Pharmacist Dunia

  • Home
  • Pharmacist Dunia

Pharmacist Dunia My name is Sharmin Akter, founder of Pharmacist Dunia.

Pharmacist Dunia empowers pharmacy students and professionals worldwide with expert guidance, pharmacy exam preparation tips, career resources, and practical insights to succeed at every stage of their pharmaceutical journey. With a Bachelor of Pharmacy from Manarat International University and an MSc from the State University of Bangladesh, I bring a wealth of knowledge and experience to the table. Currently based in Ontario, Canada, I am deeply involved in expanding my understanding of pharmacy practice and licensing processes, particularly for international graduates. I am passionate about sharing this knowledge and experience with pharmacy students and professionals worldwide. My passion is to share my knowledge and experience with pharmacy students and professionals worldwide, inspiring them to excel in their careers. With a lively and energetic attitude, I strive to create captivating and unique teaching methods that inspire students and encourage active participation in constructive learning programs. I communicate fluently in both Bengali and English and enjoy traveling, exploring new things, arts and crafts, and reading detective novels.

আমাদের কানাডায় আসার গল্প পর্ব ৪জানুয়ারি -মার্চ ২০২৩ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর আমি আসলে নিজেকে মানসিক...
27/11/2025

আমাদের কানাডায় আসার গল্প
পর্ব ৪

জানুয়ারি -মার্চ ২০২৩

ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর আমি আসলে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করছিলাম, কারন আমি কেন জানিনা একা যেতে চাইছিলাম না। আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বর আমার জন্য খুবই দাম দিয়ে দুটো দারুন এপ্রন বানিয়ে দিলেন এবং আমাকে অনেক Motivate করতে লাগলেন। প্রয়োজনীয় টুকিটাকি কেনাকাটা করা এবং ফ্যামিলিতে সময় দেয়া -এভাবেই প্রস্তুতি পর্ব চলছিল।

২৫ জানুয়ারি রাতে আমরা সবাই প্রতিদিন এর মত রুটিনমাফিক ঘুমাতে যাই। রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বর আমাকে খুব সাবধানে ঘুম থেকে তুললেন এবং আমাকে তিনি খুব ই সাধারণ ভাবে বললেন -তার হঠাৎ করে কাশি হচ্ছিল। বাথরুমে গিয়েছিলেন এবং তার মুখ থেকে কিছু ব্লিডিং হয়েছে- আমি একটু দেখতে।

আমি ওয়াশ রুমে গিয়ে যেটা দেখলাম সেটা আমি মোটেও বর্ননা করতে চাইনা। আমি রুমে গিয়ে আমার ফোন নিলাম এবং কয়েকটি ছবি তুললাম। আমার চোখ ফেটে যাচ্ছিল কিন্তু খুব কষ্ট করে নিজেকে আটকে রাখলাম। সকালবেলা আমার দুজন সাংগঠনিক বোনের বায়োডাটা (রুকনিয়াতের শপথের জন্য) লিখতে সাহায্য করার কথা ছিল। তাদের সেদিন ই জমা দেয়ার তারিখ ছিল। তাই আমি তাদের কে খুব ভোরে আমার বাসায় আসতে বললাম। তাদের বায়োডাটা লিখানো শেষ+ বাচ্চাদের স্কুল এ পাঠিয়ে সকাল ১০ টার দিকে আমরা কল্যাণপুর ইবনে সিনা হাসপাতালে ইমার্জেন্সিতে আসলাম।

ইতিমধ্যেই তার ব্লিডিং এর পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছিল, সে ইমার্জেন্সির বেসিনে দাড়িয়ে ছিল। বসতেই পারছিল না। ডাক্তার কে আমি আমার মোবাইলে তোলা ওয়াশ রুমের ছবিগুলো দেখালাম। সাথে সাথে তাকে ভর্তি করানো হলো এবং ডাক্তার প্রাথমিক ভাবে কিছুই বলতে পারলেন না। তিনি একবার সন্দেহ করছিলেন ব্লিডিং হচ্ছে ফুসফুস থেকে আবার বলছিলেন গলা থেকে।

