গবাদী প্রাণীর চিকিৎসা ও মেডিসিন

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • গবাদী প্রাণীর চিকিৎসা ও মেডিসিন

গবাদী প্রাণীর চিকিৎসা ও মেডিসিন Self-sacrifice and humanity is the best approach.

05/12/2025

ট্রাই করে দেখতে পারেন

05/12/2025
25/11/2025

জেনে রাখুন।

25/11/2025
24/10/2025

তিন মাস অন্তর অন্তর কৃমিনাশক দিবেন।।
কৃমিনাশক দেওয়ার পরে নিম্নোক্ত ভিটামিন গুলো দিতে পারেন।

ছাগলের রোগ-বালাই ব্যবস্থাপনা: প্রতিরোধ ও প্রতিকার কৌশলছাগল পালনে লাভজনক হতে হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দিকে সর্বাধিক মনো...
24/10/2025

ছাগলের রোগ-বালাই ব্যবস্থাপনা: প্রতিরোধ ও প্রতিকার কৌশল

ছাগল পালনে লাভজনক হতে হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দিকে সর্বাধিক মনোযোগ দেওয়া জরুরি। রোগ-বালাইয়ের কারণে ছাগলের মৃত্যু বা উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস খামারিদের জন্য বড় অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বাংলাদেশে ছাগলের প্রধান রোগগুলো সম্পর্কে জানা এবং সময়মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক।

১. ভাইরাসজনিত মারাত্মক রোগসমূহ (Vaccination Essential)
এগুলো অত্যন্ত ছোঁয়াচে এবং প্রাণঘাতী, তাই টিকা প্রদান অপরিহার্য।

পিপিআর বা ছাগলের প্লেগ রোগ (PPR - Peste des petits ruminants):

লক্ষণ: তীব্র জ্বর, নাক ও চোখ দিয়ে জল ঝরা, মুখ ও মাড়িতে ঘা সৃষ্টি, রক্ত মিশ্রিত বা দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা পায়খানা। এই রোগে দ্রুত ছাগলের মৃত্যু ঘটে।

প্রতিকার: ভাইরাসজনিত হওয়ায় সরাসরি চিকিৎসা নেই। সেকেন্ডারি সংক্রমণ রোধে অ্যান্টিবায়োটিক ও লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দিতে হবে।

প্রতিরোধ: পিপিআর টিকা (PPR Vaccine) ৪ মাস বয়সে প্রথম ডোজ এবং তারপর প্রতি ৩ বছর অন্তর বুস্টার ডোজ দিতে হবে।

ক্ষুরা রোগ (Foot and Mouth Disease - FMD):

লক্ষণ: মুখে, জিভে, মাড়িতে এবং পায়ের খুরের মাঝে ফোস্কা বা ঘা তৈরি হয়। ছাগল খুঁড়িয়ে হাঁটে এবং খাওয়া বন্ধ করে দেয়।

প্রতিকার: মুখে ও পায়ের ক্ষতে পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (KMnO₄) বা ফিটকিরি জল দিয়ে ধুয়ে অ্যান্টিসেপটিক মলম ব্যবহার করতে হবে।

প্রতিরোধ: বছরে ২ বার (৬ মাস অন্তর) ক্ষুরা রোগের টিকা দিতে হবে।

২. ব্যাকটেরিয়াজনিত ও শ্বাসনালীর রোগ
এন্টারোটক্সিমিয়া বা বাদলা রোগ: এটি ক্লোস্ট্রিডিয়াম পারফ্রিনজেনস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়, যা অতিরিক্ত শর্করা বা দানাদার খাদ্য খাওয়ানোর ফলে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে।

লক্ষণ: পেট হঠাৎ ফুলে ওঠে, তীব্র পেটে ব্যথা, ছাগল ঘন ঘন শ্বাস নেয়, খিঁচুনি দিয়ে দ্রুত মারা যায়।

প্রতিকার: দ্রুত অ্যান্টিটক্সিন বা ভেটেরিনারি অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে।

