Lamia's Happy Life with Mental Health Support

Lamia's Happy Life with Mental Health Support Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Lamia's Happy Life with Mental Health Support, Psychologist, Dhaka.

14/11/2023

ইদানিং দেখছি মানুষ খুব সুক্ষ্ণভাবে সচেতনতার অভিনয় করছে।খুব নিখুঁত ভাবেই করছে।গলা ফাটিয়ে জোর দিয়ে মানসিক সাস্থ্য নিয়ে কথা বলছে।রীতিমতো জ্ঞ্যান দিয়ে যাচ্ছে।অথচ তার বিন্দু মাত্র ধারণা নেই মানসিক সাস্থ্য আসলে কি জিনিস।ট্রেইনিং তো দূরের কথা।আমরা যারা মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট দিয়ে থাকি উল্টো তাদের এই সব তোপের মুখে পরতে হয়।আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। ওইযে কথায় বলেনা " অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী "। ব্যাপারটা অনেকটাই সেরকম। আমাকে তো একজন বলেই বসলো " তোমার কিছু কাগজ পত্র,বই দিও তো। কাউন্সিলিং টা করাতে পারবো। 😶আমি মনে মনে বেশ কিছু অসাধু টাইপ কথা বললাম।আর চিন্তা করলাম দীর্ঘ ৮ বছর এই সাইকোলজি পড়েছি।এখনো পড়ছি।তাও মনে হয় এক সাগর পরিমান থেকে আধা ছটাক ও পড়তে পারিনি।জানতে পারিনি।এজন্য বলছি খুব সাবধান। হাতুড়ে ডাক্তার যেমন ভয়ংকর, হাতুড়ে সাইকোলজিস্ট ও ভয়ংকর।
অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী, খুব ভভয়ংকরী।

17/02/2023
14/02/2023

কথা তো আমরা সবাই বলি।বলার আগে ভেবে কয়জন বলি?এমন কোনো কথা বলে ফেলছেন কিনা একটু ভেবে দেখুন তো যেটা ক্ষত বিক্ষত করে দিচ্ছে অন্যজন কে??আপনার কথায় এমন কোন শব্দ নেই তো যা নষ্ট করে দিচ্ছে আর একজনের আত্নবিশ্বাস কে? একটু ভেবে দেখুন।এরপর বলা শুরু করুন।তবে পজিটিভ শব্দ বলতে শিখুন।তবে অনেক সময় হয় আমরা জানিনা কিভাবে পজিটিভলি কথা বলতে হয়।কি শব্দ ব্যবহার করলে কাজ উদ্ধারও হবে কিন্তু কাওকে কষ্ট দেয়া হবে না।সেক্ষেত্রে আমরা সাইকোলজিস্টরা তো আছি আপনাদের পাশে,আপনাদের জন্য।যোগাযোগ করুন।💜

