25/03/2022
হিজামা কেনো করাবেন?
দৈনন্দিন অনিয়মিত লাইফস্টাইল সহ বিভিন্ন কারণে অনেকেই ঘাড়ে ও কাঁধের ব্যাথায় ভুগছেন, অধিকাংশ সময় এই ব্যথা মাংস পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া ও নার্ভের উপর প্রেসার এর কারণে হয়ে থাকে। যার কারণে হাত নাড়াতে অসুবিধা হয় ও অনেক সময় হাতে শক্তি পাওয়া যায় না, এবং অনেক ক্ষেত্রে ঘাড় নাড়াতে অসুবিধা হয়।
Cupping therapy বা হিজামা মাংস পেশীর রিলাক্সেশন ও নার্ভ সিস্টেম এক্টিভ করা ও এটার উপর থেকে প্রেসার কমানোর ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে। এবং ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধির মাধ্যমে মাংস পেশীর মুভমেন্ট ইজি করে ও স্নায়ুর এক্টিভিটি বাড়ায়। যা আপনাকে মুক্তি দিতে পারে ঘাড়ের ও কাঁধের যন্ত্রণা থেকে। এটি শরীর থেকে টক্সিন দুর করার একমাত্র ন্যাচারাল পদ্ধতি ও বিভিন্ন ইনফেকশন এর ক্ষেত্রে শরীর থেকে Prostaglandin বের করে। এন্ড্রোফিন ও মরফিন এর পরিমাণ বাড়ায়।
হিজামার উপকারিতা:
* হিজামা টিস্যু থেকে বিষ মুক্ত করতে সহায়তা করে।
* লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম সক্রিয় করে।
* বড় রক্তনালী পরিষ্কার করে এবং রক্ত সঞ্চালন সক্রিয় করে।
* লিম্ফ্যাটিক গ্রন্থি ও রক্ত নালী পরিষ্কার করে বিশেষ করে পায়ের পাতার, যাহা পরবর্তীতে সারা দেহে ছড়িয়ে পরে, ইহা দেহে থেকে যাওয়া ঔষধের পরিমাণও দেহ থেকে বের করে দেয়।
* চিকিৎসার পরে মানবদেহের ত্বক ও পেশীতে অবশিষ্ট ঔষধ ও বিষ দেহ থেকে শুষে নিতে কাপিং থেরাপি উপকারী। এর ফলে রক্ত থেকে ইউরিক এসিড ও জয়েন্ট থেকে ক্রিস্টাল বের করে দেয়া সহজ হয় ফলে গাউট রোগ ভাল হয়।
* দেহের কোন স্থানে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করতে বা কোন অঙ্গে রক্ত সঞ্চালন কম হলে তা দূর করতে কাপিং করার দরকার হয়।
হরমোন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘাড়ের ৭ম সার্ভাইকাল ভার্টিব্রা বরাবর কাপিং করা হয়।
মানসিক দিক উন্নতি হয় : ঘাড়ের ৭ম ভার্টিব্রা, লাম্বার ৫ম ভার্টিব্রা, গলব্লাডারের নট (লাম্বার ১ম ও থোরাসিক ১২তম) বরাবর হিজামা করলে নার্ভাসনেস, রাগ, বিষন্নতা, অবসাদ, প্রতিক্রিয়া, নিষ্ঠুরতা ও বেপরোয়া ভাব নিয়ন্ত্রণ করে, রোগীর মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়। এবং আল্লাহর ইচ্ছায় রোগী দ্রুত সুস্থ্য হয়ে ওঠে।
★হিজামা'র বিশেষ কিছু উপকারিতা:★
(১) শরীরের জয়েন্টগুলোতে ব্যাথা,ঘাড়, হাটু এবং কোমর ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
(২) মাথা ব্যথার জন্য বিশেষ উপকারী।
(৩) শরীর থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ/Toxin বের করে নিয়ে আসে,
(৪) শরীরের ব্যথা/ জ্বালাপোড়া হৃাস করে,
(৫) ত্বক পরিষ্কার করে।
(৬) রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে,
(৭) ঘুমের উন্নতি করে
(৮) শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে,
(৯) কিডনি ও লিভারকে পরিস্কার করে ,
(১০) হৃদ রোগের ঝুকি কমায় এবং হার্ট সুস্থ রাখে,
(১১) বৃদ্ধ মানুষের বাত/ব্যথা নিপীড়ন করে.
কোমরে ব্যথা ও অবশভাব শুরু হয়ে তা পায়ের দিকে নেমে যাওয়া সায়াটিকার ক্লাসিকাল লক্ষণ।
এই ব্যথা সারাতে অনেক ধরনের কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত আছে।l
মেরুদন্ডের ডিস্ক প্রোল্যাপ্স এবং সায়াটিকা এর চিকিৎসাায় হিজামা খুবই কার্যকরীঃ
A common back injury may result in lumbar disc herniation, occur when the inner core of the disc leaks out and pokes a nearby nerve.