আমি আমার বাচ্চাদের স্কুল এ বাচ্চাদের খুব পছন্দের শিক্ষিকা Fatima Sikder Sanjida কে ফোন দিয়ে জানালাম ওরা যেন তাদের মেঝ খালামনি Sabina Yeasmin র বাসা হয়ে বাসায় যায়। আমার বড় মেয়ে Syeda Subhana -র কাছে বাসার একটি অতিরিক্ত চাবি সবসময় দেয়া থাকতো। আমি আমার ছোট বোন Sanjida Akter কে ফোন দিয়ে বললাম আগামী কিছুদিন সে যেন রাতে এসে আমাদের বাসায় ঘুমায়।

আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বরকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল এবং যত ট্রিটমেন্ট তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় ই IV-তে দেয়া হচ্ছিল। প্রথমে তাকে সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হলেও এক রাতের মধ্যেই আমাদের কে কেবিন দেওয়া হয়। বাবার মত মাথার উপরের ছাঁদ হয়ে আমাদের কে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবথেকে বেশী সজাগ ভূমিকা পালন করেন প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ আব্দুর রব স্যার । ইবনে সিনা ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ চৌধুরী মাহমুদ হাসান স্যার ও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রেখেছেন।

আসরের নামাজের পর খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রথমে Shoppers Drug Mart এ আমার Employer কে লিখলাম যে ব্যক্তিগত কারণে আমি জয়েন করতে পারবো না। (যদিও তারা আমাকে আরও একমাস সময় নিয়ে মার্চে জয়েন করার কথা বলেছিল, কিন্তু এবার আমি ডিটারমাইন্ড ছিলাম যে আমি আর একা একা কোনভাবেই আসবো না, আসলে সবাই একসাথেই আসবো।) ।

একই সাথে আমি ব্রিটিশ কলম্বিয়া ইমিগ্রেশন অফিসে আমার আবেদন প্রত্যাহার/Withdraw করতে ইমেইল পাঠালাম। British Columbia আমার Withdrawal Accept করে এবং যেটা আমি আশা করিনি, তারা আমার সম্পূর্ণ Application Fee রিফান্ড করে! (Screenshot Attached)

এই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমি আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বরের সাথে পরামর্শ করার সুযোগ পাইনি এবং এই প্রথম আমি একা এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলাম। টানা পাঁচদিন তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হলো। এর মধ্যে অনেকেই দেখতে এসেছেন, কারও কারও সাথে দু চারটা কথা তিনি বলেছেন, কিন্তু আসলে তাকে দিনে তিনটি করে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে রাখা হচ্ছিল। এসময় বড় ভাইয়ের মত সহযোগিতা পেয়েছি আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বরের বাল্যবন্ধু Aklas Chowdhury ভাইয়ার থেকে। তিনি প্রতিদিন হাসপাতালে আসতেন। সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন, কিছু লাগবে কিনা। এছাড়াও যাদের কথা উল্লেখ না করলেই নয়
Abul Kalam Azad , Hasan Bin Nazrul , Humayun Rashid

এর মধ্যে এমন কোন টেস্ট নেই যা করা হয়নি, কিন্তু তার ব্লিডিং এর উৎস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এই সময়ে আমি একটি বারের জন্যও কোথাও যাইনি। হাসপাতালে আসলে থাকার মত আর কেউ ছিল ও না।