18/02/2022
18/02/2022
28/07/2021

সেই ছোট বেলা থেকে খুব কমন একটা বিষয় দেখে আসছি।সবাই জীবনে কম বেশি এই বিষয়ের সাথে পরিচিত। তা হলো "কারো সাথে তুলনা করা"।আমাদের সমাজ ও পরিবার এ এটা খুব স্বভাবিক ভাবেই হয়ে আসছে।কিন্তু আসলেই কি এটা স্বাভাবিক??
একটা ছোট বাচ্চা যখন একটু বেশি চঞ্চল হয়, একটু বুঝতে শিখে তখন থেকেই আমরা শুরু করি তুলনা করে কথা বলা,যেমন ঃতুমি দুষ্টু, তুমি পঁচা, তোমার বোন অথবা ভাই ভালো। হয়তো মজার ছলেই বলা হয় কথাটা।হয়তো এটা ভেবে বলা হয় যদি সে দুষ্টুমি কমিয়ে দেয়।আবার যখন সে স্কুলে যাওয়া শুরু করে তখন সেখানেও তুলনা," তুমি স্কুলে যেতে চাওনা,কিন্তু দেখো তোমার বন্ধু স্কুলে যায়।তুমি পড়তে চাওনা,তোমার বন্ধুরা কত্তো ভালো রেজাল্ট করে।এরপর শুরু হয় তার জীবনের কঠিন সময়।সব জায়গায় তার বাবা মা,তার আত্নীয় স্বজন তুলনা করা শুরু করে দেয়।লেখাপড়া, খাওয়া দাওয়া,সখ,ঘরের কাজ সব বিষয়ে চলে তুমুল তুলনা করা। অভিভাবকেরা মনে করেন এটাই বুঝি সঠিক উপায়।তারা মনে করেন এভাবে তুলনা করলে বুঝি সন্তান সঠিক টি করবে।সন্তান ভুল করা বন্ধ করবে।আসলে যুগ যুগ ধরে এভাবেই চলে আসছে।কিন্তু আসলেই কি তাই?? একবার ভেবে দেখুন তো এই যে তুলনা করে করে তাকে জীবনে কতটা সাফল্য এনে দিতে পেরেছেন??তুলনা করতে করতে তার আত্নবিশ্বাস যে ধ্বংস করে দিয়েছেন তা কি বুঝতে পারছেন?? সে দিন দিন তার আত্নবিশ্বাস হারিয়েছে।সে দিন দিন আরো সংকটে ভুগেছে।সে দিন দিন তার প্রতিভা হারিয়েছে,হারিয়েছে আত্নমর্যাদা।তখন ছোট ছোট কাজ ও সে ভুল করছে।কারন সে বিশ্বাস করেই নিয়েছে তার দ্বারা কিছু হবে না।সে বিশ্বাস করে নিয়েছে সে অন্যের চাইতে অক্ষম।তার সারাক্ষণ এই বুঝি ভুল হলো এই বুঝি ভুল হলো চিন্তা তাকে কোন কাজ সঠিক ভাবে করতেই দেয়নি।সারাক্ষণ তার যোগ্যতা কে অন্যের সাথে তুলনা করায় সে নিজের কাছেও নিজে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হয়।মৃত্যু হয় একটা প্রতিভার।
অথচ অভিভাবক রা মনে করেন এভাবে প্রতিনিয়ত তার ভুল গুলো অন্যের করা সঠিক কাজের সাথে তুলনা করলে সন্তান ঠিক হবে।মানুষ হবে।আরেকজনের টা দেখে যদি ভালো কিছু শিখে।কিন্তু সব মানুষ কি সমান হয়?? সবার মাঝেই কম বেশি মেধা আছে।কেও অল্পতেই তার প্রকাশ করতে পারে,কারো করতে হয় কঠিন পরিশ্রম। অথচ আমরা সেই পরিশ্রম এ সাহস না দিয়ে, অনুপ্রেরণা না দিয়ে তাকে দেই লাঞ্চনা।তাকে অনবরত ভুল ধরিয়ে দেই।বলে দেই তোমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না।

আপনার সন্তানের সত্যি ভালো যদি চেয়ে থাকেন তাহলে আজ ই এই তুলনা করা বাদ দিন।আজ থেকেই শুরু করুন তার প্রশংসা।আগে তার ভালো কাজের বাহবা দিন,এরপর ভুল গুলো বলুন।তাকে তার মতো করে বিচার করুন।প্রত্যেক টা মানুষ আলাদা,তাকে আলাদা মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করুন।তাকে আত্নবিশ্বাসী করে গরে তুলুন।তাকে মর্যাদা দিন,দেখবেন সে একদিন সত্যি সুন্দর কিছু করে ফেলেছে।

লামিয়া রশীদ
সাইকোলজিস্ট

03/09/2020

জীবনের প্রতি টা ক্ষেত্রে আমরা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি।কখনো জটিল কোন সমস্যা, আবার কখনো সহজ সমস্যা। আসলে বাধা বিপত্তি, সমস্যা, ক্ষয়ক্ষতি, অপ্রাপ্তি এগুলো জীবনে আসবেই।আমরা মানুষ তো।এটাই চরম সত্য। সমস্যা সবার জীবনে একভাবে আসে না।কারো কম,কারো বেশি।সেটা ব্যাপার না।ব্যাপার হচ্ছে কে কিভাবে এই সমস্যার সমাধান খুজে বের করছে।কে কতটা নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছে। কে নিজেকে কতটা ধরে রাখতে পারছে।এখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে দিতে হচ্ছে মানসিক শক্তির পরীক্ষা। যে যতটা মানসিক ভাবে শক্তিশালী তার জন্য জীবন ততটাই সহজ।জীবনে ভালো থাকতে হলে,সুখে থাকতে হলে কিছু কিছু বিষয় খুব ভালো ভাবে আয়ত্তে আনা প্রয়োজন। যেমনঃ

