমোন উৎপাদন:

ক্যালসিট্রিওল: ক্যালসিয়াম হোমিওস্টেসিস বজায় রাখে।

এরিথ্রোপয়েটিন: লাল রক্তকণিকা (RBC) উৎপাদনে সহায়তা করে।

🔹 বর্জ্য অপসারণ:

অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া (অ্যামিনো অ্যাসিড ভেঙে)

ক্রিয়েটিনিন (ক্রিয়েটিন ফসফেট ভেঙে)

ওষুধসহ অন্যান্য টক্সিক পদার্থ

আপনার শরীরের সুস্থতায় কিডনির ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পানি পান করুন ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন! 💧❤️

07/05/2025

আপনার ভাতকে আরও স্বাস্থ্যকর এবং সহজপাচ্য করতে চান? 🍚

তাহলে রান্নার পর ভাতটা একবার ঠান্ডা হতে দিন – যতক্ষণ না তা ঘরের তাপমাত্রায় চলে আসে।
এই ছোট্ট অভ্যাসের পেছনে আছে দারুণ এক বিজ্ঞান। রান্না করা ভাত ঠান্ডা হলে, এর মধ্যে থাকা স্টার্চে ঘটে একটি পরিবর্তন, যাকে বলে রেট্রোগ্রাডেশন (retrogradation)
✅ এতে সাধারণ স্টার্চ রূপ নেয় রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চে, যা ধীরে হজম হয় এবং খাবারের পর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
✅ এই রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ আমাদের অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ এটি প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে – ফলে আপনার পাচনতন্ত্র ও মাইক্রোবায়োম হয় আরও শক্তিশালী ও সুষম।
এই নিয়ম শুধু ভাতের ক্ষেত্রেই নয় – রান্না করে ঠান্ডা করা আলু, পাস্তা বা মানসম্পন্ন পাউরুটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য!
🥗 সুস্থ জীবনের পথে এমন সহজ কিছু পরিবর্তনই হতে পারে আপনার বড় সঙ্গী।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

📌 আরও স্বাস্থ্য টিপসের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন!

#গাটহেল্থ #রেট্রোগ্রাডেশনম্যাজিক

30/04/2025

🌾 সব ফাইবার এক নয়—আপনি কি সঠিক ধরনের ফাইবার খাচ্ছেন? 🌱

আমরা সবাই জানি ফাইবার শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু জানেন কি, সব ধরনের ফাইবার সমান ভাবে আপনার গাট হেলথে কাজ করে না?

🔬 সাম্প্রতিক গবেষণা (Goel et al., 2025) বলছে—কিছু নির্দিষ্ট ফাইবার আপনার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ও ভারসাম্য বজায় রাখতে অনেক বেশি কার্যকর। অন্যদিকে, কিছু ফাইবারের প্রভাব তুলনামূলক ভাবে কম।

👇 নিচে দেখা যাচ্ছে কোন ধরনের ফাইবার সবচেয়ে বেশি উপকারী (র‍্যাংকিং অনুসারে):

🥇 Glucosamine & Glucuronic Acid – মাশরুম
🥈 FOS (Fructo-oligosaccharides) – রসুন, পেঁয়াজ, কলা, ডাল
🥉 Xylan– হোল গ্রেইন, ভুট্টা
🌿 Galactomannan – মেথি
🍎 Xyloglucan- –আপেল, ফ্ল্যাক্সসিড
🌽 রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ – পপকর্ন, ওটস, আলু, বাসমতি চাল, ডাল
✅ শুধু দৈনিক ৩০ গ্রাম ফাইবারই নয়, সঠিক ধরনের ফাইবার খাওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

💡 সহজ টিপস:
✔ রান্নায় রসুন ও পেঁয়াজ ব্যবহার করুন
✔ সকালের ওটসে বাদাম মাখন বা দই যোগ করুন
✔ সাদা চালের বদলে ডাল বা ব্রাউন রাইস খান
✔ মাশরুম ও ফার্মেন্টেড খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন
✔ পপকর্ন খেতে ভুলবেন না—হ্যাঁ, এটা গাটের জন্য ভালো!

📣 আপনি কীভাবে ফাইবার খাচ্ছেন? নিচে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!

