19/01/2025
🛑 ৬+ মাসের বাচ্চার সলিড শুরু করা নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস।
📌 ৬+ মাস থেকে দুই বছর।
🔷মনে রাখতে হবে ৬ মাস থেকে ১ বছর এই সময় বাচ্চা শুধুই খাবারের সাথে পরিচিত হবে। তাকে আস্তে আস্তে সকল খাবারের সাথে পরিচয় করান। এই সময় তার প্রধান খাবার দুধ।
🔷 ৬+ মাসে সুজি /সিরিয়াল এগুলো না দিয়ে প্রথমে ফল পিউরি দিবেন( কলা, আপেল,পাকা পেপে,আম) ভেজিটেবল পিউরি(মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু,গাজর,) । খুম সামান্য দিয়ে দেখতে পারেন।জাউ ভাত চটকে দিতে পারেন, আপেল এর সাথে ভাতের মাড়, আলুর সাথে ভাতের মাড় দিয়ে দিতে পারেন। সাবু দিতে পারেন খেজুর দিয়ে। প্রথমে এক বেলা খাবার দিবেন।।প্রথম ৩ দিন ভাতের মাড়,তার পরে কলা,তারপর পেপে।।খাবে হয়তো ২/৩ চামচ বা তার একটু বেশি।যেহেতু বাচ্চা এতদিন দুধ খেয়েছে,সলিড শুরু টা আস্তে আস্তে পাকস্থলীতে অভ্যাস করতে হবে।
🔷সলিড শুরুতে বাচ্চাদের পানি খাওয়াবেন।
🔷 ১২+ মাসে শিশুকে দিনে চার-পাঁচবার খাওয়াবেন।৭+ মাসে দুই বেলা ভারি খাবার আর বাকি সময় নাস্তা,দুধ খাবে। ৮/৯+ মাস বাবুদের ৩ বেলা ভারি খাবার দিবেন আর দুই বেলা নাস্তা। ৬+ মাস বাবু ২/১ বেলা সলিড খাবে বাকি সময় দুধ।
🔷সাধারণত সকাল ৭ /৮ টায়, সকাল ১০/১১ টায়, দুপুর ২টায়, সন্ধ্যা ৬টায় ও রাত ৯টা বা ১০টায় খাওয়াবেন।
🔷 বাচ্চাদের প্রথমেই সুজি না দেয়া ই ভালো। সুজি ৯/১০ মাস পর দিতে পারেন। বাচ্চাদের বাজার থেকে কেনা সুজি দিবেন না। এতে গ্লুটেন থাকতে পারে। ঘরে বানানো লাল/বিন্নি চাউলের সুজি দিন। তবে এক বছরের আগে গরুর দুধ বা দুধের তৈরি কোন খাবার দিবেন না।১৫ মাসে গরুর দুধ দিতে পারেন তবে পানি বেশি দিয়ে আর বাচ্চার যদি হজমে প্রব্লেম না হয় তাহলে।
✅সকাল ৯/ ১০টায়, ডিম, হালুয়া, খিচুড়ি, পায়েস, ফলের রস, ওটস,চিড়া,সাবু,ভাত ইত্যাদি।
✅ মিড মর্নিং এ ডিম,খেজুর, বাদাম,কুকিজ,ফল,টক দই যেকোনো কিছু স্ন্যাকস হিসেবে দিতে পারেন।
✅ দুপুর ২টায় ভাত, মাছ, মাংস, শাকসবজি, খিচুড়ি, রাজমা খিচুড়ি, ফলমূল। খিচুড়ি /ভাত, সবজি এর সাথে সামান্য লেবুর রস দিবেন। লেবুর রস ৬+ মাস থেকেই দিতে পারবেন ২/৩ ফোটা।
✅ বিকেলে ও কিছু স্ন্যাকস,দুধ দিতে পারেন।
✅ সন্ধ্যা ৬টায় সকালের মতো নাস্তা হিসেবে যেকোনো কিছু দিতে পারেন।
✅ রাত ৯-১০টায় ভারি খাবার দিতে পারেন ভাত,খিচুড়ি, নুডুলস,স্যুপ যেকোনো কিছু।
🟡 শাকসবজির মধ্যে - গাজর, আলু, টমেটো, শিম,মিষ্টি কুমড়া, ব্রকলি,ক্যাপসিকাম,বিটরুট, বরবটি, লাউ, ঢেড়স, কাঁকরোল, ঝিঙে, পটোল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, লেটুস, লালশাক, কুমড়ো শাক,কলমিশাক, লাউশাক ইত্যাদি।
🟡 ৬ + মাস এর পর থেকে বাচ্চাকে টকদই দিতে পারেন। এটা খুবই উপকারী।
🟡 ৭+ মাস থেকে মাছ দিতে পারেন।শিং,পাবদা,রুই,কাতল ইত্যাদি।
🟡৮+ মাস থেকে বাদাম,ঘি,বাটার,চিজ এগুলো দিবেন বাচ্চার খাবারে।
🟡শিশুকে যেসব ফলমূল দিতে পারবেন - কলা, আম, কমলা, পেঁপে, আপেল, আনার,ড্রাগন, স্ট্রবেরি,নাশপাতি ইত্যাদি।
🚫 সতর্কতা।
বাচ্চাদের প্রথম নতুন খাবারের সাথে পরিচয় করানোর পর অন্য একটি নতুন খাবার দেয়ার আগে তিন দিন অপেক্ষা করুন। এতে বাচ্চাদের ওই খাবারে অ্যালার্জি আছে কিনা বুঝতে পারবেন। যদি সেই খাবারে বাচ্চার পেট খারাপ বা বমির মতো কোনো সমস্যা হয়, তাহলে তাকে সেই খাবার দেওয়া বন্ধ করুন এবং একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে সলিড খাবার শুরু করবেন। মনে রাখবেন, সলিড খাবার খাওয়া শুরু করার 6 মাস থেকে 3 বছরের মধ্যে কিছু বাচ্চাদের নির্দিষ্ট খাবার সহ্য না হওয়া স্বাভাবিক।কিছুদিন বন্ধ রেখে আবার ট্রাই করবেন। খেতে না চাইলে জোর করবেন না। সুতরাং, খেয়াল রাখবেন এবং সমস্যার যে কোনো লক্ষণের দিকে নজর রাখবেন। আপনার বাচ্চাকে নতুন খাবার দেওয়ার সময় ৩ দিন অবশ্যই নোটিশ করবেন। তাহলে কোন খাবারে বাচ্চার প্রব্লেম আছে কিনা বুঝতে পারবেন।
পোস্ট টি মা ও শিশু পেইজ থেকে সংগৃহীত
Sharif Uddin Raihan