🌼 ইগনোর করুন- প্রতিদিন নানা মানুষ নানা ভাবে জীবন ওলট পালট করার প্রচেষ্টায় থাকবে। খুব সুন্দর করে ইগনোর করুন।সবাই কে এতো গুরুত্ব দিলে নিজেকে কষ্ট পেতে হবে।

🌼 নিজেকে চাপ মুক্ত রাখুন-ভালো থাকার মূল মন্ত্র হলো নিজেকে চাপ মুক্ত রাকা।খুব চেষ্টা করুন নিজেকে মানসিক চাপ মুক্ত রাখার।

🌼 নিজেকে ভালবাসুন- নিজেকে খুব ভালবাসুন।কারোর জন্য না।নিজের জন্য নিজের যত্ন নিন।নিজের জন্য নিজের খেয়াল রাখুন।ভালবাসা দিয়ে নিজেকে আগলে রাখুন।

🌼 ফ্যাক্ট মেনে নিন- যেটা সত্যি সেটা সব সময় ই সত্যি। সত্য কখনো পরিবর্তন করা যায় না।সব সময় সত্যি কে মেনে নিন।

🌼 জাজমেন্টাল না হওয়া - খুব অল্পতেই কাওকে জাজ না করা।না যেনে না বুঝে আমরা প্রায় ই জাজ করে ফেলি।সেটা খুব অনুচিত। বিরত থাকতে হবে এখান থেকে।

🌼ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করা- আমাদের খুব সতর্কতার সাথে ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা এড়াতে হবে।

🌼 অতীত না ঘাটা- জীবনে যেটা হয়ে গিয়েছে সেটা তো চাইলেই আমরা পরিবর্তন করতে পারবো না।তাই সেটা মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমান এর কাজ।

🌼রাগ নিয়ন্ত্রণ করা- রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।চরম সত্য কথা।

আসলে ভালো থাকার জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই।নিজেকে খুব ভালবাসুন,নিজেকে গুরুত্ব দিন।নিজেকে সময় দিন।আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। আপনি নিজেই জানেন আপনার কি প্রয়োজন। শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকাটা যেমন জরুরি তেমনি মানসিক সুস্থতা বাধ্যতামূলক।

লামিয়া রশীদ
সাইকোলজিস্ট

05/08/2020

মানসিক সাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে যেয়ে বিগত দিনগুলোতে যেটা বেশি চোখে পরেছে তা হলো অতিরিক্ত রাগ।
রাগ মানুষের খুব সাভাবিক একটা আবেগ। যেমনঃ কষ্ট, আনন্দ, হতাশা,ভয়,বিরক্তি, এই গুলো মানুষের সাভাবিক আবেগ।ঠিক তেমনি রাগ ও একটা আবেগ মাত্র। কিন্তু সেটা যদি হয় অতিরিক্ত তবে সেটা বিপদের কারন।
কথায় বলে "রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন"।
আসলেই সত্যি। এই অতিরিক্ত রাগ মানুষের খুব ক্ষতি করে দেয়।ভালো সম্পর্ক কে খারাপ করে দেয়।আত্নীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করে।নিজের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির তো শেষ নেই। মনে করেন আপনি খুব রেগে গেলেন।এতে আপনি মারধর করলেন।জিনিসপত্র ভাংচুর করলেন আর খুব গালিগালাজ করলেন।এই রাগ যখন কমে যাবে তখন আবার আপনি ই বেশি কষ্ট পাবেন।হীনমন্যতায় ভুগবেন।হতাশায় ভুগবেন।অপরাধ বোধ কাজ করবে।আপনার মানসিক ক্ষতি হয়ে গেলো। আর শারিরীক ভাবেও হবেন ক্ষতি গ্রস্ত। কি দরকার নিজে নিজে এতো বিপদ ডেকে আনার।একটু চেষ্টা করে যদি এই রাগ নিয়ত্রন করা যায় তো ক্ষতি কি?
আসুন আমরা রাগ নিয়ন্ত্রন এর কিছু কৌশল শিখে নেই।

