Dr. Niloy Hasan

Dr. Niloy Hasan পেজট টা ফলো করে রাখুন। নতুন নতুন অনেক ?

মেয়েরা যেভাবে বুঝবেন 'নারী হরমোন' বা ইস্ট্রোজেন বেশি কিনাইস্ট্রোজেনকে  বলা হয় 'নারী হরমোন'। নারী ও পুরুষ উভয়ের শরীরেই এই...
23/12/2023

মেয়েরা যেভাবে বুঝবেন 'নারী হরমোন' বা ইস্ট্রোজেন বেশি কিনা

ইস্ট্রোজেনকে বলা হয় 'নারী হরমোন'। নারী ও পুরুষ উভয়ের শরীরেই এই হরমোন থাকলেও নারীদের প্রজনন বয়সে এটি উচ্চমাত্রায় থাকে। নারী শরীরের সেকেন্ডারি যৌন বৈশিষ্ট বিকাশে সাহায্য করে ইস্ট্রোজেন হরমোন । নারীর বাহুমূলের পশম, স্তনের আঁকার, এবং ঋতুস্রাবের মত শারীরিক বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি এটি প্রজননতন্ত্র গঠন ও নিয়ন্ত্রণ করে। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসরণের ফলে নারী শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি হতে পারে ক্যানসারও। তাই যদি ইস্ট্রোজেন হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণের কোন চিহ্ন দেখেন, একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।

অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন নিঃসরণের কারণঃ

বয়ঃসন্ধিকাল ও গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই ইস্ট্রোজেন নিঃসরণ বেড়ে যায়। কিন্তু এছাড়াও পরিবেশের প্রভাবে বা খাদ্যাভ্যাসের কারণেও বেড়ে যেতে পারে এর নিঃসরণ। আজকাল খাবারে বিষাক্ত রাসায়নিক ও গ্রোথ হরমোন ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এভাবে হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বাড়ার ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও আরও যেসব কারণে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে সেগুলো মূলত আমাদের জীবনযাপনের উপর নির্ভর করে। যেমন,
সেক্সুয়াল সমস্যাঃ বর্তমান সময়ে বেশীর ভাগ মেয়েদের সেক্সুয়াল সমস্যা বা সেক্সুয়াল চাহিদা অনেক বেশী হচ্ছে। যেটার কারণে কারণ অনেক সময় সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এই যেমন পিরিয়ড নিয়মিত না, অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া আবার অনেক শুকিয়ে যাওয়া, স্তন গুলো বড় হয়ে যাওয়া বা ঝুলে যাওয়া। এটা বিবাহিত অবিবাহিত সব মেয়েদের হতে পারে। আমরা লজ্জার জন্য এটা এড়িয়ে গিয়ে শুধু মেডিসিনের আশায় থাকি কিন্তু আসল সমস্যা সমাধান না করলে মেডিসিনে সব কিছু সমাধান সম্ভব?

১. অতিরিক্ত মাদক গ্রহণ এবং ওষুধ খাওয়া

২. হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন ও উচ্চ রক্তচাপ এবং
৩. স্ট্রেস
৪ সেক্সুয়াল ভাবে স্টেবল মানে হ্যাপি না থাকা।

আসুন দেখে নেই কোন লক্ষণগুলো দেখলে ইস্ট্রোজেন নিঃসরণের মাত্রা বেশি কিনা তা বোঝা যাবে-

১. স্তনে ফোলা ও ব্যাথাভাব
মেয়েদের স্তন হরমোনের প্রতি সংবেদনশীল। এমনিতেই দেখা যায় ঋতুকালীন ও গর্ভাবস্থায় মেয়েদের স্তনে ব্যাথা হয়। তবে যদি অন্যসময়েও স্তনে অস্বাভাবিক কোন পরিবর্তন দেখতে পান যেমন ব্যাথা বা স্বাভাবিকের তুলনায় ফুলে যাওয়া তবে তা হতে পারে অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেনের লক্ষণ।

২. মুড ওঠানামা
ইস্ট্রোজেন আমাদের মানসিক ও আবেগীয় অবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। অনেকটা প্রি মিনস্ট্রুয়াল সিম্পটমের মত লক্ষণ দেখা দেয়। কখনও বিষণ্ণতা, কখনও দুশ্চিন্তা দেখা দিতে পারে আবার হুট করেই মন ভালো হয়ে যেতে পারে।

৩. স্তনে ফিব্রোসিস্টিক লাম্প
স্তনে ছোট আকারের একাধিক লাম্প থাকতে পারে। এমন হলে তা অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন নিঃসরণের কারণে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে স্তনে ব্যাথা ও সংবেদনশীলতা দেখা দিতে পারে। স্তন ক্যানসারের জন্য স্তন পরীক্ষার সময়ে এমন লাম্পের অবস্থান বোঝা যায়। তাই নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করুন ও যদি লাম্পের অবস্থান টের পান তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।

৪. চুল ঝরা
স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত চুল ঝরতে শুরু করলে তা হতে পারে ইস্ট্রোজেন হরমোনের কারণে। তবে জীবনযাপন, খাদ্যাভ্যাসসহ নানা কারণে চুল ঝরতে পারে।

৫- সেক্সুয়াল ভাবে স্টেবল মানে হ্যাপি না থাকা। মানে সেক্সুয়াল ফিলিং বেশী থাকে কিন্তু অর্গাজম না হতে পারা একটা বড় সমস্যা। দেখা যায় এখন অল্প বয়সে মেয়েদের যৌন চাহিদা বেশী হয়ে যায় বা সেক্সুয়াল ফিলিং বেশী থাকে।

৫. ওজন বাড়তে থাকা
অতিরিক্ত খাচ্ছেন না, চব্বিশ ঘন্টা শুয়ে-বসেও কাটাচ্ছেন না, তবুও ওজন বাড়ছে। বিশেষ করে নিতম্বের আকার যদি বেড়ে যায় তাহলে তা হতে পারে অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন নিঃসরণের লক্ষণ। এমন হলে পেট ফাঁপা ও খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের পরও ওজন না কমার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।

৬. অনিয়মিত পিরিয়ড
হরমোনের মাত্রার উপর নির্ভর করে মেয়েদের পিরিয়ড। নিয়ম করে প্রতি মাসে পিরিয়ড হয় যার তার যদি হুট করে পিরিয়ডের তারিখ এলোমেলো হয়ে যায়, তবে তা হতে পারে ইস্ট্রোজেন হরমোনের কারণে। এই হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে হতে পারে পিরিয়ড। এভাবে কয়েক মাস টানা অনিয়মিত পিরিয়ড দেখা দিলে তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে ভুলবেন না।

৭. সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগা
রাতে ঠিকমত ঘুম না হলে সারাদিন ক্লান্ত লাগা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু ঘুম, খাওয়া সব ঠিক থাকার পরেও যদি আপনার অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে তাহলে তা হতে পারে অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন হরমোনের ফলাফল।

৮. ঘুমের সমস্যা
অতিরিক্ত মাত্রায় ইস্ট্রোজেন নিঃসরণ হলে অনেকসময় ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। এতে করে না ঘুমিয়ে বেশি কথা বলার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে অথবা সারাক্ষণ ঘুম পাওয়ার পরেও ঘুমাতে না পারার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কোন দুশ্চিন্তা, স্ট্রেস বা অন্য কোন শারীরিক সমস্যা ছাড়াই হুট করে ঘুমের অভ্যাস বদলে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