24/04/2025

আপনি কি ভিটামিন সঠিকভাবে নিচ্ছেন—না কি একে অপরের উপকারিতা নষ্ট করে দিচ্ছে? 🤔
একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমি দেখেছি, অনেকেই ভালো মানের সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেন, কিন্তু জানেন না—কিছু ভিটামিন ও খনিজ একসাথে গ্রহণ করলে তারা একে অপরের শোষণ বাধাগ্রস্ত করে অথবা শরীরে পুষ্টির ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।

চলুন জেনে নিই কোন কোন কম্বিনেশন এড়িয়ে চলা উচিত এবং কোনটা একসাথে নিলে বেশি উপকার পাবেন:

❌ আয়রন ও ক্যালসিয়াম –ক্যালসিয়াম, আয়রনের শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রাপ্ত নন-হিম আয়রনের ক্ষেত্রে। যারা রক্তাল্পতার সঙ্গে লড়ছেন, তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি উপাদান অন্তত ২ ঘণ্টা ব্যবধানে গ্রহণ করা উচিত।

❌ ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম –দুটিই দরকারি, কিন্তু একসাথে বেশি নিলে পরস্পরের শোষণে সমস্যা হয়। তাই একটিকে সকালে, অন্যটিকে রাতে নিন।

জিঙ্ক ও কপার – সূক্ষ্ম ভারসাম্য প্রয়োজন
উচ্চমাত্রার জিঙ্ক গ্রহণ করলে কপার শোষণে বাধা সৃষ্টি হয়, যা সময়ের সাথে কপার ঘাটতির কারণ হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে কপারও মনিটর করা উচিত বা সঠিক অনুপাতে গ্রহণ করা দরকার।

ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি১২ –
বেশি পরিমাণে একসাথে নিলে বি১২ এর শোষণে সমস্যা হয়। তাই কয়েক ঘণ্টা ব্যবধান রাখুন।

ভিটামিন ডি ও K2 – শক্তিশালী জুটি
সব সংমিশ্রণ যে খারাপ তা নয়। যেমন -ডি ক্যালসিয়াম শোষণ বাড়ায়, আর K2 তা হাড়ে পৌঁছে দেয়। একসাথে নিন, উপকার পাবেন।

সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের বিষয়টি একেক জনের জন্য একেক রকম হতে পারে। আপনি কী নিচ্ছেন তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কখন ও কীভাবে নিচ্ছেন সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সময়, সংমিশ্রণ এবং মাত্রা—সব কিছু মিলিয়ে স্বাস্থ্য উন্নয়নে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

অর্থাৎ ছোট পরিবর্তন = বড় উপকার 💪

আপনি যদি নিয়মিত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন বা কাউকে পরামর্শ দেন, তাহলে এই সংমিশ্রণগুলোর দিকে খেয়াল রাখা উচিত।

23/04/2025

🌸 পিসিওএস সিরিজ:

🔍 পিসিওএসের কারণ, লক্ষণ, উপসর্গ এবং প্রভাব বুঝে নেওয়া

📌 পিসিওএস কী?
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) হলো একটি হরমোনজনিত সমস্যা যা ডিম্বাশয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে। এটি বন্ধ্যাত্বের অন্যতম সাধারণ কারণ এবং এটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, বিপাকীয় অসুস্থতা ও ওজন বৃদ্ধির সাথেও জড়িত।

🧪 পিসিওএসের প্রধান লক্ষণ: 🔺অনিয়মিত ডিম্বস্ফোটন
🔺অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের (পুরুষ হরমোন) মাত্রা বেড়ে যাওয়া
🔺ডিম্বাশয়ে একাধিক ছোট সিস্ট (সব সময় দৃশ্যমান নয়)

🌱 পিসিওএসের ৫টি (সম্ভাব্য) কারণ:

🔴 বংশগত কারণ: ▫️ পরিবারে পিসিওএস থাকলে ঝুঁকি বেশি
▫️ ইনসুলিন ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে জিনের পরিবর্তন

🔴 ইনসুলিন প্রতিরোধ (ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স):
▫️ ৭০% এর বেশি পিসিওএস আক্রান্ত নারীদের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থাকে
▫️ অতিরিক্ত ইনসুলিন → ডিম্বাশয়ে বেশি অ্যান্ড্রোজেন উৎপাদন
▫️ এর ফলে ওজন বৃদ্ধি, অনিয়মিত পিরিয়ড ইত্যাদি