# ঠিক যেই পরিবেশে আপনার রাগ হচ্ছে বা যার কারনে রাগ হচ্ছে তা এড়িয়ে চিলুন।ওই পরিবেশ থেকে সরে আসুন।বা ওই ব্যাক্তি কে Avoid করুন।

# যখনি বুঝতে পারবেন আপনি রেগে যাচ্ছেন তখনি মনে মনে চিন্তাকে বলুন STOP।

# countdown শুরু করুন।মনে মনে সংখ্যা গননা করুন। সেটা সোজাও হতে পারে আবার উল্টো ও হতে পারে।

# রেগে গেলে বিরতি নিন।কিছুক্ষন বিরতি নিয়ে রাগ প্রকাশ করুন।১ মিনিট, ২ মিনিট ৩ মিনিট এভাবে করে সময় বাড়ান।এতে রাগের প্রকাশ ভয়াবহ হবে না।
একটা সময় দেখবেন আর রাগ করতে ইচ্ছে করছে না।

# Breathing Relaxation Therapy নিতে পারেন। নাক দিয়ে Oxygen নিন আর মুখ দিয়ে ছারুন।এভাবে কিছুক্ষণ করুন।আরাম পাবেন।

# রেগে গেলে একটু বাইরে থেকে হেটে আসুন। খোলা পরিবেশ আপনার মন কে শান্ত করবে।

# কমন একটা কথা মনে গেথে নিবেন।যেমনঃ আমি রেগে যাবনা।আমি শান্ত থাকব।নিজের ভালো টা চিন্তা করবেন।আর নিজের ভালো আছে রাগ নিয়ন্ত্রন এর মদ্ধ্যেই।

#যে কারনে রাগ হচ্ছে সেখান থেকে মনযোগ অন্য দিকে নিতে হবে।

#রাগ বেশি হলে জানালা দিয়ে বাইরে তাকান।ছোট ছোট বিষয় খেয়াল করুন। যেমন গাছের ছোট সবুজ পাতা,পাখির ডাক,আকাশের ভেসে যাওয়া মেঘ।

# জাজমেন্টাল হওয়া যাবে না।হুঠ করে কোন কিছু চিন্তা না করে রাগ প্রকাশ করলে নিজের ও ক্ষতি আর সামনের মানুষটার ও।

# কাজের চাপে যদি এমন টা হয় তাহলে রুটিনে পরিবর্তন আনুন।কাজের চাপ কমান।পরিবারে কাজ ভাগ করে দিন।

# Stress Free থাকুন।যেই বিষয় টা বেশি Stress দিচ্ছে তা নিয়ে পরিবারে কাছের মানুষের সাথে অথবা কাছের বন্ধুর সাথে আলাপ করুন।

#যদি পরিবর্তন আনতে না পারেন তাহলে মেনে নিন।কিছু কিছু সময় আমাদের না চাইতেও মেনে নিতে হয়।

# Ignore করুন।জীবনে Ignore করতে না পারলে দুক্ষের শেষ নেই।জীবন আপনার পছন্দ মতই সব দিবে না।তাই অপছন্দের বিষয় গুলো igonore করতে হবে।

খুব দ্রুত রাগ কমাতে সাহায্য করে। প্রয়োজনে Counselling নিন।

#কোনো মানসিক রোগের কারনে রাগ বেশি হলে বা নিয়ন্ত্রণ এর বাইরে হলে চিকিৎসা নিন।

নিজে ভালো থাকুন। পাশের মানুষ কে ভালো রাখুন।
মনে রাখবেন আপনি নিজে ভালো না থাকলে কখনো কাওকে ভালো রাখতে পারবেন না।