এছাড়াও ইস্ট্রজেন হরমোন বেড়ে গেলে পেটফাঁপা, যৌনেচ্ছা কমে যাওয়া, পিএমএস বা পিরিয়ড পূর্ববর্তী উপসর্গ বেড়ে যাওয়া, মাথাব্যাথা, উদ্বিগ্নতা ও প্যানিক অ্যাটাক, হাত বা পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, অবসন্নতা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কোন বিষয়ে কিছু বলতে চাইলে ইনবক্স করতে পারেন।

কমেন্ট করতে কষ্ট হয়,
তাহলে সংক্ষেপে কমেন্ট করুন..
T= (Thanks)
N= (Nice)
E= (Excellent)
V= (very fine)
B= (Bad)
O= (Osthir)..
আপনাদের কমেন্ট দেখলে আমরা
ভাল ভাল পোষ্ট দিতে সাহস পাই।........ধন্যবাদ

02/09/2022

1 মাসে ৮ কিলো ওজন বাড়ান আর রোগা পাতলা শরীরকে মোটা করার উপায় - how to gain weight fast in Bengali

সম্পর্ক বিচ্ছেদে মানসিক নির্যাতন থেকে মুক্তির উপায় জানেন কী?সম্পর্ক বিচ্ছেদে মানসিক নির্যাতন এর শিকার না হলে ব্যাপারটি অ...
02/09/2022

সম্পর্ক বিচ্ছেদে মানসিক নির্যাতন থেকে মুক্তির উপায় জানেন কী?

সম্পর্ক বিচ্ছেদে মানসিক নির্যাতন এর শিকার না হলে ব্যাপারটি অনুধাবন করা প্রায় অসম্ভব। এর প্রধান কারণ হলো নিপীড়কের নির্যাতন পদ্ধতি। আবেগীয় নিপীড়ন থেকে বেরিয়ে আসার পথে প্রধান অন্তরায় হলো ট্রমাটিক বন্ডিং বা পীড়ামূলক বন্ধন ।

যে মুহূর্তে নির্যাতিত ব্যক্তি এই বন্ধনের শৃঙ্খল ভাংতে পারবেন তিনি নিজেকে মুক্ত করে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবেন। এই কাজটি করার জন্য সর্বপ্রথম নিপীড়িতের নিজেকেই কিছু আত্মশুদ্ধিমূলক কৌশল পালন করতে হবে, যা “এ্যাভালাঞ্চ অফ সোল”(Avalanche of soul) ব্লগে বলা হয়েছে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক সম্পর্ক বিচ্ছেদে মানসিক নির্যাতন থেকে মুক্তির উপায়।

নো কন্টাক্ট তথা যোগাযোগ বিচ্ছিন্নকরণ

সম্পর্ক বিচ্ছেদে মানসিক নির্যাতন এর প্রথম ধাপ হিসেবে নো কন্টাক্ট (No contact) বা যোগাযোগ বিচ্ছিন্নকরন কে ধরা হয়। এক্ষেত্রে খুব কার্যকরী পদ্ধতি হলো “লেট মি রীচ” ব্লগের লেখিকা ও প্রফেশনাল রিলেশনশীপ কোচ কিম সাঈদ (Kim Saeed) কর্তৃক প্রস্তাবিত “নো কন্টাক্ট চ্যালেঞ্জ” এর প্রয়োগ। এই পদ্ধতিতে “নো কন্টাক্ট” বলতে বুঝায় নিপীড়ক-কে ফোন থেকে ব্লক করা, তার পাঠানো সকল মেসেজ, ভয়েস মেইল ইত্যাদি মুছে ফেলা এবং মুছে ফেলার আগে সেগুলো না খোলা, নিপীড়ক-কে ইমেইল একাউন্ট থেকে ব্লক করে দেওয়া ইত্যাদি। নিপীড়ক-কে সকল সোশাল একাউন্ট যেমন ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ওয়াটসাঅ্যাপ ইত্যাদি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া যাতে সে কোন ভাবেই যোগাযোগ বা নজরদারি করতে না পারে বা নিপীড়িত ব্যক্তি ও নিপীড়ক সম্পর্কে খোঁজখবর রাখার সুযোগ না পায়। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষ থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা উচিৎ যাতে কেউ কারো সম্পর্কে অনুসন্ধান করে অযথা যোগাযোগের অলিখিত পথ খোলা রাখতে না পারে।

সম্ভব হলে ফোন নম্বর পালটে ফেলা উচিৎ এবং নতুন নম্বর বিতরনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিৎ । ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বাসী মানুষ ব্যতীত নতুন নম্বর অন্য কাউকে না প্রদান করাই শ্রেয়।

নিপীড়ক বাসা পর্যন্ত ধাওয়া করলে তাকে কোনভাবেই ভেতরে আসতে দেয়া উচিৎ নয়। যদি তার কাছে থেকে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তবে প্রয়োজনীয় পুলিশি/আইনী সাহায্য গ্রহন ও থানায় জিডি করা যেতে পারে। জিডি করার পর সংশ্লিষ্ট অফিসারের সাথে ফোনে যোগাযোগ রাখাটা একটি কার্যকরী পদক্ষেপ।

নিপীড়কের থেকে আসা চিঠিপত্র ইত্যাদি অন্য কোন বিশ্বস্ত মানুষকে দিয়ে পড়ানো, যাতে দরকারী/আইনী নোটিশ ইত্যাদি মিস না হয়ে যায়। যদি এইসব চিঠিপত্র পড়ে এটা মনে হয় যে ব্যাপারটা আসলে হুভারিং (hoovering) (আবেগীয় ব্যবহারের মাধ্যমে নিপীড়িতকে সম্পর্কে ফেরানোর প্রচেষ্টা) তাহলে ঐ বিশ্বস্ত বন্ধু যেন তৎক্ষণাৎ ঐ চিঠি নিপীড়িতের কাছে না পৌঁছিয়ে দ্রুত নষ্ট করার ব্যবস্থা করা। অন্য কোন বন্ধু/পরিচিতের মাধ্যমে নিপীড়িতের কোন তথ্য যেন নিপীড়কের কাছে না যায়। সোশাল একাউন্টে অপরিচিত কাউকে যুক্ত না করা, বিশেষতঃ যেসব একাউন্টে ছবি থাকে না বা সদ্য খোলা হয়।

“নো কন্টাক্ট” এর ক্ষেত্রে নিপীড়িতের যে সব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ

“নো কন্টাক্ট”।“নো কন্টাক্ট” পদ্ধতি কে প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে নিজের অস্তিত্ব, আত্মসম্মান রক্ষার উপায় হিসেবে ব্যবহার করা যাতে একজন নিপীড়িত তার সম্পর্কের পীড়ামূলক বন্ধন ছিন্ন করে বের হয়ে আসতে পারেন।

এই পদ্ধতিতে একজন নিপীড়িত তার নিপীড়ককে কোন ভাবেই যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া উচিৎ না। তাকে সম্ভব হলে ফোন থেকে পুরাপুরিই ব্লক করে দিতে হবে অথবা নম্বর পালটে ফেলতে হবে। যদি নিপীড়ককে কল করার সুযোগ দিয়ে রাখা হয় তাহলে হয়তোবা হুভারিং দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিপীড়িত আবার একসময় ফিরে যেতে পারে নিপীড়কের কাছে!