এই কঠিন সময়ে আমি আমার সাংগঠনিক বোনদের সীমাহীন সাপোর্ট পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। আমার বাচ্চাদের একদিন ও স্কুল মিস হয়নি। পালাক্রমে একেকদিন একেক বোন আমাদের বাসায় আসতেন, বাচ্চাদের গোসল-খাওয়া এই বিষয়গুলো দেখতেন। সন্ধ্যায় আমার ছোট বোন আসা পর্যন্ত বাচ্চাদের সময় দিতেন। এবং সার্বিক তত্ত্বাবধান করার জন্য Akter Happy আপু এবং Nasrin Jahan আপুর কাছে আমি অনেক ঋণী। আল্লাহ তাআলা আমার এ সাংগঠনিক বোনদের দুনিয়া ও আখেরাতের সকল বিপদ দূর করে দিন। তাদের সমস্ত ভালো কাজে আল্লাহ তাআলা বারাকাহ দিন। আমীন।

দীর্ঘ ১১ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ফেব্রুয়ারীর ৫ তারিখে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। আমি Syeda Sharmin Adhora এবং আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বর Syed Sorwar বাসায় আসলাম। আমার বাচ্চাদেরকে দীর্ঘ ১১ দিন পর দেখলাম। আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমার বাচ্চাগুলোর কোন অভিযোগ অনুযোগ ছিল না।

সেই মহান সত্তা আল্লাহ তাআলার কাছে অশেষ শুকরিয়া, যিনি জীবন-মৃত্যুর মালিক, যিনি বিপদ দেন এবং সেখান থেকে তিনিই উদ্ধার করেন, যিনি দুআ কবুল করেন, যিনি বড়ই মেহেরবান, বড়ই দয়াময়।
আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।

চলবে....
শারমিন
লন্ডন, অন্টারিও, কানাডা

আমাদের কানাডায় আসার গল্প (পর্ব ১)
https://www.facebook.com/share/p/1DbCA9z62N/

আমাদের কানাডায় আসার গল্প (পর্ব ২)
https://www.facebook.com/share/p/1Ci88imVyD/

আমাদের কানাডায় আসার গল্প (পর্ব ৩)
https://www.facebook.com/share/p/1AY8bPpFXT/

আমাদের কানাডায় আসার গল্প পর্ব ৩আমার আবেদন করা চারটি চাকরির মধ্যে তিনটি থেকেই আমি রেসপন্স পেয়েছিলাম এবং তাদের সাথে ইন্ট...
22/11/2025

আমাদের কানাডায় আসার গল্প
পর্ব ৩

আমার আবেদন করা চারটি চাকরির মধ্যে তিনটি থেকেই আমি রেসপন্স পেয়েছিলাম এবং তাদের সাথে ইন্টারভিউতে ও জয়েন করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ তিন জায়গাতেই আমি পজিটিভ সাড়া পেয়েছিলাম। এক জায়গা থেকে অফিসিয়াল অফার লেটার পাই, যেটা দিয়ে পরবর্তী ধাপে এগিয়েছিলাম।

বাকি দুজায়গায় অফার অন কন্ডিশন (Conditional Offer) পাই‌। কন্ডিশন ছিল, আমি কানাডায় গেলে জয়েন করতে পারবো, তবে কানাডায় যেতে work permit রিলেটেড কোন ডকুমেন্ট ওরা দিবে না। অথবা, যদি আমি Evaluating Exam দিয়ে পাস করি তবে তারা আমাকে স্পন্সর করতে রাজি আছে। দুটো শর্তের কোনটাই আমি আসলে পূরন করতে ঐ সময় সক্ষম ছিলাম না।

তাই আমি প্রথম অফারটি ই Accept করি। তারা Provincial Government এর Employer Declaration Form অত্যন্ত নিখুঁতভাবে পূরন করে আমাকে একদিনের মধ্যে ফেরত পাঠায়! এছাড়াও আরেকটি Mandatory Document -Employer Recommendation Letter তাদের পক্ষ থেকে আমি পাই, যা সত্যিই অবাক করার মতো। তারা খুব ই Responsive এবং সহযোগী ছিল। আলহামদুলিল্লাহ।