🌸লামিয়া রশীদ
সাইকোলজিস্ট 🌸

30/07/2020

সুস্থ ভাবে পরিবারকে নিয়ে বেচে থাকাই সবচেয়ে বড় পাওয়া, সবচেয়ে বড় ঈদ।

03/07/2020

অনেক দিন থেকেই ভাবছি এই বিষয় টা নিয়ে লিখবো। আজ লিখে ফেললাম।
একজন নারী জন্মের পর সে তার বাবার বাড়িতে সাধারণত রাজকন্যার মতই বড় হয়।এতে বাবার রাজ্য থাকুক আর না থাকুক। এরপর বিয়ে, সংসার সব কিছুতে সময় লাগলেও মানিয়ে নেয়।এরপর মা হয়ার পালা।একজন পুরুষ বাবা হন তার সদ্য জন্মানো সন্তান কে কোলে নেয়ার পর।কিন্তু একজন নারী মা হন যখন তার গর্ভে সন্তান এর আগমন হয়।তখন থেকে শুরু হয় তার মা হয়ার সংগ্রাম। সন্তান জন্মের আগের যুদ্ধে পরিবার পাশে থাকলেও সন্তানের জন্মের পর পরিবার কে মায়ের পাশে পাওয়া যায় খুব কম।তখন সবাই ব্যাস্ত থাকে সদ্যোজাত শিশু কে নিয়ে। এদিকে শিশুটিকে জন্ম দেয়ার পর মা নানা রকম জটিলতায় পরেন।কখনো সেটা শারীরিক কখনো মানসিক।তবে শারীরিক জটিলতা সময়ের সাথে সাথে কমলেও কমেনা মানসিক জটিলতা। এই সময়ে বিভিন্ন পরিবর্তন আসে মায়ের জীবনে।মায়ের কি কি পরিবর্তন হয় তা একটু লক্ষ্য করি।

# বিশাল একটা শারীরিক ঘাটতি।
# শারীরিক গঠনের পরিবর্তন।
# মনসিক ভাবে পরিবর্তন।
# ঘুম কমে যাওয়া( কারন সন্তান রাতে ঘুমায় না)
# নিজের প্রতি অবহেলা।
# নিজের আত্নবিশ্বাস কমে যাওয়া।
# অসহায় বোধ করা।
# নিজে কে মূল্যহীন ভাবা
একজন মা হওয়ার পর ভিশন ভালো লাগা কাজ করে।কিন্তু ধীরে ধীরে সে ডিপ্রেশনে চলে যায়।কারন নিজের সমস্ত কিছু উজার করেই সে মা হয়ার প্রস্তুতি নেয়।কিন্তু অনেক সময় নতুম মা হওয়া ব্যাক্তি টিকে তার পরিবার বুঝতে চায় না।অথবা ভুল বুঝে থাকেন।একজন মায়েরও শিশুটির পাশাপাশি যত্নের প্রয়োজন এটাই বুঝেন না অনেক শিক্ষিত মানুষও ।তখন ওই মা ধীরে ধীরে ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে যান।এটা তার নিজের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি শিশুটির জন্য ও ভালো নয়।মা কে শুধু শারীরিক ভাবে সুস্থ হলেই হবেনা।হতে হবে মানসিক ভাবেও সুস্থ। তবেই সে একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক যত্ন নিতে পারবেন।সেজন্য আগে প্রয়োজন ওই মায়ের যত্ন নেওয়া। পরিবারের সবাই কে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।হতে হবে সহযোগী।এজন্য যা প্রয়োজন ঃ
# প্রথমেই দরকার মায়ের জন্য পুষ্টি কর খাবার।
# পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা।
# নিজের যত্ন নেওয়া।
# একটু বিনদন এর ব্যাবস্থা করা।
# ঘরের কাজের প্রেশার কমানো।
# মা কে মানসিক ভাবে শক্তি দেয়া।
# মায়ের মানসিক চাপ হতে পারে এটা মাথায় রেখে কাজ করা।
# বাবা ও মা উভয়েই সমান ভাবে সন্তানের দেখা শোনা করা।
এরকম ছোট ছোট চেষ্টায় মা ও সন্তান দুজনেই ভালো থকবেন।অন্যথায় মা হতাশায় ভুগতে পারেন যেটা মা ও সন্তানের জন্য ভালো নয়।আপনার একটু যত্ন একটু ভালবাসা চাইলেই পাল্টে দিতে পারে নতুন মা হয়া মানুষটার জীবন।আপনি চাইলেই সে হতাশা কে কাটিয়ে উঠতে পারবে।শুধু প্রয়োজন তার এই মুহুর্তের প্রয়োজন কে বুঝার।