নিপীড়ককে নিজের সোশাল একাউন্টে রেখে তাকে নিজের স্বাধীনতা বা সুখী জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখিয়ে ঈর্ষান্বিত (jealous) করাটা আসলে ভুল। আগেই বলা হয়েছে যে “নো কন্টাক্ট” পদ্ধতি কোন প্রতিশোধের হাতিয়ার নয়, কাজেই সেটাকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করাই উত্তম।

“নো কন্টাক্ট” মানে নিপীড়ককে কিছুদিন অবজ্ঞা করে পরে আবার তার কাছেই ফিরে যাওয়া নয়। এটা তাকে শিক্ষা দেওয়ার অস্ত্র না বরং নিপীড়িতের নিজেকে বাঁচানোর কৌশল।

এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে নিপীড়িতের কখনোই উচিৎ হবে না নিপীড়কের সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা বা তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কোনরূপ অনুসন্ধিৎসা প্রকাশ করা।

এই পদ্ধতি অনুসরনকালীন নিপীড়ককে সচকিত করে তোলা মোটেই কাম্য নয়। এমনটা করলে নিপীড়ক অযথা কিছু বিরক্তিকর নাটকীয় আচরনের সুযোগ পেয়ে যতে পারে।

“নো কন্টাক্ট” পদ্ধতি মানে এই নয় যে নিপীড়িত সবাইকে এই পধতি অনুসরনের সংবাদ জানিয়েও নিপীড়কের সাথে গোপনে যোগাযোগ রাখবে এবং সেই সংবাদ গোপন করে যাবে।
ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিংকে এড়ানো

সম্পর্ক বিচ্ছেদে মানসিক নির্যাতন এর অন্যতম পদ্ধতি হল ব্ল্যাকমেইলিং। ব্ল্যাকমেইলিং এর ক্ষেত্রে নিপীড়ক আত্মহত্যার হুমকি বা প্রচেষ্টা ব্যবহার করে নিপীড়িতকে সম্পর্কে আটকে রাখার চেষ্টা করে থাকে। এছাড়া নিপীড়ক অন্যান্য আবেগীয় যুক্তি যেমন নিপীড়িতকে ছাড়া একাকীত্ব অনুভব করা, দুঃখ পাওয়া, ডিপ্রেশনে চলে যাওয়া ইত্যাদিকেও ব্যবহার করতে পারে। এগুলোর সবকিছুকেই আসলে সম্পূর্নরূপে উপেক্ষা করে নিপীড়িতের নিজেকে নিপীড়ক থেকে আলাদা করে ফেলা উচিৎ।
লেখালেখির মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা

সম্পর্ক বিচ্ছেদে মানসিক নির্যাতন এর যারা শিকার হন তাদের ক্ষেত্রে লেখালেখি একটি দারুণ প্রক্রিয়া যা নিপীড়নের আঘাতকে কাটিয়ে উঠার জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ। নিজের অভিজ্ঞতা কে লিপিবদ্ধ করে কেবল যে অন্যকে দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম হবেন তা নয়, বরং নিজের আত্মউপলদ্ধির পথেও আরেকটু এগিয়ে যাবেন, নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন হতে পারবেন, ফিরে পাবেন হারানো আত্মবিশ্বাস। এই লেখালেখির মূলত ২ টি অংশ থাকবে। এক অংশে নিপীড়কের করা সকল অত্যাচারের বিবরণ থাকবে এবং অন্য অংশে এই অত্যাচার থেকে বেরিয়ে আসার পদ্ধতি । এক্ষেত্রে পীড়ামূলক বন্ধনের প্রভাব হিসেবে নিপীড়কের প্রতি নিপীড়িত যখনই মায়া অনুভব করবে, তখন এই অত্যাচারের তালিকাটি তাকে ঐ মায়ার বন্ধন কাটাতে প্রধানরূপে সাহায্য করবে। এ পদ্ধতিকে “রি-প্রোগ্রামিং” (Re-programming) বলা যেতে পারে।‬
সারভাইভারদের সাথে স্মৃতিচারন

এরূপ ট্রমাটিক বন্ডিং থেকে যারা ইতোমধ্যে বেরিয়ে এসে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন, এমন সতীর্থ “সারভাইভর” (survivor) দের সাথে আলোচনায় অংশগ্রহন খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। এক্ষেত্রে নিজের মনে জমে থাকা নিপীড়ন সম্পর্কিত প্রশ্নগুলোর ও সুন্দর সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়।‬
পরিবার, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে সম্পর্কের পুনঃস্থাপন

নিপীড়িত ব্যক্তিরা সাধারনত নিপীড়নের অংশ হিসবে পরিবার, বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে সম্পর্কছেদ করতে বাধ্য হয় যাতে নিপীড়িত কোনরূপ সাহায্যের সুযোগ-ই না পায়। কাজেই পীড়ামূলক বন্ধন ছিন্ন করার ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক পুনরূদ্ধার করাটা খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে নিপীড়ন সম্পর্কে তাদের কে জানাতে হলে স্বচ্ছতা থাকা খুবই জরুরী যাতে প্রয়োজনীয় সাহায্য উপযুক্ত রূপে পাওয়া সম্ভব হয়। মনে রাখতে হবে যে নিপীড়নের লজ্জা নিপীড়কের, নিপীড়িতের নয়, কাজেই শুভার্থীদের সহায়তা লাভের জন্য নিপীড়নের পূর্ণ বিবরণ নিঃসংকোচে তাদের কে অবহিত করতে হবে।
নিজেকে খুশী রাখা

একটি নিপীড়নমূলক সম্পর্ক-কে ভেঙ্গে বেরিয়ে আসার সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো নিজেকে ফিরে পাওয়া। কাজেই নিজেকে ভালবেসে, নিজেকে সন্তুষ্ট রেখে সুখী থাকতে হবে। নিজের পছন্দনীয় কাজগুলো করতে হবে যা নিপীড়ক কর্তৃক এতদিন একজন নিপীড়িতের পক্ষে করে উঠা সম্ভব হয় নি। যেমন শপিং, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ঘোরাঘুরি, নিজের শখের কাজ ইত্যাদি।
সাফল্যের উদযাপন ও সামনে এগিয়ে চলা

নিপীড়কের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর প্রতিটা দিনই হয় নিপীড়িতের জন্য বিজয়ের ক্ষণ। মনে রাখতে হবে যে অসংখ্য নিপীড়িতই এরূপ বিজয় অর্জনে ব্যর্থ হন শেষ পর্যন্ত। এ ব্যাপারটা মাথায় রেখেই এগিয়ে যেতে হয় মুক্তির আনন্দকে সাথে রেখে। মনে রাখতে হয় যে মুক্তির এ যাত্রা হয়তো যথেষ্ট মসৃন নয়, কিন্তু তা যেন মুক্তিকামী নিপীড়িতের উদ্দীপনাকে খর্ব করতে না পারে কোন ভাবেই। এ যাত্রা নিপীড়িতের জীবনের পাথেয়, তাই এর সাফল্য উদযাপনের অধিকারও শুধু তারই।
সম্পর্ক বিচ্ছেদে মানসিক নির্যাতনের ক্ষেত্রে সতর্কতাসমূহ
রিবাউন্ডের পাল্লায় না পড়া

রিবাউন্ডের পাল্লায় পড়বেন না- এটা হচ্ছে প্রথম সতর্কতা। রিবাউন্ড (rebound) মানে হচ্ছে একটা সম্পর্ক থেকে বের হবার পর সেটা ভুলতে সাময়িক কোন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া, সত্যিকারের অনুভূতি ছাড়াই। আপনি সদ্য একটা সম্পর্ক থেকে বের হয়েছেন এ মুহূর্তে আপনার দরকার স্ট্যাবিলিটি, নিজের ক্ষত সারিয়ে শক্ত হয়ে দাঁড়ানো। অন্তত ছয়মাস থেকে এক বছন ন্যূনতম কোন নতুন সম্পর্কে না জড়ানোই উত্তম। বহু বদমায়েশ আছে যাদের কাজই হচ্ছে এরকম অরক্ষিত (Vulnerable) ভিকটিমকে মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে ভালিয়ে তার অসহায়ত্বের সুযোগ নেয়া। এটা হতে দেয়া যাবেনা, আমরা চাইনা আপনি ফুটন্ত কড়াই থেকে বেঁচে এসে জ্বলন্ত উনুনে পড়ুন।
‬ “হুভারিং” এর সুযোগ না দেয়া

প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ বলে আবারও বলছি ছেড়ে আসা বদমায়েশটাকে “হুভারিং” এর সুযোগ দেবেন না। যে মানুষটা দিনের পর দিন আপনাকে নির্মমভাবে অত্যাচার করেছে, বছরের পর বছর আপনাকে পশুর চাইতেও খারাপ ভাবে ট্রিট করেছে সেই মানুষটা যদি কাঁদতে কাঁদতে আপনার পায়ের কাছে মাথা রেখে মরেও যায়, আপনার কাজ কি হবে বলুন তো?