প্রতিরোধ: ৪ মাস বয়সে প্রথম ডোজ এবং তারপর প্রতি বছর অন্তর এন্টারোটক্সিমিয়া টিকা দিতে হবে।

নিউমোনিয়া (Pneumonia) বা ঠান্ডা লাগা: অপর্যাপ্ত বা স্যাঁতসেঁতে ঘরে থাকার কারণে হয়।

লক্ষণ: শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন কাশি, নাক দিয়ে সর্দি বা জল ঝরা, জ্বর এবং খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া।

প্রতিকার: ছাগলকে শুকনো, গরম স্থানে রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ও কাশির ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।

৩. পরজীবীজনিত ও অন্যান্য সাধারণ সমস্যা
কৃমি বা পরজীবী সংক্রমণ (Parasitic Infestation):

লক্ষণ: ছাগল দুর্বল হয়ে যায়, লোম রুক্ষ দেখায়, পেট বড় হয় (পট-বেলি), অ্যানিমিয়া (রক্তাল্পতা) দেখা যায়।

প্রতিকার: ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট মাত্রায় কৃমিনাশক (Deworming) ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।

প্রতিরোধ: প্রতি ৩ থেকে ৪ মাস অন্তর কৃমিনাশক ওষুধ প্রয়োগ করা এবং ঘর ও পরিবেশ পরিষ্কার রাখা আবশ্যক।

ফুট রট বা পায়ের পচন (Foot Rot): দীর্ঘ সময় কাদা বা স্যাঁতসেঁতে স্থানে থাকলে হয়।

লক্ষণ: ছাগলের পা ফুলে যায়, খুরের মাঝে ঘা হয়, দুর্গন্ধ বের হয় এবং ছাগল খুঁড়িয়ে হাঁটে।

প্রতিকার: কপার সালফেট বা অ্যান্টিসেপটিক জল দিয়ে পা পরিষ্কার করে শুকনো জায়গায় রাখতে হবে এবং অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে।

প্রতিরোধ: বাসস্থান সবসময় শুকনো, পর্যাপ্ত আলো-বাতাসযুক্ত এবং আর্দ্রতামুক্ত রাখতে হবে।

খোঁস বা ত্বকের রোগ (Mange/Skin Disease): মাইটের (Mite) আক্রমণে হয়।

লক্ষণ: ত্বকে চুলকানি, লোম ঝরে যাওয়া, স্থানে স্থানে চামড়া মোটা ও কুঁচকে যাওয়া।

প্রতিকার: ইভারমেকটিন (Ivermectin) জাতীয় ইনজেকশন বা বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত লোশন ব্যবহার করতে হবে।

৪. সমন্বিত দমন ও প্রতিরোধ কৌশল (IPM)
রোগের আক্রমণ রোধে এই ব্যবস্থাগুলো প্রথমে গ্রহণ করা আবশ্যক:

আক্রান্ত ছাগলকে পৃথকীকরণ: কোনো ছাগলের মধ্যে রোগের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা গেলে তাকে দ্রুত সুস্থ ছাগলদের থেকে আলাদা (Isolation) করে দিতে হবে।

সঠিক পুষ্টি ও জল: ছাগলকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষ্কার জল ও সুষম খাদ্য (দানাদার ও সবুজ ঘাস) সরবরাহ করতে হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: ঘর নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা এবং শুকনো রাখা অপরিহার্য। সপ্তাহে একবার চুন বা অনুমোদিত জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।

বায়ো-সিকিউরিটি: বাইরে থেকে নতুন কোনো ছাগল কিনলে তাকে অন্তত দুই সপ্তাহ আলাদা স্থানে রেখে পর্যবেক্ষণ করার পর খামারে প্রবেশ করাতে হবে।