লামিয়া রশীদ
সাইকোলজিস্ট।

29/06/2020

আমাদের দেশের ছোট ছোট বাচ্চাগুলো বড় হয় অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে।শুনতে কেমন কেমন লাগলেও এটাই সত্যি। আমাদের দেশে বাচ্চাকাচ্চা স্বভাব সুলভ দুষ্টুমি করলে বাবা মায়েরা বিভিন্ন পশু পাখির নাম ধরে ডাকতে থাকেন।তিরস্কার তো আছেই।একই সাথে বাইরের কোনো দেশে এর উল্টো টা হয়।আমার বিভিন্ন আত্নীয় যারা বাইরে থাকেন তাদের মুখে শুনি ওই সব দেশে বাচ্চা কে বড় করতে কতটা নমনীয় থাকেন ওই দেশি বাবা মায়েরা।তারা কথায় কথায় বলেন "ওয়েল ডান ডিয়ার", "গুড জব", "ইয়েস ইউ ক্যান ডু ইট"। আর আমাদের দেশে বলা হয় " পারছ না কেন"? "সবাই ভাত খায় তুই কি...... খাস"। অথবা তোর জন্য জীবন দিয়ে দিলাম।তোর পক্ষে কিছুই করা সম্ভব না।আমাদের দেশের বাচ্চা গুলো বড় হয় এটা মাথায় নিয়ে যে তার দ্বারা সম্ভব না।আবার ওই বাচ্চা গুলো কেই বড় হয়ার পর খুব ভালো যায়গায় দেখতে চায় মা বাবা।আরেহ আগেতো বাচ্চার আত্নবিশ্বাস টা নিয়ে বড় হতে দিন।বাচ্চা পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছে মানে ওই বাচ্চা সবচেয়ে খারাপ।শুরু হয় তুলনা করা।এটা কখনই বাবা মা দেখেন না পরীক্ষার নাম্বার কম পেলেও বাচ্চাটার ভেতর আর কি কি গুন আছে।বা কম নাম্বার পেলেও পরের বার ভালো করার সাহস টা পর্যন্ত দিতে পারেন না।ভাষার ব্যবহার এর কথা আর নাই বলি।মাঝে মাঝে কাউন্সিলিং সেশনে যখন বাবা মা কে নিয়ে বসি তখন মনে হয় কোন ফাসির আসামির বিচার নিয়ে তারা এসেছেন। কম করে হলেও এক হাজার অভিযোগ। বাচ্চা কথা শুনে না,বাচ্চা খায় না,বাচ্চা কে বলে দিছি ওর সাথে না মিশতে তাও মিশে,বাচ্চা টিভি দেখে বেশি, পড়া লেখায় মনযোগ নাই,গল্পের বই পড়তে চায় খালি,সারাদিন মোবাইল নিয়ে থাকে,আমি উত্তরে যেতে বললে যায় দক্ষিণে, মাঝে মাঝে কোন দিকে যায় তাও বুঝিনা, আমি মা জন্ম দিছি যা বলবো তাই শুনবে কিন্তু শুনে না,মেয়ে টা কালো তাই বলছি গোলাপি পরিস না, দেখেন আপা গোলাপি পরেই আসছে,বান্ধবীর সাথে এতো কি কথা, এরকম হাজার অসংখ্য অভিযোগ। আর বাচ্চার একটাই অভিযোগ বাবা মা আমাকে বুঝে না।এখন কথা হচ্ছে মা বাবা আর বাচ্চার সম্পর্ক হবে সচ্ছ। পরিষ্কার।এখানে অভিযোগ থাকবে মান অভিমান ও থাকবে,শাসন থাকবে আবার মিল মোহাব্বত ও থাকবে।বাচ্চা আপনার পেট থেকে হয়েছে বলেই যে সে আপনার মতো সব চিন্তা করবে এটা কেন আশা করেন??বাচ্চা টা আলাদা একটা মানুষ। তার পছন্দ অপছন্দ সব কিছু আপনার থেকে আলাদা হবে এটাই স্বভাবিক। যদি মিল খুজে পান তাহলে দুজনে মিলে সেটা সেলিব্রেট করুন।বাচ্চার সাথে ভাষার ব্যবহার নিয়ে সচেতন হন।বাচ্চা কে সাহস দিন।প্রতিদিন বলুন তাকে তুমি পারবে,তুমি পারবেই।ভুল করলে বুঝিয়ে বলুন।সে শুনবেই। তার জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে না দিয়ে সহজ করে দিন।এর মানে এই না তার সব চাহিদা পূরন করতে হবে।যতটুকু সম্ভব সুন্দর করে এড়িয়ে চলুন তার অতিরিক্ত চাহিদা কে।বুঝিয়ে বলুন আপনার সীমাবদ্ধতা।তখনি সে আপনার আওতায় থাকবে।অন্যথা লেবু বেশি চিপলে তিতা হয়ে যায়।