লাথি মেরে বদমায়েশটার থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দেয়া। আর হ্যাঁ লাত্থি দেবার পর বুট জুতোটা ভালভাবে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না যেন!

নজরুলের কবিতা দিয়ে শেষ করিঃ

বাঁচিতে বাঁচিতে প্রায় মরিয়াছি ,এবার সব্যসাচী-
যা-হোক একটা দাও কিছু হাতে, একবার মরে বাঁচি!

এ লেখাটি এতদূর পড়েছেন মানে আপনার হাতে জ্ঞানের অস্ত্র দেয়া হয়েছে। প্রয়োগ করুন এটা, বিজয় অথবা বীরগতি!

যে কোন বিষয় জানতে বা বলতে চাইলে ফ্রি ভাবে ইনবক্স ও করতে পারেন আমাকে। ভালো কিছু জানুন, সুস্থ থাকুন।
কমেন্ট করতে কষ্ট হয়,
তাহলে সংক্ষেপে কমেন্ট করুন..
T= (Thanks)
N= (Nice)
E= (Excellent)
V= (very fine)
B= (Bad)
O= (Osthir)..
আপনাদের কমেন্ট দেখলে আমরা
ভাল ভাল পোষ্ট দিতে সাহস পাই।

অল্পবয়সী মেয়েদের নানান মেয়েলি সমস্যাঅল্পবয়সীদের মেয়েদের যে সমস্ত স্ত্রী রোগ বা গাইনোলজিক্যাল সমস্যা দেখা দেয় সেগুলির ...
02/06/2022

অল্পবয়সী মেয়েদের নানান মেয়েলি সমস্যা

অল্পবয়সীদের মেয়েদের যে সমস্ত স্ত্রী রোগ বা গাইনোলজিক্যাল সমস্যা দেখা দেয় সেগুলির মধ্যে একটা কমন সমস্যা হল বেশি ব্লিডিং হওয়া। সাধারণত ১০-১২ বছর বয়স থেকেই পিরিয়ড বা মাসিক শুরু হয়। প্রত্যেক মেয়ের জীবনে এটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা। পিরিয়ড ঠিক সময়ে না হওয়াটাই বরং সমস্যায় ফেলে দেয়। কিশোরী মেয়েরা সাধারণত যে যে সমস্যায় ভোগে সেগুলোর কয়েকটি হল—

মাসিকের সময় বেশি ব্লিডিং হওয়া

মাসিকের সময় অনেক মেয়েদের বেশি রক্তস্রাব হতে দেখা যায়। বহুক্ষেত্রে এই রক্তস্রাব অনেকদিন ধরে ধাকে এবং ক্লট হয়ে যায়। যাদের স্কুল থাকে তারা বেশি রক্তস্রাব হবার কারণে স্কুল বা কলেজে যেতে পারে না। যা একটা সমস্যা তৈরি করে। মাসিক বেশি হচ্ছে কিনা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে যদি রক্তস্রাবের সাথে ক্লট বেরিয়ে আসে।

আজকাল অল্পবয়সী মেয়েদের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বেশি হতে দেখা যাচ্ছে। তার ফলে সমস্যা যেটা হয় সেটা হল অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা। পলিসিস্টিক ওভারির কারণে কখনো মাসিক হয় দু’এক মাস বাদে বাদে। কখনোও বা তার স্থায়িত্ব থাকে একদিন বা দু’দিন। পলিসিস্টিক ওভারি হওয়ার একটা অন্যতম কারণ হল খুব স্ট্রেস, বেশি মোটা হয়ে যাওয়া, হাত-পা-গায়ে লোম বাড়তে থাকে, অল্প বয়সে ডায়াবেটিস এসে যায়।

খুব বেশি পরিমাণ রক্তস্রাবহলে তার চিকিৎসা করতে হবে। কারণ প্রতি মাসে খুব বেশি পরিমাণে রক্ত শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে রক্তশূণ্যতা তৈরি হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ আছে যেগুলোর প্রয়োগ সুফল পাওয়া যায়। তাই চিকিৎসা করানো উচিত।

যদি পরীক্ষায় পলিসিস্টিক ওভারির সন্ধান পাওয়া যায় তাহলে আলট্রাসাউন্ড করে দেখে নিতে হবে সিস্টের উপস্থিতি কোথায়।

খুব বেশি স্ট্রেস, জাষ্ক ফুড খাওয়া, নিয়মিত শরীর চর্চা না করা, ডায়েট কন্ট্রোল ঠিকমতো না হলে পি.সি.ও অর্থাৎ পলিসিস্টিক ওভারি দেখা যায়। এছাড়া দেরি করে, কম পরিমাণে মাসিক হওয়ার সমস্যা থাকলেও ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া উচিত। প্রথমে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। সাফল্য না হলে ল্যাপরোস্কোপির সাহায্যে সিস্টগুলোকে অপারেশন করে বাদ দেওয়া হয়।

প্রস্রাবে সংক্রমণ

অল্পবয়সী মেয়েদের হামেশাই প্রস্রাবে সংক্রমণ হতে দেখা যায়। যেহেতু মেয়েদের ইউরেথ্রা ছোট হয় সেজন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংক্রমণ হতে দেখা যায়। মেয়েদের ইউরেথ্রা ৩.৭ সেমি হয় যা খুবই ছোট। সংক্রমণের জায়গা থেকে সিস্টাইটিস হয়, তার থেকে কিডনি ইনফেকশন। তাই ইউরিন কালচারের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন অনুসারে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয় সংক্রমণ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার জন্য।

স্কুল কলেজের মেয়েরা সাধারণত যেটা করে সেটা হল স্কুল কলেজের গিয়ে একদম জল খান না। এটা তাদের বোঝানো উচিত জল খাওয়াটা বেশি পরিমাণেই করতে হবে। না হলে প্রস্রাবে সংক্রমণ হতে পারে। স্কুল একসাথে অনেক মেয়ে এক জায়গায় টয়লেট করে কিন্তু ওয়াশ করে না ঠিকমতো। অপরিষ্কার টয়লেট থেকেও সংক্রমণ হয়। আবার খুব বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখাটাও খারাপ। তার থেকেও সংক্রমণ হয়।

সাদ স্রাব

অল্পবয়সী মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়ার সাথে সাথে অল্প পরিমাণে সাদা স্রাব আসে। এই স্রাব সাধারণত স্বাভাবিক। কোনো কারণে যৌন উত্তেজনা হলেও সাদা স্রাব দেখা যায়। তবে এর পরিমাণ যখন বেড়ে যায় বা চুলকানি থাকে, হলদেটে দুর্গন্ধযুক্ত হয়, তখন চিকিৎসককে দেখিয়ে নিতে হবে। প্রত্যেকবার টয়লেট করার সময় জল দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ছোট মেয়দের এ ব্যাপারে প্রথম থেকেই শেখানো উচিত।