অফার লেটার পাওয়া এবং ঐ অনুযায়ী ব্রিটিশ কলাম্বিয়া তে গিয়ে চাকরিতে জয়েন করা -আমার হাতে দুই মাস ছিল তখন। আমি ঠান্ডা মাথায় British Columbia তে আমার আবেদনপত্র জমা দেই।
প্ল্যান ছিল প্রথমে আমি গিয়ে জবে জয়েন করবো এবং বাচ্চারা সহ আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বর যাবেন সেপ্টেম্বর এ PR (Permanent Residency) Approval পাওয়ার পর।

আমার তখন Pharmacy Assistant হিসেবে জবের অফার ছিল‌ । এটি British Columbia তে তখন Occupation-in-demand ছিল‌ । Occupation-in-demand পজিশনের চাকরিগুলো বেলায় ওয়ার্ক পারমিট এপ্লিকেশন প্রসেসিং টাইম তখন মাত্র ১৫ দিন ছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রভিন্সিয়াল সরকারের কাছে চাকরিদাতাকে (Emplyer- Shoppers Drug Mart) কিছু কাগজ পত্র জমা দিতে হতো। আলহামদুলিল্লাহ তারা প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজ পত্র আমার জন্য করে দেয় খুব দ্রুততম সময়ে।

আমি সমস্ত information নিতাম IRCC এবং British Columbia Provincial Official ওয়েবসাইট থেকে। এর বাইরে আমি CIC News এর সব খবর গুলোই পড়তাম। এছাড়া আর কোন Source থেকে কোন তথ্য আমার কাছে Verified মনে হয়নি। এ পর্যন্ত সমস্ত স্টেপ নিজে নিজে করার পর আমি যখন British Columbia তে আমার আবেদনপত্র জমা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত, তখন আমার খুব নার্ভাস লাগতে শুরু করে। আবেদন ফি ছিল ১১৫০ কানাডিয়ান ডলার। এতগুলো টাকা দিয়ে আবেদন করবো- যদি আমি কোন ভুল করে ফেলি?!?

সেই ভয় থেকেই একজন এক্সপার্ট এর রিভিউ নেয়া জরুরি মনে করলাম। এবং একজন RCIC এর সাথে একটি কনসালটেশন সেশন বুক করলাম। সত্যি বলতে আমি আরও দুই একজন RCIC-র পেইজ ঘুরে দেখেছিলাম কিন্তু আমি খুবই কমার্শিয়াল যারা, তাদের কারও সাথেই বসতে চাচ্ছিলাম না। এমন কারও সাথে চাচ্ছিলাম যে আমার ইমোশনটা বুঝবে।

আমি এটা তো নিশ্চিত ছিলাম যে আমার ডকুমেন্টগুলো সব অথেন্টিক আছে এবং আমি প্রত্যেকটা ডকুমেন্ট আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে সাজিয়ে খুব ভালোভাবে গুছিয়ে ফোল্ডার এ সেইভ করে রেখেছিলাম । যদিও আমি কনফিডেন্ট ছিলাম তারপরও একজন অভিজ্ঞ চোখ যে জিনিসটা ধরতে পারবে আমি হয়তো সেটা পারবো না।

সেই চিন্তা মাথায় রেখে আমি RCIC Mouli Tasnuva আপুর সাথে একটি ৪০ মিনিটের Initial Consultation Session এ বসি‌। আপু আমার সমস্ত ডকুমেন্ট দেখলেন এবং খুবই প্রশংসা করলেন সবকিছু সুন্দরভাবে গুছিয়ে করার জন্য। আপু আমাকে বললেন তিনি এর আগে নাকি কখনও কাউকে বাংলাদেশ থেকে ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে জবের অফার পেতে দেখেন নি বা শোনেন নি। তিনি খুবই খুশি এবং আমাকে নিয়ে প্রাউড ফিল করার কথাও উল্লেখ করলেন। উনার হাজবেন্ড Zia Hasan ভাই আমাকে Featured করে একটি পোস্ট ও করেছিলেন। (https://www.facebook.com/share/p/1H4iW1gVmH/)