🔴 অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের আধিক্য:
▫️ ব্রণ, চুল পড়া, মুখে অতিরিক্ত লোম
▫️ ডিম্বস্ফোটনে বাধা সৃষ্টি করে

🔴 নিম্ন-গ্রেড প্রদাহ (Low-grade Inflammation):
▫️ পিসিওএস আক্রান্ত নারীদের দেহে প্রদাহের চিহ্ন বেশি
▫️ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এবং অ্যান্ড্রোজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে

🔴 জীবনযাপন ও পরিবেশগত কারণ:
▫️ কম ঘুম, মানসিক চাপ, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অলসতা
▫️ পরিবেশ দূষিত রাসায়নিক (প্লাস্টিক, কীটনাশক) এর সংস্পর্শ

🚨 পিসিওএসের উপসর্গগুলো:

🩺 প্রজনন সংক্রান্ত উপসর্গ:
▫️ অনিয়মিত বা অনুপস্থিত পিরিয়ড
▫️ গর্ভধারণে সমস্যা (বন্ধ্যাত্ব)
▫️ মাসিককালে ব্যথা
▫️ আল্ট্রাসাউন্ডে ডিম্বাশয়ে সিস্ট দেখা যায়

🧠 মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপসর্গ:
🔺 উদ্বেগ বা প্যানিক অ্যাটাক
🔺 বিষণ্ণতা বা মন খারাপ
🔺 মনোযোগের ঘাটতি বা ভুলে যাওয়া
🔺 খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা (বেশি খাওয়া, না খাওয়া)
🔺 মেজাজের ওঠানামা
🔺 ওসিডি ধরনের আচরণ
🔺 মারাত্মক ক্ষেত্রে বাইপোলার লক্ষণ

🌿 বিপাকীয় উপসর্গ:
▫️ পেটের চারপাশে ওজন বৃদ্ধি ⚖️
▫️ মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ 😵
▫️ দুর্বলতা ও শক্তির অভাব 😵‍💫
▫️ ত্বকে কালচে দাগ (acanthosis nigricans) 🫩
▫️ উচ্চ রক্তে চিনি, কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইড 🤯

💇‍♀️ ত্বক ও চুলের উপসর্গ:
▫️ মুখে বা শরীরে অতিরিক্ত লোম (হিরসুটিজম) 🫠
▫️ চুল পড়া বা টাক পড়ার মতো সমস্যা 🫥
▫️ তৈলাক্ত ত্বক, বড় রোমছিদ্র 🥵
▫️ মারাত্মক ব্রণ (বিশেষ করে চিবুক ও জয়লাইন এলাকায়) 😮‍💨

🧪 পিসিওএসের নির্ণয় কীভাবে হয়?
Rotterdam Criteria অনুযায়ী নিম্নোক্ত যেকোনো ২টি লক্ষণ থাকলে পিসিওএস ধরা পড়ে:
🚫 অনিয়মিত বা অনুপস্থিত ডিম্বস্ফোটন
🚫 অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের অতিরিক্ত উপস্থিতি (চিকিৎসাগত বা পরীক্ষায় প্রমাণিত)
🚫 আল্ট্রাসাউন্ডে পলিসিস্টিক ওভারি দেখা গেলে

❗ যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকিগুলো:
⛔ টাইপ ২ ডায়াবেটিস
⛔ উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল
⛔ এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার
⛔ বন্ধ্যাত্ব
⛔ বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ
⛔ স্লিপ অ্যাপনিয়া

🌟 পিসিওএস শুধু একটি প্রজনন সমস্যা নয় — এটি শরীর ও মন উভয়কে প্রভাবিত করে। এর কারণ ও উপসর্গ জানা মানে হলো সুস্থতার দিকে প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া। আপনি একা নন — সাহায্য এবং সমর্থন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

🔍 এই পোস্টটি আমাদের পিসিওএস সচেতনতা ও শিক্ষামূলক সিরিজের অংশ — যা আপনাকে আপনার শরীর সম্পর্কে জানাতে, সিদ্ধান্ত নিতে ও সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।

23/04/2025

🧠 ডোপামিন: আমাদের মস্তিষ্কের "মোটিভেশন মলিকিউল" 💥

আপনি জানেন কি, আমাদের মস্তিষ্কের সবচেয়ে প্রভাবশালী নিউরোট্রান্সমিটারগুলোর মধ্যে ডোপামিন অন্যতম? এটি শুধু মুড বা মোটিভেশন নয়—এর প্রভাব পড়ে গতি, চিন্তাশক্তি এমনকি হরমোন রিলিজের উপরও! 😮

🧬 সৃষ্টি প্রক্রিয়া:
ডোপামিন তৈরি হয় Tyrosine নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে, যা আমাদের খাদ্য থেকেই আসে। এটি মস্তিষ্কে এক নিয়ন্ত্রিত এনজাইমের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং পাঁচটি ভিন্ন রিসেপ্টরের মাধ্যমে কাজ করে (D1-like এবং D2-like receptors)।

🧠 চারটি প্রধান ব্রেইন পাথওয়ে:

Mesolimbic – পুরস্কার ও আসক্তি
Mesocortical – চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ
Nigrostriatal – মুভমেন্ট কন্ট্রোল (এখানেই Parkinson’s এর সংযোগ!)
Tuberoinfundibular – হরমোন রিলিজ

⚠️ ডোপামিনের ভারসাম্যহীনতা বিভিন্ন জটিল রোগের সঙ্গে যুক্ত – যেমন:

Parkinson’s disease- Parkinson’s রোগ সরাসরি ডোপামিনের ঘাটতির সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে, substantia nigra অংশে ডোপামিন তৈরি করা নিউরন ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে মোটর নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয়।

Schizophrenia- Schizophrenia-তে মূলত ডোপামিন হাইপোথিসিস অনুযায়ী মনে করা হয়, কিছু ব্রেইন এরিয়াতে (যেমন mesolimbic system) অতিরিক্ত ডোপামিন এবং অন্য কিছু অংশে (যেমন prefrontal cortex) ডোপামিনের অভাব থাকতে পারে।

Depression-ডিপ্রেশনে শুধুমাত্র সেরোটোনিন নয়, ডোপামিনেও ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়—বিশেষ করে reward circuitry-তে। Motivational deficits ও anhedonia (কোনো কিছুর প্রতি আনন্দ না পাওয়া) সাধারণত ডোপামিন ঘাটতির কারণে হয়।

ADHD-ADHD-তে dopamine signaling-এর ঘাটতি থাকে, বিশেষ করে prefrontal cortex ও striatal region-এ।

Addiction-নেশা সৃষ্টিকারী প্রায় সব পদার্থই (যেমন: ni****ne, co***ne, opioids) ডোপামিন রিলিজ বাড়িয়ে দেয় মেসোলিম্বিক সিস্টেমে। বারবার এই রিওয়ার্ড স্টিমুলেশন addiction তৈরি করে।

এই প্রতিটি রোগে ডোপামিনের ভূমিকা এখন well-established এবং এই তথ্যগুলো peer-reviewed জার্নালে প্রকাশিত।

চিকিৎসা:
এই সিস্টেমকে টার্গেট করে ব্যবহৃত হয় L-DOPA, Dopamine agonists, এবং Antipsychotics।

🏃‍♂️🍎🧘‍♀️
জীবনধারা পরিবর্তন যেমন স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ও মাইন্ডফুলনেস—সবগুলোই ডোপামিন বাড়াতে সাহায্য করে!

🔬 গবেষণা কোথায় যাচ্ছে?
নতুন গবেষণা বলছে—gut-brain connection, gene therapy আর neuro-nutrition এখন ডোপামিন ভিত্তিক থেরাপির ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছে।
(সূত্র: Nature Reviews Neuroscience, 2024; Journal of Neuropsychopharmacology)

ডোপামিন শুধু একটা কেমিক্যাল না, এটা আমাদের জীবনের গতি ও গুণমানের জন্য এক বিরাট চালিকা শক্তি।

Some References:

Dauer, W., & Przedborski, S. (2003). Parkinson's Disease: Mechanisms and Models. Neuron, 39(6), 889–909. https://doi.org/10.1016/S0896-6273(03)00568-3

Howes, O.D., & Kapur, S. (2009). The dopamine hypothesis of schizophrenia: version III – the final common pathway. Schizophrenia Bulletin, 35(3), 549–562. https://doi.org/10.1093/schbul/sbp006

Nestler, E.J., & Carlezon, W.A. (2006). The Mesolimbic Dopamine Reward Circuit in Depression. Biological Psychiatry, 59(12), 1151–1159. https://doi.org/10.1016/j.biopsych.2005.09.018