এগ্রো ই-বাজার: কাজ ও বাণিজ্যের সুযোগ 🏆

কেউ যদি তার নিজের প্রজেক্ট নিয়ে পোস্ট/ভিডিও প্রতিবেদন বানাতে চান তবে নিঃসংকচে যোগাযোগ করুন । আপনি কি পার্টটাইম আমাদের ই-কমার্স সাইটে কাজ করতে চান বা যেকোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে চান তবে যোগাযোগ করুন। E-mail : agroebazar@gmail.com

প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী:
পশুসম্পদ ও কৃষিভিত্তিক ব্যবসা বিষয়ক আরও বিশদ প্রতিবেদন পেতে আমাদের পেজটি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ফলো করে সাথেই থাকুন।।

24/10/2025

বাহ বেশ।

23/10/2025

গরুর পেট ফাপার চিকিৎসা।।

23/10/2025

গরুকে গোসল করে দেওয়ার মুহূর্ত। গরুটা কত সুন্দর তাই না।

22/10/2025

মায়ের প্রতি সন্তানের ভালবাসা।

রংপুরসহ সারাদেশে অ্যানথ্রাক্স (Anthrax) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা এবং এখনই সকলের সতর্ক হওয়...
22/10/2025

রংপুরসহ সারাদেশে অ্যানথ্রাক্স (Anthrax) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা এবং এখনই সকলের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

♦️অ্যানথ্রাক্স কীঃ

অ্যানথ্রাক্স একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ যা মূলত গবাদিপশু যেমন গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদিতে হয়। সংক্রামিত প্রাণীর রক্ত, মাংস, চামড়া বা মৃতদেহের সংস্পর্শে এসে মানুষের শরীরে জীবাণুটি প্রবেশ করতে পারে।

♦️কিভাবে ছড়ায়ঃ

সংক্রামিত পশুর মাংস, রক্ত, চামড়া বা হাড় স্পর্শ করার মাধ্যমে।

অসুস্থ পশু জবাই করার সময় ক্ষত বা কাটা জায়গা দিয়ে জীবাণু শরীরে ঢুকে যেতে পারে।

কখনও কখনও আধা সেদ্ধ বা কাঁচা মাংস খাওয়ার মাধ্যমেও সংক্রমণ ঘটতে পারে।

♦️মানুষের মধ্যে উপসর্গঃ

অ্যানথ্রাক্স সাধারণত তিনভাবে সংক্রমণ ঘটায়—ত্বক, ফুসফুস ও অন্ত্রে। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ত্বকের অ্যানথ্রাক্স। এতে প্রথমে ছোট ফোস্কা হয়, পরে তা কালো ঘায়ে পরিণত হয়। অন্য উপসর্গগুলোর মধ্যে থাকতে পারে—

জ্বর ও দুর্বলতা

শরীর ব্যথা ও মাথাব্যথা

ঘা বা ফোস্কার চারপাশে ফোলা

গলা বা বুকে ব্যথা

♦️যেগুলো একদম করা যাবে নাঃ

অসুস্থ বা হঠাৎ মা*রা যাওয়া গরু বা ছাগল জ*বা*ই করা বা খাওয়া যাবে না।

মৃ*ত বা সন্দেহভাজন পশুর রক্ত, মাংস বা চামড়া কোনোভাবেই স্পর্শ করবেন না।

গরু মা*রা গেলে সেটি দাফন করার আগে অবশ্যই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে হবে।

♦️করণীয়

1. গবাদিপশুর খেয়াল রাখুন।

2. জ*বা*ইয়ের আগে নিশ্চিত হোন পশুটি সুস্থ কিনা।

3. ত্বকে ঘা, কালো দাগ বা ফোস্কা দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

4. আক্রান্ত এলাকার পশু কেনা-বেচা থেকে বিরত থাকুন।

5. পশুর খোঁয়াড় ও আশপাশ পরিষ্কার রাখুন এবং দূষিত বস্তু সাবধানে নিষ্পত্তি করুন।

ডা. মাহফুজ বাঁধন

Address

Dhaka

Telephone

+8801719420409

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when গবাদী প্রাণীর চিকিৎসা ও মেডিসিন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to গবাদী প্রাণীর চিকিৎসা ও মেডিসিন:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram