20/02/2025
মেয়েদের কৈশোরের শুরু থেকে যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলোর প্রধান কারণগুলো হলো:
হরমোনের পরিবর্তন: কৈশোরের শুরুতে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন (বিশেষ করে এস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরোন) ঘটে, যা শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের জন্য দায়ী। এই পরিবর্তনের ফলে মাসিক চক্রের অনিয়ম, ব্রণ, ওজন বৃদ্ধি বা কমা, এবং মানসিক চাপ দেখা দিতে পারে।
জেনেটিক কারণ: কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS), মাসিক চক্রের সমস্যা বা ব্রণ জেনেটিক কারণে হতে পারে। যদি পরিবারের অন্য সদস্যের একই রকম সমস্যা থাকে, তাহলে সেই মেয়েটিরও একই ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
খাদ্যাভ্যাস এবং পুষ্টির ঘাটতি: কৈশোরের শুরুতে শরীরের দ্রুত বৃদ্ধি এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পুষ্টি প্রয়োজন। পুষ্টির ঘাটতি বা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস অ্যানিমিয়া, দুর্বলতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ: শারীরিক পরিবর্তন, সামাজিক চাপ, এবং নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার ফলে অনেক মেয়ে মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। স্কুলের চাপ, বন্ধুদের সাথে তুলনা, বা সামাজিক প্রত্যাশা মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
শরীরচর্চার অভাব: পর্যাপ্ত শারীরিক কর্মকাণ্ড না থাকলে ওজন বৃদ্ধি, হাড় দুর্বল হওয়া, এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার জন্ম দেয়।
পরিবেশগত কারণ: দূষণ, খাদ্যে ব্যবহৃত হরমোনযুক্ত রাসায়নিক, এবং অন্যান্য পরিবেশগত প্রভাব স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য শিক্ষা: কৈশোরের শুরু এবং #মাসিক চক্র সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়ার কারণে অনেক মেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়। সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতা না থাকলে সমস্যাগুলো সময়মতো শনাক্ত করা বা সমাধান করা কঠিন হয়।
অপরিচ্ছন্নতা: মাসিকের সময় সঠিক পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে ইউটেরাসের ইনফেকশন বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
সামাজিক এবং পারিবারিক প্রভাব: অনেক মেয়ে কৈশোরের শুরুতে শারীরিক পরিবর্তনের কারণে সামাজিক এবং পারিবারিক চাপে পড়ে। এই চাপ থেকে মানসিক উদ্বেগ এবং অন্য স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এগুলো ছাড়াও পারিপার্শ্বিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জগুলো কৈশোরের শুরুতে মেয়েদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।