আপু খুবই হাসিখুশি ও দারুন ভালো মানুষ। সবচেয়ে বড় কথা তিনি তার কাজে দক্ষ। আমাকে বললেন সমস্ত ডকুমেন্ট ঠিক আছে আপনি আল্লাহর উপর ভরসা করে আবেদন করে দেন।
এবার সাহস ফিরে পেলাম এবং আবেদন জমা দিলাম।
আবেদনপত্র জমা দেয়ার তারিখ: ৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩
British Columbia Provincial Nominee Program (BC PNP) -for Skills Immigration- Health Authority Stream.

চলবে...
শারমিন
লন্ডন, অন্টারিও, কানাডা

আমাদের কানাডায় আসার গল্প (পর্ব ১)
https://www.facebook.com/share/p/1DbCA9z62N/

আমাদের কানাডায় আসার গল্প (পর্ব ২)
https://www.facebook.com/share/p/1Ci88imVyD/

আমাদের কানাডায় আসার গল্প পর্ব ২২০২২ সালের অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে আমার পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এদিকে আমার মা...
20/11/2025

আমাদের কানাডায় আসার গল্প
পর্ব ২

২০২২ সালের অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে আমার পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এদিকে আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বর এবং বাচ্চাদের পাসপোর্ট ও করা ছিল না। সবার জন্য পাসপোর্ট এর আবেদন করার টাকাও তখন ছিল না!!

আমরা আসলে সম্পূর্ণ আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করে জিরো ব্যালেন্স নিয়ে এই যুদ্ধে নেমেছিলাম। চিন্তা এমন ছিল যে -আমার পক্ষ থেকে আমি আমার চেষ্টাটুকু করবো, আল্লাহ সাহায্য করবেন।

এরই মধ্যে আমার IELTS এবং ECA করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পাসপোর্ট না থাকায় আমি পরবর্তী স্টেপে তো আগাতে পারবো না। আমার খুব কাছের একজন বান্ধবী Sumaia Haque । আমরা আসলে প্রায় প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতাম। আমাকে না জানিয়ে আমার একাউন্টে 20000 টাকা পাঠিয়ে আমাকে ফোন দেয়। এবং বলে অধরা, তুমি আজকে-কালকের মধ্যেই সবার পাসপোর্ট এর অ্যাপ্লিকেশন করে ফেলো।

পাসপোর্ট এর অ্যাপ্লিকেশন করা খুব একটা কঠিন ছিল না। অনলাইনে আবেদন করা ও বায়োমেট্রিক এর জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট করার অংশটুকু সহজই ছিল। কিন্তু এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে শুরু হয় হয়রানি। আমাদের ঢাকার বাসা, বাবার বাড়ি, শশুর বাড়ি- ৩ জায়গাতেই আমাদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হয়েছিল।

আমার বাবার বাড়িতে পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে যাওয়া পুলিশ আমাদের কাছে তার আসা-যাওয়ার ভাড়া বাবদ ৫ হাজার টাকা দাবি করেছিল। সে নাকি চকরিয়া থেকে ফটিকছড়িতে (১৪৫ কিলোমিটার) আমাদের বাড়ি পর্যন্ত সিএনজি আপ-ডাউন রিজার্ভ করে নিয়ে এসেছিল! তার যাতায়াত ভাড়া না দিলে তিনি আমাদের পুলিশ ভেরিফিকেশনে নেগেটিভ কমেন্ট লিখে দিবেন বলে থ্রেট দিলেন।

ব্যতিক্রম ঘটেনি মিরসরাইয়ের পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং ঢাকার বাসার পুলিশ ভেরিফিকেশন এর ক্ষেত্রে ও। যাইহোক, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমরা পাঁচজনের পাসপোর্ট হাতে পাই। আলহামদুলিল্লাহ।