লামিয়া রশীদ
সাইকোলজিস্ট

26/06/2020

আত্মহত্যা। খুব ছোট্ট একটা শব্দ। কিন্তু শেষ করে দেয় এক নিমিষেই সব।কতটা অসহায় বোধ করলে একটা মানুষ নিজেকে মেরে ফেলতে পারে!নিজেকে কতটা মূল্যহীন মনে করে।এর জন্য আসলে কে দায়ী? একটা সন্তান কে বাবা মা কত্তো সপ্ন নিয়ে যত্নে বড় করেন, কিন্তু সেই সন্তানের কতটা কাছে আসতে পারেন তারা??এখানে কাছে আসা মানে পাশাপাশি বসা নয়।একই টেবিল এ বসে খাওয়া নয়।কাছাকাছি আসা মানে সন্তানের মনের কাছে আসতে পারা। মানুষের জীবনে ব্যার্থতা খুব সাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু কয়জন বাবা মা পারেন সন্তান কে শিখাতে এই সাভাবিক বিষয় টি মেনে নিতে? ছেলে মেয়ে কেন পারেনা খুব সহজ ভাবে তাদের মনের আনাচে কানাচের খবর বাবা মা কে জানাতে?বাবা মা কেন পারেনা সন্তানের সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করতে?এখানে ব্যার্থতা কার?? যে চলে যায় তার? নাকি যাদের রেখে যায় তাদের?.সন্তান ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সাবধান হন।পরে আফসোস করে লাভ নেই।

#ছেলে মেয়ে কার সাথে বন্ধুত্ব করছে খেয়াল রাখুন।প্রয়োজনে আপনিও তাদের বন্ধু হয়ে যান।
# ছেলে মেয়ে কে যথেষ্ট সময় দিন।
# তাদের কথা আগে শুনুন।
# তাদের বুঝান আপনিও আপনার সন্তানকে ভালবাসেন।অনেকেই মনে করেন এখানে বুঝানোর কি আছে।কিন্তু না ভালবাসা কখনো কখনো মুখে বলেও বুঝাতে হয়।
#খোলামেলা আলোচনা করুন।জড়তা নিয়ে নয়।
# আত্নবিশ্বাসী করে গড়ে তুলুন।
# সিদ্ধান্ত নিতে শিখান।
# কখনও কারো সাথে তুলনা করবেন না।এতে তার আত্নবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাবে।
# তাকেও আলাদা মানুষ ভাবুন।আপনার সন্তান বলেই সে আপনার সব কিছু পছন্দ করবে বা মেনে নিবে এমন ধারণা দুর করুন মন থেকে।
# পরিবারের ছোট ছোট দায়িত্ব দিন।
# প্রশংসা করুন।
# অতিরক্তি কোন কিছুই ভালো নয় সেটা প্রশংসা হোক আর তিরস্কার ই হোক।
# সফলতা অর্জন এর সাথে সাথে বিফলতা কেও মেনে নিন।মেনে নিতে শিক্ষা দিন।
# জীবনের মূল্য বুঝান।
# পরিশ্রম করতে শিখান।
# ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলুন।

মনে রাখবেন, সন্তান আপনাকে দেখেই শিখছে।আপনি সাহস দিলেই সে এগিয়ে যাবে।আপনিই আপনার সন্তানকে নিয়ে যেতে পারেন সামনের দিকে।

লামিয়া রশীদ
সাইকোলজিস্ট।

Address

Dhaka
1216

Opening Hours

Monday 18:00 - 22:00
Tuesday 18:00 - 22:00
Wednesday 18:00 - 22:00
Thursday 18:00 - 22:00
Sunday 18:00 - 22:00

Telephone

+8801610109404

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Lamia's Happy Life with Mental Health Support posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category