04/08/2023
ডেংগু রোগ কি? কেন হয়? প্রতিকার কি?
এডিস নামক এক ধরনের মশার কামড়ে ডেংগু রোগ দেখা দেয়। ডেংগু সাধারনত ৪ ধরনের। ডেংগু রোগের তেমন কোন চিকিৎসা নেই। তবে বিশেষ কিছু লক্ষন নির্ভর করে কিছু মেডিসিন চিকিৎসক ব্যবহার করবেন। ডেংগু হলে অনেকের শরীর প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হয়,জ্বর ১০৪/১০৫ হয়,বমি হয়, এই লক্ষনে বমির মেডিসিন চিকিৎসক দিবেন। ডেংগু হলেই ঘন ঘন রক্ত পরীক্ষার দরকার হয় না, ডেংগু শনাক্ত হবার ৪/৫ পরে প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করা যেতে পারে, কারন ডেংগু রোগ এক ধরনের ভাইরাস রোগ,এই ভাইরাসের আয়ুকাল ৭ দিন,৭ দিন পরে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকে না। তবে ৪/৫ দিন পরে যদি রোগীর শক সিমট্রম দেখা যায় সে ক্ষেত্রে শরীরে চিকিৎসক বিভিন্ন প্রকার ফ্লুইড ব্যবহার করে থাকেন, শক সিমট্রম বলতে রোগীর নাক দিয়ে রক্ত আসা,পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া, দাতের গুড়া দিয়ে রক্ত আসা, রোগী অনেক সময় সেন্স হারাতে পারেন, এই লক্ষন গুলিকে আমরা শক সিমট্রম বলে থাকি।ডেংগু রোগীর ডেংগু শনাক্ত করার প্রথম পরীক্ষা NS1, যা বাংলাদেশ সরকার কতৃক মুল্য ৫০০/ টাকা, ৩/৪ পরে চিকিৎসক বুঝে হয়বা IgG এবং IgM নামক দুটি পরীক্ষা করাতে পারেন,তাছাড়া তেমন কোন পরীক্ষা লাগেনা, তবে হা যদি কখনো ডেংগু রোগীর পেটে পানি অাসে তবে আল্টাসনোগ্রাফী করা লাগতে পারে বা ১ টা বুকের এক্স-রে। আর তেমন কোন পরীক্ষার দরকার হয় ই না।আমাদের দেশের অনভিজ্ঞ চিকিৎসক রা গাদিখানিক পরীক্ষা নিরীক্ষা দেয় তাদের ফায়দা লুটতে অন্য কারনে না। ডেংগু রোগের প্যারাসিটামল ছাড়া তেমন কোন মেডিসিন দরকার নেই। বমি হলে বমির মেডিসিন, আর আপনি প্রচুর পরিমান পানি পান করবেন,সাথে মাল্টা এবং লেবুর রসের শরবত খেতে পারেন, যেন শরীরে ইলেকট্রলাইট ঠিক থাকে, সাথে ডাবের পানি খেতে পারেন। বাসায় বিশ্রামে থাকতে হবে এবং খাবার খেতে হবে, চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে, মনে রাখবেন রক্তের ইলেকট্রলাইট কমে যাওয়া মানেই ঝুঁকি না, আর জ্বর কমে যাওয়া মানেই ঝুঁকি কমে যাওয়া না, আপনি সব সময় চিকিৎসক এর সাথে যোগাযোগ রাখবেন।ডেংগু রোগীর পরামর্শ কিন্তু আপনার আশপাশের দোকানদার বা কেমিস্ট অথবা নরমাল কোন এমবিবিএস চিকিৎসক দিতে পারবেন না। এই রোগের সুপরামর্শ শুধুমাত্র মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিতে পারবেন। অন্য চিকিৎসক দিতে পারবেন না তা নয় তবে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখযোগ্য পরামর্শ অার আংশিক পরামর্শের মধ্যে তফাৎ আছে।