23/11/2021
টক্সিন কি?
→
টক্সিন হল এক ধরনের বিষ, যা মুলত অস্বাস্থ্যকর, অতিরিক্ত তেল-মশলাজাতীয় খাদ্য ও ভেজাল খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের মারাত্নক ক্ষতি হয়। নিয়ম মেনে খাবার না খেলে দেখা দেয় গ্যাস্ট্রিক,আলসারসহ নানাবিধ সমস্যা। আবার ধুলাবালি থেকেও নাক ও মুখের মাধ্যমে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে।
আর এসব অপ্রয়োজনীয় ও অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিণত হচ্ছে টক্সিন বা বিষে। শরীরের ভিতরে টক্সিনের বিষক্রিয়ায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসসহ বহু রোগে ভুগতে হচ্ছে সববয়সী মানুষদেরকে।
যেসব খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে টক্সিন প্রবেশ করে:
• কফিতে থাকা অতিরিক্ত ক্যাফেইন নেয়ার ফলে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির কার্যক্ষমতা কমে যায়
• সকালের নাস্তায় হোয়াইট ব্রেড থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর মধ্যেও রয়েছে টক্সিন
• চিনি হজমে সমস্যা তৈরি করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
এক্ষেত্রে কৃত্তিম সুইটনারও ক্ষতিকর
• যেকোনো ধরনের সফট ড্রিংকসেই টক্সিন থাকে। যা মাড়ি ও দাঁতের ক্ষতি করে
• ভাজাপোড়া খাবারে প্রচুর টক্সিন থাকে। যা গ্যাস্ট্রিকসহ, পেটেব্যথা ও ত্বকের ক্ষতি করে
• রেড-মিটেও শরীরের জন্য ক্ষতিকর টক্সিন রয়েছে।
সুস্থ রাখতে আমাদের শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখতে হবে। মজার বিষয় হচ্ছে খাবারের মাধ্যমেই শরীরে টক্সিন প্রবেশ করে, আবার কিছু খাবারের মাধ্যমেই এই ক্ষতিকর টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
এসকল বিষ/টক্সিন সমস্যা প্রাকৃতিক উপায়ে বের করার জন্য টক্সিন ফ্ল্যাশ বেশ কার্যকর।
টক্সিন ফ্ল্যাশ এর উপাদানে রয়েছে : অ্যালোভেরা, সেনা পাতা,দারুচিনি,
জিনেটাম আফ্রিকান পাতা,কালোজিরা,ইসুবগুল,স্টেভিয়া।
উপকারিতাঃ
ক.শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদান দূর করে।
খ. কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং বিপাকে ক্রিয়া স্বাভাবিক করতে সহায়তা করে।
গ.ওজন কমানো ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ঘ.গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা (যেমন-বুক জ্বালাপোড়া,বমি-বমিভাব প্রভৃতি) ও বদহজম দূর করে।
ঙ.রক্তের চর্বি কোলেস্টেরল ও অন্যান্য রক্ত দূষণ কমায়।
চ.লিভার ও শরীরে জমাট বাধা দূষিত চর্বি গলিয়ে বের করে দেয় ফলে বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ছ.হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
জ.শরীরের ক্লান্তি দূর করে দৈহিক ও মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।জয়েন্ট পেইন কমায়।
ঝ.কোলন সহ দেহের অভ্যান্তরে জমে থাকা Toxin বা বিষাক্ত ময়লা পরিষ্কার করে।
ঞ.শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
খাওয়ার নিয়মঃ
১ গ্লাস বা ২০০ মি.লি.পানিতে এক প্যাকেট টক্সিন ফ্ল্যাশ পাওডার মিশিয়ে সকালে খালি পেটে ও রাতে খাবারের ১ ঘন্টা পরে পান করুন।
তবে আর দেরী কেন,"বিষকে পিষে নিমিষেই হয়ে যান চাঙ্গা"
প্রতিক্রিয়া : টক্সিন ফ্ল্যাশ গ্রহণের পর একাধিক বার মল নিঃসরণ হতে পারে এবং পেটে চাপ দিতে পারে। এতে ভয় পাবার কিছু নাই, এতে টক্সিন বের করার কার্যকরীতা উপলব্ধি করতে পারবেন।