মেরুদণ্ডের হাড় বা কশেরুকাকে ম্যাডিকেলের পরিভাষায় বলা হয় ভাট্রিব্রা। মেরুদণ্ডের দুটি কশেরুকার মধ্যে ফাঁকা থাকে যেখানে এক ধরনের ডিস্ক থাকে, যাকে – ইন্টার ভার্টিব্রাল ডিস্ক বলে। এই ডিস্ক অনেকটা কুশন এর মত কাজ করে। এই ডিস্ক যখন তার জায়গা থেকে সরে যায় তখন তাকে ডিস্ক প্রলেপস বলা হয়।
ডিস্ক প্রলেপস কেন হয়ঃ
বিভিন্ন কারণে ডিস্ক প্রলেপস হতে পারে। যেমন :
-আমাদের মেরুদণ্ডের সঙ্গে যে স্পাইনাল লিগামেন্ট ও মাংসপেশি থাকে এগুলো দুর্বল হয়ে গেলে।
-অসচেতনভাবে সামনের দিকে ঝুকে ভারী কিছু উঠাতে গেলে।
-আঘাত পেলে বা উঁচু স্থান থেকে পড়ে গেলে।
-দীর্ঘক্ষণ নিচে বসে কাজ করলে।
-এমনকি সামনের দিকে ঝুঁকে জুতার ফিতা বাঁধতে গেলে অথবা বেসিনে মুখ ধুতে গেলেও ডিস্ক প্রলেপস হতে পারে।
ডিস্ক প্রলেপস কোথায় হয়ঃ
সাধরণত ডিস্ক প্রলেপস আমাদের ঘাড় বা সারভাইক্যাল স্পাইন ও কোমর বা লাম্বার স্পাইনে বেশি হয়। সারভাইক্যাল স্পাইনের সি ৫-৬ ও সি ৬-৭ লেভেলে ও লাম্বার স্পাইনে এল ৪-৫ ও এল ৫ – এস ১ লেভেলে বেশি হয়।
লক্ষণঃ
ঘাড় বা সারভাইক্যাল স্পাইন
-ঘাড়ে ব্যথা হয়।
-ব্যথা ঘাড় থেকে হাতের দিকে ছড়ায় ও হাতে তীব্র ব্যথা হয়।
-হাত ঝুলিয়ে রাখলে ও বিছানায় শুলে বেশি ব্যথা করে।
-হাত ঝিনঝিন করে বা অবশ অবশ মনে হয়।
-হাতের শক্তি কমে যায় বা হাত দুর্বল হয়ে আসে
-অনেকক্ষেত্রে হাতের মাংসপেশি শুকিয়ে আসে ইত্যাদি।
কোমর বা লাম্বার স্পাইন
-কোমরে ব্যথা হয়।
-ব্যথা কোমর থেকে পায়ের দিকে ছড়ায়।
-পা ঝিন ঝিন করে, অবশ অবশ মনে হয়।
-খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে কিংবা হাটলে আর হাঁটার ক্ষমতা থাকে না। তবে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে আবার হাঁটতে পারে।
-পা ভারী বা অধিক ওজন মনে হয়।
-পায়ে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়।
-পায়ের শক্তি কমে যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে মাংসপেশী শুকিয়ে যায়।
-অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রসাব ও পায়খানায় নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
চিকিৎসা
এর চিকিৎসা হল ওষুধের পাশাপাশি সম্পূর্ণ বিশ্রাম। অর্থাৎ হাঁটাচলা বা মুভমেন্ট করা যাবে না।পাশাপাশি হিজামা থেরাপী নিতে হবে।
সুস্থ হওয়ার পর যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন :
১. সামনের দিকে ঝুকে ভারী কাজ করা যাবে না।
২. ভারী জিনিস তোলা যাবে না।
৩. শক্ত বিছানায় শুতে হবে।
৪. ভ্রমণ ও হাঁটা-চলার সময় কোমড় বন্ধনী বা লাম্বার করসেট ব্যবহার করতে হবে।
৫. নিয়মিত চিকিৎসকের নির্দেশিত ব্যায়াম করতে হবে।
অভিজ্ঞ থেরাপিস্ট দ্বারা হিজামা করানো হয়।
সার্বিক তত্তাবধানে
ফিজিও, রিয়াদ হোসেন (রুবেল)
বিষেশ দ্রষ্টব্য : আমাদের চেম্বারে
মহিলা_রোগীদের_জন্য_মহিলা_থেরাপিস্ট_আর_
পুরুষ_রোগীদের_জন্য_পুরুষ_থেরাপিস্ট_আছে।
যোগাযোগ ঃ
জিয়া নগর মোড়, মালঞ্চ মেডিকেল রোড, খোলামোড়া, কেরানীগঞ্জ ঢাকা ১৩১০
01710399110