03/07/2020
যাদের বাচ্চারা স্কুলে পড়ে, তাদের বাবা মাকে বলছি,
বেশ অনেকটা সময় বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছেনা। এ বিষয়টি প্রথম প্রথম ভ্যাকেশন এর মত মনে হলেও, এখন যে তারা অনেকটাই বোরিং তাতে কোন সন্দেহ নেই। দীর্ঘ সময় স্কুল, রুটিন, টিচার, টিফিন, বন্ধু, ক্লাশ রুম আরো কতকি হয়তো মিস করছে তারা। বোঝাতে না পেরে হয়তো একটু জেদ ও বেড়ে যাচ্ছে তাদের। তাদের সাথে ধৈর্যশীল আচরণ করুন। অনেক বাচ্চাদের রুটিন ব্রেক হওয়াতে তাদের খাবারের রুটিন, ঘুমের রুটিন এমন কি গোসলের রুটিন ও ব্রেক। যার প্রভাব পরছে তাদের শরীর ও মনে। কোন ভাবেই স্কুল নেই বলে তাদের দেরি করে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করবেন না। দেরিতে উঠলে বাকি সব রুটিন নষ্ট হয়ে যাবে। সময় মত তিন বেলার খাওয়া তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে খাবার খেলে, খাবার সঠিক পরিমানের গ্রহণ হয়, সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত হয়। পায়খানার সিস্টেম ঠিক থাকে। দুপুরে অনেক্ক্ষণ না ঘুমিয়ে বাচ্চাদের একটু বারান্দা বা ঘরের খোলা জায়গায় হাটাহাটি বা খেলাধুলা করতে দিন। পিং পং বল হাত দিয়ে খেলা করলে বেশ ভালো মুভমেন্ট হয়। বাচ্চাদের সাথে পিলো পাসিং খেললে ওরা অনেক খুশি হবে। একটু বড় বাচ্চাদের আসবাবপত্র পরিস্কার, মা কে একটু সাহায্য করা, নিজের খাবার ও পানি নিজে আনা নেওয়া এগুলো করলে অনেক মুভমেন্ট হবে, মন ও ভালো থাকবে। যেসব বাচ্চারা অনলাইন এ ক্লাস করে, তাদের চেয়ার টেবিল ব্যাবহার করতে বলবেন। তা না হলে বসার পজিশন এর সমস্যার কারনে পিঠে ব্যথা বা ঘারে ব্যাথা হতে পারে। যেসব বাচ্চারা ল্যাপটপ এ ক্লাস করে তাদের কোন ভাবেই বিছানা বা অন্য কোথাও ল্যাপটপ রেখে কাজ না করে, টেবিলে ল্যাপটপ রেখে ৯০ ডিগ্রি পজিশন মেনে চললে ভাল। যখন বাচ্চারা অনলাইন এ ক্লাস করবে, তখন ঘরে আলো জালিয়ে রাখুন। তা না হলে চোখে প্রেশার পরবে। যেসব বাচ্চারা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিছু ব্যবহার করছে না, তাদের হয়তো মোবাইল এ অনলাইন এর ক্লাস করতে হচ্ছে। এটা খুব ক্ষতিকর চোখের জন্য, যদি কেউ কন্টিনিউয়াস করে। এক্ষেত্রে মোবাইল এর ব্রাইটনেস, সাইজ ও বসার পজিশন ভিষণ গুরুত্বপূর্ণ। যাই হোক করোনা ভাইরাস খুব নতুন কিছু শিখাচ্ছে। তাই এই অবস্থার জন্য আসলে কোন বাবা মা প্রস্তুত ছিলেন না। অনেক ধৈর্য রাখতে হবে। সময় পেলেই বাচ্চাদের সাথে গল্প করুন। তার প্রিয় বন্ধুর সাথে কথা বলিয়ে দিন। অনেক বাচ্চাদের টিফিন খুব প্রিয় থাকে। তারা টিফিন কে মিস করে কিন্তু বোঝাতে পারেনা। তাদের মর্নিং স্ন্যাক্স একটা বক্স এ সার্ভ করুন। বাচ্চাদের জন্য বারান্দায় ফুলের বা গাছের টব রাখতে পারেন। গাছের যত্ন করতে সময় কাটবে। ছাদে বাচ্চাদের মাস্ক পরিয়ে সচেতন ভাবে ১১ টা থেকে ১ টার মধ্যে ১৫ মিনিট রোজ রোদ লাগাতে নিন। অতিরিক্ত লবন, চিনি, প্যাকেট ফুড বাচ্চাদের দিবেন না। রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়ার প্র্যাক্টিস করুন। বাচ্চাদের সামনে নেগেটিভ কথা কম বলুন। তাদের সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষামুলক ভিডিও দেখাতে পারেন। অনলাইন এ ক্লাস বা কোচিং করার সময়, বাইরের পোশাক পরে পরিপাটি করে বসার জন্য উৎসাহ দিন।