খুব বেশি পরিমাণে সাদা স্রাব হলে ব্যাপারটা ফেলে রাখা উচিত নয়। ওখান থেকে সোয়াব নিয়ে কালচার পাঠাতে হয়। কালচারে দেখা হয় কী গ্রোথ হচ্ছে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করালে একশোভাগ ভালো হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। নয় থেকে এগারো বছর বয়সে এইচ.পি.ভি ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়া উচিত যা পরবর্তীকালে সারভাইকাল ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে।

আই পিল

আজকাল বহু মেয়েই আই পিল ব্যবহার করে। এটা সম্বন্ধে তাদের নিজেদের সাবধান হতে হবে। এতে পিরিয়ড হবার যে স্বাভাবিক নিয়ম সেটা নষ্ট হয়ে যায়। আই পিল খাবার ফলে তার পরের পিরিয়ডগুলো আর স্বাভাবিক নাও হতে পারে। আই পিল খাওয়াটা কিন্তু সমস্যা নয়। তবে মনে রাখতে হবে এর সাফল্য যে সব সময় ঠিকঠাক হবে তাও নয়। কারণ এর ফেলিওর রেট কম নয়। একশো জনের মধ্যে আশি জনের কাজ করলেও ২০ জনের কাজ করবে না। কেউ হয়তো ভাবল আমি আই পিল খেয়েছি কিছু হবে না। কিন্তু পরে দেখা গেছে এমন একটা স্টেজে প্রেগনেন্সি ধরা পড়ল যে তখন আর কিছু করার নেই। তাই ডাক্তাররা সব সময়ই বলেন যদি আই পিল খাবার পর মাসিক ঠিক সময় না হয় তাহলে দয়া করে ইউরিনটেস্ট করে নেওয়া দরকার।

আই পিল খেলেও ডিম বেরোনা বন্ধ হয় না। এর ফলে বাচ্চাটা অনেক ময় টিউবে বসে যায় এবং টিউবে গর্ভঞ্চার হয়। পরবর্তীকালে টিউব বাদ দিতে হয়। আর দুটো টিউব বাদ গেলে যে ক্ষতিটা হয় তা হল, বিয়েল পর বাচ্চা হবার সম্ভাবনা থাকে না। অনেক মেয়েই আজকাল ওষুধ খেয়ে অ্যাবরশন করাচ্ছে। এটাও খুব খারাপ। গর্ভসঞ্চার দু’জায়গায় গতে পারে—জরায়ুর মধ্যে এবং বাইরে। যদি জরায়ুর মধ্যে গর্ভসঞ্চার হয় তাহলে কোনো অসুবিধা নেই। ওষুধটা খেলে ব্লিডিং হয়ে গর্ভ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু যদি জরায়ুর বাইরে গর্ভসঞ্চার হয় তাহলে কিন্তু এই ওষুধটা খেলে, এক্টোপিক প্রেসনেন্সি থাকলে তা র‌্যাপচার করতে পারে। এছাড়া ভবিষ্যতে বাচ্চা আসার অসুবিধা হবে, টিউব ড্যামেজ হয়। অনেক সময় দেখা যায় পুরোপুরি অ্যাবরশন হল না, কিছুটা রয়ে গিয়ে ইনফেকশন তৈরি হল। আর এসব থেকেই পরবর্তীকালে ইনফার্টিলিটি তৈরি হল। এই কারণে অল্পবয়সী মেয়েদের যারা মা তাদের উচিত মেয়েকে সবরকমভাবে তার সেক্সুয়াল ধারণাকে তৈরি করে দেওয়া এবং যেসব গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যা আসবে সেগুলি ঠিক কীভাবে ডাক্তারের কাছে উপস্থিত করা। সব রোগেরই চিকিৎসা আছে। তাই চিকিৎসার সুবিধা নিয়ে নিজেকে সুস্থ রাখা উচিত।

কতকগুলো নিয়ম যদি মেয়েরা মেনে চলে তবে কোনো সমস্যাই তৈরি হয় না।

জীবনশৈলীর পরিবর্তন।
জাষ্ক ফুড, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড না খাওয়া।
নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। বিশেষ করে পিরিয়ডের সময়।
নোংরা ন্যাপকিন ব্যবহার না করা। তিন-চার ঘন্টা অন্তর ন্যাপকিন পরিবর্তন করতে হবে।
টয়লেটের জায়গা অর্থাৎ প্রস্রাবের জায়গা পরিষ্কার জলে ধোওয়া।
কোনো নোংরা পাবলিক টয়লেট ব্যবহার না করলে ভালো।
যথেচ্ছ আই পিল ব্যবহার না করা।
অ্যাবরশন করতে হবে, এই সম্ভাবনাকে তৈরি হতে না দেওয়া।

শারীরিক কোনো অসুবিধাকে অবহেলা করা উচিত নয় কখনো।

যে কোন বিষয়ে ফ্রিভাবে বলতে চাইলে ইনবক্স করবেন।

কমেন্ট করতে কষ্ট হয়,
তাহলে সংক্ষেপে কমেন্ট করুন..
T= (Thanks)
N= (Nice)
E= (Excellent)
V= (very fine)
B= (Bad)
O= (Osthir)..
আপনাদের কমেন্ট দেখলে আমরা
ভাল ভাল পোষ্ট দিতে সাহস পাই।........ধন্যবাদ

বিব্রতকর অসুখঃ যৌনাঙ্গে ইচিং বা চুলকানির কারণ ও প্রতিকারমেয়েদের প্রতিদিন কতই না সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। ঘর থেকে শুরু...
22/05/2022

বিব্রতকর অসুখঃ যৌনাঙ্গে ইচিং বা চুলকানির কারণ ও প্রতিকার

মেয়েদের প্রতিদিন কতই না সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। ঘর থেকে শুরু করে শরীর সব দিক থেকে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। আজকে মেয়েদের একটি অতি পরিচিত কিন্তু অতি বিব্রতকর একটি সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব। আর তা হলো যৌনাঙ্গে ইচিং বা চুলকানি। এটি খুবই কমন একটি অসুখ। মেয়েরা ৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়সের যে কোন সময় এই সমস্যায় পড়তে পারে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে প্রত্যেক ৪ জন মহিলার মধ্যে ৩ জনেরই জীবনের কোন না কোন সময় একবার হলেও এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাই এর গুরুত্বও কম নয়। চলুন আজ এই অসুখটি সম্পর্কে জানি।

কারণঃ
কোন অসুখ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের আগে আমাদের জানতে হবে অসুখটার কারণ কি? কেনোনা কারণ জানলে অসুখ মোকাবেলা সহজ হয়। যোনিতে অনেক কারণে চুলকানি হতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কারণসমূহ হলো –

০১. ঈস্ট বা ছত্রাকের আক্রমনঃ
এটি যৌনাঙ্গের চুলকানি বা ইচিং হওয়ার অন্যতম কারণ। সাধারণত Candida Albicans, এই ছত্রাকের কারণে যোনিতে চুলকানি হয়। এই ছত্রাক নরমালি মেয়েদের যৌনাঙ্গে পরজীবী হিসেবে থাকে। কিছু ল্যাকলোব্যাসিলাস নামে উপকারী ব্যাকটেরিয়া এই ছত্রাকের বংশবিস্তারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু এন্টিবায়োটিক খেলে, গর্ভাবস্থায়, দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকলে, হরমোনাল ইমব্যালেন্স থাকলে ও খাদ্যাভাসের কারণে এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া মরে যায়, ফলে ঈস্টগুলো তাদের জন্মের জন্য অনুকূল পরিবেশ পায়। এর কারণে যোনিতে ইনফেকশন হয়।

উপসর্গ :
– যোনি পথ দিয়ে ঘন, সাদা তরলের নির্গমন হয়।
– চুলকানি, ব্যথা ও প্রদাহ হয়।
– যৌন মিলনের সময় ব্যথ্যা হয়।

