
17/04/2025
কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়মাবলি :
১. কৃমির উপদ্রপ বেশী হলে আগে বাচ্চাকে সাতদিন এন্টিহিস্টামিন খাওয়ানো ভালো । এতে কৃমিগুলে নির্জীব হয়ে যাবে এবং মৃত শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে শরীরে এলার্জিক রিয়াকশন করতে পারবে না।
২. এরপর যেদিন কৃমিনাশক খাওয়াবেন সে রাতে বাচ্চাকে ঔষধ খাইয়ে তার পায়খানা রাস্তা ভালো করে পরিস্কার করে নিজের হাতও ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আবার বাচ্চার পায়খানার রাস্তা ভালো করে ধুয়ে নিজেকে পরিস্কার করবেন। এতে মৃত কৃমির ডিমগুলো থেকে পুনরায় কৃমি পেটে ঢোকার সুযোগ কমে যায়।
৩. পরিবারের বাকিরাও কৃমিনাশক খাবেন এবং কৃমিনাশক দেয়ার পর বাচ্চার যদি অরুচি হয় তাহলে একটা ভিটামিন সিরাপ খাওয়াতে হবে।
৪. পায়খানার রাস্তা বেশী চুলকালে মলম,ভেসলিন দিতে হবে ও পুরো জায়গাটা শুকনা রাখতে হবে।
কৃমি প্রতিরোধের উপায়
১.পরিস্কার পরিছন্নতাই একমাত্র উপায় কৃমি না হওয়ার।
২. বাচ্চার নখ কেটে সমান করে দিতে হবে এবং পরিস্কার রাখতে হবে।
৩. মুখে হাত দেয়া ও দাঁতে নখ কাটার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
৪.কোন কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই যেন হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে, এটা বাচ্চাকে খুব ভালো করে শেখাতে হবে।
৫. খালি পায়ে মাটিতে হাঁটা যাবে না এবং বাচ্চাকে ধূলাবালি ময়লায় হাত দিতে মানা করতে হবে।
৬. রাতে বাচ্চা ঘুমের ঘোরে পায়খানার রাস্তা চুলকানোর চেষ্টা করলে, লম্বা পায়জামা পরাতে হবে বা ভেসলিন বা মলম দিতে হবে মলদ্বারে যেন চুলকানি না হয়।
৭. পায়খানা কষা হলে কৃ্মি পেটে বাসা বাঁধতে সুযোগ পায়। এজন্য নিয়মিত পায়খানা হওয়ার জন্য বেশী করে পানি ও শাকসবজি খেতে হবে।
৮. নিয়মিত ৬ মাস পর পর ( কৃমির সমস্যা থাকলে ৩ মাস পর পর) বাসার সবাই (কাজের লোকসহ) কৃমির ঔষধ খেতে হবে।