নভেম্বরের 29 তারিখে আমি Shoppers Drug Mart থেকে Officially জবের Offer letter পাই। তারা চেয়েছিল আমি যেন জানুয়ারিতে জয়েন করি। আমি তাদের কাছ থেকে আরেকটু সময় চেয়ে নেই এবং তারা তখন আমাকে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে জয়েন করতে বলে।

চলবে....
শারমিন
লন্ডন, অন্টারিও, কানাডা

আমাদের কানাডায় আসার গল্প (পর্ব ১)
https://www.facebook.com/share/p/1DbCA9z62N/

আমাদের কানাডায় আসার গল্প পর্ব ১২০২০ সালের কোভিড লকডাউনের সময় আমি প্রফেসর ডঃ আব্দুর রব স্যারের বাসায় আট দিন ছিলাম। স্য...
16/11/2025

আমাদের কানাডায় আসার গল্প
পর্ব ১

২০২০ সালের কোভিড লকডাউনের সময় আমি প্রফেসর ডঃ আব্দুর রব স্যারের বাসায় আট দিন ছিলাম। স্যারের বাসায় সবাই কোভিড আক্রান্ত ছিল। বিশেষকরে স্যারের ছোট মেয়ের ফুসফুস ৫০% এর বেশি এফেক্টেড ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সহায় ছিলেন এবং এই বিপদ তিনি দ্রুত দূর করে দিয়েছিলেন। সেই সময় আমি এবং স্যারের সম্মানিতা সহধর্মিনী নাসিম আপা প্রায় সারাক্ষণই একসাথে কাটিয়েছি। আপা আমাকে কানাডার নানাদিক গুলো নিয়ে বলেছেন। আমি যেন কানাডাতে যাওয়ার ট্রাই করি এবং এটা খুব একটা কঠিন কিছু না - এই রকম একটা মাইন্ড সেটাপ আপা আমার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, স্যারের বড় মেয়ে তখন অলরেডি কানাডাতে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে অবস্থানরত ছিলেন।

বাসায় এসে আমি আমার বিজনেস (ফার্মাসিস্ট দুনিয়া) এ মনোনিবেশ করি যেটা তখন একটি সফল বিজনেস ছিল। আমি আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বরের সাথে কানাডাতে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করলে তিনি আমাকে বলেন -"তুমি দেশেই অনেক ভালো কিছু করতে পারবা।" আমার শ্রদ্ধেয় শশুর-শাশুড়ি দুজনেই তখন বার্ধক্য জনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন। আমার মাননীয় বর পরিবারের সবার ছোট ও আদরের সদস্য ছিলেন এবং তিনি আসলে কখনও আমার শ্রদ্ধেয় শশুর শাশুড়িকে এ অবস্থায় রেখে দেশ ছাড়তে রাজি ছিলেন না। এবং আমি তার সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি শ্রদ্ধা করি এবং আমি কানাডার বিষয়টি মাথা থেকে বাদ দিয়ে দেই।

আমার শ্বশুর-শাশুড়ি যখন আল্লাহর ডাকে সাড়া দিলেন, তার দুই থেকে তিন মাস পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে একদিন হঠাৎ করে আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বর কানাডার বিষয়টিতে মতামত দিলেন। বিষয়টি হঠাৎ করেই হলো। তাঁর অফিসের কিছু জটিলতা ছিল এবং এ কারণে তার খুব মন খারাপ হয়েছিল । দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও তিনি খুব হতাশ ছিলেন এবং তিনি এজন্যই দেশের বাইরে যাওয়ার মতামত দিয়েছিলেন। তো আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বরের মতামত পাওয়ার পর আমি আবার কানাডার বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করি।