Volkow, N.D., et al. (2009). Motivation deficit in ADHD is associated with dysfunction of the dopamine reward pathway. Molecular Psychiatry, 14, 824–831.
https://doi.org/10.1038/mp.2009.45

Koob, G.F., & Volkow, N.D. (2010). Neurocircuitry of Addiction. Neuropsychopharmacology, 35, 217–238.
https://doi.org/10.1038/npp.2009.110

22/04/2025

🧠 উদ্বিগ্ন মন মানেই দুর্বলতা না।

এটা আসলে একটা অতিরিক্ত সুরক্ষাপ্রবণ মন, যেটা আপনাকে রক্ষা করতে চায়।

😰 উদ্বেগ যখন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, মনে রাখবেন —
আপনি সেই চিন্তাগুলোর শিকার নন, বরং আপনি সেগুলোর পর্যবেক্ষক।

তাই আপনি নিজেই ঠিক করবেন কীভাবে সাড়া দেবেন।

চেষ্টা করুন 👉 কগনিটিভ রিফ্রেমিং
(ভাবনার নতুন ফ্রেমে নিজেকে দেখা)
🎯 এটা সহজ। বাস্তবসম্মত। আর সত্যিই কাজ করে।

১। চিন্তাটা ধরুন
একটু থামুন।

এই মুহূর্তে আপনার মাথায় কী ভাবনা ঘুরছে?
→ “আমি গণ্ডগোল করে ফেলবো।”
→ “সব কিছু নষ্ট হয়ে যাবে।”

পরিচিত লাগছে তো? হ্যাঁ, এটা আমাদের অনেকেরই হয়।

২। প্রশ্ন করুন
নিজেকে জিজ্ঞেস করুন—

→ এটা কি একদম সত্যি?
→ কোনো প্রমাণ আছে?
→ আমি কি ভেবে ভেবে খারাপ কল্পনা করছি?

সত্যিটা খুঁজে বের করুন। বেশিরভাগ নেতিবাচক ভাবনাই তাতেই ভেঙে পড়ে।

৩। রিফ্রেম করুন
ভাবুন, আপনি যদি এই কথাটা আপনার প্রিয় বন্ধুকে বলতে হত, তাহলে কী বলতেন?

→ “আমি ফেল করবো” বদলে বলুন:
“ভুল হতেই পারে, কিন্তু আমি পারবো সামলাতে।”

→ “সব কিছু নষ্ট হয়ে যাবে” বদলে বলুন:
“সব পারফেক্ট না হলেও, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।”

এটা পজিটিভিটি না, এটা বাস্তবতা দেখা নতুন চোখে। 👁️

৪। নতুন চিন্তাটা বারবার বলুন
মনেই বলুন, জোরে বলুন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলুন।
চিন্তাটাকে রিপ্লেস করুন।
উদ্বিগ্ন স্ক্রিপ্টটাকে ধীরে ধীরে বদলান।

🛠️ রিফ্রেমিং আপনাকে থামতে শেখায়।
আপনাকে ভাবতে শেখায়।
নিজেকে নতুনভাবে দেখতে শেখায়।

এই টুলটা কাজে লাগান যখনঃ
১। উদ্বেগ মাথা ঘুরিয়ে দেয়
২। কোনো ইম্পরট্যান্ট মিটিং বা প্রেজেন্টেশনের আগে
৩। যখন আপনার ‘ইনার ক্রিটিক’ শুরু করে নেতিবাচক কথা বলা

শ্বাস নিন। ভাবুন। নতুন করে বলুন।
আপনার ভেতরে অনেক শক্তি আছে।
আপনি পারবেন!

19/04/2025

World Liver Day উপলক্ষে আসুন আমরা লিভারের যত্ন ও সচেতনতা বাড়াই।
লিভার আমাদের দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ – এটি টক্সিন বের করে দেয়, হজমে সাহায্য করে, শক্তি সংরক্ষণ করে এবং রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে।

#লিভারদিবস #লিভারসচেতনতা #স্বাস্থ্যকরজীবন

Khanum Ummed Nahar Homaira

07/07/2025

23/06/2025

22/06/2025

07/05/2025

30/04/2025

24/04/2025

23/04/2025

23/04/2025

22/04/2025

19/04/2025

Address

Website

Alerts

Contact The Practice

Shortcuts

Share

Category