০২.ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিসের সংক্রমণঃ
এটি ভ্যাজাইনা বা যোনিতে চুলকানি হওয়ার অন্যতম কারণ। যোনিতে নরমালি কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে। যখন কোন কারণে এই ব্যাকটেরিয়া গুলোর অনেক বেশি বংশবিস্তার ঘটে তখন যোনিতে ইনফেকশন হয়।

উপসর্গঃ
– গন্ধযুক্ত ও মাছের আশঁটে গন্ধযুক্ত তরল নির্গত হয় যোনি দিয়ে।
– চুলকানি হয় প্রচুর।
– প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া হওয়া।

০৩.ট্রাইকোমোনিয়াসিস এর আক্রমণঃ
এটি একটি প্যারাসাইট। এটির আক্রমণে যোনিতে চুলকানি হয়।

উপসর্গ :
– হলুদ, সবুজ রঙের ও খুব তীব্র বাজে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হয়।
– তলপেটে ব্যথ্যা হয়।
– যোনিতে চুলকানি হয়।

০৪. এছাড়াও যৌনাঙ্গে উকুন, খোসপাচড়া ও মাইকোপ্লাজমা জেনেটালিয়াম এর সংক্রমণ হলে যোনিতে চুলকানি হয়।

০৫. কিছু সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ যেমন – সিফিলিস, গনোরিয়া, এইডস ইত্যাদির কারণে যৌনাঙ্গে ইচিং বা চুলকানি হতে পারে।

০৬. বিভিন্ন বিরক্তিকর পদার্থ যেমন – বিভিন্ন ডিটারজেন্ট, কেমিক্যাল, সুগন্ধিযুক্ত সাবান, রঙ ওয়ালা টিশ্যু পেপার, ফেমিনিন হাইজেনিক স্প্রে, ডুশ ব্যবহার করলে যোনিতে চুলকানি হতে পারে।

০৭. মেনোপোজের পর মহিলাদের ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন কমে যায়। ফলে যোনি শুকিয়ে যায়। এর ফলে বিভিন্ন পরজীবীর সংক্রমণ হয়। ফলে যোনিতে ইচিং হয় ।

০৮. ডায়াবেটিস, রেনাল ডিজিজ, একজিমা ও রক্তে কোন রোগ থাকলে ও অন্যান্য কোন রোগ থাকলেও যৌনাঙ্গে চুলকানি হয়।

০৯. মাসিকের সময় , অস্বাস্থ্যকর প্যাড ও কাপড় ব্যবহার করলে।

১০.যৌনকর্মীদের এই রোগগুলো বেশি হয়। তাই অবাধ যৌন আচরণের কারণে হয়ে থাকে।

১১.যৌনাঙ্গ সবসময় গরম ও আর্দ্র রাখলে।

১২.অপরিষ্কার থাকলে।

প্রতিকার :
০১. ছত্রাকের সংক্রমণ হলে, এন্টিফাংগাল ওষুধ যেমন – ketoconazole, miconazole, clotrimazole, tioconazole, fluconazole ইত্যাদি ওষুধ খেতে হয় ৩ থেকে ৫ দিন। তবে কিছু ওষুধ একদিনেও কাজ করে। তাই ডোজ ও কতদিন খাবেন তা জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এছাড়া lactobacillus acidophilus ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে এর সাথে।

০২. ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে এন্টিব্যায়োটিক ড্রাগস খেতে হয়। যে এন্টিবায়োটিকই খান না কেন তা কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ দিন খাবেন।

০৩. প্যারাসাইটের সংক্রমণ হলে Metronidazole খেতে পারেন। এছাড়াও vaginal clindamycin cream (clencin) or tinidazole এইগুলো যোনিতে লাগাতে হয়।

০৪. বেশি চুলকানি হলে Lidocaine নামক জেল আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন। এতে সাময়িক আরাম হবে। কিন্তু পুরা সেরে যাবেনা। তাই ডাক্তারকে দেখাবেন।

০৫. চুলকানি কমানোর জন্য এন্টিহিস্টামিন যেমন – fexofenadine, loratadine খেতে পারেন।

০৬. এছাড়া প্রদাহ কমাতে steroid cream ব্যবহার করা যেতে পারে।
০৭. মেনোপোজের পর চুলকানি হলে ইস্ট্রোজেন সাপোজেটরি যোনিপথে ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রতিরোধঃ
বলা হয়ে থাকে যে কোন অসুখ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাই বেশি ভাল। সুতরাং এই রোগটি যাতে আপনার না হয় তাই আগেই সাবধান থাকুন ও নিচের কথাগুলো মেনে চলুন।

০১. রঙীন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিশ্যু ও সাবান যৌনাঙ্গে ব্যবহার করবেন না।
০২. ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ও ডুশ ব্যবহার করবেন না।
০৩. ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নিবেন। যারা সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন তাদের ক্লোরিনের কারণেও ইচিং হতে পারে , তাই সাবধান হন।
০৪. আপনার যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখুন সবসময়। আর প্রসাব বা পায়খানা করার সময় হাত দিয়ে সামনে থেকে পেছনে এই নিয়মে পরিষ্কার করতে হবে। খেয়াল রাখবেন পায়খানার রাস্তার জীবাণু যেন যোনিতে না লাগে।
০৫. দই খান, এতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে।
০৬. সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস বা পেন্টি পরুন। সিনথেটিক পেন্টি পরবেন না।
০৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
০৮. ওজন কমান।
০৯. সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করুন।
১০. যোনি আর্দ্র ও ভেজা রাখবেন না।
১১. মাসিকের সময় নোংরা কাপড় ব্যবহার করবেন না। পরিষ্কার প্যাড ব্যবহার করুন।
১২. সহবাসের পর যৌনাঙ্গ ভাল ভাবে পরিষ্কার করুন। ধুয়ে ফেলুন।
১৩. সহবাসের পর প্রসাব করুন।
১৪. একাধিক ব্যক্তির সাথে যৌন সহবাস পরিত্যাগ করুন।
১৫. নিয়মিত গোসল করুন।
১৬। সেভ্লোন বা ডিটল পানিতে মিশিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।

এই অসুখটি হলে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্ট বা একজন ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান। অবহেলা করবেন না বা লজ্জা পাবেন না। কারণ এর ফলে পরবর্তীতে আরও খারাপ কিছু হতে পারে।

বিঃদ্রঃ যদি বিবাহিত মেয়েদের সেক্স লাইফ হ্যাপি না হয় বা হাসবেন্ড পরিপূর্ণ ভাবে সময় না দিতে পারে সে ক্ষেত্রে এমন সমস্যা বেশি দেখা দেয় বা অবিবাহিত মেয়েদের ও সেক্সুয়াল ফিল টা বেশি হলে এমন হতে পারে। এমন কিছু হলে দয়া করে ইনবক্স করতে পারেন ফ্রি ভাবে।
কমেন্ট করতে কষ্ট হয়,

তাহলে সংক্ষেপে কমেন্ট করুন..
T= (Thanks)
N= (Nice)
E= (Excellent)
V= (very fine)
B= (Bad)
O= (Osthir)..
আপনাদের কমেন্ট দেখলে আমরা
ভাল ভাল পোষ্ট দিতে সাহস পাই।........ধন্যবাদ

মেয়েদের যৌন রোগ এবং এর প্রতিকারবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ১২ থেকে ২০ বছরের মেয়েদেরকে যুবতী বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে ...
16/05/2022

মেয়েদের যৌন রোগ এবং এর প্রতিকার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ১২ থেকে ২০ বছরের মেয়েদেরকে যুবতী বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে মেয়েরা শারীরিক এবং মানসিক পূর্ণতা লাভ করে থাকে। যুবতী মেয়েদের সাধারণ যৌন রোগ সমস্যাগুলো হলো-