জানুয়ারি- এপ্রিল ২০২২

প্রথম আমি যেকাজটা করি তাহলো আমি জানুয়ারিতেই IELTS পরীক্ষা রেজিস্ট্রেশন করে ফেলি। এবং বলা যায় কোনরকম প্রস্তুতি ছাড়াই আমি এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দা (Permanent Resident) হয়ে যাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে, স্টুডেন্ট ভিসায় (Study Permit) যেতে হলে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে এবং চাকরি করতে (Work Permit )যেতে হলে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে-এবং আমার জন্য কোনটা বেস্ট হবে এগুলো নিয়ে আমি মোটামুটি একটা রিসার্চ করে ফেলি।

১. আমি স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চাইছিলাম না কারণ আমার তিন বাচ্চা এবং আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বরসহ পাঁচজন কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে আমরা সারভাইভ করতে পারব না। আমাদের আসলে ওরকম ফিন্যান্সিয়াল কোন ব্যাকআপ ছিল না। সুতরাং এই অপশনটা প্রথমেই বাদ।

২. কানাডার Federal Government এর এক্সপ্রেস এন্ট্রি (Express Entry) স্ট্রিমে আমি প্রোফাইল খোলার জন্য এলিজিবল ছিলাম। কারন
-৩০ এর নিচে বয়সের জন্য নির্ধারিত পূর্ণ পয়েন্ট
-পড়াশোনা মাস্টার্স, যার জন্য আমার ECA (educational credential assessment) করা লাগবে
-IELTS রেজাল্ট CLB-8 ছিল।
-কাজের অভিজ্ঞতা

IELTS পরীক্ষার রেজাল্ট হাতে পাবার পর আমি আমার পরবর্তী ডকুমেন্ট জোগাড় করায় মনোনিবেশ করলাম। আমি যেকোনো একটি অর্গানাইজেশন থেকেই ECA করাতে পারতাম। কিন্তু আমার মাননীয় শ্রদ্ধেয় বরের পরামর্শে আমি PEBC (Pharmacy Examining Board Canada) থেকে ECA করানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার ব্যাচেলর এর অরিজিনাল সার্টিফিকেট তোলা ছিল না। কিন্তু PEBC শুধুমাত্র অরিজিনাল ডকুমেন্ট এক্সেপ্ট করে। তো আমার ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স এর অরিজিনাল সার্টিফিকেট মার্কশিট এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে প্রায় দুই মাস লেগে যায়। ফার্মেসি কাউন্সিল থেকে আমার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট তুলতে আরও দুই মাস লেগে যায়। এতো তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে সার্টিফিকেট তুলতে যেটা আমি কোন শব্দে বর্ণনা করতে পারব না। কতদিন ফার্মেসি কাউন্সিলের গেট থেকে ফিরে এসেছি! একদিন এমনও হয়েছে আমি তিন ঘন্টার জ্যাম ঠেলে ফার্মেসি কাউন্সিলে গিয়েছি, ওরা ইভেন গেট খুলে নি। গেটের ওই পাশ থেকে বলেছে আপনি অনলাইনে আবেদন করে সেই অনলাইনের আবেদনপত্র প্রিন্ট করে সেইটা নিয়ে আবার আরেক দিন এসে আবেদন করবেন। মানে অনলাইনে আবেদন করে সেইম আবেদন আবার অফলাইনেও করতে হবে!!!
যাইহোক, সমস্ত তিক্ত অভিজ্ঞতার পর আল্লাহর অশেষ দয়ায় বাংলাদেশ থেকে আমি আমার ফার্মাসিস্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট তুলতে সক্ষম হয়েছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ।

মে- সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার পর ২০২২ সালের মে মাসের ৮ তারিখে আমি PEBC তে আমার Document Evaluation এর আবেদন করি। সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখে আমার Document Evaluation Result Pass হয়। ১৬ তারিখে আমি ECA আবেদন করি এবং ১৭ তারিখেই ECA রিপোর্ট পেয়ে যাই, আলহামদুলিল্লাহ। (Screenshot Attached)

কিন্তু আমার সমস্যা ছিল প্রুফ অফ ফান্ড ডকুমেন্ট নিয়ে। আমাদের কাছে আসলে ওই সময়ে পর্যাপ্ত ফান্ড ছিল না যা আমি প্রুফ অব ফান্ড হিসেবে দেখাতে পারবো। কিন্তু যদি আমার কানাডা থেকে কোন জবের অফার থাকে তাহলে আমার প্রুফ অব ফান্ড ডকুমেন্ট ম্যান্ডেটরি না।

এই বিষয়টা বুঝতে পেরে আমি কানাডার জব সাইট গুলোতে চাকরির বিজ্ঞাপন গুলো দেখতে শুরু করলাম। প্রথমে আমি প্রায় আট- দশটি চাকরিতে আবেদন করি, কিন্তু কোনই রেসপন্স পাইনি। প্রত্যেকটা চাকরির আবেদনই আমি অনেক সময় নিয়ে সিভি সাজিয়ে গুছিয়ে (এটলিস্ট আমি তাই মনে করতাম) সব কিছু ঠিকঠাক মতোই সাবমিট করছিলাম। কিন্তু কোন জায়গা থেকেই কোন রেসপন্স পাইনি। তখন আমি বুঝতে পারছিলাম যে নিশ্চয়ই আমার আবেদনের কোন একটা জায়গায় কোন সমস্যা হচ্ছে। এই চিন্তা মাথায় রেখে আমি Coursera থেকে CV and Cover letter writing বিষয়ে দুই তিনটি কোর্স করে ফেলি এবং বুঝতে পারি আমি যেই জবগুলোতে এপ্লাই করেছি এবং যেভাবে এপ্লাই করেছি টোটাল প্রক্রিয়াই আসলে ভুল ছিল।

অক্টোবর-নভেম্বর ২০২২

এবার আমি পুরোদস্তুর তৈরি হয়ে নতুন করে জবে এপ্লাই করা শুরু করি। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি দুইটি জবে এপ্লাই করি। এবার আমি আমার কিলার স্ট্রাটেজি অনুযায়ী বেছে বেছে জব নির্বাচন করে অনেক সময় নিয়ে আবেদন পত্র রেডি করেই সাবমিট করছিলাম। দ্বিতীয় সপ্তাহে আমি আরো দুটি জবে এপ্লাই করি। অক্টোবরের ১৯ তারিখে আমি একটি জব থেকে প্রথম রেসপন্স পাই। আমি তাদের সাথে পর পর দুটি ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করি।
৩০ তারিখে আমার প্রচেষ্টা পজিটিভ দিকে মোড় নেয়। এবং আমার ফাইনাল ইন্টারভিউর পর নভেম্বরের 29 তারিখে আমি তাদের কাছ থেকে অফিসিয়াল অফার লেটার পাই। (Screenshot Attached)

অক্টোবরের ২২ তারিখে আরেকটি জব থেকেও আমার রেসপন্স আসে। নভেম্বর এর ৪ তারিখে অন্য আরেকটি জব থেকেও রেসপন্স আসে। তাদের থেকেও আমি ইন্টারভিউর ডাক পাই এবং ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করি। অর্থাৎ আমার আবেদন করার চারটি জবের তিনটি থেকেই আমি রেসপন্স পাই।

চলবে....
শারমিন
লন্ডন, অন্টারিও, কানাডা

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pharmacist Dunia posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Say No To Chemicals

We have skin and hair care products which are made of pure herbs and essential oils. Our products have no chemical or steroids. These products will assist you in finding your true self.

It’s time to say “NO TO CHEMICALS!”

হারবাল হেয়ার প্যাকটির বৈশিষ্ট এটি তৈরিতে কোন প্রকার কেমিক্যাল ব্যবহার হয়নি । মেথি, কালিজিরা, মেহেদি পাতা, জবা ফুল, নিম পাতা, রিঠা, শিকাকাই, আমলকি সহ 15 টি প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে ঘরে প্রস্তুত অসাধারন হারবাল হেয়ার প্যাক ।

নিয়মিত ব্যবহারে এটি –