ঋতু স্রাব সমস্যা
সাদা স্রাব
তলপেট ও কোমরে ব্যথা

ঋতু স্রাব সমস্যাকে নিম্নের কয়েক ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে।

একবারে মাসিক না হওয়া
অনিয়মিত মাসিক হওয়া
অতিরিক্ত রক্তস্রাব হওয়া

যেসব যুবতীর মাসিক নিয়মিত হয় বুঝতে হবে তাদের ডিমগুলো সময়মতো ফুটে থাকে। আমাদের দেশে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ জন মহিলার নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে মাসিক আরম্ভ হয় না। আবার অনেক যুবতীর মাঝে মাঝে অথবা কখনো কখনো একটু আধটু রক্তস্রাবের মতো হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে প্রচুর স্রাব হয়ে থাকে।
এসব যুবতী ও তাদের মা, খালা এবং অন্যান্য মহিলা আত্মীয় অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় থাকেন। চিকিৎসকেরা মনে করেন এর প্রধান কারণ হলো

অসচেতনতা
অজ্ঞতা

মাসিকের স্থায়িত্বকাল এবং পরিমাণ প্রকৃতপক্ষে কত তা জানা নেই বলেই এই চিন্তা আরো বেশি হয়। Physiology কারণ ছাড়া অন্যান্য কারণেও প্রচুর পরিমাণ রক্তস্রাব এবং দীর্ঘস্থায়ী স্রাব হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী স্রাবের আরো কারণ হলো এর জরায়ুর মুখে মাংস বেড়ে যাওয়া, যোনিপথে প্রদাহ, ডিম্বের থলিতে টিউমার। এ ছাড়া যদি রক্তের মধ্যে কোনো রোগ থাকে যেমন হেমোফাইলিয়া, পারপুরা তাতেও বেশি স্রাব হতে পারে।

শতকরা ৪০ থেকে ৫০ জনের কোনো প্রকার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, কেবল উপদেশের মাধ্যমেই আরোগ্য লাভ করে থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে এর উপশম করা সম্ভব। কারণ যাই হোক না কেন যুবতী মেয়েদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মাসিকের সময় তলপেট ব্যথা :
শতকরা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন যুবতী মাসিক আরম্ভ হওয়ার আগে অথবা মাসিক চলাকালে তলপেট, কোমরে অথবা উরুতে ব্যথা অনুভব করে থাকে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে যাদের মাসিক আরম্ভ হওয়ার দু-তিন দিন আগে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে তারা সাধারণত অ্যান্ডোমেট্রিওসিস, পেলভিক অ্যাডিহিসন, জরায়ুতে যক্ষ্মার জন্য হতে পারে। এই ধরনের যুবতীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ এবং চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।

হরমোনের তারতম্যের কারণে তলপেট ভারী অনুভব করা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, খাদ্যে অরুচি হওয়া, মাথাব্যথা করা, খিটখিটে মেজাজ, শরীর ব্যথা, এমনকি হাত পা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে। এ জন্য কোনো প্রকার চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ এবং উপদেশ গ্রহণের মাধ্যমেই যুবতীরা উপশম থাকতে পারে।

সাদা স্রাব :
সাদা স্রাব যুবতীদের একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এ জন্য মেয়েদের কোনো প্রকার দুশ্চিন্তার কারণ নেই, কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই সাদা স্রাব হতে পারে এবং তবে মাসিক আরম্ভ হওয়ার দুচার দিন আগে এর পরিমাণ একটু বেশি হতে পারে। পুষ্টিহীনতা, যৌনাঙ্গে প্রদাহ, বেশি যৌন উত্তেজনা, হস্তমৈথুন, যৌন কার্যে অভ্যস্ত ইত্যাদির কারণে বেশি সাদা স্রাব হতে পারে।

এমনকি জরায়ুর মুখে মাংসপিণ্ড অথবা ঘা হলে সাদা স্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। কেবল নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুফল লাভ করা যায়।

মেয়েদের (যুবতী) তলপেট ব্যথা :
বেশি সংখ্যক যুবতী মেয়ে তলপেট ও কোমর ব্যথার কথা বলে থাকে। প্রকৃতপক্ষে এটা মানসিক অনুভূতি। তবে প্রচণ্ড ও অস্বাভাবিক ব্যথা হলে অবশ্যই এর কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব কারণে মারাত্মক ব্যথা হতে পারে তা হলো

Appendicitis (অ্যাপেন্ডিসাইসাটিস)
Ovarian Cyst (ডিমের ভেতর পানি জমে যাওয়া)
হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে রক্ত জমে যাওয়া
মাসিকের রাস্তা বন্ধ হয়ে রক্ত জমে যাওয়া
ডিম্বনালী অথবা ডিম্বথলির ভেতরে গর্ভ লাভ করা
Cyst যদি হঠাৎ ফেটে যায় অথবা পেঁচিয়ে যায়

জরায়ুর ভেতর টিউমার হওয়া

যোনিপথে হারপিচ নামক এক প্রকার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়া।
এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে দ্রুত পরামর্শ নিতে হবে। না হলে জীবনের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সেক্সুয়াল সমস্যাঃ বর্তমান সময়ে বেশীর ভাগ মেয়েদের সেক্সুয়াল সমস্যা অনেক বেশী হচ্ছে। যেটার কারণে কারণ অনেক সময় সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। এই যেমন পিরিয়ড নিয়মিত না, অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া আবার অনেক শুকিয়ে যাওয়া, স্তন গুলো বড় হয়ে যাওয়া বা ঝুলে যাওয়া। এটা বিবাহিত অবিবাহিত সব মেয়েদের হতে পারে। আমরা লজ্জার জন্য এটা এড়িয়ে গিয়ে শুধু মেডিসিনের আশায় থাকি কিন্তু আসল সমস্যা সমাধান না করলে মেডিসিনে সব কিছু সমাধান সম্ভব?

যে কোন বিষয় জানতে বা বলতে চাইলে ফ্রি ভাবে ইনবক্স ও করতে পারেন আমাকে। ভালো কিছু জানুন, সুস্থ থাকুন।

কমেন্ট করতে কষ্ট হয়,
তাহলে সংক্ষেপে কমেন্ট করুন..
T= (Thanks)
N= (Nice)
E= (Excellent)
V= (very fine)
B= (Bad)
O= (Osthir)..
আপনাদের কমেন্ট দেখলে আমরা
ভাল ভাল পোষ্ট দিতে সাহস পাই।

অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা | ৯টি ঘরোয়া সমাধানে সুস্থ থাকুন!অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা যে কোন বয়সের নারীদের মাঝেই দেখা যায়। ...
09/05/2022

অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা | ৯টি ঘরোয়া সমাধানে সুস্থ থাকুন!

অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা যে কোন বয়সের নারীদের মাঝেই দেখা যায়। বিশেষ করে যারা অবিবাহিত তাঁদের মাঝে এই অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা বেশি দেখা যায়। সাধারণত অনেক বেশি স্ট্রেস, পরিশ্রম, দুর্বলতা, জীবনযাত্রায় বড় কোন পরিবর্তন… এসব কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হতে পারে। আবার শারীরিক ত্রুটির কারণেও পিরিয়ড ইরেগ্যুলার হতে পারে। পিরিয়ড রেগ্যুলার করতে চিকিৎসকেরা সাধারণত হরমোন থেরাপি দিয়ে থাকেন, যা আমরা খাবার পিল হিসেবে চিনি। কিন্তু এসব পিল-এর অনেক ধরনের সাইড ইফেক্ট থাকে। মোটা হয়ে যাওয়া, খাবারে অরুচি, পিম্পলস, মাথা ব্যথা, পা ব্যথা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি সহ নানান অসুবিধা দেখা যায়। তাই আসুন জেনে নেই ৯টি ঘরোয়া সমাধান সম্পর্কে যার মাধ্যমে ঔষধ না খেয়েও অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর করে পিরিয়ড রেগ্যুলার করার চেষ্টা করতে পারেন।
অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা সমাধানের কিছু টিপস

১) কাঁচা পেপে

কাঁচা পেপে পিরিয়ড রেগুলেশন-এ সাহায্য করে। কাঁচা পেপে জরায়ুর মাসল ফাইবার কন্ট্রাকশন-এ সাহায্য করে। পর পর কয়েক মাস নিয়মিত কাঁচা পেপের রস সেবন পিরিয়ড নিয়মিত হয়, তবে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে এটি না খাওয়াই ভালো। পিরিয়ড নিয়মিত করা ছাড়াও এর আরো নানান গুণ আছে। কাঁচা পেপে হজমে সাহায্য করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং ত্বক মসৃণ রাখে।

২) কাঁচা হলুদ

হলুদ মসলা জাতীয় দ্রব্য হলেও প্রাচীন কাল থেকেই চিকিৎসা শাস্ত্রে এর ব্যবহার নানামুখী। এটি পিরিয়ড নিয়মিত করতে এবং শরীরে হরমোন ব্যাল্যান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদ জরায়ুর মাংসপেশী সঙ্কোচন-প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ পিরিয়ড-এর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ দুধে চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ কাঁচা হলুদ নিয়ে মধু বা গুঁড় দিয়ে কিছুদিন খেয়ে দেখুন, পরিবর্তন নিজেই টের পাবেন।

৩) অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর শাঁস রুপচর্চার পাশাপাশি মাসিক নিয়মিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি হরমোন রেগুলেশন-এ সাহায্য করে। সবথেকে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তাজা অ্যালোভেরা পাতার রস সামান্য মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করুন। তবে পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে না খাওয়াই ভালো।

৪) যোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন

মাসিক নিয়মিত না হওয়ার প্রাথমিক কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হল স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। শরীরে যে সমস্ত হরমোন পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণ করে স্ট্রেস-এর কারণে সেগুলোর ব্যাল্যান্স নষ্ট হয়। যার ফলে ঠিকমত পিরিয়ড হয় না। যোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। পিরিয়ড রেগ্যুলার করতে সব থেকে উপযোগী পদ্ধতিগুলোর মধ্যে এই দুটি অন্যতম।

৫) আদা

১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ পরিমাণ মিহি আদা কুঁচি নিয়ে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এখন এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে চিনি বা মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পর এই পানীয়টি তিন বেলা খাবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, এই পানীয়টি ভরা পেটে খেতে হবে। কয়েক মাসের মধ্যেই সুফল পাবেন। আদা পিরিয়ড সাইকেল রেগুলেশন-এ সাহায্য করে এবং অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করে।

৬) জিরা

রান্না করা খাবার সুস্বাদু করতে ব্যবহৃত মশলাগুলোর মধ্যে জিরার জুড়ি মেলা ভার। তবে রান্না ছাড়াও জিরার আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। মাসিক নিয়মিত করতে জিরা অনেক ভালো কাজে দেয়। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এক গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ জিরা নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি এবং জিরা দুটোই খেয়ে ফেলুন। নিয়মিত সেবন করে দেখুন, সুফল পাবেন।

৭) দারুচিনি

যে সমস্ত খাবার বহুগুণে গুণান্বিত, দারুচিনি তাঁর মধ্যে অন্যতম। অনিয়মিত পিরিয়ড দূর করতে চা বা লেবুর রসের সাথে দারুচিনি গুড়া করে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি পিরিয়ড নিয়মিত করার পাশাপাশি পিরিয়ড কালিন ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।

৮) ফল ও সবজির জুস

খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি ফল ও সবজির জুস রাখুন। এটি শরীর ঠাণ্ডা রাখে ও হরমোন রেগুলেশন-এ সাহায্য করে। যেমন গাজর, পুদিনা পাতা, করলার রস, ভিটামিন সি জাতিয় ফলের রস ইত্যাদি দিনে দু’বার করে খেতে পারেন। তবে পিরিয়ড রেগ্যুলার করতে গাজর এবং আঙুরের রসই সবথেকে বেশি কার্যকরী।

কিছু গোপন কথাঃ অনিয়মিত প্রিয়ড সাধারণত অবিবাহিত মেয়েদের তুলনা মূলক বেশি হয়ে থাকে। এটার প্রধান কারণ ভালো ভাবে অর্গাজম হয় না অবিবাহিত মেয়েদের। ভালোভাবে অর্গাজম হয় না বলতে, অবিবাহিত মেয়েদের বেশির ভাগ মেয়ের দেখা যায় প্রিয়ড শুরুর আগে বা শেষের দিকে বা একা থাকলে প্রায় সময় সেক্সুয়াল একটা ফিলিং কাজ করে মানে সেক্সুয়াল ফিলিং আপনা আপনি চলে আসে আর এই সময় শরীরে অর্গাজম তেরি হয়। কিন্তু এই সময় বেশির ভাগ মেয়েরা চুপ চাপ থাকে এবং এটা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সমস্যা টা এখান থেকে বেশি শুরু হয়। আবার অনেক বিবাহিত মেয়ের এমন হয় তার কারণ তাদের সেক্স লাইফ হ্যাপি না হউয়ার কারণে। বিয়ের পরে হাসবেন্ডের সমস্যার কারণে অনেক মেয়ের অর্গাজম টা হতে পারে না। তখন আবার এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সেক্সুয়াল ফিলিং চেপে যাওয়ার জন্য মাথা ব্যাথা, রাগ বেড়ে যাওয়া, ব্রণ উঠা, ডিপ্রেশনে ভুগা, মোটা হয়ে যাওয়া এই গুলো হতে পারে। এই বিষয়ে কিছু বলতে চায়লে বা আলোচনা করতে চায়লে আমাকে ইনবক্স করতে পারেন।

৯) অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
পিরিয়ড ইরেগ্যুলার হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে একটা হল রক্তে ইনসুলিন ও সুগার-এর মাত্রার তারতম্য। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার-এর মাধ্যমে আপনি এর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল, এক গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন খাবার খাওয়ার আগে খেয়ে নিন। আপনার পিরিয়ড সাইকেল নিয়ন্ত্রণে এটি অনেক সাহায্য করবে।
একটা বিষয় মনে রাখা উচিত, শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলেও অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা হতে পারে। এজন্য এই পদ্ধতিগুলোর পাশাপাশি আয়রন বা লৌহসমৃদ্ধ খাবার যেমন- গরু, মুরগীর মাংস, কলিজা, চিংড়ি, ডিম, কচু শাক, লাল শাক, পালং শাক, মিষ্টি আলু, ফুলকপি, মটরশুঁটি, তরমুজ, খেজুর, গাব, টমেটো, ডাল, ভুট্টা, শস্যদানা ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
আর এতেও যদি উপকার না পান তাহলে একজন গাইনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
কমেন্ট করতে কষ্ট হয়,
তাহলে সংক্ষেপে কমেন্ট করুন..
T= (Thanks)
N= (Nice)
E= (Excellent)
V= (very fine)
B= (Bad)
O= (Osthir)..
আপনাদের কমেন্ট দেখলে আমরা
ভাল ভাল পোষ্ট দিতে সাহস পাই।........ধন্যবাদ

Address

Dhanmondi 15
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Niloy Hasan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category